এইমাত্র
  • সমন্বয়ক রাফিকে শেষ করে দেওয়ার হুমকি ছাত্রলীগের সাবেক নেতা রব্বানীর
  • ছাদ ভেঙ্গে আহত বলিউড তারকা অর্জুন কাপুর
  • ‘টেসলা’র ধাক্কায় গুরুতর জখম অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন
  • 'পিনিক'র পোস্টারে খাঁচায় বন্দি চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী
  • সারা রাত শুটিং করতেও কষ্ট লাগে না: জান্নাতুল সুমাইয়া হিমি
  • নিখোঁজের সাতদিন পর সেপটিক ট্যাংকে মিলল যুবকের মরদেহ
  • ‘সংস্কারের নামে বিরাজনীতিকরণের দুরভিসন্ধি দেখতে চাই না’
  • কুষ্টিয়ায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক ৫
  • রাজনীতিতে একটি গুণগত পরিবর্তন আনতে হবে: আমির খসরু
  • রোহিত শর্মাকে অধিনায়ক করে ভারতের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দল ঘোষণা
  • আজ রবিবার, ৫ মাঘ, ১৪৩১ | ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫

    রাজনীতি

    ‘সংস্কারের নামে বিরাজনীতিকরণের দুরভিসন্ধি দেখতে চাই না’
    সংস্কার কার্যক্রমের নামে বিরাজনীতিকরণের কোনো দুরভিসন্ধি দেখতে চাই না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন।শনিবার (১৮ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও, আন্দোলন’ আয়োজিত এক নাগরিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, সংবিধান মেনে গণঅভ্যুত্থান হয় না। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গণঅভ্যুত্থানের পর নির্বাচন হয়েছে। গণঅভ্যুত্থানের পর শ্রীলঙ্কায় নির্বাচন হয়েছে, তিউনিশিয়ায় নির্বাচন হয়েছে। সেসব দেশে কি সংস্কারের নামে বছরের পর বছর সময় নেওয়া হয়েছে।তিনি বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের শাসন কায়েম হয়েছে, এটাই হচ্ছে নিয়ম। সংস্কার হচ্ছে জনগণের শাসন কায়েম করা, জনগণ তাদের ভোটের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করবে। সুতরাং সংস্কারের নামে বছরের পর বছর সময়ক্ষেপণ করা, সেটা আমরা চাই না। তিনি আরও বলেন, দেশের স্বার্থে, জনগণের কল্যাণে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনৈতিক দল সংস্কার কর্মসূচি গ্রহণ করবে। সংস্কারের নামে বিরাজনীতিকরণের কোনো দুরভিসন্ধি কারও মাথায় যেন না থাকে। আমরা তা দেখতে চাই না। সেজন্য গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দিকে আমাদের দৃষ্টি রাখতে হবে। অবিলম্বে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানিয়ে বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্যই আমরা ১৭ বছর আন্দোলন করেছি। নির্বাচনের জন্যই যেন আবার আমাদের রাস্তায় নামতে না হয়, মাঠে যেন নামতে না হয়, সেটাই বর্তমান সরকারকে ভেবে দেখতে বলব।নাগরিক সমাবেশে ভাসানী অনুসারী পরিষদের সভাপতি রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, ১৬ বছর আমরা ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। আমরা বিএনপির ২৭ দফা এবং গণতন্ত্র মঞ্চের চার দফা নিয়ে ৩১ দফা দিয়েছি। আমরা ৩১ দফা নিয়ে জনগণের কাছে গিয়েছি। জনগণ ৩১ দফা গ্রহণ করেছে। আগামী দিনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটে তারেক রহমানের নেতৃত্বে জনগণের সরকার গঠিত হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।লেবার পার্টির একাংশের সভাপতি লায়ন ফারুক রহমান বলেন, শেখ মুজিবের ফ্যাসিস্ট কন্যা হাসিনা বাংলাদেশ থেকে পালিয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারকে বলতে চাই, যদি ভারতের প্রেসক্রিপশন বাস্তবায়ন করতে চান, তাহলে আপনারা গণ শত্রুতে পরিণত হবেন।দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের সভাপতি বাবলু, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, সমবায় দলের সভাপতি নূরে আফরোজা জ্যোতি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আরিফা সুলতানা রুমা আক্তার, আইনজীবী সম্রাট শাহজাহান প্রমুখ।এবি 
    রাজনীতিতে একটি গুণগত পরিবর্তন আনতে হবে: আমির খসরু
    বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, দীর্ঘ আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় স্বৈরাচারী শেখ হাসিনাকে বিদায় করেছি। তবে মুক্ত চিন্তা ব্যতীত কোনো জাতি সামনের দিকে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমাদের রাজনীতিতে একটি গুণগত পরিবর্তন আনতে হবে।শনিবার (১৮ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে মুক্ত চিন্তা বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত জিয়াউর রহমানের ৮৯ জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আমির খসরু বলেন, ধারাবাহিক রাজনৈতিক বক্তব্য দিলে মনে হয় বাংলাদেশের জনগণ আর মেনে নিতে পারবে না। শেখ হাসিনা বিদায় হওয়ার পর বাংলাদেশের মানুষ বিরাট একটি মনোভাব তৈরি করেছে। মানুষের মনে যে প্রত্যাশা জেগেছে যে আকাঙ্ক্ষা দেখেছে যে নতুন বাংলাদেশ দেখতে চাচ্ছে সেটি আমাদের ধারণ করতে হবে। রাজনৈতিক হিসেবে ধারণ করতে হবে দল হিসেবে ধারণ করতে হবে। নতুন বাংলাদেশ কীভাবে গড়ব, সে বিষয়ে আমাদের প্রত্যেকটি বিষয়ের উপর অবস্থান থাকতে হবে।