মাদারীপুরে নিহত সদর উপজেলার শ্রমিকদল নেতা শাকিল মুন্সির লাশ নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন স্বজন। এ সময় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার পদত্যাগ দাবি করেছেন স্বজন ও এলাকাবাসী। পাশাপাশি হত্যাকান্ডে জড়িতদের বিচার দাবি করেন তারা।
সোমবার (২৪ মার্চ) দুপুরে ময়না তদন্ত শেষে জেলা সদর হাসপাতাল থেকে লাশ নিয়ে বিক্ষোভ বের করা হয়। পরে শহরের কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে থানার সামনে থেকে লাশ নিয়ে গ্রামের বাড়ি যান স্বজনরা।
নিহত শাকিল মুন্সি (৩২) মাদারীপুর সদর উপজেলা শ্রমিকদলের সভাপতি ও ‘নতুন মাদারীপুর’ গ্রামের মোফাজ্জেল মুন্সির ছেলে। অভিযুক্ত লিটন হাওলাদার শহরের বিসিক শিল্পনগরী এলাকার মফেজ হাওলাদারের ছেলে ও আরেক অভিযুক্ত লিটনের ভাতিজা আল আমিন হাওলাদার একই এলাকার আলমগীর হাওলাদারের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, মাদারীপুর সদর উপজেলা শ্রমিকদলের সভাপতি শাকিল মুন্সির সাথে এলাকার আধিপত্য নিয়ে বিরোধ চলছিল মাদারীপুর পৌরসভা শ্রমিক দলের সভাপতি লিটন হাওলাদারের। এরই জেরে ‘নতুন মাদারীপুর’ এলাকায় একা পেয়ে শাকিলের উপর হামলায় চালায় লিটন ও তার ভাতিজা আল আমিনসহ ১৫-২০ জন। এ সময় কুপিয়ে হত্যা করা হয় শ্রমিকদল নেতা শাকিলকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে সেনাবাহিনী ও পুলিশ। পরে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা।
নিহত শাকিলের স্বজনদের দাবি, বিতর্কিত ব্যক্তি লিটন হাওলাদারকে মাদারীপুর পৌরসভা শ্রমিক দলের সভাপতি হিসেবে সম্প্রতি কমিটি ঘোষণা করা হয়। এর প্রতিবাদ করে সদর উপজেলার শ্রমিকদলের সভাপতি শাকিল মুন্সি। এতে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে লিটন। পরে লিটন তার ভাতিজা আল আমিনকে সঙ্গে নিয়ে এই হামলা চালায়। এ সময় কুপিয়ে হত্যা করা হয় সদর উপজেলা শ্রমিক দল নেতা শাকিলকে।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোকছেদুর রহমান বলেন, এলাকার আধিপত্য নিয়ে এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। থানা পুলিশ তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করেছেন। পুলিশের দায়িত্ব নিয়ে কোন প্রশ্ন করা ঠিক নয়।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, সারারাত অভিযান চালানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত এই ঘটনায় ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। থানার ওসির পদত্যাগ বা অপসারণ চাওয়া অযৌক্তিক। পুলিশ তাদের দায়িত্ব ঠিকঠাক মতো পালন করেছে।
এমআর