এইমাত্র
  • জাতি গঠনমূলক কাজে সশস্ত্র বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে: রাষ্ট্রপতি
  • অটোচালকদের রেললাইন অবরোধে ঢাকার সঙ্গে রেল যোগাযোগ বন্ধ
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত
  • সিরিয়ার ঐতিহ্যবাহী শহরে ইসরায়েলি হামলা, নিহত ৩৬
  • আজ ঢাকা কলেজ-সিটি কলেজের ক্লাস বন্ধ
  • রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
  • রাজধানীতে আজ ১২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়
  • ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই: প্রধান উপদেষ্টা
  • বিচারের শুদ্ধতায় ট্রাইব্যুনালে আপিলের বিধান রাখা হয়েছে : আইন উপদেষ্টা
  • সশস্ত্র বাহিনী দিবসে শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা
  • আজ বৃহস্পতিবার, ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২১ নভেম্বর, ২০২৪

    তথ্য-প্রযুক্তি

    এআই জেনারেটেড প্রোফাইল পিকচার আসছে ইনস্টাগ্রামে
    মেটার মালিকানাধীন জনপ্রিয় ফটো শেয়ারিং অ্যাপ ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে সংযোগ রক্ষার পাশাপাশি অচেনা মানুষদের সঙ্গেও বন্ধুত্ব তৈরি করা সম্ভব। সম্প্রতি ইনস্টাগ্রাম এআই জেনারেটেড প্রোফাইল পিকচার ফিচার চালুর উদ্যোগ নিয়েছে যা ব্যবহারকারীদের অনন্য, ক্রিয়েটিভ এবং ব্যক্তিগতকৃত প্রোফাইল পিকচার তৈরি করতে সহায়তা করে।এই ফিচারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদের পছন্দের ডিজাইন এবং স্টাইল অনুযায়ী প্রোফাইল ছবি তৈরি করতে পারবেন। ১) একাধিক স্টাইলের অপশন: ব্যবহারকারীরা বাস্তবসম্মত, কার্টুনিশ, ফ্যান্টাসি, কিংবা বিমূর্ত স্টাইলে প্রোফাইল ছবি তৈরি করতে পারেন।২) ব্যক্তিগতকরণ: আপনার ছবি আপলোড করে সেটিকে এআই-এর মাধ্যমে বিভিন্ন ফিল্টার ও এফেক্টে রূপান্তর করতে পারবেন।৩) সহজ ব্যবহারযোগ্যতা: ফিচারটি ব্যবহার সহজ এবং অ্যাপের ভেতর থেকেই সরাসরি কাজ করা যায়।৪) ইউনিক ডিজাইন: প্রতিটি ছবি একেবারেই আলাদা ও ইউনিক, যা আপনার প্রোফাইলকে বিশেষভাবে তুলে ধরবে।এআই-জেনারেটেড প্রোফাইল পিকচার অপশনের উপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছে ইনস্টাগ্রাম যা মেটা লামা থ্রি এআই মডেল দ্বারা চালিত হবে। যদিও এটি আপাতত পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর্যায়ে রয়েছে। তবে ইনস্টাগ্রামে ব্যাবহারকারীদের জন্য খুব শিগগিরই এ ফিচার চালু করে দেওয়া হবে।এআই জেনারেটেড ছবি ব্যবহার করার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন এটি প্রোফাইলের উদ্দেশ্যের সঙ্গে মানানসই হয়। এছাড়া, সৃজনশীল ডিজাইন ব্যাবহার করতে হবে যাতে অন্যদের কাছে তা আকর্ষণীয় মনে হবে।  ফিচারটি ইনস্টাগ্রামের প্রোফাইল আপডেটকে আরও সৃজনশীল এবং আকর্ষণীয় করে তুলবে।এইচএ
    শীতে এসি বন্ধ রাখার আগে যা করবেন
    শীত প্রায় দোর গোড়ায়, আর শীত পড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রায় সবারই এসি বন্ধ থাকে। এতে ৩-৪ মাস বন্ধ থাকবে এসি। তারপর শীত শেষে আবার এসি চালিয়ে নানান ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তাই আগেই কয়েকটি কাজ করতে পারেন। এতে দীর্ঘদিন এসি বন্ধ থাকলেও কোনো সমস্যা হবে না।চলুন তবে জেনে নেই শীতে এসি বন্ধ রাখার আগে করণীয় কী?*** প্রথমেই যে কাজটি করতে হবে তা হচ্ছে এসি আনপ্লাগ করে রাখতে হবে। এতে শর্ট সার্কিটের ভয় থাকবে না।*** এবার আসা যাক সাফাইয়ে। এসির ফিল্টার দিয়ে শুরু করা যাক। স্প্লিট এসি হলে সামনের ঢাকনাটা আলতো করে তুলে ফিল্টার বের করে নিলেই হলো। উইন্ডো এসির ক্ষেত্রে ফ্রন্ট প্যানেল খুলে তা বের করতে হবে। এর পর পানি আর সাবান দিয়ে ধুয়ে নরম পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছে লাগিয়ে দিলেই হল।*** এসির ভেতরে থাকে ইভাপোরেটর কয়েল আর বাইরে থাকে কনডেনসার কয়েল। দুটোই সাফ রাখা দরকার। স্প্লিট এসি হলে সামনের ঢাকনাটা আলতো করে তুলে একটা নরম পরিষ্কার কাপড় দিয়ে ইভাপোরেটর কয়েল মুছে নিতে হবে। আউটডোর ইউনিটের ক্ষেত্রে কয়েল ক্লিনার স্প্রে ব্যবহার করলে ভালো হয়, কেন না কনডেনসার কয়েলে ধুলো জমে বেশি।*** অনেকেই নিশ্চয়ই দেখেছেন সার্ভিসিংয়ের সময়ে ইঞ্জিনিয়াররা একটা টুথব্রাশ দিয়ে এসির ভেতরে একটা জায়গা সাফ করেন। ওটাকে বলে ফিন। আমাদেরও টুথব্রাশ দিয়েই তা করতে হবে। কোনো ফিনে বেন্ট থাকলে ফিন কম্ব দিয়ে তা আলতো করে সোজা করে দিতে হবে।*** এসির আর্দ্রতা যে অংশ শুষে নেয়, তাকে বলে কনডেনসেশন লাইন। এই জায়গাটা খুঁজে বের করে ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে জমে থাকা ময়লা টেনে বের করে আনতে হবে।*** আউটডোর ইউনিটে ময়লা জমে সবচেয়ে বেশি। তাই ওটা পানি দিয়ে ধুতে হবে। একটা পাইপ দিয়ে পানি ছিটিয়ে ছিটিয়ে ধোয়া যায়। তবে খুব বেশি পানি দেওয়া যাবে না, যাতে মেশিনের ক্ষতি না হয়।*** বাকি থাকে কেবল দুটো কাজ। এর পর ইনডোর আর আউটডোর ২ ইউনিট ঢেকে রাখতে পারলে ভালো হয়। তাতে ধুলা জমবে না।*** আরেকটা যেন কী করতে হবে? এসিতে ময়লা বেশিরভাগক্ষেত্রেই জমে পরিবেশ দূষণের জন্য। তাই ঘরে একটা এয়ার পিউরিফায়ার রাখতে পারলে এসিতে ময়লা জমার পরিমাণ অনেক কম হয়ে আসবে। 
