এইমাত্র
  • সৌদিতে বাংলাদেশি যুবককে জবাই করে হত্যা
  • লাইসেন্স ফেরত চায় সিটিসেল
  • সাবেক জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক ই ইলাহী গ্রেপ্তার
  • নারীদের বোরকা নিয়ে আদৌ কী 'আপত্তিকর' মন্তব্য করেছেন জামিল আহমেদ?
  • ডিসি নিয়োগ নিয়ে সচিবালয়ে হট্টগোল, বাতিল হতে পারে দুই প্রজ্ঞাপন
  • বিতর্কে জড়ালেন শিল্পকলার নতুন ডিজি
  • শেখ হাসিনা-রেহানাদের পূর্বাচলের প্লট বরাদ্দ বাতিল চেয়ে রিট
  • গাজীপুরে ট্রাকের চাপায় নারী পোশাক শ্রমিক নিহত, সড়ক অবরোধ
  • মণিপুরে ব্যাপক সংঘর্ষ, ইন্টারনেট বন্ধ ঘোষণা
  • ‘২০২৬ বিশ্বকাপে ব্রাজিল ফাইনালে খেলবে’
  • আজ বুধবার, ২৬ ভাদ্র, ১৪৩১ | ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

    শিক্ষাঙ্গন

    "তুমি কে, আমি কে, আদু ভাই আদু ভাই " স্লোগানে বিক্ষোভ
    দীর্ঘ সেশনজটের কারণে বিক্ষোভ করেছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (ইএসই) বিভাগের শিক্ষার্থীরা। ফলাফল প্রকাশের দাবিতে "তুমি কে, আমি কে, আদু ভাই, আদু ভাই" স্লোগানে প্রকম্পিত হয় ক্যাম্পাস।মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) ফলাফল প্রকাশে বিলম্বসহ একাডেমিক কার্যক্রমে ধীরগতির প্রতিবাদে বিজ্ঞান অনুষদ ও প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীরা। ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা জানান, মার্চ মাসে স্নাতকের শেষ পরীক্ষা শেষ হলেও ফলাফল এখনও প্রকাশ হয়নি। এ নিয়ে শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাদের দাবি ছিল দ্রুত ফলাফল প্রকাশ, সেশনজট নিরসন, একাডেমিক ক্যালেন্ডারের বাস্তবায়ন এবং শিক্ষকদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা। শিক্ষার্থীরা ১৫ দফা দাবি উত্থাপন করে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল একদিনের মধ্যে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ফলাফল প্রকাশ, সেশনজট নিরসন এবং শিক্ষকদের দায়িত্বশীলতা নিশ্চিত করা।বিশ্ববিদ্যালয়ের ইএসই বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী ফারিয়া জান্নাত বলেন, "আমরা মাস্টার্সের জন্য এপ্লাই করবো, আমাদের পরীক্ষা শেষ হয়েছে প্রায় ছয় মাস, কিন্তু এখনও ফলাফল পাইনি। এর ফলে আমরা পরবর্তী পরিকল্পনা নিয়ে অনিশ্চয়তায় রয়েছি। সেশনজট আমাদের ক্যারিয়ারে বড় ধরনের প্রভাব ফেলছে। আমরা দ্রুত ফলাফল প্রকাশ ও সেশনজট নিরসনের দাবি জানাই।”পরিস্থিতি সামাল দিতে এ দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক ও প্রশাসনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইমদাদুল হুদা শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করেন। এক ঘণ্টার বৈঠক শেষে তিনি শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দেন। ড. হুদা জানান, "আজকের মধ্যেই ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ফলাফল প্রকাশ করা হবে এবং আগামী রবিবারের (১৫ সেপ্টেম্বর) মধ্যে ট্রান্সক্রিপ্ট ও মাইগ্রেশন সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে।" এছাড়া, একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রণয়ন ও সেশনজট নিরসনে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।পিএম
    কাওয়ালী ঝড়ে কাঁপছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ শিক্ষার্থীদের স্মরণে এবং আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত 'দ্রোহের গান ও কাওয়ালী সন্ধ্যা'র সূরের মূর্ছনায় বিমোহিত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। আজকের এই সন্ধ্যাকে ইবির ইতিহাসের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সন্ধ্যা বলে উল্লেখ করেছেন অনেকে।  মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে ক্যাম্পাসের ডায়না চত্বর ও মেইন গেটের মধ্যবর্তী স্থানে এই কাওয়ালী আসরের আয়োজন করা হয়। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হওয়া কাওয়ালী আসরে কবিতা, কাওয়ালী ও বিদ্রোহী গানের পরিবেশনা উপস্থাপন করছে ক্যাম্পাসের ব্যতিক্রমী সাংস্কৃতিক জোট এবং জাগ্রত মঞ্চের শিল্পীরা।কাওয়ালী সন্ধ্যার এই আসরে কুন ফায়া কুন, নিজামুদ্দিন আউলিয়া, কারার ঐ লৌহ কপাট, মন আমার দেহ ঘড়ি, দামাদাম মাসকালান্দার, আল্লাহু আল্লাহু আল্লাহু, ছেড়ে দে নৌকা আমি যাব মদিনা, স্বাধীনতা তুমি সহ বিভিন্ন জনপ্রিয় গান এবং আমি মানতে পারবো না কবিতা ও 'কাউয়া কাদের' চরিত্রের অভিনয় পরিবেশন করেন শিল্পীরা। প্রশাসনের অনুপস্থিতিতে যেকোন বিশৃঙ্খলা এড়াতে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।কাওয়ালী সন্ধ্যায় উপভোগ করা শিক্ষার্থী সামি আল সাদ বলেন, অনেকদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় ক্যাম্পাস নিষ্প্রাণ হয়ে গিয়েছিলো। কাওয়ালী সন্ধ্যার মাধ্যমে এ নিষ্প্রাণ ক্যাম্পাসে প্রাণের সঞ্চার হয়েছে। উপরন্তু ক্যাম্পাস জীবনের কয়েক বছরে এমন আয়োজন দেখিনি। সবাই যেন মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে অনুষ্ঠান উপভোগ করেছে।আরেক শিক্ষার্থী শাহিন বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই সকল শিক্ষার্থীদের মানসিক অবস্থা ভালো ছিলোনা। এতে অংশ নেওয়া অনেক শিক্ষার্থী আহত এবং নিহত হয়। ক্যাম্পাসেও একাডেমিক কার্যক্রম স্থগিত থাকায় যেন এই মানসিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছিল না। দীর্ঘদিন পর ক্যাম্পাসে এমন আয়োজন সবার মাঝে উদ্দীপনা ফিরিয়ে দিয়েছে।ইবি সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, আমাদের এক রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের ফসল আজকের এই সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা। আমরা এতদিন এক ফ্যাসিবাদী সিস্টেমের মধ্যে ছিলাম। আমরা সংগ্রাম করে ফ্যাসিবাদের হাত থেকে মুক্ত হয়েছি কিন্তু আমাদের যুদ্ধে এখনো শেষ হয়ে যায়নি। আমরা রক্ত দিয়ে যে স্বাধীনতা অর্জন করেছি তা আমাদের টিকিয়ে রাখতে হবে। আগামী দিনে এই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় হবে সকল মতের, সকল ধর্মের এক উর্বর ভূমি। অনুষ্ঠানের আয়োজকরা জানান, এই কাওয়ালী মুসলিম কবিদের হাজার বছরের ইতিহাস বহন করে। বাঙালি মুসলিম কবিরা অজস্র কবিতা ও গান রচনা করেছেন। এই সকল কিছুই আমাদের সমাজের প্রাণ, এই প্রাণকে জাগিয়ে তোলার জন্যেই আজাদী মঞ্চের এই কাওয়ালী সন্ধ্যা। আমাদের মুসলিম কবিদের সৃষ্টিকে আমরা কাওয়ালির মাধ্যামে জাগিয়ে তুলব এবং বারবার আমরা উজ্জীবিত হব।এফএস
    ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসির পদত্যাগ, ‌লাপাত্তা প্রোভিসি-কোষাধ্যক্ষ
    ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে সরকার পতনের পর ১৫ আগস্ট পদত্যাগ করেন ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ আবদুর রশীদ। পরদিন ১৬ আগস্ট থেকে অফিসে আসেন না উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ। সবশেষ ২২ আগস্ট থেকে অনুপস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়টির কোষাধ্যক্ষ এস এম এহসান কবীরও।ভিসির পদত্যাগ, প্রো-ভিসি ও কোষাধ্যক্ষ লাপাত্তা হওয়ায় কার্যত অচল হয়ে পড়েছে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন দেশের প্রায় ১৫০০ মাদরাসা। এসব মাদরাসার বিভিন্ন কার্যক্রমে অনেকে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ঢাকার বসিলায় অবস্থিত ক্যাম্পাসে এসেও ফিরে যাচ্ছেন।এমন পরিস্থিতিতে প্রশাসনিক শূন্যতা নিরসনে পদক্ষেপ নিতে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পক্ষ থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছেন রেজিস্ট্রার ড. মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম। সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) এ চিঠি পাঠানো হয়।চিঠিতে বলা হয়েছে, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পরিচালিত প্রায় ১৫০০ মাদরাসার প্রশাসনিক, অ্যাকাডেমিক ও আর্থিক কাজে স্থবিরতা বিরাজ করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ প্রশাসনিক ও আর্থিক কার্যক্রমও পরিচালনা করা যাচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ অনুপস্থিত। ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যান ও কোনো অধ্যাপকও নেই। ফলে ‘জ্যেষ্ঠ অধ্যাপককে সাময়িকভাবে আর্থিক ও প্রশাসনিক দায়িত্ব’ সংক্রান্ত মন্ত্রণালয়ের দেওয়া নির্দেশনা বাস্তবায়ন সম্ভব হচ্ছে না।এতে আরও বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ২০১৩ ধারা ১১(৩) অনুযায়ী জরুরি প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্বসহ অন্যান্য কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে পরিচালনার জন্য শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পক্ষ থেকে বারবার উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষকে বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিত হতে অনুরোধ করা হলেও তারা আসেননি। মন্ত্রণালয়ের পত্র অনুযায়ী দায়িত্ব গ্রহণের জন্য বলা হলেও তারা দায়িত্ব গ্রহণ করেননি।এ অবস্থায় ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনিক, অ্যাকাডেমিক ও আর্থিক কার্যক্রম এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পরিচালিত মাদরাসা পরিচালনার জন্য উপাচার্য নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে চিঠিতে অনুরোধ করা হয়।রেজিস্ট্রার ড. মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম বলেন, ‘উপাচার্য পদত্যাগ করেছেন। উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ পদত্যাগ না করলেও অফিসে আসেন না। ফলে কোনো কার্যক্রম পরিচালনা করা যাচ্ছে না। প্রতিদিন বহু শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা নানান কাজে ঢাকা এসেও ফিরে যান। এভাবে কতদিন ফেরানো যায়। এজন্য শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।’বিষয়টি নিয়ে জানতে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও কোষাধ্যক্ষ এস এম এহসান কবীরের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি। উপ-উপাচার্যের নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। কোষাধ্যক্ষের নম্বরে কল ঢুকলেও তিনি রিসিভ করেননি।এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. শেখ আব্দুর রশিদ বলেন, ‘এমন পরিস্থিতি বেশ কয়েকটা বিশ্ববিদ্যালয়ের। সেখানে জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকও নেই। যেগুলোতে এমন পরিস্থিতি রয়েছে, সেখানে দ্রুত ভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
    ইডেন-তিতুমীরসহ ২১ সরকারি কলেজে নতুন অধ্যক্ষ
    শিক্ষা প্রশাসনে বড় ধরনের রদবদল এনেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সচিব ও দুই সদস্যসহ প্রভাবশালী সাত কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। পাশাপাশি রাজধানীর ইডেন, তিতুমীর, ঢাকার বাইরের বিএম ও ভিক্টোরিয়াসহ ২১টি বড় সরকারি কলেজে নতুন অধ্যক্ষ দেওয়া হয়েছে। সরিয়ে দেওয়া হয়েছে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষকেও।আজ সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত সরকারি কলেজের শিক্ষকরা বিভিন্ন কলেজে অধ্যক্ষ পদে পদায়ন পেয়েছেন।বরিশাল সরকারি বিএম কলেজের অধ্যক্ষ ড. মো. আমিনুল হককে ওএসডি করা হয়েছে। বিএম কলেজের নতুন অধ্যক্ষ হিসেবে পদায়ন পেয়েছেন একই কলেজের অধ্যাপক ড. শেখ মো. তাজুল ইসলাম। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ ড. আবু জাফর খানকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে বদলি করা হয়েছে। ভিক্টোরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ পদে পদায়ন পেয়েছেন চট্টগ্রাম সরকারি কলেজের অধ্যাপক মো. আবুল বাসার ভূঞা। ঢাকার সরকারি বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ মো. শাহেদুল খবির চৌধুরীকে ফেনী সরকারি কলেজে বদলি করা হয়েছে। আর সরকারি বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে পদায়ন পেয়েছেন বগুড়ার শাহ সুলতান কলেজের উপাধ্যক্ষ কে এম আমিনুল হক।রাজধানীর তিতুমীর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে একই কলেজের অধ্যাপক শিপ্রা রানী মণ্ডল ও উপাধ্যক্ষ পদে খুলনার সরকারি সুন্দরবন আদর্শ কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমানকে পদায়ন করা হয়েছে। ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ পদে দায়িত্ব পেয়েছেন ফরিদপুরের সদরপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ড. কাকলী মুখোপাধ্যায়। আর শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ মো. মোহসিন কবীরকে ওএসডি করা হয়েছে।ইডেন সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন একই কলেজের অধ্যাপক ড. শামছুন নাহার। আর ইডেন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ফেরদৌসী বেগমকে ওএসডি করা হয়েছে।রাজধানীর কবি নজরুল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ পদে ইডেন মহিলা কলেজের অধ্যাপক মো. হাবিবুর রহমানকে পদায়ন করা হয়েছে। কবি নজরুল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আমেনা বেগমকে ওএসডি করা হয়েছে। ঢাকার বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ পদে দায়িত্ব পেয়েছেন টাঙ্গাইল সা’দাত কলেজের অধ্যাপক তামান্না বেগম।ঢাকার সরকারি বাঙলা কলেজের অধ্যক্ষ পদে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ মো. কামরুল হাসানকে পদায়ন করা হয়েছে। সরকারি বাঙলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এস এম আমিরুল ইসলামকে নারায়ণগঞ্জের সরকারি তোলারাম কলেজে বদলি করা হয়েছে। ওএসডি থাকা অধ্যাপক মো. শহীদুজ্জামানকে মানিকগঞ্জের সরকারি দেবেন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ পদে পদায়ন করা হয়েছে। যশোরের সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন সরকারি ব্রজলাল কলেজের অধ্যাপক ড. খন্দকার এহসানুল কবির। আর এমএম কলেজের অধ্যক্ষ মো. মাহবুবুল হক খানকে ওএসডি করা হয়েছে।খুলনার সরকারি আযম খান কমার্স কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ওএসডি থাকা অধ্যাপক ড. মো. শাহিদুর রহমান। আর আযম খান সরকারি কমার্স কলেজের অধ্যক্ষ কার্তিক চন্দ্র মণ্ডলকে মুন্সিগঞ্জের সরকারি হরগঙ্গা কলেজের বদলি করা হয়েছে। খুলনার ব্রজলাল কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে সাতক্ষীরার তালা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ সেখ মো. হুমায়ুন কবীরকে পদায়ন করা হয়েছে। টাঙ্গাইল সরকারি সা’দাত কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন একই কলেজের অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামান মিয়া। আর সা’দাত কলেজের অধ্যক্ষ সুব্রত নন্দীকে টাঙ্গাইলের আশেক মাহমুদ কলেজে বদলি করা হয়েছে।রাজশাহীর শহীদ বুদ্ধিজীবী সরকারি কলেজর অধ্যক্ষ হিসেবে ড. খান মো. মাইনুল হককে পদায়ন করা হয়েছে। রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন শহীদ বুদ্ধিজীবী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. আনারুল হক প্রাং। রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ মোহা. আব্দুল খালেককে রংপুর কারমাইকেল কলেজে বদলি করা হয়েছে।দিনাজপুর কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন একই কলেজের অধ্যাপক আবুল কালাম মো. আল আবদুল্লাহ। আর দিনাজপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. আবু বকর সিদ্দিককে পাবনা এডওয়ার্ড কলেজে বদলি করা হয়েছে। রংপুর কারমাইকেল কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন কুড়িগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মো. মোস্তাফিজুর রহমান। কারমাইকেল কলেজের অধ্যক্ষ চিন্ময় বাড়ৈকে ঝিনাইদহের কেশবচন্দ্র সরকারি কলেজে বদলি করা হয়েছে।রাজেন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ রমা সাহাকে যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজে বদলি করা হয়েছে। আর রাজেন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ পদে দায়িত্ব পেয়েছেন একই কলেজের উপাধ্যক্ষ এস এম আবদুল হালিম। সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে একই কলেজের অধ্যাপক মো. আমিনুল ইসলামকে পদায়ন করা হয়েছে। আর সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ টি এম সোহেলকে সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজে বদলি করা হয়েছে।লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ফেনী সরকারি কলেজের অধ্যাপক মুহাম্মদ মঞ্জুরুর রহমান। আর লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মাহাবুবুল করিমকে কুমিল্লার ভিক্টোরিয়া কলেজে বদলি করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের সরকারি তোলারাম কলেজের অধ্যক্ষ বিমল চন্দ্র দাসকে চাঁদপুর সরকারি কলেজে, মুন্সিগঞ্জের সরকারি হরগঙ্গা কলেজের অধ্যক্ষ সুভাষ চন্দ্র হীরাকে ফরিদপুরের রাজেন্দ্র কলেজে, পাবনা এডওয়ার্ড কলেজের অধ্যক্ষ ড. মাহবুব সরফরাজকে জয়পুরহাট সরকারি কলেজে, মাদারীপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. জামান মিয়াকে ওএসডি, নেত্রকোনা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. নুরুল বাসেতকে গুরুদয়াল কলেজে, তোলারাম কলেজের উপাধ্যক্ষ জীবন কৃষ্ণকে সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজে বদলি করা হয়েছে।এছাড়া এনসিটিবির বিশেষজ্ঞ মো. খোরশেদ আলমকে সরকারি তোলারাম কলেজের উপাধ্যক্ষের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।এসএফ 
