এইমাত্র
  • ইসরায়েলে হামলার ১০টি পরিকল্পনা প্রস্তুত রেখেছে ইরান
  • এবার পূজায় কোন শঙ্কা নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • বিমান হামলায় হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডার সুহাইল নিহত, দাবি ইসরাইলের
  • সাড়ে ৪ কোটি পিস ডিম আমদানির অনুমতি
  • শেখ হাসিনা কোথায় আছেন, জানে না সরকার: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • সীমান্ত এলাকায় পূজায় নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিজিবির ফোন নম্বর
  • শেবাচিম হাসপাতালে নার্সদের কর্মবিরতি
  • আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসায় দ. কোরিয়ার সহায়তা চাইলেন জামায়াত আমির
  • আবারও কর্মবিরতিতে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের নার্সরা
  • গ্রাহক পিটিয়ে ক্ষমা চাইল স্টার কাবাব কর্তৃপক্ষ
  • আজ মঙ্গলবার, ২৩ আশ্বিন, ১৪৩১ | ৮ অক্টোবর, ২০২৪

    রাজনীতি

    পতিত স্বৈরাচার পুনর্বাসন হলে দেশ হবে জল্লাদের উল্লাস ভূমি: রিজভী
    পতিত স্বৈরাচারের আবার পুনর্বাসন হলে বাংলাদেশ ‘জল্লাদের উল্লাস ভূমি’ হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।সোমবার (৭ অক্টোবর) রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে ডেঙ্গু প্রতিরোধে গণসচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণকালে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।রিজভী বলেন, কেউ কেউ যখন স্বৈরাচারের পুনর্বাসনের কথা বলে, তখন জনগণের কাছে বিপজ্জনক বার্তা দেয়। যখন কোনো উপদেষ্টা বলেন, তাদের (আওয়ামী লীগ) নিজেদের ঘর গুছানোর জন্য, সেটি অত্যন্ত বিপজ্জনক বার্তা দেয়।তিনি বলেন, যারা এতদিন গুম-খুন আর আয়নাঘরের সংস্কৃতি তৈরি করেছিল তাদের পুনর্বাসন হলে এদেশে আর মানুষ বসবাস করতে পারবে না। এই দেশ হবে জল্লাদের উল্লাস ভূমি। এখানে গণতন্ত্র থেকে সব কিছু গোরস্থানে চলে যাবে।বিএনপির এই নেতা বলেন, দেশে ঋণ রয়েছে ১৮ লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাকা। আর বিদেশে পাচার হয়েছে ১৭ লাখ কোটি টাকা। এতে বোঝা যায় কতবড় দুর্বৃত্তদের শাসন ছিল। সেই দুর্বৃত্তরা পালিয়ে গিয়ে মাঝে-মধ্যে নানাদিক থেকে আওয়াজ তুলছে।রিজভী বলেন, যেসব পুলিশ কর্মকর্তারা মানুষকে গুম-খুন করেছে, মানুষকে পঙ্গু করেছে, তাদের এখনও ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে। নানা কায়দায় এই সরকার ফ্যাসিবাদের দোসরদের পুনর্বাসন করছে। লিফলেট বিতরণকালে স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক পারভেজ রেজা কাকনসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।এসএফ
    নির্বাচন থেকে সংস্কার বেশি গুরুত্বপূর্ণ: জামায়াতের আমির
    নির্বাচন থেকে সংস্কার বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলেছেন জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশের আমির ডা. শফিকুর রহমান। শনিবার (৫ অক্টোবর) বিকাল ৫টার দিকে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।জামায়াত আমির বলেন, আমরা দুটি প্রস্তাব করেছি। প্রথমটি সংস্কার কত দিনে হবে? দ্বিতীয়টি নির্বাচন কবে হবে?এর আগে বিকেল সাড়ে ৩টার কিছুক্ষণ আগে জামায়াতের প্রতিনিধি দল যমুনায় প্রবেশ করে। জামায়াতে ইসলামীর ৭ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন- জামায়াতের নায়েবে আমির আবু তাহের মুহাম্মদ আবদুল্লাহ, এমএম শামসুল ইসলাম, মজিবুর রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পওয়ার।এর আগে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিএনপির পক্ষে থেকে আগামী নির্বাচন কবে হবে তার একটি রোডম্যাপ ঘোষণা দিতে প্রধান উপদেষ্টাকে আহ্বান জানানো হয়েছে। 
    প্রধান উপদেষ্টার কাছে সব ইউনিয়ন পরিষদ বাতিল চেয়েছি: মির্জা ফখরুল
