এইমাত্র
  • আজ ঢাকা কলেজ-সিটি কলেজের ক্লাস বন্ধ
  • রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
  • রাজধানীতে আজ ১২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়
  • ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই: প্রধান উপদেষ্টা
  • বিচারের শুদ্ধতায় ট্রাইব্যুনালে আপিলের বিধান রাখা হয়েছে : আইন উপদেষ্টা
  • সশস্ত্র বাহিনী দিবসে শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা
  • ইজিবাইক-মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে শিক্ষার্থীসহ নিহত ২
  • যেকোনও ধর্মে মুহাম্মদ (সা.) কে সম্মান করা যায় : স্বরা ভাস্কর
  • বাংলাদেশ ব্যাংকে আওয়ামীপন্থিদের নিরঙ্কুশ বিজয়, বিএনপিপন্থিদের ধস
  • ট্রাম্পের দলের নেতাদের বাংলাদেশ সফরের আহ্বান ড. ইউনূসের
  • আজ বৃহস্পতিবার, ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২১ নভেম্বর, ২০২৪
    ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই: প্রধান উপদেষ্টা
    সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে ছাত্র-জনতার কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকার কথা জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) ঢাকা সেনানিবাসের আর্মি মাল্টিপারপাস হলে খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ কথা জানান তিনি।প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ছাত্র-জনতার সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত নতুন বাংলাদেশে আমাদের সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ, আহত এবং জীবিত ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই। তারা যে সুযোগ আমাদের তৈরি করে দিয়েছে, তার মাধ্যমে বাংলাদেশকে পৃথিবীর সামনে দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশে পরিণত করতে আমরা শপথ নিয়েছি।ড. ইউনূস বলেন, নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সব মানুষকে একটি বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা। পরিবারে মতভেদ থাকবে, বাকবিতণ্ডা হবে, কিন্তু আমরা কেউ কারও শত্রু হবো না। কাউকে তার মতের জন্য শত্রু মনে করবো না। কাউকে ধর্মের কারণে শত্রু মনে করবো না। আমরা সবাই সমান।বৈষম্যহীন ও শোষণমুক্ত দেশ গঠনের অঙ্গীকার ব্যক্ত করে তিনি বলেন, কেউ কারও উপরে না এবং কেউ কারও নিচে না- এই ধারণা আমরা জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। বৈষম্যহীন, শোষণহীন, কল্যাণময় এবং মুক্ত বাতাসের রাষ্ট্রের যে স্বপ্ন নিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীন করেছিলেন, আমি তাদের সেই স্বপ্ন পূরণে অঙ্গীকারাবদ্ধ।প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে মানবিক ও কল্যাণকর রাষ্ট্র হিসেবে সমাদৃত। আমরা সব রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রাখবো। আমাদের পররাষ্ট্রনীতির ভিত্তি পারস্পরিক সম্মান, আস্থা, বিশ্বাস ও সহযোগিতা। জলবায়ু সংকট মোকাবিলা এবং বৈশ্বিক শান্তি ও অর্থনীতি সুসংহত করতে আমাদের একত্রে কাজ করতে হবে।ড. ইউনূস বলেন, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। তরুণ সমাজ যেন সম্পদের সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও মেধার ভিত্তিতে নিজ নিজ সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটিয়ে দেশ গঠনে অবদান রাখতে পারে সেই পরিবেশ আমাদের নিশ্চিত করতে হবে।এবি 
    বিচারের শুদ্ধতায় ট্রাইব্যুনালে আপিলের বিধান রাখা হয়েছে : আইন উপদেষ্টা
    বিচারের শুদ্ধতার জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের অন্তবর্তীকালীন আদেশের বিরুদ্ধে আপিলের বিধান রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল ইসলাম।বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মূল ভবনের সংস্কার কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।ট্রাইব্যুনালের অন্তর্বর্তী আদেশের বিরুদ্ধে আপিলের বিধান রাখায় বিচার বিলম্বিত হবে কি না? প্রশ্ন করা হলে ড. আসিফ নজরুল বলেন, বিচারের শুদ্ধতার জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের অন্তর্বর্তীকালীন আদেশের বিরুদ্ধে আপিলের বিধান রাখা হয়েছে। তবে তা খুব সীমাবদ্ধ ক্ষেত্রে।আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইনে রাজনৈতিক দলের বিচার থেকে সরে আসা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিচারের শুদ্ধতা রক্ষার জন্য রাজনৈতিক দলের ইস্যু আনা উচিত না।এ সময় গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান ও ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটররা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে, বুধবার (২০ নভেম্বর) সচিবালয়ে ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) (সংশোধনী) অধ্যাদেশ, ২০২৪’-এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। বৈঠকে সংগঠন বা রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশের বিধান রাখার প্রস্তাবটি বাদ দেওয়া হয়।এ বিষয়ে ব্রিফিংয়ে বলা হয়, ট্রাইব্যুনাল আইনে রাজনৈতিক দলকে বিচারের আওতায় আনার যে ধারাটি খসড়ায় রাখা হয়েছিল, তা বাদ দেওয়া হয়েছে। উপদেষ্টা পরিষদ মনে করছে, এই বিচারের সঙ্গে অন্য কোনো বিষয়কে জড়ানো ঠিক হবে না। রাজনৈতিক দল বা সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার বিষয় যুক্ত করা হলে এই আইনকে অযথাই প্রশ্নবিদ্ধ করার সুযোগ সৃষ্টি হবে। সরকার সে সুযোগ দিতে চায় না।কোনো রাজনৈতিক সংগঠনকে তাদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য নিষিদ্ধ করার প্রয়োজন হলে বা সমাজে দাবি উঠলে দেশে সন্ত্রাস দমন আইন, নির্বাচনী আইন, ১৯৭৮ পলিটিক্যাল পার্টি অর্ডিন্যান্সে রয়েছে।এইচএ

    জাতীয়

    সব দেখুন
    আজ ঢাকা কলেজ-সিটি কলেজের ক্লাস বন্ধ
    বুধবার ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে দুই কলেজের প্রায় উভয়পক্ষের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়। এমন পরিস্থিতিতে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে আজ (বৃহস্পতিবার) ক্লাস বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজ প্রশাসন।বুধবার (২০ নভেম্বর) রাতে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষের কার্যালয় থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনিবার্য কারণে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) কলেজের সব ক্লাস স্থগিত থাকবে। তবে অফিস ও বিভাগসমূহ খোলা থাকবে এবং নির্ধারিত পরীক্ষা যথারীতি অনুষ্ঠিত হবে।অপরদিকে, ঢাকা সিটি কলেজও আজ ক্লাস বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে। কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক কাজী নেয়ামুল হকের সই করা সংক্ষিপ্ত নোটিশে বলা হয়েছে, অনিবার্য কারণে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সব ক্লাস বন্ধ থাকবে।এর আগে বুধবার (২০ নভেম্বর) দুপুরের দিকে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। পরে খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে তারা সংঘর্ষ থামাতে টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়েন।এবি 
    ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই: প্রধান উপদেষ্টা
    সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে ছাত্র-জনতার কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকার কথা জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) ঢাকা সেনানিবাসের আর্মি মাল্টিপারপাস হলে খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ কথা জানান তিনি।প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ছাত্র-জনতার সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত নতুন বাংলাদেশে আমাদের সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ, আহত এবং জীবিত ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই। তারা যে সুযোগ আমাদের তৈরি করে দিয়েছে, তার মাধ্যমে বাংলাদেশকে পৃথিবীর সামনে দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশে পরিণত করতে আমরা শপথ নিয়েছি।ড. ইউনূস বলেন, নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সব মানুষকে একটি বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা। পরিবারে মতভেদ থাকবে, বাকবিতণ্ডা হবে, কিন্তু আমরা কেউ কারও শত্রু হবো না। কাউকে তার মতের জন্য শত্রু মনে করবো না। কাউকে ধর্মের কারণে শত্রু মনে করবো না। আমরা সবাই সমান।বৈষম্যহীন ও শোষণমুক্ত দেশ গঠনের অঙ্গীকার ব্যক্ত করে তিনি বলেন, কেউ কারও উপরে না এবং কেউ কারও নিচে না- এই ধারণা আমরা জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। বৈষম্যহীন, শোষণহীন, কল্যাণময় এবং মুক্ত বাতাসের রাষ্ট্রের যে স্বপ্ন নিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীন করেছিলেন, আমি তাদের সেই স্বপ্ন পূরণে অঙ্গীকারাবদ্ধ।প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে মানবিক ও কল্যাণকর রাষ্ট্র হিসেবে সমাদৃত। আমরা সব রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রাখবো। আমাদের পররাষ্ট্রনীতির ভিত্তি পারস্পরিক সম্মান, আস্থা, বিশ্বাস ও সহযোগিতা। জলবায়ু সংকট মোকাবিলা এবং বৈশ্বিক শান্তি ও অর্থনীতি সুসংহত করতে আমাদের একত্রে কাজ করতে হবে।ড. ইউনূস বলেন, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। তরুণ সমাজ যেন সম্পদের সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও মেধার ভিত্তিতে নিজ নিজ সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটিয়ে দেশ গঠনে অবদান রাখতে পারে সেই পরিবেশ আমাদের নিশ্চিত করতে হবে।এবি 
    বিচারের শুদ্ধতায় ট্রাইব্যুনালে আপিলের বিধান রাখা হয়েছে : আইন উপদেষ্টা
    বিচারের শুদ্ধতার জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের অন্তবর্তীকালীন আদেশের বিরুদ্ধে আপিলের বিধান রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল ইসলাম।বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মূল ভবনের সংস্কার কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।ট্রাইব্যুনালের অন্তর্বর্তী আদেশের বিরুদ্ধে আপিলের বিধান রাখায় বিচার বিলম্বিত হবে কি না? প্রশ্ন করা হলে ড. আসিফ নজরুল বলেন, বিচারের শুদ্ধতার জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের অন্তর্বর্তীকালীন আদেশের বিরুদ্ধে আপিলের বিধান রাখা হয়েছে। তবে তা খুব সীমাবদ্ধ ক্ষেত্রে।আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইনে রাজনৈতিক দলের বিচার থেকে সরে আসা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিচারের শুদ্ধতা রক্ষার জন্য রাজনৈতিক দলের ইস্যু আনা উচিত না।এ সময় গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান ও ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটররা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে, বুধবার (২০ নভেম্বর) সচিবালয়ে ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) (সংশোধনী) অধ্যাদেশ, ২০২৪’-এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। বৈঠকে সংগঠন বা রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশের বিধান রাখার প্রস্তাবটি বাদ দেওয়া হয়।এ বিষয়ে ব্রিফিংয়ে বলা হয়, ট্রাইব্যুনাল আইনে রাজনৈতিক দলকে বিচারের আওতায় আনার যে ধারাটি খসড়ায় রাখা হয়েছিল, তা বাদ দেওয়া হয়েছে। উপদেষ্টা পরিষদ মনে করছে, এই বিচারের সঙ্গে অন্য কোনো বিষয়কে জড়ানো ঠিক হবে না। রাজনৈতিক দল বা সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার বিষয় যুক্ত করা হলে এই আইনকে অযথাই প্রশ্নবিদ্ধ করার সুযোগ সৃষ্টি হবে। সরকার সে সুযোগ দিতে চায় না।কোনো রাজনৈতিক সংগঠনকে তাদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য নিষিদ্ধ করার প্রয়োজন হলে বা সমাজে দাবি উঠলে দেশে সন্ত্রাস দমন আইন, নির্বাচনী আইন, ১৯৭৮ পলিটিক্যাল পার্টি অর্ডিন্যান্সে রয়েছে।এইচএ
    সশস্ত্র বাহিনী দিবসে শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা
    সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) ঢাকা সেনানিবাসে সকাল সোয়া ৮টার দিকে শিখা অনির্বাণে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি। এরপর প্রধান উপদেষ্টা সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি সশস্ত্র বাহিনীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন, যারা ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় তাদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ করেছেন। তিনি শিখা অনির্বাণের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধায়।সেনাবাহিনী, নৌ ও বিমানবাহিনীর একটি চৌকস দল সে সময় স্যালুট দেয়। এ সময় বিউগলে একটি করুণ সুর বাজানো হয়। সেখানে রাখা দর্শনার্থী বইতেও স্বাক্ষর করেন রাষ্ট্রপ্রধান।এর আগে, রাষ্ট্রপতি শিখা অনির্বাণে পৌঁছালে সেখানে তিন বাহিনীর প্রধান এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের (এএফডি) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাকে স্বাগত জানান।এরপরে প্রধান উপদেষ্টা শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর তিনি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় সর্বোচ্চ আত্মত্যাগকারী সশস্ত্র বাহিনীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমান বাহিনীর একটি চৌকস দল সে সময় গার্ড অব অনার প্রদান করে। এরপর বিউগলে বাজানো হয় করুন সুর।এর আগে, দিবসটি উপলক্ষে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন। এইচএ
    ইসি গঠনে রাষ্ট্রপতির কাছে গেল ১০ জনের নাম
    নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের জন্য সার্চ কমিটির প্রস্তাব করা ১০ জনের নাম রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। এখান থেকেই পাঁচজনকে নিয়ে গঠিত হবে পরবর্তী নির্বাচন কমিশন।বুধবার (২০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছে নামগুলো জমা দেন সার্চ কমিটির সদস্যরা।এর আগে আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে গঠিত সার্চ কমিটির সদস্যরা সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে বঙ্গভবনে যান। গত ২৯ অক্টোবর অন্তর্বর্তী সরকার ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান, মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মো. নূরুল ইসলাম, সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান (পিএসসি) মোবাশ্বের মোনেম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার এবং বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক জিন্নাতুন নেছা তাহমিদা বেগম।আইন অনুযায়ী, সার্চ কমিটি গঠন করার পর নির্বাচন কমিশনে প্রতি পদের জন্য দুজন প্রার্থীকে মনোনীত করে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে রাষ্ট্রপতির কাছে ১০ জনের নাম প্রস্তাব করতে হবে।এরপর রাষ্ট্রপতি নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং চার নির্বাচন কমিশনারকে নির্বাচন করেন।৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের এক মাস পর ৫ সেপ্টেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল ও চার নির্বাচন কমিশনার পদত্যাগ করলে নির্বাচন কমিশনারদের পদ শূন্য হয়।এমআর
    আলেমরাই একদিন এ দেশের নেতৃত্ব দেবে: ধর্ম উপদেষ্টা
    অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, মাদরাসা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে আলেমরাই একদিন এদেশে নেতৃত্ব দেবে।ছারছিনা দরবার শরীফের মরহুম পীর আলহাজ্ব হযরত মাওলানা শাহ্ মোহাম্মদ মোহেবুল্লাহ রহ. এর ইসালে সাওয়াব ও দারুননাজাত নেছারিয়া হিফজখানার হাফেজ ছাত্রদের পাগড়ী প্রদান উপলক্ষে ওয়াজ ও দু’আর মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। এ সময় দারুননাজাত মাদরাসার বিগত দিনের সফলতার প্রশংসাও করেন ধর্ম উপদেষ্টা।ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশে আর কোনদিন নাস্তিত্ববাদীরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারবেনা। তাদের আর ঠাঁই হবেনা এদেশে। পাশাপাশি এদেশে আর কোন ঘুষ খোর মানুষ থাকবেনা। ইসলাম ও কোরআনের আলোকে জীবনযাপন শুরু করলে মানুষের মধ্যে ঈমানি শক্তি বৃদ্ধি পাবে। আর অল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মদ (সা:) জীবনকে অনুসরন করে চললে বাংলাদেশে কোন রাষ্ট্রীয় দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গরা অন্যায় পথে চলবেনা। এতে করে রাষ্ট্রে ও সমাজে শুশৃঙ্খলতা ফিরে এসে মহান আল্লাহর প্রদর্শিত পথে চলবে সবাই। ফলে দেশে সকল প্রকার দূর্নীতি ও অনিয়ম বন্ধ হয়ে শান্তিপূর্ন উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মানে এগিয়ে আসবে রাষ্ট্রীয় দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গরা সহ সংশ্লিষ্ট সকলেই। আর মাদরাসা থেকে শিক্ষা গ্রহন করে আলেমরাই একদিন এদেশে নেতৃত্ব দেবে। বর্তমানে মাদরাসার ছাত্ররাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের নামজাদা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হচ্ছে।তিনি আরও বলেন, অচিরেই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা করবো আমরা। বিশেষ করে অবাধ ও সুষ্ঠ একটি নির্বাচন উপহার দিতে আমরা বদ্ধ পরিকর। মূলত আমরা ক্ষমতা উপভোগ করতে আসিনি। যারা আগামিতে ক্ষমতায় আসবেন তাদের পথকে সুগম করতেই আমরা রাষ্ট্রের দায়িত্ব সাময়িকভাবে পালন করছি। বাংলাদেশে আর স্বৈরাচারের স্থান হবেনা। আগামিতে হক্বের পথে রাষ্ট্র পরিচালিত হবে ইনশাল্লাহ। মহান আল্লাহর পথই হবে সকলের একমাত্র পথ যেখানে শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে সহজে।ছারছিনা দরবার শরীফের পীর আমীরে হিযবুল্লাহ, আলহাজ্ব হযরত মাওলানা মুফতী শাহ আবু নছর নেছারুদ্দীন আহমাদ হোসাইন (মা.জি.আ) এর সভাপতিত্বে ও দারুননাজাত সিদ্দীকিয়া কামিল মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রিন্সিপাল আ খ ম আবুবক্কর সিদ্দীকের সার্বিক তত্বাবধানে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছারছিনা কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল আলহাজ্ব হযরত মাওলানা রুহুল আমীন আফসারি ও ডিএসসিসির ৬৭ নং ওয়ার্ড এর সদ্য সাবেক কাউন্সিলর হাজী মো. ইবরাহীম ও ধর্ম উপদেষ্টার একান্ত সহকারী সচিব শরিফুল ইসলাম।এমআর
    সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ
    যথাযথ মর্যাদা ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদ্‌যাপিত হবে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পৃথক বাণী দিসশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ যথাযথ মর্যাদা ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদ্‌যাপিত হবে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পৃথক বাণী দিয়েছেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, দেশের সব সেনানিবাস, নৌ ঘাঁটি এবং বিমানবাহিনী ঘাঁটির মসজিদে দেশের কল্যাণ ও সমৃদ্ধি, সশস্ত্র বাহিনীর উত্তরোত্তর উন্নতি ও অগ্রগতি এবং স্বাধীনতা যুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনায় ফজরের নামাজ শেষে বিশেষ মোনাজাতের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হবে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান ও বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান নিজ নিজ বাহিনীর পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। প্রধান উপদেষ্টা ঢাকা সেনানিবাসে অবস্থিত সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে তার জন্য নির্ধারিত নিজস্ব কার্যালয়ে তিন বাহিনী প্রধানগণের সঙ্গে কুশল বিনিময় ও সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। পরে বাহিনী প্রধানেরা বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। ‘সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০২৪’ উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা ঢাকা সেনানিবাসের আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে নির্বাচিত খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা দেবেন। এ সময় খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে শুভেচ্ছা স্মারক বিতরণ ও শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন তিনি। দিবসটি উদ্‌যাপন উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার বিকেল ৪ টায় ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। এ ছাড়া, ঢাকার বাইরে দেশের অন্যান্য সেনা গ্যারিসন, নৌ ও বিমানবাহিনী ঘাঁটিতেও বিভিন্ন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকা, খুলনা, চাঁদপুর, বরিশাল ও চট্টগ্রামে বিশেষভাবে সজ্জিত নৌবাহিনীর জাহাজসমূহ বেলা দুইটা থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সর্বসাধারণের দেখার জন্য নিকটস্থ ঘাটসমূহে অবস্থান/নোঙরকৃত অবস্থায় রাখা হবে। এমআরয়েছেন।আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, দেশের সব সেনানিবাস, নৌ ঘাঁটি এবং বিমানবাহিনী ঘাঁটির মসজিদে দেশের কল্যাণ ও সমৃদ্ধি, সশস্ত্র বাহিনীর উত্তরোত্তর উন্নতি ও অগ্রগতি এবং স্বাধীনতা যুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনায় ফজরের নামাজ শেষে বিশেষ মোনাজাতের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হবে।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান ও বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান নিজ নিজ বাহিনীর পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।প্রধান উপদেষ্টা ঢাকা সেনানিবাসে অবস্থিত সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে তার জন্য নির্ধারিত নিজস্ব কার্যালয়ে তিন বাহিনী প্রধানগণের সঙ্গে কুশল বিনিময় ও সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। পরে বাহিনী প্রধানেরা বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।‘সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০২৪’ উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা ঢাকা সেনানিবাসের আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে নির্বাচিত খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা দেবেন। এ সময় খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে শুভেচ্ছা স্মারক বিতরণ ও শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন তিনি।দিবসটি উদ্‌যাপন উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার বিকেল ৪ টায় ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। এ ছাড়া, ঢাকার বাইরে দেশের অন্যান্য সেনা গ্যারিসন, নৌ ও বিমানবাহিনী ঘাঁটিতেও বিভিন্ন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকা, খুলনা, চাঁদপুর, বরিশাল ও চট্টগ্রামে বিশেষভাবে সজ্জিত নৌবাহিনীর জাহাজসমূহ বেলা দুইটা থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সর্বসাধারণের দেখার জন্য নিকটস্থ ঘাটসমূহে অবস্থান/নোঙরকৃত অবস্থায় রাখা হবে।এমআর
    ট্রাম্পের দলের নেতাদের বাংলাদেশ সফরের আহ্বান ড. ইউনূসের
