এইমাত্র
  • ১০০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছেন ২ ফায়ার ফাইটার: মহাপরিচালক
  • চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ ১৮ নভেম্বর
  • দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে উপহারের চাল পাঠাল অন্তর্বর্তী সরকার
  • দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দাম সোনার
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২৫
  • নিজ গ্রামেই পাকিস্তান বিমানবাহিনীর বোমা হামলা, নিহত অন্তত ৩০
  • আবারও আইসিসির কাছে নালিশ করল পাকিস্তান
  • রাকসু নির্বাচন পেছাল
  • জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলায় গ্রেপ্তার হলেন ‘ছাগল-কাণ্ডের’ ইমরান
  • টঙ্গীতে কেমিক্যাল গোডাউনে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৭ ইউনিট
  • আজ মঙ্গলবার, ৮ আশ্বিন, ১৪৩২ | ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    কালিয়াকৈরে পৌরসভার ভেতর বিএনপির দুই গ্রুপের উত্তেজনা

    উপজেলা করেসপন্ডেন্ট প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২৫, ০৫:০২ পিএম
    উপজেলা করেসপন্ডেন্ট প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২৫, ০৫:০২ পিএম

    কালিয়াকৈরে পৌরসভার ভেতর বিএনপির দুই গ্রুপের উত্তেজনা

    উপজেলা করেসপন্ডেন্ট প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২৫, ০৫:০২ পিএম

    গাজীপুরের কালিয়াকৈর পৌরসভায় টেন্ডার জমা দেওয়ার দিন বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সোমবার (১৭ মার্চ) পৌরসভা কার্যালয়ের নিচে দলটির দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি ও কথা কাটাকাটির ঘটনা ঘটে। এ সময় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে পুলিশ প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নেয়, পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।

    প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, বিএনপির দুই গ্রুপ—একটি পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেনের, অন্যটি পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মামুনের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।

    শাহাদাত হোসেন অভিযোগ করেন, তিনি পৌরসভার লাইসেন্স সংক্রান্ত কাজে সেখানে গিয়েছিলেন। কিন্তু মামুন সন্দেহ করে তাকে বাধা দেন, লাঞ্ছিত করেন। তিনি বলেন, আমি সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছি। বিনা কারণে আমার ওপর হামলা চালানো হয়েছে। আমি এর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই।

    অন্যদিকে, মামুন তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি কোনো টেন্ডার জমা দিতে যাইনি, এলাকার ট্যাক্স সংক্রান্ত কাজে পৌরসভায় গিয়েছিলাম। শাহাদাত আমার সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করছিলেন। আমি শুধু তাকে বলেছি, সত্য-মিথ্যা যাচাই করে কথা বলেন। এ কথা বলার পর তার সাথে কিছু কথা কাটাকাটি ও ধাকাধাক্কি হয়। এখানে কোনো টেন্ডারবাজি, হামলার ঘটনা ঘটেনি। এটি ষড়যন্ত্রমূলক অভিযোগ। এটা আমার ব্যক্তিগত ঘটনার কারণে বাক-বিতণ্ডা হয়েছে। এখানে দলীয় কোন বিষয় নয়, টেন্ডারবাজীর কোন কিছু নেই।

    বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াদ মাহমুদ বলেন, আমরা আগেই পৌরসভায় উপস্থিত ছিলাম। সেখানে দুই পক্ষের মধ্যে তর্কাতর্কি হচ্ছিল। আমরা দ্রুত হস্তক্ষেপ করে তাদের আলাদা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। এখানে কোনো বড় ধরনের সংঘর্ষ, টেন্ডার নিয়ে বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটেনি।

    এ বিষয়ে কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাউসার আহমেদ বলেন, আমি টেন্ডার ড্রপিং কার্যক্রমের সময় ঘটনাস্থলে ছিলাম। তবে সরাসরি কোনো ধস্তাধস্তি দেখিনি। তবে টেন্ডার জমার প্রক্রিয়া স্বাভাবিকভাবেই সম্পন্ন হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে প্রকৃত সত্য বের করা হবে।

    ঘটনাটি স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশ আলোচনার সৃষ্টি করেছে। সংশ্লিষ্টরা দাবি করছেন, এটি শুধুমাত্র ব্যক্তিগত বিরোধ নাকি রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব, তা নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে স্পষ্ট হওয়া উচিত।

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…