এইমাত্র
  • জাতি গঠনমূলক কাজে সশস্ত্র বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে: রাষ্ট্রপতি
  • অটোচালকদের রেললাইন অবরোধে ঢাকার সঙ্গে রেল যোগাযোগ বন্ধ
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত
  • সিরিয়ার ঐতিহ্যবাহী শহরে ইসরায়েলি হামলা, নিহত ৩৬
  • আজ ঢাকা কলেজ-সিটি কলেজের ক্লাস বন্ধ
  • রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
  • রাজধানীতে আজ ১২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়
  • ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই: প্রধান উপদেষ্টা
  • বিচারের শুদ্ধতায় ট্রাইব্যুনালে আপিলের বিধান রাখা হয়েছে : আইন উপদেষ্টা
  • সশস্ত্র বাহিনী দিবসে শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা
  • আজ বৃহস্পতিবার, ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২১ নভেম্বর, ২০২৪

    রাজনীতি

    সশস্ত্র বাহিনী জাতির গর্বিত প্রতিষ্ঠান: তারেক রহমান
    সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সব সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।তিনি বলেছেন, সশস্ত্র বাহিনী সাহস, শৌর্য ও শৃঙ্খলা দিয়ে তৈরি জাতির এক গর্বিত প্রতিষ্ঠান।বুধবার (২০ নভেম্বর) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বার্তায় এ কথা জানানো হয়েছে।বার্তায় বলা হয়, সশস্ত্র বাহিনী দিবস (২১ নভেম্বর) উপলক্ষে তারেক রহমান নিম্নোক্ত বাণী দিয়েছেন-সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে আমি বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সকল সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। সশস্ত্র বাহিনীর সব সদস্য ও তাদের পরিবারের অব্যাহত সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করি। এদিনে সশস্ত্র বাহিনীর উত্তরোত্তর উন্নতি ও অগ্রগতি কামনা করি এবং স্বাধীনতা যুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর শহিদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করি।সশস্ত্র বাহিনী সাহস, শৌর্য এবং শৃঙ্খলা দিয়ে তৈরি জাতির এক গর্বিত প্রতিষ্ঠান। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে এই বাহিনীর গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা ইতিহাসের এক সোনালি অধ্যায়। আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডত্ব রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীর দেশপ্রেমিক সদস্যরা অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করে চলেছে।বিশ্বশান্তি রক্ষায়ও তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা অগ্রগণ্য। জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা বাহিনীতে কর্মরত আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা কর্মদক্ষতা ও উঁচুমানের পেশাদারত্বের পরিচয় দিয়ে দেশের সুনাম বয়ে আনছে। দেশের সব প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় সশস্ত্র বাহিনী বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখে আজ জাতির আস্থার প্রতীকে পরিণত হয়েছে।স্বাধীনতার ঘোষক সাবেক রাষ্ট্রপতি শহিদ জিয়াউর রহমান বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীকে পরিবর্তনশীল বিশ্বের সঙ্গে সংগতি রেখে একটি আধুনিক, গতিশীল ও দক্ষ পেশাদার বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন করেছিলেন।আজকের দিনে আমি তার স্মৃতির প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা। আমি বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি মুক্তিযুদ্ধে নিজের জীবনদানকারী বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী মোস্তফা কামাল, বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর, বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী হামিদুর রহমান, বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন, বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান, বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক নুর মোহাম্মদ শেখ ও বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক মুন্সী আব্দুর রউফকে।সাবেক রাষ্ট্রপতি শহিদ জিয়ার সময় থেকেই বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী সুশৃঙ্খল, ক্ষিপ্র ও সদা তৎপর এক আধুনিক বাহিনীতে পরিণত হয়, যা বিশ্বের যে কোনো আধুনিক রাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর সমকক্ষ।পরে বিএনপি সরকারে থাকতে সশস্ত্র বাহিনীকে শহিদ জিয়ার গৃহিত কর্মসূচির ধারাবাহিক বাস্তবায়নের অগ্রগতি সাধিত করে এই বাহিনীকে আরও আধুনিকায়ন ও একে শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হয়েছে। ভবিষ্যতেও আমাদের এ প্রয়াস অব্যাহত থাকবে।আমি সশস্ত্র বাহিনী দিবসের সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করি।আল্লাহ হাফেজ, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।এসএফ 
    ফ্যাসিবাদের পুনরুত্থান ঘটলে কেউ রেহাই পাবে না: রিজভী
    আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পুনরুত্থান ঘটলে কেউ রেহাই পাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার ছাত্রজনতার আন্দোলনের ফসল। গণতান্ত্রিক যে শক্তি সমমানা দল, তাদের সঙ্গে তো এই সরকারের সম্পর্ক হওয়ার কথা ছিল। আজকে কোনোভাবে যদি শেখ হাসিনার পুনরুত্থান ঘটে, তাহলে অন্তর্বর্তী সরকারের যদি দু’একজন ভেতরে ভেতরে তাদের (আ.লীগ) সঙ্গে সম্পর্ক রাখেন, তাদের বাদ দিয়ে এই সরকারের তো কেউই রেহাই পাবেন না। আমরা কেউই রেহাই পাব না। আজকে যদি গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্য না থাকে, দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব থাকবে না।  বুধবার বিকালে নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।  সাবেক আইজি খোদা বকশ প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, ‘এখন কেউ কেউ উপদেষ্টা পরিষদে কিংবা প্রধান উপদেষ্টার কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেই আন্দোলনের স্বপক্ষের লোকদের টার্গেট করেন। খোদা বকশ একজন পুলিশের সাবেক আইজি ছিলেন। কিন্তু বিগত সাড়ে ১৫ বছর তার কি ভূমিকা ছিল? তিনি কয়জন লোককে চেনেন। আমরা প্রতিমুহূর্তে নিপীড়িত হয়েছি, বিএনপি অফিস ভেঙে চার-পাঁচবার নিয়ে গেছে আমাদেরকে। এখানে (বিএনপি অফিস) আমরা যারা বসে আছি, শেখ হাসিনার পতনের দিনও জেলখানায় ছিলাম। তার আগের দিন পর্যন্ত রিমান্ডে ছিলাম। গণতান্ত্রিক আন্দোলনের যে স্পিরিট, চেতনা, এটাকে কি তারা ধারণ করেন? ওটা তো তারা ধারণ করেন না। অথচ বড় বড় কথা বলেন, দেখাতে চান যে তারা অত্যন্ত নিরপেক্ষ। আপনি (খোদা বকশ) আইজি ছিলেন, বিএনপির সময় কি করতে পেরেছিলেন? আপনাদের কারণেই তো ১/১১ এসেছিল, অগণতান্ত্রিক শক্তি এসেছিল।’আলী ইমাম মজুমদার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘উপদেষ্টা পরিষদ হওয়ার পরে আলী ইমাম মজুমদার প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস করার জন্য ডিসি নিয়োগ দিলেন। বেছে বেছে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পক্ষে যারা প্রশাসনিক লোক ছিল তাদেরকে ডিসি নিয়োগ দিলেন। পরে নানা দিক থেকে বিতর্কিত হয়ে হয়তো এটা পরিবর্তন করেছেন। উনি নিঃসন্দেহে বুদ্ধিজীবী মানুষ, বুদ্ধির চর্চা করেন, পত্রিকায় লেখালেখি করেন। কিন্তু সাড়ে ১৫ বছর শেখ হাসিনার আমলে কখনোই কি গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পক্ষে একটি আর্টিকেল লিখেছেন? আমাদের সমর্থনে কি কখনো একটি কথা লিখেছিলেন অথবা জুলাই-আগস্টে তারা কি কোনো মতামত দিয়েছেন? কিন্তু তারা অন্তরের মধ্যে একটি মত ধারণ করেন সেটার প্রতিফলন আমরা দেখেছি উনি উপদেষ্টা হওয়ার পরে।’বিএনপির মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা শুনেছি- খোদা বকশ আসার পরে যারা বঞ্চিত ছিলেন, যারা আন্দোলনের পক্ষে সহানুভূতিশীল ছিলেন তাদের বিপক্ষেই উনি অবস্থান নিচ্ছেন। এটা খুবই রহস্যজনক ব্যাপার। টার্গেট করে তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে নিজের পছন্দকে বাস্তবায়ন করার জন্য তারা এই কাজগুলো করছেন। অথচ জেলখানার ভেতরে বসে সালমান এফ রহমান যে কারসাজি করছেন, নানা অপ-তৎপরতা চালাচ্ছেন, এটার ব্যাপারে তো আমরা কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখিনি। কারাগারের ভেতরে সালমান এফ রহমান রাজার হালে আছেন এবং ওইখান থেকে সমস্ত পরিকল্পনা করছেন, তার তো প্রমাণ আমরা পাচ্ছি। গার্মেন্টস সেক্টরের অধিকাংশ মালিক হচ্ছে আওয়ামী মনা ফ্যাসিবাদের পক্ষে। এই যে গার্মেন্টস সেক্টরকে অস্থিতিশীল করে তোলার পেছনে নিশ্চয়ই তার অবদান আছে। এগুলোর ব্যাপারে তো কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখিনি?’উপদেষ্টাদের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ‘মূল স্পিরিটের বাইরে কিছু কিছু উপদেষ্টার যে পদক্ষেপ, এটা আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে। এটা গোটা জাতিকে একটা শঙ্কার মধ্যে নিয়ে গেছে। এ কারণেই আজকে সালমান এফ রহমানদের মত লোকেরা কারাগারের ভেতরে থেকেও দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে এবং যারা এখনো গ্রেফতার হননি তারা বিপুল অংকের টাকা ছিটাচ্ছেন অস্থিতিশীল করার জন্য।’ডক্টর ইউনূস ও আসিফ নজরুলের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার গণআন্দোলনের সরকার, ছাত্রজনতার বিপ্লবের সরকার। এই সরকারের অনেকেই নির্যাতিত হয়েছেন। তারা কোনো রাজনৈতিক দল করেন না। কিন্তু স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য অনেকেই ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। স্বয়ং প্রধান উপদেষ্টা যিনি আওয়ামী শাসনকালে নিপীড়ন-নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তার স্যোশাল বিজনেস মাইক্রোক্রেডিট, যেটা গোটা বিশ্বব্যাপী অভিনন্দিত। এ কারণেই ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস সবার কাছেই শ্রদ্ধাভাজন একজন ব্যক্তি। কিন্তু সবাই তো তার মত এরকম নিপীড়ন-নির্যাতনের শিকার হননি। কেউ কেউ হয়েছেন, কারও কারও চেম্বার ভেঙে দেওয়া হয়েছে। ডক্টর আসিফ নজরুল অত্যন্ত স্পষ্ট ভাষায় ফ্যাসিবাদী সরকারের সমালোচনা করেছেন। এই কারণে নানাভাবে তাকেও হয়রানির শিকার হতে হয়েছে’। রিজভী বলেন, ‘খোদা বকশ বিএনপির আমলেই পুলিশের আইজি ছিলেন। বিএনপির বিরুদ্ধে এতো অত্যাচার, অবিচার! স্বয়ং বেগম খালেদা জিয়াকে একটি জরাজীর্ণ পরিত্যক্ত কারাগারে যেভাবে শেখ হাসিনা নির্যাতন করেছে। সেই সময়ে তো আলী ইমাম মজুমদার অথবা খোদা বকশ কোনো আর্টিকেল লেখেন নি, যে বিএনপির বিরুদ্ধে এত নিপীড়ন নির্যাতন চলছে। এখন এসে একটি স্থিতিশীল সরকারের মধ্যে কে ভালো কে মন্দ উনারা উনাদের বিবেচনা দিয়ে তাদের পছন্দ-অপছন্দ দিয়ে গণতন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।’ এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল, সহ-প্রচার সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য খন্দকার আবু আশফাক, মামুন হাসান, হাবিবুর রশিদ হাবিব, আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী, ফজলুর রহমান খোকন, রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ, রাশেদ ইকবাল খান প্রমুখ।এসএফ 