    সাংবাদিক শফিক রেহমানও আ.লীগের ছোবল থেকে রক্ষা পাননি: রিজভী
    বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, শফিক রেহমান একজন বর্ষীয়ান সাংবাদিক। ৯০ বছর বয়সেও যিনি দেশ ও গণতন্ত্রের জন্য অবদান রেখেছেন, জাতির কাছে তা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদের কাছে কোনো শ্রেণির মানুষই রেহাই পায়নি। এই বর্ষীয়ান সাংবাদিক শফিক রেহমানও তাদের ছোবল থেকে রক্ষা পায়নি। শুধুমাত্র গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের কথা বলায় অন্যায়ের প্রতিবাদ করাতে এই বৃদ্ধ বয়সেও তাকে কারাগারে নিয়েছে পতিত আওয়ামী স্বৈরশাসক। শুধু তাই নয়, তাকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছিল। সোমবার বিকালে প্রখ্যাত সাংবাদিক শফিক রেহমানের ৯০তম জন্মদিন উপলক্ষে তার ইস্কাটনের বাসভবনে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগ কখনই ভিন্নমত সহ্য করতে পারে না। কোনো রাজনৈতিক দল যদি প্রতিবাদ করে তাহলে সেই দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে শুরু করে দমন-পীড়ন। কোনো গণমাধ্যম যদি সত্য কথা তুলে ধরে তাহলে বন্ধ করে দেওয়া হয় সেই গণমাধ্যম। আর কোনো সাংবাদিক কলমের মাধ্যমে সত্য তুলে ধরার চেষ্টা করলে তো আর রক্ষাই নেই- হয় খুন, না হয় গুম অথবা দেশত্যাগে বাধ্য করা হয়। এ সময় বিএনপির সহ-অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন উপস্থিত ছিলেন।এসএফ 
    ফের ২৫ পয়সা কলরেটে ফিরছে সিটিসেল
    আবারও সাশ্রয়ী মূল্যে কথা বলার সুযোগ দিতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে ফিরছে বাংলাদেশের প্রথম সিডিএমএ প্রযুক্তির মোবাইল ফোন অপারেটর সিটিসেল।সম্প্রতি রাজধানীর মহাখালীতে অবস্থিত সিটিসেলের হেড অফিস থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।জানা গেছে, ১৯৮৯ সালে বিটিআরসি থেকে মোবাইল ফোন প্রবর্তনের জন্য বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড (বিটিসিএল) তরঙ্গ দৈর্ঘ্য বরাদ্দ লাভ করে। লাইসেন্স নেওয়ার পরের বছর হংকং হাচিসন টেলিকমিউনিকেশন লিমিটেড ওই কোম্পানিতে বিনিয়োগ করলে এর নাম বদলে হয় হাচসন বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড। ১৯৯৩ সালে এটির মালিকানায় আবার পরিবর্তন আসে। বিএনপির সাবেক সিনিয়র নেতা ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোরশেদ খানের মালিকানাধীন প্যাসিফিক মটরস ও ফারইস্ট টেলিকম মিলে এইচবিটিএল-এর শেয়ার কিনে নেয়। কোম্পানির নাম বদলে হয় প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড ও সিটিসেল নামে ব্র্যান্ডিং শুরু হয়। ২০০৪ সালে এ কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে সিঙ্গাপুরের সিংটেল। ২০০৭ সালের শেষের দিকে সিটিসেল নতুন লোগো উন্মোচন করে। গ্রাহক সংখ্যার দিক থেকে এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম মোবাইল অপারেটর কোম্পানি ছিল। কিন্তু ২০১৬ সালে তৎকালীন আওয়ামী সরকারের রোষানলে সিটিসেলের লাইসেন্স বাতিল করা হয়। ওই বছরের ২০ অক্টোবর বিটিআরসি কোম্পানিটির কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়। এ সময় এর গ্রাহক সংখ্যা ছিল ৬ লাখের কিছু বেশি। ৩ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সিটিসেলের তরঙ্গ আবার খুলে দেওয়া হয়। যা ৬ নভেম্বর আবার বন্ধ করা হয়। ২০২৩ সালে সিটিসেলের লাইসেন্স চূড়ান্তভাবে বাতিল করা হয়।সিটিসেল বন্ধের সময় বিটিআরসির এক বিজ্ঞপ্তিতে দেখা যায়, সিটিসেলের কাছে সরকারের পাওনা ছিল ৪৭৭ কোটি টাকা। পরে ২৪৪ কোটি টাকা পরিশোধ করে সিটিসেল। সে হিসাবে সিটিসেলের বকেয়া ২৩৩ কোটি টাকা। কিন্তু কোর্টের গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্টে দেখা যায়, সিটিসেলকে ১০ মেগা হার্জ তরঙ্গ বরাদ্দ দেওয়ার কথা থাকলেও দেওয়া হয়েছে ৮ দশমিক ৮২ মেগা হার্জ। সে হিসাবে সিটিসেলের কাছে সরকারের সবশেষ মোট বকেয়ার পরিমাণ ১২৮ কোটি টাকা।গত ১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে (বিটিআরসি) চিঠি পাঠিয়ে অপারেটিং ও রেডিও ইকুইপমেন্ট লাইসেন্স দুটি ফেরত চেয়েছে। চিঠিতে কোম্পানিটি দাবি করেছে, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে প্রথমে তাদের তরঙ্গ স্থগিত করা হয়। এ জন্য সাবেক টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমকে দায়ী করেছেন তারা।