    ড. ইকবালসহ দূর্নীতিবাজদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে যবিপ্রবিতে বিক্ষোভ
    যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) এর সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেনকে দূর্নীতিতে সহযোগিতা করার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. ইকবাল কবির জাহিদ, উপাচার্যের সাবেক একান্ত সচিবসহ অন্য সকল দূর্নীতিবাজদের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে বিক্ষোভ করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ৯ই সেপ্টেম্বর (সোমবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে অবস্থান নেন বিক্ষোভকারীরা। সে সময় দূর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন তারা।বিক্ষোভে এইচ এম মারুফ বলেন, স্বৈরাচারী ভিসি'র দূর্নীতিতে সাহায্যকারী, উপাচার্যের ডান হাত নামে পরিচিত ইকবাল কবির জাহিদকে আমরা ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছিলাম। কিন্তু উনি মনে হয় অবাঞ্ছিত ঘোষণার অর্থ জানেন না। উনি (ইকবাল কবির জাহিদ) আবার ক্যাম্পাসে এসে সো ডাউন দিয়ে বেড়াচ্ছেন এবং এখানে কিছু শিক্ষক তাকে সাহায্য করছে। আমরা সেই সকল শিক্ষকদের ও অবাঞ্ছিত ঘোষণা করার হুশিয়ারি দিচ্ছি। এ সময় অবাঞ্ছিত শিক্ষক ড. ইকবাল কবির জাহিদকে পুনরায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে বলেন, আজকের পর থেকে ড. ইকবাল কবির জাহিদ যদি ক্যাম্পাসে আবারো তার স্বাভাবিক কার্যক্রম চালু করতে চায় তাহলে তার সাথে যদি কোন ধরনের অপৃতিকর ঘটনা ঘটে তাহলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা তার কোন দায়ভার নিবেনা। বক্তারা আরো বলেন, দূর্নীতিবাজ ইকবাল কবির জাহিদ বিশ্ববিদ্যালয়ের জিনোম সেন্টারে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি কেনার কথা বলে বিভিন্ন সময় অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন আমরা তাকে জিনোম সেন্টার পদত্যাগ করার জোর দাবি জানাচ্ছি। এছাড়া ভিসির সাবেক একান্ত সচিব আব্দুর রশিদ অর্নব, ইঞ্জিনিয়ার নাজমুস সাকিব, মিজান, হেলালুল ইসলামসহ যে সকল দূর্নীতিবাজদের নামে দুদকের মামলা চলমান তাদেরকে আমরা ক্যাম্পাসে দেখতে চাই না। এবিষয়ে ড. ইকবাল কবির জাহিদ বলেন, আমার বিরুদ্ধে যেসকল দুর্নীতর অভিযোগ আনা হয়েছে তার প্রমান নেই। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেকের বিরুদ্ধেই দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। নির্দিষ্টভাবে দুইজনকেই কেন অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে? কোন একটি নির্দিষ্ট কুচক্রী মহল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।তারপরেও তাদের যদি কোন অভিযোগ থাকে তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন এবং দেশের প্রচলিত আইন আছে তার মাধ্যমে বিচার হবে। উল্লেখ্য, অধ্যাপক ড. ইকবাল কবির জাহিদ ছাত্র আন্দোলনের মুখে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদের ডীন পদ থেকে পদত্যাগ করলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারনী ফোরাম রিজেন্ট বোর্ড এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের জিনোম সেন্টারের সহকারী পরিচালক পদে রয়েছেন।এসএফ 
    বিদেশে দ্বিতীয় দফায় গবি’র ইন্টার্ন চিকিৎসকদের পদার্পণ
    সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্সেস অনুষদের ৮ম ব্যাচের শিক্ষানবিশ চিকিৎসকেরা তাদের জ্ঞানভাণ্ডার সমৃদ্ধ করতে নেপালে পাড়ি জমিয়েছেন।সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) নেপালে পৌঁছানোর বিষয়টি শিক্ষার্থীরা নিশ্চিত করেছেন। গতকাল জানা যায়, নেপালের দ্বিতীয়বারের মতো এ প্রোগ্রামে এগ্রিকালচার এবং ফরেস্টি ইউনিভার্সিটিতে ব্যাচের ২১ জন শিক্ষার্থী। এগ্রিকালচার এবং ফরেস্টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫ দিনব্যাপী এই ইন্টার্নশিপ কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গী হিসেবে রয়েছেন তাদের বিভাগের প্রভাষক ও ইন্টার্ন সমন্বয়ক ডা. সাবরিনা ফেরদৌস।নেপাল থেকে ইন্টার্ন চিকিৎসক নিউটন গাইন বলেন,  "আমরা এখন বিদেশের মাটিতে আমাদের শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। এই সুযোগ করে দেওয়ার জন্য আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন ও প্রশাসনের প্রতি আমরা অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। তাদের দ্রুত সিদ্ধান্ত ও কার্যকর পদক্ষেপের ফলেই আমরা আজ এখানে।"অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. জহিরুল ইসলাম খান জানান, ‘বিদেশে শিক্ষার্থীরা ঐ দেশের ভেটেরিনারি সম্পর্কে জ্ঞান ও সাংস্কৃতিক অনুধাবন করতে পারবে। বিদেশের আধুনিক প্রযুক্তি ও কিভাবে তারা চিকিৎসা দিচ্ছে তা বিষয়ে জানতে পারবে। আশা করি, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের শিক্ষার্থীরা ভেটেরিনারি সেবা দিতে পারবে।’উল্লেখ্য, ইন্টার্ণশীপের বিষয়ে নেপাল ছাড়াও মালয়েশিয়া, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার সাথে কথা হচ্ছে বলে তিনি জানান। ঐসব দেশের শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশে আসবে এবং আমাদের শিক্ষার্থীরা তাদের দেশে যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।এইচএ
    সীমান্তে হত‍্যার প্রতিবাদে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ
