টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ৭ লাখ টাকা চাঁদা না দেয়ায় ৩ জনকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করার পর এবার মামলা তুলে নিতে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে।
শনিবার (২৯ মার্চ) ভুক্তভোগী আবু তালেব মির্জাপুর প্রেসক্লাবে এসে অভিযোগ করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার গোড়াই খামারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ইটভাটা মালিক মোস্তফা মিয়ার কাছে ৭ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে চাঁদাবাজরা। দাবিকৃত চাঁদা না দেয়ায় গত ৫ মার্চ না কেবিএম-৩ ইটভাটার একটি ট্রাক গোড়াই মইননগরের রাস্তায় আটক করে তারা। খবর পেয়ে ভাটা মালিক মোস্তফা মিয়ার ভাই শফি মিয়া, ছেলে আবু তালেব ও ভাতিজা রাসেল সেখানে আসলে চাঁদাবাজরা দা, লাঠি ও চাকু দিয়ে ভাটা মালিকের ভাই শফি মিয়া ছেলে আবু তালেব ও ভাতিজা রাসেলের মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখানে আবু তালেব ও রাসেলের অবস্থার অবনতি হলে তাদের টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে আবু তালেবের অবস্থার অবনতি হলে গুরুতর উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় ইটভাটা মালিক মোস্তফা মিয়া বাদী হয়ে গোড়াই খামারপাড়ার বাসিন্দা আলমগীর হোসেন পাখি, লোকমান হোসেন, হানিফ সাধু, জুবায়ের, তোফাজ্জল, আকরাম, জামান, শিশির ও তারা মিয়াকে আসামী করে মির্জাপুর থানায় একটি মামলা করেন।
এদিকে মামলার পর প্রধান তিন আসামী জুবায়ের, তোফাজ্জল ও আকরাম ছাড়া অন্য আসামিরা জামিনে এসে ভাটা মালিককে মামলা তুলে নিতে ও পুনরায় চাঁদা দাবি করে অনবরত হুমকি দিয়ে চলেছে বলে আহত আবু তালেব জানিয়েছেন। শুধু তাই নয় আসামিদের ভয়ে কেবিএম ইটভাটার ব্যবসা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে। গত ২৭ মার্চ দুপুরে ইটভাটার কয়লা ভর্তি একটি ট্রাক পুনরায় চাঁদা দাবি করে রাস্তায় আটকে দেয়। পরে তারা ৯৯৯ এ ফোন দিলে পুলিশ আসে। পুলিশ দেখে আসামীরা পালিয়ে যায়।
মামলার আসামী আলমগীর হোসেন পাখি বলেন, চাঁদাবাজির কথা অস্বীকার করেন, রাস্তায় ধূলাবালু উড়ে সমস্যার সৃষ্টি করায় ট্রাক আটক করা হয়েছিল। মূলত ইটভাটার অংশিদারিত্ব নিয়ে ভাটা মালিক মোস্তফার সঙ্গে বিরোধ রয়েছে বলে তিনি জানান।
এব্যাপারে মির্জাপুর থানার ওসি মোশারফ হোসেন জানান, মারামারি ঘটনায় দুই পক্ষই থানায় মামলা করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এনআই