    প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচনের বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, বৈঠকে আমরা সব ইউনিয়ন পরিষদ (চেয়ারম্যান-মেম্বার) বাতিল করতে বলেছি।শনিবার (৫ অক্টোবর) বিকাল ৪টার দিবে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আমন্ত্রণে সংলাপ শেষে তিনি এ কথা বলেন। বিএনপির ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দলে ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান ও সালাউদ্দিন আহমেদ।প্রায় এক ঘণ্টা এ বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে বিকেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।তিনি বলেন, ‘নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণার জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছি। নির্বাচন কমিশন নিয়োগ আইন স্থগিত করে সব রাজনৈতিক দলের মতামতের ভিত্তিতে ইসি পুনর্গঠন করা উচিত বলে জানিয়েছি।’বিতর্কিত ব্যক্তিদের প্রশাসনের কোথাও না রাখা এবং ডামি নির্বাচনের জন্য দায়ীদের সাজা চেয়েছেন জানিয়ে ফখরুল বলেন, ২০১৪ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য কমিশনারদের আইনের আওতায় আনার কথা বলেছি। গুম-খুনের সঙ্গে জড়িতরা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে। তাদের অবিলম্বে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছি।’ তিনি বলেন, ‘কিছু আমলা, সাবেক মন্ত্রী-এমপি দেশ থেকে পালিয়ে যাচ্ছে। কীভাবে পালিয়ে যাচ্ছে সেটা খতিয়ে দেখার কথা বলেছি। শেখ হাসিনা ভারতে আছেন। এ বিষয়টি নিয়ে দেশটির সঙ্গে কথা বলার কথা আমরা বলেছি।’বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের দিয়ে প্রশাসন পরিচালনার সুপারিশ জানিয়েছি। যারা পদোন্নতিবঞ্চিত ছিল তাদের ভূতাপেক্ষ পদোন্নতির কথা বলেছি।’ এর আগে গত ২৯ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেশের সমসাময়িক ইস্যুতে বৈঠক করে বিএনপির প্রতিনিধি দল।
    শেখ হাসিনা ছিলেন গডফাদার ও টাকা পাচারকারীদের জননী: রিজভী
    ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাকে ‘গডফাদার ও টাকা পাচারকারীদের জননী’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আজ শনিবার (৫ অক্টোবর) বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা জানানোর পর উপস্থিত সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।সদ্য কারামুক্ত বিএনপির প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিবকে সঙ্গে নিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে যান রিজভী। এ সময় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীমসহ শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।রিজভী বলেন, গতকাল শেখ হাসিনার সঙ্গে গোপালগঞ্জের একজন ছাত্রলীগ নেতার একটা অডিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানে ছাত্রলীগ নেতা বলছেন, ‘আপা পুলিশ প্রতিদিন পাঁচ-ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়।’ শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার এক মাসও হয়নি অথচ স্বেচ্ছাসেবক দলের দিদারকে গোপালগঞ্জে প্রকাশ্যে ছাত্রলীগ যুবলীগ নেতাকর্মীরা কুপিয়ে হত্যা করেছে। এরপরও পুলিশ তাদের পূজা করবে? তাদের ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানাবে?রিজভী আরও বলেন, শেখ হাসিনা গতকাল ছাত্রলীগের ওই ছেলের সঙ্গে কথোপকথন করে আপনি যে বর্বর নিষ্ঠুর, রক্ত পান করা ছাড়া অন্য কোনো বিবেক আপনার নেই, মানবতা নেই সেটা আবার প্রমাণ করলেন। অথচ আপনি বলতে পারতেন, ওইখানে হত্যাকাণ্ড হলো কেন? অন্য একটি রাজনৈতিক দলের নেতা মারা গেল কেন? বলেননি কারণ আপনি ছিলেন আওয়ামী লীগের জননী, গডফাদারদের জননী, টাকা পাচারকারীদের জননী।বিএনপির এ নেতা বলেন, এই কারণেই বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের বাইরে যে গণতন্ত্রের জন্য কথা বলেছে তাকে খুন-গুম-হত্যা করেছেন। আয়নাঘরে আটকে রাখতেও এতটুকু বিবেকবোধ কাজ করেনি আপনার। এখন আপনি রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকতে যেভাবে ছাত্রলীগ যুবলীগকে উস্কে দিয়েছেন একই কায়দা এখন উস্কানি দিয়ে একটা অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করছেন। একটা রক্তাক্ত বাংলাদেশের আবহ তৈরি করে আপনি মনে করেন, সেই সুযোগে বাংলাদেশে প্রবেশ করবেন। তা এই দেশের মানুষ হতে দেবে না।