এইমাত্র
  • জাতি গঠনমূলক কাজে সশস্ত্র বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে: রাষ্ট্রপতি
  • অটোচালকদের রেললাইন অবরোধে ঢাকার সঙ্গে রেল যোগাযোগ বন্ধ
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত
  • সিরিয়ার ঐতিহ্যবাহী শহরে ইসরায়েলি হামলা, নিহত ৩৬
  • আজ ঢাকা কলেজ-সিটি কলেজের ক্লাস বন্ধ
  • রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
  • রাজধানীতে আজ ১২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়
  • ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই: প্রধান উপদেষ্টা
  • বিচারের শুদ্ধতায় ট্রাইব্যুনালে আপিলের বিধান রাখা হয়েছে : আইন উপদেষ্টা
  • সশস্ত্র বাহিনী দিবসে শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা
  • আজ বৃহস্পতিবার, ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২১ নভেম্বর, ২০২৪

    আন্তর্জাতিক

    সিরিয়ার ঐতিহ্যবাহী শহরে ইসরায়েলি হামলা, নিহত ৩৬
    সিরিয়ার ঐতিহ্যবাহী পালমিরা শহরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ৩৬ জন নিহত এবং ৫০ জন আহত হয়েছেন। দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানিয়েছে, হামলায় আবাসিক ভবনগুলোতে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।পালমিরা শহরটি ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় থাকা একটি প্রাচীন শহর। এটি ২০১৫ সালে আইএসের দখলে চলে যায় এবং ওই সময় শহরের একটি বড় অংশ ধ্বংস হয়। পরে সিরিয়ার সেনাবাহিনী শহরটি পুনর্দখল করে।বুধবার (২০ নভেম্বর) সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, আল-তানাফ অঞ্চল থেকে পালমিরায় এই বিমান হামলা চালানো হয়। ইরাক সীমান্তের কাছে অবস্থিত আল-তানাফ বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।২০১১ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরুর পর থেকে দেশটিতে বহুবার হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এসব হামলার প্রধান লক্ষ্যবস্তু ছিল সিরিয়ার সেনাবাহিনী ও ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলো। তবে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় ভয়াবহ আগ্রাসন শুরুর পর থেকে সিরিয়ার ওপরও ইসরায়েলের হামলার মাত্রা বেড়েছে।ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী সম্প্রতি সিরিয়া-লেবানন সীমান্তে ট্রানজিট রুটে হামলা চালিয়েছে। তারা দাবি করেছে, এসব রুট হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর কাছে অস্ত্র সরবরাহের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছিল।যদিও এসব হামলার বিষয়ে ইসরায়েল সচরাচর প্রকাশ্যে মন্তব্য করে না, তবে দেশটি বারবার বলেছে, ইরানকে সিরিয়ায় প্রভাব বিস্তার করতে দেওয়া হবে না।এবি
    তোশাখানা মামলায় জামিন পেলেন ইমরান খান
    তোশাখানার দুই মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানকে জামিন দিয়েছেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট (আইএইচসি)। বুধবার আদালত তাঁর জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন। বিচারপতি মিয়াঙ্গুল হাসান আওরঙ্গজেব ১০ লাখ রুপি করে দুটি মুচলেকা প্রদানের শর্তে ইমরানের জামিন মঞ্জুর করেছেন। পিটিআই প্রতিষ্ঠাতাকে জামিনের পরে বিচারিক আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।বিচারক সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ইমরান বিচারের সময় আদালতকে সহযোগিতা না করলে জামিন বাতিল করা হতে পারে। ইমরান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবিকে ১৩ জুলাই ইদ্দত মামলায় বেকসুর খালাস দিয়েছিলেন আদালত। ওই দিনই নতুন তোশাখানা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। অবশ্য বুশরা বিবি গত মাসে আইএইচসি থেকে তোশাখানা মামলায় জামিন পেয়েছিলেন। তবে পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা গত বছরের ৫ আগস্ট একটি পৃথক তোশাখানা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে কারাগারে রয়েছেন।নতুন তোশাখানা মামলায় ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) ইমরান ও বুশরা বিবিকে এক বিদেশি নেতার উপহার দেওয়া একটি দামি গহনার সেট (গলার হার, কানের দুল, ব্রেসলেট ও আংটি) তোশাখানায় কম দাম দিয়ে নিজেদের কাছে রেখে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ এনেছে। সংস্থার মতে, এতে রাজকোষের উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়েছে।পাকিস্তানে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে দেশটির সামরিক বাহিনীর কমপক্ষে ১৮ সদস্য নিহত হয়েছেন। উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তান ও আফগানিস্তান সীমান্তবর্তী অঞ্চলে পৃথক হামলায় প্রাণহানির এ ঘটনা ঘটে।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানে একটি আত্মঘাতী হামলায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ১০ জন সেনা নিহত হয়েছেন বলে একটি গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে। এ হামলার এক দিনেরও কম সময় আগে হওয়া আরেকটি হামলায় আফগানিস্তান সীমান্তবর্তী অঞ্চলে আরও আটজন সৈন্য নিহত হয়েছেন। খবর ডন ও সামা নিউজের। এফএস