বিটিআরসিকে পাঠানো চিঠিতে প্যাসিফিক টেলিকম জানায়, তরঙ্গ বন্ধ করায় গত ৮ বছরে ব্যাংক ঋণ, কর্মচারীদের বকেয়া, অবকাঠামোর ক্ষতি–সবমিলিয়ে তাদের প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। ৮ বছর কার্যক্রম বন্ধ থাকায় প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আয় সম্ভব হয়নি। এতে সরকার প্রায় ৪৩০ কোটি টাকা কর ও ফি থেকে বঞ্চিত হয়েছে। তারা এখন লাইসেন্স বাতিলের জন্য জারি করা পত্রের প্রত্যাহার চায়। পাশাপাশি প্রযুক্তি নিরপেক্ষ লাইসেন্স চায়, যাতে ফাইভজিও অন্তর্ভুক্ত থাকবে। তারা এজন্য অর্থ পরিশোধ করবে, তবে তা রাজস্ব আদায়ের পর।সিটিসেলের চিফ স্ট্রেটিজিক অ্যাডভাইজার মেহবুব চৌধুরী জানান, তারা কোন কিছু আইনের বাইরে যেয়ে করেননি। সিটিসেলের ফ্রিকুয়েন্সি পাওয়ার কথা ছিল ১০ মেগা হার্জ, তাদের লাইসেন্সেও তাই ছিল। তবে অনুমোদনের কাগজে তারা ফ্রিকোয়েন্সি পান রিজোনাল ৬ মেগা হার্জ, আর ঢাকায় ৮ দশমিক ৮২ মেগা হার্জ।তিনি জানান, লাইসেন্স পাওয়ার পর তারা বিটিসিএল অফিসে গেলে তারা বলে আপনার এই মেগা হার্জই পাবেন। অথচ সিটিসেল ১০ মেগা হার্জের টাকাই পরিশোধ করে সরকারকে। তারা দ্বিতীয়বারের মতো সিটিসেলকে কোনো সুযোগই দেয়নি। কম ফ্রিকোয়েন্সি দিয়ে ১০০ কোটির বেশি টাকা পাওনা করা হয়েছিল তাদের কাছে। সেই টাকা পরিশোধ না করায় এই টেলিকম কোম্পানিটিকে বন্ধ করে দেওয়া হয়।সিটিসেলের হেড অব দ্যা টেজরি মাকসুদা হাবিব বলেন, ২০১৬ সাল থেকে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন তারা। সেই সঙ্গে ব্যাংকের লস তো আছেই। তাদের ব্যান্ড ভ্যালু ক্ষুণ্ন হয়েছে, সেই সঙ্গে কোম্পানিটির সঙ্গে যুক্ত প্রায় ৫ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সরকার প্রায় ৪৩০ কোটি টাকা কর ও ফি বঞ্চিত হয়েছে।বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. এমদাদ উল বারী বলেন, সিটিসেল আবেদন করেছে। আমারা তাদের সঙ্গে বসব।এফএস
    প্রতারণা বন্ধে প্রায় ২ লাখ অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করেছে ইমু
    সাইবার নিরাপত্তার হুমকির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম ইমু। প্ল্যাটফর্মটি এ বছর জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হ্যাকিং, হয়রানি ও প্রতারণার সাথে সম্পৃক্ত ১ লাখ ৭৯ হাজার ডিভাইস শনাক্ত ও নিষিদ্ধ করেছে। একইসাথে, ইমু অত্যাধুনিক ‘অটো টেকনোলজি’র মাধ্যমে হ্যাকিং ঝুঁকি শনাক্ত ও প্রতিরোধে পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে ৪ লাখ ৩৫ হাজার অ্যাকাউন্টকে হ্যাকিংয়ের ঝুঁকি থেকে সুরক্ষিত রেখেছে। পাশাপাশি দেশের ব্যবহারকারীদের ৯ হাজার ৬০০টি অ্যাকাউন্ট পুনরুদ্ধার করতেও সহায়তা করেছে ইমু। ২০২৪ সালের প্রথম তিন প্রান্তিকে ইমু প্রতারণা ও হয়রানির সাথে সংশ্লিষ্টতায় তাৎক্ষণিকভাবে যথাক্রমে ১৮০০টি ও ৬ লাখ ৬৭ হাজার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেছে ইমু। ডিজিটাল ক্ষমতায়নের পথ প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে হুমকি। লিঙ্গ বা বয়স নির্বিশেষে যেকোনো ইন্টারনেট ব্যবহারকারীই বিভিন্ন ধরনের সাইবার হুমকির মুখে পড়তে পারেন। এক্ষেত্রে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্মগুলোর উচিত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। বিগত বছরগুলো থেকে ব্যবহারকারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করে আসছে ইমু। এছাড়া অ্যাকাউন্টের ওপর ব্যবহারকারীদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তাদের ক্ষমতায়নে কার্যকরী সব ফিচার চালু করেছে।উদাহরণস্বরূপ, ইমু’র ‘লগইন প্রোটেকশন’ ফিচার ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা নিশ্চিতে অত্যন্ত কার্যকর। এছাড়াও ইমু’তে রয়েছে ‘টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন’ ও ‘ট্রাস্টেড ডিভাইস’ -এর মতো সুরক্ষা ফিচার। সুরক্ষা নিশ্চিতে আরও রয়েছে ‘সিম বাইন্ডিং ফিচার।’ এসব ফিচার ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্টে শুধুমাত্র নির্ভরযোগ্য ও অনুমোদিত ডিভাইসের মাধ্যমে লগইন নিশ্চিত করতে সহায়তা করে। এছাড়াও ব্যবহারকারীরা অতিরিক্ত সুরক্ষায় ইমু অ্যাকাউন্টে লগইন করার সময় নিয়মিত ‘ম্যানেজ ডিভাইস’ চেক করলে সন্দেহজনক ডিভাইস অপসারণ করতে পারেন; অথবা দুই বা ততোধিক ডিভাইস ব্যবহার না করলে, ‘মাল্টি ডিভাইস’ ফাংশন ডিঅ্যাক্টিভেট করে রাখতে পারেন।এইচএ
    আইফোন ব্যবহারকারীদের জন্য সতর্কতা