    স্বর্ণা দাস হত্যাসহ সকল সীমান্তে হত্যার বিরুদ্ধে কুটনৈতিক ও সামরিক পদক্ষেপের দাবিতে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।সোমবার (০৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরর বিশ্ববিদ্যালয়ের নজরুল ভাস্কর্যের সম্মুখে সাধারণ শিক্ষার্থীরা এই প্রতিবাদ সমাবেশে সমবেত হয়। এসময় ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ কর্তৃক হত্যার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় তারা। এছাড়াও স্বর্ণা দাসের হত্যার সুষ্ঠু বিচার দাবি করা হয়। গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, কিশোরী স্বর্ণা তার মা সঞ্জিতা রানী দাসের সঙ্গে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে থাকা বড় ভাইকে দেখতে ১লা সেপ্টেম্বর রাতে কুলাউড়ার লালারচক সীমান্ত এলাকায় একটি দালালচক্রের মাধ্যমে সীমান্ত পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করে। ত্রিপুরা রাজ্যের ইরানি থানার কালেরকান্দি সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ার কাছে পৌঁছালে বিএসএফ এলোপাতাড়ি গুলি চালালে স্বর্ণা নিহত হয়। এতে তার মা সঞ্জিতা রানীসহ আরও কয়েকজন আহত হন।২ সেপ্টেম্বর রাতে বিষয়টি জানাজানি হলে বিএসএফ ও বিজিবির পতাকা বৈঠকের পরে লাশ বাংলাদেশে হস্তান্তর করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিকভাবে ভারত সরকারের কাছে প্রতিবাদ জানিয়েছে। এদিকে দেশব্যাপী তরুণ সমাজের পাশাপাশি প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।এআই 
    কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত হয়েছে ‘কাওয়ালি সন্ধ্যা'
    কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) জুলাই ও আগস্ট মাসের ছাত্র আন্দোলনে শহিদদের স্মরণে অনুষ্ঠিত হয়েছে কাওয়ালি সন্ধ্যা। এ আয়োজনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের  বৈষম্যবিরোধী সাংস্কৃতিক মঞ্চ। রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে এ ‘কাওয়ালি সন্ধ্যা' আয়োজিত হয়।আয়োজনে আবৃত্তি পরিবেশন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবৃত্তি সংগঠন অনুপ্রাস, কুমিল্লাস্থ শিল্পীবৃন্দের আয়োজনে দ্রোহের গান, কাওয়ালী পরিবেশনায় ছিলো বিশ্ববিদ্যালয়ের কাওয়ালি দল 'সঞ্চারী' এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কাওয়ালি দল আজাদী।কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সাকিব হোসাইন বলেন, ‘গত ৫ আগস্টের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছে। স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সময় ভিন্নমতের মানুষরা মত প্রকাশ করতে পারতো না। সেই ধারবাহিকতায় ঢাবিতে যখন কাওয়ালির আয়োজন করা হয়, তখন তাতে স্বৈরাচারের দোসররা বাধা প্রদান করে। আমাদের আজকের এই আয়োজন মূলত সেই স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। এই আয়োজনে যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের ধন্যবাদ জানাই। পিএম
    নতুন দিগন্তের খোঁজে গণ বিশ্ববিদ্যালয়, সংগঠনগুলোর মধ্যে প্রাণবন্ত মতবিনিময়
    সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে (গবি) বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে একটি আলোচনা সভা হয়েছে। এই সভার মূল আলোচ্য বিষয় ছিল "বদলে যাওয়া পরিস্থিতিতে আমরা কী ধরনের শিক্ষাঙ্গন প্রত্যাশা করি?"। এই মতবিনিময় অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা অংশগ্রহণ করেছিলেন।রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গণ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (গবিসাস) তাদের কার্যালয়ে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। গবিসাসের সহ-সভাপতি ইউনুস রিয়াজের সভাপতিত্বে আয়োজনে সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সানজিদা জান্নাত পিংকি।আমন্ত্রিত অতিথিরা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সংকট এবং সম্ভাব্য সমাধানের বিষয়ে আলোকপাত করেন। ক্যাম্পাসের ইতিবাচক পরিবর্তনে সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। একইসাথে সকল সংগঠনের স্বাধীনভাবে কাজ করার পরিবেশ সৃষ্টির দাবি জানান তারা।সার্বিক বিষয়ে আয়োজকরা জানান, প্রয়াত ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মতাদর্শ এবং সাম্য, মানবিক মর্যাদা এবং সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠাকে সামনে রেখে সংকট-সংস্কার-সম্ভাবনার নিরিখে আমরা ইতিবাচক ক্যাম্পাস গড়তে চাই। সেক্ষেত্রে এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী হিসেবে ক্যাম্পাস সংস্কারের জন্য সবাই হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাওয়াই আমাদের প্র‍য়াস।মতবিনিময় সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠনের মধ্যে ডিবেটিং সোসাইটি, ক্যারিয়ার ডেভোলপমেন্ট ক্লাব, মিউজিক ক্লাব, ব্লাড কালেক্টর’স, স্টুডেন্ট ফোরাম, কালেরকন্ঠ শুভসংঘ, অগ্নিসেতু সাংস্কৃতিক পরিষদ, বাণী অর্চনা সংঘ, পাঠকবন্ধু, আদিবাসী শিক্ষার্থী সহ অন্যান্য ছাত্র প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।এমআর
    সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে চালু হতে পারে ঢাবির ক্লাস