বিএনপির এই শীর্ষস্থানীয় নেতা বলেন, জিয়াউর রহমান একজন রাজনীতিবিদ ছিলেন। ক্ষমতা নেওয়ার পর তিন বছরের মধ্যে দেশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করে। কৃষক-শ্রমিক ব্যবসায়ী প্রত্যেকটি বিষয়ের ওপর তিনি নজর রাখতেন।তিনি বলেন, তারেক রহমান বলেছেন কোনো প্রতিহিংসার রাজনীতি হবে না। যারা অপরাধ করেছে তাদের সঠিক বিচার করে আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। যারা খুন হয়েছে গুম হয়েছে তাদের পরিবারের সাহায্য সহযোগিতা করতে হবে এবং যারা অপরাধ করেছে তাদের সঠিক বিচার করতে হবে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকার জন্য ফ্যাসিস্ট রেজিম তৈরি করে দেশের সকল প্রতিষ্ঠান একদলীয় কায়েম করে ধ্বংস করে দিয়েছে, এমনকি সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ধ্বংস করেছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ডক্টর এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভিসি অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান, অধ্যাপক ড. তাজমেরী এস এ ইসলাম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডক্টর শামীমা সুলতানা প্রমুখ।এবি 
    কর ও ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আহ্বান বিএনপির
    সাধারণ জনগণের ওপর কর ও ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে অন্তর্বর্তী সরকারকে আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।আজ শনিবার (১৮ জানুয়ারি) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কর্তৃক আরোপিত কর ও ভ্যাট জনগণের ভোগান্তি আরও বৃদ্ধি করবে’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম এ আহ্বান জানান।তিনি বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি যে, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার চলমান অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা তথা উচ্চ মূল্যস্ফীতির মধ্যেই ১০০ টিরও বেশি পণ্যের ওপর ভ্যাট এবং সম্পূরক শুল্ক আরোপ করেছে। এই সিদ্ধান্ত সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনে, বিশেষ করে দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠীর ওপর নেতিবাচক অর্থনৈতিক প্রভাব ফেলবে, চাপ বাড়াবে।মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, সরকারের বক্তব্য থেকে বোঝা যায় তারা চলতি অর্থবছরের বাজেট ঘাটতির প্রথম ধাপের ৪২ হাজার কোটি টাকা এবং পরবর্তী সম্ভাব্য ঘাটতি মেটাতে ও ট্যাক্স-জিডিপি শর্ত পূরণ করে আইএমএফের ঋণের জন্য এই ভ্যাট বাড়িয়েছে। কারণ বর্তমান রাজস্ব দিয়ে সরকার বাজেটের খরচ মেটাতে পারছে না। একইভাবে কিছুদিন আগে সরকার ২২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ছাপিয়েছে কয়েকটি লুণ্ঠিত ব্যাংকের তারল্য সংকট মোকাবিলায়।সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ প্রমুখ।এবি 
    শেখ পরিবারের রক্ত থাকায় দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন টিউলিপ: রিজভী
    টিউলিপ সিদ্দিকের রক্ত শেখ পরিবারের। তাই যুক্তরাজ্যের এমপি হওয়ার পরেও টিউলিপ সিদ্দিকী দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।তিনি বলেন, টিউলিপ সিদ্দিক লন্ডনে বড় হয়েছে লেখাপড়া করেছে। ইংল্যান্ডের একজন এমপি দুর্নীতি করবে এটা স্বপ্নেও ভাবা যায় না। কিন্তু তার জিন হচ্ছে বাংলাদেশের শেখ পরিবারের। ওখানে লেখাপড়া করে এমপি হওয়ার পরেও তার জেনেটিকাল যে লাইন সেই লাইন সে ক্রস করতে পারেনি। আর করতে পারেনি বলেই তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগগুলো, দুর্নীতির প্রমাণগুলো এখন বেরিয়ে আসছে।শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক এটিএম খালেদের শাহাদাত বার্ষিকীর আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।টিউলিপের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপি নেতা রিজভী বলেন, ‘রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পে রাশিয়ার সঙ্গে শেখ হাসিনা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ৫০০ কোটি ডলার চুক্তি করেছে। আর সেখান থেকে টিউলিপ ঘুষ নিয়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। মালয়েশিয়ার একটি ব্যাংক থেকে সেই টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। এটা একদম সুস্পষ্ট গণমাধ্যমগুলোতে এসেছে।’গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ মুক্তিযোদ্ধাদের সবচেয়ে বেশি অপমাণিত করেছে বলেও অভিযোগ করেন রিজভী। তার মতে, ‘মুক্তিযুদ্ধে আওয়ামী লীগের অবদান তুলনামূলক কম। দলটির ভেতর রাজনৈতিক উন্নয়নের কথা নেই। তারা মনে করতো, তাদের রাজনীতি বাইরে গেলেই সবাই অপরাধী।’