বিড়াল বন্ধুসুলভ এক প্রাণী। তবে অনেকেই বিড়াল পছন্দ করেন না। কিন্তু জানেন কী, যারা বিড়াল পুষেন, তারা শারীরিকভাবে অন্যদের তুলনায় বেশ সুস্থ থাকেন। বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও কমে বিড়াল পুষলে। বিড়ালের শরীরে অক্সিটোসিন নামক একটি হরমোন থাকে, যা মানুষের ডিপ্রেশন কমাতে সাহায্য করে। এমনকি শিশুর জন্য ভালো, যদি ঘরে একটি পোষা বিড়াল থাকে।
দেখে নিন এই হরমোন কীভাবে কাজ করে
১. যখন আপনি বিড়ালকে আদর করেন, তার গা ঘেঁষে বসেন বা সে আপনাকে মুখ ঘষে—তখন তার শরীরে অক্সিটোসিন নিঃসরণ হয়।
২. একই সাথে, আপনার শরীরেও অক্সিটোসিনের মাত্রা বেড়ে যায়, যা স্ট্রেস ও ডিপ্রেশন কমাতে সহায়ক।
৩. অক্সিটোসিনকে লাভ হরমোন বা হ্যাপি হরমোনও বলা হয়, কারণ এটি আনন্দ ও মানসিক প্রশান্তি বৃদ্ধি করে।
বিড়াল পাললে মানসিক স্বাস্থ্যের যেসব উপকার হয়-
১. ডিপ্রেশন ও একাকীত্ব কমায়
২. স্ট্রেস হরমোন (কর্টিসল) কমায়
৩. স্নায়বিক প্রশান্তি এনে দেয়
৪. রক্তচাপ ও হার্ট রেট নিয়ন্ত্রণে রাখে
৫. বেশকিছু গবেষণায় দেখা গেছে, বিড়াল পুষলে মানসিক চাপ কমে। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা বিড়াল পোষেন; তাদের হৃদরোগের ঝুঁকি অন্যদের থেকে ৩০ শতাংশ কম।
তাই বিড়ালের সাথে সময় কাটালে মেজাজ ভালো থাকবে! ওয়েলিয়া হেলথ নামের একটি ওয়েব সাইডে প্রকাশ হরা হয়েছে বিড়াল পালার ইতিবাচক দিক সম্পর্কে।
এবি