    রাজধানীর হাজারীবাগে ছুরিকাঘাতে আহত যুবদল নেতার মৃত্যু
    রাজধানীর হাজারীবাগে রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের জেরে ছুরিকাঘাতে আহত সাবেক যুবদল নেতা জিয়াউর রহমান জিয়া (৪০) মারা গেছেন। তিনি হাজারীবাগ থানার যুবদলের সাবেক যুগ্ন আহ্বায়ক ছিলেন।বুধবার (২০ নভেম্বর) ভোর রাতের দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলের আইসিইউতে মারা যান তিনি। গত ১৫ নভেম্বর হাজারীবাগের এনায়েতগঞ্জে এই ঘটনা ঘটে।নিহতের বড় ভাই মোহাম্মদ সায়েম বলেন, আমার ছোট ভাইকে ছাত্রদলের ক্যাডার সুমন ও জনিসহ কয়েকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমি আমার ছোট ভাইয়ের হত্যার বিচার চাই। ঘটনার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার ভাগ্নের বন্ধুকে তারা আটকে রেখেছিলো। পরে আমার ভাগ্নে সেখানে গেলে তাকে তারা মারপিট করে। কেন তারা আমার ভাগ্নেকে পিটিয়েছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারা আক্রমণ করে আমার ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করে।নিহতের ভগ্নিপতি জামিল উদ্দিন জানান, আমার শ‍্যালক জাতীয়তাবাদী যুব দলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। গত(১৫ নভেম্বর) এনায়েতগঞ্জের একটি মিলাদ মাহফিল শেষে বাসায় ফেরার পথে সুমন, বিল্লাল, রিপন, মাসুদসহ কয়েকজন আমার শ‍্যালককে কুপিয়ে গুরুতর যখম করে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ভোর রাতের দিকে সে মারা যায়।ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের আহ্বায়ক মো এনাম নাম বলেন, এই ঘটনার সাথে যারাই জড়িত থাকুক না কেন তাদেরকে অতিদ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে। জিয়া সব সময় ন্যায়ের পক্ষে ছিল এবং অন্যায় দেখলে সে প্রতিবাদ করত। সে আমাদের সাথে রাজপথের সহযোদ্ধাও ছিলেন। আমরা জাতীয়তাবাদী যুবদলের পক্ষ থেকে এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাই।এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাজারীবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, গত ১৫ নভেম্বর হাজারীবাগ এলাকায় একটি মারামারি হয়। এই ঘটনায় হাজারীবাগ থানা একটি মামলা হয়। এখন নতুন করে কোন মামলা নেয়ার দরকার নেই। ওই মামলায় একটি ধারা ৩০২ যুক্ত হবে বলে জানান তিনি।এসএফ 
    সশস্ত্র বাহিনী দিবসে সেনাকুঞ্জের অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
    সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে সেনাকুঞ্জে যোগ দিচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।বুধবার সন্ধ্যায় বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানান।তিনি জানান, আগামীকাল ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে বিকেল ৩টায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সেনাকুঞ্জের অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।এবি 
    আমরা আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে আনার কথা বলিনি: মির্জা ফখরুল
    বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, 'আমরা কাউকে নির্বাচনে আনতে চাই এমনটা বলিনি। গণ্যমাধ্যমে বিষয়টা সঠিকভাবে আসেনি। আমরা বলেছি আওয়ামী রাজনৈতিক দল, নির্বাচন করবে কি করবে না তা নির্ধারণ করবে জনগণ। জনগণ সিদ্ধান্ত নেবেন কারা রাজনীতি করবে কারা করবে না। আমরা সেখানে কিছু না।’ফেনীতে বেগম খালেদা জিয়ার পৈত্রিক বাড়িতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থী ও জনসাধারণের মাঝে শিক্ষা উপকরণ ও ঢেউটিন বিতরণ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ফুলগাজী উপজেলা শাখা। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেয়ার সময় তিনি এসব কথা বলেন।ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগের দস্যুরা পালিয়েছে। দেশের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। নতুন সরকার জঞ্জালগুলো পরিষ্কার করে একটা নির্বাচন দিবেন। সেই নির্বাচনের মাধ্যমে দেশ এগিয়ে যাবে। নতুন সরকার কাজ শুরু করেছে। রাতারাতি সব সম্ভব না। আমরা বলেছি নির্বাচনটা তাড়াতাড়ি করলে ভাল হয়।তিনি বলেন, মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘ ৬ বছর কারাভোগ করলেও অন্যায়ের সঙ্গে মাথা নত করেননি তিনি। গণতন্ত্র রক্ষায় আপোষহীন থেকে দেশের জন্য লড়ছেন।দুপুরে বেগম খালেদা জিয়ার পৈত্রিক বাড়ি ফুলগাজীর শ্রীপুরে ইস্কান্দার মজুমদার বাড়ির প্রাঙ্গণে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন, সাবেক সংসদ সদস্য রেহানা আক্তার রানু, চট্টগ্রাম বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মশিউর রহমান বিপ্লব।সার্বিক তত্ত্বাবধান করেন ফেনী-১ আসনের নির্বাচনী সমন্বয়ক ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু, সদস্য সচিব মোহাম্মদ রবিনসহ এতে জাতীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এবি 
    একাত্তরের কোনো ভুল প্রমাণিত হলে জাতির কাছে ক্ষমা চাইবে জামায়াত