    তথ্য চুরির পাশাপাশি আইফোন অকেজো করতে পারে এমন স্পাইওয়্যারের সন্ধান পেয়েছে নেদারল্যান্ডসভিত্তিক সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান থ্রেটফ্যাব্রিক।রোববার (৩ নভেম্বর) দ্য হ্যাকার নিউজের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।থ্রেটফ্যাব্রিকের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইফোনের জন্য বিশেষভাবে তৈরি স্পাইওয়্যারটির নাম ‘লাইটস্পাই’। যা এর আগের সংস্করণের চেয়েও অনেক বেশি শক্তিশালী। সাইবার অপরাধীদের তৈরি নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে প্রবেশ করলেই স্পাইওয়্যারটি আইফোনে প্রবেশ করে। ফলে ব্যবহারকারীদের অজান্তে তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি আইফোনকে পুরোপুরি অকেজো করে দিতে পারে অপরাধীরা।প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, লাইটস্পাই যে ডিভাইসে প্রবেশ করে সেই ডিভাইসের ফোন নম্বর, ফোন কলের ইতিহাস ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কের তথ্য, স্ক্রিনশট, অবস্থান, আইক্লাউড, সাউন্ড রেকর্ডিং, ছবি, ইন্টারনেট ব্যবহারের ইতিহাসসহ আদান-প্রদান করা বার্তার তথ্য সংগ্রহ করতে পারে।লাইটস্পাই এমনই শক্তিশালী যে এটি টেলিগ্রাম, উইচ্যাট এবং হোয়াটসঅ্যাপের মতো অ্যাপের তথ্য সংগ্রহ করার পাশাপাশি আইফোন থেকে বিভিন্ন বার্তা বা ফোন নম্বরও মুছে ফেলতে সক্ষম।আইফোনকে যেভাবে আক্রান্ত করে লাইটস্পাইওয়েবকিট এক্সপ্লোইট ব্যবহার করে একটি ডট পিএনজি এক্সটেনশনের ফাইলের মাধ্যমে আইফোনে প্রবেশ করে লাইটস্পাইটি। পরে ফ্রেমওয়ার্কলোডার নামের একটি কম্পোনেন্টের মাধ্যমে স্পাইওয়ারের মূল কোর মডিউল ও অন্যান্য প্লাগইন গোপনে ডাউনলোড করে। এসব মডিউল ও প্লাগইন আলাদা ফোল্ডার তৈরি করে আইফোনের বিভিন্ন তথ্য সংরক্ষণ করে। একই সঙ্গে সেসব সাইবার অপরাধীদের কাছে পাঠায়।নিরাপদ থাকতে যে পদক্ষেপ নিতে হবেথ্রেটফ্যাব্রিক জানিয়েছে, লাইটস্পাইয়ের আক্রমণ থেকে নিরাপদ থাকতে আইফোন ব্যবহারকারীদের আইওএস হালনাগাদ করতে হবে। একই সঙ্গে সন্দেহজনক লিংক কিংবা ওয়েবসাইটে প্রবেশ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।এসএফ
    একবার চার্জ দিলে ব্যাটারি চলবে ৫০ বছর
    কেমন হবে বলুন তো, যদি ফোনে একবার চার্জ দিয়ে তা ৫০ বছর ব্যবহার করতে পারেন। শুনে অবাস্তব মনে হলেও এমনই একটি ব্যাটারি তৈরি করেছে চীনা স্টার্টআপ সংস্থা বেটাভোল্ট টেকনোলজি। এই সংস্থা এ বছর জানুয়ারি মাসেই এমন একটি ব্যাটারি নিয়ে এসেছে।এই ব্যাটারিতে একবার চার্জ দিলে একটানা ৫০ বছর পর্যন্ত চলবে, আর চার্জ দেওয়ার প্রয়োজন হবে না। এটি কোনো লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি নয়, এটিকে বলা হয়েছে নিউক্লিয়ার চার্জ ব্যাটারি বা অ্যাটমিক এনার্জি ব্যাটারি।একটি কয়েনের থেকেও ছোট্ট আকারে এই ব্যাটারিতে রয়েছে নিকেল ৬৩ আইসোটোপ। এর আণবিক শক্তি দিয়েই চলবে ব্যাটারি। এই ব্যাটারির মাপ এখনকার সাধারণ ব্যাটারির মাপের মত নয়। এর দৈর্ঘ্য, প্রস্থ যথাক্রমে ১৫ মিলিমিটার করে এবং উচ্চতা ৫ মিলিমিটার। এতে শক্তি প্রবাহের জন্য রাখা হয়েছে হীরের সেমিকন্ডাক্টর। এই ব্যাটারিতে ৩ ভোল্টে ১০০ মাইক্রোওয়াট শক্তি উৎপন্ন হয়।সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে আগামী ২০২৫ সালের মধ্যেই এই ব্যাটারিতে ১ ওয়াট শক্তি উৎপাদনের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। বিংশ শতাব্দীতে তেজস্ক্রিয় পদার্থ ক্ষয়ের কারণে শক্তি নির্গত হয় আর এই শক্তি থেকে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়। এই ব্যাটারি -৬০ ডিগ্রি থেকে ১২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাতেও কাজ করতে সক্ষম।এই তেজস্ক্রিয় আইসোটোপের ক্ষয়কাল শেষ হয়ে গেলে এটি একটি তামার স্থিতিশীল আইসোটোপে পরিণত হয়। ফলে এটিতে পরিবেশের কোনো ক্ষতি হয় না।সূত্র: ইকোনোমিকস টাইমএসএফ
    নগ্ন ছবি লেনদেন আটকে দেবে গুগলের নতুন ফিচার
    সাইবার নিরাপত্তা এবং ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিতে সম্প্রতি বেশ কয়েকটি নতুন ফিচার আনছে গুগল। যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফিচারটি হলো নগ্ন ছবি আদান-প্রদান সীমিত করার লক্ষ্যে আনা ফিচারটি।গুগলের এই ফিচারটি কারো ছবিতে নগ্নতা থাকলে সে ছবি পাঠানোর বিষয়ে ব্যবহারকারীরা সচেতন কিনা সে বিষয়টি নিশ্চিত করবে। এছাড়া এমন সব নগ্ন ছবি ঝাপসা করে দেবে।  ফিচারটিতে ব্যবহার হয়েছে এমন টুল, যা ব্যবহারকারীর ফোনে থাকা এ ধরনের ছবি শনাক্ত করতে সক্ষম। এর ফলে মানুষের প্রাইভেসি সুরক্ষিত থাকবে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেনডেন্ট।