করোনার আগে ও পরে রোগের যে ধরণ সেখানে মানুষ ও প্রাণীকে আলাদা করা যাচ্ছে না জানিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, শীঘ্রই হাসপাতালে হিউম্যান ও এনিম্যালের একই ওষুধ চলে আসবে। মানুষ ও প্রাণীকে আলাদা করা হলেও যখন প্রাণিসম্পদ দাবি করা হবে তখন মানুষসহ প্রাণী অন্তর্ভুক্ত হবে। অর্থাৎ এখানে প্রাণী বলতে মানুষ বাইরে থাকতে পারে না।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) ঢাকায় কেন্দ্রীয় ভেটেরিনারি হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
ফরিদা আখতার বলেন, কেন্দ্রীয় ভেটেরিনারি হাসপাতালে নানান সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও ভেটেরিনারি ডাক্তারদের রোগগুলোর ডায়াগনোসিস করার যে সক্ষমতা রয়েছে তা সত্যিই গর্বের।
হাসপাতালের ডাক্তারদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা অনেক ভালো কাজ করে যাচ্ছেন কিন্তু সে অর্থে প্রচারণা কম। তাই আপনাদের কার্যক্রম সম্পর্কে যেন জনগণ জানতে পারে সে লক্ষ্যে প্রচার কার্যক্রম আরও বাড়াতে হবে।
ফরিদা আখতার বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় নানান সীমাবদ্ধতার মধ্যে কাজ করে যাচ্ছে। ভেটেরিনারি ডাক্তার হিসেবে আপনারা যেভাবে পোষা প্রাণী নিয়ে কাজ করছেন তা প্রশংসনীয়। আপনাদের পাশাপাশি সমাজে এনিমেল ওয়েলফেয়ার অনেক সংগঠন পোষা প্রাণী নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।
উপদেষ্টা কেন্দ্রীয় ভেটেরিনারি হাসপাতালে জনবল ও পরিবহন সংকট দূরীকরণে এবং ডে-কেয়ার স্থাপনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন, কেন্দ্রীয় ভেটেরিনারি হাসপাতাল অসুস্থ গবাদি প্রাণী, পোষা প্রাণী, হাঁস-মুরগি ও পাখির চিকিৎসা সেবা দেওয়ার মাধ্যমে একদিকে যেমন প্রাণিস্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করছে। অন্যদিকে খামারিদের জীবন ব্যয় নির্বাহ করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। সার্বিকভাবে কেন্দ্রীয় ভেটেরিনারি হাসপাতাল বাংলাদেশের প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে ও জিডিপি বাড়ানোর জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
এমআর-২