রাজধানী ঢাকা থেকে শিডিউল অনুযায়ী ছেড়ে যাচ্ছে একের পর এক ট্রেন। নেই কোনো শিডিউল বিপর্যয়।
রোববার (৩০ মার্চ) সকালে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে একেবারে নির্ধারিত সময় ৯টা ১০ মিনিটে গন্তব্যের উদ্দেশে স্টেশন ছেড়ে গেছে রংপুর এক্সপ্রেস।
শুধু রংপুর এক্সপ্রেস নয়, প্রায় প্রতিটি ট্রেন কমলাপুর স্টেশন থেকে নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে যাচ্ছে৷ স্টেশনেও তেমন ভিড় নেই৷ ট্রেনে উঠতে চিরচারিত সেই হুড়োহুড়ি, ঠেলাঠেলিও নেই। পাশাপাশি ছাদে চড়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভ্রমণের চিত্রও চোখে পড়েনি।
এদিন সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের এক যাত্রী জানান, আমি ৯ বছর ঢাকায় চাকরি করছি। ঈদে সবসময় ট্রেনে যাতায়াত করি। আগে কখনো কমলাপুর স্টেশনে এত সুশৃঙ্খল পরিস্থিতি দেখিনি। পৌনে ৯টায় স্টেশনে এসেছি৷ এসেই প্ল্যাটফর্মে ট্রেন দাঁড়ানো পেয়েছি। ব্যাগ-পত্র নিয়ে উঠে বসলাম। এখন দেখছি ট্রেন ছেড়ে দিচ্ছে। একেবারে জাস্ট টাইম। বাসায় যাওয়ার আগেই খুশিতে মন ভরে গেলো।
রেলওয়ে কর্মকর্তারা বলেন, ঈদযাত্রার সপ্তম দিনে রোববার সকাল থেকে নির্ধারিত সময়ে সব ট্রেন গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। আন্তঃনগর ট্রেনে কোনো শিডিউল বিপর্যয় নেই। এমনকি কমিউটার ও লোকাল ট্রেনগুলোও যথাসময়ে ছেড়ে যাচ্ছে। শুধু কর্ণফুলী কমিউটার ট্রেনটি ১১ মিনিট দেরিতে ছেড়েছে আজ।
স্টেশন মাস্টারের দেওয়া তথ্যমতে, সকাল সাড়ে ৯টায় দেওয়ানগঞ্জ ঈদ স্পেশাল, পৌনে ১০টায় তিতাস কমিউটার, ১০টায় জামালপুর এক্সপ্রেস, সোয়া ১০টায় একতা এক্সপ্রেস এবং সাড়ে ১০টায় কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেন ছেড়ে যাবে। সবগুলো ট্রেন এখন কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে রয়েছে। ফলে দেরি হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই।
সকাল থেকে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনগুলো হলো- ধূমকেতু, পর্যটক, পারাবত, নীলসাগর, সোনার বাংলা, তিস্তা, মহানগর প্রভাতী, মিঠাপুকুর প্রভাতী, সুন্দরবন, মহুয়া, বুড়িমারী, কর্ণফুলী, রংপুর এক্সপ্রেস ও তিতাস কমিউটার।
আজ রোববার সকাল থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত কমলাপুর থেকে মোট ৫১টি ট্রেন সারা দেশের বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে।
এমআর-২