    একাত্তরে জামায়াতে ইসলামী কোন ভুল করে থাকলে এবং তা যদি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়, তাহলে জাতির কাছে ক্ষমা চাইবেন বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। মঙ্গলবার পূর্ব লন্ডনের একটি রেস্টুরেন্টে যুক্তরাজ্যে বাংলা মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গিয়ে এ মন্তব্য করেন শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের ‘জাতীয় বীর’ হিসেবে স্বীকৃতি দিন। এ অভ্যুত্থানে দেশের সকল শ্রেণীর মানুষ অংশ গ্রহণ করেছিল। এমনকি দেশের বাইরে অবস্থানরত প্রত্যেকেই যার যার সাধ্য অনুযায়ী আমাদের সাথে যুদ্ধ করেছেন।প্রবাসীরা রেমিটেন্সের মাধ্যমে জন্মভূমি বাংলাদেশকে বিপুল সহায়তা করে যাচ্ছেন উল্লেখ করে জামায়াতের আমির বলেন, মনিটারি রেমিটেন্সের পাশাপাশি বাংলাদেশকে ইন্টেলিজেন্স রেমিটেন্স পাঠানোর জন্যেও আমি প্রবাসীদের কাছে আবেদন রাখছি। ইন্টেলিজেন্স রেমিটেন্স বাংলাদেশে বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশে বিরাটভাবে সহায়ক হবে। এভাবেই স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে প্রবাসীরা অপরিসীম অবদান রাখতে সক্ষম হবেন। বিগত সরকারের লাগামহীন দুর্নীতির কথা উল্লেখ করে ডা. শফিক বলেন, যে পরিমাণ উন্নয়ন করা সম্ভব হতো, সেটা আসলে হয়নি। বাংলাদেশে একটি উন্নয়ন প্রকল্পে যে ব্যয় দেখানো হয়েছে, আমাদের অঞ্চলের অন্যান্য দেশে সে ধরনের উন্নয়ন প্রকল্প তার তিন ভাগের এক ভাগ ব্যয়েই সম্পন্ন হয়েছে। আমাদের দেশে সময় মতো কোনো প্রকল্পের কাজ শেষ করা হয়নি, একের পর এক সময় বাড়ানো হয়েছে আর সেই সাথে বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে প্রকল্পের ব্যয়। এভাবেই দেশটাকে লুটেপুটে নিঃস্ব করা হয়েছে।একাত্তরে ভূমিকা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একাত্তরে আমরা কোনো ভুল করে থাকলে এবং তা যদি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়, আমি জাতির কাছে ক্ষমা চাইব। ব্রিটেনের কোর্ট চৌধুরী মাইনুদ্দিনের বিষয়ে বিচারের রায়ে আমাদের দেশে ওয়ার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের নামে যে বিচার হয়েছে তার অবজারভেশনে এখানকার বিচারপতিরা সে রায়কে জেনোসাইড অব জাস্টিস বলেছে। ১৫টি বছর আমাদেরকে আমাদের অফিসে বসতে দেয়নি, আমাদেরকে কথা বলতে দেয়নি, আমাদেরকে কোনো র‍্যালি করতে দেয়নি। আমরা সাংবাদিকদের মাধ্যমে জাতির কাছে যেতে পারিনি। ডা. শফিক আরও বলেন, জাতিগতভাবে অনৈক্য এবং দুর্নীতির কারণে আমরা জাতি হিসেবে আগাতে পারিনি। দুর্নীতি আমাদের জন্য একটি জাতীয় লজ্জার বিষয়। যুক্তরাজ্য নিজেদের দুর্নীতি থেকে অনেকটা মুক্ত রাখতে পারার কারণে সারা বিশ্বে নিজেদের একটা মর্যাদাপূর্ণ স্থানে নিয়ে যেতে পেরেছে। কিন্তু আমরা পারিনি। যারা সমাজ পরিচালনা করবেন তারা পরিচ্ছন্ন না হলে সমাজ পরিচ্ছন্ন হবে না। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর ইউরোপের মুখপাত্র ব্যারিস্টার আবু বকর মোল্লা। আবু সালেহ ইয়াহইয়ার পরিচালনায় অনুষ্ঠানে কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন ইমাম উদ্দিন এবং দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করেন শিল্পী কামাল হোসাইন। যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বাংলা মিডিয়ার অর্ধশতকেরও বেশি সাংবাদিক এতে অংশ নেন। এবি 
    তারেক রহমানের জন্মদিন আজ, পালন করলে কঠোর ব্যবস্থা
    আজ ২০ নভেম্বর, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৬০তম জন্মদিন আজ।  ১৯৬৫ সালের এই দিনে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।তবে দেশের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এ বছর দলের পক্ষ থেকে কোনো কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে না। এ বিষয়ে নিষেধাজ্ঞাও রয়েছে দলটির। তা না মানলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তারেক রহমানের কঠোর নির্দেশনার কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।১৯৬৫ সালে জন্ম নেওয়া তারেক রহমান সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বড় ছেলে। তাঁর ডাকনাম পিনো। তিনি ২২ বছর বয়সে ১৯৮৮ সালে বগুড়ার গাবতলী থানা বিএনপির সদস্য হন।১/১১ সরকারের সময় বিদ্যমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তারেক রহমান ২০০৮ সালে লন্ডনে চলে যান। এরপর থেকে তিনি সপরিবারে সেখানেই বসবাস করছেন।  ২০০১ সালের নির্বাচনে মায়ের পাশাপাশি তারেক রহমানও দেশব্যাপী নির্বাচনি প্রচার চালান। ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ ষষ্ঠ কাউন্সিলে তারেক রহমান দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর থেকে (এখন কারামুক্ত তিনি) তিনি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন।জন্মদিনে কোনো অনুষ্ঠান নয় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে কোনো প্রকার অনুষ্ঠান করা হবে না বলে আগেই ঘোষণা এসেছিল। গতকাল এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দলীয় নেতা-কর্মীদের বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দেন দলের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, দেশব্যাপী বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আবারও স্মরণ করিয়ে দেওয়া হচ্ছে যে, ২০ নভেম্বর বুধবার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে কোনো প্রকার অনুষ্ঠান হবে না। নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। 
    আমার নামের সঙ্গে ‘দেশনায়ক’ ‘রাষ্ট্রনায়ক’ ব্যবহার করবেন না
    বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ার‌ম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আমি একজন সহকর্মী হিসেবে অনুরোধ রইলো ও আপনাদের নেতা হিসেবে আমার- দয়া করে আমার নামের সঙ্গে আজকের পর থেকে দেশনায়ক, রাষ্ট্রনায়ক ব্যবহার করবেন না।মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর কাকরাইলে ইন্সটিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক কমিটির আয়োজিত ঢাকা বিভাগীয় কর্মশালায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ অনুরোধ করেন।এ সময় ষড়যন্ত্র এখনো থেমে যায়নি বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বিভিন্ন পত্রপত্রিকার মাধ্যমে বুঝা যাচ্ছে- দেশের কোথাও একটা ষড়যন্ত্র চলছে। তাই জনগণকে সচেতন করতে হবে। জনগণকে সঙ্গে রাখতে হবে, থাকতে হবে। একই সঙ্গে দেশ ও জনগণকে নিয়ে আমাদের যে লক্ষ্য, সেই ৩১ দফার প্রত্যকটি কথা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। আমাদেরকে জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে, তখন জনগণ জবাব চাইতে শুরু করবে। জনপ্রতিনিধিরা জানবে যে তাদেরকে জনগণের কাছে ফিরে যেতে হবে। সেটি ভোটের জন্য হোক কিংবা জবাবদিহিতার জন্য হোক।‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি’ শীর্ষক এই কর্মশালা হয়। এতে ঢাকা বিভাগের প্রত্যেকটি মহানগর, জেলা, উপজেলা মুল দল ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা কর্মশালায় অংশ নেন। বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক কমিটির নেতারা দিনব্যাপি প্রশিক্ষণ দেন। এ সময় রাষ্টকাঠামো সংস্কার নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও প্রশিক্ষকরা। এর আগে সকালে কর্মশালা উদ্বোধন করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় দেখেছি, অনেকেই অনেক সংস্কারের কথা বলছে। রাষ্ট্র সংস্কারে ৩১ দফা আমাদেরকে (নেতাকর্মী) মাঠে নিয়ে যেতে হবে। শুধু ঘরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না। দফায় উল্লেখ থাকা বিষয়গুলো প্রান্তিক পর্যায়ে পৌচ্ছাতে হবে। বিএনপির মুল দলের নেতৃত্বে অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন মিলে ভাগে ভাগে গ্রামে থেকে ইউনিয়নে ছোট ছোট উঠান বৈঠকের প্রস্তুতিও নিতে হবে।তিনি বলেন, আগামী দিনে বাংলাদেশে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে, আমরা যদি দল ও নেতাকর্মীদেরকে ঐক্য বজায় রাখতে পারি, জনগণের চাহিদা অনুযায়ী চলতে পারি তাহলে বিএনপি সরকার গঠন করবে। এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করছে নেতাকর্মীদের নেতৃত্বের ওপর। অতীতে যেভাবে আমরা ১৯ দফার আলোকে দেশ পরিচালনা করেছি, এর সঙ্গে আরো কিছু ধারা যোগ করে ৩১ দফা দিয়েছে। যার মাধ্যমে ভবিষৎতে আমরা দেশে পরিচালনা করতে চাই। প্রথমে ছিলো ২৭ দফা, পরবর্তীতে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে যেসব দল আমাদের সঙ্গে শরিক ছিলেন তাদের মতামতের ভিত্তিতে ৩১ দফা গঠিত হয়েছে। গণতন্ত্রে বিশ্বাসী বাংলাদেশে যতগুলো দল আছে তাদের সম্মিলিত চিন্তার ফসলই হচ্ছে ৩১ দফা।তিতুমীর কলেজের ছাত্রদলের একনেতা বক্তব্যের উদ্ধৃত করে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, জনগণের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক মুক্তি যদি না হয়, তাহলে যে সংস্কারই করি না কেন কোনটি কাজে লাগবে না। রাজনৈতিক মুক্তি হচ্ছে জনগণের কাছে জবাবদিহি। যার যা ইচ্ছা করে যাবে, সেটি হবে না। সরকারি দল, বিরোধী দল, এমপি, মন্ত্রী যেই হোক, জনগণের কাছে এর জবাব দিতে হবে। আর এটি নিশ্চিত করতে হলে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ভোটের মাধ্যমেই জবাবদিহিতা তৈরি হবে। যার জন্য আমাদের হাজারো সহকর্মী গুম, খুন হয়েছে। আমরা যুদ্ধ করেছি ভোটের অধিকার, কথা বলার অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। কাজেই যে কোনো মূল্যে এই অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে, জনগণকে সচেতন করার মাধ্যমে।তিনি বলেন, একটি রাজনীতি রুগ্ন হলে অর্থনীতি রুগ্ন হয়। রাজনীতি ও অর্থনীতি রুগ্ন হলে, স্বাস্থ্য, শিক্ষা সব ব্যবস্থাই রুগ্ন হবে। মানুষ কোনো সুফল পাবে না। কাজেই প্রথম কাজ হচ্ছে দেশের মানুষের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করা, জবাবদিহিতাকে প্রতিষ্ঠিত করা। স্বৈরাচারের সময়ে দেশে কোনো জবাবদিহিতা ছিলো না, যার কারণে মানুষ গুম-খুন হয়েছে, নিশি রাতে ভোট হয়েছে, ডামি নির্বাচন হয়েছে। জবাবদিহিতা ছিল না বলেই প্রশাসনে ও বিচার বিভাগে অবস্থা অবনতি হয়েছে, দেশ থেকে লাখ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। এসব কিছু আমাদেরকে ঠিক করতে হলে অবশ্যই জবাবদিহিতাকে আমাদেরকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। সেটি সম্ভব সঠিক ভোট প্রয়োগ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে।তিনি আরও বলেন, আমাদেরকে যেকোনো মূল্যে শিক্ষার ওপর জোর দিতে হবে। প্রাইমারি শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর বেশি জোর দিতে হবে। শিক্ষকদের ওপর জোর দিতে হবে। মৌলিক মূল্যবোধ সৃষ্টি করতে হবে। দুর্নীতি নির্মূল করতে হলে প্রাইমারি স্কুল থেকে শুরু করতে হবে। শিক্ষার পাশাপাশি জনগণের স্বার্থের দিতে আমাদেরকে নজর দিতে হবে। প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁচ্ছে দিতে হবে।কর্মসংস্থানের বিষয়ে তারেক রহমান বলেন, দেশে এক কোটির বেশি বেকার রয়েছেন। আমাদের ৩১ দফার উল্লেখ আছে, বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে তাদেরকে এক বছর পর্যন্ত সহায়তা করবো, কিংবা ভাতা, কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবো। আমাদের প্রায় এক কোটির বেশি মানুষ প্রবাসে আছেন। এদের মধ্যে অনেকই কর্মংস্থান সর্ম্পকে অভিজ্ঞ নয়, তাদের জন্য প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করা হবে। আমাদের গার্মেন্টস ও রেমিটেন্সের বাইরে নতুন সেক্টর তৈরির সম্ভাবনা সৃষ্টি করার করার সুযোগ আছে। আমি চেষ্টা করি, হয়তো অত দ্রুত পারবো না। অনেকাংশে সমস্যা কমিয়ে আনতে সক্ষম হবো। রাতারাতি সব হবে না। দেশ সবার, প্রত্যেকের অবস্থান থেকে একটু একটু এগিয়ে আসি। প্রত্যেকে যদি চেষ্টা করি তাহলে ভালো কিছু করতে সক্ষম হবো।