‘আওয়ামী লীগের দুর্নীতির বর্ণনা করে শেষ করা যাবে না। তারা উন্নয়নের নামে টাকা পাচার করেছে।’এ সময় ভারত কী কারণে শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে এমন প্রশ্নও তোলেন রিজভী। বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ‘আজ শেখ হাসিনা কী স্ট্যাটাসে ভারতে আছে? শেখ হাসিনার দুটি পাসপোর্টই বাতিল হয়েছে। তারপরও ভারত তাকে রাখে কীভাবে? এত বড় একজন দুর্নীতিবাজ, ছাত্র-জনতা হত্যাকারীকে ভারত রাখে কীভাবে?’শহীদ জননী জাহানারা ইমামের বরাত দিয়ে রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী লীগেরই একজন ঘনিষ্ঠ লোক বলেছেন— শেখ মুজিবুর রহমান একজন বড় নেতা ছিলেন। কিন্তু তার পরিবারের প্রতি তিনি দুর্বল ছিলেন। তিনি তার ছেলে-ভাগনেদের কন্ট্রোল করতে পারেনি। জাহানারা ইমাম শেখ হাসিনার কাছের লোক ছিলেন, তিনি এসব বলে গেছেন।’আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে দেশে অনেক উন্নয়ন হয়েছে, দলটির নেতাদের এমন প্রচারণার সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ‘দেশে কিসের উন্নয়ন? সবকিছুতে চাঁদাবাজি করে তাদের আত্মীয়-স্বজনদের প্রতিষ্ঠিত করে গেছে। তারা উন্নয়ন উন্নয়ন করতো, উন্নয়নের মধ্য দিয়েই তো টাকা পাচার করা যায়। উন্নয়ন কী তার বাবার টাকা দিয়ে করেছেন? উন্নয়নের নামে বিদেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা নিয়ে এসে পাচার করেছেন, লুটপাট করেছেন।’এ টি এম খালেদ হত্যার বিচার দাবি করে তিনি আরও বলেন, ‘এতদিন হয়ে গেলো, তাদের বিচার এখন হয়নি কেন? এ দ্বায় আপনাদের কৃষিবিদদেরও আছে। আমাদের সবার আছে। এরকম একজন প্রখ্যাত ছাত্রনেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা; তার হত্যার বিচার হলো না— এটা অত্যন্ত কষ্টের বিষয়।’কৃষিবিদ ড. রাশেদুল হাসান হারুন ও ড. জি কে এম মোস্তাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় স্মরণ সভায় আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক শামীমুর রহমান শামিম, কৃষক দলের যুগ্ম সম্পাদক কৃষিবিদ শাহাদাত হোসেন বিপ্লবসহ নেতারা।
    এবার ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি ঘোষণা করলো ছাত্রদল
    ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার শাসনামলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের সংঘটিত সব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের যথাযথ বিচার ও সন্ত্রাসীদের সাজা নিশ্চিত করার দাবিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুর দুইটায় মার্চ ফর জাস্টিস কর্মসূচি পালন করবে তারা।আজ শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক (সহসভাপতি পদমর্যাদা) মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার শাসনামলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগ কর্তৃক সংঘটিত সকল সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের যথাযথ বিচার ও সন্ত্রাসীদের সাজা নিশ্চিত করার দাবিতে এবং জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে ভূমিকা পালনকারীদের তদন্ত সাপেক্ষে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সামনে থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার অভিমুখে March for Justice কর্মসূচি পালন করবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। আগামীকাল শনিবার দুপুর দুইটায় এ কর্মসূচি শুরু হবে।বিজ্ঞপ্তিতে ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির এই কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন বলে জানানো হয়েছে। এ ছাড়া নেতারা ছাত্রদলের সব নেতাকর্মীসহ ছাত্রসমাজকে মিছিলে অংশগ্রহণ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
    ফ্যাসিস্ট হাসিনা পালালেও প্রশাসন ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়নি: শিবির সভাপতি
    ফ্যাসিস্ট হাসিনা পলায়নের পাঁচ মাস পার হয়ে গেলেও বাংলাদেশের প্রশাসন এখনো পুরোপুরি ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম।তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদের দোসররা নানাভাবে বাংলাদেশকে অশান্ত, অকার্যকর ও অস্থিতিশীল করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। ছাত্র-জনতার ওপর যারা গণহত্যা চালিয়েছে, তাদের সিংহভাগ এখনো গ্রেপ্তার হয়নি। যারা গ্রেপ্তার হয়েছে, এখনো বিচার হয়নি।ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের প্রথম সাধারণ অধিবেশন-২০২৫ এর উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় রাজধানীর মগবাজরস্থ আলফালাহ মিলনায়তনে দুদিনব্যাপী (১৬ ও ১৭ জানুয়ারি) কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের প্রথম সাধারণ অধিবেশন শুরু হয়। উদ্বোধন করেন ছাত্র-জনতা অভ্যুত্থানে শহীদ সামিউ আমান নূরের বাবা মো. আমান।