নেত্রকোনা শহরের শহীদ মিনারের পেছনে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন সংলগ্ন আরামবাগ এলাকার নিজ ঘর থেকে মিলল মাজেদা বেগম (৬০) নামের এক নারীর মরদেহ।পরিবাবারের অভিযোগ চুরি করতে এসে গলায় গামছা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। এদিকে পুলিশ বলছে ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আজ শুক্রবার(২১ মার্চ) সন্ধ্যায় নেত্রকোনা মডেল থানার পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। মাজেদা বেগম আরামবাগ এলাকার মৃত আরজান আলীর স্ত্রী।
নিহত মাজেদা বেগমের ছোট মেয়ের জামাই মো আশরাফুল ইসলাম জানান, মাজেদা বেগম বাসায় একাই থাকতেন। তিনি তার স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে ঢাকা থেকে বাসায় আসেন বিকালে। কিন্তু ফজর থেকে মায়ের ফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা যায়নি। পরে বিকালে পৌঁছে দিতি নামের মেঝো বোনকে ভিডিও কল দিয়ে মাকে দেখাতে চান। এসময় ঘরের পেছনের জানালা খোলা ও দরজা ভাঙ্গা দেখে ঘরে প্রবেশ করেন, তারপর ঘরের মধ্যে বিছানায় তার শাশুড়ীর নিতর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। তারপর ভিডিও কলে থাকা মোঝো মেয়ে পুলিশে ফোন দেয়।
এসময় তারা ঘরের মধ্যে মায়ের কানের দুল ও মোবাইল পায়নি। আলমারির দরজাও খোলা ছিলো, তাছাড়া মৃতদেহের গলায় গামছা জড়ানো ছিল। তাদের ধারণা চুরি করতে এসে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি মো. কাজী শাহনেওয়াজ জানান, আমরা খবর পেয়ে ওই বাসায় গিয়ে দেখি বিছানায়। নাক দিয়ে ফেনা ছিলো। মুখের ওপর ছিলো গামছা। প্যাচানো পাইনি। এখন বোঝা যাচ্ছে না। তবে তারা বলছে মোবাইল ও কানের দুল মিসিং আছে। তদন্ত করে দেখছি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এমআর