এইমাত্র
  • হারিয়ে যাওয়া আইনের শাসন গড়ে তুলতে হবে : তারেক রহমান
  • জাতীয় জীবনে বিজয় দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম: জামায়াত আমীর
  • ইজতেমা মাঠ ঘিরে সেনাবাহিনীর টহল জোরদার
  • মানুষ জুলাই অভ্যুত্থান ভুলে গেছে বলেই খুনিদের নামে স্লোগান হয়: সারজিস
  • অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র: হোয়াইট হাউস
  • পিলখানা হত্যা মামলার ফের তদন্ত চায় ভুক্তভোগীদের পরিবার
  • ‘রাজনীতিবিদরাই যদি সংস্কার করেন, তাহলে ৫৩ বছর তারা কী করেছেন’: রিজওয়ানা
  • পঞ্চগড়ে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রায়ও সূর্যের হাসি
  • রাখাইনের মংডু শহর আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের শঙ্কা
  • বুদ্ধিজীবী দিবসে বন্ধ থাকবে ঢাকার যেসব সড়ক
  • আজ শুক্রবার, ২৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪

    শিক্ষাঙ্গন

    ৩য় নগর কৃষি মেলার আয়োজন করবে নগর কৃষি ফাউন্ডেশন
    "নিরাপদ খাদ্য ও পরিবেশের টেকসই উন্নয়ন, প্রয়োজন নগর কৃষির সুরক্ষিত সম্প্রসারণ" প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আগামী ১৪ ডিসেম্বর থেকে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৬ দিনব্যাপী রাজধানী উচ্চ বিদ্যালয়ে শুরু হতে যাচ্ছে ৩য় নগর কৃষি মেলা। নগর কৃষি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আগামী ১৪ ডিসেম্বর (শনিবার) হতে ঢাকার আগারগাঁও এ অবস্থিত রাজধানী উচ্চ বিদ্যালয়ে এই কৃষি মেলা শুরু হতে যাচ্ছে। নগরীয় পরিবেশ ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করণে নগরবাসীকে উদ্বুদ্ধকরণ, সম্পৃক্তকরণ, পরামর্শ ও উপকরণ বিতরণকে কেন্দ্র করে প্রতি বছর এই কৃষি মেলার আয়োজন করা হয়। মেলার আয়োজনে প্রায় ৮০টি স্টল থাকবে। যেখানে ৩০টি নার্সারী, ২০টি ব্যক্তি নগর কৃষি উদ্যোক্তা, ৩টি এনজিও, ১০টি সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান, ১০টি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ৫টি ফুড কর্ণারসহ সামাজিক গ্রুপ এবং নগর কৃষি কর্নার থাকবে। এছাড়া ৬দিন ব্যাপী আয়োজনে নগর কৃষি সংশ্লিষ্ট বিশিষ্ট ব্যক্তিদের  নিয়ে ১০টি সেমিনার ও ওয়ার্কশপ থাকবে৷ এই আয়োজনে স্কুলের ছেলে-মেয়েদের জন্য পরিবেশ, কৃষি ও প্রাণ-প্রকৃতি নিয়ে কুইজ প্রতিযোগিতা, গাছ পরিচিতি, চিত্রাংকন, প্রশিক্ষণ ইত্যাদি নানা আয়োজন থাকবে।শেকৃবির অধ্যাপক ড. আবুল হাসনাত এম সোলায়মানের সভাপতিত্বে ৩য় নগর কৃষি মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য জনাব অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুল লতিফ, বিশেষ অতিথি হিসেবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ সাইফুল আলম, জনাব, চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মো. রুহুল আমিন খান, সাবেক কৃষি সচিব আনোয়ার ফারুক, বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মোঃ আমির হোসাইন চৌধুরী।এবি 
    এসএসসি পরীক্ষা শুরু ১০ এপ্রিল
    ২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হবে ১০ এপ্রিল। লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে ৮ মে। তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষে ১০ থেকে ১৮ মে পর্যন্ত চলবে ব্যবহারিক পরীক্ষা।আজ বৃহস্পতিবার আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটি এসএসসি পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ করেছে। এবার এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা পূর্ণমান এবং পূর্ণ সময়ে অনুষ্ঠিত হবে।এসএসসি পরীক্ষার সূচিতে বলা হয়, পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রের কক্ষে প্রবেশ করতে হবে পরীক্ষার্থীদের। পরীক্ষা শুরুর তিন দিন আগে প্রবেশপত্র নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানপ্রধানের কাছ থেকে সংগ্রহ করতে হবে। তত্ত্বীয়, বহুনির্বাচনী ও ব্যবহারিক অংশে পৃথকভাবে পাস করতে হবে। পরীক্ষার্থীরা কেন্দ্রে সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে। এ ছাড়া কেন্দ্র সচিব ছাড়া অন্য কেউ পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল ফোন বহন করতে পারবেন না।এফএস
    জলবায়ু প‌রিবর্তনের পাঠদানকারী শিক্ষকরাই দি‌চ্ছেন গাছ কাটার নি‌র্দেশ
    বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থী মো. তামিম রাজ জানান, শ্রেণিকক্ষে যেসব শিক্ষক জলবায়ু পরিবর্তনে বৃক্ষের গুরুত্ব নিয়ে পড়াচ্ছেন, তারাই নির্বোধের মতো গাছ কাটার নির্দেশ দিচ্ছেন। এটি অত্যন্ত লজ্জাজনক। উন্নয়নের নামে বৃক্ষনিধন কখনোই টেকসই হতে পারে না।  বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বাকৃবি রেলস্টেশনের পেছনে অবকাঠামো উন্নয়ন ও দোকান স্থানান্তরের নামে গাছ কাটার প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে পুরনো ও বড় গাছগুলো কাটা হচ্ছে, কিন্তু কোথাও নতুন গাছ লাগানো হচ্ছে না।” মানববন্ধনস্থলে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে কর্মরত ব্যক্তিরা গাছ কাটচ্ছেন।এসময় শিক্ষার্থীরা, "গাছ কাটা পড়লো কেন, প্রশাসনের জবাব চাই," "ক্যাম্পাসের প্রকৃতি-পরিবেশ রক্ষা করো," এবং "গাছ কেটে উন্নয়ন মানি না, মানবো না " ইত‌্যা‌দি স্লোগান দেন ।আরেক শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান বলেন, "বাকৃবির প্রাণ হচ্ছে বৃক্ষ। এই ক্যাম্পাসের নান্দ‌নিক পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় গাছের অবদান অমূল্য। যেখানে কৃষি নিয়ে পড়ানো হয়, সেখানে উন্নয়নের নামে নির্বিচারে বৃক্ষনিধন মেনে নেওয়া যায় না। গাছ কাটার বিষয়ে আমরা বারবার শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেছি। কিন্তু কেউ কর্ণপাত করেনি। বরং সবাই দোকানিদের লাভের দিক বিবেচনায় ব্যস্ত। অথচ এসব গাছের ফাঁকে ফাঁকেও টিনের দোকান বসানো যেত, যা দোকানের আশপাশের সৌন্দর্য বহুগুণ বাড়িয়ে দিত।"এমআর
    নোবিপ্রবিতে শিক্ষা প্রশাসন বিভাগের প্রথম ব্যাচের বিদায় সংবর্ধনা
    নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) শিক্ষা প্রশাসন বিভাগের প্রথম ব্যাচের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজওয়ানুল হক।অনুষ্ঠানে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজওয়ানুল হক তাঁর বক্তব্যে বলেন, তোমরা যখন উচ্চ শিক্ষা অর্জনের জন্য দেশের বাহিরে যাবে তখন তোমরাই বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করবে। মনে রাখবে সফল মানুষ হওয়ার চেয়ে সার্থক মানুষ হওয়াটা বেশী জরুরী। এমন কাজ করে যেতে হবে যেন তোমাদের দ্বারা নোবিপ্রবির সুনাম, দেশের সুনাম অক্ষুণ্ণ থাকে। যেখানেই যাওনা কেন নোবিপ্রবি এলামনাই হিসেবে ডিপার্টমেন্টের জন্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অবদান রাখবে এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি।শিক্ষা প্রশাসন বিভাগের চেয়ারম্যান জি এম রাকিবুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন  বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, প্রক্টর এ.এফ.এম আরিফুর রহমান, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন। নোবিপ্রবি শিক্ষার্থী মো. নাফিজ ফুয়াদ ও দেবলীনা মহন্ত রুপকথার সঞ্চালনায় এতে স্বাগত বক্তব্য দেন শিক্ষা বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর সরকার।অনুষ্ঠানে নোবিপ্রবি শিক্ষা বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।এআই
    ২০২৫ সালের এসএসসির কেন্দ্র তালিকা প্রকাশ
    ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দের এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র তালিকা প্রকাশ করেছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বোর্ডের ওয়েবসাইটে কেন্দ্র ও কেন্দ্রওয়ারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।এদিকে জানা গেছে, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। ফি পরিশোধ করা যাবে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এর এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে চলছে ১ ডিসেম্বর থেকে।ঢাকা বোর্ডের এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র তালিকা দেখতে এখানে ক্লিক করুন।এইচএ
    পদোন্নতি পেয়ে অধ্যাপক হলেন ২৮ জন
    বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের ২৮ জন সহযোগী অধ্যাপককে পদোন্নতি দিয়ে অধ্যাপক করা হয়েছে।বুধবার (১১ ডিসেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব (সরকারি কলেজ-২) মো. মাহাবুর আলমের সই করা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বর্তমান কর্মস্থলে ইনসিটু হিসেবে পদায়িত বলে গণ্য হবেন এবং পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত উক্ত কর্মস্থল থেকে বেতন গ্রহণ করবেন।এতে আরও বলা হয়, পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে কেউ লিয়েনে বা শিক্ষাছুটিতে থাকলে তারা লিয়েন বা ছুটি শেষে যোগদান সাপেক্ষে পদোন্নতি আদেশ জারি করা হবে। পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে পরবর্তী সময়ে কারো পদোন্নতি বাতিল করার মতো কোনো বিষয় উত্থাপিত হলে তার পদোন্নতিবিষয়ক আদেশ বাতিল করা হবে।এই আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে কোনো কর্মকর্তা নিজ প্রতিষ্ঠানের উচ্চতর পদে বা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে পদায়নের জন্য স্বতঃসিদ্ধভাবে অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বলে বিবেচিত হবেন না। এই কর্মকর্তাদের আবশ্যিকভাবে তাদের পিডিএসে লগইন করে অবমুক্ত ও যোগদান প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবেন।পদোন্নতি পাওয়া অধ্যাপকদের মধ্যে অর্থনীতির ১ জন, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি ৩ জন, গার্হস্থ্য অর্থনীতির ১ জন, গণিতের ২ জন, দর্শনের ৪, ব্যবস্থাপনার ২, ভূগোলের ১ জন, মাকের্টিংয়ের ২ জন, রসায়নের ১ জন, হিসাববিজ্ঞানের ১ জন, রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ২ জন, সমাজকল্যাণের ১ জন ও আরবির ৩ জন। এ ছাড়া টিচার্স ট্রেইনিং কলেজ টিটিসির (ইসলামী আদর্শ) ১ জন রয়েছেন।এইচএ
    র‍্যাগিংয়ের অপরাধে চুয়েটের ১১ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার
    চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) জুনিয়র শিক্ষার্থীদের র‍্যাগিং করার দায়ে ১১ শিক্ষার্থীকে ৬ মাসের জন্য সব ধরণের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিস্কৃতরা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী।বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্টস ডিসিপ্লিন কমিটির ২৭৮তম সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। পরে কমিটির সদস্যসচিব ও ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. মাহবুবুল আলম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ৫ নভেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে ২৩ ব্যাচের (২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ) কয়েকজন শিক্ষার্থীকে চুয়েটের প্রধান গেটের বাইরে হেনস্তার অভিযোগ ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির তদন্তে ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়।বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা এই ছয় মাস বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো আবাসিক হলে অবস্থান করতে পারবেন না। তবে তারা চাইলে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে একাডেমিক কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বরাবর আপিল করতে পারবেন।এবি 
    ডুয়েটে কৃষি যন্ত্রপাতি প্রতিভা অন্বেষণ শীর্ষক সেমিনার ও প্রদর্শনী মেলা অনুষ্ঠিত
    ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এ বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) উদ্ভাবিত 'কৃষি যন্ত্রপাতির প্রদর্শনী মেলা' এবং 'কৃষি যন্ত্রপাতি প্রতিভা অন্বেষণ' শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটরিয়ামের সামনের মাঠে দিনব্যাপী 'বারি উদ্ভাবিত কৃষি যন্ত্রপাতির প্রদর্শন' মেলার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন। পরে দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটরিয়ামে 'কৃষি যন্ত্রপাতি প্রতিভা অন্বেষণ' শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।অনুষ্ঠান দুটিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আরেফিন কাওসার। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মোহা. আবু তৈয়ব। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) অধ্যাপক ড. উৎপল কুমার দাসের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) এফএমপিই বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও এফএমডি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মো. নুরুল আমিন।সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন বলেন, 'টেকনোলজির যুগে আমাদের বসে থাকার উপায় নেই। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে ও পঞ্চম শিল্প বিপ্লব আবির্ভাবের সময় আমাদেরকে ইন্টারনেট অব থিংকস্, এআই প্রযুক্তি, স্মার্ট টেকনোলজিসহ বিভিন্ন আধুনিক প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও প্রয়োগের মাধ্যমে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। নতুন নতুন গবেষণা ও উদ্ভাবন এবং জ্ঞান বিনিময়ের মাধ্যমে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে নিজেদেরকে খাপ খাইয়ে চলতে হবে।' তিনি আরও বলেন, 'বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহারের মাধ্যমে এবং লাগসই প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতির ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এক্ষেত্রে ডুয়েটের প্রকৌশলীরা অগ্রগামী ভূমিকা পালন করতে পারে।' তিনি প্রকৌশল ও প্রযুক্তিগত শিক্ষা এবং গবেষণা ও প্রকাশনাসহ সকলক্ষেত্রে ডুয়েটকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সকলের ভূমিকার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। এছাড়া তিনি কৃষি যন্ত্রপাতির প্রদর্শন মেলা ও 'কৃষি যন্ত্রপাতি প্রতিভা অন্বেষণ' শীর্ষক সেমিনার আয়োজনের জন্য বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট ও পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) এর দপ্তরকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।মাননীয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আরেফিন কাওসার বলেন, 'এই সমস্ত উদ্ভাবনী প্রযুক্তির দ্বার উন্মোচনে বারি এবং ডুয়েটের যৌথ উদ্যোগ অত্যন্ত কার্যকরী হতে পারে। বারির গবেষণা অভিজ্ঞতা এবং ডুয়েটের প্রযুক্তিগত দক্ষতার সমন্বয় আমাদের কৃষি খাতকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। ডুয়েটের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বারির গবেষণালব্ধ তথ্য ও উদ্ভাবনগুলোর উপর ভিত্তি করে আধুনিক যন্ত্রপাতি এবং প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে দেশের কৃষিখাতকে আরও এগিয়ে নিয়ে আমাদের আত্মনির্ভরশীল জাতি হিসেবে মাথা তুলে দাঁড়াতে সহায়ক হবে।'রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মোহা. আবু তৈয়ব বলেন, 'কৃষি প্রধান এই দেশে স্থানীয়ভাবে কৃষি যন্ত্রপাতির উদ্ভাবন জরুরি। কৃষিক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত সমস্যা আমাদের প্রকৌশলীরা সমাধান করতে পারলে আমরা এগিয়ে যেতে পারবো।'অনুষ্ঠানে কৃষি বিষয়ক সমস্যা সমাধান, কৃষি সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার, লাগসই প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতির ব্যবহার বিষয়ক পোস্টার প্রেজেন্টেশনের উপর পুরস্কার বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানসমূহে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডীন, বিভাগীয় প্রধান, পরিচালক, অফিস প্রধান, প্রভোস্ট ও সহকারী প্রভোস্টবৃন্দ এবং বারির উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ আরও অনেকেই স্বতঃস্ফূর্তভাবে উপস্থিত ছিলেন।এআই
    'হাসিনার পতন না হলে আমাদের এই প্রশিক্ষণ হতো না'
    ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে ৫ই আগস্ট ফ্যাসিস্ট হাসিনার সরকারের পতন না হলে আমাদের পেশাগত জ্ঞান ও দক্ষতা উন্নয়নে এই প্রশিক্ষণ আয়োজন সম্ভব হতো না। এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) প্রশিক্ষণার্থী কর্মকর্তারা।বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিশ্ব‌বিদ‌্যাল‌য়ের কর্মকর্তাদের ২৪তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে তারা এ কথা বলেন। গত ১৭ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া ২৫ দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণে মোট ২৫ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।