গুগল বলছে, ব্যবহারকারীর প্রাইভেসি রক্ষায় এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপ্টেড মেসেজ কনটেন্ট কেবল আদান-প্রদানকারীর কাছে ব্যক্তিগত বা গোপন রাখতে ব্যবহার হয় ডিভাইসে। তারা বলছে, সংবেদনশীল কনটেন্টের সতর্কীকরণ বার্তাটি ব্যবহারকারীর ছবির বিভিন্ন কনটেন্টে প্রবেশাধিকার দেয় না গুগলকে। এমনকি গুগল এও জানে না, গোপন কোনো ছবি শনাক্ত হয়েছে কি না।এ নতুন ফিচারটি চালু হলে তা নগ্ন ছবি থাকতে পারে এমনসব ছবিকে দেখার আগেই চিহ্নিত করবে এবং কেউ এমন ছবি দেখতে চায় কি না তা যাচাইয়ের জন্য যোগ করবে একটি ‘স্পিড বাম্প’ও।এছাড়া কেউ এ ধরনের ছবি শেয়ার করতে বা ফরোয়ার্ড করতে চাইছেন সে ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটবে। এরপর এসব ছবির বিভিন্ন লিংক ও উৎস অন্তর্ভুক্ত হবে স্পিড বাম্প-এ এবং নগ্ন ছবি পাঠানোর ঝুঁকি ও আকস্মিক শেয়ার ঠেকানোর কথা ব্যবহারকারীদের মনে করিয়ে দেওয়ার চেষ্টাও করবে ফিচারটি।প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য অপশনাল থাকলেও ১৮ বছরের কম বয়সীদের জন্য ফিচারটি বাধ্যতামূলক করেছে গুগল। সামনের মাসগুলোতে অ্যান্ড্রয়েড ৯ বা এরপরের সংস্করণ ও গুগল মেসেজেস অ্যাপে চলে এমনসব ডিভাইসে ফিচারটি আনবে টেক জায়ান্টটি।এসএফ 
    ফোন চুরি ঠেকাতে গুগল আনছে নতুন ফিচার
    স্মার্টফোন আমাদের নিত্যসঙ্গী। স্মার্টফোন ব্যবহার করেন না এমন মানুষ কমই আছেন। বিভিন্ন কাজে স্মার্টফোনের ব্যবহার দিনদিন বাড়ছে, সেই সঙ্গে বাড়ছে স্মার্টফোন চুরির ঘটনা। চুরি ঠেকাতে নানা উপায় অবলম্বন করা হয়। কিন্তু কিছুতেই কাজ হচ্ছে না। স্মার্টফোনে থাকে অসংখ্য ব্যক্তিগত তথ্য। আর তা যদি চোরের হাতে যায় তাহলেই বিপত্তি। ফোন চুরি আটকাতে নানা মুনির নানা মত থাকলেও, খুব একটা সুরাহা পাননি স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা।তবে এবার স্মার্টফোন চুরি ঠেকাতে নতুন ফিচার আনছে গুগল। যা অন থাকলে কোনো অ্যাপ খুলতে হলে বায়োমেট্রিক পরিচয় জানাতে বাধ্য করবে গুগল ক্রোম। পরিকল্পনা সেরকমই। অর্থাৎ কোনোভাবে চোর বাবাজি যদিও আপনার পিন, প্যাটার্ন কিংবা পাসওয়ার্ড জেনে যায়, তাহলেও লাভ নেই। সে ওই সব স্পর্শকাতর অ্যাপের নাগালই পাবে না। আর সেটা নিশ্চিত করবে অ্যান্ড্রয়েডের ‘আইডেন্টিটি চেক’ ফিচার।অ্যাপলের ‘স্টোলেন ডিভাইস প্রোটেকশন’কে অনুসরণ করেই ফিচার আনা হচ্ছে অ্যান্ড্রয়েডে। এই ফিচারটিকে সক্রিয় করে রাখলেই তা বাধ্য করবে কোনো অ্যাপ খোলার সময় বায়োমেট্রিক্স ব্যবহার করতে। এমনও হতে পারে সাধারণভাবে ওই অ্যাপ খুলতে পিন, প্যাটার্ন বা পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা হয়।কিন্তু ‘আইডেন্টিটি চেক’ ফিচারটি সক্রিয় থাকলে বায়োমেট্রিক অথেন্টিকেশন লাগবেই। গত সপ্তাহেই এই ফিচারটির কথা ঘোষণা করেছে গুগল।যদি ফোন চোর হাতিয়ে নিয়ে পালাতে যায়, তাহলেও তা ধরে ফেলবে এই ফিচার! ‘মেশিন লার্নিং মডেল’ ব্যবহার করে ফোন যদি বুঝতে পারে চোর দৌড়ে কিংবা গাড়িতে পালাচ্ছে তাহলে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই ‘ডিটেকশন লক’ মোড অন করে নেবে সেটি।এসএফ
    ৯৮ টি ইঁদুর মেরে পুরস্কার পেলেন কৃষক আউয়াল
    কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে ৯৮টি ইঁদুর নিধনকারী এক কৃষককে পুরস্কৃত করা হয়েছে।বুধবার (২৩ অক্টোবর) উপজেলা কৃষি অফিসে কৃষক আব্দুল আউয়ালকে পুরস্কৃত করা হয়।‘ছাত্র-শিক্ষক-কৃষক ভাই, ইঁদুর দমনে সহযোগিতা চাই’ প্রতিপাদ্যে জাতীয় ইঁদুর নিধন অভিযানের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে কৃষক আব্দুল আউয়ালকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়।উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের আয়োজনে কৃষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পুরস্কার তুলে দেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোকছেদুল হক।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোকছেদুল হকের সভাপতিত্বে ও অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা মর্জিনা আক্তারের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার রিফাত আলম জনি, সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার আজিজুল মতিন, উপসহকারী কৃষি অফিসার তাজ উদ্দিন, উপসহকারী কৃষি অফিসার মিজানুর রহমান প্রমুখ।প্রশিক্ষণে ৩৪ জন উপসহকারী কৃষি অফিসার ও ৫০ জন কৃষক অংশ নেন। এ সময় বক্তারা ইঁদুর নিধনের বিভিন্ন কৌশল ও পদ্ধতি নিয়ে বাস্তব অভিজ্ঞতা ও তথ্যভিত্তিক আলোচনা করেন। পুরস্কৃত তিন কৃষক হলেন- নোয়াবাদের আব্দুল আউয়াল, খামার দেহুন্দার এলাকার হাফিজুল ইসলাম ও নজরুল ইসলাম।কৃষক আব্দুল আউয়াল বলেন, ইঁদুরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ হয়ে গিয়েছিলাম। পরে উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় তাদের পদ্ধতি অবলম্বন করে ৯৮টি ইঁদুর মারতে সক্ষম হয়েছি।এমআর