    প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বুধবার রিপাবলিকান পার্টির শীর্ষ নেতাদের দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রচেষ্টা প্রত্যক্ষ করতে বাংলাদেশ সফরের আহ্বান জানিয়েছেন।ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ আহ্বান জানান।আইআরআই, রিপাবলিকান পার্টির সাথে আবদ্ধ থিঙ্কট্যাঙ্ক, বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্রের প্রচার করে। ইনস্টিটিউটের আঞ্চলিক প্রধান স্টিভ চিমার নেতৃত্বে, আইআরআই কর্মকর্তারা তাদের চলমান সফরে রাজনীতিবিদ, ছাত্রগোষ্ঠী এবং সুশীল সমাজের কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেন।চিমা বলেন, আইআরআই-এর অগ্রাধিকার হলো অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার উদ্যোগকে সমর্থন করা, বিশেষ করে এখন যখন দেশের মূল প্রতিষ্ঠানগুলিকে ঠিক করার জন্য ব্যাপকভাবে আহ্বান জানানো হয়েছে।চিমা আরো বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের অধীনে, আসল উদ্বেগ ছিল দেশের সত্যিকারের গতিপথ নিয়ে। এখানে সংস্কার সফল হতে দেখা মার্কিন স্বার্থে।’অধ্যাপক ইউনূস বলেন, তার সরকার গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার করে নির্বাচন করবে। তিনি বলেন, নির্বাচনের জন্য ট্রেন ইতোমধ্যেই প্রথম স্টেশন ছেড়েছে এবং একটি নতুন নির্বাচন কমিশন সাধারণ নির্বাচনের জন্য মাঠ প্রস্তুত করবে।তিনি আরো বলেন, নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে বাংলাদেশ ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে চায়।ছাত্র-নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানের ফলে যে অভূতপূর্ব পরিবর্তনের সূচনা হয়েছে তা প্রত্যক্ষ করতে তিনি শীর্ষ রিপাবলিকান সিনেটর এবং কংগ্রেস সদস্যদের বাংলাদেশ সফরে আমন্ত্রণ জানাবেন।বৈঠকে আইআরআই কর্মকর্তা জিওফ্রে ম্যাকডোনাল্ড, আইআরআই কান্ট্রি চিফ জোশুয়া রোসেম্বলাম এবং বাংলাদেশ সরকারের সিনিয়র সচিব লামিয়া মোর্শেদ উপস্থিত ছিলেন।এসএফ 

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    রাজনীতি

    সব দেখুন
    সশস্ত্র বাহিনী জাতির গর্বিত প্রতিষ্ঠান: তারেক রহমান
    সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সব সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।তিনি বলেছেন, সশস্ত্র বাহিনী সাহস, শৌর্য ও শৃঙ্খলা দিয়ে তৈরি জাতির এক গর্বিত প্রতিষ্ঠান।বুধবার (২০ নভেম্বর) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বার্তায় এ কথা জানানো হয়েছে।বার্তায় বলা হয়, সশস্ত্র বাহিনী দিবস (২১ নভেম্বর) উপলক্ষে তারেক রহমান নিম্নোক্ত বাণী দিয়েছেন-সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে আমি বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সকল সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। সশস্ত্র বাহিনীর সব সদস্য ও তাদের পরিবারের অব্যাহত সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করি। এদিনে সশস্ত্র বাহিনীর উত্তরোত্তর উন্নতি ও অগ্রগতি কামনা করি এবং স্বাধীনতা যুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর শহিদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করি।সশস্ত্র বাহিনী সাহস, শৌর্য এবং শৃঙ্খলা দিয়ে তৈরি জাতির এক গর্বিত প্রতিষ্ঠান। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে এই বাহিনীর গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা ইতিহাসের এক সোনালি অধ্যায়। আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডত্ব রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীর দেশপ্রেমিক সদস্যরা অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করে চলেছে।বিশ্বশান্তি রক্ষায়ও তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা অগ্রগণ্য। জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা বাহিনীতে কর্মরত আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা কর্মদক্ষতা ও উঁচুমানের পেশাদারত্বের পরিচয় দিয়ে দেশের সুনাম বয়ে আনছে। দেশের সব প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় সশস্ত্র বাহিনী বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখে আজ জাতির আস্থার প্রতীকে পরিণত হয়েছে।স্বাধীনতার ঘোষক সাবেক রাষ্ট্রপতি শহিদ জিয়াউর রহমান বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীকে পরিবর্তনশীল বিশ্বের সঙ্গে সংগতি রেখে একটি আধুনিক, গতিশীল ও দক্ষ পেশাদার বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন করেছিলেন।আজকের দিনে আমি তার স্মৃতির প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা। আমি বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি মুক্তিযুদ্ধে নিজের জীবনদানকারী বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী মোস্তফা কামাল, বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর, বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী হামিদুর রহমান, বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন, বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান, বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক নুর মোহাম্মদ শেখ ও বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক মুন্সী আব্দুর রউফকে।সাবেক রাষ্ট্রপতি শহিদ জিয়ার সময় থেকেই বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী সুশৃঙ্খল, ক্ষিপ্র ও সদা তৎপর এক আধুনিক বাহিনীতে পরিণত হয়, যা বিশ্বের যে কোনো আধুনিক রাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর সমকক্ষ।পরে বিএনপি সরকারে থাকতে সশস্ত্র বাহিনীকে শহিদ জিয়ার গৃহিত কর্মসূচির ধারাবাহিক বাস্তবায়নের অগ্রগতি সাধিত করে এই বাহিনীকে আরও আধুনিকায়ন ও একে শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হয়েছে। ভবিষ্যতেও আমাদের এ প্রয়াস অব্যাহত থাকবে।আমি সশস্ত্র বাহিনী দিবসের সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করি।আল্লাহ হাফেজ, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।এসএফ 
    সশস্ত্র বাহিনী জাতির গর্বিত প্রতিষ্ঠান: তারেক রহমান
    সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সব সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।তিনি বলেছেন, সশস্ত্র বাহিনী সাহস, শৌর্য ও শৃঙ্খলা দিয়ে তৈরি জাতির এক গর্বিত প্রতিষ্ঠান।বুধবার (২০ নভেম্বর) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বার্তায় এ কথা জানানো হয়েছে।বার্তায় বলা হয়, সশস্ত্র বাহিনী দিবস (২১ নভেম্বর) উপলক্ষে তারেক রহমান নিম্নোক্ত বাণী দিয়েছেন-সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে আমি বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সকল সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। সশস্ত্র বাহিনীর সব সদস্য ও তাদের পরিবারের অব্যাহত সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করি। এদিনে সশস্ত্র বাহিনীর উত্তরোত্তর উন্নতি ও অগ্রগতি কামনা করি এবং স্বাধীনতা যুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর শহিদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করি।সশস্ত্র বাহিনী সাহস, শৌর্য এবং শৃঙ্খলা দিয়ে তৈরি জাতির এক গর্বিত প্রতিষ্ঠান। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে এই বাহিনীর গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা ইতিহাসের এক সোনালি অধ্যায়। আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডত্ব রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীর দেশপ্রেমিক সদস্যরা অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করে চলেছে।বিশ্বশান্তি রক্ষায়ও তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা অগ্রগণ্য। জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা বাহিনীতে কর্মরত আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা কর্মদক্ষতা ও উঁচুমানের পেশাদারত্বের পরিচয় দিয়ে দেশের সুনাম বয়ে আনছে। দেশের সব প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় সশস্ত্র বাহিনী বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখে আজ জাতির আস্থার প্রতীকে পরিণত হয়েছে।স্বাধীনতার ঘোষক সাবেক রাষ্ট্রপতি শহিদ জিয়াউর রহমান বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীকে পরিবর্তনশীল বিশ্বের সঙ্গে সংগতি রেখে একটি আধুনিক, গতিশীল ও দক্ষ পেশাদার বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন করেছিলেন।আজকের দিনে আমি তার স্মৃতির প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা। আমি বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি মুক্তিযুদ্ধে নিজের জীবনদানকারী বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী মোস্তফা কামাল, বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর, বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী হামিদুর রহমান, বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন, বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান, বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক নুর মোহাম্মদ শেখ ও বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক মুন্সী আব্দুর রউফকে।সাবেক রাষ্ট্রপতি শহিদ জিয়ার সময় থেকেই বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী সুশৃঙ্খল, ক্ষিপ্র ও সদা তৎপর এক আধুনিক বাহিনীতে পরিণত হয়, যা বিশ্বের যে কোনো আধুনিক রাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর সমকক্ষ।পরে বিএনপি সরকারে থাকতে সশস্ত্র বাহিনীকে শহিদ জিয়ার গৃহিত কর্মসূচির ধারাবাহিক বাস্তবায়নের অগ্রগতি সাধিত করে এই বাহিনীকে আরও আধুনিকায়ন ও একে শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হয়েছে। ভবিষ্যতেও আমাদের এ প্রয়াস অব্যাহত থাকবে।আমি সশস্ত্র বাহিনী দিবসের সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করি।আল্লাহ হাফেজ, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।এসএফ 
    ফ্যাসিবাদের পুনরুত্থান ঘটলে কেউ রেহাই পাবে না: রিজভী
    আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পুনরুত্থান ঘটলে কেউ রেহাই পাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার ছাত্রজনতার আন্দোলনের ফসল। গণতান্ত্রিক যে শক্তি সমমানা দল, তাদের সঙ্গে তো এই সরকারের সম্পর্ক হওয়ার কথা ছিল। আজকে কোনোভাবে যদি শেখ হাসিনার পুনরুত্থান ঘটে, তাহলে অন্তর্বর্তী সরকারের যদি দু’একজন ভেতরে ভেতরে তাদের (আ.লীগ) সঙ্গে সম্পর্ক রাখেন, তাদের বাদ দিয়ে এই সরকারের তো কেউই রেহাই পাবেন না। আমরা কেউই রেহাই পাব না। আজকে যদি গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্য না থাকে, দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব থাকবে না।  বুধবার বিকালে নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।  সাবেক আইজি খোদা বকশ প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, ‘এখন কেউ কেউ উপদেষ্টা পরিষদে কিংবা প্রধান উপদেষ্টার কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেই আন্দোলনের স্বপক্ষের লোকদের টার্গেট করেন। খোদা বকশ একজন পুলিশের সাবেক আইজি ছিলেন। কিন্তু বিগত সাড়ে ১৫ বছর তার কি ভূমিকা ছিল? তিনি কয়জন লোককে চেনেন। আমরা প্রতিমুহূর্তে নিপীড়িত হয়েছি, বিএনপি অফিস ভেঙে চার-পাঁচবার নিয়ে গেছে আমাদেরকে। এখানে (বিএনপি অফিস) আমরা যারা বসে আছি, শেখ হাসিনার পতনের দিনও জেলখানায় ছিলাম। তার আগের দিন পর্যন্ত রিমান্ডে ছিলাম। গণতান্ত্রিক আন্দোলনের যে স্পিরিট, চেতনা, এটাকে কি তারা ধারণ করেন? ওটা তো তারা ধারণ করেন না। অথচ বড় বড় কথা বলেন, দেখাতে চান যে তারা অত্যন্ত নিরপেক্ষ। আপনি (খোদা বকশ) আইজি ছিলেন, বিএনপির সময় কি করতে পেরেছিলেন? আপনাদের কারণেই তো ১/১১ এসেছিল, অগণতান্ত্রিক শক্তি এসেছিল।’আলী ইমাম মজুমদার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘উপদেষ্টা পরিষদ হওয়ার পরে আলী ইমাম মজুমদার প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস করার জন্য ডিসি নিয়োগ দিলেন। বেছে বেছে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পক্ষে যারা প্রশাসনিক লোক ছিল তাদেরকে ডিসি নিয়োগ দিলেন। পরে নানা দিক থেকে বিতর্কিত হয়ে হয়তো এটা পরিবর্তন করেছেন। উনি নিঃসন্দেহে বুদ্ধিজীবী মানুষ, বুদ্ধির চর্চা করেন, পত্রিকায় লেখালেখি করেন। কিন্তু সাড়ে ১৫ বছর শেখ হাসিনার আমলে কখনোই কি গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পক্ষে একটি আর্টিকেল লিখেছেন? আমাদের সমর্থনে কি কখনো একটি কথা লিখেছিলেন অথবা জুলাই-আগস্টে তারা কি কোনো মতামত দিয়েছেন? কিন্তু তারা অন্তরের মধ্যে একটি মত ধারণ করেন সেটার প্রতিফলন আমরা দেখেছি উনি উপদেষ্টা হওয়ার পরে।’বিএনপির মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা শুনেছি- খোদা বকশ আসার পরে যারা বঞ্চিত ছিলেন, যারা আন্দোলনের পক্ষে সহানুভূতিশীল ছিলেন তাদের বিপক্ষেই উনি অবস্থান নিচ্ছেন। এটা খুবই রহস্যজনক ব্যাপার। টার্গেট করে তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে নিজের পছন্দকে বাস্তবায়ন করার জন্য তারা এই কাজগুলো করছেন। অথচ জেলখানার ভেতরে বসে সালমান এফ রহমান যে কারসাজি করছেন, নানা অপ-তৎপরতা চালাচ্ছেন, এটার ব্যাপারে তো আমরা কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখিনি। কারাগারের ভেতরে সালমান এফ রহমান রাজার হালে আছেন এবং ওইখান থেকে সমস্ত পরিকল্পনা করছেন, তার তো প্রমাণ আমরা পাচ্ছি। গার্মেন্টস সেক্টরের অধিকাংশ মালিক হচ্ছে আওয়ামী মনা ফ্যাসিবাদের পক্ষে। এই যে গার্মেন্টস সেক্টরকে অস্থিতিশীল করে তোলার পেছনে নিশ্চয়ই তার অবদান আছে। এগুলোর ব্যাপারে তো কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখিনি?’উপদেষ্টাদের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ‘মূল স্পিরিটের বাইরে কিছু কিছু উপদেষ্টার যে পদক্ষেপ, এটা আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে। এটা গোটা জাতিকে একটা শঙ্কার মধ্যে নিয়ে গেছে। এ কারণেই আজকে সালমান এফ রহমানদের মত লোকেরা কারাগারের ভেতরে থেকেও দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে এবং যারা এখনো গ্রেফতার হননি তারা বিপুল অংকের টাকা ছিটাচ্ছেন অস্থিতিশীল করার জন্য।’ডক্টর ইউনূস ও আসিফ নজরুলের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার গণআন্দোলনের সরকার, ছাত্রজনতার বিপ্লবের সরকার। এই সরকারের অনেকেই নির্যাতিত হয়েছেন। তারা কোনো রাজনৈতিক দল করেন না। কিন্তু স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য অনেকেই ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। স্বয়ং প্রধান উপদেষ্টা যিনি আওয়ামী শাসনকালে নিপীড়ন-নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তার স্যোশাল বিজনেস মাইক্রোক্রেডিট, যেটা গোটা বিশ্বব্যাপী অভিনন্দিত। এ কারণেই ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস সবার কাছেই শ্রদ্ধাভাজন একজন ব্যক্তি। কিন্তু সবাই তো তার মত এরকম নিপীড়ন-নির্যাতনের শিকার হননি। কেউ কেউ হয়েছেন, কারও কারও চেম্বার ভেঙে দেওয়া হয়েছে। ডক্টর আসিফ নজরুল অত্যন্ত স্পষ্ট ভাষায় ফ্যাসিবাদী সরকারের সমালোচনা করেছেন। এই কারণে নানাভাবে তাকেও হয়রানির শিকার হতে হয়েছে’। রিজভী বলেন, ‘খোদা বকশ বিএনপির আমলেই পুলিশের আইজি ছিলেন। বিএনপির বিরুদ্ধে এতো অত্যাচার, অবিচার! স্বয়ং বেগম খালেদা জিয়াকে একটি জরাজীর্ণ পরিত্যক্ত কারাগারে যেভাবে শেখ হাসিনা নির্যাতন করেছে। সেই সময়ে তো আলী ইমাম মজুমদার অথবা খোদা বকশ কোনো আর্টিকেল লেখেন নি, যে বিএনপির বিরুদ্ধে এত নিপীড়ন নির্যাতন চলছে। এখন এসে একটি স্থিতিশীল সরকারের মধ্যে কে ভালো কে মন্দ উনারা উনাদের বিবেচনা দিয়ে তাদের পছন্দ-অপছন্দ দিয়ে গণতন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।’ এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল, সহ-প্রচার সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য খন্দকার আবু আশফাক, মামুন হাসান, হাবিবুর রশিদ হাবিব, আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী, ফজলুর রহমান খোকন, রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ, রাশেদ ইকবাল খান প্রমুখ।এসএফ 
    রাজধানীর হাজারীবাগে ছুরিকাঘাতে আহত যুবদল নেতার মৃত্যু
    রাজধানীর হাজারীবাগে রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের জেরে ছুরিকাঘাতে আহত সাবেক যুবদল নেতা জিয়াউর রহমান জিয়া (৪০) মারা গেছেন। তিনি হাজারীবাগ থানার যুবদলের সাবেক যুগ্ন আহ্বায়ক ছিলেন।বুধবার (২০ নভেম্বর) ভোর রাতের দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলের আইসিইউতে মারা যান তিনি। গত ১৫ নভেম্বর হাজারীবাগের এনায়েতগঞ্জে এই ঘটনা ঘটে।নিহতের বড় ভাই মোহাম্মদ সায়েম বলেন, আমার ছোট ভাইকে ছাত্রদলের ক্যাডার সুমন ও জনিসহ কয়েকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমি আমার ছোট ভাইয়ের হত্যার বিচার চাই। ঘটনার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার ভাগ্নের বন্ধুকে তারা আটকে রেখেছিলো। পরে আমার ভাগ্নে সেখানে গেলে তাকে তারা মারপিট করে। কেন তারা আমার ভাগ্নেকে পিটিয়েছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারা আক্রমণ করে আমার ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করে।নিহতের ভগ্নিপতি জামিল উদ্দিন জানান, আমার শ‍্যালক জাতীয়তাবাদী যুব দলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। গত(১৫ নভেম্বর) এনায়েতগঞ্জের একটি মিলাদ মাহফিল শেষে বাসায় ফেরার পথে সুমন, বিল্লাল, রিপন, মাসুদসহ কয়েকজন আমার শ‍্যালককে কুপিয়ে গুরুতর যখম করে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ভোর রাতের দিকে সে মারা যায়।ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের আহ্বায়ক মো এনাম নাম বলেন, এই ঘটনার সাথে যারাই জড়িত থাকুক না কেন তাদেরকে অতিদ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে। জিয়া সব সময় ন্যায়ের পক্ষে ছিল এবং অন্যায় দেখলে সে প্রতিবাদ করত। সে আমাদের সাথে রাজপথের সহযোদ্ধাও ছিলেন। আমরা জাতীয়তাবাদী যুবদলের পক্ষ থেকে এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাই।এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাজারীবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, গত ১৫ নভেম্বর হাজারীবাগ এলাকায় একটি মারামারি হয়। এই ঘটনায় হাজারীবাগ থানা একটি মামলা হয়। এখন নতুন করে কোন মামলা নেয়ার দরকার নেই। ওই মামলায় একটি ধারা ৩০২ যুক্ত হবে বলে জানান তিনি।এসএফ 
    সশস্ত্র বাহিনী দিবসে সেনাকুঞ্জের অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
    সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে সেনাকুঞ্জে যোগ দিচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।বুধবার সন্ধ্যায় বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানান।তিনি জানান, আগামীকাল ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে বিকেল ৩টায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সেনাকুঞ্জের অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।এবি 
    আমরা আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে আনার কথা বলিনি: মির্জা ফখরুল
    বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, 'আমরা কাউকে নির্বাচনে আনতে চাই এমনটা বলিনি। গণ্যমাধ্যমে বিষয়টা সঠিকভাবে আসেনি। আমরা বলেছি আওয়ামী রাজনৈতিক দল, নির্বাচন করবে কি করবে না তা নির্ধারণ করবে জনগণ। জনগণ সিদ্ধান্ত নেবেন কারা রাজনীতি করবে কারা করবে না। আমরা সেখানে কিছু না।’ফেনীতে বেগম খালেদা জিয়ার পৈত্রিক বাড়িতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থী ও জনসাধারণের মাঝে শিক্ষা উপকরণ ও ঢেউটিন বিতরণ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ফুলগাজী উপজেলা শাখা। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেয়ার সময় তিনি এসব কথা বলেন।ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগের দস্যুরা পালিয়েছে। দেশের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। নতুন সরকার জঞ্জালগুলো পরিষ্কার করে একটা নির্বাচন দিবেন। সেই নির্বাচনের মাধ্যমে দেশ এগিয়ে যাবে। নতুন সরকার কাজ শুরু করেছে। রাতারাতি সব সম্ভব না। আমরা বলেছি নির্বাচনটা তাড়াতাড়ি করলে ভাল হয়।তিনি বলেন, মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘ ৬ বছর কারাভোগ করলেও অন্যায়ের সঙ্গে মাথা নত করেননি তিনি। গণতন্ত্র রক্ষায় আপোষহীন থেকে দেশের জন্য লড়ছেন।দুপুরে বেগম খালেদা জিয়ার পৈত্রিক বাড়ি ফুলগাজীর শ্রীপুরে ইস্কান্দার মজুমদার বাড়ির প্রাঙ্গণে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন, সাবেক সংসদ সদস্য রেহানা আক্তার রানু, চট্টগ্রাম বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মশিউর রহমান বিপ্লব।সার্বিক তত্ত্বাবধান করেন ফেনী-১ আসনের নির্বাচনী সমন্বয়ক ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু, সদস্য সচিব মোহাম্মদ রবিনসহ এতে জাতীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এবি 
    একাত্তরের কোনো ভুল প্রমাণিত হলে জাতির কাছে ক্ষমা চাইবে জামায়াত
    একাত্তরে জামায়াতে ইসলামী কোন ভুল করে থাকলে এবং তা যদি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়, তাহলে জাতির কাছে ক্ষমা চাইবেন বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। মঙ্গলবার পূর্ব লন্ডনের একটি রেস্টুরেন্টে যুক্তরাজ্যে বাংলা মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গিয়ে এ মন্তব্য করেন শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের ‘জাতীয় বীর’ হিসেবে স্বীকৃতি দিন। এ অভ্যুত্থানে দেশের সকল শ্রেণীর মানুষ অংশ গ্রহণ করেছিল। এমনকি দেশের বাইরে অবস্থানরত প্রত্যেকেই যার যার সাধ্য অনুযায়ী আমাদের সাথে যুদ্ধ করেছেন।প্রবাসীরা রেমিটেন্সের মাধ্যমে জন্মভূমি বাংলাদেশকে বিপুল সহায়তা করে যাচ্ছেন উল্লেখ করে জামায়াতের আমির বলেন, মনিটারি রেমিটেন্সের পাশাপাশি বাংলাদেশকে ইন্টেলিজেন্স রেমিটেন্স পাঠানোর জন্যেও আমি প্রবাসীদের কাছে আবেদন রাখছি। ইন্টেলিজেন্স রেমিটেন্স বাংলাদেশে বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশে বিরাটভাবে সহায়ক হবে। এভাবেই স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে প্রবাসীরা অপরিসীম অবদান রাখতে সক্ষম হবেন। বিগত সরকারের লাগামহীন দুর্নীতির কথা উল্লেখ করে ডা. শফিক বলেন, যে পরিমাণ উন্নয়ন করা সম্ভব হতো, সেটা আসলে হয়নি। বাংলাদেশে একটি উন্নয়ন প্রকল্পে যে ব্যয় দেখানো হয়েছে, আমাদের অঞ্চলের অন্যান্য দেশে সে ধরনের উন্নয়ন প্রকল্প তার তিন ভাগের এক ভাগ ব্যয়েই সম্পন্ন হয়েছে। আমাদের দেশে সময় মতো কোনো প্রকল্পের কাজ শেষ করা হয়নি, একের পর এক সময় বাড়ানো হয়েছে আর সেই সাথে বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে প্রকল্পের ব্যয়। এভাবেই দেশটাকে লুটেপুটে নিঃস্ব করা হয়েছে।একাত্তরে ভূমিকা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একাত্তরে আমরা কোনো ভুল করে থাকলে এবং তা যদি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়, আমি জাতির কাছে ক্ষমা চাইব। ব্রিটেনের কোর্ট চৌধুরী মাইনুদ্দিনের বিষয়ে বিচারের রায়ে আমাদের দেশে ওয়ার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের নামে যে বিচার হয়েছে তার অবজারভেশনে এখানকার বিচারপতিরা সে রায়কে জেনোসাইড অব জাস্টিস বলেছে। ১৫টি বছর আমাদেরকে আমাদের অফিসে বসতে দেয়নি, আমাদেরকে কথা বলতে দেয়নি, আমাদেরকে কোনো র‍্যালি করতে দেয়নি। আমরা সাংবাদিকদের মাধ্যমে জাতির কাছে যেতে পারিনি। ডা. শফিক আরও বলেন, জাতিগতভাবে অনৈক্য এবং দুর্নীতির কারণে আমরা জাতি হিসেবে আগাতে পারিনি। দুর্নীতি আমাদের জন্য একটি জাতীয় লজ্জার বিষয়। যুক্তরাজ্য নিজেদের দুর্নীতি থেকে অনেকটা মুক্ত রাখতে পারার কারণে সারা বিশ্বে নিজেদের একটা মর্যাদাপূর্ণ স্থানে নিয়ে যেতে পেরেছে। কিন্তু আমরা পারিনি। যারা সমাজ পরিচালনা করবেন তারা পরিচ্ছন্ন না হলে সমাজ পরিচ্ছন্ন হবে না। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর ইউরোপের মুখপাত্র ব্যারিস্টার আবু বকর মোল্লা। আবু সালেহ ইয়াহইয়ার পরিচালনায় অনুষ্ঠানে কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন ইমাম উদ্দিন এবং দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করেন শিল্পী কামাল হোসাইন। যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বাংলা মিডিয়ার অর্ধশতকেরও বেশি সাংবাদিক এতে অংশ নেন। এবি 