কর্মকর্তার আরও জানান, “জিয়াউর রহমানের নেতৃত্ব মে‌নে নেওয়ায় দীর্ঘ ১৭ বছর আমরা অবহেলিত ছিলাম। যদি আগেই এমন প্রশিক্ষণ পেতাম, তবে আরও দক্ষতার সঙ্গে কাজ করতে পারতাম। যা হোক বর্তমানে অর্জিত জ্ঞানকে বাস্তব জীবনে নৈতিকতার সঙ্গে প্রয়োগ করার চেষ্টা করব।” জিটিআই পরিচালক অধ্যাপক ড. বেনতুল মাওয়ার সভাপতিত্বে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবির ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন দা‌য়িত্বপ্রাপ্ত কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবির এবং ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. হেলাল উদ্দীন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আলীম, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান সরকার, বাকৃবি সম্প্রসারণ কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, আইকিউএসি পরিচালক এবং সিনিয়র কোর্স কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক ড. মাছুমা হাবীবসহ প্রশিক্ষণার্থী কর্মকর্তারা। অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক বলেন, "এই প্রশিক্ষণ কর্মজীবনকে আরও গতিশীল করবে। মনে রাখতে হবে, শেখার কোনো বয়স নেই। প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞানকে ব্যক্তিজীবন ও কর্মক্ষেত্রে প্রয়োগ করতে হবে।"তিনি আরও বলেন, "আমাদের 'আজ সময় নেই, কাল আসবেন' এই মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। অফিস ছুটির এক মিনিট আগেও সেবা প্রদান নিশ্চিত করতে হবে। আমি বিশ্বাস করি, এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে  প্রশিক্ষণার্থী‌দের মধ্যে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে।"এমআর
    শিক্ষার্থীদের জন্য শতভাগ সিট ও মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স: শেকৃবি উপাচার্য
    রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩--২৪ সেশনের ৮৩ তম ব্যাচের ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকের সাথে মতবিনিময় সভায় 'সকল শিক্ষার্থীর জন্য শতভাগ আবাসিক হলে সিটের ব্যবস্থা, গণরুম বাতিল, মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স, তথাকথিত র্যাগিং মুক্ত, সেশনজট মুক্ত ক্যাম্পাস ও লেজুড়বৃত্তিক রাজনৈতিক কর্মকান্ড বন্ধের ঘোষণা দেন শেকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল লতিফ।বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বেলা ১১ টায় টিএসসিতে ২০২৩-২৪ সেশনে ভর্তি হতে আসা শিক্ষার্থীদের অভিভাবকের সাথে বিশ্বিবদ্যালয়ের প্রশাসনিক বডির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে শেকৃবির ছাত্র পরামর্শক অধ্যাপক ড. মো. আশাবুল হকের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল লতিফ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড.মো.বেলাল হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আবুল বাশার, অধ্যাপক জাকির হোসেন, প্রক্টর, পোস্ট গ্রাজুয়েট স্টাডিজ ডিন, কৃষি অনুষদের ডিন, এএসভিএম অনুষদের ডিন, এফএএমএস অনুষদের ডিন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি ও অভিভাবকবৃন্দ।  অভিভাবকদের মধ্যে থেকে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আন্জুমান আরা বলেন, অভিভাবকদের সাথে মতবিনিময় সভা এটা ইউনিক অনুষ্ঠান। রাজনীতি মুক্ত ক্যাম্পাস গড়ে তোলা, পড়ালেখার মান উন্নতি, হলে র্যাগিং না হওয়া ও খাবারের মান উন্নত করার জন্য অনুরোধ রইলো।অভিভাবক এডভোকেট মাকসুদ হাসান বলেন, মেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য হলের গেইট বন্ধের বিষয়ে রাত ৮ টার মধ্যেই বন্ধ করা উচিৎ। স্বাধীনতা ভালো কিন্তু বেশি স্বাধীনতা ভালো নাহ।চট্টগ্রাম থেকে আসা এক অভিভাবক গর্বের সাথে বলেন, আমি নিজেই মেট্রিক পাস করি নাই। আজকে মেয়ের ভর্তির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাথে বসত পেরে অনক ভালো লাগছে। এছাড়াও অনেক অভিভাবক আবাসন, খাওয়ার মান ভালো, পড়ালেখায় সেশনজট না থাকা, অনুশীলন মূলক পড়ালেখায় আগ্রহী করা সহ বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দেন।অনুষ্ঠানে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড.মো.বেলাল হোসেন বলেন, তিনটি বিজ্ঞান কখনো মানুষকে অভাবে রাখে না। কৃষি বিজ্ঞান, মেডিকেল বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি। বর্তমান প্রশাসন অলরেডি সেশনজট কমানোর সকল উদ্যোগ গ্রহন করেছে। এছাড়াও হলগুলোতে ক্যান্টিন ডাইনিং এ খাবারের মান উন্নয়ন ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে বিভিন্ন প্রশিক্ষনমূলক প্রোগ্রাম চলতেছে।এছাড়াও উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল লতিফ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখার মান উন্নয়নে হলের রিডিংরুমগুলোতো হাই স্পিড নেটওয়ার্ক সংযোগ করা হয়েছে। ফলে প্রযুক্তির সহযোগিতার পড়ালেখায় নতুনত্ব সৃষ্টি হবে। মাদকের ভয়াবহতা থেকে শিক্ষার্থীদের রক্ষা করতে কমিটি গঠন করা হবে। এমআর
