বিএনপি জনগণের স্বার্থে প্রয়োজনে আবারও রাজপথে নামবে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার (২৯ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর ১০০ ফিটের বেরাইদ এলাকার দুস্থদের মধ্যে ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
বিদেশে থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিএনপি টার্গেট করে নানা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচন পিছিয়ে নিতে নানা ষড়যন্ত্র চলছে। দেশে কোনো ষড়যন্ত্র হতে দেওয়া হবে না, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে।
নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে।
তিনি বলেন, কোনোভাবে কোনো চক্রান্ত সফল হতে দেওয়া হবে না। ফ্রান্স, লন্ডন, আমেরিকা থেকে কেউ যদি দেশের মানুষকে উত্তেজিত করার চেষ্টা করেন, তবে তা রুখে দেওয়া হবে। দেশে কোনো অস্থিতিশীল পরিবেশ মেনে নেওয়া হবে না।
‘বিএনপি এখন রাস্তায় নামে না। কিন্তু দল ও দেশের জনগণের স্বার্থে আঘাত এলে বিএনপি আবার মাঠে নামবে,’ বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
ফখরুল বলেন, বিএনপি ভারতের পক্ষেও নয়, পাকিস্তানের পক্ষেও নয়। আমেরিকার পক্ষেও নয়, ইংল্যান্ডের পক্ষেও নয়।
বিএনপি বাংলাদেশের পক্ষে।
তিনি দাবি করেন, ‘বিএনপি সব পরিবর্তন এনেছে, সংস্কার বিএনপি করেছে। একদলীয় শাসনব্যবস্থা বাতিল করে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাও বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছে।’
এ সময় গত ১৭ বছরে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করেন দলটির মহাসচিব।
তিনি বলেন, এত নির্যাতন, এত মামলা, গুম, খুন, সহ্য করেছে বিএনপি। বিএনপি করে এমন মানুষ নির্যাতনের স্বীকার হয়েছে ৯৯ শতাংশ। কিন্তু একদিন হঠাৎ করে হাসিনাকে আল্লাহ গুম করে দিলেন, মানুষ শান্তি পেল। ডাইনির হাত থেকে আল্লাহ দেশের মানুষকে রক্ষা করেছেন। নতুন সুযোগ তৈরি করেছে।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, অতি অল্প সময়ে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করাই বর্তমান সরকারের প্রধান চ্যালেঞ্জ হওয়া উচিত। জনগণ নির্বাচিত সরকার চায়, যেখানে প্রতিনিধিরা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে। কারণ সমস্ত সংগ্রাম হয়েছে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য। তাই নির্বাচনের কথা বলছে বিএনপি।
এমআর-২