উদ্বোধনী বক্তব্যে কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদের শাসনামলে দীর্ঘ ষোলো বছর বাংলাদেশের মানুষ তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করেছে। দুর্নীতি ও অর্থপাচারের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে করেছে পঙ্গু। দেশের মানুষকে নানাভাবে দ্বিধাবিভক্ত করে আমাদের জাতীয় সংহতিকে দুর্বল করার নানামুখী অপতৎপরতা চালিয়েছে। ক্ষমতায় টিকে থাকতে গুম, খুন ও নির্যাতনের স্টিমরোলার চালিয়েছে মুক্তিকামী মানুষের ওপর। বিশেষত ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের ওপর অবর্ণনীয় ও অমানবিক দমন-পীড়ন চালিয়েছে। অবশেষে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হাসিনার ভারতে পলায়নের মধ্য দিয়ে এক শ্বাসরূদ্ধকর পরিস্থিতি থেকে আমাদের মুক্তি মিলেছে। কিন্তু যে দেড় হাজার ছাত্র-জনতার রক্ত ও হাজার হাজার মানুষের আহত হওয়ার মধ্য দিয়ে এ মুক্তি এসেছে, আমরা এ ঋণের দায়ে আবদ্ধ।তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার ওপর যারা গণহত্যা চালিয়েছে, তাদের সিংহভাগ এখনো গ্রেপ্তার হয়নি। যারা গ্রেপ্তার হয়েছে, এখনো বিচার হয়নি। এমনকি অভিযুক্তরা গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাদের ছেড়ে দেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটছে। অনেক অপরাধীকে নির্বিঘ্নে সীমান্ত পার হয়ে যেতে সহযোগিতা করা হচ্ছে। অনলাইন ও অফলাইনে আমরা খুনিদের আস্ফালন দেখতে পাচ্ছি৷ আওয়ামী লুটতন্ত্রের সময়ে দেশের মানুষের হাজার হাজার কোটি টাকা লুট হয়েছে, তা উদ্ধারের উদ্যোগও অপর্যাপ্ত। বরং লুটেরারা এ অর্থ বাংলাদেশকে অশান্ত করার জন্য ব্যয় করছে। ছাত্র-জনতা অভ্যুত্থানের অনেক আহত বীর এখনো শহীদ হচ্ছেন, অনেকে অসহ্য যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন, কিন্তু তাদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার উদ্যোগ যথেষ্ট নয়। একদিকে আমরা শহীদদের দাফন করছি, অন্যদিকে খুনীরা আজও মুক্ত বাতাসে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এমন দৃশ্য আমরা দেখতে চাই না।মানুষ একটি নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন নিয়ে জুলাই ছাত্র-জনতা অভ্যুত্থান সংঘটিত করেছে। কিন্তু ছাত্র-জনতার আকাঙ্ক্ষিত যে পরিবর্তন; রাষ্ট্রের কাঙ্খিত সংস্কারসমূহ এখনো ভালোভাবে সম্পন্ন হচ্ছে না। এ কার্যক্রমে আমরা খুবই ধীরগতি লক্ষ করছি।অভ্যুত্থানের স্পিরিটকে বিনষ্ট করার অপচেষ্টা দেখা যাচ্ছে উল্লেখ করে শিবির সভাপতি বলেন, আমরা ছাত্র-জনতার উদ্দেশ্যে বলতে চাই, শহীদ-গাজীদের আকাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন যদি আমরা নিয়ে আসতে চাই, তাহলে ছাত্র-জনতা অভ্যুত্থানের স্পিরিটকে আমাদের সবসময় ধারণ করতে হবে ও সমুন্নত রাখতে হবে। এ দুটি স্পিরিটকে যদি আমরা সমুন্নত রাখতে পারি, তাহলে ছাত্র-জনতা অভ্যুত্থানের শহীদদের স্বপ্ন পূরণে আমরা ভূমিকা রাখতে পারবো। অন্যথায় এ স্বপ্ন অধরাই থেকে যাবে। শুরু থেকেই ঐক্যকে ধারণ ও বিকশিত করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে শিবির। আগামীদিনেও দৃঢ়তার সাথে এ ভূমিকা পালন করবে।পতিত স্বৈরাচারের সময় বাংলাদেশের শিক্ষাখাত সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উল্লেখ করে জাহিদুল ইসলাম বলেন, অভ্যুত্থানের পরবর্তীতে শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর কাজটি যেভাবে হওয়া উচিত ছিল, সেভাবে হচ্ছে না। আমরা দাবি জানাচ্ছি, অবিলম্বে সৎ, যোগ্য, দক্ষ ও অভিজ্ঞদের নিয়ে শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠন করে নৈতিকতা ও আধুনিকতার সমন্বয়ে একটি যুগোপযোগী শিক্ষাপদ্ধতি চালু করতে হবে। শিক্ষার্থীদের সৎ, দক্ষ ও দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে গড়ে তাদের দেশের সম্পদে পরিণত করতে হবে। সম্প্রতি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা হলের দাবিতে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করেছে। চলমান ছাত্র আন্দোলনে আমরা সংহতি জানাচ্ছি এবং শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিয়ে অবিলম্বে এ সমস্যার শিক্ষার্থীবান্ধব সমাধান নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। সেইসঙ্গে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যক হল নির্মাণ করে শতভাগ শিক্ষার্থীকে হলে সিঙ্গেল আসন বরাদ্দ দেওয়া এবং হলে শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিতের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। শিক্ষার উদ্দেশ্য পূর্ণ করার জন্য ধর্মীয় শিক্ষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামিক স্টাডিজ, আরবি এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ চালু করার আহ্বান জানাচ্ছি।