এইমাত্র
  • অটোচালকদের রেললাইন অবরোধে ঢাকার সঙ্গে রেল যোগাযোগ বন্ধ
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত
  • সিরিয়ার ঐতিহ্যবাহী শহরে ইসরায়েলি হামলা, নিহত ৩৬
  • আজ ঢাকা কলেজ-সিটি কলেজের ক্লাস বন্ধ
  • রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
  • রাজধানীতে আজ ১২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়
  • ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই: প্রধান উপদেষ্টা
  • বিচারের শুদ্ধতায় ট্রাইব্যুনালে আপিলের বিধান রাখা হয়েছে : আইন উপদেষ্টা
  • সশস্ত্র বাহিনী দিবসে শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা
  • ইজিবাইক-মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে শিক্ষার্থীসহ নিহত ২
  • আজ বৃহস্পতিবার, ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২১ নভেম্বর, ২০২৪

    শিক্ষাঙ্গন

    আ.লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাবিতে কফিন মিছিল
    আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ ফ্যাসিবাদী শক্তি ও তাদের রাজনৈতিক তৎপরতা নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে কফিন মিছিল করেছে ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতা’। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) থেকে ‘ফ্যাসিবাদের কফিন মিছিল’ ব্যানারে মিছিলটি কলাভবন প্রদক্ষিণ করে মধুর ক্যান্টিনের সামনে এসে শেষ হয়। মিছিলের আগে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।সমাবেশে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও নাহিদ ইসলামকে উদ্দেশ্য করে ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, আপনারা গণঅভ্যুত্থানের চেতনা ধারণ করে কাজ করুন। আপনাদের ওপর কি কেউ বন্দুক ধরে রেখেছে, এমন প্রশ্ন ছুড়ে তিনি বলেন, আপনারা ভয় পাবেন না, নির্ভয়ে কাজ করুন। আমরা আপনাদের ব্যর্থ হতে দেব না।ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, আন্দোলনের সময় হত্যায় জড়িতদের এখনো গ্রেফতার করা হয়নি। তিনি শহিদদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশের দাবি জানিয়ে বলেন, আহতদের চিকিৎসা সেবা যথাযথভাবে দেওয়া হচ্ছে না। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে আপনারা কি পদক্ষেপ নিয়েছেন তা আমাদের জানান।বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, প্রধান উপদেষ্টা যদি মনে করেন আওয়ামী লীগকে এদেশের জনগণ চায়, তাহলে তাদের (আওয়ামী লীগের) ব্যাপারে গণভোটের আয়োজন করুন। একই সঙ্গে যারা তাদের (আওয়ামী লীগকে) চায় তাদেরকেও আগামী নির্বাচনে সাধারণ মানুষ চায় কিনা এমন প্রশ্ন রাখেন তিনি। এ সময় বিন ইয়ামিন মোল্লা কয়েকটি দাবি উত্থাপন করে বলেন, আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও তাদের দোসররা আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। তারা স্বতন্ত্রভাবেও নির্বাচন করতে পারবে না। গণহত্যাকারী কর্মকর্তাদের ডিভিশন বাতিল করতে হবে ও আওয়ামী লীগকে নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য পরিষ্কার করতে হবে। আরেক সংগঠক জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, আমরা নতুন বাংলাদেশের ১০০ দিন পার করছি। আমরা দেখছি, ফ্যাসিবাদীরা উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে, মন্ত্রণালয়ে তারা ঘুরাফেরা করছে। উপদেষ্টা পরিষদেও তাদের অংশগ্রহণ দেখছি। আমরা তাদের প্রতিহত করব।এসএফ 
    ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজ বন্ধ ঘোষণা
    রাজধানীর ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের সব ক্লাস আগামীকাল বৃহস্পতিবার বন্ধ থাকবে। অনিবার্য কারণবসত এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।বুধবার ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াস ও সিটি কলেজে অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) স্বাক্ষরিত আলাদা দুটি বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।ঢাকা কলেজ তাদের বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বৃহস্পতিবার সব ক্লাস বন্ধ থাকবে। তবে অফিস ও বিভাগসমূহ খোলা থাকবে এবং নির্ধারিত পরীক্ষাসমূহ অনুষ্ঠিত হবে।অন্যদিকে সিটি কলেজের বিজ্ঞপ্তিতে অনিবার্য কারণবসত বৃহস্পতিবার সব ক্লাস বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে।এর আগে বুধবার দুপুর থেকে সায়েন্সল্যাব মোড়ে ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ বাঁধে। তিন ঘণ্টা ধরে চলে এই সংঘর্ষ। এতে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বেশকিছু শিক্ষার্থী আহত হন। আহতরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ আশপাশের বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নিয়েছেন।এসএফ 