    তারেক রহমানের জন্মদিন আজ, পালন করলে কঠোর ব্যবস্থা
    আজ ২০ নভেম্বর, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৬০তম জন্মদিন আজ।  ১৯৬৫ সালের এই দিনে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।তবে দেশের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এ বছর দলের পক্ষ থেকে কোনো কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে না। এ বিষয়ে নিষেধাজ্ঞাও রয়েছে দলটির। তা না মানলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তারেক রহমানের কঠোর নির্দেশনার কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।১৯৬৫ সালে জন্ম নেওয়া তারেক রহমান সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বড় ছেলে। তাঁর ডাকনাম পিনো। তিনি ২২ বছর বয়সে ১৯৮৮ সালে বগুড়ার গাবতলী থানা বিএনপির সদস্য হন।১/১১ সরকারের সময় বিদ্যমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তারেক রহমান ২০০৮ সালে লন্ডনে চলে যান। এরপর থেকে তিনি সপরিবারে সেখানেই বসবাস করছেন।  ২০০১ সালের নির্বাচনে মায়ের পাশাপাশি তারেক রহমানও দেশব্যাপী নির্বাচনি প্রচার চালান। ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ ষষ্ঠ কাউন্সিলে তারেক রহমান দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর থেকে (এখন কারামুক্ত তিনি) তিনি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন।জন্মদিনে কোনো অনুষ্ঠান নয় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে কোনো প্রকার অনুষ্ঠান করা হবে না বলে আগেই ঘোষণা এসেছিল। গতকাল এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দলীয় নেতা-কর্মীদের বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দেন দলের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, দেশব্যাপী বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আবারও স্মরণ করিয়ে দেওয়া হচ্ছে যে, ২০ নভেম্বর বুধবার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে কোনো প্রকার অনুষ্ঠান হবে না। নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। 

    দেশজুড়ে

    সব দেখুন
    মোহাম্মাদপুরের সন্ত্রাসী ‘কাইল্লা’ সুমন গ্রেপ্তার
    ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকার আলোচিত সন্ত্রাসী ‘কাইল্লা’ সুমনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার সন্ধ্যায় তাকে গ্রেপ্তার করে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশের একটি দল।এ বিষয়ে তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার (এডিসি) জিয়াউল হক বলেন, কাইল্লা সুমনকে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কোন মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হবে তা এখনো বলা যাচ্ছে না। তার বিরেুদ্ধে ২০টির বেশি মামলা রয়েছে।এফএস
    এখনও উত্তপ্ত সাইন্সল্যাব মোড়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী
    থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে রাজধানীর ধানমন্ডির সাইন্সল্যাব মোড় এলাকায়। একদিকে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিচ্ছে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে অবস্থান নিয়েছে সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেখানে উপস্থিত রয়েছে সেনাবাহিনীর সদস্যরা।এর আগে ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ঘটনা ঘটে। বুধবার (২০ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে সায়েন্সল্যাব মোড় ও আশপাশের এলাকার সড়কে যান চলাচাল বন্ধ রয়েছে। এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় দুই কলেজের চার শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তারা হলেন- সিটি কলেজের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার (২১) ও নূর হোসেন (২৪) এবং ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী মো. তুষার (১৮) ও অনিম (২১)। তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পাঠানো হয়েছে।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সায়েন্সল্যাব এলাকায় ঢাকা কলেজের ছাত্ররা একটি বাস ভাঙচুর করেন। এর পরপরই সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তাদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।এদিকে খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন। তবে বিকেল পর্যন্ত থেমে থেমে সংঘর্ষ চলছিল। পুরো এলাকায় শিক্ষার্থীরা ছড়িয়ে পড়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বেগ পোহাতে হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের।এসএফ 
    রাজধানীর হাজারীবাগে ছুরিকাঘাতে আহত যুবদল নেতার মৃত্যু
    রাজধানীর হাজারীবাগে রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের জেরে ছুরিকাঘাতে আহত সাবেক যুবদল নেতা জিয়াউর রহমান জিয়া (৪০) মারা গেছেন। তিনি হাজারীবাগ থানার যুবদলের সাবেক যুগ্ন আহ্বায়ক ছিলেন।বুধবার (২০ নভেম্বর) ভোর রাতের দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলের আইসিইউতে মারা যান তিনি। গত ১৫ নভেম্বর হাজারীবাগের এনায়েতগঞ্জে এই ঘটনা ঘটে।নিহতের বড় ভাই মোহাম্মদ সায়েম বলেন, আমার ছোট ভাইকে ছাত্রদলের ক্যাডার সুমন ও জনিসহ কয়েকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমি আমার ছোট ভাইয়ের হত্যার বিচার চাই। ঘটনার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার ভাগ্নের বন্ধুকে তারা আটকে রেখেছিলো। পরে আমার ভাগ্নে সেখানে গেলে তাকে তারা মারপিট করে। কেন তারা আমার ভাগ্নেকে পিটিয়েছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারা আক্রমণ করে আমার ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করে।নিহতের ভগ্নিপতি জামিল উদ্দিন জানান, আমার শ‍্যালক জাতীয়তাবাদী যুব দলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। গত(১৫ নভেম্বর) এনায়েতগঞ্জের একটি মিলাদ মাহফিল শেষে বাসায় ফেরার পথে সুমন, বিল্লাল, রিপন, মাসুদসহ কয়েকজন আমার শ‍্যালককে কুপিয়ে গুরুতর যখম করে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ভোর রাতের দিকে সে মারা যায়।ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের আহ্বায়ক মো এনাম নাম বলেন, এই ঘটনার সাথে যারাই জড়িত থাকুক না কেন তাদেরকে অতিদ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে। জিয়া সব সময় ন্যায়ের পক্ষে ছিল এবং অন্যায় দেখলে সে প্রতিবাদ করত। সে আমাদের সাথে রাজপথের সহযোদ্ধাও ছিলেন। আমরা জাতীয়তাবাদী যুবদলের পক্ষ থেকে এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাই।এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাজারীবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, গত ১৫ নভেম্বর হাজারীবাগ এলাকায় একটি মারামারি হয়। এই ঘটনায় হাজারীবাগ থানা একটি মামলা হয়। এখন নতুন করে কোন মামলা নেয়ার দরকার নেই। ওই মামলায় একটি ধারা ৩০২ যুক্ত হবে বলে জানান তিনি।এসএফ 
    খিলক্ষেতে ট্রেনে কাটা পড়ে সাবেক সেনা সদস্য নিহত
    রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকায় রেললাইন পার হওয়ার সময় ঢাকাগামী কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে এস এম আব্দুর রহমান (৬০) নামে এক সাবেক সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন।বুধবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় রেলওয়ে থানা পুলিশ।নিহত আব্দুর রহমানের ছেলে আশিক বলেন, আমার বাবা একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য। গতকাল (মঙ্গলবার) তিনি নিকুঞ্জে একটি কাজে বাসা থেকে বের হন। জানতে পেরেছি গতকাল সন্ধ্যা ৭টা থেকে সাড়ে ৭টার দিকে রেললাইন পার হওয়ার সময় ঢাকাগামী কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলে নিহত হন। পরে খবর পেয়ে আমরা ঘটনা স্থলে আসি।তিনি জানান, তারা কাওলা এলাকায় থাকেন। বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর থানার ঘারুলঘাটি গ্রামে।বিমানবন্দর রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) তারা মিয়া জানান, আমরা খবর পেয়ে রাত ৯টার দিকে ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে রেললাইনের পাশে ট্রেনে কাটা মরদেহ পাই। পরে আমরা তার পরিবারকে খবর দিই। ওই মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মার্গে পাঠানো হয়েছে।তিনি আরও বলেন, জানতে পেরেছি অসাবধানতাবশত তিনি রেললাইন পার হচ্ছিলেন। এসময় ঢাকাগামী কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেসের ট্রেনে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়।এসএফ
    কাকরাইল মসজিদের সামনের সড়কে অবস্থান নিলো সাদপন্থীরা
    ভারতের আলেম মাওলানা সাদ কান্ধলভীকে ইজতেমায় আসতে দেওয়ার দাবিতে কাকরাইল মসজিদের সামনের সড়কে অবস্থান নিয়েছেন সাদপন্থীরা। আজ মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সকালে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করলেও পুলিশের বাধার মুখে তারা কাকরাইল মসজিদের সামনের সড়কে অবস্থান নেন। এর ফলে ওই এলাকার প্রতিটি সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।জানা যায়, আগামী বছরের ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব এবং ৭ থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হবে। ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে মাওলানা সাদের উপস্থিতি চান তার ভক্তরা।সড়কে অবস্থানরত সাদপন্থী এক মুসল্লি বলেন, নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। আমাদের ১০ জনের একটি প্রতিনিধি দল কিছুক্ষণ পর প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে নিরাপত্তা জোরদারের বিষয়টি নিয়ে মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনসহ ওই এলাকায় রাষ্ট্রের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা থাকেন। স্বাভাবিকভাবেই সেখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা আছে। এছাড়াও মাওলানা সাদের সমর্থকদের বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা জোরদারের পাশাপাশি যে-কোনও সহিংসতা রোধে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরা। 
    ভারতে পাচার হওয়া ২৪ বাংলাদেশিকে বেনাপোলে হস্তান্তর
    ভালো কাজের প্রলোভনে ভারতে পাচার হওয়া ২৪ বাংলাদেশি বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরেছে। বুধবার সন্ধ্যায় বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট দিয়ে ভারতের পেট্টাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ ও বিএসএফ তাদেরকে হস্তান্তর করেন বলে জানান বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন ওসি ইমতিয়াজ আহসান ভূঁইয়া। ফেরত আসাদের মধ্যে বিভিন্ন বয়সের ১১জন নারী ও ১৩জন পুরুষ রয়েছে। যাদের বাড়ি দেশের বিভিন্ন জেলায়। মানবাধিকার সংগঠন 'জাস্টিস এন্ড কেয়ার' এর  যশোরের প্রগ্রাম অফিসার মোহিত কুমার জানান, ভালো কাজের প্রলোভন দেখিয়ে দালালরা এদেরকে সীমান্তের বিভিন্ন অবৈধপথে ভারতে পাচার করে। ভারতে কাজের সন্ধানে ঘোরাঘুরির সময় অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে পশ্চিমবঙ্গ ও পুনেতে পুলিশের হাতে তারা আটক হয়। আটকদেরকে আদালতে সোপর্দ করলে আদালত তাদেরকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠায়। সাজার মেয়াদ শেষে ওদেশের বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন তাদেরকে নিজ হেফাজতে নিয়ে তাদের শেল্টার হোমে রাখে। পরে দু'দেশের হাইকমিশন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে 'ট্রাভেল পাশের' মাধ্যমে তারা দেশে ফেরেন।ওসি ইমতিয়াজ আহসান বলেন, ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাদেরকে বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখান থেকে তাদেরকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার জন্য মানবাধিকার সংগঠনের কাছে হস্তান্তর করা হবে।বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতির যশোর অঞ্চলের প্রগ্রাম অফিসার রেখা বিশ্বাস বলেন, ফেরত আসাদেরকে তাদের স্বজনের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য থানা থেকে রাইটস যশোর ৯ জন, জাষ্টিস এন্ড কেয়ার ৯ জন, বিএম ডব্লিউ ৫ জন ও মহিলা আইনজীবী সমিতি এক জনকে গ্রহন করেছে। এমআর
    নড়াইলে মদপানে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু
    নড়াইলের মহাজন গ্রামের মালোপাড়ায় মদপানে দশম শ্রেণির ছাত্রী পূজা করের (১৫) মৃত্যু হয়েছে।মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সকালে তার মৃত্যু হলেও বুধবার দুপুরে খবরটি জানাজানি হয়।পূজা গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ভাটিয়াপাড়া গ্রামের ননী বিশ্বাসের মেয়ে। এ ঘটনায় অপর স্কুলছাত্রী ত্রিনয়নী বিশ্বাস (১৫) অসুস্থ অবস্থায় লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধী আছেন। ত্রিনয়নী রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার আবাশপুর গ্রামের পলাশ বিশ্বাসের মেয়ে।পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, কার্তিয়ানী পূজা উপলক্ষে পূজা ও তার খালাতো বোন ত্রিনয়নী মামাবাড়ি মহাজন গ্রামে বেড়াতে আসে। এরপর মঙ্গলবার দুজনে মদপান করে অসুস্থ হয়ে পড়লে স্বজনরা তাদের লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনলে চিকিৎসক পূজাকে মৃত ঘোষণা করেন।উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক খালিদ সাইফুল্লাহ বেলাল জানান, পূজাকে হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছিল। ত্রিনয়নীকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিকুর রহমান বলেন, বিষয়টির ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।এসএফ 
    চুয়াডাঙ্গায় অবৈধ ভাবে ভারতে যাওয়ার সময় আটক ৫
    চুয়াডাঙ্গার জীবননগর থানা পুলিশ একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে অবৈধ ভাবে ভারতে যাওয়ার সময় নারী-পুরুষসহ ৫ জনকে আটক করেছে। বুধবার (২০ নভেম্বর)  সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে জীবননগর পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের মডেল মসজিদ পাড়ার হাসানের বাড়ি থেকে তাদের আটক করে পুলিশ।পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়। আটককৃত ব্যাক্তিরা হলেন, গোপালগঞ্জ জেলার বিষ্ণুর মেয়ে সনজিতা (২০), বিষ্ণুর ছেলে সৌরভ (১৮), পরিমল বাড়ুইয়ের ছেলে প্রানোতোষ বাড়ুই (২১), কলারোয়ার আঃ খালেক ও তার ছেলে মনিরুল ইসলাম (৩৫), এবং একই এলাকার আঃ সাত্তারের ছেলে মজনু (৪০)। আটককৃত আসামিদের জীবননগর থানা পুলিশের হেফাযতে নেওয়া হয়েছে।জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মো. মামুন হোসেন বিশ্বাস আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।পিএম
    আ.লীগের এমপির প্রভাবে ভুয়া চাকুরী করে কোটিপতি কামরুল
    সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড-১ অফিসের গাড়ি চালান শেখ কামরুজ্জামান (কামরুল)। গাড়ি চালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও তার নিয়োগ হয়েছে ‘কুক (বাবুর্চি)’ পদে। তবে সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড-১ এ কোন কুকের পদ না থাকলেও পতিত আ.লীগ সরকারের সাবেক এমপি মীর মেস্তাক আহমেদ রবির পাওয়ারে গাড়ী চালকের কাজ অব্যাহত রাখেন তিনি। সাবেক ওই এমপির প্রভাবে বাগিয়ে নিয়েছেন জাতীয় শ্রমিক লীগের অধিনস্থ 'পানি উন্নয়ন বোর্ডের শ্রমিক-কর্মচারী লীগের অর্থ সম্পাদকের পদ।অনুসন্ধানে জানা গেছে, সাতক্ষীরা পাউবোর সব ঠিকাদারি কাজ হতো তার আঙুলের ইশারায়। আ.লীগের সাবেক এমপির অত্যন্ত আস্থাভাজন লোক হিসেবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে কামিয়েছে কোটি কোটি টাকা। নামে বেনামে গড়েছেন বিপুল সম্পদ। গত ৫ আগস্ট পটপরিবর্তনের পরেও কামরুল আছেন বহাল তবিয়তে। সাতক্ষীরা শহরের বাইপাস রোডে রয়েছে কোটি টাকার সম্পদ। খুলনার সোনাডাঙ্গা আবাসিকে রয়েছে ফ্ল্যাট। সাতক্ষীরা, খুলনা, যশোর ও সিরাজগঞ্জে একাধিক ব্যাংক হিসাব ও ডিপিএস আছে তার স্ত্রী, ভাই, সন্তান, মেয়ে, জামাতা ও নিজ নামে। সাতক্ষীরার প্রধান ডাকঘরেও সঞ্চিত আছে কয়েক লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র। এছাড়া বেশ কয়েকটি মালবাহী ট্রাক ও প্রাইভেট কারেরও মালিক তিনি। সিরাজগঞ্জ জেলার বাসিন্দা কামরুল চাকরির সুবাদে স্থায়ী হয়েছেন সাতক্ষীরার ইটাগাছা এলাকায়। স্থানীয় আ.লীগ নেতাদের ম্যানেজ করে দীর্ঘদিন ধরে নিয়ন্ত্রণ করছেন সাতক্ষীরা পাউবো-১ এর যাবতীয় ঠিকাদারি কার্যক্রম। আ.লীগের সাবেক এমপির আস্থাভাজন হওয়ায় নির্বাহী প্রকৌশলীরাও তাকে ব্যবহার করেছেন সব কাজে। এসব সুযোগ কাজে লাগিয়ে নিজের স্ত্রী, ছেলে ও ভাইয়ের নামে ঠিকাদারি লাইসেন্স করে পানি উন্নয়ন বোর্ডে ওপেন ঠিকাদারি কাজ করেন তিনি। তার ঠিকাদারি লাইসেন্সের নাম ‘মেসার্স রাফিদ এন্টারপ্রাইজ’। রাফিদ তার ছেলের নাম। অভিযোগ রয়েছে, সাতক্ষীরা পাউবো ১-এর নির্বাহী প্রকৌশলীসহ ৬ কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে জিরো থেকে হিরো বনে গেছেন কুক কামরুল।পাউবোর শ্রমিক-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এক যুগেরও বেশী সময় ধরে নির্বাহী প্রকৌশলীর গাড়িচালক হিসেবে কাজ করায় অফিসের সব তথ্য জেনে যান কামরুল। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে নির্বাহী প্রকৌশলীদের কাছ থেকে জরুরি বাঁধ মেরামতের নামে শতাধিক কাজ বাগিয়ে নিয়ে হাতিয়েছেন কয়েক কোটি টাকা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি কাজ পেয়েছেন নির্বাহী প্রকৌশলী বর্তমানে চাঁদপুর পানি উন্নয়ন সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (পুর) মো. আবুল খায়েরের সময়ে। শুধু জরুরি বাঁধ মেরামতই নয়, পরিবারের সদস্যদের নামে ঠিকাদারি লাইসেন্স করে সেসব লাইসেন্সের বিপরীতে বাগিয়েছেন বেশ কিছু বড় বাজেটের কাজ। বর্তমানে সাতক্ষীরা শহরের ওয়াপদার মোড় হতে পশ্চিম দিকে ইটাগাছা এলাকায় কোটি টাকার আলিসান বাড়ি আছে তার। তার নিয়োগকৃত কুকের কোনো পদ না থাকলেও নিয়মিত এ অফিস থেকে বেতন নিচ্ছেন তিনি। আবার অফিসে নিয়মিত কোনো গাড়িচালকের পদায়ন হলেও তারা টিকতে পারেননি কামরুলের অদৃশ্য ক্ষমতার দাপটে।আরো জানা গেছে, সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড-১ এ গাড়ি চালকের পদটি তিন বছর যাবত শূন্য থাকার পরেও হেড অফিসে গাড়ি চালকের জন্য কোনো চাহিদা পাঠাননা নির্বাহী প্রকৌশলী সালাউদ্দীন। কারন দুর্নীতিবাজ কুক কামরুজ্জামানকে দিয়ে গাড়ি চালানোয় তার উদ্দেশ্য। তাছাড়া আউটসোর্সিং এ দুইজন দক্ষ ড্রাইভার থাকলেও তাদেরকে ব্যবহার  করেননা নিজের গাড়ীচালক হিসেবে।এ বিষয়ে কুক শেখ কামরুজ্জামান কামরুলের মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও তিনি কল রিসিভ না করায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড-১-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সালাউদ্দীন বলেন, 'আমি যোগদানের পর কামরুলের বিরুদ্ধে ঠিকাদারিসহ বেশকিছু অভিযোগের কথা শুনেছি। কিন্তু বর্তমানে কোনো ধরনের ঠিকাদারি কাজ করছেন না তিনি।'কুক পদে নিয়োগ পেয়ে কীভাবে ড্রাইভার হিসেবে একই স্টেশনে দীর্ঘদিন চাকরি করছেন জানতে চাইলে বোর্ডের মহাপরিচালকের উপর দোষ চাপিয়ে তিনি বলেন, 'পানি উন্নয়ন বোর্ডের বদলির বিষয়টি বোর্ডের প্রধান কার্যালয় থেকে সরাসরি দেখা হয়। ভবিষ্যতে তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'এমআর
    কোনো দল ও গোষ্ঠী কাউকে ক্ষমা করার এখতিয়ার রাখে না: শিবির সেক্রেটারি
    ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারী জেনারেল জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার যা করেছে তা কোনো ব্যক্তি বা ভিকটিম যদি ক্ষমা করে, তবে তা ভিন্ন বিষয় কিন্তু কোনো দল ও কোনো গোষ্ঠী কাউকে ক্ষমা করার এখতিয়ার রাখে না। বুধবার (২০ নভেম্বর) বিকালে মাগুরা আছাদুজ্জামান মিলনায়তনে সুধী সমাবেশের এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাগুরা জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক এমবি বাকের, জেলা সেক্রেটারি সাঈদ আহমেদ বাচ্চুসহ জেলা ও উপজেলার জামায়াত ইসলামের নেতাকর্মীরা।মাগুরা জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি আশিক খানের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারী জুবায়ের হোসাইন সহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা।
    এবার শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা করলেন যুবলীগ কর্মী
    এবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৮৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন যুবলীগের এক কর্মী। তার নাম কফিল উদ্দিন।  চট্টগ্রাম নগরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলায় নেতৃত্বদানকারী যুবলীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত তিনি। মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানসহ আওয়ামী, যুবলীগের নেতা-কর্মীকেও আসামি করা হয়েছে। মহানগরের নন্দনকানন এলাকার বাসিন্দা কফিল উদ্দিন গত সোমবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালতে মামলাটি করেন। আদালত বাদীর বক্তব্য শুনে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।এই মামলার পরপরই শুরু হয়েছে নতুন আলোচনা-সমালোচনা। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, মামলার বাদীর বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় অস্ত্র ও মাদকসহ তিনটি মামলা এবং আনোয়ারা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) রয়েছে। গ্রেপ্তার হয়ে একাধিকবার কারাগারেও গেছেন তিনি।মামলাটির আসামিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য-সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল মামুন, সাবেক সংসদ সদস্য এম এ মোতালেব, মজিবুর রহমান, জাতীয় পার্টির চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি সোলায়মান আলম শেখ, পিবিআই সাবেক প্রধান বনজ কুমার মজুমদার, ডিবি সাবেক প্রধান হারুন অর রশিদ, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার সরকার, সাবেক পুলিশ কমিশনার সাইফুল ইসলাম, চট্টগ্রামের কোতয়ালী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবায়দুল হক।মামলার অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেন, তিনি গত ৪ আগস্ট নগরের নিউমার্কেট গোলচত্বর এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেন। ওই দিন আসামিদের কয়েকজনের নির্দেশে ও পরিকল্পনায় বাকি আসামিরা গুলি করেন। ককটেল বিস্ফোরণও ঘটান। এতে কফিল হাতে আঘাত পান। ঘটনার পর হাসপাতালে ভর্তি হন। ঘটনায় জড়িত আসামিদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ ও সুস্থ হতে সময় লাগায় মামলা করতে দেরি হয়।এফএস
    ধর্ষণ মামলা থেকে বাঁচতে বিয়ে, অতঃপর গলা কেটে স্ত্রীকে হত্যা!