    নোবিপ্রবিতে ইউএনডিপির ইংরেজি ও প্রযুক্তি দক্ষতা বিষয়ক শিক্ষাবৃত্তি কর্মসূচি
    নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) ব্যবসায় এবং সামাজিক ক্ষেত্রে ইংরেজি ও প্রযুক্তি দক্ষতা বিষয়ক শিক্ষাবৃত্তি কর্মসূচির উদ্বোধন হয়েছে। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) নোবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনের উদ্বোধন করেন।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল বলেন, বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে চলতে হলে গ্র্যাজুয়েটদের প্রত্যেককে নিজেকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। এক্ষেত্রে ইংরেজি ও অন্যান্য ভাষা দক্ষতাসহ প্রযুক্তির নানা দিক বিশেষ করে মেশিন লার্নিং, ডাটা সায়েন্স এর মতো বিষয়গুলো এখন থেকেই  রপ্ত করতে হবে। তাহলে নোবিপ্রবি গ্র্যাজুয়েটরা সমাজ, দেশ ও পৃথিবী নেতৃত্ব দেয়ার সক্ষমতা অর্জন করবে।উপাচার্য এসময় আরও বলেন, ইউএনডিপি ও বৃটিশ কাউন্সিলের আজকের এ অনুষ্ঠান আমাদের শিক্ষার্থীদের নিজেদের নতুনভাবে গড়ে তোলার সুযোগ করে দিল বলে আমি বিশ্রি। কারণ তারা এর মাধ্যমে কোনো অর্থ খরচ না করে ভাষা ও প্রযুক্তির নানা ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জনের জন্য বৃত্তি পাবে। যার মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীরা দেশে দক্ষ মানব সম্পদ হিসেবে কর্মক্ষেত্রে সুযোগ পাবে এবং বিদেশে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। এ সময় তিনি ইউএনডিপি ফিউচারনেশন প্রকল্পের অধীন নোয়াখালীতে একটি ল্যাঙ্গুয়েজ সেন্টার প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান। যেখানে এ অঞ্চলে শিক্ষার্থী ও বিদেশগামী মানুষ বিভিন্ন ভাষা দক্ষতা অর্জনের মধ্য দিয়ে আগামীতে একটি বেটার নোয়াখালী গড়ে তুলতে পারে।  ইউএনডিপির ‘ফিউচারনেশন’ এর আয়োজনে অনুষ্ঠিত কর্মসূচিতে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা রাখেন নোবিপ্রবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজওয়ানুল হক, রিসার্চ সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, ছাত্র পরামর্শ ও  নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন, পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের চেয়ারম্যান ও ফিউচারনেশন প্রকল্পের ফ্যাকাল্টি ফোকাল অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মহিনুজ্জামান এবং ইউএনডিপি ফিউচারনেশন কর্মকর্তা বিবেকানন্দ দাস। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ইউএনডিপি ফিউচারনেশন ক্যাম্পাস ফ্যাসিলিটেটর মাহমুদুল হাসান।প্রসঙ্গত, ইউএনডিপির ফিউচারনেশন প্রকল্পের আওতায় নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা ব্যবসায় এবং সামাজিক ক্ষেত্রে ইংরেজি ও প্রযুক্তি দক্ষতা বিষয়ক কর্মসূচিসমূহে অংশ নেয়ার সুযোগ পাবে। এক হাজার শিক্ষার্থীকে এ বৃত্তি দেয়া হবে।এআই
    বুটেক্সসাসের কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন রবিবার
    আগামী রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়  সাংবাদিক সমিতির (বুটেক্সসাস) কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন ২০২৪-২৫ এর তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে।বুধবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে সংগঠনটির বর্তমান কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে নির্বাচনের তারিখ ঠিক করা হয়।এবারে সংগঠটির ৭টি পদের বিপরীতে বুটেক্সের ক্যাম্পাস সাংবাদিকরা লড়বে। পদগুলো হল সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সহ-সভাপতি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, দপ্তর প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, অর্থ ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক এবং কার্যনির্বাহী সদস্য।