এরআগে প্রশ্ন উত্তর পর্বে তারেক রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী দু’বারের বেশি হতে পারবেন না, তবে সংসদ সদস্যের মেয়াদ নির্ধারণের বিষয়টি জনগণের ওপর নির্ভরশীল। যদি জনগণ কাউকে বিশ্বাস করে ও ভালোবাসে, তাহলে তিনি বারবার সংসদ সদস্য হতে পারবেন। না হলে তা সম্ভব হবে না।বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী ছাইয়্যেদুল আলম বাবুলের সভাপতিত্বে কর্মশালা সঞ্চালনা করেন বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষন কমিটির সদস্যসচিব এবিএম মোশাররফ হোসেন। ৩১ দফা নিয়ে দিনব্যাপি প্রশিক্ষণ দেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ বিষয়ক কমিটি আহ্বায়ক ও স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, প্রশিক্ষন কমিটির সদস্য -বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল, কেন্দ্রীয় নেতা রাশিদা বেগম হীরা, অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান, অ্যাডভোকেট নেওয়াজ হালিমা আরলী, আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন এবং আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী।এসএফ 
    অবিলম্বে সরকারকে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর হওয়ার আহ্বান
    অবিলম্বে সরকারকে বাজারের দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়ে মশাল মিছিল করেছে শ্রমিকরা।মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট ঢাকা মহানগর শাখা মশাল মিছিলের আয়োজন করে। পল্টন মোড় থেকে মশাল মিছিল নিয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে গুলিস্তান অভিমুখে মশাল মিছিলটি রওনা দেয়।সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সংগঠনের ঢাকা মহানগরের সভাপতি আখতারুজ্জামান খান বলেন, বাজারের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের অগ্নিমূল্যের কারণে স্বল্প আয়ের শ্রমিক জনতা দিশেহারা। চাল-ডাল, আলু, তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দামের সঙ্গে তাদের আয়ের কোনো সামঞ্জস্য নেই। ফলে অনেক শ্রমিক অনাহারে জীবন দিনাতিপাত করতে বাধ্য হয়। অবিলম্বে সরকারকে বাজারের দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করার আহ্বান জানান তারা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ দত্ত সহসভাপতি আবু সাঈদ প্রমুখ।এসএফ
    দ্বিতীয় শহিদ ওয়াসিমের নাম পাঠ্যপুস্তকে না রাখা চরম বৈষম্যমূলক
    অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পাঠ্যপুস্তকে শহিদ আবু সাঈদ এবং মীর মুগ্ধের নাম অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিলেও গণঅভ্যুত্থানে দ্বিতীয় শহিদ চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রদলের সদস্য শহিদ ওয়াসিম আকরামের নাম বাদ দেওয়া চরম বৈষম্যমূলক পদক্ষেপ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ছাত্র সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির।ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক বলেন, শহিদ ওয়াসিম আকরাম ছাত্রদলের নেতা এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একনিষ্ঠ কর্মী হওয়ার কারণেই তার নাম পাঠ্যপুস্তক থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।মঙ্গলবার সকালে ফরিদপুরের সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ এবং সরকারি ইয়াসিন কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্ররাজনীতির রূপরেখা নিয়ে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির।তিনি আরও বলেন, ‘আবু সাইদ, ওয়াসিম ও মুগ্ধ- এই তিনজন বীর শহিদ জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের আইকনে পরিণত হয়েছিল। তাদের আত্মত্যাগ আরও দুই হাজারেরও অধিক বীর শহিদদের অনুপ্রাণিত করেছে। তরুণ প্রজন্মকে সাহসের প্রেরণা দিয়েছে। কিন্তু ছাত্রদলের নেতা হওয়ার কারণে দ্বিতীয় শহিদ হওয়া সত্ত্বেও শহিদ ওয়াসিম আকরামের নামটি বিষয়ে সরকার অবহেলা করছে।তারা পাঠ্যপুস্তক থেকে বাদ দিচ্ছে, সরকারি কোনো সভা-সমাবেশেও শহিদ ওয়াসিম আকরামের নাম স্মরণ করা হয় না। ছাত্রদল পরিচয়ে শহিদ হওয়ার কারণে কোনো শহিদের প্রতি বৈষম্য করা গণঅভ্যুত্থানের মূল চেতনার পরিপন্থি।’এর আগে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ফরিদপুরের কলেজ দুটির সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে ভবিষ্যতে ছাত্ররাজনীতির রূপরেখা কেমন হওয়া উচিত- তা জানতে চান। শিক্ষার্থীরা অতীতে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসনির্ভর রাজনীতির ভীতিকর দিক তুলে ধরেন। ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করেন, ছাত্রদল জোর করে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করানো, সিট বাণিজ্য, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসের রাজনীতি করবে না। ছাত্রদল একুশ শতকের উপযোগী মেধাভিত্তিক কল্যাণমুখী গণতান্ত্রিক রাজনীতি চর্চা নিশ্চিত করবে। সেই লক্ষ্যে সারা দেশে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে ছাত্রদল নেতারা ছুটে যাচ্ছে বলে নাছির উদ্দীন জানান। তিনি এ সময় শিক্ষার্থীদের মাঝে তারেক রহমান কর্তৃক ঘোষিত রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা রূপরেখা সংবলিত লিফলেট বিতরণ করেন। রাষ্ট্র সংস্কার বিষয়ে বিএনপি এবং তারেক রহমানের চিন্তাভাবনা সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে ব্যাখ্যা করেন। নাছির উদ্দীন নাছির বলেন, ছাত্রদলের বুদ্ধিভিত্তিক রাজনীতি চর্চার কারণে ছাত্ররাজনীতির প্রতি সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভীতি কাটতে শুরু করেছে। কোনো ক্যাম্পাসে কাউকে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের মতো কলুষিত রাজনীতির চর্চা করতে দেওয়া হবে না। ছাত্রলীগ এবং ছাত্রলীগের কলঙ্কিত রাজনীতিকে সারা দেশের শিক্ষার্থীরা প্রত্যাখ্যান করেছে।এসএফ 