    কুমিল্লার দাউদকান্দিতে শামীমা আক্তার (২৫) নামের এক গৃহবধূকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) রাতে দাউদকান্দি উপজেলার হাট চান্দিনা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।শামীমার পরিবারের অভিযোগ, পারিবারিক কলহের এক পর্যায়ে স্বামী মাসুদ ওরফে মাসুমের হাতে খুন হয়েছেন শামীমা। এ ঘটনার পর থেকে মাসুদ পলাতক রয়েছে। অভিযুক্ত একই উপজেলার মাসুদ উপজেলার মাওরাবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা।শামীমার বড় বোন তাছলিমা আক্তার বলেন, শামীমার আরেক জায়গায় বিয়ে হয়েছিল। এর মধ্যেই মাসুদের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্পর্কের এক পর্যায়ে শামীমাকে বিয়ে করতে অপারগতা প্রকাশ করেন মাসুদ। পরে মাসুদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করা হয়। মামলা থেকে রক্ষা পেতে চার বছর আগে শামীমাকে বিয়ে করেন তিনি। বিয়ের পর থেকে মাসুদকে নিয়ে চান্দিনা গ্রামে বাবার ভাড়া বাড়িতে থাকতেন শামীমা। তাঁদের দুই সন্তান আছে।গতকালের ঘটনার বিষয়ে তাছলিমা বলেন, গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে তিন মাস বয়সী ছেলেকে দুধ পান করাচ্ছিলেন শামীমা। এ সময় পারিবারিক বিষয় নিয়ে তাঁর সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়ান মাসুদ। একপর্যায়ে শামীমাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও গলা কেটে পালিয়ে যান তিনি। পরে শামীমাকে উদ্ধার করে দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।চিকিৎসক জানান, নিহত শামীমার গলায় (ঘাড়ে) দুটি, ডান হাতের আঙুলে একটি ও দুই হাতের বাহুতে দুটি কোপের চিহ্ন আছে।নিহত শামীমা আক্তার হাট চান্দিনা গ্রামের আরিফ হোসেনের মেয়ে এবং একই উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের মাওরা বাড়ি গ্রামের মো. মাসুদের স্ত্রী। তাদের তিন বছরের একটি মেয়ে এবং চার মাসের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।নিহত শামীমার বোন তাসলিমা বলেন, তার স্বামী মো. মাসুদ ৪/৫ জনকে নিয়ে শামীমাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। মাসুদ ও তার বন্ধুরা মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। গত চার বছর পূর্বে শামীমার স্বামী মাসুদসহ ৪/৫ জন মিলে শামীমাকে ধর্ষণ করে। ওই ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি ছিলো মাসুদ। পরে এলাকাবাসী এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ মিলে আলোচনা সাপেক্ষে শামীমা ও মাসুদের বিয়ে হয় এবং পরবর্তীতে ওই ধর্ষণ মামলা উঠিয়ে নেওয়া হয়। সে ও তার বন্ধুরা গণধর্ষণের মামলা থেকে রেহাই পায়। বিয়ের পর মাসুদ তার বন্ধুদের নিয়ে মাদক সেবন এবং বিক্রির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। এর প্রতিবাদ করলে আমার বোনের ওপর নির্যাতন শুরু করে মাসুদ। আমার ভগ্নিপতি মাসুদ তার বন্ধু সেলিমকে দিয়ে আমাদের নামে একাধিক মামলা করায়। সেলিম একই বাড়ির হওয়ায় এ নিয়ে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে প্রায় ঝগড়া হতো। নিহতের বোন আরো বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার গৌরীপুর পুলিশ ফাঁড়ি তদন্ত কেন্দ্রে সেলিম ও তার বোন সাথী সহ কয়েকজনের নামে মৌখিক অভিযোগ দিয়েছিলাম। বাড়িতে আসার পর কেন পুলিশের কাছে মাসুদের বন্ধুদের নামে অভিযোগ দিতে গিয়েছি এ জন্য মাসুদ তার বন্ধুদের নিয়ে আমার বোনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে।উপজেলার গৌরীপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম বলেন, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শামীমার বড় বোন ও মাসহ আরও কয়েকজন পুলিশ ফাঁড়িতে আসে। তারা সেলিম ও সেলিমের বোনসহ কয়েকজনের নামে মৌখিক অভিযোগ দেয়। লিখিত অভিযোগ দিতে বললে পরে এসে দিবে একথা বলে তারা চলে যায়। এরপর রাতেই শুনি শামীমাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে।দাউদকান্দি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জুনায়েত চৌধুরী বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলমান রয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।
    চট্টগ্রামে দুই বস্তিতে অভিযান চালিয়ে ১৫ লাখ টাকাসহ পাঁচ জন আটক
    চট্টগ্রাম নগরের সিআরবির বয়লার এভিনিউ বস্তি ও ফলমণ্ডির বস্তিতে অভিযান পরিচালনা করেছে যৌথ বাহিনী। বুধবার (২০ নভেম্বর) সকালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।অভিযানে বিভিন্ন অবৈধ ধারালো অস্ত্র, মাদকদ্রব্য, মোবাইল ফোন ও নগদ ১৫ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। এ সময় পাঁচ জনকে আটক করা হয়। যৌথ বাহিনীর টাস্কফোর্স-৪ এর পক্ষে মেজর রিজুয়ানুর রহমান অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।অভিযান সম্পর্কে যৌথ বাহিনীর পক্ষ থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুধবার ভোর ৬টায় থেকে সকাল ৮টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত যৌথবাহিনী অভিযান পরিচালনা করে পাঁচ দুষ্কৃতিকারীকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্ন ধরনের ধারালো অস্ত্র, মাদকদ্রব্য, মোবাইল ফোন ও নগদ প্রায় ১৫ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।অভিযানে উদ্ধার হওয়া সরঞ্জামসহ গ্রেফতারদের পুলিশ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের প্রতিনিধিদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এবি 
    আমরা আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে আনার কথা বলিনি: মির্জা ফখরুল
    বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, 'আমরা কাউকে নির্বাচনে আনতে চাই এমনটা বলিনি। গণ্যমাধ্যমে বিষয়টা সঠিকভাবে আসেনি। আমরা বলেছি আওয়ামী রাজনৈতিক দল, নির্বাচন করবে কি করবে না তা নির্ধারণ করবে জনগণ। জনগণ সিদ্ধান্ত নেবেন কারা রাজনীতি করবে কারা করবে না। আমরা সেখানে কিছু না।’ফেনীতে বেগম খালেদা জিয়ার পৈত্রিক বাড়িতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থী ও জনসাধারণের মাঝে শিক্ষা উপকরণ ও ঢেউটিন বিতরণ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ফুলগাজী উপজেলা শাখা। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেয়ার সময় তিনি এসব কথা বলেন।ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগের দস্যুরা পালিয়েছে। দেশের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। নতুন সরকার জঞ্জালগুলো পরিষ্কার করে একটা নির্বাচন দিবেন। সেই নির্বাচনের মাধ্যমে দেশ এগিয়ে যাবে। নতুন সরকার কাজ শুরু করেছে। রাতারাতি সব সম্ভব না। আমরা বলেছি নির্বাচনটা তাড়াতাড়ি করলে ভাল হয়।তিনি বলেন, মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘ ৬ বছর কারাভোগ করলেও অন্যায়ের সঙ্গে মাথা নত করেননি তিনি। গণতন্ত্র রক্ষায় আপোষহীন থেকে দেশের জন্য লড়ছেন।দুপুরে বেগম খালেদা জিয়ার পৈত্রিক বাড়ি ফুলগাজীর শ্রীপুরে ইস্কান্দার মজুমদার বাড়ির প্রাঙ্গণে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন, সাবেক সংসদ সদস্য রেহানা আক্তার রানু, চট্টগ্রাম বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মশিউর রহমান বিপ্লব।সার্বিক তত্ত্বাবধান করেন ফেনী-১ আসনের নির্বাচনী সমন্বয়ক ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু, সদস্য সচিব মোহাম্মদ রবিনসহ এতে জাতীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এবি 
    বগি লাইনচ্যুত, ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের আপলাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ
    ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মালবাহী ট্রেনের একটি বগির দুটি চাকা লাইনচ্যুত হয়েছে। এ ঘটনায় আপলাইনে ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম ও সিলেটের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।বুধবার (২০ নভেম্বর) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে সদর উপজেলার ছোটহরণ এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে এ ঘটনা ঘটে।ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার মো. জসিম উদ্দিন জানান, দুপুরে ঢাকাগামী একটি মালবাহী ট্রেন সদর উপজেলার ছোটহরণ এলাকায় যাওয়ার পর ট্রেনটির একটি বগির দুটি চাকা লাইনচ্যুত হয়।এতে করে আপলাইনে ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম ও সিলেটের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। তবে ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।খবর পেয়ে আখাউড়া থেকে উদ্ধারকারী ট্রেন ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে পৌঁছে কাজ শুরু করেছে। উদ্ধারকাজ সম্পন্নের পর পুনরায় আপলাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবে।এবি 
    স্ত্রীর সাথে অভিমান করে যুবকের আত্মহত্যা
    স্ত্রীর সাথে অভিমান করে রাশেদুল ইসলাম (২৮) নামের এক যুবক আত্মহত্যা করেছে।বুধবার (২০ নভেম্বর) সকালে পুরান ঢাকার বংশাল মুকিম বাজার এলাকায় একটি ফ্লাট থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত রাসেদুল ইসলাম মাদারীপুর সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের ঘটকচর এলাকার আয়নাল সরদারের ছেলে।পারিবারিক সুত্রে যানা যায় ২০১৯ সালে কেন্দুয়া ইউনিয়নের উত্তর কাউয়াকুরী এলাকার কুদ্দুস খানের মেয়ে মাহিমার সাথে  প্রেমের সম্পর্ক থাকায় পরিবারে না জানিয়ে পালিয়ে বিয়ে করে রাসেদুল। দুই পরিবার বিয়ে মেনে না নেওয়ায় রাসেদুল পুরান ঢাকায় বংশালে একটি ফ্লাট বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন।রাশেদুল পুরান ঢাকার একটি ইলেক্ট্রিক দোকানে কাজ করতেন। তাদের সংসার ভালই চলছিল। বছর কয়েক যেতেই রাসেদুল জানতে পারে তার স্ত্রী মাহিমা অন্য পুরুষের সাথে নতুন সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছে। এই নিয়ে দুইজনের মধ্যে মাঝে মাঝে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকত।স্বামী- স্ত্রী সম্পর্কে  ফাটল ধরায়।নিহতের স্ত্রী তার মায়ের কাছে চলে যায়, গত দেড় মাস আগে তার স্ত্রী তাকে ডিভোর্স লেটার পাঠালে।এতে রাসেদুল মানসিকভাবে ভেঙ্গে পরে।গত মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে স্ত্রী মাহিমার সাথে হোয়াটসএপে ভিডিও কলে কথা হয় রাশেদুলের এরপরই রাসেদুল ঘরের ফ্যানের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করে।বুধবার সকালবেলা রাশেদুলের কোন সারা শব্দ না পেলে পুলিশকে খবর দিলে দরজা ভেঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায়  রাশেদুলের লাশ উদ্ধার করে।রাশেদুলের বড় ভাই হৃদয় বলেন, আমার ভাইকে অনেক আদর যত্ন করে বড় করেছি তারপরেও ওই মেয়ের জন্য আমাদের সবাইকে ছেড়ে বিয়ে করে ঢাকা গিয়ে বাসা ভাড়া করে থাকত, ওই মেয়ে একটা দুশ্চরিত্র অস্বামী থাকতেও অন্য ছেলের সাথে সম্পর্ক ছিল ওর। ওই মে আমার ভাইকে মেরে ফেলেছে আমি এর বিচার চাই।মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আল মামুন বলেন, ঘটনা আমারা শুনেছি ঢাকার ঘটিনা তারপরেও আমাদের কাছে যদি কোন আইনি আসহতো চায় আমরা সেটা করবো।এমআর
    কবি সুফিয়া কামালের ২৫ তম প্রয়াণ দিবস উপলক্ষ্যে কিশোরগঞ্জে স্মরণ সভা
    বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, নারীমুক্তি,মানবমুক্তি এবং গণতান্ত্রিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের পুরোধা ব্যক্তিত্ব কবি সুফিয়া কামালের ২৫ তম প্রয়াণ দিবস পালন করেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ কিশোরগঞ্জ জেলা শাখা।বুধবার (২০ নভেম্বর) বিকেল ৪ টার দিকে জেলা মহিলা পরিষদ কার্যালয়ে এ স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা শাখার সভাপতি অ্যাড. মায়া ভৌমিক।সভায় বক্তব্য রাখেন- শিক্ষা ও সংস্কৃতি সম্পাদক মনিকা দাস। জেলা শাখা হতে আলোচনা করেন সাধারণ সম্পাদক আতিয়া হোসেন, আন্দোলন সম্পাদক মাছুমা আক্তার, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অ্যাড. শংকরী রানী সাহা, সদস্য অ্যাড. হামিদা বেগম, লুৎফুন্নেছা চিনু, ফারহানা রশিদ ইরিন ও কামরুন আরা বর্ষা পাড়া কমিটির পক্ষে বক্তব্য রাখেন সুলতানা রাজিয়া মুন্নী, রিজিয়া আক্তার হ্যাপী ও পাপিয়া পন্ডিত। সভা সঞ্চালনা করেন, শিক্ষা ও সংস্কৃতি সম্পাদক মনিকা দাস।বক্তারা বলেন, কবি সুফিয়া কামাল এই উপমহাদেশের সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পুরোধা ব্যক্তিত্ব সাহসিকা জননী। নারীর সম অধিকার প্রতিষ্ঠার এই আন্দোলনে চলার পথের আলোর দিশারী মহীয়সী জননী সুফিয়া কামাল। উনার আদর্শকে ধারণ করে আগামীর নারী আন্দোলন হবে আরো শক্তিশালী, অধিক বেগবান করার অঙ্গিকারবদ্ধ হন বক্তারা। এমআর
    একই দিনে মৃত্যুর ইচ্ছা পূরণ হলো এক দম্পতির!
