এইমাত্র
  • তিন বিচারপতির কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন প্রধান বিচারপতি
  • ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরলেও নির্বাচন হবে এ সরকারের অধীনেই’
  • প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে মোন্থা
  • বিএনপি নেতা-পুলিশের পকেটে জাতীয় স্মৃতিসৌধের ফুটপাতের চাঁদার টাকা
  • নিজেই অপহরণের নাটক সাজিয়ে ছিলেন মুফতি মুহিব্বুল্লাহ
  • এবার নতুন পরিচয়ে সৃজিত
  • নির্বাচনের আগে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম আমদানিতে অনিয়ম হয়নি : খাদ্য মন্ত্রণালয়
  • ২০২৬ বিশ্বকাপ খেলতে চান মেসি, তবে...
  • বিচারক ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে অনুমতি ছাড়াই মামলা করতে পারবে দুদক
  • আজ মঙ্গলবার, ১৩ কার্তিক, ১৪৩২ | ২৮ অক্টোবর, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    কালিয়াকৈরে বিএনপি'র দুই গ্রুপে হাতাহাতি

    ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২৫, ১২:৫৮ এএম
    ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২৫, ১২:৫৮ এএম

    কালিয়াকৈরে বিএনপি'র দুই গ্রুপে হাতাহাতি

    ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২৫, ১২:৫৮ এএম

    গাজীপুরের কালিয়াকৈর পৌরসভায় টেন্ডার জমা দেওয়ার দিন বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

    সোমবার (১৭ মার্চ) পৌরসভা কার্যালয়ের নিচে দলটির দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি ও কথা কাটাকাটির ঘটনা ঘটে।

    এ সময় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে পুলিশ প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নেয় এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, বিএনপির দুই গ্রুপ—একটি কালিয়াকৈর পৌরসভার সাবেক মেয়র ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মুজিবুর রহমানের সমর্থক পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেনের এবং অন্যটি কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম বিষয়ক সহসম্পাদক ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ ও শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির খানের সমর্থক পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মামুনের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।

    শাহাদাত হোসেন অভিযোগ করেন, তিনি পৌরসভার লাইসেন্স সংক্রান্ত কাজে সেখানে গিয়েছিলেন। কিন্তু মামুন সন্দেহ করে তাকে বাধা দেন এবং লাঞ্ছিত করেন। তিনি বলেন, আমি সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছি। বিনা কারণে আমার ওপর হামলা চালানো হয়েছে। আমি এর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই।

    অন্যদিকে, মামুন তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি কোনো টেন্ডার জমা দিতে যাইনি, বরং এলাকার ট্যাক্স সংক্রান্ত কাজে পৌরসভায় গিয়েছিলাম। শাহাদাত আমার নেতা হুমায়ুন কবির খান সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করছিলেন। আমি শুধু তাকে বলেছি, সত্য-মিথ্যা যাচাই করতে চাইলে চলেন, নেতার কাছে নিয়ে যাই।

    এ কথা বলার পর তার সাথে কিছু কথা কাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কি হয়। এখানে কোনো টেন্ডারবাজি বা হামলার ঘটনা ঘটেনি। এটি ষড়যন্ত্রমূলক অভিযোগ। এটা আমার ব্যক্তিগত ঘটনার কারণে বাক-বিতণ্ডা হয়েছে। এখানে দলীয় কোন বিষয় বা টেন্ডারবাজীর কোন কিছু নেই। ঘটনার পর মুহূর্তেই ধাক্কাধাক্কির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

    বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াদ মাহমুদ বলেন, আমরা আগেই পৌরসভায় উপস্থিত ছিলাম। সেখানে দুই পক্ষের মধ্যে তর্কাতর্কি হচ্ছিল। আমরা দ্রুত হস্তক্ষেপ করে তাদের আলাদা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। এখানে কোনো বড় ধরনের সংঘর্ষ বা টেন্ডার নিয়ে বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটেনি।

    এ বিষয়ে কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাউসার আহমেদ বলেন, আমি টেন্ডার ড্রপিং কার্যক্রমের সময় ঘটনাস্থলে ছিলাম। তবে সরাসরি কোনো ধস্তাধস্তি দেখিনি। পরে একটি ভিডিও দেখে জানতে পারি, সেখানে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। তবে টেন্ডার জমার প্রক্রিয়া স্বাভাবিকভাবেই সম্পন্ন হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে প্রকৃত সত্য বের করা হবে।

    ঘটনাটি স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশ আলোচনার সৃষ্টি করেছে। সংশ্লিষ্টরা দাবি করছেন, এটি শুধু ব্যক্তিগত বিরোধ নাকি রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব, তা নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে স্পষ্ট হওয়া উচিত।


    এনআই

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…