পটুয়াখালীর দুমকিতে জুলাই গনঅভ্যুত্থানে ঢাকায় নিহত শহীদ কন্যার দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি সিফাত মুন্সিকে সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ।
শুক্রবার (২১ মার্চ) ভোর ৫টায় পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর থানার জুকিয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুপুর ২টায় জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আনোয়ার জাহিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পটুয়াখালী জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ জসিম উদ্দিন জানান, গ্রেপ্তারকৃত সিফাত মুন্সি দুমকি উপজেলার পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের আলগী গ্রামের সোহাগ মুন্সির ছেলে। দুমকী থানায় দায়ের করা দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলার ২ নম্বর আসামি সিফাত। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালিয়ে ডিবি পুলিশ পিরোজপুর থেকে সিফাত মুন্সিকে নানা বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। ভুক্তভোগীর মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার অভিযান চালিয়ে মামলার ১ নম্বর আসামি সাকিব মুন্সি ঘটনার পরপরই পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাজেদুল ইসলাম জানান, পরবর্তীতে আটক দুই আসামিকে আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।
প্রেস কনফারেন্স পুলিশ সুপার বলেন, এটি একটি স্পর্শকাতর মামলা। দ্রæততম সময়ের মধ্যে প্রধান দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হযেছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। অপরাধীদের কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না। তাদের সবোর্চ্চ সাজার অঅওতায় আনা হবে।
উল্লেখ্য মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) রাত সাড়ে সাতটায় দাদার বাড়ি থেকে বাবার কবর জিয়ারত শেষে নানার বাড়ি ফেরার পথে উপজেলার পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের আলগি গ্রামের জলিল মুন্সীর বাড়ির নির্জণ বাগানে জুলাই আগষ্ট গন আন্দোলনে শহীদের কন্যাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষন করে আটক সিফাত, সাকিবসহ আরো এক যুবক।
এসআই