বিশ্ববিদ্যালয়টির তিনজন শিক্ষকদের নিয়ে নির্বাচনটির নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। যার মধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে বুটেক্স সাংবাদিক সমিতির উপদেষ্টা ড. মো. রিয়াজুল ইসলাম এবং সহকারী নির্বাচন কমিশনার হিসেবে টেক্সটাইল ম্যাটেরিয়ালস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় প্রধান ড. শেখ মো. মামুন কবীর এবং হিউমিনিটিজ অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্স বিভাগের প্রভাষক ইহসান ইলাহী সাবিক থাকবেন।দিনের সকালে বুটেক্স সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে ভোটগ্রহণ হবে এবং দপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিনার কক্ষে নবীব বরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অ্যালামনাই, সাংবাদিকসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত থাকবেন এবং বিকাল ৪টায় নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা ও দায়িত্ব হস্তান্তর করা হবে।এআই
    নোবিপ্রবির প্রস্তাবিত সমুদ্র বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের জমি পরিদর্শনে উপাচার্য
    নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) প্রস্তাবিত সমুদ্র বিজ্ঞান ও সামুদ্রিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা ইনস্টিটিউটের জন্য বরাদ্দকৃত জমি পরিদর্শনে গিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর ২০২৪) নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নে সরকারের খাস খতিয়ানভুক্ত এ ১৫০ একর জমি পরিদর্শনে যান তিনি।পরিদর্শনকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজওয়ানুল হক, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন ড. মোঃ জিয়াউল হক ও সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুরাইয়া আক্তার লাকী উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দপ্তর, উপ-উপাচার্য দপ্তর, পরিকল্পনা উন্নয়ন ও ওয়ার্কস দপ্তর এবং রেজিস্ট্রার দপ্তরের এস্টেট এন্ড হাউজিং ও আইন শাখার কর্মকর্তাবৃন্দ।পরিদর্শনকালে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল বলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে ‘ব্লু ইকোনোমি’ বিষয়টি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে। উপকূলীয় অঞ্চলের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সমুদ্র বিজ্ঞান বিষয়ে মৌলিক ও প্রায়োগিক গবেষণা প্রকল্প পরিচালনা করতে আগ্রহী। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবনার আলোকে সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠায় সুবর্ণচর উপজেলায় সরকার কর্তৃক ১৫০ একর জমি বরাদ্দের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এজন্য আমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আশা করছি, যথাযথ প্রক্রিয়ায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে  বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বরাদ্দকৃত জমি হস্তান্তর করা হবে। পরবর্তীতে এখানে সমুদ্র বিজ্ঞান ও সামুদ্রিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার উন্নয়ন কার্যক্রম শুরু করা হবে।প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে সমুদ্র বিজ্ঞান বিষয়ে গবেষণার জন্য ৪৫০ একর খাস জমি সরকারের কাছে বরাদ্দ চায় নোবিপ্রবি কর্তৃপক্ষ। পরবর্তীতে ওই আবেদনের ভিত্তিতে সুবর্ণচর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নে সরকারের খাস খতিয়ানভুক্ত ১৫০ একর জমি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুকূলে বরাদ্দের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। পাশাপাশি ২০২০ সালের ২৭ ডিসেম্বর নোবিপ্রবিতে সমুদ্র বিজ্ঞান ও সামুদ্রিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা ইনস্টিটিউট খোলার অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন।এমআর
    বেরোবিতে কৃষি যন্ত্রপাতি প্রতিভা অন্বেষণ শীর্ষক সেমিনার ও প্রদর্শনী মেলা
    রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের আয়োজনে কৃষি যন্ত্রপাতি প্রতিভা অন্বেষণ শীর্ষক সেমিনার ও প্রদর্শনী মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতার স্মারক মাঠে এই সেমিনার ও প্রদর্শনী মেলা অনুষ্ঠিত হয়। কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মো. ইলিয়াশ প্রামাণিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শওকাত আলী।প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শওকাত আলী বলেন, দেশে একটা সময় হাল চাষ হতো। কালের বিবর্তনের এখন তা আর নেই। প্রযুক্তির বিপ্লবে এখন অনেক প্রযুক্তি আবিষ্কার হয়েছে।বিদেশ থেকে যন্ত্রপাতি আনার প্রচলন দিনে দিনে কমিয়ে নিজ দেশের প্রতি নির্ভরশীল হয়ে উঠায় কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটগুলো অবদান রাখছে।বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটকে এমন ব্যতিক্রমী আয়োজন করায় ধন্যবাদ জানিয়ে উপাচার্য আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের এসব উদ্ভাবনের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠা জরুরি। তাতে করে কৃষির সাথে প্রযুক্তির সমন্বয়ে বাংলাদেশের কৃষি আরও উচ্চ পর্যায়ে পৌছাবে।তাই শুধু সার্টিফিকেট অর্জনই আসল শিক্ষা নয়, বরং বাস্তবিক ও প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও ব্যবহারই উত্তম শিক্ষা।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো: মিজানুর রহমান ও দিনাজপুর কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড.মুহাম্মদ শামসুল হুদা। এছাড়াও প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এফএমপিআই বিভাগ মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রকল্প পরিচালক ড.মো.নুরুল আমিন।অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিভাগের তিন শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।  এআই
    গুম হওয়া নেতাকর্মীদের সন্ধান চেয়ে ইবি ছাত্রদলের মানববন্ধন
    বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের গুম নেতাকর্মী এবং নাগরিকদের সন্ধানের দাবিতে পাশাপাশি স্বৈরাচার শেখ হাসিনার নির্দেশে নির্মম হত্যাকাণ্ড ও নির্যাতনের বিচারের দাবিতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে মানববন্ধন করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেটে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন, ইবি সমন্বয়ক এস এম সুইট, শাখা ছাত্রদলের আহবায়ক শাহেদ আহম্মেদ, সচিব মাসুদ রুমি মিথুন, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার পারভেজ, আহসান হাবীব, নুরুরদ্দিন, রাফিজ, তৌহিদুল ইসলাম'সহ শাখা ছাত্রদলের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী। এসময় নেতাকর্মীদের হাতে ‘আবার মাটি আমার মা, আয়নাঘর হবে না; মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে আওয়ামী লীগের বিচার চাই; গণহত্যাকারী হাসিনার ফাঁসি চাই; গুমের শিকার সকালের সন্ধান চাই; ইলিয়াস আলীকে ফেরত চাই; চৌধুরী আলম কে ফেরত চাই’ ইত্যাদি প্ল্যাকার্ড দেখা যায়। এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবি সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, গত ১৭ বছরে আমরা দেখেছি ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকার বাংলাদেশকে একটি কারাগারে রূপান্তরিত করেছে। তারা শুধু হত্যাকাণ্ডের মধ্যেই থেমে থাকেনি, গণহত্যা চালিয়েছে। পাশাপাশি যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের নিয়ন্ত্রণে নিতে না পারলে তখন তারা সর্বশেষ পন্থায় হিসেবে গুম কে বেছে নিয়েছে। এই গুমের মাধ্যমে পুরো বাংলাদেশকে গুমের রাজ্যে পরিণত করেছে এই ফ্যাসিস্ট সরকার।শাখা ছাত্রদলের আহবায়ক শাহেদ আহম্মেদ বলেন, খুনি হাসিনা ২৬৯৯ জনকে বিনা বিচারে হত্যা করেছে, ১৬৭৭ জন বিএনপির সহ অন্যান্য সংগঠনের নেতাকর্মীরা কারাগারে মৃত্যুবরণ করেছে, ৬৭৭ জন গুমের শিকার হয়েছে, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী এখনো গুম রয়েছে। তিনি আরও বলেন, ভারতের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আমরা লড়ছি, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল লড়ছে। দেশের কল্যাণে, দলের কল্যাণে, জনগণের কল্যাণে আমাদের জীবন দিতে আমরা একটি পা ও পিছুপা হবো না।এআই

    Loading…