আর মাত্র কয়েক দিন পরই উদ্যাপিত হবে পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদে লম্বা ছুটি পাওয়া কর্মজীবী মানুষ আপনজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে ঘরমুখো হচ্ছেন। যারফলে আজ শুক্রবার সকাল থেকে এই দুই মহাসড়কে ভোর থেকেই যাত্রীদের ঢল নেমেছে। মহাসড়ক দুটিতে বিভিন্ন মোড়ে যাত্রী উঠানোয় সেসব এলাকায় কিছুটা ধীর গতিতে চলছে যানবাহন। কোথাও কোথাও যানজট সৃষ্টি হতে দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, শুক্রবার (২৮ মার্চ) ভোর থেকে গাড়ির সংখ্যা বেড়ে কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়ায় ভোগড়া বাইপাস থেকে চান্দনা চৌরাস্তা, টঙ্গী, গাজীপুর, চেরাগ আলী, সালনা, পোড়াবাড়ি মাস্টারবাড়ি, রাজেন্দ্রপুর, হোতাপাড়া, ভবানীপুর, বাঘেরবাজার, গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি, আনসার রোড, মাওনা চৌরাস্তা পল্লী বিদ্যুৎ মোড়, এমসি বাজার, নয়নপুর বাজার ও জৈনাবাজার মোড়গুলোতে ধীরগতিতে যান চলাচল করছে। এছাড়া যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং, ইউটার্ন নেওয়া, যাত্রী উঠানামার কারণে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা ত্রিমোড়ে যাত্রী ওঠানামার কারণে সকাল থেকেই যানবাহনের ব্যাপক চাপ ছিল।
হাইওয়ে পুলিশ জানিয়েছে, চন্দ্রা ত্রিমোড়ে যাত্রীবাহী বাসগুলো ইচ্ছেমতো থামিয়ে যাত্রী ওঠানোর কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এতে পেছনের গাড়িগুলো স্বাভাবিক গতিতে চলতে পারছে না।
পরিবহনমালিক ও শিল্পকারখানা সূত্রে জানা গেছে, কিছু কারখানায় এরই মধ্যে ঈদের ছুটি হয়ে গেছে। শনিবার থেকে বেশির ভাগ কারখানায় ছুটি শুরু হবে, ফলে আগামীকাল থেকেই দুই মহাসড়কে যাত্রীদের চাপ কয়েক গুণ বেড়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা এলাকার পোশাক কারখানার শ্রমিক লেবুমিয়া বলেন, আমাদের কারখানার ছুটি হবে আরও একদিন পর। তখন বাসে প্রচণ্ড ভিড় হবে। তাই স্ত্রী ও দুই সন্তানকে আগেভাগে গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দিচ্ছি। এখনই বাস পেতে সমস্যা হচ্ছে। ভাড়াও আগের চেয়ে বেশি নিচ্ছে।
নাওজোর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রইছ উদ্দিন বলেন, যানজট প্রতিরোধে পুলিশের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আজ কিছুটা যাত্রীর চাপ বেড়েছে। আগামীকাল বিকেল থেকে যাত্রীর চাপ আরও বাড়বে। যানজট নিরসনে হাইওয়ে পুলিশ, থানা-পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্বপালন করছেন।