    হিজবুল্লাহর সঙ্গে সংঘর্ষে ১১,৬০ ইসরাইলি সেনা হতাহত
    লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, দক্ষিণ লেবাননে গত ১ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষে ১,১৬০ জন ইসরাইলি সেনা হতাহত হয়েছেন।বুধবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, চলমান লড়াইয়ে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।হিজবুল্লাহর অপারেশন রুমের তথ্য অনুযায়ী, গত ১ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত তাদের যোদ্ধাদের সঙ্গে সংঘর্ষে ১১০ জন ইসরাইলি সেনা নিহত এবং ১,০৫০ জন আহত হয়েছে।একই সময়ে দখলদার বাহিনীর ৪৮টি মেরকাভা ট্যাংক, ৯টি সামরিক বুলডোজার, ২টি হামার গাড়ি, ২টি সাঁজোয়া যান এবং ২টি সৈন্যবাহী যান ধ্বংস করেছে হিজবুল্লাহ।এছাড়াও ৬টি ‘হারমেস ৪৫০’ ড্রোন, ২টি ‘হারমেস ৯০০‘ ড্রোন এবং ১টি ‘কোয়াডকপ্টার‘ গ্লাইডার ধ্বংস করা হয়েছে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।এদিকে লেবাননে ইসরাইলি হামলায় এ পর্যন্ত অন্তত ৩,৫৪৪ জন লেবানিজ নিহত এবং ১৫,০৩৬ জন আহত হয়েছেন। দক্ষিণ লেবানন অঞ্চলে ইসরাইলি বাহিনী এবং হিজবুল্লাহর মধ্যে চলমান সংঘর্ষে ব্যাপক প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বেসামরিক জনগণ এই হামলার প্রধান শিকার। যেখানে বসতবাড়ি, হাসপাতাল এবং মৌলিক পরিষেবাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।এই সংঘাতের ফলে লেবাননের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়েছে। বহু মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে এবং মানবিক সহায়তার জন্য জরুরি আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে।আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই সহিংসতা বন্ধ করতে তৎপর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। তবে ইসরাইলি আগ্রাসন বন্ধের কোনো কার্যকর পদক্ষেপ এখনো নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করছে লেবাননের মানবাধিকার সংস্থাগুলো। সূত্র: মেহের নিউজ এজেন্সিএসএফ 
    গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলি সেনা নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮০০
    সম্প্রতি গাজায় হামাসের সঙ্গে সংঘর্ষে ইসরাইলের একজন কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। এর ফলে গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজা যুদ্ধে এ পর্যন্ত ইসরাইলি সেনাবাহিনীর নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮০০ জনে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম।বুধবার আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, গাজায় উত্তরে জাবালিয়ায় নিহত ওই ইসরাইলি সেনা কর্মকর্তা কফির ব্রিগেডের সদস্য ছিলেন বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ)।ইসরাইলি সেনাবাহিনী আরও জানিয়েছে, হামাসের সঙ্গে সংঘর্ষে আরেক ইসরাইলি কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। তিনি রেজিমেন্ট ৯০-এর কমান্ডার এবং একজন কর্নেল ছিলেন।ইসরাইলি সেনাবাহিনী পরিচালিত রেডিওর এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, এ নিয়ে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া গাজা যুদ্ধে ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর ৮০০ সেনা ও কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।  যাদের অধিকাংশই গাজা উপত্যকায় নিহত হয়েছেন।অন্যদিকে একই সময়ে ইসরাইলি বাহিনীর অভিযান ও আগ্রাসনে প্রায় ৪৪,০০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়াও আহত হয়েছেন ১,০৪,০৯২ জন।এই গণহত্যা গাজার জনসংখ্যার ওপর এক গভীর মানবিক সংকট তৈরি করেছে। গাজায় দীর্ঘ এক বছরেরও বেশি সময় ধরে এমন হত্যাযজ্ঞ চালানোর পরেও ইসরাইল এখনও তার দুটি লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি। তা হলো- ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে ধ্বংস করা এবং ইসরাইলি বন্দিদের মুক্ত করা। অধিকার সংস্থাগুলোর মতে, ইসরাইলি বাহিনী গাজায় ধারাবাহিকভাবে বিমান হামলা এবং গোলাবর্ষণ চালিয়ে যাচ্ছে। যার প্রধান শিকার হচ্ছে বেসামরিক জনগণ, বিশেষত নারী ও শিশু।আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বারবার মানবিক সহায়তা এবং যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানালেও পরিস্থিতির কোনো উন্নতি ঘটেনি। বিশ্ব সম্প্রদায়ের নীরবতা এবং প্রধান শক্তিগুলোর সমর্থনে এই সহিংসতা আরও দীর্ঘায়িত হচ্ছে বলে মত বিশ্লেষকদের।বিশ্লেষকদের মতে, ইসরাইলি হামলার এই ধারা স্পষ্টতই আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন এবং এটি ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের শামিল।বিশ্ব সম্প্রদায়ের নীরবতা এবং প্রভাবশালী দেশগুলোর রাজনৈতিক সমর্থন ইসরাইলকে আরও আগ্রাসী করে তুলছে বলে অভিযোগ করেছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো। সূত্র: ইরনাএসএফ 