আওয়ামী লীগের ইসলামবিদ্বেষী শাসনামলে বাংলাদেশের মাদ্রাসাসমূহ অনেক দুর্বল হয়ে পড়েছে। এখনো দেশের মাত্র ৩টি মাদ্রাসা সরকারি আর অল্প কিছু মাদ্রাসায় অনার্স-মাস্টার্স রয়েছে। কোনো মাদ্রাসায় ব্যবসা শিক্ষা বিভাগ নেই। মাদ্রাসাসমূহে অনার্স-মাস্টার্সের সুযোগ বিস্তৃত করার পাশাপাশি আলিয়া ও কওমি সকল মাদ্রাসা শিক্ষার্থী যেন পড়াশোনা শেষ করার পর সম্মানজনক কর্মজীবনে প্রবেশ করতে পারেন, এটা নিশ্চিতকরণে এ শিক্ষার্থীদের জন্য চাকুরিতে সুযোগ বৃদ্ধি করতে হবে। মাদ্রাসাসমূহে কমার্স চালু করতে হবে।বাংলাদেশের ক্যাম্পাসগুলোতে বিগত সাড়ে তিন দশক ধরে ছাত্রসংসদ নির্বাচন হয়নি। অথচ শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখা ও শিক্ষার্থীদেরকে আগামীদিনের নেতৃত্ব হিসেবে তৈরির জন্য এ নির্বাচনের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। এখন পর্যন্ত হাতে গোণা মাত্র দুয়েকটা বিশ্ববিদ্যালয়ে এটা নিয়ে উদ্যোগ নিয়েছে। অবিলম্বে সকল ক্যাম্পাসে ছাত্রসংসদ নির্বাচন আয়োজন করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর দীর্ঘ আড়াই দশকের গণতন্ত্রহীনতা পরিস্থিতির অবসান ঘটাতে হবে।গতকাল এনসিটিবি কার্যালয়ের সামনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হয়েছে, যা খুবই দুঃখজনক। আমরা এ হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি, বাংলাদেশে আবার নতুন করে ফ্যাসিবাদী গ্রুপ তৈরি হচ্ছে যারা কোনো ধরনের সত্যতার যাচাই না করেই ছাত্রশিবিরের ওপর নিজেদের অপকর্মের দায় উঠিয়ে দেন। এসব মিথ্যাচার বন্ধ না করলে আমরা তাদের বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো। সম্প্রতি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কুরআন পোড়ানো হয়েছে। এ সকল ঘটনার নিন্দা জানানো ভাষা আমাদের জানা নেই। অবিলম্বে এ সকল ঘটনা দায়িদের আইনের আওতায় এনে সবার বিচার নিশ্চিত করতে হবে। পাহাড় নিয়ে যারা নানা ধরনের অপতৎপরতায় লিপ্ত, তাদের এ সকল অপতৎপরতা বন্ধে সরকারকে জোরালো পদক্ষেপ নিতে হবে।এবি 
    ১৭ বছর পর কারামুক্ত হলেন লুৎফুজ্জামান বাবর
    অবশেষে দীর্ঘ ১৭ বছর কারাবাসের পর কারামুক্ত হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুর ১টা ৪৮ মিনিটে তিনি কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ছাড়া পেয়ে বের হন। বাবরের মুক্তির খবরে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বিএনপির নেতাকর্মী ও তার নেত্রকোনা এলাকা থেকে দলে দলে লোকজন কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে ভিড় করেন।লুৎফুজ্জামান বাবরের স্ত্রী তাহমিনা জামান শ্রাবণী বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর পর আদালতের রায়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশের জনগণ তার মুক্তির জন্য অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করে আছে।গত মঙ্গলবার চট্টগ্রামে আলোচিত ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালানের ঘটনায় অস্ত্র আইনে করা পৃথক মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের দায় থেকে খালাস পান লুৎফুজ্জামান বাবর। বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করে। এ রায়ের মাধ্যমে বাবর তার বিরুদ্ধে করা সব মামলা থেকে খালাস পান। ফলে বাবরের কারামুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই বলে জানানো হয়।২০০৭ সালের ২৮ মে গ্রেফতার হন লুৎফুজ্জামান বাবর। এরপর বিভিন্ন মামলায় তার দণ্ড হয়। এর মধ্যে দুটি মামলায় তার মৃত্যুদণ্ডাদেশ হয় এবং একটিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।তবে গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের সরকারে পতনের পর এসব মামলার আপিল শুনানি শেষে একে একে খালাস পান বাবর।এর মধ্যে গত ২৩ অক্টোবর দুর্নীতির মামলায় ৮ বছরের দণ্ড থেকে এবং ১ ডিসেম্বর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলা থেকে খালাস পান তিনি। ২১ আগস্টের মামলায়ও বাবরকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন বিচারক আদালত।এবি 
    বাবরের অপেক্ষায় কারাগারের সামনে নেতাকর্মীদের ভিড়