    ঘটনাটি বিস্ময়কর। রাজবাড়ীর সদর উপজেলার আলীপুর ইউনিয়নের আলাদিপুর গ্রামে দীর্ঘ ৬০ বছরের সংসার শেষে প্রায় একই দিনে মৃত্যুর ইচ্ছা পূরণ হয়েছে এক দম্পতির। তারা হলেন- আব্দুল কাদের শেখ (৮৫) ও জাহানারা বেগম (৭৫)। তাদের দাফনও হয়েছে পাশাপাশি।মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে স্ত্রী জাহানারা বেগমের মৃত্যুর ১৩ ঘণ্টার ব্যবধানে বুধবার (২০ নভেম্বর) সকাল ৯টার দিকে মারা যান স্বামী আব্দুল কাদের শেখ।আব্দুল কাদের শেখ আলাদিপুর এক নম্বর কলোনি গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। দুপুরে একসঙ্গে জানাজা শেষে গুচ্ছগ্রামের পাশের কবরস্থানে পাশাপাশি দাফন করা হয় স্বামী স্ত্রীকে।স্বজনরা জানান, আব্দুল কাদের ও জাহানারা বেগম দম্পতির জীবদ্দশায় চাওয়া ছিল তাদের মৃত্যু যেন একদিনেই হয়। বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে আব্দুল কাদের ও তার স্ত্রী জাহানারা বেগমকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারা আলাদা অলাদা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন।১৯ নভেম্বর সন্ধ্যায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জাহানারা বেগম। তার মরদেহ স্বামীর বাড়িতে না নিয়ে একই ইউনিয়নের ইন্দ্রনারায়ণপুর গ্রামে বাবার বাড়িতে নেওয়া হয়। প্রথমে স্বামী আব্দুল কাদেরের কাছে গোপন রাখা হয় স্ত্রীর মৃত্যুর খবর। গভীর রাতে এ খবর জানতে পেরে ভেঙে পড়েন আব্দুল কাদের। রাতেই পরিবারের সদস্যদের অনুরোধ করে হাসপাতাল থেকে তিনি নিজ বাড়িতে চলে আসেন।সকালে পরিবারের লোকজন আব্দুল কাদেরকে স্ত্রীর মরদেহ দেখানোর জন্য তার শ্বশুরবাড়ি ইন্দ্রনারায়ণপুর গ্রামে আনার প্রস্ততি নিচ্ছিলেন। এমন অবস্থায় স্ত্রীর মরদেহ দেখার আগেই সকাল ৯টার দিকে মারা যান আব্দুল কাদের। পরে তার মরদেহ স্ত্রীর কাছে নিয়ে আসা হয়। সেখানে স্বামী-স্ত্রীর গোসলসহ অন্যান্য ধর্মীয় কাজ শেষে দুপুরে তাদের মরদেহ আলাদিপুর এক নম্বর কলোনি হাফিজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানায় এনে জানাজা নামাজ পড়ানো হয়। এরপর আব্দুল কাদেরের বসতভিটা আলাদিপুর এক নম্বর কলোনি গুচ্ছগ্রামের পাশের কবরস্থানে পাশাপাশি কবরে দাফন করা হয়।আব্দুল কাদেরের প্রতিবেশী খোরশেদ আলম বলেন, কাদের ভাই ও তার স্ত্রী বেঁচে থাকতে সবসময় কামনা করতেন একসঙ্গেই যেন তাদের মৃত্যু হয়। তারা মরণেও পাশাপাশি কবরে থাকতে চেয়েছিলেন। অবশেষে অলৌকিকভাবে তাদের সেই ইচ্ছাই পূরণ হয়েছে। ১৩ ঘণ্টার ব্যবধানে তারা পৃথিবী ছেড়ে চিরবিদায় নিয়েছেন।আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু বক্কার ছিদ্দিক বলেন, ঘটনাটি বিস্ময়কর। স্বামী-স্ত্রীর একই দিনে স্বাভাবিক মৃত্যু তেমন দেখা যায় না।এফএস
    মোহাম্মাদপুরের সন্ত্রাসী ‘কাইল্লা’ সুমন গ্রেপ্তার
    ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকার আলোচিত সন্ত্রাসী ‘কাইল্লা’ সুমনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার সন্ধ্যায় তাকে গ্রেপ্তার করে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশের একটি দল।এ বিষয়ে তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার (এডিসি) জিয়াউল হক বলেন, কাইল্লা সুমনকে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কোন মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হবে তা এখনো বলা যাচ্ছে না। তার বিরেুদ্ধে ২০টির বেশি মামলা রয়েছে।এফএস
    বন্ধুকসহ উপজেলা যুবদলের আহবায়ক আটক
    কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলা যুবদল আহ্বায়ক এম আবু আবুল খায়েরকে আটক করেছে সেনাবাহিনী।মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দিবাগত রাতে সেনাবাহিনীর একটি দল উপজেলার হিলচিয়া ইউনিয়নের খনারচর গ্রামের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ১ নলা একটি বন্ধুকসহ তাকে আটক করে।পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে সেনাবাহিনী একটি দল অভিযান চালিয়ে উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক এম আবু আবুল খায়েরকে বন্ধুকসহ আটক করে। পরে তাকে থানায় হস্তান্তর করেছে।বাজিতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুরাদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে এম আবুল খায়েরকে ১ নলা বন্ধুকসহ আটক করে থানায় হস্তান্তর করেছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।এমআর
    ঝালকাঠিতে শাহজাহান ওমরের বাড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ
    ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঠালিয়া) আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য, বিএনপির সাবেক নেতা মেজর (অব.) শাহজাহান ওমররের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।বুধবার (২০ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৮ টার দিকে জেলার রাজাপুর উপজেলা সদরের গোডাউনঘাট এলাকার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।  শাহজাহান ওমরের ভাগ্নে রফিকুল ইসলাম দুলাল বলেন, সন্ধ্যায় দুর্বৃত্তরা ইটপাটকেল ছুঁড়ে বাড়িতে ভাংচুর করে। এতে বাড়ির বাইরের অংশের তিনটি কাচের গ্লাস ভেঙে যায়। পরে হামলাকারীরা চলে যায়। এ বিষয়ে রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, এ ঘটনায় থানায় কেউ কোনো অভিযোগ করেননি।এমআর
    নেছারাবাদে স্কুল ছাত্রীর গলায় ফাঁস লাগানো মৃতদেহ উদ্ধার
    পিরোজপুরের নেছারাবাদে ইশরাত জাহান জেবিন (১৫) নামে এক স্কুল শিক্ষার্থী গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় মৃতদেহ উদ্ধার করেছে নেছারাবাদ থানা পুলিশ। ইশরাত জাহান জেবিন স্বরূপকাঠি কলেজিয়েট একাডেমি স্কুলে সপ্তম শ্রেণীতে পড়াশোনা করতো।বুধবার (২০ নভেম্বর) নেছারাবাদ উপজেলার সোহাগদল ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে নিজেদের বাসায় এ ঘটনা ঘটে। সে বরছাকাঠি গ্রামের মো. জহিরুল ইসলামের মেয়ে। এ বিষয়টি ওয়ার্ড মেম্বার শামীম নিশ্চিত করে জানান, মায়ের সাথে রাগারাগি করে এ আত্মহত্যা ঘটনা ঘটতে পারে।এলাকাবাসীরা জানান, ইশরাত জাহান জেবিন তার মায়ের সাথে মোবাইলে সিম চেইঞ্জ করা নিয়ে রাগারাগি করে ঘর থেকে পাশের বাসায় যায়। কিছুক্ষণ পর বাসায় এসে তার মা মোবাইলে সিম চেইঞ্জ করছে কিনা সেটা দেখার জন্য ঘরে এসে জেবিনকে ডাক দেয়। কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে ঘরে ডুকেই জেবিনকে গলায় ওড়না পেচানো অবস্থায় দেখতে পায়। মা ডাক চিৎকার দিলে স্বজনরা তাকে নামিয়ে নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।ইশরাত জাহান জেবিনের মা জানান, সকালে মোবাইলে সিম চেইঞ্জ করা নিয়ে দাদী-নাতির সাথে রাগারাগি হয় এবং আমিও একটু বকাবকি দিয়েছিলাম। আমার মেয়েটা ছোট বেলা থেকেই খুব জেদী প্রকৃতির ছিলো।ওয়ার্ড মেম্বার শামীম জানান, আমি খবর পেয়ে ওদের বাসায় গিয়েছিলাম। শুনছি তার মায়ের সাথে একটু রাগারাগী হয়েছিলো। ঘরের সাথে ওড়না পেঁচানো অবস্থায় তাকে পাওয়া গেছে।নেছারাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বনি আমিন জানান, খবর পেয়ে থানা থেকে ফোর্স পাঠিয়ে মৃত্যুদেহ উদ্ধার করেছি। সকালে ময়না তদন্তের জন্য লাশ পিরোজপুর মর্গে পাঠানো হবে।এআই
    মহিপুরে বিশ্ব শিশু দিবস পালিত
    পটুয়াখালীর মহিপুরে বিশ্ব শিশু দিবস-২০২৪ উপলক্ষ্যে ‘প্রত্যেক শিশুর জন্য সকল অধিকার’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিশ্ব শিশু দিবস পালিত হয়েছে।বুধবার (২০ নভেম্বর) বিকালে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা গুড নেইবারস বাংলাদেশ-এর উদ্যোগে মহিপুর সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ১৫০ ছাত্র-ছাত্রীর অংশগ্রহণে দিবসটি উপলক্ষে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরে চিত্রাঙ্কণ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী তিন শিশুকে পুরস্কৃত করা হয়।অনুষ্ঠানে গুড নেইবারস বাংলাদেশ কলাপাড়া সিডিপি’র প্রোগ্রাম ফ্যাসিলিটেটর দীনা রিছিলের সঞ্চালনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সিডিপি ম্যানেজার পলাশ রনি মণ্ডল। প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা মহিলা ও শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মোসা. তাসলিমা। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাংবাদিক মাইনুদ্দিন আল আতিক।এসময় বক্তারা বলেন, ‘গুড নেইবারস বিভিন্ন সেবামূলক কাজের পাশাপাশি শিশুদের মানসিক বিকাশের জন্য নিয়মিত কাজ করছে। এরই অংশ হিসেবে বিশ্ব শিশু দিবস উপলক্ষ্যে চিত্রাঙ্কনের আয়োজন করা হয়েছে। আমরা মনে করি, এই আয়োজন শিশুর অধিকার সংরক্ষণ ও মানসিক বিকাশের পাশাপাশি শিল্প ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে শিশুদের আরও বেশি আগ্রহী করবে।’অনুষ্ঠানে গুড নেইবারস কলাপাড়া সিডিপি’র হেলথ অফিসার পঙ্কজ কুমার বিশ্বাস, এডমিন অফিসার শিপন চন্দ্র সরকারসহ সংস্থার অন্যান্য কর্মকর্তা, কর্মচারী ও স্বেচ্ছাসেবীরা উপস্থিত ছিলেন।এমআর
    দিনভর বর্ণাঢ্য আয়োজনে শেবাচিম’র ৫৬ তম বর্ষপূর্তি উদ্যাপন
    আসুন, স্মৃতির সরণি ধরে হারিয়ে যাই সেই দিনগুলোতে এমনই এক অনুভূতিকে অম্লান করে রাখতে আজ বুধবার দক্ষিণবঙ্গের স্বনামধন্য চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের ৫৬ তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে এক জমকালো ও বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্র-ছাত্রীদের মিলনমেলায় এক আনন্দময় মুহূর্তের অবতারনা হয়। ১৯৬৮ সালের এই দিনে দক্ষিণবঙ্গের মানুষের ভরসাস্থল হিসেবে বিবেচিত শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়।প্রাক্তন, বর্তমান ও নতুনদের দের মিলন মেলার এই আয়োজন সকাল ৯টায় পবিত্র কুরআন থেকে তিলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হয়। এরপর ১ মিনিট নীরবতা পালনের মাধ্যমে জুলাই-আগস্ট এর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।সকাল সাড়ে ৯টায় প্রধান অতিথি ডা. এ কে এম আক্তার মোর্শেদ, বিশেষ অতিথি মহাপরিচালক (স্বাস্থ্য শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেন, অধ্যাপক ডা. কহিনুর বেগম, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. রফিক আল কবির লাবু, বরিশাল আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. আজিজ রহিম, সদস্য সচিব ডা. সৈয়দ ইমতিয়াজ উদ্দিন সাজিদ, ঢাকা আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ডা. পারভেজ রেজা কাকন, ঢাকা আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব ডা. মো. সাইফুল ইসলাম জুয়েল এর উপস্থিতিতে ৫৬তম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এরপর শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. ফয়জুল বাশার পতাকা উত্তোলন করেন। সকাল ১০টায় ৫৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালী কলেজ ক্যাম্পাস থেকে শুরু করে বান্দরোড, চাঁদমারি প্রদক্ষিণ শেষে কলেজ ক্যাম্পাসে এসে শেষ হয়। সকাল ১১টা ৫০ মিনিটে ক্যাম্পাসে কেক কাটা, চা-চক্র শেষে আলোচনা সভা ও স্মৃতিচারণ, মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান,  জুলাই-আগস্টের শহীদদের পরিবারকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।দুপুর দেড়টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত নামাজ ও মধ্যাহ্নভোজের বিরতির পর বিকেল সাড়ে ৪টায় প্রীতি ফুটবল খেলা ও পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যায় কলেজ অডিটোরিয়ামে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও র‌্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হয়।শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের ৫৬ তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের পুরো  ক্যাম্পাস জুড়ে আলোকসজ্জা ও সাজসজ্জা করা হয়। এছাড়া মিলন মেলার জন্য একাধিক দৃষ্টিনন্দন প্যান্ডেল নির্মাণসহ লাল গালিচা বিছানো হয়এবারের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিপুল সংখ্যক প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীরা অংশ গ্রহন করায় এ অনুষ্ঠান আনন্দময় ও স্মৃতিময় হয়ে উঠে। এবারের অনুষ্ঠানের সার্বজনীনতা সকলের জন্য আরও উপভোগ্য হয়।এমআর
    'পাগলীটা মা হয়েছে, বাবা হয়নি কেউ'
    বরগুনা পাথরঘাটার নিজঠিমারা গ্রামের রাস্তার পাশে  ফুটফুটে সুন্দর এক ছেলে সন্তান প্রসব করে মা হলেন নাম পরিচয়হীন মানসিক ভারসাম্যহীন নারী। বুধবার  (২০ নভেম্বর)  সকালে রাস্তা পাশে ভারসাম্যহীন নারী বাচ্চা প্রসব করেন। স্থানীয় বাসিন্দা আমিনা বলেন, বাড়ির সামনে  সকালবেলা রাস্তায় এক মহিলার কান্নাকাটির শব্দ শুনতে পাই। গিয়ে দেখতে পাই একটি নবজাতক পাশে নিয়ে সে কান্নাকাটি করছে ব্যথায়। পরবর্তী সময়ে এলাকাবাসীর সহায়তায় হাসপাতালে নিয়ে আসি। মা ও নবজাতক শিশুটিকে  চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারা উভয় মোটামুটি সুস্থ রয়েছে।  তিনি আরো বলেন, এই মানসিক ভারসাম্যহীন নারী   ও তার ছেলেটার যদি কেউ দায়িত্ব না নেয়। তাহলে আমি দুইজনকে  বাসায় নিয়ে যাব। স্থানীয়রা এই শিশুটার নাম রেখেছে রাসেল। পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাসুদ রানা বলেন, সকাল আটটার দিকে কিছু লোকজন  পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে বাচ্চা সহ মানসিক ভারসাম্যহীন এই নারীকে। প্রাথমিকভাবে তাকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। মা ও শিশু এখন সুস্থ  আছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোকনুজ্জামান খান বলেন, আমি তথ্যটি শোনার সাথে সাথে  হাসপাতালে গিয়েছি । হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সাথে কথা হয়েছে এদের চিকিৎসার সকল খরচ উপজেলা প্রশাসন থেকে বহন করা হবে। ভারসাম্যহীন নারী ও তার সন্তানের সুরক্ষায় যা যা করণীয় সে ব্যবস্থা উপজেলা প্রশাসন থেকে করা হবে ।এফএস
    নেত্রকোনায় হাসপাতালের নানা সমস্যা নিয়ে মতবিনিময় সভা
    নেত্রকোনায় স্বাস্থ্য সেবার নানা সমস্যা নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে মত বিনিময় করেছে অধিকার এখানে, এখনের তারুণ্যের কন্ঠস্বর। বুধবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে তারুণ্যের কন্ঠস্বরের ‘একদল তরুণ তরুণীর সমন্বয়ে নেত্রকোনা আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়কের কক্ষে এই মত বিনমিয় সভার আয়োজন করে স্বাবলম্বী উন্নয়ন সমিতি।এতে হাসপাতালে কিশোর কিশোরী কর্নার, যৌন হয়রানী প্রতিরোধ কমিটি, বিনামূল্যে মেডিসিন প্রদান সেবা, অভিযোগ বক্স, চিকিৎসক সংকট, হয়রানীসহ নানা বিষয় তুলে ধরেন তারুণ্যের কন্ঠস্বরের ছেলে মেয়েরা। নারী পক্ষের সহযোগিতায় স্বাবলম্বীর ব্যবস্থাপক কোহিনুর বেগমের পরিচালনায় হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাক্তার আবু সাঈদ মো. মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় আরএমও, মেডিকেল অফিসার, মডেল থানার পুলিশ, ওসিসি কর্মকর্তা, নার্স, সমাজসেবার অফিসার, সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিকসহ তরুণ নেতৃত্বের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।এসময় জেলা সদর হাসপাতালের একশ শয্যা থেকে ২৫০ শয্যায় উন্নীত করা হলেও সেবার মান উন্নয়ন না হওয়া নিয়ে আলোচনা করেন বক্তারা। চিকিৎসকদের নানা সংকট নিয়ে টিকিটের গায়ে থাকা নাম্বারে সরাসরি তত্বাবধায়ককে ফোন করে সমস্যা জানানোর জন্য অনুরোধ করেন সভার সভাপতি তত্বাবধায়ক।তিনি বলেন, যেগুলো সমস্যা সমাধানযোগ্য যেমন ঔষধ কোনগুলো রয়েছে তা মার্ক করে দেয়া হবে। কোন কোন কক্ষে কোন চিকিৎসক থাকবেন তা লিখে দেয়াসহ অন্যান্য সমাস্যগুলো সামধান করা হবে। কিন্তু চিকিৎসকসহ জনবল সংকট রয়েছে তা একেবারে সমাধান সম্ভব নয়। এছাড়া বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের চাপ দিলে তারা বদলি নিয়ে অন্যত্র চলে যান। সভায় বক্তব্য রাখেন, জেলা নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক আলপনা বেগম,  হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল আফিসার (আরএমও) ডাক্তার মো. একরামুল হাসান, নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি তদন্ত চম্পক দাম, মেডিকেল অফিসার অমিত রায় প্রনব, সিনিয়র স্টাফ নার্স ফাতেমা আক্তার, ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের অফিসার মো. সেলিম মিয়া, হাসপাতাল সমাজসেবা অফিসার ফেরদৌস আলম, পরিসংখ্যান ইসচার্জ নাসিমা আক্তার খানম, তারুণ্যের কন্ঠস্বরের তাজিম রহমান, আজিজুর রহমান সায়েম, অধিকার এখানে এখনের কর্মী ঝর্না আক্তারসহ অন্যরা।এমআর
    ময়মনসিংহে শিশু অপহরণের চেষ্টায় ভুয়া ডিবি পুলিশ গ্রেফতার
    ময়মনসিংহে ভুয়া ডিবি পুলিশ পরিচয়ে শিশু অপহরণ চেষ্টার ঘটনায় আবুল কাসেম (৩৭) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ।বুধবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে নগরীর টাউনহল মোড় এলাকা থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযুক্ত আবুল কাসেম গৌরীপুর উপজেলার রামগোপালপুর এলাকার মৃত নবী হোসেনের ছেলে।ভুক্তভোগী শিশু মনিরা আক্তার মুক্তাগাছা উপজেলার নতুনবাজার বাইতুল ফালা জামে মসজিদ এলাকার মৃত মনোয়ারা হোসেনের মেয়ে।পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নগরীর হামিদ উদ্দিন রোড এলাকায় আত্মীয়ের বাসায় থাকাবস্থায় শিশু মনিরা আক্তার (১২) কে বিভিন্নভাবে টাকা দিয়ে প্রলোভন দেখিয়ে দেখা করতে বলতো ডিবি পুলিশ পরিচয়কারী অভিযুক্ত কাসেম। আজও দেখা করার কথা বললে কৌশলে শিশু মনিরার আত্মীয় টাউনহল মোড়ে ডেকে এনে জনতা আটক করে, পরে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে অভিযুক্ত কাসেমকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মো. শফিকুল ইসলাম খান জানান, আবুল কাসেম নিজেকে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় সে ভুয়া ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে বেশ কয়েকদিন যাবত শিশুটিকে বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ করার চেষ্টা করে আসছিল। ভুক্তভোগী শিশুর আত্মীয়রা আসামিকে আটক করে আমাদের খবর দিলে পুলিশ গিয়ে তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। বিকেলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অভিযুক্ত কাসেমকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
    ছাত্র আন্দোলনে নিহত সোহাগের লাশ আদালতের নির্দেশে ৪ মাস পর উত্তোলন
    ময়নাতদন্তের জন্য দাফনের চারমাস পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত কিশোর সোহাগ মিয়ার (১৫) লাশ কবর থেকে উত্তোলন করেছে প্রশাসন। বুধবার (২০ নভেম্বর) কলমাকান্দা উপজেলার বড়খাপন ইউনিয়নের বড়খাপন গ্রামের কবর থেকে তার লাশ উত্তোলন করা হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও কলমাকান্দা থানা পুলিশের উপস্থিতিতে পরিবারের স্বজনদের সামনে রেখে লাশ উত্তোলন করা  হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কলমাকান্দা থানার ওসি মো. ফিরোজ হোসেন। গত ১৯ জুলাই শুক্রবার আসরের নামাজের পর ঢাকার নয়াবাজার বাসা থেকে বের হয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন শ্রমিক সোহা্গ। নেট বন্ধ থাকা অবস্থায় ২৩ জুলাই গ্রামের বাড়ি পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। বড়খাপন ইউনিয়নের বড়খাপন গ্রামের মো. শাফায়েত মিয়া'র ছেলে সোহাগ তার পরিবার নিয়ে ঢাকায় বসবাস করতেন। মামলার প্রেক্ষিতে তদন্তের স্বার্থে লাশ উত্তোলনের পর ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। সোহাগের মৃত্যুর ঘটনায় গত ২০ আগস্ট ঢাকা ডিএমপি ভাটারা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছিরেন তার বাবা শাফায়েত। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে ৯১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞানামা আরও ২০০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়। এই মামলার তদন্তের জন্য লাশের ময়নাতদন্ত করতেই আদালতের নির্দেশে লাশ উত্তোলন করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ। এ ব্যাপারে স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে ঢাকা মেট্রো উত্তর মালিবাগ পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) সিআইডি মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহটি দাফন করা হয়েছিল। তাই তদন্তের স্বার্থে আদালতে মরদেহের ময়নাতদন্তের অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়। আদালতের আদেশ পাওয়ার পর বুধবার মরদেহটি তোলা হয়েছে। নিহতের স্বজনেরা জানিয়েছেন, নিহত সোহাগ পরিবারের সঙ্গে রাজধানীর নয়াবাজার এলাকায় বসবাস করতেন। গত ১৯ জুলাই শুক্রবার আসরের নামাজের পর বাসা থেকে বের হয়ে গুলিবিদ্ধ হন। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। বাবা মো. শাফায়েত ছেলেকে খুঁজতে বের হয়ে শোনেন তার ছেলে হাসপাতালে। সেখানে গিয়ে দেখতে পান গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে আছে সোহাগের নিথর দেহ। পরে হাসপাতালে থেকে বাড়ি ফিরে ময়নাতদন্ত ছাড়াই পারিবারিক কবরস্থানে সোহাগের মৃতদেহ দাফন করা হয়।
    ময়মনসিংহে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানসহ গ্রেপ্তার ৮
    ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়রসহ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী, কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ এবং অপর এক অভিযানে ময়মনসিংহ মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের এক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ।বুধবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মো. শফিকুল ইসলাম খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- নান্দাইল উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম শাহান (৬২), পৌরসভার সাবেক মেয়র রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া (৬৬), সাবেক পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার জামান (৪৩), পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য মনোয়ার হোসেন চাঁন (৪৪), উপজেলা যুবলীগের সদস্য জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া (৪০), পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য আনিছ (৩২), সাবেক ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুল হাসান (৪৩) ও ময়মনসিংহ মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান নাঈম (২৭)।ওসি জানান, সেনাবাহিনী, কোতোয়ালি মডেল থানা ও নান্দাইল মডেল থানা পুলিশের একটি টিম গতকাল রাত ১২ টার দিকে নগরী শম্ভুগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌর মেয়রসহ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এছাড়াও কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ পৃথকভাবে নগরীর বলাশপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে স্বেচ্ছাসেবকলীগের এক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে নগরীর নতুন বাজার হরিকিশোর রায় রোডস্থ বিএনপির দলীয় কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা রয়েছে। আজ বিকেলে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হবে।এইচএ
    নেত্রকোনায় কৃষি প্রতিবেশবিদ্যা ও জলবায়ু ন্যায্যতা শীর্ষক কর্মশালা
    নেত্রকোনার মদনে ২০ জন কৃষক কৃষানি নিয়ে কৃষিপ্রতিবেশবিদ্যা ও জলবায়ু ন্যায্যতা শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বেসরকারী গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিকের সহায়তায় দিনব্যাপী এ কর্মশালার আয়োজন করে ‘সবুজ সংহতি’ ও দক্ষিণ মদন ‘কৃষিপ্রতিবেশবিদ্যা শিখন কেন্দ্র’।কর্মশালায় কৃষি প্রতিবেশবিদ্যা শিখন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক, শতবাড়ি মডেলের প্রতিনিধি, উদ্যোগী  কৃষক, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য, যুবপ্রতিনিধি, শিক্ষার্থী, সাংবাদিক সহ দুটি ইউনিয়নের ৫টি গ্রামের ২০ জন কৃষক কৃষানি ও বারসিকের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। প্রথমেই কর্মশালার লক্ষ্য উদ্দেশ্য নিয়ে কথা বলেন, বারসিক কর্মসূচী কর্মকর্তা মো.আলমগীর। শিক্ষার্থী দীপা বলেন, “হাওরের কৃষক খরা, বন্যা, আগামবন্যা, বজ্রপাত, বাঁধভাঙ্গা, পোকার আক্রমণ সামাল দিয়ে খাদ্য উৎপাদন করে বলেই আমরা খেতে পারি। অনেক দুর্যোগ মোকাবেলা করে শস্যফসল উৎপাদন করেন কৃষক।কিন্তু সেভাবে কৃষক ফসলের মুল্য পায়না।” যে কৃষি, কৃষিব্যবস্থাপনা, বীজ, সার, হাল ছিলো কৃষকের নিয়ন্ত্রণে সেই কৃষি ধীরে চলে গেলো কোম্পানির নিয়ন্ত্রণে। টেকসই উন্নয়ন ও নিরাপদ জীবনের জন্য কৃষিকে কৃষকের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে হবে। কর্মশালায় হাওরের কৃষি, বসতভীটায় সবজীচাষ, একফসল ধানের পরিবর্তে বৈচিত্যময় ফসলচাষ, জৈবিকৃষিচর্চা, কৃষির সাথে পরিবেশের সম্পর্ক, জলবায়ু ন্যায্যতা, পারিবারিক কৃষি চর্চা, স্থানীয়বীজ সংরক্ষণ, মাটির উর্বরতা, দূষণ প্রতিরোধ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন বারসিকের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী মো. অহিদুর রহমান। আলোচনার পর বীজ বিতরণের মধ্যদিয়ে কর্মশালাটি শেষ হয়।এআই
    লালমনিরহাটে চাঁদার জন্য বাস বন্ধের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ
    লালমনিরহাট জেলা বাস মালিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজা বসুনিয়া গং কতৃক চাঁদার জন্য বাস বন্ধের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ও জেলা পুলিশ সুপার, জেলা প্রশাসক এবং সেনা ক্যাম্প বরাবর লিখিত অভিযোগ প্রদান করছে ভুক্তভোগীরা।বুধবার (২০ নভেম্বর) বিকেলে জেলার মিশন মোড় চত্ত্বরে লালমনিরহাট জেলা বৈষম্য বিরোধী জনগণের ব্যানারে প্রায় ঘন্টা ব্যাপী লালমনিরহাট জেলা বাস মালিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজা বসুনিয়া গং কতৃক চাঁদার জন্য বাস বন্ধের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ বক্তব্য রাখেন, এমপি ট্রাভেলস্ এর  পরিবহনের পরিচালক মফিজুর রহমান বাবু।তিনি বক্তব্যে বলেন, লালমনিরহাট জেলা বাস মালিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজা বসুনিয়া গং চাঁদার টাকা না দেওয়া এমপি ট্রাভেলস্, মামুন এক্সপ্রেসসহ কয়েকটি বাস চলাচল বন্ধ করে দেন। এসময় তিনি জেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রেজা বসুনিয়াকে গ্রফতারের দাবি জানিয়ে বলেন আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে বন্ধকৃত বাস চলাচল করতে নাদেওয়া হলে কঠোর কর্মসুচি ঘোষণা করা হবে।এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন রুহুল আমিন বাবু,  মামুন  ট্রাভেলস ম্যনেজার প্রমুখ। বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে, এমপি ট্রাভেলসের পরিচালক মুস্তাফিজুর রহমান বাবু স্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগ  তিন দফতর বরাবর প্রদান করা হয়।অভিযোগ উল্লেখ করা হয়, লালমনিরহাট জেলার দীর্ঘ ১৬/১৭ বৎসর থেকে এমপি ট্রাভেলস, মামুন এক্সপ্রেস সহ অনেক বাস পাটগ্রাম হইতে ফেনী চট্টগ্রাম রুটে সুনামের সহিত চলাচল করিয়া আসিতেছে। অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি বাস মালিক সমিতির ভারঃ সাধারণ সম্পাদক রেজা বসুনিয়া গং প্রতিদিন প্রায় ৬০/৬২ টি বাস হইতে দৈনিক তিনশত টাকা হারে চাঁদা আদায় করিয়া আসিতেছে। রুটে চলাচল করিলে তাদেরকে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে হইবে। চাঁদা না দিলে বাস চলিতে দিবেনা। চাঁদার ৫ লক্ষ টাকা না দেওয়ায় এমপি ট্রাভেলস, মামুন এক্সপ্রেস সহ অনেক কয়টি বাস গত ১৫ নভেম্বর ২০২৪ ইং তারিখ হইতে পাটগ্রাম বাসস্ট্যান্ডে আটকিয়ে রেখেছে। বার বার মালিক সমিতিকে অবগত করিয়াও কোন সমাধান পাই নাই। চাঁদাবাজ রেজা বসুনিয়া ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা বিভিন্ন কাউন্টারে হুমকি ধামকি দিয়া আসিতেছে। প্রাণ নাশের হুমকী দিয়া আসিতেছে। আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগিতেছি। চাঁদাবাজ রেজা গং দের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, চাঁদাবাজি বন্ধ, বন্ধ করে দেয়া বাসগুলো নির্বিঘ্নে চলাচল করিতে ব্যবস্থা করার দাবি জানান।পিএম
    'আ. লীগ যখন ক্ষমতায় আসে তখন তারা ফ্যাসিস্ট রুপ ধারণ করে'
    সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে তখন তারা ফ্যাসিস্ট রুপ ধারণ করে। আওয়ামী লীগের যে দুঃশাসন ছিল সেটা ১৭ বছরের দুঃশাসন নয়। তারা যখন ক্ষমতায় আসে তখন মানুষের গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারকে হরণ করে। তারা দেশের ধন সম্পদ লুটপাট করে বিদেশে পাচার করে। তাদের শাসনানামলে সংবাদপত্রকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল এমন বাংলাদেশতো চাইনি। বুধবার (২০ নভেম্বর) বেলা ১১টায় উলিপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষে অনুষ্ঠিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।আমীর খসরু আরও বলেন, গত ১৭ বছর আমরা বাড়িতে ঘুমাতে পারিনি। আমাদের নেতাকর্মীরা প্রতিনিয়ত গুম ও খুনের শিকার হয়েছে। ৬০ লাখের অধিক নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। জীবনের অধিক সময় কেটেছে কোর্টের বারান্দায়-বারান্দায়।তিনি আরো বলেন, আমাদের প্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বিনা কারণে ছয় বছর জেলে বন্দি রাখা হয়েছিল। আমাদের প্রিয় নেতা তারেক রহমানকে বিনা কারণে দেশান্তর করা হয়েছে। আগামী দিনে বিএনপিকে জনগণ যদি রায় দেয়, সেই রায়ের ভিত্তিতে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জাতীয় সরকার গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন। সেই সরকার ৩১দফা বাস্তবায়ন করবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।এ সময় উপজেলা বিএনপির সভাপতি হায়দার আলী মিঞার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপি রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবীব দুলু, বিএনপি চেয়ারপার্সনের ফরেন এ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজারি কমিটির সদস্য এবং জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি তাসভীর উল ইসলাম। উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমান বুলবুলের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সোহেল হোসাইন কায়কোবাদ, উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুর রশিদ, জেলা যুবদলের সভাপতি রায়হানুল কবিব, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আমিমুল ইহছান, সাধারণ সম্পাদক হাসান যোবায়ের হিমেল, জেলা মহিলা দলের সভাপতি রেশমা বেগম প্রমুখ।এছাড়াও এই জনসভায় জেলা ও উপজেলা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলসহ সকল সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।এআই
    ঠাকুরগাঁও ক্রিকেট একাডেমিতে শাইন মার্টের ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ
    ঠাকুরগাঁও ক্রিকেট একাডেমীতে নিরাপদ খাদ্যপণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান শাইন মার্টের সৌজন্যে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাব হলরুমে ক্রিকেট একাডেমির কর্মকর্তা ও খেলোয়াড়দের মাঝে সামগ্রী তোলে দেওয়া হয়। এসময় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ঠাকুরগাঁও জেলা ক্রিকেট কোচ রোকুনজ্জামান রাহাতের টাউন ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন জুলু, আম্পায়ার এন্ড স্কোরাস এসোসিয়েশনের সভাপতি আরিফ হোসেন, সহ-সভাপতি আশিকুর রহমান রিজভীসহ একাডেমীর খেলোয়াড় ও তাদের অভিভাবকেরা উপস্থিত ছিলেন। শাইন মার্টের স্বত্বাধিকারী শাহিনুর ইসলাম শাহিন বলেন, আমি ক্রিকেট অনুশীলন করতাম। ছোটবেলা থেকে ক্রিকেটের সাথে সম্পর্ক রয়েছে৷ স্বপ্ন ছিল কোন একসময় খেলোয়াড়দের উপহার দেব। সেই ধারাবাহিকতায় শাইন মার্টের পক্ষ থেকে আজকে এই উপহার। ঢাকায় থেকে চা বিক্রি, বাসের কন্ডাকটর সহ সব ধরনের কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। সেই জায়গা থেকে শাইন মার্টের আজকের অবস্থান। আমার স্বপ্ন মার্টের হয়ে একদিন অনেক মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। সকলে আমাদের জন্য দোয়া করবেন ও পাশে থাকবেন৷ এআই
    উলিপুরে আকস্মিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক
    কুড়িগ্রামের উলিপুরে আকস্মিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানা। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে উলিপুর মহারাণী স্বর্ণময়ী স্কুল এন্ড কলেজ ও উলিপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন তিনি।এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আতাউর রহমান, ভারপ্রাপ্ত উপজেলা শিক্ষা অফিসার নার্গিস ফাতেমা তোকদার, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার ফরহাদ হোসেন খন্দকার প্রমুখ। জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানা শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, শিক্ষার্থীদের নৈতিক শিক্ষা দিতে হবে। তিনি শিক্ষার মান উন্নয়নে দিক নির্দেশনা মূলক পরামর্শ প্রদান করেন।এমআর
    তিন দিনের রিমান্ডে বেরোবির সাবেক প্রক্টর
    কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে নিহত শহীদ আবু সাঈদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার শরিফুল ইসলামের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আসামি শরিফুল ইসলাম বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ছিলেন। মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কড়া নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে রংপুর চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সাবেক এই প্রক্টরকে নেওয়া হয়। সেখানে পিবিআইয়ের পক্ষ থেকে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হলে বিচারক আসাদুজ্জামান শুনানি শেষে তিন দিন মঞ্জুর করেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপার জাকির হোসেন।এর আগে সোমবার (১৮ নভেম্বর) রাতে পিবিআই পুলিশ শরিফুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ডেকে নিয়ে যান এবং জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তার বিরুদ্ধে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে পুলিশকে গুলি করতে নির্দেশনা দেওয়ার অভিযোগ আছে। এর আগে এই মামলায় মহানগর পুলিশের এএসআই আমীর আলী ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়কে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।গত ১৬ জুলাই দুপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর গেটের সামনে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশের গুলিতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র আবু সাঈদ নিহত হন।প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন যখন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ছিল, সেই সময় ১৬ জুলাই দুপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পার্ক মোড়ে গুলিবিদ্ধ হন আবু সাঈদ। ২৫ বছর বয়সী আবু সাঈদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে নিরস্ত্র আবু সাঈদের গুলিবিদ্ধ হওয়ার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে সারা দেশে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে সোচ্চার হাজারো মানুষ। গতিশীল হয় কোটা সংস্কার আন্দোলন। ওই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মুখে ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের প্রায় ১৬ বছরের শাসনের অবসান ঘটে।এমআর
    জয়পুরহাটে ট্রাকের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিহত ১
    জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে ট্রাকের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আফতাব হোসেন (৬২) নামে এক পথচারী নিহত হয়েছেন। নিহত আফতাব হোসেন উপজেলার নওদা এলাকার মোহাম্মদ আলী মন্ডলের ছেলে।বুধবার (২০ নভেম্বর) দুপুর ৩টায় হিলি-পাঁচবিবি সড়কের উপজেলার দরগাপারা মোরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এঘটনায় দুলু মিয়া (৪৮) নামে একজন দোকানদার গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান। বিষয়টি নিশ্চিত করে পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাওসার আলী জানান, দুর্ঘটনার খবর পয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে। তবে এ ঘটনায় ট্রাকের ড্রাইভার আটক রয়েছে বলে জানান তিনি।এআই
    জয়পুরহাটে জব ফেয়ারের মাধ্যমে প্রবাসী কর্মী নির্বাচন
    জয়পুরহাটে সরকারিভাবে বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিষয়ক অবহিতকরণ কর্মশালা ও জব ফেয়ার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২০ নভেম্বর) সকালে জয়পুরহাট কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এই কর্মশালা এবং জব ফেয়ারের আয়োজন করা হয়।অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক আফরোজা আক্‌তার চৌধুরী'র সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিঃ (বোয়েসেল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) শওকত আলী, জয়পুরহাট কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এর অধ্যক্ষ এ.এস.এম রেজাউল করিমসহ অন্যরা।বোয়েসেল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) শওকত আলী বলেন, বোয়াসেল নৈতিক নিরাপদ ও সাশ্রয়ী অভিবাসন নিশ্চিত করে। অন্যথায় অতিরিক্ত টাকা দিয়ে দালালের খপ্পরে কেউ আমরা প্রবাসে যাব না। এতে আর্থিক এবং জীবনের ঝুঁকি থাকে। কর্মশালায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ফেন্সি খাতুন, বুলি আক্তারসহ জেলার তিন শতাধিক বিদেশ গমনে ইচ্ছুক নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন।এআই 
    নওগাঁয় প্রকাশ্যে যুবককে কুপিয়ে হত্যা
    নওগাঁয় নজরুল ইসলাম (৩৫) নামে এক যুবককে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। জমি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে এই হত্যাকাণ্ড বলে জানিয়েছে পুলিশ।স্থানীয়রা জানান, বাড়ির পাশে একটি জমির সীমানা নিয়ে প্রতিবেশী মান্নানের সাথে নজরুলের দীর্ঘ দিনের দ্বন্দ্ব। বুধবার (২০ নভেম্বর) সকালে মান্নান নজরুলের রোপন করা কয়েকটি আমগাছ কাটলে এনিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে ঝগড়া বাধে। একপর্যায়ে মান্নান ধারালো ছুড়ি-বটি দিয়ে নজরুলকে কুপিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনার পর স্থানীয়রা আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে নজরুল মারা যায়।নিহত নজরুলের বোন আঞ্জুয়ারা অভিযোগ করে বলেন, দ্বান্দ্বের জেরে মান্নান ও তার পরিবারের লোকজন প্রায়ই নজরুলকে হত্যার হুমকি দিতো। সেই উদ্দেশ্য থেকে তারা পরিকল্পিত ভাবে ঝগড়ায় জড়িয়ে হত্যাকানণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ঘটনার দৃষ্টান্ত মূলক বিচার দাবি করেন তিনি।এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান, গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক আব্দুল মান্নান, নওগাঁ সদর থানার ওসি নূরে আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশ নিহতের মরদেহ হেফাজতে নিয়ে ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ আধুনিক হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। নওগাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান আরও জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কিছু আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। হত্যার ঘটনায় নওগাঁ সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হবে। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও আইনী পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দেন পুলিশ তিনি।এআই
    ভাঙ্গুড়ায় বিএনপির নবগঠিত কমিটিকে অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের শুভেচ্ছা
    পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা বিএনপির নবগঠিত আহবায়ক কমিটিকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো। উপজেলা বিএনপিকে আরও সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য নতুন নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।ভাঙ্গুড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নূর মোজাহিদ স্বপন আহবায়ক ও প্রভাষক জাফর ইকবাল হিরোককে সদস্য সচিব করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।উপজেলা বিএনপির নবগঠিত আহবায়ক কমিটিকে অভিনন্দন জানিয়ে তাৎক্ষণিক আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেন বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।জানা যায়, গত ১৪ নভেম্বর রাতে পাবনা জেলা বিএনপির আহবায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাকসুদুর রহমান মাসুদ খন্দকার সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই কমিটি অনুমোদন দেয়।আহবায়ক কমিটি অনুমোদনের পর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল, জিয়া মঞ্চ ও মহিলা দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতৃবৃন্দ লিখিত শুভেচ্ছা বার্তা জানিয়েছেন।উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি আখিরুজ্জামান মাসুম সময়ের কন্ঠস্বররকে বলেন, দুর্দিনের কর্মীরাই দলের মূলভিত্তি। বিএনপির নবগঠিত আহবায়ক কমিটি ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতাদের নিয়ে গঠিত হয়েছে।পিএম
    নাটোরে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১০
    নাটোরের বড়াইগ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দুপুর ও রাতে দু’দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের সদর হাসপাতাল ও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।বড়াইগ্রাম থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম জানান, তিন শতাংশ জমি নিয়ে কায়েমকোলা গ্রামের জোয়ারী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জুলহাস গ্রুপের সাথে পাশ্ববর্তী নওপাড়া গ্রামের বিএনপি সমর্থক দুলাল গ্রুপের লোকজনের বিরোধ চলে আসছিল। দুপুরে জমি সংক্রান্ত এই বিরোধ মিমাংসার জন্য নওপাড়া গ্রামে শালিস বসে। শালিসে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দুলাল গ্রুপের লোকজন জুলহাস গ্রুপের লোকজনের ওপর হামলা করে। এসময় জুলহাসের ৫ সমর্থক আহত হয়।এরই জের ধরে রাতে জুলহাসের লোকজন পুণরায় সংগঠিত হয়ে আহমেদপুর বাজারে আসলে পুনরায় দুইপক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। এতে দুলাল গ্রুপের ৫ জন আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ নিয়ে কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ দেয়নি।এআই
    রানীগঞ্জ অটোরিকশা চালক সুজিত হত্যার ঘটনায় ৩ আসামি গ্রেফতার
    সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের রানীগঞ্জ সেতুতে সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক সুজিত দাস হত্যার ঘটনার সাথে জড়িত ৩ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল ও শায়েস্তাগঞ্জ এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-র‍্যাব-৯ সদস্যরা। গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলেন-সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার শালদিঘা আনছার আলীর ছেলে আলী হায়দার (৩৬),হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার আব্দুল হাই এর ছেলে মো. শিবলু মিয়া (২০),হবিগঞ্জ সদরের নোহাটি গ্রামের মৃত তরমুজ আলীর ছেলে হাফিজুর রহমান (২৬)।র‍্যাব-৯র সহকারি পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মো. মশিহুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়েছেন গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে জগন্নাথপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।ক্লুলেস এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি পুলিশের পাশাপাশি ছায়া তদন্তে নেমে র‍্যাব-৯’র সুনামগঞ্জ ও শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্পের যৌথ অভিযানে ৩ আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এর পূর্বে গত শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাত ৯টায় সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুরের রানীগঞ্জ সেতু থেকে সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক সুজিত দাসের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় সোমবার (১৮ নভেম্বর) নিহতের ভাই সুবাস দাস বাদি হয়ে জগন্নাথপুর থানায় একটি হত্যা মামলা (নং-১১(১১)’২৪) দায়ের করেন। খোঁজ নিয়ে আরও জানা গেছে সুনামগঞ্জ জেলার রানীগঞ্জ বাজারের অটোস্ট্যান্ড থেকে প্রায় এক মাস ধরে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালিয়ে আসছিলেন সুজিত দাস। গত শনিবার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে অটোরিকশা নিয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সৈয়দপুরে যান। রাত আনুমানিক ৯টার দিকে স্থানীয়রা রানীগঞ্জ সেতুর উপর রক্তাক্ত অবস্থায় সুজিত দাসের গলাকাটা মরদেহ দেখতে পান। খবর পেয়ে রাতেই এলাকায় মানুষ ঘটনাস্থলে এসে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। স্থানীয়দের ধারণা সিএনজি চালিত অটোরিকশা ছিনতাই করতে দুর্বৃত্তরা তাকে গলা কেটে হত্যা করে। এমআর
    শায়েস্তাগঞ্জে গাঁজা সেবনের দায়ে ৩ জনকে কারাদণ্ড
    শায়েস্তাগঞ্জে গাঁজা সেবনের দায়ে ৩ জনের প্রত্যেককে ৩ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ টাকা করে জরিমানা প্রদান করা হয়েছে। সোমবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পল্লব হোম দাস শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে কলোনীতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ওই দন্ড প্রদান করেন। দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জেলার চুনারুঘাট উপজেলার শানখলার মো. ওয়াহেদ মিয়া (৪০), হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ফখিরাবাদের মোঃ কামাল মিয়া (৩০) ও বানিয়াচং উপজেলার গুনইয়ের মো. ইউনুছ আলী (৫৬)। এসময় হবিগঞ্জ মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এসব তথ্য নিশ্চিত করে ইউএনও পল্লব হোম দাস বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। এব্যাপারে কোন প্রকারের ছাড় দেওয়া হবে না।এআই
    চুনারুঘাটে পিস্তল উঁচিয়ে ‘ফাঁকা গুলি’ ছুড়লেন সাবেক এমপির মেজর ও এমপি রানা
    হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের খোয়াই বেইলি ব্রিজে নীলফামারী-৩ (জলঢাকা) আসনের সাবেক এমপি ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা রানা মোহাম্মদ সোহেলের (৫৮) গাড়ির ধাক্কায় এক মোটরসাইকেল আরোহী আহত হয়েছেন। এ সময় রানা মোহাম্মদ সোহেল ফাঁকাগুলি ছোড়েন। এতে ওই এলাকায় অতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।আহত ব্যক্তির নাম জিএম শাহিন। তাকে চুনারুঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আহত জিএম শাহিন সাটিয়াজুরী ইউনিয়নের উষাইনগর এলাকার মৃত ইউনুছ আলীর ছেলে।রোববার দুপুরে চুনারুঘাটের খোয়াই ব্রিজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানায়, পিস্তলসহ রানা মোহাম্মদ সোহেলকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।জানা যায়, দুপুরে সাবেক এমপি রানা মোহাম্মদ সোহেলের বহনকারী গাড়িটি শ্রীমঙ্গল থেকে সাতছড়ি যাওয়ার পথে চুনারুঘাট খোয়াই বেইলি ব্রিজে চলে আসলে যানজট সৃষ্টি হয়। এ সময় রানা মোহাম্মদ সোহেল গাড়িটি পেছানোর চেষ্টা করলে পেছনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি মোটরসাইকেলে ধাক্কা লাগে। এ নিয়ে মোটরসাইকেল আরোহীর সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় হয় রানা মোহাম্মদ সোহেলের। এক পর্যায়ে তিনি উত্তেজিত হয়ে সঙ্গে থাকা পিস্তল উঁচিয়ে ফাঁকা গুলি ছোড়েন। গুলির আওয়াজে বেইলি ব্রিজে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। মুহূর্তের মধ্যে ব্রিজে যানজট ও আশপাশ এলাকার মানুষ জড়ো হন। গোলাগুলি ও প্রতিপক্ষের সঙ্গে সংঘাতময় পরিস্থিতি এড়াতে স্থানীয়রা রানা মোহাম্মদ সোহেলকে ঘেড়াও করে আটকে রাখেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পাশাপাশি রানা মোহাম্মদ সোহেলকে থানায় আনা হয়।চুনারুঘাট থানার ওসি মোহম্মদ নজরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার বলেন, পিস্তলসহ রানা মোহাম্মদ সোহেলকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তার বাড়ি রংপুর জেলার কেরানীপাড়া এলাকায়।হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার রেজাউল হক খান জানান, সেনাবাহিনীর লোক হওয়ায় সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাকে তাদের হেফাজতে নিয়ে গেছেন। অপরদিকে, তার অস্ত্র চুনারুঘাট থানা পুলিশের মাধ্যমে জব্দ করা হয়েছে। তিনি কি কারণে গুলি ছুঁড়েছেন বিষয়টি তদন্ত করলে জানা যাবে।খবর পেয়ে শাহজিবাজার সেনা ক্যাম্পের ক্যাপটেন সামিউনের নেতৃত্বে একদল সেনা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পরিদর্শন শেষে ক্যাপটেন সামিউন বলেন, রানা মোহাম্মদ সোহেল সেনাবাহিনী থেকে অবসর গেছেন। অস্ত্রটি লাইসেন্সকৃত কিনা যাচাই বাছাই চলছে। পরবর্তীতে আমরা বিস্তারিত জানাবো। এমআর
    সুনামগঞ্জে মোটরসাইকেল-অটোরিকশা মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ২
    মোটরসাইকেল ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলায় মোটরসাইকেল চালক ও আরোহীর মৃত্যু হয়েছে।রবিবার (১৭ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১টায় উপজেলার বেহেলি ইউনিয়নের বেহেলি সড়কে রাজাপুর সেতুর কাছে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- উপজেলার বাঘানি গ্রামের জামাল মিয়ার ছেলে সোলেমান মিয়া ও বেহেলি আলীপুর গ্রামের সুকুর মামুদের ছেলে আশিক নূর (৪৫)।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার বেহেলি থেকে সাচনাবাজারে মোটরসাইকেল করে আশিকনূর ও সোলেমান আসার পথে রাজাপুর সেতুর কাছে মোটরসাইকেল ও অটোরিকশার মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। এতে গুরুতর আহত হন মোটরসাইকেল চালক ও যাত্রী। তাদের জামালগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।জামালগঞ্জ থানার ওসি স ম কামাল হোসেন জানিয়েছেন, স্বজনরা এসে প্রশাসনের অনুমতি সাপেক্ষে নিহতদের মরদেহ নিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় এখনো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এআই
    নবীগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মা-ছেলের মৃত্যু
    হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ পৌর এলাকায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মা-ছেলের মৃত্যু হয়েছে। এঘটনায় এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।সোমবার (১৮ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে নবীগঞ্জ পৌরসভার গয়াহরি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।মারা যাওয়া দুইজন হলেন- পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর প্রানেশ চন্দ্র দেবের মা-ভাই গয়াহরি গ্রামের দুর্গা চরণ দেবের স্ত্রী অনিমা চন্দ্র দেব (৭০) ও দুর্গা চরণ দেবের ছেলে নিপেশ চন্দ্র দেব (৪৫)।জানা যায়- সকালে গয়াহরি গ্রামের দুর্গা চরণ দেবের স্ত্রী অনিমা চন্দ্র দেব বসত ঘরের বাথরুমে গোসল করতে যান। বাথরুমের ভিতরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন অনিমা চন্দ্র দেব। এসময় অনিমা চন্দ্র দেবকে বাঁচাতে ছেলে নিপেশ চন্দ্র দেব এগিয়ে গেলে অনিমাকে স্পর্শ করা মাত্রই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন নিপেশ। পরে পরিবারের লোকজন মা-ছেলেকে উদ্ধার করে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে নবীগঞ্জ থানার এসআই পিযুষ কান্তি দেব হাসপাতালে গিয়ে লাশের সুরাতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন। এদিকে মা ছেলের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে গয়াহরি গ্রামসহ আশপাশ এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বিদ্যুৎম্পৃষ্ট হয়ে মা-ছেলের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।এআই 

    অনলাইন ভোট

    সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩২ বছর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আপনি কি এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেন?