    যুক্তরাষ্ট্র সামরিক সহায়তা কমিয়ে দিলে হেরে যাব: জেলেনস্কি
    টানা আড়াই বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে এই সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে পূর্ব ইউরোপের এই দেশটিকে সহায়তা করে আসছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের একাধিক দেশ।বিশেষ করে অস্ত্র দেওয়ার পাশাপাশি দেশটিকে ব্যাপকভাবে সামরিক তহবিলও জুগিয়ে এসেছে ওয়াশিংটন। তবে পরিস্থিতি এখন ভিন্ন। ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর ধারণা করা হচ্ছে তিনি হয়তো ইউক্রেনের জন্য সহায়তা কমাবেন।এমন অবস্থায় যুদ্ধে পরাজয়ের শঙ্কা ব্যক্ত করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা কমিয়ে দিলে “আমরা হেরে যাব”। বুধবার (২০ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র কিয়েভকে সামরিক তহবিল কমিয়ে দিলে ইউক্রেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে “হারবে” বলে মঙ্গলবার ফক্স নিউজকে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। মার্কিন এই টেলিভিশন নেটওয়ার্ককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “যদি তারা সহায়তায় কাট-ছাট করে, তাহলে আমরা— আমি মনে করি, আমরা হারব।”ইউক্রেনীয় এই প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, “আমরা লড়াই করব। আমাদের নিজস্ব উৎপাদন আছে, কিন্তু তা যুদ্ধে জয় পাওয়ার জন্য যথেষ্ট নয়। এবং আমি মনে করি এটি (লড়াইয়ে) টিকে থাকার জন্যও যথেষ্ট নয়।”এএফপি বলছে, ২০২২ সালে রাশিয়ান আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে ইউক্রেনকে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন যে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার অর্থ ও সামরিক সহায়তা দিয়েছে তার একজন কট্টর সমালোচক হচ্ছেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।নির্বাচনী প্রচারণার সময় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বারবারই যুদ্ধ দ্রুত শেষ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু কীভাবে তিনি তা করবেন তার বিশদ বিবরণ তিনি দেননি। সম্প্রতি রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলার জন্য ইউক্রেনকে মার্কিন সরবরাহকৃত দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। তবে এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছে ট্রাম্পের মিত্ররা। এমনকি ইউক্রেন যুদ্ধের উত্তেজনা বিপজ্জনকভাবে বাড়িয়ে দেওয়ার জন্যও তারা বাইডেনকে অভিযুক্ত করেছেন।এমন অবস্থায় প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি তার সাক্ষাৎকারে ফক্স নিউজকে বলেন, ইউক্রেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে “ঐক্য” “সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ”। তিনি দাবি করেন, ট্রাম্প এই যুদ্ধ শেষ করার জন্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে প্রভাবিত করতে পারেন, “কারণ তিনি পুতিনের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী”।তিনি আরও বলেন, পুতিন “রাজি হতে পারেন এবং এই যুদ্ধের অবসান ঘটাতে পারেন, তবে এটি যুক্তরাষ্ট্রের ওপর অনেক বেশি নির্ভর করছে। কারণ পুতিন যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে দুর্বল।”প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সর্বাত্মক হামলা শুরু করে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী। এরপর থেকে পূর্ব ইউরোপের এই দেশটিতে প্রায় ১২ হাজার বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। আড়াই বছর ধরে চলা এই যুদ্ধে ইউক্রেনের দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, খেরসন ও জাপোরিঝিয়া— চারটি প্রদেশের আংশিক দখল নিয়েছে রুশ বাহিনী।এই চার প্রদেশের রাশিয়ার দখলে যাওয়া অংশের সম্মিলিত আয়তন ইউক্রেনের মোট ভূখণ্ডের এক-পঞ্চমাংশ। এছাড়া গত শুক্রবার রাশিয়ান বাহিনী পূর্বাঞ্চলের রণাঙ্গনেও অগ্রগতি অর্জন করেছে।এবি 
    আবারও ভারতে ১৫ বাংলাদেশি আটক
    ভারতে ১৫ জন বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছে। এরমধ্যে দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামে আটক করা হয়েছে ৯ জনকে। অবৈধ প্রবেশের অভিযোগে আটক ওই ৯ জনকে অবশ্য পরে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।অন্যদিকে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কর্ণাটকে আটক হয়েছেন আরও ৬ বাংলাদেশি। বুধবার (২০ নভেম্বর) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া ও হিন্দুস্তান টাইমস।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের অভিযোগে মঙ্গলবার আসামের করিমগঞ্জ জেলায় ৯ বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছে।আটককৃতরা হলেন— মো. মামুন, আবু নাইম, রাশেদ ইসলাম, মুরাদ আলী মন্ডল, মো. আশরাফুল হক, মো. বসির হাওলাদার, মো. রবিউল হাওলাদার, মো. মহাবত আলী ও মো. মহিম হোসেন। পরে তাদেরকে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়।