বাংলাদেশ দলে যোগ দিতে হামজা চৌধুরীর দেশে ফেরা নিয়ে ফুটবল অঙ্গনে এখন খুশির জোয়ার। বাংলাদেশ তো বটেই দক্ষিণ এশিয়ার প্রেক্ষিতেই ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন একজন ফুটবলারকে জাতীয় দলে পাওয়াটা বিশাল ঘটনা। স্বাভাবিকভাবেই ফুটবলভক্তরা উন্মাদনায় মেতেছে। কিন্তু এরই মধ্যে ঘটে গেছে আরেক ঘটনা। ভারতের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের দলে থাকা আরেক বিদেশি ফুটবলার সৌদি আরবে জাতীয় দলের ক্যাম্প শেষে দলের সঙ্গে আর বাংলাদেশে ফেরেননি।
আজ সকালে সৌদি আরবের তায়েফ থেকে ঢাকায় এসে পৌঁছেছে বাংলাদেশ দল। ইতালিয়ান প্রবাসী ফুটবলার ফাহমিদুল তায়েফে সপ্তাহ খানেক ক্যাম্প করলেও ঢাকায় ফিরেননি। ইতালি থেকে ৯ মার্চ ক্যাম্পে যোগ দেন ফাহমিদুল। একটা অনুশীলন ম্যাচও খেলেছেন। এরপরেই ফিরেছেন ইতালিতে। সেখানে ওলবিয়া ক্যালসিও ক্লাবের খেলোয়াড় তিনি।
জাতীয় দলের ম্যানেজার আমের খান ফাহমিদুল সম্পর্কে বলেন, ‘কোচের সঙ্গে আলোচনা করেই সে তায়েফ থেকে ইতালি গেছে। জাতীয় দলের চূড়ান্ত স্কোয়াড হবে ২৩ জনের। কোচ সব কিছু বিচার-বিবেচনা করেই ফাইনাল স্কোয়াড ঠিক করবেন।’
তবে এই তরুণের ইতালিতে ফিরে যাওয়া নিয়ে দেশের ফুটবল সমর্থকরা পাচ্ছেন ষড়যন্ত্রের গন্ধ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেশীয় ফুটবল গ্রুপগুলোয় এ নিয়ে বিস্তর আলোচনা চলছে। অনেকেই জাতীয় দলে সিন্ডিকেটের উপস্থিতি নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার ২০ মার্চ সকালে বাংলাদেশ দল ভারতের শিলংয়ের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়বে। ফাহমিদুল ইতালি চলে যাওয়ায় প্রাথমিক স্কোয়াড এখন ৩০ থেকে ২৯ এ দাঁড়িয়েছে। তবে এই ২৯ জন থেকে ২৩ জনকে বেছে নেয়াও কিছুটা কঠিন হবে কোচ ক্যাবরেরার জন্য।
পাপন সিং, সুশান্ত ত্রিপুরা সৌদিতে ইনজুরিতে পড়েছেন। তাদের বাদ পড়া নিশ্চিত। দুই নির্ভরযোগ্য ডিফেন্ডার তপু ও তারিক কাজীও ফুল ফিট নন। তাই কোচ হ্যাভিয়েরকে ২৩ জন চুড়ান্ত করতে গলদঘর্ম হতে হচ্ছে।
এবি