    সশস্ত্র বাহিনী দিবসে খালেদা-তারেকসহ বিএনপির ২৬ নেতাকে আমন্ত্রণ
    আগামী ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবস। এ উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দলের ২৬ নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।তিনি বলেন, সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ থেকে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার এটি গ্রহণ করেছেন।শায়রুল কবির খান আরও বলেন, সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দলের ২৬ জনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এসএফ
    যারা সংস্কারের কথা বলেছেন সংগ্রামে তাদের অনেককেই দেখি নাই: মঈন খান
    বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, আজকে যারা সংস্কারের কথা বলেছেন তাদের  অনেককে আন্দোলন সংগ্রামে দেখি নাই। তিনি বলেন, আজকে আমরা দেখছি, যারা বিখ্যাত লোক, বড় বড় টেলিভিশনে বক্তব্য দিচ্ছেন, বিগত বছরগুলোতে যখন বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশ, এসবি, ডিবির অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়েছিল, যাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে এক লক্ষ, ৬০ লাখ আসামি করা হয়েছে। রাতের অন্ধকারে ধান ক্ষেত দিয়ে পালিয়ে যেতে হতো তাদের কথা ভাবুন।  এটাই হচ্ছে বাংলাদেশের বিপ্লবের মূল সত্য, এই সত্যকে অস্বীকার করতে পারবে না।মঙ্গলবার সকালে ইন্সটিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে বিএনপি’র প্রশিক্ষণ বিষয়ক কমিটির উদ্যোগে 'রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি' শীর্ষক কর্মশালার ঢাকা বিভাগ অংশের উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। কর্মশালাটি পর্যায়ক্রমে দেশের সবগুলো বিভাগে আয়োজন করা হবে বলেও জানান তিনি।মঈন খান বলেন, জুলাই-আগস্টের বিপ্লবের কৃতিত্বদারি কোন একজন মানুষ নয়। এই গৌরবের অধিকারী দেশের প্রতিটি মানুষ যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। এই গণতন্ত্রের জন্যই ১৯৭১ সালে লাখ লাখ মানুষ জীবন দিয়েছিল।বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনচেতা উল্লেখ করে বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, তাই পাকিস্তানকে তাড়িয়েছে, বাকশালকে তাড়িয়েছে। তাই ৩১ দফা কে উপলব্ধি করতে চাইলে এই প্রেক্ষাপটকে উপলব্ধি করতে হবে।অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, এই সরকারকে উপলব্ধি করতে হবে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যে সংস্কারগুলো অত্যাবশকীয় দরকার সেই সংস্কারগুলো করে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে হবে। এটা আমার কথা নয়, একজন রিকশাচালক, দিনমজুর, গৃহশ্রমিক, নারী শ্রমিককে জিজ্ঞেস করুন। এই তরুণ সমাজকে জিজ্ঞেস করুন যারা বিপ্লব এনেছে তারা কি ভোটার হয়ে একবারও ভোট দিতে পেরেছে? পারে নাই। তাই ভোটের অধিকার ১২ কোটি ভোটারের মাঝে ফিরিয়ে দিতে হবে।তিনি বলেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ সত্যিকার জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে একটি সংসদ গঠন করবে। সেই সংসদ একটি সরকার গঠন করবে। ইনশাআল্লাহ জনগণ যদি আমাদের ভোট দেয়, আমরা জনগণকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি সে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী জনগণের কল্যাণে এই ৩১ দফা সংস্কার আমরা করব।অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারই উল্লেখ করে বিএনপির এই সিনিয়র নেতা আরও বলেন, মানবসভ্যতার ইতিহাস যদি পর্যালোচনা করেন তাহলে একটি বিষয় দেখবেন সেটি হলো মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সে জন্য সহস্র বছর ধরে মানুষ আন্দোলন করেছে, নিজের রক্ত ঢেলে দিয়েছে।প্রশিক্ষণ কর্মশালার দ্বিতীয় সেশনে বিকালে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী ছাইয়্যেদুল আলম বাবুলের সভাপতিত্বে কর্মশালা সঞ্চালনা করছেন বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য সচিব এবিএম মোশাররফ হোসেন।এসএফ 
    শেখ হাসিনা আবার ফিরে আসুক বিএনপি তা চায় না: ফখরুল
