টাঙ্গাইলের সখীপুরে পল্লী চিকিৎসকের চেম্বারে এক নারী রোগীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত চিকিৎসক মঞ্জুরুল ইসলাম মজনু (৫১) উপজেলার মহানন্দপুর গ্রামের আজহার আলীর ছেলে এবং ওই বাজারের মাহমুদা ফার্মেসীর স্বত্বাধিকারী।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গৃহবধূ বাদী হয়ে সোমবার (২৪ মার্চ) রাতে সখীপুর থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার (২৩ মার্চ) ইফতারের পর ওই গৃহবধূ (৪২) শারীরিকভাবে অসুস্থ হলে চিকিৎসক মজনু মিয়ার চেম্বারে আসেন। ওই চিকিৎসক তারাবি নামাজের পর তাকে চিকিৎসা দিবেন বলে চেম্বারে বসতে বলেন।
গৃহবধূ জানায়, তারাবি নামাজে একটু সময় লাগলেও ওই চিকিৎসক খুব দ্রুত নামাজ শেষ করে চলে আসে। দোকানে এসে সার্টার নামিয়ে স্যালাইন পুশ করার নামে মুখ চেপে ধরে আমাকে ধর্ষণ করে।
দুই সন্তানের জননী ওই গৃহবধূ আরও বলেন, ঘটনার পর অভিযুক্ত ওই চিকিৎসক আমাকে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখায়। আমি শারীরিক ভাবে অসুস্থ হলে বিষয়টি পরিবারের কাছে জানাই। আমি এই ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।
অন্যদিকে, অভিযুক্ত চিকিৎসকের পরিবারের দাবি, তাকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে।
সখীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জাকির হোসেন বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে এবং অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এসআর