    ঘাঁটি নির্মাণে চীনের তৈরি ইট যাবে চাঁদে
    ভবিষ্যতে চাঁদে ঘাঁটি নির্মাণের জন্য সম্প্রতি লুনার ব্রিকস বা চন্দ্র ইট তৈরি করলেন চীনা গবেষকরা। এটি এমন এক বিশেষ উপাদান থেকে তৈরি, যার গঠন চাঁদের মাটির মতোই বলে দাবি তাদের।‘হুয়াজং ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বা এইচইউএসটি’-এর সাম্প্রতিক এক ভিডিওতে দেখা গেছে, চন্দ্র ইট তৈরিতে চাঁদের মাটির সিমুলেশন ব্যবহার করেছেন চীনা গবেষক ও বিজ্ঞানী ডিং লিয়ুনের নেতৃত্বে গবেষকদের একটি দল, যা প্রচলিত লাল ইট বা কংক্রিটের ইটের চেয়েও তিনগুণ মজবুত। অ্যাডিটিভ ম্যানুফ্যাকচারিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে আরেকটি নির্মাণ বিকল্পও তৈরি করেছে গবেষণা দলটি, যেখানে চাঁদের মাটি ব্যবহার করে ঘর প্রিন্ট করার জন্য একটি থ্রিডি প্রিন্টিং রোবট বানিয়েছেন তারা।এইচইউএসটি-এর অধ্যাপক ঝো চেং বলেছেন, এই চন্দ্র ইট বা চাঁদের মাটির গঠন তৈরিতে পাঁচটি আলাদা ধরনের সিমুলেটেড ও তিনটি ভিন্ন সিন্টারিং প্রক্রিয়া ব্যবহার করেছে গবেষণা দলটি, যা ভবিষ্যতে চাঁদে ঘাঁটি নির্মাণের জন্য উপযুক্ত উপাদান নির্বাচন করতে আরো বিজ্ঞানভিত্তিক তথ্য দেবে।সিন্টারিং হচ্ছে, পাউডার জাতীয় কোনো পদার্থকে এমনভাবে চাপ বা তাপ প্রয়োগ করা যাতে এটি গলে না গিয়ে আরো কঠিন রূপ ধারণ করে।ঝো বলেছেন, চাঁদের মাটির গঠন বিভিন্ন স্থানে ভিন্ন রকম হয়ে থাকে। চাঁদের যে স্থানে চ্যাং’ই-৫ মহাকাশযান অবতরণ করেছে ঠিক সেই স্থানের মাটিকে অনুকরণ করেই বানানো হয়েছে আমাদের এই চন্দ্র ইট, যা মূলত আগ্নেয়গিরিজাত শিলা বা ব্যাসল্ট।এক্ষেত্রে কিছু মাটির গঠন তৈরি হয়েছে চাঁদের অন্যান্য স্থানে পাওয়া মাটির অনুকরণ করেও, যা আদতে অ্যানথোসাইট।  ক্রমাগত তাপ ও চাপ বেড়ে যাওয়ার ফলে সাধারণত বিটুমিনাস বা লিগনাইট কয়লার পরিবর্তিত রূপ থেকে অ্যানথোসাইট তৈরি হয়।তবে চাঁদের পরিবেশে টিকে থাকতে পারবে কিনা তা দেখার জন্য নানা পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হবে গবেষকদের তৈরি এসব ইটকে।ঝো বলেন, মহাজাগতিক বিকিরণসহ চাঁদে রয়েছে এক অদ্ভুত রকমের বায়ুশূন্য পরিবেশ। চাঁদে দিনের তাপমাত্রা ১৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যায় ও রাতে মাইনাস ১৯০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে। তাই তাদের বানানো এসব ইট ভালোভাবে তাপ নিরোধক ও চাঁদের বিকিরণ সহ্য করতে পারে কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে।  তিয়ানঝু-৮ নামের কার্গো মহাকাশযানে করে গবেষকদের বানানো চাঁদের এসব ইট পাঠানো হবে চীনের মহাকাশ স্টেশনে, যাতে এগুলোর যান্ত্রিক ও তাপ সহ্যক্ষমতা এবং চাঁদের মহাজাগতিক বিকিরণ সহ্য করার ক্ষমতা রয়েছে কিনা তা দেখতে হবে।গবেষকদের অনুমান, প্রথমবারের মতো পৃথিবীতে তৈরি এসব ইটকে চাঁদের মাটিতে পাঠানো সম্ভব হবে ২০২৫ সালের শেষনাগাদ।মঙ্গলবার মহাকাশ বিজ্ঞানের জন্য জাতীয় পর্যায় থেকে এক দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন কর্মসূচি প্রকাশ করেছে চীন, যেখানে ২০৫০ সালের মধ্যে মহাকাশ বিজ্ঞানে উন্নয়নের একটি রূপরেখাও দিয়েছে দেশটি। সূত্র: চীনের সংবাদ চ্যানেল সিজিটিএন।এসএফ 
    সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ট্রল থেকে বাঁচার উপায়
    সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বর্তমানে মুহূর্তের পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে যোগাযোগ এখন খুব সহজ হয়েছে।  এছাড়াও, কোনো ব্যক্তি সম্পর্কে জানতে চাইলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার প্রোফাইল ভিজিট করলেই হলো। কারণ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বা ছবি শেয়ার করে থাকি। তাই তো আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কখনোই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শেয়ার করা উচিত নয়, যা বিপদ ডেকে আনতে পারে। আবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একে অপরের বিভিন্ন বিষয়ে ট্রল করা যেন সাধারণ বিষয় হয়ে উঠেছে। ট্রল একটা সীমারেখা পর্যন্ত মানানসই হলেও টা সীমা অতিক্রম করলে অনেকেই সামলাতে পারেন না। পোস্ট দেওয়ার পরে সেটাতে কেউ কটু কথা বললে মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে মানুষের কাছে। এর প্রভাব ব্যক্তিগত জীবনে পড়তে শুরু করে। মূলত ট্রলারদের মধ্যে সাইকোপ্যাথ বা অন্যকে দুঃখ পেতে দেখে আনন্দ পান এমন মানসিকতার মানুষ বেশি। ট্রলের অন্যতম বড় প্রভাব