    সব মামলায় খালাস পেয়ে কারামুক্ত হচ্ছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর। ১৭ বছর কারাবাসের পর আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে তিনি কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ছাড়া পেতে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছে কারা অধিদপ্তর।গত মঙ্গলবার চট্টগ্রামে আলোচিত ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালানের ঘটনায় অস্ত্র আইনে করা পৃথক মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের দায় থেকে খালাস পান লুৎফুজ্জামান বাবর। এ রায়ের মাধ্যমে বাবর তার বিরুদ্ধে করা সব মামলা থেকে খালাস পান। ফলে বাবরের কারামুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই।বাবরের মুক্তির খবরে কারাগারের সামনে অবস্থান করেছেন স্বজন ও নেতাকর্মীরা। কারামুক্তির পর কারা ফটক থেকে তাকে বরণ করার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছেন তারা।প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালের ২৮ মে আটক হন লুৎফুজ্জামান বাবর। এরপর বিভিন্ন মামলায় তার দণ্ড হয়। এর মধ্যে দুটি মামলায় তার মৃত্যুদণ্ডাদেশ হয় এবং একটিতে দেওয়া হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। তবে গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের সরকার পতন হওয়ার পর এসব মামলার আপিল শুনানি শেষে একে একে খালাস পান বাবর। এর মধ্যে গত ২৩ অক্টোবর দুর্নীতির মামলায় ৮ বছরের দণ্ড থেকে এবং ১ ডিসেম্বর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলা থেকে খালাস পান তিনি। ২১ আগস্টের মামলায়ও বাবরকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন বিচারক আদালত।আরইউ
    জামায়াত আমিরের সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
    বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার।আজ মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর মগবাজারে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। সাক্ষাতে বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন তারা।এসময় বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে অর্থবহ করার বিষয়টিও অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে স্থান পায়। ভবিষ্যতে উভয়ের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক, উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা।এসময় জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের, সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এ টি এম মা’ছুম, মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, হামিদুর রহমান আযাদ, মাওলানা আবদুল হালিম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য, কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন উপস্থিত ছিলেন।এবি 
    নির্বাচনে যত বিলম্ব হবে, ততোই রাজনীতি ও অর্থনীতিতে সংকট তৈরি হবে: ফখরুল
    চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে জাতীয় নির্বাচনের আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্বাচন যত বিলম্ব হবে, রাজনীতি ও অর্থনীতিতে ততো বেশি সংকট তৈরি হবে।আজ মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সমসাময়িক ইস্যুতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।বিএনপি মহাসচিব বলেন, নির্বাচন নিয়ে বিলম্বিত করার কারণ নেই। এ বছরের শেষে বা আগামী বছরের শুরুতে নির্বাচন দেয়ার কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। যেহেতু নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন হয়েছে এবং স্টেবেলিটি এসেছে। তাই নির্বাচন যত বিলম্ব হবে, ততোই রাজনীতি ও অর্থনীতিতে সংকট তৈরি হবে। এ কারণে চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে নির্বাচন করা যেতে পারে। নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ব্যবস্থা নিতে পারি আমরা।  ‘নির্বাচন পেছানোর চিন্তা আসে কোথা থেকে। ট্রেনের লাইনে ওঠার কথা যেখানে, সেখানে কেন অন্য চিন্তা আসে?’, যোগ করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।  তিনি আরও বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন প্রশ্নই উঠে না। কেননা জনগণের ফোকাস এখন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে। জনগণ ভোট দিতে পারেনি। তাই জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন নয়। কেননা স্থানীয় সরকার দেশ পরিচালনা করে না, করে সংসদ। বিএনপি ও জামায়াত সবচেয়ে বেশি ফ্যাসিবাদের নির্যাতনের শিকার হয়েছে জানিয়ে ফখরুল বলেন, ফ্যাসিবাদের বিচার হবে। কিন্তু তড়িঘড়ি করা যাবে না। প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যেতে হবে এতে কোনো সন্দেহ নেই। ‘বিএনপি ও জামায়াতের দূরত্ব হতেই পারে। প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের একটি স্বকীয়তা আছে। এজন্য নির্বাচন প্রয়োজন’, যোগ করেন বিএনপি মহাসচিব। মির্জা ফখরুল বলেন, জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের একটি খসড়া প্রধান উপদেষ্টার দফতর থেকে পেয়েছি, সেটা তারা দেখতে বলেছেন। তবে সেটা একদিনের মধ্যে দেখে বলা সম্ভব নয়। অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলতে হবে। সীমান্ত ইস্যুতে শক্ত অবস্থান নেয়ায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ আমলে ভারতের সঙ্গে করা সব চুক্তি জনসম্মুখে প্রকাশ করা উচিত। এ ছাড়া সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে সামনে প্রেস কনফারেন্স করা হবে বলেও জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এবি 
