জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের ৩০শতাংশ কোটা বাতিলসহ ৬দফা দাবিতে নওগাঁয় ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলনে নেমেছেন নওগাঁ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (২২ মার্চ) সকাল সাড়ে ১২টায় পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহরের প্রানকেন্দ্র মুক্তির মোড়ে অবস্থান নেন তারা। পরে শিক্ষার্থীরা সেখানে প্রায় ২ঘন্টাব্যাপী অবস্থান নিয়ে সড়ক আটকিয়ে রাস্তায় বসে প্রতিবাদ সমাবেশ করে। এসময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।
এর আগেও একই দাবিতে গত (১৯ মার্চ) বুধবার ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে শহরের মুক্তির মোড়ে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। এবং ২০ মার্চ বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ ও স্মারকলিপী প্রদান করে শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের দাবি, ক্রাফট ইন্সট্রাক্টররা কারিগরি ব্যাকগ্রাউন্ডের না, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের ল্যাবের সহকারী কর্মচারী। তারা মূলত অষ্টম শ্রেণি কিংবা এসএসসি পাস। তাদের ডিপ্লোমার শিক্ষক হওয়ার কোনো যোগ্যতা নেই। তারা যদি ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউটের শিক্ষক হন, তাহলে ডিপ্লোমা ছাত্ররা কতটুকু শিখবে। জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর শুধুমাত্র ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং স্টুডেন্টদের জন্য। ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর হিসেবে প্রমোশন দেওয়ার সিদ্ধান্ত কারিগরি সেক্টর ধ্বংসের পাঁয়তারা। শিক্ষার্থীদের দাবি দ্রæত বাস্তবায়ন না হলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি দেন তারা।
নওগাঁ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের ৭ম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী তৌফিক সাব্বির বলেন, এইচএসসি পাশ করে যদি মামা থেকে মাস্টার হওয়ায় যায় তাহলে তো আমাদের এতো কষ্ট করে ডিপ্লোমা করার কোন প্রয়োজন নেই। এইচএসসি পাশ করে তারা যদি এতো বড় বড় পদ পায় তাহলে আমাদের ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের ঢাকায় গিয়ে রিকশা চালানো ছাড়া কোন উপায় নেই।
আরেক শিক্ষার্থী আর্কিটেকচার বিভাগের ৫ম সেমিস্টারের তাইয়্যুবা বলেন, ২১ সালে নন টেকনিক্যাল থেকে বিতর্কিত ভাবে ক্রাফট ইন্সট্রাক্টর নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যারা শুধু ল্যাবের লাইট ফ্যানের সুইজ বন্ধ করা ছাড়া কিছুই করতে পারেনা। ২১ সালের একটি রায়ের মাধ্যমে ৩০শতাংশ নন টেকনিক্যাল ক্রাফট ইন্সট্রাক্টর নিয়োগ দেয়া হচ্ছে যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এটি আমাদের সঙ্গে এক প্রকারের বৈষম্য করা হচ্ছে। আমরা চাই আমাদের দাবি যেন দ্রæত’ই বাস্তবায়ন করা হয়। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। প্রয়োজনে ঢাকায় লংমার্চ করবো।
পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নওগাঁ সদর মডেল থানার ওসি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের দাবির সাথে একাত্বতা প্রকাশ করে তাদের দাবির প্রেক্ষিতে উর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা রাস্তা ছেড়ে দেন।
এসআর