    অন্তর্বর্তী সরকারকে ইঙ্গিত করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সন্দেহ কিন্তু আপনাদের ওপর আসতে শুরু করেছে। আমরা তো চাই, সরকার সাফল্য অর্জন করুক। তাদের সাফল্য মানে আমাদের সাফল্য। তারা ব্যর্থ হলে আমরা ব্যর্থ হব। আমরা চাই না শেখ হাসিনা আবার ফিরে আসুক। আওয়ামী লীগের দুঃশাসন আবার ফিরে আসুক।মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয়তাবাদী পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় এমন মন্তব্য করেন তিনি।মির্জা ফখরুল বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠেছিলেন শেখ হাসিনা। তিনি আবার ফিরে আসুক বিএনপি তা চায় না।আন্দোলনে ছাত্রদের অবদানের কথা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন-সংগ্রাম করলেও আওয়ামী লীগ সরকারকে হটাতে চূড়ান্ত ধাক্কা দিতে পারেনি। শেষ মুহূর্তে শিক্ষার্থীরা সেই অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন। গত ১৫ বছরে দেশের সব অর্জন ও প্রতিষ্ঠানসমূহ ধ্বংস করে দিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার।বিএনপি মহাসচিব বলেন, বর্তমানে দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে নিয়ে আসাকেই মূল অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। সংখ্যালঘুদের নিয়ে, গার্মেন্টস নিয়ে এখন নানা ষড়যন্ত্র চলছে। একটা নির্বাচিত সরকার থাকলে এ ষড়যন্ত্র করা যাবে না।নির্বাচন কমিশন সংস্কার করে আবারও দ্রুত নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, নিজেদের স্বার্থে নয়, জাতির স্বার্থে নির্বাচন চাচ্ছে বিএনপি। রাষ্ট্রের স্থিতিশীল পরিবেশ নিশ্চিতে নির্বাচিত সরকার প্রয়োজন।মির্জা ফখরুল বলেন, সংস্কারের ক্ষেত্রে একটা বিষয়ে ফোকাস করতে হবে। বাকি সংস্কার ও কাজগুলো নির্বাচিত সরকার করবে। বিএনপি নির্বাচিত হলে সব দলের অংশগ্রহণে জাতীয় সরকার গঠন করার কথা পুনরায় বলেন তিনি।এসএফ 
    অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যেই ঘাপলা আছে: রিজভী
    বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যেই কোথাও কোনো ঘাপলা আছে। এ সরকারের কারো মধ্যে কোনো মাস্টারপ্ল্যান আছে কিনা- এটা আমাদের ভাবিয়ে তুলছে।সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর উদ্যোগে জুলাই-অগাস্টের আহত ১০ জনের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণের আগে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিএনপিসহ গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দলগুলোর সমর্থনে অন্তর্বর্তী সরকার দেশ চালাচ্ছে- এমন মন্তব্য করে রিজভী বলেন, গতকাল আন্তর্জাতিক মিডিয়াতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান একটি স্বাক্ষাৎকারে বক্তব্য দিয়েছেন। সেই বক্তব্যে আমার মনে একটি প্রশ্ন জেগেছে। তিনি বলেছেন, ‘চার বছর লাগবে সংস্কার করতে’, কিন্তু কেন? বিএনপি নেতা বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমাদের লড়াই। বাক স্বাধীনতার জন্য লড়াই। যে ছেলেদের আজ ২০-২২ বছর বয়স, তারা ভোট দিতে পারেনি। তারা ভোট দেওয়া জানে না। তারা আর কত সময় অপেক্ষা করবে? অন্তর্বর্তী সরকার হবে গণতন্ত্রের প্রতীক, গণতন্ত্রের মডেল। তা না করে এই যে প্রলম্বিত করা, এই প্রলম্বিত করা আমার মনে হচ্ছে- কোথাও কোনো জটিলতা হচ্ছে। গণতন্ত্র চর্চা ও গণতন্ত্রের বিকাশ কোথাও কোন সমস্যা হচ্ছে। তা না হলে তিনি কেনো এ কথা বলছেন? এত লম্বা সময়ের কথা বলছেন। এ সরকারের মধ্যেই কোথাও কোনো ঘাপলা আছে। এ সরকারের মধ্যেই কেউ মাস্টার প্ল্যান আসছে কিনা এটা আমাদের ভাবিয়ে তুলছে।বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, আওয়ামী লীগ কত পোপাগান্ডা ছড়িয়েছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নিজে বলেছে ‘বিএনপি ক্ষমতায় আসলে আওয়ামী লীগের এক লক্ষ মানুষ মারা যাবে’। কোথায় এক লক্ষ মানুষ মারা গেল? রিজভী বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় শেখ হাসিনা বলেছিল ‘মালয়েশিয়ায় তারেক রহমানের নামে ইন্ডাস্ট্রি আছে, কারখানা আছে’। এগুলো প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করত আওয়ামী লীগ। তিনি বলেন, কাজের মধ্যে যদি ন্যায্যতা থাকে, তাহলে সেই কাজ সফল হয়। আর কাজের মধ্যে যদি অন্যায়-অবিচার থাকে, তাহলে সেই কাজ কখনো সফল হয় না। আমাদের বিএনপির পরিবার ন্যায্যতার সঙ্গে মানবসেবায় তৃণমূল পর্যন্ত কাজ করে যাচ্ছে।‘আমরা বিএনপি পরিবার’ সংগঠনের আহ্বায়ক সাংবাদিক আতিকুর রহমান রুমনের সভাপতিত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মীর হেলাল, কেন্দ্রীয় নেতা আশরাফ উদ্দিন বকুল, মাহমুদুর রহমান সুমন, বিএনপি নেতা ড.এম এ মুহিত প্রমুখ।এসএফ 
    ক্ষমতায় গেলে শহীদদের নামে প্রতিষ্ঠানের নামকরণের প্রস্তাব করবে বিএনপি
    বিএনপি ভবিষ্যতে সরকার গঠনে সক্ষম হলে সারাদেশে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে শহীদদের নামে স্থান ও প্রতিষ্ঠানের নামকরণের প্রস্তাব করবে— এমনটা জানিয়েছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।‘আমরা বিএনপি পরিবারের’ আয়োজনে ’২৪ এর গণআন্দোলনে পঙ্গুত্ববরণকারী ছাত্র-জনতা ও দুস্থদের মাঝে সোমবার (১৮ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে হুইল চেয়ার বিতরণ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে দেয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।তারেক রহমান বলেন, স্বৈরাচার মুক্ত বর্তমান পরিস্থিতি তৈরি করতে বিগত ১৭ বছরে বহু মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য বিএনপির বহু নেতাকর্মী আত্মাহুতি দিয়েছে। চব্বিশের অভ্যুত্থানেও বহু নেতাকর্মী শহীদ হয়েছেন। তাদের পাশে যতটুকু সম্ভব সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দাঁড়ানো সবার দায়িত্ব।তিনি আরও বলেন, বিএনপি আগামীতে সরকারে গেলে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যেসব পরিবারে এ ধরনের পঙ্গু মানুষ আছে, তাদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়া হবে। বাংলাদেশের মানুষকে বলতে চাই। সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিন। সংগঠন জরুরি না।এসএফ

    Loading…