    শুক্রবারের মধ্যে শেষ হবে খালেদা জিয়ার সব স্বাস্থ্য পরীক্ষা: ডা. জাহিদ
    লন্ডনে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা এখনও চলছে। তবে বেগম খালেদা জিয়ার সব রিপোর্ট আগামী শুক্রবারের (১৭ জানুয়ারির) মধ্যে পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের স্থায়ী কমি‌টির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হো‌সেন। বেগম খালেদা জিয়া তার সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন বলেও জানান তিনি।সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় সেন্ট্রাল লল্ড‌নের দ্য লন্ডন ক্লিনিকের সামনে ব্রিফিংকালে তিনি সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।খা‌লেদা জিয়ার চিকিৎসার সর্বশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরে সাংবাদিকদের ডা. জাহিদ বলেন, খা‌লেদা জিয়া কখ‌নোই নি‌জের শারীরিক অসুস্থতার কথা মানু‌ষের সাম‌নে আন‌তে চাননি। ওনার ওপর অনেক অত্যাচার হ‌য়ে‌ছে, কিন্তু উনি সবসময় মানু‌ষের কথা বলেছেন, নি‌জের কথা বলেননি। আজও উনি যখন জান‌তে পেরেছেন, তীব্র শীতের মধ্যে আপনারা (সাংবাদিক) বাই‌রে দাঁড়িয়ে আছেন, তখন অনিচ্ছাসত্ত্বেও বললেন, যাও।খালেদা জিয়া দেশবাসীর কাছে দোয়া চে‌য়ে‌ছেন ও সাংবাদিকসহ সবার প্রতি ধন্যবাদ জানিয়েছেন বলে জানান বিএনপির এই নেতা।চিকিৎসার অগ্রগতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, খা‌লেদা জিয়ার ক্রনিক লিভার ডি‌জিস, ক্রনিক কিড‌নি ডি‌জিস ও হা‌র্টের অ্যাসেস‌মেন্টগু‌লো এখ‌নও সম্পন্ন হয়‌নি। এগু‌লো সম্পন্ন হতে আগামী শুক্রবার পর্যন্ত লাগতে পা‌রে। এরপর এখানকার ডাক্তাররা উনার পরবর্তী চি‌কিৎসা নি‌য়ে প‌রিকল্পনা কর‌বেন।তিন বারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন থেকে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস ও আর্থ্রাইটিসসহ নানা শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন। ২০১৮ সালে দুর্নীতির এক মামলায় দণ্ডিত হয়ে কারাগারে পাঠানো হয় তিনবারের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে। কারাগারে যাওয়ার পর তার অসুস্থতা বাড়ে। এর মধ্যে সরকারের কাছে কয়েকবার দল ও পরিবারের পক্ষ থেকে খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়। করোনার সময় নির্বাহী আদেশে কারাগার থেকে মুক্তি মিললেও বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি তৎকালীন সরকার।গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রপতির আদেশে মুক্তি পান খালেদা জিয়া। এরপর তার যে মামলায় সাজা হয়েছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। পরে সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে গত ৮ জানুয়ারি লন্ডনে আসেন সাব্কে এই প্রধানমন্ত্রী। বিমানবন্দর থেকে তাকে সরাসরি নিয়ে যাওয়া হয় বিশেষায়িত হাসপাতাল ‘লন্ডন ক্লিনিকে’। সেখানেই চিকিৎসা চলছে তার।এবি 
    মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে বিএনপি
    দেশের চলমান সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে বিএনপি।মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয় এ সংবাদ সম্মেলন হবে। এতে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বক্তব্য রাখবেন।সোমবার (১৩ জানুয়ারি) রাতে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।এর আগে, সোমবার সন্ধ্যায় চলমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে পরবর্তী করণীয় ঠিক করতে বৈঠকে বসে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটি। বৈঠকটি শেষ হয় রাত ৯টার পর।এফএস
    হাঁটতে পারছেন খালেদা জিয়া
    বিশ্বমানের সেবা ও প্রিয় স্বজনদের কাছে পেয়ে লন্ডন ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা দ্রুতই উন্নতি হচ্ছে। তিনি এখন নিজে থেকে সামান্য হাঁটতেও পারছেন।রোববার (১২ জানুয়ারি) খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও তার সফরসঙ্গী এনামুল হক চৌধুরী এ তথ্য জানান।তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়েও ভালো। তিনি আজ একা একা হাঁটতেও পেরেছেন।এনামুল হক চৌধুরী বলেন, হাসপাতালে থেকেও খালেদা জিয়া দেশের খোঁজখবর নিয়েছেন। জানতে চেয়েছেন, বর্তমান অবস্থা কী?বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, আলহামদুলিল্লাহ ম্যাডাম যথেষ্ট ভালো আছেন। আজ অধ্যাপক জন প্যাট্রিক কেনেডি তাকে দেখে গেছেন। এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অধীনেই তার চিকিৎসা চলছে।তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়াকে আজ ফিজিওথেরাপিও দেওয়া হয়েছে। বলতে পারি তার স্বাস্থ্যের উন্নতি হচ্ছে।