    আন্তর্জাতিক

    সব দেখুন
    তোশাখানা মামলায় জামিন পেলেন ইমরান খান
    তোশাখানার দুই মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানকে জামিন দিয়েছেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট (আইএইচসি)। বুধবার আদালত তাঁর জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন। বিচারপতি মিয়াঙ্গুল হাসান আওরঙ্গজেব ১০ লাখ রুপি করে দুটি মুচলেকা প্রদানের শর্তে ইমরানের জামিন মঞ্জুর করেছেন। পিটিআই প্রতিষ্ঠাতাকে জামিনের পরে বিচারিক আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।বিচারক সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ইমরান বিচারের সময় আদালতকে সহযোগিতা না করলে জামিন বাতিল করা হতে পারে। ইমরান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবিকে ১৩ জুলাই ইদ্দত মামলায় বেকসুর খালাস দিয়েছিলেন আদালত। ওই দিনই নতুন তোশাখানা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। অবশ্য বুশরা বিবি গত মাসে আইএইচসি থেকে তোশাখানা মামলায় জামিন পেয়েছিলেন। তবে পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা গত বছরের ৫ আগস্ট একটি পৃথক তোশাখানা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে কারাগারে রয়েছেন।নতুন তোশাখানা মামলায় ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) ইমরান ও বুশরা বিবিকে এক বিদেশি নেতার উপহার দেওয়া একটি দামি গহনার সেট (গলার হার, কানের দুল, ব্রেসলেট ও আংটি) তোশাখানায় কম দাম দিয়ে নিজেদের কাছে রেখে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ এনেছে। সংস্থার মতে, এতে রাজকোষের উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়েছে।পাকিস্তানে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে দেশটির সামরিক বাহিনীর কমপক্ষে ১৮ সদস্য নিহত হয়েছেন। উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তান ও আফগানিস্তান সীমান্তবর্তী অঞ্চলে পৃথক হামলায় প্রাণহানির এ ঘটনা ঘটে।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানে একটি আত্মঘাতী হামলায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ১০ জন সেনা নিহত হয়েছেন বলে একটি গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে। এ হামলার এক দিনেরও কম সময় আগে হওয়া আরেকটি হামলায় আফগানিস্তান সীমান্তবর্তী অঞ্চলে আরও আটজন সৈন্য নিহত হয়েছেন। খবর ডন ও সামা নিউজের। এফএস
    হিজবুল্লাহর সঙ্গে সংঘর্ষে ১১,৬০ ইসরাইলি সেনা হতাহত
    লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, দক্ষিণ লেবাননে গত ১ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষে ১,১৬০ জন ইসরাইলি সেনা হতাহত হয়েছেন।বুধবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, চলমান লড়াইয়ে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।হিজবুল্লাহর অপারেশন রুমের তথ্য অনুযায়ী, গত ১ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত তাদের যোদ্ধাদের সঙ্গে সংঘর্ষে ১১০ জন ইসরাইলি সেনা নিহত এবং ১,০৫০ জন আহত হয়েছে।একই সময়ে দখলদার বাহিনীর ৪৮টি মেরকাভা ট্যাংক, ৯টি সামরিক বুলডোজার, ২টি হামার গাড়ি, ২টি সাঁজোয়া যান এবং ২টি সৈন্যবাহী যান ধ্বংস করেছে হিজবুল্লাহ।এছাড়াও ৬টি ‘হারমেস ৪৫০’ ড্রোন, ২টি ‘হারমেস ৯০০‘ ড্রোন এবং ১টি ‘কোয়াডকপ্টার‘ গ্লাইডার ধ্বংস করা হয়েছে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।এদিকে লেবাননে ইসরাইলি হামলায় এ পর্যন্ত অন্তত ৩,৫৪৪ জন লেবানিজ নিহত এবং ১৫,০৩৬ জন আহত হয়েছেন। দক্ষিণ লেবানন অঞ্চলে ইসরাইলি বাহিনী এবং হিজবুল্লাহর মধ্যে চলমান সংঘর্ষে ব্যাপক প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বেসামরিক জনগণ এই হামলার প্রধান শিকার। যেখানে বসতবাড়ি, হাসপাতাল এবং মৌলিক পরিষেবাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।এই সংঘাতের ফলে লেবাননের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়েছে। বহু মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে এবং মানবিক সহায়তার জন্য জরুরি আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে।আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই সহিংসতা বন্ধ করতে তৎপর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। তবে ইসরাইলি আগ্রাসন বন্ধের কোনো কার্যকর পদক্ষেপ এখনো নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করছে লেবাননের মানবাধিকার সংস্থাগুলো। সূত্র: মেহের নিউজ এজেন্সিএসএফ 
    যুক্তরাষ্ট্র সামরিক সহায়তা কমিয়ে দিলে হেরে যাব: জেলেনস্কি
    টানা আড়াই বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে এই সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে পূর্ব ইউরোপের এই দেশটিকে সহায়তা করে আসছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের একাধিক দেশ।বিশেষ করে অস্ত্র দেওয়ার পাশাপাশি দেশটিকে ব্যাপকভাবে সামরিক তহবিলও জুগিয়ে এসেছে ওয়াশিংটন। তবে পরিস্থিতি এখন ভিন্ন। ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর ধারণা করা হচ্ছে তিনি হয়তো ইউক্রেনের জন্য সহায়তা কমাবেন।এমন অবস্থায় যুদ্ধে পরাজয়ের শঙ্কা ব্যক্ত করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা কমিয়ে দিলে “আমরা হেরে যাব”। বুধবার (২০ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র কিয়েভকে সামরিক তহবিল কমিয়ে দিলে ইউক্রেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে “হারবে” বলে মঙ্গলবার ফক্স নিউজকে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। মার্কিন এই টেলিভিশন নেটওয়ার্ককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “যদি তারা সহায়তায় কাট-ছাট করে, তাহলে আমরা— আমি মনে করি, আমরা হারব।”ইউক্রেনীয় এই প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, “আমরা লড়াই করব। আমাদের নিজস্ব উৎপাদন আছে, কিন্তু তা যুদ্ধে জয় পাওয়ার জন্য যথেষ্ট নয়। এবং আমি মনে করি এটি (লড়াইয়ে) টিকে থাকার জন্যও যথেষ্ট নয়।”এএফপি বলছে, ২০২২ সালে রাশিয়ান আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে ইউক্রেনকে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন যে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার অর্থ ও সামরিক সহায়তা দিয়েছে তার একজন কট্টর সমালোচক হচ্ছেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।নির্বাচনী প্রচারণার সময় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বারবারই যুদ্ধ দ্রুত শেষ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু কীভাবে তিনি তা করবেন তার বিশদ বিবরণ তিনি দেননি। সম্প্রতি রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলার জন্য ইউক্রেনকে মার্কিন সরবরাহকৃত দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। তবে এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছে ট্রাম্পের মিত্ররা। এমনকি ইউক্রেন যুদ্ধের উত্তেজনা বিপজ্জনকভাবে বাড়িয়ে দেওয়ার জন্যও তারা বাইডেনকে অভিযুক্ত করেছেন।এমন অবস্থায় প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি তার সাক্ষাৎকারে ফক্স নিউজকে বলেন, ইউক্রেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে “ঐক্য” “সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ”। তিনি দাবি করেন, ট্রাম্প এই যুদ্ধ শেষ করার জন্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে প্রভাবিত করতে পারেন, “কারণ তিনি পুতিনের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী”।তিনি আরও বলেন, পুতিন “রাজি হতে পারেন এবং এই যুদ্ধের অবসান ঘটাতে পারেন, তবে এটি যুক্তরাষ্ট্রের ওপর অনেক বেশি নির্ভর করছে। কারণ পুতিন যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে দুর্বল।”প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সর্বাত্মক হামলা শুরু করে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী। এরপর থেকে পূর্ব ইউরোপের এই দেশটিতে প্রায় ১২ হাজার বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। আড়াই বছর ধরে চলা এই যুদ্ধে ইউক্রেনের দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, খেরসন ও জাপোরিঝিয়া— চারটি প্রদেশের আংশিক দখল নিয়েছে রুশ বাহিনী।এই চার প্রদেশের রাশিয়ার দখলে যাওয়া অংশের সম্মিলিত আয়তন ইউক্রেনের মোট ভূখণ্ডের এক-পঞ্চমাংশ। এছাড়া গত শুক্রবার রাশিয়ান বাহিনী পূর্বাঞ্চলের রণাঙ্গনেও অগ্রগতি অর্জন করেছে।এবি 
    আবারও ভারতে ১৫ বাংলাদেশি আটক
    ভারতে ১৫ জন বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছে। এরমধ্যে দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামে আটক করা হয়েছে ৯ জনকে। অবৈধ প্রবেশের অভিযোগে আটক ওই ৯ জনকে অবশ্য পরে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।অন্যদিকে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কর্ণাটকে আটক হয়েছেন আরও ৬ বাংলাদেশি। বুধবার (২০ নভেম্বর) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া ও হিন্দুস্তান টাইমস।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের অভিযোগে মঙ্গলবার আসামের করিমগঞ্জ জেলায় ৯ বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছে।আটককৃতরা হলেন— মো. মামুন, আবু নাইম, রাশেদ ইসলাম, মুরাদ আলী মন্ডল, মো. আশরাফুল হক, মো. বসির হাওলাদার, মো. রবিউল হাওলাদার, মো. মহাবত আলী ও মো. মহিম হোসেন। পরে তাদেরকে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়।এদিকে এই অভিযানের প্রশংসা করেছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেছেন: “আজ আসাম পুলিশ করিমগঞ্জে ৯ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে শনাক্ত করেছে ও গ্রেপ্তার করেছে এবং পরে তাদেরকে সীমান্তের ওপারে পাঠিয়ে দিয়েছে।”অন্যদিকে কর্ণাটকের চিত্রদুর্গায় জাল কাগজপত্রসহ আটক হয়েছেন ৬ বাংলাদেশি। ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ বি দিনাকর জানিয়েছেন, বাংলাদেশি নাগরিক বলে সন্দেহ হওয়ায় অভিযানে ১৫ জনকে আটক করা হয়েছিল। তবে জিজ্ঞাসাবাদের সময় জানা যায়, আটককৃত ১৫ জনের মধ্যে ছয়জন জাল নথি ব্যবহার করে ভারতে বসবাস এবং কাজ করছেন।”তিনি আরও বলেন: “আমরা কলকাতায় তাদের জাল আধার কার্ড, ভোটার আইডি, লেবার কার্ড এমনকি ব্যাংক অ্যাকাউন্টও খুঁজে পেয়েছি। তারা এই জাল পরিচয়ে বিভিন্ন রাজ্যে কাজ করে আসছিল। আমরা সোমবার চিত্রদুর্গা জেলায় তাদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করেছি।”অভিযুক্তরা হলেন— শেখ সাইফুর রহমান, মুহাম্মদ সুমন আলী, মাজহারুল, আজিজুল শেখ, মুহাম্মদ সাকিব সিকদার এবং সানোয়ার হোসেন। তাদের সবার বয়স ২২ থেকে ২৯ বছরের মধ্যে।ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ বি দিনাকর আরও বলেন, ভারতে বসতি স্থাপনের উদ্দেশ্যে তারা বেশ কয়েক বছর আগে পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন।এবি 
    পাকিস্তানে পৃথক সন্ত্রাসী হামলায় ১৮ সেনাসদস্য নিহত
    পাকিস্তানে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে দেশটির সামরিক বাহিনীর কমপক্ষে ১৮ সদস্য নিহত হয়েছেন। উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তান ও আফগানিস্তান সীমান্তবর্তী অঞ্চলে পৃথক হামলায় প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে।বুধবার (২০ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানে একটি আত্মঘাতী হামলায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ১০ জন সৈন্য নিহত হয়েছেন বলে একটি গোয়েন্দা সূত্র বার্তাসংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে। এই হামলার এক দিনেরও কম আগে হওয়া আরেকটি হামলায় আফগানিস্তান সীমান্তবর্তী অঞ্চলে আরও আটজন সৈন্য নিহত হয়েছেন।বান্নুর সর্বশেষ হামলার বিষয়ে একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেছেন, “একজন সন্দেহভাজন আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী চেকপয়েন্টের কাছে এসে একটি বিস্ফোরক বোঝাই গাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটায়, তারপরে তার সহযোগীরা গুলিবর্ষণ শুরু করে। সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী, হামলায় ১০ জন নিহত এবং আরও সাতজন আহত হয়েছেন।”ওই কর্মকর্তা আরও বলেছেন, বিস্ফোরণ ও হামলার এই ঘটনা মালি খেল চেকপয়েন্টের অবকাঠামোর পাশাপাশি সামরিক যানের “উল্লেখযোগ্য ক্ষতি” করেছে। হাফিজ গুল বাহাদুর সশস্ত্র গোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করেছে।এদিকে খাইবার-পাখতুনখাওয়া প্রদেশে আরেকটি হামলার ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে মঙ্গলবার এই বোমা হামলার ঘটনাটি ঘটেছে বলে অন্য একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন।পাকিস্তান সংবাদমাধ্যম দ্য ডন বলছে, যদিও পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মিডিয়া উইং ইন্টার-সার্ভিস পাবলিক রিলেশনস (আইএসপিআর) আনুষ্ঠানিকভাবে মৃতের সংখ্যা নিশ্চিত করেনি, তবে সরকারি সূত্র জানিয়েছে, খাইবার পাখতুখাওয়ার তিরাহ উপত্যকায় জঙ্গিদের সাথে ভয়ঙ্কর বন্দুকযুদ্ধে কমপক্ষে আট নিরাপত্তা কর্মী নিহত এবং আরও তিনজন আহত হয়েছেন।বার্তাসংস্থা এএফপি মঙ্গলবার জানিয়েছে, বন্দুকযুদ্ধে ৯ জন জঙ্গিও নিহত হয়েছে। বাগ-ময়দান মারকাজের কাছে সশস্ত্র বন্দুকধারীরা একটি সামরিক ক্যাম্পে হামলা চালানোর পর সেখানে সংঘর্ষ শুরু হয়েছিল।অন্যদিকে গত সোমবার আহমেদজাই মহকুমার রোচা পোস্ট থেকে অপহৃত হওয়া সাতজন পুলিশকে স্থানীয় উপজাতীয় প্রবীণদের সহায়তায় সফল আলোচনার পর নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম বলছে, উপজাতীয় প্রবীণদের সমন্বয়ে গঠিত একটি দল অজ্ঞাত স্থানে সশস্ত্র অপহরণকারীদের সাথে আলোচনা করে। আলোচনা সফলভাবে সমাপ্ত হয় এবং এর ফলে পুলিশদের নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়া হয়।জেলা পুলিশ কর্মকর্তা জিয়াউদ্দিন আহমেদ বলেন, কোনো মুক্তিপণ বা শর্ত ছাড়াই পুলিশ সদস্যদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানে উপজাতীয় প্রবীণরা মুখ্য ভূমিকা পালন করেন।এবি 
    ধর্ষণের অভিযোগে নরওয়ের ক্রাউন প্রিন্সেসের ছেলে গ্রেফতার
    নরওয়ের ক্রাউন প্রিন্সেসের ছেলে মারিয়াস বোর্গ হোইবিকে (২৭) ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন নিউজ এ তথ্য জানায়।প্রতিবেদনে বলা হয়, যুবরাজ হাকন ও মেট-মারিট ২০০১ সালে বিয়ে করেন। এই দম্পতির ছেলে মারিয়াস বোর্গ হোইবি। মারিয়াস বোর্গ হোইবিকে স্থানীয় সময় গত সোমবার রাতে গ্রেফতার করা হয়। তার আইনজীবী অয়ভিন্ড ব্রাটরিয়েন নরওয়ের সরকারি গণমাধ্যম এনআরকে-কে জানান, বোর্গ হোইবি ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।নরওয়ের পুলিশ জানিয়েছে, মারিয়াস বোর্গ হোইবিকে ফৌজদারি বিধি লঙ্ঘন করার অপরাধে গ্রেফতার করা হয়। তিনি এমন একজনের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন, যিনি অচেতন বা অন্য কোনো কারণে নিজেকে রক্ষা করতে অক্ষম ছিলেন।পুলিশ আরও জানিয়েছে, তিনি এমন ধরনের যৌন আচরণ করেছেন যেখানে ভুক্তভোগী নারীর সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক ছিল না। ওই ভুক্তভোগী তরুণী অভিযোগ করেন, তিনি নিজেকে রক্ষা করবেন এমন কোন পরিস্থিতি সেখানে ছিল না।২০ বছর বয়সী ভুক্তভোগী তরুণীর আইনজীবী হেগে সোলোমন সিএনএনকে জানান, বোর্গ হোইবির সঙ্গে আগে কখনোই তার দেখা হয়নি। ঘটনার দিনই তাঁদের প্রথম দেখা হয়। এর আগে তারা কেউ কাউকে চিনতেন না।এবি 
    সেনাবাহিনী দিয়ে অবৈধ অভিবাসী তাড়াবেন ট্রাম্প