    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষা কার্যক্রম দ্রুত চালু করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ প্রশাসনের সঙ্গে বিভিন্ন অনুষদের ডিন, হল প্রভোস্ট, বিভাগসমূহের চেয়ারম্যান, ইনস্টিটিউটসমূহের পরিচালক এবং অফিস প্রধানদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভা হয়েছে। আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন মিলনায়তনে এ সভা হয়।সভায় সেপ্টেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে ক্লাস শুরুর বিষয়ে প্রাথমিক প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। আগামীতে সিন্ডিকেট সভায় বিষয়টি চূড়ান্ত হবে। এক্ষেত্রে শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ সব অংশীজনের সহযোগিতা কামনা করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান। তিনি সভায় সভাপতিত্ব করেন।বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সভায় আলোচনায় উঠে আসে দ্রুত শিক্ষা কার্যক্রম চালুর লক্ষ্যে এরইমধ্যেই হল পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সম্পন্ন হয়েছে। বিভাগ ও ইনস্টিটিউট পর্যায়েও এ ধরনের মতবিনিময় অব্যাহত রয়েছে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের ফলে এরইমধ্যে বেশ কিছু বিষয় উঠে এসেছে, যা প্রশাসন গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করছে। সভায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয় বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মুনসী শামস উদ্দিন আহম্মদ উপস্থিত ছিলেন।এফএস
    ৩৩ দফা দাবিতে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের লিফলেট বিতরণ
    বৈষম্যমুক্ত ক্যাম্পাস গঠনের লক্ষ্যে ৩৩ দফা দাবি পেশ করেছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে এসব দাবি জমা দেয় এবং প্রেসব্রিফিংয়ের মাধ্যমে বিষয়টি তুলে ধরে শিক্ষার্থীরা। একইসঙ্গে দাবি আদায়ে ক্যাম্পাসে লিফলেট বিতরণ করে তারা।লিফলেটে ৭ দিনের মধ্যে পূরণ করতে হবে এমন শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো:১. দলনিরপেক্ষ উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে দাপ্তরিক চিঠি ইউজিসি সহ প্রয়োজনীয় দপ্তরে পাঠাতে হবে।২. শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দলীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে এবং নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গকারীদের শাস্তি দিতে হবে।৩. শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব প্রদান করতে হবে, যেমন হল প্রভোস্ট ও ক্যাফেটেরিয়া পরিচালক নিয়োগ।৪. বাস শিডিউল এবং রুট শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করে নির্ধারণ করতে হবে।৫. মেধা, আর্থিক অবস্থা এবং দূরত্ব বিবেচনা করে হলের সিট বণ্টন করতে হবে।৬. হলের সিট বণ্টনের জন্য শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময় সভা আয়োজন করতে হবে।৭. শিক্ষকদের ক্লাস শিডিউল অনুযায়ী সময়মত উপস্থিত থাকতে হবে; ব্যত্যয় ঘটলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।৮. কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন নিশ্চিত করতে হবে এবং অফিস শিডিউল মানতে হবে।৯. হলের সিট ভাড়া ৫০ টাকায় নামিয়ে আনতে হবে।১০. হলের ঔষধ সরবরাহের তালিকা প্রতিমাসে প্রকাশ্যে টাঙাতে হবে।১১. ক্যাফে ও হলের খাবারের দাম কমাতে হবে এবং মানসম্মত চালের ভর্তুকি দিতে হবে।১২. প্রত্যেক হলে ২৪ ঘণ্টা চালু রাখার জন্য লিফট স্থাপন করতে হবে।১৩. যাদের আইডি কার্ড দেওয়া হয়নি, তাদের এক সপ্তাহের মধ্যে আইডি কার্ড সরবরাহ করতে হবে।১৪. প্রত্যেক রিডিং রুমে দৈনিক পত্রিকা দিতে হবে এবং পড়ার টেবিলের সংখ্যা বাড়াতে হবে।১৫. ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।১৬. সপ্তাহে ৬ দিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত লাইব্রেরি খোলা রাখতে হবে।+?৩০ দিনের মধ্যে পূরণ করতে হবে এমন দাবিগুলো:১৭. কমপক্ষে তিনজন সাবেক দলনিরপেক্ষ শিক্ষার্থীকে সিন্ডিকেট সদস্য হিসেবে মনোনীত করতে হবে।১৮. সেশনজট কমাতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।১৯. বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সকলের সম্পদের হিসাব প্রকাশ করতে হবে এবং প্রতি অর্থবছরের শুরুতে এটি নিয়মিত প্রকাশ করতে হবে।২০. বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বাধাদানকারী এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রমে যুক্ত শিক্ষার্থীদের শাস্তি দিতে হবে।২১. প্রতি সেমিস্টারে শিক্ষক মূল্যায়ন ফর্ম শিক্ষার্থীদের প্রদান করতে হবে, যা শিক্ষকদের প্রমোশনের ক্ষেত্রে বিবেচনায় নেওয়া হবে।২২. প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে প্রতি সেমিস্টারে শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করতে হবে।২৩. শহীদদের স্মরণে খেলার মাঠ সংস্কার করে টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে হবে।২৪. সার্টিফিকেট তোলার কাজকে ডিজিটাল করতে হবে।২৫. বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাপসকে যুগোপযোগী করতে হবে।৩ মাসের মধ্যে পূরণ করতে হবে এমন দাবিগুলো:২৬. নজরুল ভাস্কর্যের কাজ সম্পন্ন করতে হবে।২৭. ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক নির্মাণের কাজ শেষ করতে হবে।২৮. প্রত্যেক ধর্মের শিক্ষার্থীদের জন্য উপাসনালয় নির্মাণ করতে হবে।২৯. ক্যাম্পাসের রাস্তা মেরামত করতে হবে।৩০. পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নত করতে হবে।৩১. বাসের সংখ্যা বাড়াতে হবে।৩২. চিকিৎসা ব্যবস্থা উন্নত করতে হবে।৩৩. সুস্থ বিশ্ববিদ্যালয় গঠনে জিমনেসিয়াম সুবিধা যুক্ত করতে হবে।এসময় শিক্ষার্থীরা আরও জানায়, আলোচনার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় যৌক্তিক দাবি সংযোজন বা বিয়োজন করা হবে। দাবি প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা একমত পোষণ করে বলেন, নির্দিষ্ঠ সময়ের মধ্যে দাবি না মানা হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবে তারা।এমআর
    গোলের উন্মাদনায় মাতবে গবি ক্যাম্পাস, আন্তঃবিভাগ ফুটবল মহারণ শুরু
    সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে (গবি) আন্তঃবিভাগ ফুটবল প্রতিযোগিতার শুরু হয়েছে। রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্রীড়াঙ্গনে এই টুর্নামেন্টের আনুষ্ঠানিক সূচনা করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন, যিনি আকাশে বেলুন উড়িয়ে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন ঘোষণা করেন।উদ্বোধনী বক্তব্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, 'ক্রীড়া এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম একটি গর্বের জায়গা। খেলার মধ্যে যেন কোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়, সেদিকে সকলের সতর্ক থাকতে হবে। এছাড়া খেলাধুলার কারণে শ্রেণী কার্যক্রম যাতে ব্যাহত না হয়, সেদিকে শিক্ষকদের নজর রাখতে হবে।'এবারের প্রতিযোগিতায় ছেলেদের ১৭ এবং মেয়দের ১৪ টি টিম অংশগ্রহণ করছে। ছেলেদের উদ্বোধনী ম্যাচে সমাজবিজ্ঞান বিভাগ এবং রসায়ন বিভাগকে ৪-১ গোলে পরাজিত করেছে।এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. সিরাজুল ইসলাম, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) আবু মুহাম্মদ মুকাম্মেল সহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান ও শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন। আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত টুর্নামেন্টের পর্দা নামবে।এমআর
    বাকৃবিতে আমের ঘ্রাণ থেকে মিষ্টতা সনাক্তে 'ই-নোজ' প্রযুক্তির উদ্ভাবন
    অধ্বংসাত্মক পদ্ধ‌তি‌তে আমের মিষ্টতা ও কঠিনতা নির্ণয়ের ই‌লেকট্রনিক নোজ (ই-নোজ) প্রযু‌ক্তির উদ্ভাবন  ক‌রে‌ছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) একদল গবেষক।দেশে প্রথমবারের মতো ‘ই-নোজ’ এবং ‘এমকিউ সেন্সর’ ব্যবহার করে ওই সফলতা পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন প্রধান গবেষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি শক্তি ও যন্ত্র বিভাগের অধ্যাপক ড. আনিসুর রহমান। উদ্ভাবিত যন্ত্রটি ব্যবহার করে কোনো প্রকার স্পর্শ ছাড়াই নির্ণয় করা যাবে আমের মিষ্টতা এবং কঠিনতা। তাছাড়া অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও মিষ্টতার পার্থক্যের ভিত্তিতে আম বাজারজাত করা যাবে।ড. আনিসুর রহমান বলেন, ‘এমকিউ-ভিত্তিক ইলেকট্রনিক নোজ (ই-নোজ) ব্যবহার করে আমের গুণমানের পূর্বাভাস’ প্রকল্পের আওতায় গত বছরের জুলাই থেকে গবেষণার কাজ শুরু হয়। এক বছর মেয়াদি এই প্রকল্প বাস্তবায়নে ৫ লক্ষ টাকা অর্থায়ন করেছে দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যে এই প্রকল্পের একটি গবেষণাপত্র 'কিউ ওয়ান' জার্নাল (জার্নাল তালিকায় শীর্ষ ২৫ শতাংশ) ‘স্মার্ট এগ্রিকালচারাল টেকনোলজি’ এ প্রকাশিত হয়েছে।বর্তমানে কৃষক ও ভোক্তা সবাই আম হাতে চেপে বা চোখের আন্দাজে জাত অনুযায়ী মিষ্টতা এবং কঠিনতা অনুমান করেন। একাধিকবার এমন চাপ প্রয়োগে আমের গুণাগুণ খুব দ্রুতই নষ্ট হয়। এ সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে ও কোনো রকম স্পর্শ ব্যতীত আমের মিষ্টতা ও কঠিনতা নির্ণয়ের জন্য গবেষণার কাজ শুরু হয়।তিনি আরো বলেন, ই-নোজ বা ইলেকট্রনিক নোজ মূলত আম থেকে বের হওয়া ঘ্রাণ বা গ্যাসের মধ্যে অবস্থিত মিষ্টতা নির্ধারক পদার্থের পরিমাণ সেন্সরের মাধ্যমে নির্ণয় করতে পারে। একটি আম ই-নোজের চেম্বারে রেখে দিলে কিছুক্ষণের মধ্যেই তা কতটুকু মিষ্টি বা শক্ত তা নির্ধারণ করে দিবে। খুবই কম খরচে ই-নোজ ব্যবহার করে আমের মিষ্টতা নির্ণয় করা যাবে। গাছ থেকে আম সংগ্রহের পর ঠিক কতদিনের মধ্যে পেকে যেতে পারে তাও অনুমান করা যাবে। তাছাড়া একটি আম কত দ্রুত নরম হয়ে যাচ্ছে বা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে কিনা তা আগে থেকেই বুঝা যাবে।গবেষণা কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত স্নাতকোত্তর অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী কাজী সাকিবুর রহমান বলেন, উন্নত দেশগুলোতে মানুষের স্বাভাবিক সুস্থতা বজায় রাখতে খাদ্যের পুষ্টি উপাদানসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদানের মাত্রা পরীক্ষা করে বাজারে প্রদর্শন করা হয়। সে হিসেবে ডায়াবেটিকস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগসহ অন্যান্য রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি নিজের প্রয়োজনীয় মাত্রার উপাদান সমৃদ্ধ খাবার ক্রয় করতে পারেন। ই-নোজ ব্যবহারের মাধ্যমে আমাদের দেশেও এখন মিষ্টতা অনুযায়ী আমসহ অন্যান্য ফলের শ্রেণিবিভাগ করা যাবে। এতে ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরাও ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী মিষ্টতার ভিত্তিতে ফল খেতে পারবেন।স্নাতকোত্তর অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী এম মিরাজুস সালেহিন বলেন, এই যন্ত্রটিতে দুটি চেম্বার, একটি আর্ডিউনো উনো, একটি রাস্পবেরি পাই ৪, স্বল্পমূল্যের এমকিউ সেন্সর, ১২ ভোল্টের ব্যাটারি এবং একটি ব্লোয়ার ফ্যান ব্যবহার করা হয়েছে। মিষ্টতা নির্ণয় করতে একটি চেম্বারে আম স্থাপন করে কিছুক্ষণের জন্য রেখে দেওয়া হয়। আম থেকে ঘ্রাণ সংবলিত গ্যাস বের হয়ে একটি পাইপের মাধ্যমে অন্য চেম্বারে যায়। সেখানে যুক্ত থাকা সেন্সরের কাজ সমাপ্ত হলে একটি ব্লোয়ার ফ্যানের মাধ্যমে সে গ্যাস বাইরে বের করে দেওয়া হয়। সেন্সরের সংগ্রহ করা তথ্য বিশ্লেষণের জন্য পাইথন প্রোগ্রাম ব্যবহার করা হয়েছে।গবেষণাটি মাঠ পর্যায়ে খামারিদের কাছে পৌঁছে দিতে পারলে আমের বাজার ও ভোক্তারা অনেক উপকৃত হবেন বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।উ‌ল্লেখ্য, গ্রীষ্মকালীন সু‌মিষ্ট ফল আম উৎপাদনে  বি‌শ্বে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম। স্বাদে, গন্ধে, মিষ্টতায় ও পুষ্টিতে অতুলনীয় ফলের রাজা আম। বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকের সূত্রমতে এদেশে প্রতিবছর দেশে প্রায় এক মিলিয়ন টন আম উৎপাদিত হয়। স‌ঠিক পদ্ধ‌তি‌তে মি‌ষ্টতার ভি‌ত্তি‌তে বাজারজা‌তের অভা‌বে ক্রেতা হারা‌তে হয়। বর্তমান আমা‌দের দে‌শে আমের স্বাদ গ্রহণ না করে মিষ্টতা নির্ণয় করা অনুমান ব্যতীত অসম্ভব।
    ঢাকা কলেজে ছাত্রলীগ সন্দেহে শিক্ষার্থীকে মারধর