এদিকে, অন্যান্য দিনের মতো রোববারও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার সহধর্মিণী জোবাইদা রহমান খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে আসেন।প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ সময় বুধবার (৮ জানুয়ারি) বিকেলে লন্ডনের হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান খালেদা জিয়া। এ সময় তাকে স্বাগত জানাতে তার বড় ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও পুত্রবধূ জোবাইদা রহমান বিমানবন্দরে উপস্থিত হন।এরপর যখন হুইল চেয়ারে করে মা খালেদা জিয়া ছেলের কাছে যান, তখন সঙ্গে সঙ্গে তাকে জড়িয়ে ধরে স্বাগত জানান তারেক রহমান। মুহূর্তেই সেখানে এক আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়। পরে বিমানবন্দর থেকে নিজে গাড়ি চালিয়ে মাকে হাসপাতালে নিয়ে যান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।এর আগে, উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যের উদ্দেশ্যে মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকা ত্যাগ করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এ সময় হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে দলের মহাসচিবসহ শীর্ষ নেতারা তাকে বিদায় জানান।এমআর
    নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ: রিজভী
    বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ ও সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিতে অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ হচ্ছে। আজ শনিবার (১১ জানুয়ারি) নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।  বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচি বলেন, তারা এখনও বাজার সিন্ডিকেট দমন করতে পারেনি। পণ্যের লাগামহীন উচ্চমূল্যে দিশেহারা মানুষ। প্রতিদিনের সংসারের ব্যয় মেটাতে জনগণকে যুদ্ধ করতে হচ্ছে।তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে ‘মরার ওপর খাঁড়ার ঘা’ হিসেবে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মাঝপথে এসে শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট এবং সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়েছে সরকার। তাতে দৈনন্দিন জীবনযাত্রার খরচ আরেক দফা বাড়ছে সাধারণ মানুষের। রুহুল কবির রিজভী বলেন, মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার কারণে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠছে। সেখানে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, এলপি গ্যাস, গুঁড়া দুধ, বিস্কুট, আচার, টমেটো কেচাপ বা সস, জুস, টিস্যু পেপার, ফলমূল, সাবান-ডিটারজেন্ট পাউডার, মিষ্টি, চপ্পলের ওপর ভ্যাট হার বৃদ্ধি মধ্যম ও নিম্ন আয়ের মানুষকে আরও চাপে ফেলবে।তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর ব্যবসা-বাণিজ্য খাতে বড় ধরনের ধাক্কা লেগেছে। এখনও লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারেননি ব্যবসায়ীরা। এমন পরিস্থিতিতে ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত আত্মঘাতীমূলক। এ ধরনের কর এমন এক সময়ে বাড়ানো হলো যখন দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজমান।এবি 
    এবি পার্টির চেয়ারম্যান হলেন মঞ্জু, সেক্রেটারি ফুয়াদ
    আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির নতুন চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন মজিবুর রহমান মঞ্জু এবং সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। আজ শনিবার (১১ জানুয়ারি) নির্বাচনের ফল ঘোষণার মাধ্যমে এ তথ্য জানা যায়।শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সকাল নয়টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে শেষ হয় রাত নয়টায়। সারা দেশ থেকে আসা কাউন্সিলররা সশরীর ও অনলাইনের মাধ্যমে ভোটে অংশগ্রহণ করেন।  এবি পার্টির চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিলেন। তারা হলেন দলের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক এ এফ সোলায়মান চৌধুরী, প্রতিষ্ঠাতা সদস্যসচিব মজিবুর রহমান (মঞ্জু) এবং যুগ্ম আহ্বায়ক কর্নেল (অব.) দিদারুল আলম। প্রায় ২ হাজার ৮০০ কাউন্সিলরের ভোটে এই তিনজনের মধ্য থেকে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত মজিবুর রহমান মঞ্জু হন।ভোট গ্রহণ শেষে আজ সকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এবি পার্টির প্রথম জাতীয় কাউন্সিল শুরু হয়। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শহীদ পরিবারের সদস্য ও আহত ব্যক্তিরা অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন। এছাড়াও বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত রয়েছেন।এবি 

    Loading…