হালকা বৃষ্টিতে মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়ক। শুধু মহাসড়কটি নয় অবৈধ ইটভাটার মাটিতে জেলার কোন রাস্তায় নেই চলার মত অবস্থা। হালকা বৃষ্টিতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে।
ফসলি জমির টপ সয়েল (মাটির উপর অংশ) কেটে বিক্রি করা হয় ইটভাটায়। ফসলি জমির সেসব মাটি বহনকারী ট্রাক্টর থেকে সড়কে মাটি পড়ে নষ্ট হয়েছে সড়কগুলো। প্রশাসনের নিস্ক্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ইটভাটা মালিক ও মাটি ব্যবসায়ীরা।
জানা যায়, মেহেরপুর কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের খুলিশাকুন্ডী থেকে মেহেরপুর পুলিশ লাইন পর্যন্ত ১৫ টি ইটভাটা রয়েছে যেগুলো সবই অবৈধ ইটভাটা। এরমধ্যে বামন্দী বাজার, আকুবপুর এলাকাসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় অধিকাংশ ইটভাটা মালিক প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা। যারফলে অদৃশ্য শক্তিতে তারা অবৈধ ইটভাটায় সকল কাজই চালিয়ে আসছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, শুক্রবার (২১ মার্চ) সকাল থেকে শুরু হয় হালকা বৃষ্টি। আর এই হালকা বৃষ্টিতে মেহেরপুর কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কে ইটভাটার মাটি থেকে কাঁদা সৃষ্টি হয়েছে। মহাসড়কটি কাঁদায় মরণফাঁদে পরিণত হয়ে উঠেছে।
মোটরসাইকেল আরোহী সজিবুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টির ফলে সড়কে মাটি কাঁদায় চলাচলের মতো অবস্থা নেই। আমরা চাই দ্রুত প্রশাসন ব্যবস্থা নিয়ে সড়ক ঝুকিমুক্ত করে তুলবে।
আরেকজন পথচারী নাজমুল ইসলাম বলেন, রাস্তাঘাটে বের হওয়া খুবই ঝুকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। অবৈধ সব ইটভাটায় নিয়ে যাওয়া মাটি রাস্তায় পড়ে দুর্ঘটনার ঝুঁকি তৈরি করেছে।
সচেতন নাগরিক সাজেদুল ইসলাম বলেন, মাটি বহনকারী ট্রাক্টরে সড়ক নষ্ট করে। হালকা বৃষ্টি হলেই সড়ক হয়ে যায় ঝুকিপূর্ণ। প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে সড়কের সৌন্দর্য রক্ষা করবে এটা আশাবাদী।
মেহেরপুর জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ বলেন, ইতোমধ্যে জেলায় অধিকাংশ জায়গায় অভিযান চালিয়ে অবৈধ ইটভাটা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ইটভাটার মাটি সড়কে বৃষ্টি হলেই ঝুকিপূর্ণ হয়ে উঠে। প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এআই