রাজশাহীর তানোর উপজেলায় প্রকাশ্যে দিনের আলোয় এক কলেজছাত্রীকে দোকানে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়রা বলছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াতের পথে এমন ঘটনা ঘটায় ছাত্রীরা আরও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। ঘটনাটি শুধু একটি মামলার বিষয় নয়, এটি সমাজের নারীদের নিরাপত্তা ও বিচার ব্যবস্থার কার্যকারিতা নিয়েও বড় প্রশ্ন তুলেছে। অনেক অভিভাবক মেয়েদের একা বাইরে যেতে দিতে ভয় পাচ্ছেন। বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায় নারীদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ এখনো নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।
১৮ বছর বয়সী ওই কলেজছাত্রী গত রোববার (১৬ মার্চ) বিকেলে তার শিক্ষকের বাসায় গাইড নিতে যাচ্ছিলেন। পথে চাঁন্দুড়িয়া ইউনিয়নের দেওতলা গ্রামের মুদি দোকানি ইকবাল হোসেন তাকে দোকানে ডাকেন। পূর্বপরিচিত হওয়ায় তিনি দোকানে গেলে চা দোকানি আবদুল মালেক শাটার নামিয়ে দেন। এরপর মুদি দোকানি ইকবাল তাকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ।
সন্ধ্যার দিকে অভিযুক্তরা ওই ছাত্রীকে দোকান থেকে বের করে দিলে বিষয়টি জানাজানি হয়। পরে ইকবালের বাবা আনছার আলী উল্টো ভুক্তভোগীকে দোষারোপ করে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেন।
সোমবার রাতে ভুক্তভোগীর বাবা তানোর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। আসামিরা হলেন ইকবাল হোসেন (২৮), তার বাবা আনছার আলী (৬৫) এবং চা দোকানি আবদুল মালেক (৬০)।
তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন বলেন, ঘটনার পরপরই মামলা গ্রহণ করা হয়েছে এবং আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। মঙ্গলবার সকালে ভুক্তভোগীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।
নারী অধিকারকর্মী রোকসানা পারভীন বলেন, প্রতিটি গ্রামে ও বাজার এলাকায় নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নজরদারি বাড়াতে হবে। সেই সঙ্গে ধর্ষণের ঘটনার দ্রুত তদন্ত ও শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের অপরাধ করতে সাহস না পায়।
এসআর