চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে পারিবারিক কলহের জেওে পঁাচ সন্তানের জননী মোসাঃ রুলিয়ারা বেগম(৪৪)কে তার স্বামী ও সতীন পিটিয়ে হত্যার পর লাশ আম গাছে ফঁাসিতে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে। হত্যার শিকার হওয়া রুলিয়ারা বেগম শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকষা ইউনিয়নের শ্যামপুর সাহাপড়া নুরেশ মোড় গ্রামের শরিফুল ইসলামের প্রথম স্ত্রী।
পুলিশ ঝুলন্ত অবস্থায় লাশ উদ্ধার করেছে। খুনী স্বামী শরিফুল ইসলাম সতীন খির্সা বেগম(২৮) কে স্থানীয় জনতা আটক করে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ২৮ মার্চ শুক্রবার দিবাগত রাত তিন টার দিকে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন শিবগওসি(তদন্ত) এস এম শাকিল হাসান ।
সরজমিনে গিয়ে এলাকাবাসী ও রুলিয়ারার পারিবার সাথে কথা বলে জানা গেছে, রুলিয়ার স্বামী শরিফুল ইসলাম গতকাল শুত্রবার রাতে ঢাকা হতে বাড়ি এসে ঈদ উপলক্ষে ক্রয়কৃত সামগ্রী তার ছোট স্ত্রী খীর্ষা বেগমের নিকট রেখে মাত্র দুটো আপেল নিয়ে বড় স্ত্রী রুলিয়ারা বেগমের সাথে দেখা করতে গেলে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে কথা কাটাকাটি হয়। এক পযার্য়ে শরিফুল, তার ছোট স্ত্রী খীর্ষা বেগম ও শরিফুলের ভাইসহ কয়েকজন মিলে রুলিয়ারা বেগমকে পিটিয়ে হত্যা করে লাশ বাড়ির পিছনে আম গাছে ফঁাসিতে ঝুলিয়ে দেয় । এর আগে শরিফুল তার মাকে বিভিন্নভাবে নিযার্তন করতো।
রুলিয়ারা বেগমের ছেলে আব্দুর রাহিম জানান, আমি যখন মাকে খুঁজাখুঁজি করছিনু। তখন আমার বাবা বলে বাড়ির পেছনে গিয়ে দেখ। পেতে পারিস। তাতে আমার সন্দেহ হয়েছে। এটা হত্যা। আত্নহত্যা নয়।
শিবগঞ্জ থানার ওসি(তদন্ত) এস এম শাকিল হাসান বলেন, লাশ ঝুলান্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। তার স্বামী শরিফুল ইসলাম ও সতীন খীর্সাকে পুলিশী হেফাজতে নেয়া হয়েছে। রুলিয়ারা বেগমের আত্মীয়রা মামলার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এজাহার পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এনআই