এইমাত্র
  • বান্দরবানে ঋণের চাপে গলায় ফাঁস দিয়ে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের আত্মহত্যা
  • জরুরি অবস্থা জারির প্রসঙ্গে যা বললেন স্বরাষ্ট্রের সিনিয়র সচিব
  • হার্ট অ্যাটাকের ৬টি লক্ষণ এবং যা করবেন
  • চকরিয়ায় পুলিশের অভিযানে ৩ ডাকাত আটক
  • কিশোরগঞ্জের সাবেক এমপি আফজাল মেহেরপুরে গ্রেফতার
  • আমরা দেশপ্রেমিক সেনাদের ভালোবাসি: হাসনাত
  • ঢাকায় আসছেন মার্কিন ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা
  • ফিলিস্তিনে বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে উলিপুরে বিক্ষোভ মিছিল
  • নওগাঁয় যক্ষ্মা দিবস পালিত
  • ‘তামিম কার্যত মারা গিয়েছিলেন, অবিশ্বাস্য কামব্যাক, এখনো ঝুঁকিমুক্ত নন’
  • আজ সোমবার, ১০ চৈত্র, ১৪৩১ | ২৪ মার্চ, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    ৫ ইউনিয়নের মানুষের যাতায়াত বাঁশের সাঁকোয়, ৫০ বছরেও হয়নি সেতু

    আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশ: ২২ মার্চ ২০২৫, ০৫:৩৯ পিএম
    আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশ: ২২ মার্চ ২০২৫, ০৫:৩৯ পিএম

    ৫ ইউনিয়নের মানুষের যাতায়াত বাঁশের সাঁকোয়, ৫০ বছরেও হয়নি সেতু

    আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশ: ২২ মার্চ ২০২৫, ০৫:৩৯ পিএম

    সেতু না থাকায় মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার ৪-৫টি ইউনিয়নের ১৫ হাজার মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো। ঝুঁকিপূর্ণ হওয়া সত্বেও এই সাঁকো দিয়েই চলাচল করছেন তারা।

    উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের সৈয়দপুর বাজারের পশ্চিম পাশে ইছামতি শাখা নদীর উপর দীর্ঘদিন ধরে তৈরি করা ঝুঁকিপূর্ণ এই সাঁকোটি রয়েছে। এই সাঁকো দিয়ে উপজেলার রাজানগর, চিত্রকোট,শেখরনগর,কেয়াইনসহ ৪-৫টি ইউনিয়নের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ প্রতিদিন ঢাকা যাতায়াত করে থাকেন। দুর্ভোগ লাগবে দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসলেও বাস্তবায়ন হচ্ছে না বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।

    শনিবার (২২ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে সরেজমিনে উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের সৈয়দপুর বাজারের পশ্চিম পাশে ইছামতি শাখা নদীর উপর ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো দিয়ে শিক্ষার্থীসহ মানুষজন চলাচল করছে সেই চিত্র দেখা গেছে। এতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাধ্য হয়ে চলাচল করতে হচ্ছে তাদের। এলাকাবাসী বলছে মাঝেমধ্যেই এই সাঁকো ভেঙ্গে শিশু ও বয়স্ক নারী পুরুষ পানিতে পড়ে যায়। এতে করে ছোট বড় দুর্ঘটনাও ঘটে। তাই তারা উপজেলা প্রশাসনের কাছে দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন। কিন্তু সরকার আসে সরকার যায় তারপরও এই বাঁশের সাঁকোর স্থানে পাকা সেতু নির্মাণ হচ্ছে না। এরফলে স্থানীয়দের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।

    জানা যায়, এই বাঁশের সাঁকো দিয়ে হাটবাজার ও স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীরা যাতায়াত করে থাকেন। এই স্থানে একটি সেতু হলে ৩০ মিনিটে মোহাম্মদপুর, একঘন্টায় এয়ারপোর্টে যাওয়া যাবে। এছাড়া বছরের পর বছর চরম ভোগান্তি সত্ত্বেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দুটি মসজিদ,একটি মাদরাসা ও এতিমখানা, একটি কমিউনিটি ক্লিনিক, একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরসহ হাজার মানুষের প্রতিদিন যাতায়াত করতে হয়। একটি পাকা সেতু নির্মাণের জন্য এলাকাবাসীর বহু বছরের প্রাণের দাবি হয়ে উঠেছে।

    শিক্ষার্থী আয়েশা আক্তার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমাদের এই স্থানে একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু কোনো ভাবেই বাস্তবায়ন হচ্ছে না। আমাদের দুর্ভোগ নিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে। আমি অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি একটি সেতু বানিয়ে দেওয়ার।

    ফুলহার গ্রামের বাসিন্দা মিয়াজ উদ্দিন বলেন, প্রতিবছর আমাদের অর্থায়নে এই বাঁশের সাঁকোটি তৈরি করে চলাচল করতে হয়। আমরা আর কত বছর কষ্ট করে চলাচল করবো? আমাদেও ভালো ভাবে চলাচল করতে মনে চায়। আমরা চাই সরকার এখানে একটি সেতু নির্মাণ করে দিয়ে আমাদের দুর্ভোগ কমাবে।

    আরেকজন বাসিন্দা হাজী ইস্পাহানি বলেন, আমি দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে বাঁশের সাঁকোটি দেখে আসছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত এই স্থানে সেতুটা নির্মাণ হলো না। কত সরকার আসলো গেল কিন্তু আমাদের এই বাঁশের সাঁকোটি আর সেতু হলো না। আমরা চাই দ্রুত এই স্থানে সেতুটি নির্মাণ করে দিবে সরকার এটাই আমাদের দাবি।

    রাজানগর ইউপির চেয়ারম্যান মো. মজিবর রহমান বলেন, সৈয়দপুর বাজারের পশ্চিম পাশে ইছামতি শাখা নদী উপর সেতু নির্মাণে বহু বছরের প্রাণের দাবি মানুষের। বাঁশের সাঁকো দিয়ে অনেক কষ্টে মানুষ যাতায়াত করতে হয়। স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রী ও এলাকাবাসীর জন্য কি ভাবে এই সেতুটি নির্মাণ করা যায় আমি সেই চেষ্টা করছি। যাতে এলাকার মানুষ গুলোর দুর্ভোগ কমাতে পারি।

    উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মো. রেজাউল ইসলাম বলেন, এই সেতুটি নির্মাণের জন্য রাজানগর ইউনিয়নবাসীর বহুদিনের প্রাণের দাবি। তাই আমরা দীর্ঘদিন ধনে সেতুটি নির্মাণ করার জন্য অনুমোদন বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি। আপনি জানেন এই সেতুটি ১০০ মিটার বড় সেতু, ১০০ মিটার বড় সেতু অনুমোদন পেতে দেরি হয়। আমরা অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছি। আশা করছি শিগগিরই অনুমোদন পাবে।

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…