এদিকে এই অভিযানের প্রশংসা করেছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেছেন: “আজ আসাম পুলিশ করিমগঞ্জে ৯ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে শনাক্ত করেছে ও গ্রেপ্তার করেছে এবং পরে তাদেরকে সীমান্তের ওপারে পাঠিয়ে দিয়েছে।”অন্যদিকে কর্ণাটকের চিত্রদুর্গায় জাল কাগজপত্রসহ আটক হয়েছেন ৬ বাংলাদেশি। ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ বি দিনাকর জানিয়েছেন, বাংলাদেশি নাগরিক বলে সন্দেহ হওয়ায় অভিযানে ১৫ জনকে আটক করা হয়েছিল। তবে জিজ্ঞাসাবাদের সময় জানা যায়, আটককৃত ১৫ জনের মধ্যে ছয়জন জাল নথি ব্যবহার করে ভারতে বসবাস এবং কাজ করছেন।”তিনি আরও বলেন: “আমরা কলকাতায় তাদের জাল আধার কার্ড, ভোটার আইডি, লেবার কার্ড এমনকি ব্যাংক অ্যাকাউন্টও খুঁজে পেয়েছি। তারা এই জাল পরিচয়ে বিভিন্ন রাজ্যে কাজ করে আসছিল। আমরা সোমবার চিত্রদুর্গা জেলায় তাদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করেছি।”অভিযুক্তরা হলেন— শেখ সাইফুর রহমান, মুহাম্মদ সুমন আলী, মাজহারুল, আজিজুল শেখ, মুহাম্মদ সাকিব সিকদার এবং সানোয়ার হোসেন। তাদের সবার বয়স ২২ থেকে ২৯ বছরের মধ্যে।ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ বি দিনাকর আরও বলেন, ভারতে বসতি স্থাপনের উদ্দেশ্যে তারা বেশ কয়েক বছর আগে পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন।এবি 
    পাকিস্তানে পৃথক সন্ত্রাসী হামলায় ১৮ সেনাসদস্য নিহত
    পাকিস্তানে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে দেশটির সামরিক বাহিনীর কমপক্ষে ১৮ সদস্য নিহত হয়েছেন। উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তান ও আফগানিস্তান সীমান্তবর্তী অঞ্চলে পৃথক হামলায় প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে।বুধবার (২০ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানে একটি আত্মঘাতী হামলায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ১০ জন সৈন্য নিহত হয়েছেন বলে একটি গোয়েন্দা সূত্র বার্তাসংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে। এই হামলার এক দিনেরও কম আগে হওয়া আরেকটি হামলায় আফগানিস্তান সীমান্তবর্তী অঞ্চলে আরও আটজন সৈন্য নিহত হয়েছেন।বান্নুর সর্বশেষ হামলার বিষয়ে একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেছেন, “একজন সন্দেহভাজন আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী চেকপয়েন্টের কাছে এসে একটি বিস্ফোরক বোঝাই গাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটায়, তারপরে তার সহযোগীরা গুলিবর্ষণ শুরু করে। সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী, হামলায় ১০ জন নিহত এবং আরও সাতজন আহত হয়েছেন।”ওই কর্মকর্তা আরও বলেছেন, বিস্ফোরণ ও হামলার এই ঘটনা মালি খেল চেকপয়েন্টের অবকাঠামোর পাশাপাশি সামরিক যানের “উল্লেখযোগ্য ক্ষতি” করেছে। হাফিজ গুল বাহাদুর সশস্ত্র গোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করেছে।এদিকে খাইবার-পাখতুনখাওয়া প্রদেশে আরেকটি হামলার ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে মঙ্গলবার এই বোমা হামলার ঘটনাটি ঘটেছে বলে অন্য একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন।পাকিস্তান সংবাদমাধ্যম দ্য ডন বলছে, যদিও পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মিডিয়া উইং ইন্টার-সার্ভিস পাবলিক রিলেশনস (আইএসপিআর) আনুষ্ঠানিকভাবে মৃতের সংখ্যা নিশ্চিত করেনি, তবে সরকারি সূত্র জানিয়েছে, খাইবার পাখতুখাওয়ার তিরাহ উপত্যকায় জঙ্গিদের সাথে ভয়ঙ্কর বন্দুকযুদ্ধে কমপক্ষে আট নিরাপত্তা কর্মী নিহত এবং আরও তিনজন আহত হয়েছেন।বার্তাসংস্থা এএফপি মঙ্গলবার জানিয়েছে, বন্দুকযুদ্ধে ৯ জন জঙ্গিও নিহত হয়েছে। বাগ-ময়দান মারকাজের কাছে সশস্ত্র বন্দুকধারীরা একটি সামরিক ক্যাম্পে হামলা চালানোর পর সেখানে সংঘর্ষ শুরু হয়েছিল।অন্যদিকে গত সোমবার আহমেদজাই মহকুমার রোচা পোস্ট থেকে অপহৃত হওয়া সাতজন পুলিশকে স্থানীয় উপজাতীয় প্রবীণদের সহায়তায় সফল আলোচনার পর নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম বলছে, উপজাতীয় প্রবীণদের সমন্বয়ে গঠিত একটি দল অজ্ঞাত স্থানে সশস্ত্র অপহরণকারীদের সাথে আলোচনা করে। আলোচনা সফলভাবে সমাপ্ত হয় এবং এর ফলে পুলিশদের নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়া হয়।জেলা পুলিশ কর্মকর্তা জিয়াউদ্দিন আহমেদ বলেন, কোনো মুক্তিপণ বা শর্ত ছাড়াই পুলিশ সদস্যদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানে উপজাতীয় প্রবীণরা মুখ্য ভূমিকা পালন করেন।এবি 
    ধর্ষণের অভিযোগে নরওয়ের ক্রাউন প্রিন্সেসের ছেলে গ্রেফতার