    ঢাকা কলেজে ছাত্রলীগ সন্দেহে এক শিক্ষার্থীকে মারধর করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সাধারণ শিক্ষার্থীদের অভিযোগ আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার সময় তার ডিপার্টমেন্টের বিভিন্ন শিক্ষার্থীকে গেস্ট রুমে মারধর, আন্দোলনের সময় নানা ধরনের হুমকি ধামকি, অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের কূটসা রটনাসহ নানা ধরনের নির্যাতন করেছে। রবিবার (৮ আগস্ট) ঢাকা কলেজের মূল ফটকের সামনে মারধরের এই ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, মারধরের স্বীকার ছাত্র শাহীন ঢাকা কলেজের ২১-২২ সেশনের মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী। সে ঢাকা কলেজ আক্তারুজ্জামান ইলিয়াস হলের আবাসিক ছাত্র এবং ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ছিল। ছাত্রলীগের পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন সময়ে সিনিয়র জুনিয়র শিক্ষার্থীকে নির্যাতন করেছে বলে অভিযোগ করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সাধারণ শিক্ষার্থীরা আরও অভিযোগ করে, এই ঘটনার পরও অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে হলে সিট দিয়েছে। আমাদের দাবি ছাত্রলীগের এই নিপীড়ক শিক্ষার্থীর হলের সিট বাতিল করতে হবে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের তোপের  মুখে শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে বিষয়টা সমাধান  করে দেয় শিক্ষকরা।  অভিযুক্ত শিক্ষার্থী শাহিন বলেন, আমি সিনিয়রদের গায়ে হাত তুলেছিলাম বড় ভাইদের নির্দেশে। আমি আমার ফল পেয়ে গেছি। আমি যেই ভাইকে নির্যাতন করেছিলাম তার কাছে হাত ধরে ক্ষমা চেয়েছি। আমি ভাইয়ের কাছে আবারও ক্ষমা চাচ্ছি।  আমি জীবনে এই ধরনের কাজ আর করব না। এই বিষয়ে ঢাকা কলেজ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি গিয়ে দেখি মনোবিজ্ঞান বিভাগের নিয়ে আসছে। অপরাধ করলে শাস্তি অবশ্যই পাবে। কিন্তু নিজের হাতে যদি সবাই আইন তুলে নেয় তাহলে এটা ভালো হয় না।   সবাই যদি আইন তুলে নেয় তাহলে অরাজকতার সৃষ্টি হবে। কারো বিরুদ্ধে ডিপার্টমেন্টের শিক্ষকদের কাছে জানানোর আহ্বান জানান। তাহলে বিভাগীয়ভাবে তদন্ত করে সেটার ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।  
    দুশ্চিন্তায় কৃষি গুচ্ছের ৭০ হাজার পরীক্ষার্থী
    সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দেশের ইতিহাসে নতুন যুগের সূচনা হলেও এখনও দেশের সকল ক্ষেত্রে স্বাভাবিক কার্যক্রম দৃশ্যমান হয়ে উঠেনি। এরই প্রেক্ষিতে কৃষি গুচ্ছের পিছিয়ে যাওয়া ভর্তি পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখ ও পরবর্তী সময়সূচি নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে পরীক্ষার জন্য আবেদনকৃত প্রায় ৭০ হাজার শিক্ষার্থী।মূলত গত ২০ জুলাই একযোগে সারাদেশে কৃষি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় কৃষি গুচ্ছের ৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা আটকে যায়। পরবর্তীতে সরকার পতন এবং বিভিন্ন দায়িত্বের পরিবর্তনের কারণে এ পরীক্ষার রূপরেখা নির্ধারণ এখনো সম্ভব হয়ে উঠেনি।যদিও দেশের অধিকাংশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা অনেক আগেই সম্পন্ন হয়েছে। এমনকি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রন শুরুর ঘটনাও ঘটেছে।সেক্ষেত্রে কৃষি গুচ্ছের পরীক্ষার্থীরা এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি সম্ভাব্য ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ কবে আসবে যা পরীক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের জন্য দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাড়িয়েছে।এবিষয়ে এক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন,ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহীসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা শেষ হয়েছে অনেক আগে। বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠদানও শুরু হয়ে গেছে। কিন্তু কৃষি গুচ্ছের পরীক্ষা এখনো শুরু হয়নি। পরীক্ষা কখন হবে সেটিও জানানো হচ্ছে না। আমরাও কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না।এগুলো আমাদের জন্য প্রতিনিয়ত দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপের কারণ হয়ে দাড়াচ্ছে।এবিষয়ে আরও উল্লেখ করে বলেন, শিক্ষার্থীদের সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে দ্রুত সরকার এবিষয়ে পদক্ষেপ নিলে বিষয়টির একটি কার্যকর সমাধান হবে। দ্রুত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করে কার্যকর সমাধান আসবে বলে আমরা প্রত্যাশা করতেছি।মূলত কৃষি গুচ্ছের মধ্যে রয়েছে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।এবার গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের দায়িত্বে আছে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি মেডিসিন এন্ড অ্যানিম্যাল সাইন্স বিশ্ববিদ্যালয়।এ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও কৃষি গুচ্ছের কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. এএসএম লুৎফুল আহসান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই আমরা ভর্তি পরীক্ষার নতুন তারিখ ঘোষণা করবো। অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের উদ্বিগ্ন না হওয়ার অনুরোধ করছি। আমরা দ্রুত পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু করবো।উল্লেখ্য, প্রায় ৭০ হাজার পরীক্ষার্থী ৮টি কেন্দ্রে পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎ দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও বন্যা পরিস্থিতির কারণে কৃষিতে গুচ্ছের এ পরীক্ষা আটকে আছে। এইচএ

    Loading…