পড়ে একাগ্রতা ও মনঃসংযোগে। আর সোশ্যাল সাইটে যেহেতু মন্তব্যের কোনও সময়সীমা থাকে না। তাই দেখা যায় একই পোস্টের মন্তব্য চলতেই থাকে অবিরাম। কাজের ফাঁকে মন ছুটে যায় সেই মন্তব্যগুলোর দিকে। এগুলো যেমন মনের ক্ষতি হয়, তেমনি মনোযোগেও সমস্যা হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ট্রল সংস্কৃতি নতুন নয়। তবে এর থেকে সমাধানেও উপায় রয়েছে। **** ইগনোর স্ট্র্যাটেজি: অনেক সময় ট্রলিংয়ের মূল উদ্দেশ্য হয় বিরক্ত করা বা আপনার থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়া। সুতরাং, ইগনোর করাই হতে পারে সবচেয়ে ভালো পদক্ষেপ। প্রতিক্রিয়া না দিলে ট্রলিং করা ব্যক্তি আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারে।**** আত্মবিশ্বাস বজায় রাখা: ট্রলিং বা নেতিবাচক মন্তব্য আপনার আত্মবিশ্বাসে প্রভাব ফেলতে পারে, কিন্তু মনে রাখবেন যে আপনার মূল্যবানতা শুধু অন্যের কথায় নির্ভর করে না। নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাসী থাকুন এবং নেতিবাচকতা এড়িয়ে চলুন।**** নেতিবাচক মন্তব্য ডিলিট করা বা ব্লক করা: যদি কেউ বারবার বিরক্ত করে বা অযৌক্তিকভাবে ট্রল করে, সেই ব্যক্তিকে ব্লক বা রিপোর্ট করতে পারেন। অনেক সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মেই এ ধরনের অপশন রয়েছে, যা আপনাকে ট্রল থেকে রক্ষা করতে পারে।**** সমর্থন নেটওয়ার্কে বিশ্বাস রাখা: পরিবার, বন্ধুবান্ধব বা অনুরাগীদের কাছ থেকে ইতিবাচক সমর্থন নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। তাদের থেকে পাওয়া উৎসাহ আপনার মানসিক শক্তি বাড়াতে সাহায্য করবে।**** পেশাদার সহায়তা নেওয়া: যদি ট্রলিং বেশি সিরিয়াস হয় বা মানসিক চাপের কারণ হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে পেশাদার কাউন্সেলিং বা সাইকোলজিস্টের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। তারা মানসিক চাপ মোকাবেলায় আপনাকে গাইড করতে পারবে।**** হিউমার ব্যবহার করা: কখনও কখনও ট্রলের উত্তরে বুদ্ধিমত্তা ও হিউমার দিয়ে প্রতিক্রিয়া জানানো ট্রলিংয়ের প্রভাব কমাতে পারে। তবে এটি খুব সতর্কতার সঙ্গে করতে হবে, যাতে তা অপমানজনক না হয়ে যায়।এইচএ 
    নিষিদ্ধ হলো হোয়াটসঅ্যাপের ৮৪ লাখ অ্যাকাউন্ট
    হোয়াটসঅ্যাপ বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম। হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের অভিজ্ঞতা ভালো করতে একের পর এক ফিচার নিয়ে আসছে। তবে নিয়ম ভঙ্গ করলে অ্যাকাউন্ট ব্যান করতেও সময় নেয় না প্ল্যাটফর্মটি। ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তার জন্যই এমন ব্যবস্থা হোয়াটসঅ্যাপের।এবার সে কারণেই ভারতের ৮৪ লাখ অ্যাকাউন্ট ব্যান করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। মাত্র ১ মাসের মধ্যে এই অ্যাকাউন্টগুলোকে ব্যান করেছে মেটা। এর আগেই বেশ কয়েকবার এমন অ্যাকাউন্টগুলো নিষিদ্ধ করেছে সংস্থাটি।মেটার দাবি, তাদের প্ল্যাটফর্ম স্ক্যামের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। সেই কারণে সন্দেহভাজন কিছু অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংশ্লিষ্ট সংস্থা। আসলে বহু ব্যবহারকারীই হোয়াটসঅ্যাপের কাছে এই ধরনের স্ক্যাম সম্পর্কে অভিযোগ জানিয়েছিল।কোম্পানির পক্ষ থেকে প্রকাশ করা ট্রান্সপারেন্সি রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই প্রায় ৮৪ লাখ ৫৮ হাজার হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৪(১)(ডি) এবং ৩এ(৭) ধারায় এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। বারংবার অভিযোগ আসার ফলে নজরদারি বাড়িয়েছিল হোয়াটসঅ্যাপ। এরপরে অবিলম্বে সন্দেহজনক অ্যাকাউন্টগুলোকে নিষিদ্ধ করেছে ওই সংস্থা।সংস্থার রিপোর্টে দেখানো হয়েছে যে, গত ১ আগস্ট থেকে ৩১ আগস্টের মধ্যে এই সব অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৬.৬১ লাখ অ্যাকাউন্ট অবিলম্বে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।বাকি অ্যাকাউন্টগুলো যাচাই করার পরে সন্দেহজনক মনে হওয়ায় তা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যদিও ব্যবহারকারীদের থেকে কোনো রকম অভিযোগ না পেয়েও ১৬ লাখের বেশি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয়েছে। কারণ নজরদারির সময় অপব্যবহারের বিষয়টি সামনে এসেছিল।সংস্থার পক্ষ প্রকাশ করা রিপোর্টে আরও দেখানো হয়েছে যে, চলতি বছরের অগাস্ট মাসে ব্যবহারকারীদের থেকে ১০ হাজার ৭০৭টি অভিযোগ জমা পড়েছিল। এর মধ্যে ৯৩টির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সংশ্লিষ্ট সংস্থা। এর পাশাপাশি ই-মেইল কিংবা অন্য কোনো মাধ্যমে জমা পড়া অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কোম্পানির বক্তব্য, স্ক্যাম এবং অপব্যবহার সংক্রান্ত কাজেই জড়িত ওই অ্যাকাউন্টগুলো।