    নরওয়ের ক্রাউন প্রিন্সেসের ছেলে মারিয়াস বোর্গ হোইবিকে (২৭) ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন নিউজ এ তথ্য জানায়।প্রতিবেদনে বলা হয়, যুবরাজ হাকন ও মেট-মারিট ২০০১ সালে বিয়ে করেন। এই দম্পতির ছেলে মারিয়াস বোর্গ হোইবি। মারিয়াস বোর্গ হোইবিকে স্থানীয় সময় গত সোমবার রাতে গ্রেফতার করা হয়। তার আইনজীবী অয়ভিন্ড ব্রাটরিয়েন নরওয়ের সরকারি গণমাধ্যম এনআরকে-কে জানান, বোর্গ হোইবি ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।নরওয়ের পুলিশ জানিয়েছে, মারিয়াস বোর্গ হোইবিকে ফৌজদারি বিধি লঙ্ঘন করার অপরাধে গ্রেফতার করা হয়। তিনি এমন একজনের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন, যিনি অচেতন বা অন্য কোনো কারণে নিজেকে রক্ষা করতে অক্ষম ছিলেন।পুলিশ আরও জানিয়েছে, তিনি এমন ধরনের যৌন আচরণ করেছেন যেখানে ভুক্তভোগী নারীর সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক ছিল না। ওই ভুক্তভোগী তরুণী অভিযোগ করেন, তিনি নিজেকে রক্ষা করবেন এমন কোন পরিস্থিতি সেখানে ছিল না।২০ বছর বয়সী ভুক্তভোগী তরুণীর আইনজীবী হেগে সোলোমন সিএনএনকে জানান, বোর্গ হোইবির সঙ্গে আগে কখনোই তার দেখা হয়নি। ঘটনার দিনই তাঁদের প্রথম দেখা হয়। এর আগে তারা কেউ কাউকে চিনতেন না।এবি 
    সেনাবাহিনী দিয়ে অবৈধ অভিবাসী তাড়াবেন ট্রাম্প
    সামরিক বাহিনী দিয়ে অবৈধ অভিবাসী তাড়ানোর পরিকল্পনা করেছেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ে জাতীয় জরুরি পরিস্থিতি জারি করার পাশাপাশি অবৈধ অভিবাসীদের তাড়াতে সামরিক বাহিনীকে ব্যবহার করার কথা জানিয়েছেন তিনি। সোমবার দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বতর্মান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আমলে মেক্সিকোর সীমান্ত পেরিয়ে রেকর্ডসংখ্যক অভিবাসী যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছেন। এ নিয়ে অনেক আগে থেকে চটে ছিলেন ট্রাম্প। সীমান্ত পেরোনো ঠেকাতে নিজের প্রথম মেয়াদে মেক্সিকো সীমান্তে প্রাচীর নির্মাণের কাজও শুরু করেছিলেন। এবারের নির্বাচনে তার অন্যতম প্রধান প্রতিশ্রুতি ছিল যুক্তরাষ্ট্রকে অবৈধ অভিবাসীমুক্ত করা।ট্রাম্পের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে রক্ষণশীল একজন অধিকারকর্মী লিখেছিলেন, অবৈধ অভিবাসীদের বিতাড়িত করার প্রকল্পে বাইডেন হস্তক্ষেপ করেছিলেন। তা আবার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে জাতীয় জরুরি পরিস্থিতি জারি ও সামরিক সরঞ্জাম ব্যবহারের প্রস্তুতি নিয়েছেন ট্রাম্প। পরে ওই পোস্ট শেয়ার করে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘সত্যি।’সরকারি তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ অবৈধ অভিবাসী বসবাস করছে। ট্রাম্পের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে তা অন্তত ২ কোটি পরিবারের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।ট্রাম্প আগামী ২০ জানুয়ারি হোয়াইট হাউজে শপথ গ্রহণ করবেন। তার আগেই নতুন প্রশাসন সাজানোর কাজে মনোযোগ দিয়েছেন তিনি। অভিবাসন বিষয়ে কট্টরপন্থি টম হোম্যানকে সীমান্ত নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব দিয়েছেন। এছাড়া সোমবার ট্রাম্প তার পরিবহণমন্ত্রী হিসাবে উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যের সাবেক প্রতিনিধি ও ফক্স বিজনেস নিউজের সঞ্চালক শন ডাফিকে মনোনীত করেছেন।রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরিবহণমন্ত্রী হিসাবে শন ডাফি যুক্তরাষ্ট্রের উড়োজাহাজ, গাড়ি, রেল, ট্রানজিট ও অন্যান্য পরিবহণ সংক্রান্ত বিষয় দেখভালের দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া ট্রাম্প সরকারের সব বড় অবকাঠামো নির্মাণ, হালনাগাদকরণ ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকবেন ডাফি।ট্রাম্পের ঘোষণার পর মার্কিন জনগণের উদ্দেশে শন ডাফি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে লেখেন, ‘আপনাদেরকে আমি পরিবহণ খাতের সোনালি যুগে নিয়ে যেতে খুবই আগ্রহী।’ তবে বিশ্লেষকদের মতে, ডাফির সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর উচ্চহার কমিয়ে ফেলা।এসএফ 
    গাজার প্রায় ১০০ ত্রাণের লরি লুট
    ইসরাইলের আগ্রাসনে ভয়াবহ সংকটে বিপর্যস্ত গাজা। এদিকে প্রাণের ভয়, অন্যদিকে মৌলিখ চাহিদার অভাবে বেঁচে থাকার যুদ্ধ। দুঃসহ এমন পরিস্থিতিতেও গাজার ত্রাণের লরিতে হয়েছে লুট। জাতিসংঘের পাঠানো ত্রাণবাহী ১০৯টি লরিতে লুটপাট চালানো হয়েছে। জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে কারা এই লুটপাটের সঙ্গে জড়িত তা জানা সম্ভব হয়নি। আরব নিউজ। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে ইসরাইল নিয়ন্ত্রিত কেরেম শালম ক্রসিং দিয়ে লরিগুলো পার হওয়ার সময় এ লুটপাটের ঘটনা ঘটে। ৯৭টি লরি লুট করে নিয়ে যাওয়া হয়। চালকদের বন্দুকের ভয় দেখিয়ে লরিতে থাকা ত্রাণগুলো খালি করে দুর্বৃত্তরা। ইউএনআরডব্লিউএর কমিশনার জেনারেল ফিলিপ লাজারিনি জানান, গাজার আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। এ অবস্থায় সেখানে ত্রাণ সরবরাহ কার্যক্রম পরিচালনা করা খুবই কষ্টকর। এ বিষয়ে ইসরাইলের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মুখোশপরা একদল মানুষ গ্রেনেড ছুড়ে ত্রাণের লরি বহরে হামলা চালায়। এ ব্যাপারে গাজায় হামাস পরিচালিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, তাদের নিরাপত্তাকর্মীরা অপরাধী দলের ২০ জনের বেশি সদস্যকে হত্যা করেছে। ইউএনঅঅরডব্লিউএ জানিয়েছে, গাজার ২০ লাখ মানুষ মানবিক ত্রাণের ওপর নির্ভর করে বেঁচে আছে। এ নিয়ে এখনই হস্তক্ষেপ না করলে সেখানে খাদ্য সংকট আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। শনিবার ত্রাণের লরি লুটের ঘটনা নিয়ে প্রথম খবর প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স। গাজায় ইউএনআরডব্লিউএর একজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্স বলেছিল, ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি করে কেরেম শালম থেকে ত্রাণের লরির ওই বহরটিকে ‘অচেনা একটি রাস্তা দিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল’।জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে ইউএনআরডব্লিউএর কমিশনার জেনারেল ফিলিপ লাজারিনি জানান, গাজায় আমাদের লোকজন ছিল যারা ত্রাণের বহর পাহারা দিয়ে নিয়ে যেত। এখন সেই ব্যবস্থা একেবারেই নেই। এর অর্থ গাজার দক্ষিণাঞ্চলে আমরা এমন একটি পরিবেশে আছি, যেখানে স্থানীয় অপরাধী দল, স্থানীয় পরিবারগুলো যে কোনো ব্যবসা বা যে কোনো কর্মকাণ্ডের দখল পেতে পরস্পরের সঙ্গে লড়াই করছে। সেখানে এমন পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে যে (ত্রাণ) কার্যক্রম পরিচালনা করা অসম্ভব।’ গাজার দক্ষিণের নগর খান ইউনিসে খাবারের খোঁজে মরিয়া একদল মানুষ ইউএনআরডব্লিউ পরিচালিত একটি কারিগরি কেন্দ্রে তাণ্ডব চালানোর চেষ্টা করে বলেও জানান এই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, তারা ভেবেছিল সেখানে ত্রাণ রাখা হয়েছে। কিন্তু ত্রাণের লরি বহরে আগেই লুটপাট হয়েছে। কারিগরি কেন্দ্রের গুদামগুলোতে তাই নেওয়ার মতো কিছুই ছিল না।এসএফ 
    যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়াতে হামলা চালাল ইউক্রেন
    যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইউক্রেন প্রথমবারের মতো রাশিয়ার ভূখণ্ডে হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) ভোরে চালানো এই হামলায় পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করা হয়েছে এবং আরেকটি ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষ পড়ে একটি সামরিক স্থাপনায় আগুন ধরে যায়।রাশিয়া জানায়, স্থানীয় সময় ভোর ৩টা ২৫ মিনিটে এই হামলা চালানো হয়। আগুন দ্রুত নেভানো হয়েছে। তবে এই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি।এদিকে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা রাশিয়ার ব্রিয়ানস্ক এলাকায় একটি গোলাবারুদের গুদামে হামলা চালিয়েছে। তবে এই হামলায় আর্মি ট্যাকটিক্যাল মিসাইল সিস্টেম (এটিএসিএমএস) ব্যবহার করা হয়েছে কি না সেটা তারা নিশ্চিত করেনি। সীমান্ত থেকে ১০০ কিলোমিটারের মতো দূরে কারাচেভ শহরের কাছে একটি ডিপোতে হামলা হয়েছে।যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে এ ধরনের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়ার ভূখণ্ডে হামলার অনুমতি দেওয়ার পরপরই এই ঘটনা ঘটলো। এর আগে, গত সোমবার রাশিয়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিল, ইউক্রেন এমন কোনো আক্রমণ চালালে তারা উপযুক্ত এবং কঠোর জবাব দেবে।এদিকে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নতুন পারমাণবিক নীতিমালা অনুমোদন করেছেন। এতে বলা হয়েছে, কোনো অ-পরমাণবিক রাষ্ট্র যদি রাশিয়ার বিরুদ্ধে আক্রমণ চালায় এবং তাতে কোনো পারমাণবিক শক্তিধর দেশের সমর্থন পায়, তবে সেটি যৌথ আক্রমণ হিসেবে বিবেচিত হবে। এমন পরিস্থিতিতে ওই দেশটিতে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করে হামলা চালাতে পারবে রাশিয়া।এসএফ 
    সৌদিতে কাবার আদলে তৈরি মঞ্চে নাচ-গান, বিশ্বজুড়ে সমালোচনার ঝড়
    পবিত্র কাবার আদলে তৈরি হয়েছে স্টেজ আর সেই স্টেজে নাচ-গান করছেন জনপ্রিয় শিল্পী জেনেফার লোপেজ ও সেলিন ডিওন! এমন কিছু ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সম্প্রতি সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে একটি ফ্যাশন শোতে দেখা গেছে এমন দৃশ্য। এর পর থেকেই বিশ্বজুড়ে শুরু হয়েছে সমালোচনার ঝড়!১৩ নভেম্বর রিয়াদে লেবাননের তারকা ফ্যাশন ডিজাইনার এলি সাবের ক্যারিয়ারের ৪৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজন করা হয় এক বিশেষ অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানটিতে ফ্যাশন শো এর পাশাপাশি ছিলো নাচ-গানের আয়োজনও। সেই আয়োজনেই খোলামেলা পোশাকে নাচ ও গান পরিবেশন করতে দেখা যায় জেনিফার লোপেজ ও সেলিন ডিওনকে। আর এর পর থেকেই বিশ্বজুড়ে নেটিজেনদের মধ্যে শুরু হয়েছে তুমুল সমালোচনার ঝড়।তবে স্টেজে পবিত্র কাবার আদলে কিছু ছিলো না দাবি করে সৌদি ফ্যাক্ট চেকিং সংস্থাগুলো জানিয়েছে, ফ্যাশন শো চলাকালীন যেটি দেখা গিয়েছিল সেটি ‘একটি গ্লাস কিউব’। সৌদি আরবের অ্যান্টি-রিউমার অথরিটি শোতে কাবার ছবি ব্যবহারের বিষয়টি অস্বীকার করেছে।কর্তৃপক্ষ জানায়, এটা শুধু একটা গ্লাস কিউব আকৃতির স্ট্রাকচার, যার সঙ্গে কাবা শরিফের কোনো সম্পর্ক নেই।সৌদি গণমাধ্যম অভিযোগ করছে, এ সমালোচনার পেছনে মুসলিম ব্রাদারহুডের মতো কট্টরপন্থী গোষ্ঠীর হাত রয়েছে।