    যবিপ্রবিতে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী সমিতির সকল কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা
    ক্যাম্পাসে হৃদ্যতাপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী সমিতির সকল কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।বুধবার (২০ নভেম্বর) রেজিস্ট্রার (চলতি দায়িত্ব) মোঃ এমদাদুল হক স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। অফিস আদেশে বলা হয়, শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রমকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া, পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়ন ও ক্যাম্পাসে হৃদ্যতাপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার জন্যে আগামী ২০ নভেম্বর ২০২৪ তারিখ হতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত শিক্ষক,কর্মকর্তা ও কর্মচারী সমিতির সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখার জন্য অনুরোধ করা হলো।এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. ইঞ্জি. মোঃ আমজাদ হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার্থে সহকর্মীদের মধ্যে যাতে হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক বজায় থাকে এবং শিক্ষা-গবেষণা কার্যক্রমকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয় সেজন্য শিক্ষক,কর্মকর্তা ও কর্মচারী সমিতির কার্যক্রম বন্ধ রাখা।এমআর
    ইস্পাহানি-প্রথম আলো ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৪
    গেল বছর ইস্পাহানি-প্রথম আলো আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয় (গবি) এবারও শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নামছে। আগামী ৩০ নভেম্বরের ম্যাচে অংশগ্রহণ করবে বিশ্ববিদ্যালয়টি। গত ১৭ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া ইস্পাহানি-প্রথম আলো আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় আসরে দেশের ৪২টি বিশ্ববিদ্যালয় অংশ নিচ্ছে। প্রতিযোগিতায় দেশের চারটি অঞ্চল (ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও খুলনা) থেকে আটটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে দলগুলো নকআউট পদ্ধতিতে খেলবে। গবি ঢাকা অঞ্চলের 'গ্রুপ-এফ'-এ খেলছে, যেখানে রয়েছে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি, অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অফ ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি। প্রসঙ্গত, আগামী ৩০ নভেম্বর দুপুর ২:৩০ টায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মাঠে টুর্নামেন্টের ১৮ তম ম্যাচের (জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বনাম বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অফ ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি) বিজয়ী দলের মুখোমুখি হয়ে প্রথম ম্যাচ খেলবে গবি। প্রতিটি গ্রুপের সেরা দল নিয়ে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে চূড়ান্ত পর্বের খেলা।এমআর
    যবিপ্রবিতে ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফায়ার অ্যান্ড সেফটি’ শীর্ষক ওয়ার্কশপ
    দেশের ভারী ও হালকা শিল্প কল-কারখানায় অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা নিয়ে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফায়ার অ্যান্ড সেফটি’ শীর্ষক ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে যবিপ্রবির কেন্দ্রীয় গ্যালারিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের শিক্ষার্থীবৃন্দ এ ওয়ার্কশপের আয়োজন করে।ওয়ার্কশপে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ। তিনি বলেন, ‘যখন কোনো ভারী শিল্প কল-কারখানায় কাজ করা হয়, তখন সেফটি ফার্স্ট। যদি এই সেফটির ট্রেনিং না থাকে, তাহলে আমাদের দক্ষতার ঘাটতি থেকে যাবে। আমি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদকে বলবো, যখন শিক্ষার্থীরা প্রথম বর্ষে ভর্তি হবে, তখন যেন তাদের ফায়ার সেফটি সংক্রান্ত একটি ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়। এ জন্য যশোরের ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সকে সহযোগিতার জন্য অনুরোধ করেন।  ওয়ার্কশপে অগ্নি নির্বাপন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ বক্তারা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ভবিষ্যতে যখন শিক্ষার্থীরা ভারী ও হালকা শিল্প কল-কারখানায় কর্মজীবনে প্রবেশ করবেন, তখন অগ্নি নির্বাপন শিক্ষা তাদের জন্য একটি অতিরিক্ত যোগ্যতা হিসেবে কাজ করবে। এ জন্য এ ধরনের ওয়ার্কশপ তাদের পেশাগত জীবনে খুবই অপরিহার্য।ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মীর মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে ওয়ার্কশপে আরও বক্তব্য দেন যবিপ্রবির প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এইচ. এম. জাকির হোসেন, আইকিউএসি-এর পরিচালক অধ্যাপক ড. বিপ্লব কুমার বিশ্বাস, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘হ্যাজার্ড অ্যান্ড রিস্ক অ্যানালিস্ট’ বিশেষজ্ঞ ড. মো. ইয়াসির আরাফাত খান, কেমিকৌশল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. রাজেশ কুমার চন্দ, পরিকল্পনা উন্নয়ন ও পূর্ত দপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মো. আব্দুর রউফ, প্রকৌশল দপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) মো. মিজানুর রহমান, যশোর ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. নাহিদ মামুন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে যবিপ্রবির প্রক্টর ড. মো. আমজাদ হোসেনসহ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদভুক্ত বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ওয়ার্কশপ পরিচালনা করেন কেমিকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী সাদিকা সাহানী উর্মি ও মো. সিয়ামুল ইসলাম। বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে যশোরের ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থাপনা শেখানো হয়।পিএম
    সমন্বয়ক ট্যাগ দিয়ে ববি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের হেনস্তার অভিযোগ
    "জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস" ট্রেনের টিটিই মোশাররফ আলি কর্তৃক ববি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের হেনস্তা ও সমন্বয়ক ট্যাগ দিয়ে সংবাদ করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন শিক্ষার্থীরা।আজ বুধবার (২০ নভেম্বর) বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) গ্রাউন্ড ফ্লোরে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা সংবাদ সম্মেলন করে হেনস্তাকারী টিটিই মোশাররফ আলিকে চাকরি থেকে অব্যাহতি ও যথাযথ বিচারের দাবি তোলেন।শিক্ষার্থীদের পক্ষে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের মোসাহিদ আনসারি বলেন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহকারী অধ্যাপক জনাব মো. ইমরান হোসেন এবং বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের শিক্ষাসফর কালে সিলেটের কুলাউড়া স্টেশনে "জয়ন্তিকা এক্সপ্রেসের"  টিটিই কর্তৃক হয়রানির ঘটনাকে বিকৃত করে কতিপয় গণমাধ্যম আমাদেরকে সমন্বয়ক ট্যাগ দিয়ে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও মানহানিকরভাবে সংবাদ প্রকাশ করে। যা আমাদের শিক্ষক, সহকারী অধ্যাপক মো. ইমরান হোসেন ও তার সাথে উপস্থিত ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ১৬ জন শিক্ষার্থীকে ব্যক্তিগত ও সামাজিক দিক দিয়ে চরমভাবে হেয় প্রতিপন্ন করেছে। প্রকৃতপক্ষে, আমরা কখনোই নিজেদের সমন্বয়ক দাবি করিনি,বরং আমরা নিজেদের বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও স্যার শিক্ষক পরিচয় দিয়েছেন।উক্ত ঘটনাসমূহের প্রতিবাদে আজকে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সংবাদ সম্মেলনের আহ্বান করেছি। আপনাদের সামনে আমরা প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরছি এবং আমাদের দাবিগুলো জানাচ্ছি। গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ৩য় বর্ষের ২য় সেমিস্টারে "ফটো জার্নালিজম " কোর্সের অংশ হিসেবে ছবি তোলার কলাকৌশল শেখানোর জন্য প্রতিবছর স্টাডি ট্যুরে যাওয়া হয়। তারই ধারাবাহিকতায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অবগত করে , গত ১৪ নভেম্বর কোর্সটির পাঠ দানকারী শিক্ষক জনাব ইমরান হোসেনসহ ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের  ১৬জন শিক্ষার্থী সিলেটে যায়। ১৬ নভেম্বর সিলেট থেকে শ্রীমঙ্গলে বাসে যাওয়ার প্রস্তুতি ছিল। কিন্তু আমাদের মাঝে অনেকের ট্রেন ভ্রমণের অভিজ্ঞতা ছিল না। তাই শিক্ষার্থীরা ১৫ নভেম্বর রাতে স্যারের কাছে সিলেট থেকে শ্রীমঙ্গলে ট্রেনে যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করি। ট্রেনের টিকিট না পাওয়ায়, স্যার শুরুতে অসম্মতি জানান। পরে শিক্ষার্থীদের জোরালো অনুরোধে স্যার স্টান্ডিং  টিকিট নিয়ে ট্রেনে যেতে সম্মতি জানান।  ১৬ নভেম্বর স্টেশনে গিয়ে মাত্র ৫টি স্টান্ডিং টিকেট পাওয়ায় "জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস " ট্রেনের এক টিটিইকে  সমস্যার কথা জানালে তিনি ট্রেনটির 'জ' বগিতে গিয়ে বসার পরামর্শ দেন এবং স্বাভাবিক ভাড়া দিয়েই যেতে পারবো বলে আস্বস্ত করেন। (উল্লেখ্য যে,সিলেট থেকে শ্রীমঙ্গল যেতে মাত্র ২ঘণ্টা সময় লাগে)ট্রেনে উঠার কিছুক্ষণ পর ট্রেনের অন্য বগির দায়িত্বপ্রাপ্ত এক টিটিই নিয়ম বহির্ভূতভাবে ১০০ টাকা করে মোট ১৭০০ টাকা দাবি করেন। নিয়ম বহির্ভূতভাবে তাকে তাৎক্ষণিকভাবে টাকা দিতে রাজি হননি স্যার। পরে টিকেট পরীক্ষক( টিটিই) মোশারফ আলী টিকেট চেক করতে আসেন। স্যার তখন পরিচয় দিয়ে সমস্যার কথা বলেন এবং নিয়মিত ভাড়া ১১০টাকা রাখার অনুরোধ জানান । কিন্তু নিয়ম বহির্ভূতভাবে এর আগে টাকা না দেয়ায় তিনি ক্ষিপ্ত হন এবং বলেন, "আপনারা টিকিট কাটেননি, আপনাদের কাছে আমার  লোক ১০০ টাকা করে চেয়েছে, সেটাও দেননি। এখন আপনাদের সবাইকে টিকেট ভাড়াসহ জরিমানা দিতে হবে।" স্যার বলেন,আমরা টিকিট ছাড়া তাকে অবৈধভাবে কেন টাকা দেব? তখন টিটিই অনুমতি ছাড়া তার আইফোন  বের করে ভিডিও ধারণ করতে শুরু করেন এবং বলতে থাকেন এই যে দেখতে পাচ্ছেন এরা ট্রেনে টিকেট ছাড়া উঠেছে, জরিমানাও দিচ্ছে না। স্যার তখন নিজের পরিচয়পত্র দেন এবং তাকে অনুমতি ছাড়া এভাবে হয়রানিমূলকভাবে ভিডিও ধারণ না করার অনুরোধ জানান।কিন্তু টিটিই মোশাররফ আলী স্যারের কার্ড  নিচে ছুড়ে ফেলে দেন এবং রাগান্বিত হন। টিটিইর তার নির্ধারিত পোশাক পরিধান না করায় স্যার তার পরিচয় জানতে চান কিন্তু তিনি তার পরিচয়পত্র না দিয়ে উগ্র আচরণ করতে শুরু করেন। স্যারের সাথে এই ঘটনা দেখে আমরা সামনে এগিয়ে যাই এবং টিটিইকে শিক্ষকের সাথে অসাদাচরণ না করার অনুরোধ জানায়। কিন্তু তিনি আমাদের অনুরোধ  না, রেখে আমাদের সাথেও উল্টো -পাল্টা কথা বলতে শুরু করেন ও আমাদের বিভিন্ন হুমকি দেন।এই ঘটনা দেখে টিটিই মোশাররফ আলির সাথে থাকা রেলওয়ে পুলিশ ও ট্রেনে কর্মরত অন্যান্য কর্মকর্তারা টিটিইকে (মোশাররফ) টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যান এবং তার পক্ষ থেকে স্যার ও আমাদের সকলের কাছে ক্ষমা চান।এর আগে আমাদের অবস্থানরত "জ" বগিতে সিলেট থেকে কুলাউড়াগামী এক যাত্রীর সাথে তর্ক করে ৬০টাকার ভাড়া ১২০ টাকা নিয়েছেন টিটিই মোশাররফ আলি, যদিও আইন অনুযায়ী তিনি জরিমানাসহ সর্বোচ্চ ৯০ টাকা আদায় করতে পারেন।সেই ঘটনার তথ্যপ্রমাণ আমাদের কাছে রয়েছে।  টিটিই এর বাড়ি কুলাউড়াতে হওয়ায় কিছুক্ষণ পর কুলাউড়া স্টেশনে ট্রেন থামলে টিটিই স্থানীয় কিছু লোকজন, সাংবাদিক এবং কুলাউড়া স্টেশন মাস্টারকে নিয়ে হাজির হয়। তারা ট্রেন আটকে রাখেন এবং টিটিই মোশাররফ আলির ইন্ধনে ট্রেনে কিছু স্থানীয় লোকজন আমাদের সাথে চরমভাবে অসদাচরণ করে এবং বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়। পরিস্থিতি বুঝতে পেরে স্যার আমাদেরকে ট্রেনে থাকার পরামর্শ দেন এবং নিজে ট্রেন থেকে নেমে স্টেশন মাস্টারসহ উপস্থিত সকলকে বিষয়টি বুঝিয়ে বলেন।স্টেশন মাস্টারসহ উপস্থিত সকলে বিষয়টি বুঝতে পেরে টিটিই মোশাররফ আলির  হয়ে দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চান। তখন আমাদের সকলের ভাড়া দিতে চাইলে স্টেশন মাস্টার স্যারকে ৮ জনের ভাড়া দেওয়ার অনুরোধ করেন।তিনি আরও বলেন, শ্রীমঙ্গল পৌঁছে ট্রেন থেকে নামলে স্টেশন মাস্টার  পুনরায় টিটিই’র ভুল স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করেন। আমাদের কোন শক্ত পদক্ষেপ না নিতে অনুরোধ করেন স্টেশন মাস্টার।স্টেশন মাস্টারসহ অন্যান্যরা দুঃখপ্রকাশ করায় স্যার ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখে বিষয়টি সেখানেই সমাধান করেন। উপরে উল্লিখিত ঘটনাটি  গুটিকয়েক  গণমাধ্যমের অনলাইন ভার্সনে স্যার ও শিক্ষার্থীদেরকে জড়িয়ে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও মানহানিকর সংবাদ প্রকাশ করেছে। যাতে সহকারী অধ্যাপক জনাব মো. ইমরান হোসেন, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ১৬ জন শিক্ষার্থী ব্যক্তিগত ও সামাজিকভাবে চরম হেয় প্রতিপন্ন হয়েছেন।সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা হেনস্তাকারী,যাত্রীদের থেকে অতিরিক্ত অর্থ গ্রহণকারীও অনৈতিক প্রস্তাবকারী টিটিই মোশাররফ আলির শাস্তি ও ট্রেনের সকল ধরনের দুর্নীতিবাজদের বিচারের দাবি করেন। ক্ষমতার অপব্যবহার করে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের হেনস্তা করা ও অবৈধভাবে টিকিট না দিয়ে টাকা নেওয়ার  অপরাধে টিটিই মোশাররফ আলিকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়াসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।তারা আরও উল্লেখ করেন,ওই টিটিই এর অপরাধের বিষয়ে আমরা রেল মন্ত্রণালয়ের উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানাতে পারি সেই ভয়ে ডিফেন্স নেওয়ার জন্য তিনি এই ধরনের মিথ্যা ও বানোয়াট নিউজ করিয়াছেন। এইচএ
    ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে
    ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে, যা সাইন্সল্যাব এলাকায় বাস ভাংচুরের পর তীব্র আকার ধারণ করে। আজ বুধবার (২০ নভেম্বর) দুপুর ৩টার পর এই সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে রাজধানীর সাইন্সল্যাব এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে, যখন সাইন্সল্যাব এলাকায় ঢাকা কলেজের ছাত্ররা একটি বাস ভাঙচুর করে। এর পরপরই সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রতিক্রিয়া জানিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়, এবং সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। স্থানীয় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে, তবে এখনও উত্তেজনা অব্যাহত রয়েছে। ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি, তবে পুলিশের তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। প্রসঙ্গত, গত ২৮ অক্টোবর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষের পদত্যাগসহ মোট ৭ দফা দাবিতে এই কলেজের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করে। এই পরিপ্রেক্ষিতে রাতেই বন্ধ হয়ে যায় কলেজ। টানা ২০ দিন বন্ধ থাকার পর গতকাল মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সিটি কলেজ খুলেছিল। একাদশ শ্রেণির ক্লাসের মাধ্যমে কলেজের একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়। আজ বুধবার দ্বাদশ এবং বৃহস্পতিবার স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শ্রেণির ক্লাসও শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে খোলার একদিনের মাথায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লো কলেজের শিক্ষার্থীরা। এইচএ
    অটোরিকশার ধাক্কায় শিক্ষার্থী নিহত, জাহাঙ্গীরনগরে ব্লকেড কর্মসূচি
    ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী আফসানা করিম রাচির মৃত্যুর ঘটনায় ব্লকেড কর্মসূচি পালন করছেন প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা।বুধবার (২০ নভেম্বর) সকাল পৌনে ৭টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সবকটি ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন তারা। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে শিক্ষার্থীদের অবস্থান নিতে দেখা গেছে।বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন গেটে অবস্থানরত অবস্থায় শিক্ষার্থীদের ‘আমার বোন মরল কেন, প্রশাসন জবাব দে’, ‘আমরা সবাই রাচির ভাই, রাচি হত্যার বিচার চাই’, ‘আমার বোন কবরে, খুনি কেন বাইরে?’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।শিক্ষার্থীরা জানান, তারা আট দফা দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর ব্লকেড কর্মসূচি পালন করছেন। সেগুলো হলো- নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিত করা; ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই কাঠামোগত হত্যার যথাযথ বিচার করা; পর্যাপ্ত সড়কবাতি, ফুটপাত ও গতিরোধক স্থাপন করা এবং যানবাহনের গতি পরিমাপ রাখা; নিহত শিক্ষার্থীর পরিবারকে যথাযথ আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া; মেডিকেল সেন্টারের জরুরি সেবার মানোন্নয়ন করা; নিবন্ধনহীন সব যানবাহন ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ করা এবং নিবন্ধন দেওয়ার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা; সব রিকশাচালকের প্রশিক্ষণ থাকা সাপেক্ষে নিবন্ধন দেওয়া; অদক্ষ নিরাপত্তাকর্মীদের প্রত্যাহার করা এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো সচল করা। তাদের এই কর্মসূচি চলাকালে ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের যানবাহন ঢুকতে দেওয়া হবে না।ব্লকেড কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী দুর্বার আদি বলেন, প্রশাসনের দায়িত্ব ছিল ক্যাম্পাসের মেডিকেলে উপযুক্ত চিকিৎসা নিশ্চিত করা। একজন শিক্ষার্থী যদি ক্যাম্পাসে আহত হন, তাকে ক্যাম্পাসের মেডিকেলে নেওয়ার পর তার যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করা। আফসানার ক্ষেত্রে সেটি হয়নি। এটিকে প্রশাসনের ব্যর্থতা হিসেবে দেখতে হবে। ক্যাম্পাসে শুধু রিকশা নয়, মোটরসাইকেলের গতি নিয়ন্ত্রণেও কোনো পদক্ষেপ নেই। এ জন্য নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর ব্লকেড কর্মসূচি পালন করছি।এর আগে, মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) রাতে আফসানার নিহত হওয়ার পর ক্যাম্পাসের যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ, সড়ক উন্নয়ন, সার্বিক নিরাপত্তাসহ আট দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এরপর রাত পৌনে ১২টার দিকে প্রশাসনের আশ্বাসে অবস্থান কর্মসূচি থেকে সরে আসেন শিক্ষার্থীরা। তবে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দাবিগুলো পূরণের অগ্রগতি না দেখা গেলে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধের ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।এবি 
    আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি মওকুফের নির্দেশ
    জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আহত বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের সব শিক্ষার্থীর টিউশন ফি মওকুফের জন্য নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। এজন্য আহত হওয়ার পক্ষে দালিলিক প্রমাণ দিতে হবে।মঙ্গলবার (২০ নভেম্বর) ইউজিসির এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গত ২৯ অক্টোবরের প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জুলাই-আগস্ট ২০২৪ এ ছাত্র জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আহত মাধ্যমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে (সব সরকারি-বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, কারিগরি ও বিশ্ববিদ্যালয়) শিক্ষার্থীদের বেতন/টিউশন ফি মওকুফের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।এই অবস্থায় এই প্রজ্ঞাপনের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের করার জন্য নির্দেশ জানানো হলো।গত ২৯ অক্টোবর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আহত শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি মওকুফের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। বর্তমানে এই শিক্ষার্থীরা যে শ্রেণিতে আছেন, সেখান থেকে বিশ্ববিদ্যালয় জীবন পর্যন্ত তারা এ সুবিধা পাবেন।এতে বলা হয়, আহত শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানের কাছে চিকিৎসার ব্যবস্থাপত্র দেখিয়ে আবেদন করবেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে আবেদনগুলো যাচাই করে শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি মওকুফের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।এইচএ
    রিকশার ধাক্কায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু, জাবির চারজন বরখাস্ত
    ব্যাটারিচালিত রিকশার ধাক্কায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী আফসানা করিম রাচির মৃত্যুর ঘটনায় ডেপুটি রেজিস্ট্রারসহ চার কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পাশাপাশি একদিনের জন্য সকল ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার আজিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সাময়িক বরখাস্তরা হলেন: বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার আবদুর রহমান, নিরাপত্তা কর্মকর্তা রাসেল মিয়া, সহকারী সুপারভাইজার আব্দুস সালাম ও ডিউটি গার্ড মনসুর রহমান প্রামাণিক। দায়িত্বে অবহেলার কারণে তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।এদিকে এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবিতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে দায়ীদের বহিষ্কার করে দাবি পূরণের আশ্বাস দেওয়ায় বাসভবনের সামনে থেকে সরে আসেন তারা।অপরদিকে, বুধবার (২০ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ে শোক দিবস ঘোষণা করে সকল ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। রাত সাড়ে ১২ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার আজিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।বিজ্ঞপ্তি বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী আফসানা করিম রাচির মৃত্যুর ঘটনায় বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শোক দিবস ঘোষণা করা হয়েছে। শোক দিবসে সকল ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত থাকবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল রুটের বাস চলাচল বন্ধ থাকবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।এমআর
    তিতুমীরকে বিশ্ববিদ্যালয় করা যায় কিনা যাচাইয়ে হচ্ছে কমিটি, আন্দোলন স্থগিত
    ঢাকার তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করা যাবে কি না, সে বিষয়ে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে সচিবালয়ে শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলামের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এরপর আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।জানা গেছে, এই কমিটি তিতুমীরকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের যৌক্তিকতা ও সম্ভাব্যতা যাচাই করবে। পাশাপাশি অবকাঠামো থেকে শুরু করে দরকারি নানা বিষয় নিয়েও কমিটি কাজ করবে।স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে আজ সারাদিন তিতুমীর ক্যাম্পাস উত্তাল ছিল। কড়া পুলিশ পাহারায় ক্যাম্পাসে ‘ক্লোজড ডাউন’ কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীরা। ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনসহ ক্যাম্পাসে অবস্থান, বিক্ষোভ ও মিছিল করে শিক্ষার্থীরা। এ সময় ক্যাম্পাসে জলকামান ও টিয়ারশেলসহ বিপুল পরিমাণ পুলিশ সদস্য অবস্থান করে।এসএফ 