কী কী কারণে হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ হচ্ছে তা জেনে রাখুন-ব্যবহারকারীরা যদি অতিরিক্ত পরিমাণে একের পর এক মেসেজ পাঠাতে থাকেন কিংবা প্রতারণামূলক ভুলভাল মেসেজ অথবা গুজব ছড়ান, তাহলে তাঁদের অ্যাকাউন্টও নিষিদ্ধ হয়ে যাবে।কোনো ব্যবহারকারী যদি আইন লঙ্ঘন করেন এবং সন্দেহজনক কাজকর্মের জন্য হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন, তাদের অ্যাকাউন্টের উপরেও চাপানো হবে ৩. হোয়াটসঅ্যাপে যদি কোনো ব্যক্তি অন্য কোনো ব্যবহারকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন অথবা প্রতারণা করার অভিযোগ করেন, তাহলে তদন্তের পরে এই ধরনের ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করা হবে।এইচএ
    ফোন চার্জ করার পর চার্জার খুলেন না? কী বিপদ ডেকে আনছেন জানুন
    অনেকেই ফোন চার্জ করার পর চার্জার খুলে রাখেন না। দীর্ঘ সময় চার্জে লাগানো থাকে স্মার্টফোন। এমন ভুল করে বিপদ ডেকে আনছেন না তো? ফোন কত শতাংশ চার্জ হলো, কত দ্রুত চার্জ হলে এইসব দিকেই নজর থাকে সবার। কিন্তু, চার্জ হওয়ার পর চার্জার খুলে রাখতে ভুলে যান অনেকেই। এতে বড় বিপদ ঢেকে আনতে পারেন।ভাবতে পারেন চার্জার খুলে রাখা কেন এতো জরুরি। চার্জ হয়ে গেলে অবশ্যই চার্জার বন্ধ করে দেওয়া উচিত। যদি আগের অবস্থাতেই থাকে তাহলে বিদ্যুৎ খরচ বাড়বে এবং বিস্ফোরণ হওয়ার আশঙ্কাও থাকবে।চার্জারের সঙ্গে একটানা বিদ্যুৎ কানেকশনের ফলে স্পার্কিং থেকে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। অনেকেই এই দিকে নজর দেন না। কিন্তু চার্জিং করার সময় এই বিষয়টি অবশ্যই খেয়াল রাখা উচিত।চার্জার প্লাগ-ইন অবস্থাতেই যদি রেখে দেন, তাহলে সেটি ক্ষতি হওয়া আশঙ্কা রয়েছে। কারণ এর ফলে অ্যাডাপটার গরম হতে শুরু করে এবং যার প্রভাব ফোনেও দেখা যায়। তাই সচেতন থাকা উচিত মোবাইল ব্যবহারকারীদের। এগুলো না মানলে চার্জার তো খারাপ হবেই, তার সঙ্গে বারোটা বাজবে ফোনের। এই বিষয়গুলো মাথায় রেখে চললে, দীর্ঘদিন ফোন ও চার্জার ব্যবহার করতে পারবেন।এছাড়া বেশিরভাগ মানুষ আরেকটি ভুল করেন। সেটি হচ্ছে সারারাত ফোন চার্জে দিয়ে রাখেন। এটি ফোনের জন্য খুবই ক্ষতিকর। রাতভর চার্জ দেওয়ার ফলে ফোনে প্রচন্ড পরিমাণে হিট তৈরি হয়, যার ফলে বিস্ফোরণ হতে পারে। সূত্র: উইকিহাউ
    নিজেই নকশা করে স্ত্রীকে গাড়ি উপহার দিলেন মার্ক জাকারবার্গ
    ভালোবেসে মুঘল সম্রাট শাহজাহান তাঁর স্ত্রী মমতাজের জন্য তৈরি করেছিলেন তাজমহল। এবার ভালোবাসার প্রকাশ ঘটাতে নিজে গাড়ির নকশা করেছেন মার্ক জাকারবার্গ। সেই গাড়ি তৈরি করেছে বিশ্বখ্যাত মোটারগাড়ি নির্মাতা পোরশে। পোরশের সেই গাড়ি স্ত্রী প্রিসিলা চ্যানকে উপহার দিয়েছেন মেটার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গ।নিজের জন্যও একটি পোরশে গাড়ি কিনেছেন, তবে সেটির নকশা মার্কের করা নয়। দুটি গাড়ি পেছনে রেখে ইনস্টাগ্রামে নিজেদের ছবিও প্রকাশ করেছেন মার্ক জাকারবার্গ।স্ত্রী প্রিসিলা চ্যানের জন্য জাকারবার্গের নকশায় তৈরি করা গাড়িটির নাম পোরশে কেয়েন টার্বো জিটি মিনিভ্যান। সাধারণত এমন গাড়ি পোরশে বানায় না। শুধু মার্ক জাকারবার্গের জন্যই ওয়েস্ট কোস্ট কাস্টমস নামের একটি প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় মিনিভ্যানটি তৈরি করেছে পোরশে। জাকারবার্গের নিজের জন্য কেনা গাড়িটির মডেল পোরশে ৯১১ জিটি৩। দুটি গাড়ির রংই ধূসর।প্রসঙ্গত ওয়েস্ট কোস্ট কাস্টমসের মাধ্যমে ক্রেতারা চাইলেই নিজের মতো করে গাড়ির নকশা ও বৈশিষ্ট্যে পরিবর্তন আনতে পারেন। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়াতে অবস্থিত এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমেই নিজের পছন্দের নকশায় স্ত্রীর জন্য পোরশে কেয়েন টার্বো জিটি মিনিভ্যান গাড়িটি তৈরি করেন মার্ক জাকারবার্গ।ইনস্টাগ্রামে মার্ক জাকারবার্গ লিখেছেন, ‘আরেকটা নতুন গল্প। প্রিসিলা একটি মিনিভ্যান চেয়েছিল, তাই আমি এমন কিছু নকশা করেছি। আমি নিশ্চিতভাবে এমন একটি নকশা করেছি, যা একটি পোরশে কেয়েন টার্বো জিটি মিনিভ্যান। আরেকটি ম্যানুয়াল জিটি–৩ নিয়েছি। পোরশে ও ওয়েস্ট কোস্ট কাস্টমকে ধন্যবাদ।’গত আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় নিজ বাড়ির পেছনের উঠানে স্ত্রী প্রিসিলা চ্যানের বিশাল ভাস্কর্য উন্মুক্ত করেন মার্ক জাকারবার্গ। রুপালি চাদরে আচ্ছাদিত ভাস্কর্যটিতে প্রিসিলা চ্যানের চেহারা সবুজ রঙে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া ও হাইপারবিস্ট এসএফ 

    Loading…