যারা সৌদি আরব ও দেশটির সংস্কার পরিকল্পনাকে টার্গেট করার চেষ্টা করছে।সৌদি আরবের ভিশন ২০৩০ শুধু তেলের ওপর অর্থনৈতিক নির্ভরশীলতা থেকে মুক্তি পাওয়ার চেষ্টা করছে না।বস্তুত, দেশটিতে সামাজিক সংস্কার, বিশেষ করে নারী অধিকারের জন্যও কাজ চলছে।গত কয়েকদিন ধরে এক্স (সাবেক টুইটার) সহ অনেক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট ঘুরে বেড়াচ্ছে, যেখানে রিয়াদের বিনোদন কার্যক্রমকে ‘অপমানজনক’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।বেশ কয়েকজন ইসলামী ব্যক্তিত্ব এই ঘটনা সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন এবং কিছু পর্যবেক্ষকও এই প্রদর্শনীটিকে ‘শয়তানি’ বলে অভিহিত করেছেন।নেটিজেনরা রিয়াদের ফ্যাশন শো এবং এ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানকে অনৈতিক বলে বর্ণনা করেছে। এমন কাণ্ডের জন্য সৌদি রাজপরিবার এবং ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানেরও সমালোচনা করছেন।সিরিয়াভিত্তিক ধর্মীয় নেতা আবদুল রহমান আল-আদ্রিসি দাবি করেন, মোহাম্মদ বিন সালমানের নির্দেশে ফ্যাশন শোতে নারীরা এই ‘কাবার মতো আকৃতি’ ঘিরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।তিনি দাবি করেন, এটা দাজ্জালকে ডেকে আনার জন্য ‘শয়তানি’ কাজ। পাকিস্তানেও অনেকে এই বিষয়ে মন্তব্য করেছেন। মোল্লা হাক্কানি নামের একজন বলেছেন, রিয়াদে ফ্যাশন উইকের অনুষ্ঠানে কাবাকে অপমান করা হয়েছে। তারা ইচ্ছাকৃতভাবে কাবার মতো জায়গাটি ডিজাইন করেছিল এবং অর্ধনগ্ন নারীদের সেখানে নাচিয়েছে।  সোশ্যাল মিডিয়ায় বিকৃত কিছু ছবিও ছড়িয়ে পড়েছে যেখানে এই ফ্যাশন শো চলাকালীন মূর্তি দেখা যায়।সৌদি চ্যানেল আল আরাবিয়া টিভি ১৭ নভেম্বর সম্প্রচারের সময় বলেছিল যে সামাজিক মিডিয়ায় ‘অজানা এবং সন্দেহজনক অ্যাকাউন্টগুলো’ সৌদি আরবের বিরুদ্ধে প্রচারণা শুরু করেছে।আল-আরাবিয়ার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রিয়াদ সিজনের সমালোচনা করে এই প্রচারণার লক্ষ্য ছিল ‘সৌদি সফট পাওয়ার এবং ভিশন ২০৩০ কর্মসূচিকে বিকৃত করা।’ উল্লেখ্য, অক্টোবরে শুরু হওয়া বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নিয়ে শুরু থেকেই অনলাইনে সমালোচনা চলছিল।অনেকে একে গাজা ও লেবাননের যুদ্ধের সঙ্গে যুক্ত করে বলেছেন, এত মানুষের মৃত্যুর পরও রিয়াদ এমন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অব্যাহত রেখেছে।তবে আল-আরাবিয়ার সম্প্রচারে সৌদিপন্থি কলামিস্ট আবদুল্লাহ আল-জাদায়াহ বলেছেন, ‘এই সমালোচনার পেছনে রয়েছে সৌদি আরবের নিষিদ্ধ ঘোষিত মুসলিম ব্রাদারহুড এবং বিশ্বজুড়ে এর সদস্যরা।’অনুষ্ঠানে নাচ নিয়ে সমালোচনার কারণ জানতে চাইলে জাদায়াহ বলেন, সব অনুষ্ঠানই পরস্পর সম্পর্কযুক্ত এবং তাদের উদ্দেশ্য ছিল মুসলমানদের মুখে হাসি ফোটানো।তিনি বলেন, ইতিহাসে মুসলমানরা যুদ্ধ, শান্তি ও হত্যাকাণ্ড দেখেছে। তার মানে এই নয় যে, জীবন একেবারেই থেমে যাবে। তিনি আরও বলেন, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে অভিযান গতকাল শুরু হয়নি, ৭ অক্টোবরও শুরু হয়নি। প্রায় ৮০ বছর ধরে ফিলিস্তিন দখল হয়ে আছে। জাদায়াহ বলেন, সৌদি আরব একটি ‘বড় পরিবর্তনের’ মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বিগত আমলে যারা লাভবান হয়েছেন এবং পরিবর্তনের বিরোধিতা করেছেন তারাই মূলত এসব সমালোচনা করছে। পবিত্র কাবার আদলে তৈরি স্টেজ নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আল-কায়েদা হচ্ছে প্রথম দল যারা সৌদি আরবকে দুটি (পবিত্র) মসজিদের দেশ হিসেবে সীমাবদ্ধ করার চেষ্টা করেছিল।পৃথিবীতে এমন কোন বিবেকবান ব্যক্তি আছে যে বলে যে, কোন ঘনক্ষেত্র বা বর্গাকার জিনিস কাবার অবমাননা?তিনি দাবি করেন, এরা (সমালোচকরা) মাত্র দুটি পবিত্র মসজিদের বিষয়টি তুলে ধরে সৌদি আরবকে বিব্রত করার চেষ্টা করে। সূত্র: বিবিসি উর্দু এসএফ  
    মালয়েশিয়ায় যৌন নিপীড়নের শিকার দুই বাংলাদেশি নারী উদ্ধার
    মালয়েশিয়ায় যৌন নিপীড়নের শিকার দুই বাংলাদেশি নারীকে উদ্ধার করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে দেশটির অভিবাসন বিভাগ এই তথ্য জানায়।বিবৃতিতে বলা হয়, গতকাল সোমবার গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে যৌন নিপীড়নের শিকার দুই বাংলাদেশি নারীকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত দুই নারীর বয়স যথাক্রমে ৩০ ও ৩৪ বছর। এ সময় ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে চারজন বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজন সিন্ডিকেট সদস্য ও পরিকল্পনাকারী বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।দেশটির অভিবাসন বিভাগ জানায়, ভালো চাকরির প্রস্তাব দিয়ে এসব নারীদের মালয়েশিয়ায় এনে যৌনদাসী হিসেবে কাজ করতে বাধ্য করা হয়। মানব পাচার ও অভিবাসীদের চোরাচালানবিরোধী আইন (এটিআইপিএসওএম) ২০০৭ (অ্যাক্ট ৬৭০) এর অধীনে অপরাধীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।এসএফ  
    ইউটিউব থেকে শিখে শিক্ষিকার চেয়ারে বোমা ফাটাল শিক্ষার্থীরা!
