এইমাত্র
  • হামলাকারীরা পদ্মা সেতুতে আগুন লাগাতে গিয়েছিলো: ওবায়দুল কাদের
  • মেহেরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নারী নিহত
  • আহতদের দেখতে পঙ্গু হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রী
  • ‘চরম তাপ মহামারি’ বিশ্বকে ভোগাচ্ছে: জাতিসংঘ মহাসচিব
  • কমলা হ্যারিসকে সমর্থন দিলেন ওবামা
  • মিয়ানমারে বাংলাদেশসহ ছয় দেশের নিরাপত্তা বৈঠক
  • দেশকে ভিক্ষুকের জাতিতে পরিণত করতে এ সহিংসতা: প্রধানমন্ত্রী
  • নারী এশিয়া কাপের ফাইনালে লঙ্কানরা
  • নাহিদসহ ৩ সমন্বয়ক হাসপাতাল থেকে ডিবি হেফাজতে
  • সাঈদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান বেরোবি প্রশাসনের
  • আজ শনিবার, ১২ শ্রাবণ, ১৪৩১ | ২৭ জুলাই, ২০২৪

    শিশুর কান্নায় আদালতে জোড়া লাগল ভাঙা সংসার

    সময়েরকণ্ঠস্বর প্রকাশ: ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১১:১৯ এএম
    সময়েরকণ্ঠস্বর প্রকাশ: ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১১:১৯ এএম

    শিশুর কান্নায় আদালতে জোড়া লাগল ভাঙা সংসার

    সময়েরকণ্ঠস্বর প্রকাশ: ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১১:১৯ এএম

    সময়ের কন্ঠস্বর ডেস্ক: ৮ মাস আগে সামান্য ভুল?বোঝাবুঝির কারণে শিমুল পারভেজ (২২) ও জান্নাত ফেরদৌসের (১৯) সংসার ভেঙে যায়। তালাকও কার্যকর হয়। আর সংসার ভেঙে যাওয়ার কয়েক দিন পর গত ১২ অক্টোবর মেয়েটির মা আদালতে মামলা করেন।

    আদালতে সেই মামলার জামিন শুনানিকালে আদালতের নজরে পড়ে ছয় মাসের শিশুটির বাবা আসামির কাঠগড়ায়। সাক্ষীর কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা মায়ের কোলে শিশুটি কাঁদছে। তখন আগে বিবাহবিচ্ছেদ হওয়া বাদী ও আসামির মামলা আপস করে তাৎক্ষণিকভাবে আদালতেই আবার তাদের বিয়ের আয়োজন করেন। আর এতেই জোড়া লাগে ভেঙে যাওয়া সংসার।

    বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২?এ ঘটনা ঘটে।

    আদালত সূত্রে জানা গেছে, আজ আদালতে ওই মামলার জামিন শুনানি চলছিল। এ সময় বিচারক মাসুদুজ্জামান লক্ষ করেন, সাক্ষীর কাঠগড়ায় দাঁড়ানো মামলার বাদী জান্নাতের কোলে ছয় মাসের ফুটফুটে এক শিশু কাঁদছে। বিয়ের কিছুদিন পর সামান্য ভুল?বোঝাবুঝিতে আসামি শিমুল তার স্ত্রীকে তালাক দিয়েছেন। ইতিমধ্যে তা কার্যকরও হয়েছে। আদালতে জান্নাতের মা?বাবা ও শিমুলের বাবা উপস্থিত ছিলেন।

    শুনানির সময় জান্নাতের চোখে পানি। শিমুলও মাথা নিচু করে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। দুই পক্ষের আইনজীবী পক্ষে-বিপক্ষে তাদের বক্তব্য দিলেও সেটা ছাপিয়ে আদালতের দৃষ্টি পড়েছিল অসহায় শিশুটির দিকে। পরে আদালত জানতে চান, শিশুটির ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে বাদী ও আসামিপক্ষ আপস করতে চায় কি না। একপর্যায়ে আদালত দুই পক্ষকেই কিছু উপদেশমূলক কথা বলেন। এ সময় শিমুল ও জান্নাত দুজনই আপস করতে রাজি হন, কিন্তু তা অবশ্যই আদালতের মধ্যস্থতায়। এ সময় দুই পক্ষের আইনজীবীর অনুরোধে আদালত বিচারকাজ শেষে আদালতে কক্ষের ভেতরেই উভয় পক্ষের আইনজীবী, অভিভাবক ও বার সমিতির সম্পাদকের উপস্থিতিতে কাজী ডাকেন। আদালতের ভেতরেই এক লাখ টাকা দেনমোহর নির্ধারণ করে ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক পুনরায় শিমুল ও জান্নাতের বিয়ে দেওয়া হয়। পরে আদালত সবাইকে মিষ্টিমুখ করান।

    বাদীপক্ষের আইনজীবী রেবেকা সুলতানা গণমাধ্যমকে বলেন, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদুজ্জামান আদালতে যোগদানের পরই তিনি বিভিন্ন মামলায় মানবিক আচরণ, সুন্দর ব্যবহার ও আন্তরিক মধ্যস্থতায় অনেক মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করে যাচ্ছেন। তিনি মানবিক বিচারের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তার আন্তরিক প্রচেষ্টায় আদালত কক্ষে এই ব্যতিক্রমী বিয়ের আয়োজনের মাধ্যমে একটি সংসার জোড়া লাগল।

    ট্যাগ :

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…