    আবু সাঈদ হত্যা মামলায় বেরোবির সাবেক প্রক্টর ৩ দিনের রিমান্ডে
    বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাইদ হত্যা মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলামের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এর বিচারক আসাদুজ্জামান এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলামকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে আদালতে তোলা হয় এবং ৫ দিনের রিমান্ডের জন্য আবেদন করা হয়। বেরোবি’র সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলামকে মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দিবাগত রাতে নগরীর আলমনগর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। তার বিরুদ্ধে গত ১৬ জুলাই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে পুলিশের গুলিতে আবু সাঈদ হত্যার সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে পুলিশকে গুলি করতে নির্দেশনা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন পিবিআই রংপুর। এদিকে আবু সাইদ হত্যা মামলার ২য় ধাপের নাম সংযুক্তে যে ৭ জনের নাম এসেছে তাদের ব্যাপারে আদালত তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছে পিবিআইকে। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আগেই সাবেক প্রক্টরকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে পিবিআই অফিসে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।এইচএ
    শিক্ষার্থীদের বানানো আধুনিক প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী চিন্তা প্রসূত প্রদর্শনী
    ইউনিভার্সিটি অফ গ্লোবাল ভিলেজ (ইউজিভি) এর আয়োজনে প্রজেক্ট বেজড্ লার্নিং গতকাল সোমবার (১৭ নভেম্বর) ক্যাম্পাসের ১ ও ২নং ভবনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ১০টা থেকে একটানা দুপুর ২টা পর্যন্ত এ প্রদর্শনীতে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ৪টি ও বিজনেস সহ মোট ৫টি বিভাগ অংশগ্রহণ করে।১নং ভবনে ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগ, এবং ২নং ভবনের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আধুনিক প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী চিন্তাপ্রসূত প্রদর্শনী পরিদর্শন করেন ইউজিভি’র উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল বাকী,  ইউজিভি’র বোর্ড অব স্টাডিজ এর চেয়ারম্যান ড. ইমরান চৌধুরী। পরিদর্শনকালে তারা বলেন,  শিক্ষার্থীরা কেবল বইয়ের জ্ঞানেই সীমাবদ্ধ থাকে না। তাদের হাতে-কলমে কাজ করার দক্ষতা অর্জন করে। এতে তারা দলগত কাজে সম্পৃক্ত হতে শেখে, যোগাযোগ দক্ষতা বৃদ্ধি পায় এবং সমাধানমুখী চিস্তাধারার বিকাশ ঘটে। এই ধরনের শিক্ষা শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনী চিন্তা-ভাবনার বিকাশে সাহায্য করে, যা তাদের ভবিষ্যৎ কর্মজীবনে সফলতার পথে এগিয়ে নিয় যায়। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ডিন অধ্যাপক ড. মো. সৈয়দ আলী মোল্লা, ইইই—বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. গোলাম সালেহ্ আহম্মেদ সালেম, কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আবদুর রাজ্জাক, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রোবায়েত বিন আলী, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোরশেদ আলম, রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী হাসান মো. কামরুজ্জামান, সহকারী রেজিস্ট্রার রবীন চন্দ্র রায় সহ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ। প্রদর্শনীতে ডিপার্টমেন্ট অফ ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ স্মার্ট ভেন্ডিং মেশিন, স্মার্ট ওয়েস্ট ডিসপোজাল বি, ৩৩/১১ কেভি ডিস্ট্রিবিউশন সাবস্টেশন ডেমো, জিপিএস বেজড কার পার্কিং সিস্টেম, স্টানগান ফর পারসোনাল সেফটি, অটোমেটিক ফুয়েলিং সিস্টেম ফর ভেহিক্যালস ছাড়াও সাম্প্রতিক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার নমুনা হিসাবে, শহীদ মীর মুগ্ধ এক্সপ্রেসওয়ে (অটোমেটিক টোল কালেকশন সিস্টেম), বা নৌ জা আবু সাইদ (স্মার্ট রাডার এন্ড নেভিগেশন সিস্টেম) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের, এক্সট্রাকশন অফ ফুয়েল বাই মিন্স অফ পাইরোলাইসিস প্রসেস, মিনি হাইড্রো ইলেকট্রিক পাওয়ার প্লান্ট প্রজেক্ট, লো কস্ট বোম্ব ক্যালোরিমিটার কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের ফোন বুক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, হাসপাতাল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, স্টুডেন্ট রিপোর্ট কার্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, জিম ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, আলফা বিটজ সিস্টেম, সিগমা গ্লোবাল, ভেন্ডিং মেশিন, বেম্যাক্স স্কিল, প্রজেক্ট কমিকো, ডাস্ট ডিফেন্ডার, ডিজিটাল ব্যানার, সৌরজগত এনসাইক্লোপিডিয়া, ডাইনামিক ভিডিও হোস্টিং/স্ট্রিমিং সিস্টেম, সকার রোব, মেটাল ডিটেক্টর, অটোমেটেড ডোর সিস্টেম, প্লাস্টিক রিসাইকেলিং সিস্টেম, কম্পিউটার নিউমেরিকেল কন্ট্রোল, এরিয়া ডিফেন্স সিস্টেম, এডভান্সড রাডার সিস্টেম, ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ, সার্চ এন্ড রেসকিউ রোবট, লিবারেটর রোবট, রেডিও কন্ট্রোল পে¬ন, মোবাইল অ্যাপ কন্ট্রোল ওয়াটারিং রোবট ফর এগ্রিকালচারার ফিল্ড। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের, ভূমিকম্প প্রতিরোধী বিল্ডিং, আধুনিক বন্যা নিরসন প্রকল্প, যানজট প্রতিরোধী প্রকল্প, পরিবেশ-বান্ধব রাস্তা, তাপমাত্রা নিরোধক ছাদ।এইচএ
    ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য ডুয়েট ছাত্রদলের অভিনব কর্মসূচি
    ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (ডুয়েট) ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষায় অভিনব কর্মসূচি চালু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।রবিবার ও সোমবার এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে ডুয়েট ছাত্রদলের পক্ষ থেকে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে দ্বিতীয় শহিদ ওয়াসিম আকরামের নামে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকদের সহায়তার জন্য ‘শহিদ ওয়াসিম আকরাম হেল্প ডেস্ক’ ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নেওয়া হয়। আবার এই হেল্প ডেস্কের অধীনে রয়েছে ‘শহিদ মুগ্ধ ওয়াটার কর্ণার’, ‘শহিদ আবু সাইদ ইন্সট্রুমেন্ট কর্ণার’ খোলা হয়েছে।ডুয়েট ছাত্রদলের আহ্বায়ক সোহাগ সরদার এবং সদস্য সচিব ফজলে রাব্বি খানের উদ্যোগে এই কর্মসূচিতে সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা কাজ করছেন।সোহাগ সরদার বলেন, গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের স্মরণ করতে, তাদের ত্যাগকে সম্মান জানাতে তারা এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এটা এক ধরনের মানবিক কাজ। যেখানে অনেক ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা নানান সহায়তা পেয়ে থাকেন। যেখানে মানবিক কাজে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সহায়তা করা এবং তাদের পাশে থাকা ছাত্রদলের নৈতিক দায়িত্ব। ডুয়েট ছাত্রদল নৈতিক দায়িত্ব পালন করেছে এবং ভবিষ্যতেও করবে।এইচএ
    দুধ দিয়ে গোসল করে ৩৫ আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়ালেন শুভ
    সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ মেনে নিয়ে ১২ বছর ধরে চলা আন্দোলনের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেছেন ৩৫ আন্দোলনের আহ্বায়ক শরিফুল হাসান শুভ।মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলের সামনে দুধ দিয়ে গোসল করে কমিটি বিলুপ্ত করার ঘোষণা দেন শুভ। চাকরির বয়সসীমা ৩২ করা সংক্রান্ত গেজেট এবং ৫১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির কপি দুধে চুবিয়ে তা দিয়ে গোসল করেন ৩৫ প্রত্যাশী শিক্ষার্থী সমন্বয়ক পরিষদের এই আহ্বায়ক।শরিফুল হাসান শুভ বলেন, আমরা দীর্ঘ ১২ বছর আন্দোলন করেছি। কেউ আমাদের কথা শোনেনি, চাকরির বয়স বৃ্দ্ধি হয়নি। অনেক সংগ্রাম করেছি, মামলা খেয়েছি, জেল খেটেছি। এখন সেই সব স্মৃতি ভুলে সরকারের ৩২ বছরের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়ে আমরা কমিটি বিলুপ্ত করে দিচ্ছি।এক প্রশ্নের জবাবে ৩৫ প্রত্যাশী শিক্ষার্থী সমন্বয় পরিষদের এই আহ্বায়ক বলেন, যদি কেউ ভিন্ন নামে ৩২-কে অযৌক্তিক মনে করে তাহলে তারা আন্দোলন করতেই পারে। তবে এতদিন যে ব্যানারে আন্দোলন চলেছে সেটির বিলুপ্তি ঘটাতে আজকে এই কার্যক্রম।চাকরিতে প্রবেশের বয়স স্থায়ীভাবে ৩৫ বছর করার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছিলেন ৩৫-প্রত্যাশী শিক্ষার্থী সমন্বয় পরিষদ। গত এক যুগ ধরে বিভিন্ন সময়ে তারা এ দাবি নিয়ে রাজপথে নামেন। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের আমলে তা আলোর মুখ দেখেনি। তবে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর এই দাবি জোরালো হয়। এ নিয়ে আন্দোলনের মধ্যে ২৪ অক্টোবর চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৩২ বছর করার সিদ্ধান্ত নেয় অন্তর্বর্তী সরকার।এবি 

    Loading…