    ক্লাসে বকাঝকার কারণে শিক্ষিকার চেয়ারে ইউটিউবে শেখা বোমা রেখে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে একদল শিক্ষার্থী।এ ঘটনায় অভিযুক্তদের এক সপ্তাহের জন্য স্কুল থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সম্প্রতি ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের একটি কলেজে এমন ঘটনা ঘটে। হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়, ওই শিক্ষিকা সংশ্লিষ্ট ছাত্রদের বকাঝকা করেছিলেন। সে কারণেই ওই ছাত্ররা ঠিক করে, তারা এই ‘বদলা’ নেবে এবং তার জন্য ‘ভয়ঙ্কর কিছু’ করতে হবে!প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, অভিযুক্ত ছাত্রদের মধ্যে একজন শিক্ষিকার চেয়ারের নীচে ওই বোমা লাগিয়ে দেয়। আর, অন্য এক ছাত্র রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে সেই বোমা ফাটিয়ে বিস্ফোরণ ঘটায়!দাবি করা হচ্ছে, বাজির মতো দেখতে এই বোমা তৈরি করা থেকে শুরু করে রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে তাতে বিস্ফোরণ ঘটানো - পুরোটাই ইউটিউব দেখে শিখেছিল অভিযুক্তরা।এই ঘটনা সামনে আসতেই স্কুল কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি হরিয়ানা শিক্ষা দফতরও কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে ১৩ জন শিক্ষার্থীকে এক সপ্তাহের জন্য সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এর পাশাপাশি, শিক্ষা দফতরের কর্মকর্তাদের একটি প্রতিনিধি দলকে ওই স্কুলে পাঠানো হয়েছে। তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দেখে এবং স্কুলের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে। শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকেও ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে।এসএফ 
    ইমরান খানের দলকে আলোচনার প্রস্তাব পাকিস্তান সরকারের
    দেশ-বিদেশে আগামী ২৪ নভেম্বর বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর মুক্তির দাবিতে বড় ধরনের বিক্ষোভের প্রস্তুতি নিচ্ছে তার দল পাকিস্তান তেহরিক–ই–ইনসাফ। এর মধ্যেই দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মোহাম্মদ আসিফ পিটিআইয়ের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব দিলেন। পাকিস্তানি গণমাধ্যম দ্য ডন বলছে, রোববার (১৭ নভেম্বর)  খাজা মোহাম্মদ আসিফ এ প্রস্তাব দেন। গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, পিটিআইয়ের জন্য আলোচনার দরজা সব সময় খোলা। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত ইমরান খান রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনার বসতে চান না। তিনি চান সেনাবাহিনীর সঙ্গে আলোচনায় বসতে। এর আগে অবশ্য পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন পিএমএল–এন পার্টির প্রেসিডেন্ট নওয়াজ শরিফ বলেন, পিটিআইয়ের ২৪ নভেম্বরে বিক্ষোভ পাকিস্তানের অগ্রগতিতে বাধা হতে পারবে না।প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ইমরান খান পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে আলোচনায় বসতে বা চুক্তিতে আগ্রহের কথা জানান। দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইমরান খানের সঙ্গে কোনো চুক্তির কথা অস্বীকার করেছে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী।এদিকে ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে এর আগে খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আলি আমিন গান্দারপুরের নেতৃত্বে দুই দফা বিক্ষোভ করেছে পিটিআই। কিন্তু তাদের বিক্ষোভ সমাবেশ ইমরানের মুক্তির জন্য চাপ তৈরি করতে পারেনি। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মোহাম্মদ আসিফ বলেন, ইমরান খানসহ পিটিআইয়ের সবাই ভণ্ড ও মিথ্যাবাদী। আগের বিক্ষোভ সমাবেশগুলোর মতোই এবারও তারা ব্যর্থ হবে। পিএমএল-এন পার্টির এই নেতা অভিযোগ করে বলেন, প্রতিবার পিটিআই নেতারা তাদের কর্মীদের উদ্বুব্ধ করে সমাবেশে আনেন কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে নাকাল হয়ে মাঝপথে ছেড়ে পালান।এর আগে শনিবার লন্ডনে সাংবাদিকদের নওয়াজ শরিফ বলেন, পিটিআইয়ের সমাবেশ পাকিস্তানের উন্নতিতে কোনো বাধা হবে না। তিনি পিটিআইয়ের বিক্ষোভকে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাধা বলে মনে করেন। প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে ইমরান খান পাকিস্তানের সম্মানের ক্ষতি করেছেন বলেও তিনি অভিযোগ করেন।২০২২ সালের এপ্রিলে পার্লামেন্টের অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হন ইমরান খান। এরপর পাকিস্তানের বিভিন্ন আদালতে তার বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা হয়েছে। গত বছরের মে মাসে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। বর্তমানে ইমরান খানকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে রাখা হয়েছে।এবি 

    Loading…