তিনি বলেন, ওবায়দুল কাদেরের সড়ক বিভাগ থেকে গত ১৫ বছরে কত হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে তার রিপোর্ট এখন প্রকাশিত হচ্ছে। বিভিন্ন সেক্টর থেকে হাজার কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে, এখন প্রতিদিন সংবাদপত্রে প্রকাশিত হচ্ছে। সুতরাং এই ধরনের লুণ্ঠন ও টাকা পাচারের দেশ তৈরি করার জন্য শেখ হাসিনা কাজ করেছেন।রিজভী বলেন, গত ১৫ বছর বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীকে গুম খুন বিচার-বহির্ভূত হত্যা করে শেখ হাসিনা মনে করেছিলেন এই যে লুটপাট ও মাফিয়া রাজ্য গড়ে তুলেছিল তা চিরজীবনের জন্য বহাল থাকবে। শেখ হাসিনা তার পিয়নের ৪০০ কোটি টাকার দুর্নীতি, যেটা তিনি নিজে গর্ব করে বলেন। ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনার শাসনামলের মতো যেন আদালতে বিচার কাজ পরিচালিত না হয়। সেই নির্মম আদালত, নির্মম বিচার ব্যবস্থার অবসান ঘটিয়ে দেশে সত্যিকার অর্থে একটি আইনের শাসনের সরকার প্রতিষ্ঠিত হোক।
    বিএনপি ক্ষমতায় এসে গেছে মনে করে হাওয়ায় ভাসবেন না: মির্জা ফখরুল
    দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল আলমগীর বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় এসে গেছে মনে করে হাওয়ায় যেন না ভাসি, না, ক্ষমতায় আসেনি। তাই ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।শনিবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে শিক্ষক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।মির্জা ফখরুল বলেন, বহু মানুষের রক্তের বিনিময়ে দেশে পরিবর্তন এসেছে। সাময়িক বিজয় হয়েছে, যা ধরে রাখতে হলে সুসংহত থাকতে হবে। এটা গুরুত্বপূর্ণ সময়। সরকার পরিবর্তন হওয়ায় এখন দলে দলে বেরিয়ে আসছেন। নানা দাবি নিয়ে আসছেন। আর আগে জমি বিক্রি করে আওয়ামী লীগের এমপিদের কাছে চাকরির জন্য টাকা দিয়েছেন। দেশ পরিবর্তন না করতে পারলে জাতি চরমভাবে হতাশ হবে।বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশে একটা ট্রানজেকশন হচ্ছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে অর্জিত বিজয়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। এই দেশে যেন গণতন্ত্র বিকশিত হতে না পারে সে বিষয়গুলো নিশ্চিত করেছে বিদায়ী সরকার। আমরা যদি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুনরুদ্ধার করতে পারি, তবে আবার সব ঢেলে সাজানোর চেষ্টা করব। তিনি বলেন, আমাদের শিক্ষকরা ভালোভাবে তার পরিবারকে কাপড় কিনে দিতে পারেন না। আজকে যে দাবি উঠেছে তা অত্যন্ত ন্যায়সঙ্গত যে শিক্ষকদের জাতীয়করণ করতে হবে। মূলত আপনাদের সমস্যাগুলো সম্পর্কে আমরা অবহিত। সমাধান করতে চাই।শিক্ষকদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, বলতে দ্বিধা নেই, শিক্ষা ব্যবস্থাকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করা হয়েছে। শিক্ষা ব্যবস্থা এমন জায়গায় চলে গেছে, যা দিয়ে জাতির উন্নয়ন সম্ভব নয়। এই জায়গাটা ঠিক করার সময় এখন। পরিবর্তন করতে না পারলে জাতি চরমভাবে হতাশ হবে। জাতীয়করণ করার পর সিলেকশনের প্রশ্ন আসবে। শিক্ষকদের গুণগতমান অর্জন করতে হবে। শিক্ষকদের দলকানা হলে চলবে না। বিএনপির শীর্ষ এ নেতা বলেন, এই যে দেশটা, সাঈদ থেকে শুরু করে বাচ্চারা জীবন দিলো, আজকে সুযোগ এসেছে; সেই সুযোগটা কাজে লাগান। যতক্ষণ পর্যন্ত না মানুষের শক্তিকে কাজে লাগাচ্ছেন ততক্ষণ পর্যন্ত ক্ষমতায় গিয়ে লাভ হবে না। আপনাদের প্রতি মুহূর্তে ভাবতে হবে জাতিকে কী দিলাম। ‘হাজার হাজার মানুষ আওয়ামী লীগের হাতে নির্যাতিত হয়েছে, তারা যেন ন্যায়বিচার পান। বেগম খালেদা জিয়া খুব অসুস্থ। তার জন্য দোয়া করবেন। তাকে বিদেশে নেয়ার চেষ্টা চলছে’, যোগ করেন ফখরুল।
    শেখ হাসিনার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ইচ্ছে নেই: জয়
    সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ফিরবেন কি না সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন তার ছেলে ও সজীব ওয়াজেদ জয়।যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম টাইমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার নিয়ে ছাত্র আন্দোলনের তোপের মুখে পড়ে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে গত ৫ আগস্ট দেশ থেকে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। তারপর নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়।জয় বলেন, দেশের পরিস্থিতি দেখে মা বেশ বিচলিত এবং হতাশ। গত ১৫ বছরে তার সমস্ত কঠোর পরিশ্রম অনেকটাই বাতিল হয়ে যাচ্ছে।কোটা সংস্কার আন্দোলন প্রসঙ্গে জয় বলেন, কোটা আন্দোলনে আমরা সবাই অবাক হয়েছি। আমি নিজেও চেয়েছিলাম কোট সংস্কার হোক। আমি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে বলেছিলাম, ৩০%  কোটা অনেক বেশি, তা কমিয়ে ৫%  করা উচিত। তখন কেউ চিৎকার করে বলল, আরে আমরাও মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনি। তখন আমি মজা করে বলেছিলাম, ‘এ কারণেই আমি ৫%  ছেড়ে দিয়েছি।অন্তর্বর্তী সরকার প্রসঙ্গে জয় বলেন, যদি তারা এক বছর বা ১৮ মাস দেশ চালাতে চায়, তাহলে আমি বলব এটা সঠিক সিদ্ধান্ত। কোটা সংস্কার আন্দোলনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে পাঁচশতাধিক মানুষ নিহত হন। আহত হন কয়েক হাজার। যে কারণে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি উঠেছে। এ ব্যাপারে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরনো ও বৃহত্তম রাজনৈতিক দলকে কীভাবে নিষিদ্ধ করবেন? এটা আইনত সম্ভব নয়।এক প্রশ্নের জবাবে জয় বলেন, আমার কখনোই রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা ছিল না। ভবিষ্যতে রাজনীতি করব কিনা সে ব্যাপারে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি। এফএস
    সাবেক এমপি দবিরুল ইসলামকে কারাগারে প্রেরণ
    ঠাকুরগাঁও-২ আসনের ৭ বারের সাবেক সংসদ সদস্য দবিরুল ইসলামকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার (৩রা সেপ্টেম্বর)  দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের বিশেষ আদালতে বিচারক রহিমা খাতুন তাকে ঠাকুরগাঁও জেলা কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।সকাল ১১ টার দিকে তাকে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন৷ পুলিশ জানায়, গত ৩ সেপ্টেম্বর স্থানীয় ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান বাবলু বাদী হয়ে ১০ কোটি টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে দবিরুল ইসলামকে প্রধান আসামী করে ২৮ জনের নাম উল্লেখ্য করে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় সাবেক এই এমপিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে গত ১১ সেপ্টেম্বর ঢাকার নিকুন্জ এলাকা হতে গ্রেফতার হয় আলহাজ্জ দবিরুল ইসলামের ছেলে সাবেক এমপি মাজহারুল ইসলাম সুজন।উল্লেখ্য যে, দবিরুল ইসলাম ১৯৮৬ সালে প্রথম এমপি নির্বাচিত হন। এরপর থেকে ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ পর্যন্ত তিনি ঠাকুরগাঁও-২ আসনে টানা ৭ বার এমপি নির্বাচিত হন।পিএম
    শামীম ওসমানকে দেখা গেল আমিরাতে শপিং সেন্টারে
    ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিভিন্নভাবে দেশ থেকে পালিয়েছেন সাবেক মন্ত্রী-এমপিসহ দলটির অনেকেই। নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানও দেশ ছেড়েছেন। ভারত হয়ে তিনি গেছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে।মঙ্গলবার আরব আমিরাতের আজমান সিটি সেন্টারে তাঁকে দেখা গেছে। রাত ৯টায় শপিং সেন্টারটিতে তাঁকে ঘুরতে দেখেন প্রবাসীরা। তাঁর সঙ্গে বোরকা পরিহিত দু’জন নারীকে দেখা গেছে। তিনজনের হাতে লাল সুতা বাঁধা ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, সম্প্রতি ভারতে নিজাম উদ্দিন আউলিয়ার দরগাতে এই সুতা বেঁধেছেন তারা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্স হাতে শামীম ওসমান একটি মোবাইল অপারেটর প্রতিষ্ঠানে যান। এ সময় তিনি শপিং সেন্টারটিতে থাকা বাংলাদেশিদের ছবি তুলতে বারণ করেন। সম্প্রতি তাঁকে দিল্লিতে নিজাম উদ্দিন আউলিয়ার দরগায় দেখা যায়। জানা গেছে, সরকার পতনের পর শামীম ওসমান দালালদের সহায়তায় রাতের আঁধারে বোরকা পরে ভারতে পালিয়ে যান। সেখান থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে পাড়ি দেন তিনি। শামীম ওসমান ও তাঁর ভাই একেএম সেলিম ওসমানের দীর্ঘদিন ধরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাতায়াত রয়েছে। দেশটির আজমান প্রদেশে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ২০১৭ সালে আমিরাতে আজমান প্রবাসী ব্যবসায়ীদের এক অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু হাই স্কুল প্রতিষ্ঠার জন্য ১ লাখ দিহরাম অনুদানের ঘোষণা দিয়ে আলোচনায় আসেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান।এফএস
    ঢাবি ছাত্রশিবিরের ১৪ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ
    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর পটপরিবর্তন হয় বাংলাদেশের বিভিন্ন স্তরে। দীর্ঘদিন ছাত্রলীগের নির্যাতন ও বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের চাপের কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকাশ্যে রাজনীতি করতে পারেনি  ইসলামী ছাত্রশিবির। হাসিনার পতনের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখার সভাপতি সাদিক কায়েম প্রকাশ্যে আসার পর সেক্রেটারি ৯ দফার পরিকল্পনাকারী এস এম ফরহাদকে পরিচয় করিয়ে দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আব্দুল কাদের। এর পর থেকে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন থেকে দাবি উঠে পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশের।  এবার সেই পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ করেছে ঢাবি শাখা ছাত্রশিবির। বুধবার (২ অক্টোবর) ঢাবি শাখার সেক্রেটারি এস এম ফরহাদ  বিষয়টি নিশ্চিত করে তালিকা প্রকাশের কথা জানান। কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন খান, প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক হোসাইন আহমাদ জুবায়ের, ছাত্র আন্দোলন ও মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক মো. মাজহারুল ইসলাম, অফিস সম্পাদক ইমরান হোসাইন, বায়তুল মাল সম্পাদক আলাউদ্দিন আবিদ, দাওয়াহ ও ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক হামিদুর রশিদ জামিল রয়েছেন।এছাড়া সাহিত্য, সংস্কৃতি ও প্রকাশনা সম্পাদক নুরুল ইসলাম নূর, বিজ্ঞান ও ক্রীড়া সম্পাদক মো. ইকবাল হায়দার, শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক মো. আনিছ মাহমুদ ছাকিব, আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক রিয়াজুল মিয়া, ব্যবসায় শিক্ষা ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হাসান মোহাম্মদ ইয়াসির এবং স্কিল ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক হিসেবে আব্দুল্লাহ আল আমিনের নাম রয়েছে।কমিটির বিষয়ে ঢাবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি সাদিক কায়েম বলেন, অন্যান্য সংগঠনের মতো করে আমাদের কমিটি হয় না। এজন্য আমাদের কমিটিতে সদস্য সংখ্যা কম মনে হতে পারে। ছাত্রদের নীতি নৈতিকতা, স্কিল ডেভেলপমেন্টসহ  সার্বিক উন্নয়নের জন্য আমাদের বিভিন্ন বিভাগ রয়েছে। সেই বিভাগগুলো আমাদের কার্যক্রমগুলো তদারকি করে থাকে। তিনি আরও বলেন, আমাদের কমিটিটি জানুয়ারিতেই গঠিত হয়েছে। ফ্যাসিস্ট সরকারের নির্যাতন নিপীড়নের কারণে আমরা তা পাবলিকলি প্রকাশ করতে পারিনি। ২৪ এর ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এবং শহীদদের আত্মত্যাগের ফলে দেশ ফ্যাসিবাদের মুক্ত হয়েছে এবং আমরা আমাদের অধিকার ফিরে পেয়েছি।এসএফ 
    কলকাতায় পার্কে অপু উকিলের সঙ্গে আসাদুজ্জামান কামাল
    ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকার পতনের পরও আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী, সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য অবৈধভাবে দেশত্যাগ করেছেন। পালাতে গিয়ে সীমান্তে ধরাও পড়েছেন কেউ কেউ। সীমান্ত পার হতে গিয়ে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে।ভারতের কলকাতার ইকোপার্কে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতার দেখা মিলেছে বলে জানা যায়। একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের ক্যামেরায় ধরা পড়েন তারা।এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক (চলতি দায়িত্ব) মো. শাহ আলম বলেন, আমি গণমাধ্যমে খবর দেখেছি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বেশ কয়েকজনকে কলকাতার একটি পার্কে দেখা গেছে। তারা কীভাবে গেছেন সে তথ্য ইমিগ্রেশন পুলিশে নেই।শাহ আলম বলেন, এতোটুকু নিশ্চয়তা দিতে পারি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ যাদের দেখা গেছে তারা কেউ ইমিগ্রেশন ক্রস করেননি। ইমিগ্রেশনে তাদের দেশত্যাগের কোনো তথ্য নেই।তাহলে কীভাবে গেলেন? জানতে চাইলে পুলিশের বিশেষ শাখার প্রধান শাহ আলম বলেন, ইমিগ্রেশনে যেহেতু তথ্য নেই, অবশ্যই অবৈধ পথে গেছেন। হেঁটে যেতে পারেন, গাড়িতেও যেতে পারেন, স্থলপথেও অবৈধভাবে সীমান্ত পার হতে পারেন।একই প্রশ্ন করা হলে র‌্যাবের লিগ্যাল ও মিডিয়া উইং পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস বলেন, তাদের কাছেও এ ধরনের কোনো তথ্য নেই।মঙ্গলবার বাংলাদেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশনের ক্যামেরায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বেশ কয়েকজনকে কলকাতার ইকো পার্কে দেখা গেছে। আসাদুজ্জামান খান কামাল ছাড়াও সেখানে সাবেক সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিল, অপু উকিল ও হাজী সেলিমের এক ছেলে রয়েছেন বলে জানা গেছে।কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জানতে চাইলে র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লে. কর্নেল মুনীম ফেরদৌস বলেন, আমাদের কাছে এ রকম কোনো তথ্য নেই। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বৈধভাবে গেছে নাকি অবৈধভাবে গেছে সে সম্পর্কে র‌্যাবের কাছে কোনো তথ্য নেই। এখানে র‌্যাবের কোনো ধরনের উদাসীনতা বা গাফিলতির বিষয় নেই। আমাদের যে দায়িত্ব ও কর্মপরিধি সে অনুযায়ী সর্বোচ্চ কাজ করে যাচ্ছি। এসএফ
    জ্বরে আক্রান্ত মির্জা ফখরুল
    বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সিজনাল জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) থেকে জ্বরে আক্রান্ত হন এই রাজনীতিবিদ।মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) সকালে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, জ্বরে আক্রান্ত মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গতকাল রাতে দেখতে গিয়েছিলেন অধ্যাপক ডাক্তার এ জেড এম জাহিদ হোসেন। এখন মহাসচিব বিশ্রামে আছেন। বাসা থেকে বের হওয়ার সম্ভবনা নেই।শায়রুল কবির বলেন, জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার কারণে ওলামা দলের নির্ধারিত আজকের আলোচনা সভায় অংশ নেবেন না মির্জা ফখরুল। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বিশ্রামে থাকবেন।
    হাসিনার ছেলে জয় ও মেয়ে পুতুলের ব্যাংক হিসাব জব্দ
    আওয়ামী লীগ সভাপতি ও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুলের ব্যাংক হিসাব স্থগিত করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠিয়ে অ্যাকাউন্ট স্থগিত করা হয়েছে।সোমবার বিএফআইইউ সূত্র এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছে।এসএফ
    মাহমুদুর রহমানের জীবনকে বিপন্ন করার চক্রান্ত করা হয়েছে: ফখরুল
    আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, মাহমুদুর রহমান দেশের একজন প্রথিতযশা সাংবাদিক। তিনি পতিত স্বৈরাচারী সরকারের আমলে ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। শারীরিকভাবে তাকে আক্রমণ করে রক্তাক্ত করা হয়েছে। ফ্যাসিবাদের হিংস্র আক্রমণে দমাতে না পেরে তার জীবনকে বিপন্ন করার চক্রান্ত করা হয়েছে।সোমবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতি বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।  মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্রের পক্ষে সাহসী ও ক্ষুরধার লেখনির জন্যই শেখ হাসিনা মাহমুদুর রহমানকে ব্যক্তিগতভাবে ধ্বংস করার চেষ্টা করেছেন। তার বিরুদ্ধে আওয়ামী ফ্যাসিষ্ট সরকার বহু মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা দায়েরসহ ফরমায়েশী সাজা দিয়ে অকথ্য জুলুম নিপীড়ন চালিয়েছে। তবু তিনি আওয়ামী সরকারের রক্তচক্ষুর ভয়ে ভীত না হয়ে, নিজ নীতি ও আদর্শে অটল থেকেছেন। গণতন্ত্র, বহুমতের সহাবস্থান ও ভিন্ন মতের প্রতি শ্রদ্ধার নীতিতে বিশ্বাসী মাহমুদুর রহমান।তিনি বলেন, আওয়ামী কতৃত্ববাদের আগ্রাসী আক্রমণের মুখেও আমার দেশ সম্পাদকের মাথা নোয়ানো যায়নি। মিথ্যা মামলায় রোববার তাকে জামিন না দিয়ে কারাগারে প্রেরণের মাধ্যমে তার প্রতি অবিচার করা হয়েছে। মাহমুদুর রহমানের জামিন পাওয়া উচিৎ ছিল। আমি অবিলম্বে মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তির জোর আহবান জানাচ্ছি। আশা করব বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তাকে জামিন দিয়ে গণতন্ত্রের স্বপক্ষের একজন সাংবাদিকের প্রতি সুবিচার নিশ্চিত করবেন।এসএফ 
    বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে তারেক রহমানের অনুরোধ
    দেশের পাঁচ জেলায় আকস্মিক বন্যা নিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বন্যার্তদের জেলাগুলোর বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সকল নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর মাধ্যমে গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতি বলা হয়, বিরতিহীন ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পানির ঢলের কারণে তিস্তা নদীর তীরবর্তী লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর, কুড়িগ্রাম এবং গাইবান্ধা জেলার নিম্নাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা আকস্মিক বন্যায় প্লাবিত হয়েছে।তারেক রহমান আরও বলেন, তিস্তাসহ ঐ অঞ্চলের নদীগুলোর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এই আকস্মিক বন্যায় প্রায় লক্ষাধিক মানুষ ইতোমধ্যে গৃহবন্দী হয়ে পড়েছেন। বন্যা কবলিত মানুষ চরম দুর্দশার মধ্যে দিনাতিপাত করছে। এলাকায় মানুষের মধ্যে অস্বস্তি ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। রাস্তাঘাট, জমির ফসল পানিতে ডুবে গেছে ।নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমি বন্যা উপদ্রুত ও আশপাশের জেলাগুলোর বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সকল নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের অনুরোধ জানাচ্ছি, তারা যেন বন্যার্তদের সর্বাত্নক সহযোগিতায় সক্রিয়ভাবে এগিয়ে আসেন।একইসঙ্গে আমি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দ্রুততার সঙ্গে বন্যা কবলিত এলাকাগুলোতে ত্রাণ ও উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনাসহ নদী ভাঙ্গনরোধে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য আহ্বান জানান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। এবি 
    বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তরের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা
    ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। কমিটির গঠনের ২মাসের মাথায় তা ভেঙে দেওয়া হলো।শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর ) রাত ১২টার পর বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কমিটি বাতিলের বিষয়টি জানানো হয়।বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। শিগগিরই ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির নতুন কমিটি ঘোষণা করা হবে।যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নিরবকে আহ্বায়ক ও বিএনপির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ফুটবলার আমিনুল হককে সদস্য সচিব করে গত ৭ জুলাই এ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল।পিএম

    Loading…