    সামরিক বাহিনী দিয়ে অবৈধ অভিবাসী তাড়ানোর পরিকল্পনা করেছেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ে জাতীয় জরুরি পরিস্থিতি জারি করার পাশাপাশি অবৈধ অভিবাসীদের তাড়াতে সামরিক বাহিনীকে ব্যবহার করার কথা জানিয়েছেন তিনি। সোমবার দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বতর্মান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আমলে মেক্সিকোর সীমান্ত পেরিয়ে রেকর্ডসংখ্যক অভিবাসী যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছেন। এ নিয়ে অনেক আগে থেকে চটে ছিলেন ট্রাম্প। সীমান্ত পেরোনো ঠেকাতে নিজের প্রথম মেয়াদে মেক্সিকো সীমান্তে প্রাচীর নির্মাণের কাজও শুরু করেছিলেন। এবারের নির্বাচনে তার অন্যতম প্রধান প্রতিশ্রুতি ছিল যুক্তরাষ্ট্রকে অবৈধ অভিবাসীমুক্ত করা।ট্রাম্পের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে রক্ষণশীল একজন অধিকারকর্মী লিখেছিলেন, অবৈধ অভিবাসীদের বিতাড়িত করার প্রকল্পে বাইডেন হস্তক্ষেপ করেছিলেন। তা আবার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে জাতীয় জরুরি পরিস্থিতি জারি ও সামরিক সরঞ্জাম ব্যবহারের প্রস্তুতি নিয়েছেন ট্রাম্প। পরে ওই পোস্ট শেয়ার করে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘সত্যি।’সরকারি তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ অবৈধ অভিবাসী বসবাস করছে। ট্রাম্পের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে তা অন্তত ২ কোটি পরিবারের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।ট্রাম্প আগামী ২০ জানুয়ারি হোয়াইট হাউজে শপথ গ্রহণ করবেন। তার আগেই নতুন প্রশাসন সাজানোর কাজে মনোযোগ দিয়েছেন তিনি। অভিবাসন বিষয়ে কট্টরপন্থি টম হোম্যানকে সীমান্ত নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব দিয়েছেন। এছাড়া সোমবার ট্রাম্প তার পরিবহণমন্ত্রী হিসাবে উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যের সাবেক প্রতিনিধি ও ফক্স বিজনেস নিউজের সঞ্চালক শন ডাফিকে মনোনীত করেছেন।রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরিবহণমন্ত্রী হিসাবে শন ডাফি যুক্তরাষ্ট্রের উড়োজাহাজ, গাড়ি, রেল, ট্রানজিট ও অন্যান্য পরিবহণ সংক্রান্ত বিষয় দেখভালের দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া ট্রাম্প সরকারের সব বড় অবকাঠামো নির্মাণ, হালনাগাদকরণ ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকবেন ডাফি।ট্রাম্পের ঘোষণার পর মার্কিন জনগণের উদ্দেশে শন ডাফি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে লেখেন, ‘আপনাদেরকে আমি পরিবহণ খাতের সোনালি যুগে নিয়ে যেতে খুবই আগ্রহী।’ তবে বিশ্লেষকদের মতে, ডাফির সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর উচ্চহার কমিয়ে ফেলা।এসএফ 
    গাজার প্রায় ১০০ ত্রাণের লরি লুট
    ইসরাইলের আগ্রাসনে ভয়াবহ সংকটে বিপর্যস্ত গাজা। এদিকে প্রাণের ভয়, অন্যদিকে মৌলিখ চাহিদার অভাবে বেঁচে থাকার যুদ্ধ। দুঃসহ এমন পরিস্থিতিতেও গাজার ত্রাণের লরিতে হয়েছে লুট। জাতিসংঘের পাঠানো ত্রাণবাহী ১০৯টি লরিতে লুটপাট চালানো হয়েছে। জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে কারা এই লুটপাটের সঙ্গে জড়িত তা জানা সম্ভব হয়নি। আরব নিউজ। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে ইসরাইল নিয়ন্ত্রিত কেরেম শালম ক্রসিং দিয়ে লরিগুলো পার হওয়ার সময় এ লুটপাটের ঘটনা ঘটে। ৯৭টি লরি লুট করে নিয়ে যাওয়া হয়। চালকদের বন্দুকের ভয় দেখিয়ে লরিতে থাকা ত্রাণগুলো খালি করে দুর্বৃত্তরা। ইউএনআরডব্লিউএর কমিশনার জেনারেল ফিলিপ লাজারিনি জানান, গাজার আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। এ অবস্থায় সেখানে ত্রাণ সরবরাহ কার্যক্রম পরিচালনা করা খুবই কষ্টকর। এ বিষয়ে ইসরাইলের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মুখোশপরা একদল মানুষ গ্রেনেড ছুড়ে ত্রাণের লরি বহরে হামলা চালায়। এ ব্যাপারে গাজায় হামাস পরিচালিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, তাদের নিরাপত্তাকর্মীরা অপরাধী দলের ২০ জনের বেশি সদস্যকে হত্যা করেছে। ইউএনঅঅরডব্লিউএ জানিয়েছে, গাজার ২০ লাখ মানুষ মানবিক ত্রাণের ওপর নির্ভর করে বেঁচে আছে। এ নিয়ে এখনই হস্তক্ষেপ না করলে সেখানে খাদ্য সংকট আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। শনিবার ত্রাণের লরি লুটের ঘটনা নিয়ে প্রথম খবর প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স। গাজায় ইউএনআরডব্লিউএর একজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্স বলেছিল, ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি করে কেরেম শালম থেকে ত্রাণের লরির ওই বহরটিকে ‘অচেনা একটি রাস্তা দিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল’।জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে ইউএনআরডব্লিউএর কমিশনার জেনারেল ফিলিপ লাজারিনি জানান, গাজায় আমাদের লোকজন ছিল যারা ত্রাণের বহর পাহারা দিয়ে নিয়ে যেত। এখন সেই ব্যবস্থা একেবারেই নেই। এর অর্থ গাজার দক্ষিণাঞ্চলে আমরা এমন একটি পরিবেশে আছি, যেখানে স্থানীয় অপরাধী দল, স্থানীয় পরিবারগুলো যে কোনো ব্যবসা বা যে কোনো কর্মকাণ্ডের দখল পেতে পরস্পরের সঙ্গে লড়াই করছে। সেখানে এমন পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে যে (ত্রাণ) কার্যক্রম পরিচালনা করা অসম্ভব।’ গাজার দক্ষিণের নগর খান ইউনিসে খাবারের খোঁজে মরিয়া একদল মানুষ ইউএনআরডব্লিউ পরিচালিত একটি কারিগরি কেন্দ্রে তাণ্ডব চালানোর চেষ্টা করে বলেও জানান এই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, তারা ভেবেছিল সেখানে ত্রাণ রাখা হয়েছে। কিন্তু ত্রাণের লরি বহরে আগেই লুটপাট হয়েছে। কারিগরি কেন্দ্রের গুদামগুলোতে তাই নেওয়ার মতো কিছুই ছিল না।এসএফ 
    যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়াতে হামলা চালাল ইউক্রেন
    যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইউক্রেন প্রথমবারের মতো রাশিয়ার ভূখণ্ডে হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) ভোরে চালানো এই হামলায় পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করা হয়েছে এবং আরেকটি ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষ পড়ে একটি সামরিক স্থাপনায় আগুন ধরে যায়।রাশিয়া জানায়, স্থানীয় সময় ভোর ৩টা ২৫ মিনিটে এই হামলা চালানো হয়। আগুন দ্রুত নেভানো হয়েছে। তবে এই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি।এদিকে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা রাশিয়ার ব্রিয়ানস্ক এলাকায় একটি গোলাবারুদের গুদামে হামলা চালিয়েছে। তবে এই হামলায় আর্মি ট্যাকটিক্যাল মিসাইল সিস্টেম (এটিএসিএমএস) ব্যবহার করা হয়েছে কি না সেটা তারা নিশ্চিত করেনি। সীমান্ত থেকে ১০০ কিলোমিটারের মতো দূরে কারাচেভ শহরের কাছে একটি ডিপোতে হামলা হয়েছে।যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে এ ধরনের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়ার ভূখণ্ডে হামলার অনুমতি দেওয়ার পরপরই এই ঘটনা ঘটলো। এর আগে, গত সোমবার রাশিয়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিল, ইউক্রেন এমন কোনো আক্রমণ চালালে তারা উপযুক্ত এবং কঠোর জবাব দেবে।এদিকে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নতুন পারমাণবিক নীতিমালা অনুমোদন করেছেন। এতে বলা হয়েছে, কোনো অ-পরমাণবিক রাষ্ট্র যদি রাশিয়ার বিরুদ্ধে আক্রমণ চালায় এবং তাতে কোনো পারমাণবিক শক্তিধর দেশের সমর্থন পায়, তবে সেটি যৌথ আক্রমণ হিসেবে বিবেচিত হবে। এমন পরিস্থিতিতে ওই দেশটিতে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করে হামলা চালাতে পারবে রাশিয়া।এসএফ 
    সৌদিতে কাবার আদলে তৈরি মঞ্চে নাচ-গান, বিশ্বজুড়ে সমালোচনার ঝড়
    পবিত্র কাবার আদলে তৈরি হয়েছে স্টেজ আর সেই স্টেজে নাচ-গান করছেন জনপ্রিয় শিল্পী জেনেফার লোপেজ ও সেলিন ডিওন! এমন কিছু ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সম্প্রতি সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে একটি ফ্যাশন শোতে দেখা গেছে এমন দৃশ্য। এর পর থেকেই বিশ্বজুড়ে শুরু হয়েছে সমালোচনার ঝড়!১৩ নভেম্বর রিয়াদে লেবাননের তারকা ফ্যাশন ডিজাইনার এলি সাবের ক্যারিয়ারের ৪৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজন করা হয় এক বিশেষ অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানটিতে ফ্যাশন শো এর পাশাপাশি ছিলো নাচ-গানের আয়োজনও। সেই আয়োজনেই খোলামেলা পোশাকে নাচ ও গান পরিবেশন করতে দেখা যায় জেনিফার লোপেজ ও সেলিন ডিওনকে। আর এর পর থেকেই বিশ্বজুড়ে নেটিজেনদের মধ্যে শুরু হয়েছে তুমুল সমালোচনার ঝড়।তবে স্টেজে পবিত্র কাবার আদলে কিছু ছিলো না দাবি করে সৌদি ফ্যাক্ট চেকিং সংস্থাগুলো জানিয়েছে, ফ্যাশন শো চলাকালীন যেটি দেখা গিয়েছিল সেটি ‘একটি গ্লাস কিউব’। সৌদি আরবের অ্যান্টি-রিউমার অথরিটি শোতে কাবার ছবি ব্যবহারের বিষয়টি অস্বীকার করেছে।কর্তৃপক্ষ জানায়, এটা শুধু একটা গ্লাস কিউব আকৃতির স্ট্রাকচার, যার সঙ্গে কাবা শরিফের কোনো সম্পর্ক নেই।সৌদি গণমাধ্যম অভিযোগ করছে, এ সমালোচনার পেছনে মুসলিম ব্রাদারহুডের মতো কট্টরপন্থী গোষ্ঠীর হাত রয়েছে।যারা সৌদি আরব ও দেশটির সংস্কার পরিকল্পনাকে টার্গেট করার চেষ্টা করছে।সৌদি আরবের ভিশন ২০৩০ শুধু তেলের ওপর অর্থনৈতিক নির্ভরশীলতা থেকে মুক্তি পাওয়ার চেষ্টা করছে না।বস্তুত, দেশটিতে সামাজিক সংস্কার, বিশেষ করে নারী অধিকারের জন্যও কাজ চলছে।গত কয়েকদিন ধরে এক্স (সাবেক টুইটার) সহ অনেক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট ঘুরে বেড়াচ্ছে, যেখানে রিয়াদের বিনোদন কার্যক্রমকে ‘অপমানজনক’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।বেশ কয়েকজন ইসলামী ব্যক্তিত্ব এই ঘটনা সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন এবং কিছু পর্যবেক্ষকও এই প্রদর্শনীটিকে ‘শয়তানি’ বলে অভিহিত করেছেন।নেটিজেনরা রিয়াদের ফ্যাশন শো এবং এ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানকে অনৈতিক বলে বর্ণনা করেছে। এমন কাণ্ডের জন্য সৌদি রাজপরিবার এবং ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানেরও সমালোচনা করছেন।সিরিয়াভিত্তিক ধর্মীয় নেতা আবদুল রহমান আল-আদ্রিসি দাবি করেন, মোহাম্মদ বিন সালমানের নির্দেশে ফ্যাশন শোতে নারীরা এই ‘কাবার মতো আকৃতি’ ঘিরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।তিনি দাবি করেন, এটা দাজ্জালকে ডেকে আনার জন্য ‘শয়তানি’ কাজ। পাকিস্তানেও অনেকে এই বিষয়ে মন্তব্য করেছেন। মোল্লা হাক্কানি নামের একজন বলেছেন, রিয়াদে ফ্যাশন উইকের অনুষ্ঠানে কাবাকে অপমান করা হয়েছে। তারা ইচ্ছাকৃতভাবে কাবার মতো জায়গাটি ডিজাইন করেছিল এবং অর্ধনগ্ন নারীদের সেখানে নাচিয়েছে।  সোশ্যাল মিডিয়ায় বিকৃত কিছু ছবিও ছড়িয়ে পড়েছে যেখানে এই ফ্যাশন শো চলাকালীন মূর্তি দেখা যায়।সৌদি চ্যানেল আল আরাবিয়া টিভি ১৭ নভেম্বর সম্প্রচারের সময় বলেছিল যে সামাজিক মিডিয়ায় ‘অজানা এবং সন্দেহজনক অ্যাকাউন্টগুলো’ সৌদি আরবের বিরুদ্ধে প্রচারণা শুরু করেছে।আল-আরাবিয়ার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রিয়াদ সিজনের সমালোচনা করে এই প্রচারণার লক্ষ্য ছিল ‘সৌদি সফট পাওয়ার এবং ভিশন ২০৩০ কর্মসূচিকে বিকৃত করা।’ উল্লেখ্য, অক্টোবরে শুরু হওয়া বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নিয়ে শুরু থেকেই অনলাইনে সমালোচনা চলছিল।অনেকে একে গাজা ও লেবাননের যুদ্ধের সঙ্গে যুক্ত করে বলেছেন, এত মানুষের মৃত্যুর পরও রিয়াদ এমন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অব্যাহত রেখেছে।তবে আল-আরাবিয়ার সম্প্রচারে সৌদিপন্থি কলামিস্ট আবদুল্লাহ আল-জাদায়াহ বলেছেন, ‘এই সমালোচনার পেছনে রয়েছে সৌদি আরবের নিষিদ্ধ ঘোষিত মুসলিম ব্রাদারহুড এবং বিশ্বজুড়ে এর সদস্যরা।’অনুষ্ঠানে নাচ নিয়ে সমালোচনার কারণ জানতে চাইলে জাদায়াহ বলেন, সব অনুষ্ঠানই পরস্পর সম্পর্কযুক্ত এবং তাদের উদ্দেশ্য ছিল মুসলমানদের মুখে হাসি ফোটানো।তিনি বলেন, ইতিহাসে মুসলমানরা যুদ্ধ, শান্তি ও হত্যাকাণ্ড দেখেছে। তার মানে এই নয় যে, জীবন একেবারেই থেমে যাবে। তিনি আরও বলেন, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে অভিযান গতকাল শুরু হয়নি, ৭ অক্টোবরও শুরু হয়নি। প্রায় ৮০ বছর ধরে ফিলিস্তিন দখল হয়ে আছে। জাদায়াহ বলেন, সৌদি আরব একটি ‘বড় পরিবর্তনের’ মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বিগত আমলে যারা লাভবান হয়েছেন এবং পরিবর্তনের বিরোধিতা করেছেন তারাই মূলত এসব সমালোচনা করছে। পবিত্র কাবার আদলে তৈরি স্টেজ নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আল-কায়েদা হচ্ছে প্রথম দল যারা সৌদি আরবকে দুটি (পবিত্র) মসজিদের দেশ হিসেবে সীমাবদ্ধ করার চেষ্টা করেছিল।পৃথিবীতে এমন কোন বিবেকবান ব্যক্তি আছে যে বলে যে, কোন ঘনক্ষেত্র বা বর্গাকার জিনিস কাবার অবমাননা?তিনি দাবি করেন, এরা (সমালোচকরা) মাত্র দুটি পবিত্র মসজিদের বিষয়টি তুলে ধরে সৌদি আরবকে বিব্রত করার চেষ্টা করে। সূত্র: বিবিসি উর্দু এসএফ  

    বিনোদন

    সব দেখুন
    যেকোনও ধর্মে মুহাম্মদ (সা.) কে সম্মান করা যায় : স্বরা ভাস্কর
    বলিউডের পরিচিত মুখ অভিনেত্রী স্বরা ভাস্কর। ব্যক্তিজীবনে রাজনীতিবিদ ফাহাদ আহমেদকে বিয়ে করেছেন তিনি। সনাতন ধর্মের অনুসারী হয়ে মুসলিম যুবককে বিয়ে করায় নানা কটাক্ষের শিকার হয়েছেন এই অভিনেত্রী। তবুও স্বরা সবসময় সম্প্রীতির আহ্বান জানিয়ে গেছেন ভক্তদের। সম্প্রতি হিজাব পরে মাওলানা সাজ্জাদ নোমানীর সঙ্গে দেখা করার জন্য সামাজিক মাধ্যমে ফের কটাক্ষের মুখে পড়েছিলেন স্বরা। সেই ঘটনায় স্বরাকে তুলোধুনো করেছেন বিজেপি দলের অনেক নেতাকর্মী।নেট দুনিয়ার বাসিন্দারা অভিনেত্রীর স্বাধীনচেতা মনোভাবের বিষয়টি নিয়ে উপহাস করেছেন। আবার অনেকে তার ধর্ম পালন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। কেউ বলেছেন, ভালোবাসায় অন্ধ হয়ে মানুষ কত কিছুই না করতে পারে, স্বরাকে দেখেই সেটা স্পষ্ট হয়ে যায়।এবার স্বামী ফাহাদ আহমেদের হয়ে মহারাষ্ট্রের নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে সেই প্রসঙ্গেই কড়া প্রতিক্রিয়া জানালেন স্বরা। গেরুয়া বাহিনীকে একহাত নিয়ে স্বরা বললেন, ‘নবী মোহাম্মদকে সম্মান করার জন্য কোনও বিশেষ ধর্মের হতে হয় না। যেকোনও ধর্মে থেকেই তাকে সম্মান করা যায়।’অভিনেত্রীর স্পষ্ট বার্তা, মুহাম্মদ (সা.) কে সম্মান করতে কোনো বিশেষ ধর্মের হতে হয় না। যে কোনো ধর্মে থেকেই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ এ মানবকে সম্মান করা যায়।তিনি বলেন, ‘এটা সত্য যে আমি হিন্দু পরিবারে জন্মেছি, বড় হয়েছি। এটা সত্য যে আমি একজন মুসলিমকে বিয়ে করেছি। কিন্তু আমি এটা পরিষ্কার করে দিতে চাই যে আপনি কোন ধর্ম বা জাতের নবী মুহাম্মদ (সা.) কে সম্মান জানানোর জন্য সেটা কখনও বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না।’প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসের ৬ তারিখ স্পেশ্যাল অ্য়াক্টে দীর্ঘদিনের বন্ধু ও প্রেমিক রাজনৈতিক কর্মী ফাহাদ আহমেদের সঙ্গে বিয়ে রেজিস্ট্রার করেন স্বরা। তারপর ১৬ ফেব্রুয়ারি পরিবারকে স্বাক্ষী রেখে কাগজে কলমে বিয়ে সারেন অভিনেত্রী। এরপর চলতি বছরেই তাদের সংসারে জন্ম নেয় প্রথম সন্তান। বর্তমানে স্বামী-সন্তান নিয়েই স্বরার ব্যস্ততা।এসএফ 
    'দরদ' দেখবেন শাকিব, হলের সব টিকেট কিনলেন সুপারস্টারের সহকর্মীরা
    দেশ সেরা চিত্রনায়ক শাকিব খান। তার সিনেমা নিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই ভক্ত ও সাধারন মানুষের মনে থাকে বাড়তি উত্তেজনা। এবার সেই উত্তেজনার পারদ ছুঁয়ে গেল রিমার্ক-হারল্যান পরিবারেও। এই কোম্পানির পরিচালকও ঢালিউড সুপারস্টার। শাকিবের সিনেমা 'দরদ' বিশ্বের ২২টি দেশে এক যোগে মুক্তি পেয়েছে। দেশের  ৮৩ সিনেমা হলেও চলছে সিনেমাটি। দেশ-বিদেশে মুক্তির প্রথম দিন থেকে দর্শকদের সাড়া পাচ্ছে 'সিনেমাটি। মুক্তির দিন থেকে হলে হলে শাকিবিয়ানদের মধ্যে নেমে এসেছিল ঈদের আমেজ। রোমান্টিক-থ্রিলার গল্পের 'দরদ'-এ শাকিবের অভিনয়ের প্রশংসা করতে ভুলছে না দর্শক। অধিকাংশ দর্শক বলেছেন, এ কোন শাকিব খান! দেশের রাজনৈতিক স্থবিরতার মধ্যেও প্রথমদিন থেকে সিনেপ্লেক্স থেকে সিঙ্গেল স্ক্রিন সবখানে 'দরদ'র দর্শক উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো ছিল। এদিকে, 'দরদ' মুক্তির সময় 'বরবাদ'-এর শুটিংয়ে মুম্বাই ছিলেন শাকিব খান। সামাজিক যোগাযোগ ও সংবাদ মাধ্যমের কল্যাণে দর্শকদের 'দরদ' উন্মাদনা দেখছিলেন তিনি। নিজেও অপেক্ষায় ছিলেন দেশে ফিরেই বড় পর্দায় ছবিটি উপভোগ করবেন। এবার প্রেক্ষাগৃহে যাচ্ছেন ঢালিউড সুপারস্টার।  ২২ নভেম্বর (শুক্রবার) সন্ধ্যায় রাজধানীর সিনেপ্লেক্সের একটি ব্রাঞ্চে শাকিব খানের কোম্পানির সৌজন্যে 'দরদ'-এর একটি স্পেশাল স্ক্রিনিংয়ের আয়োজন করা হয়েছে। এ কারণে সিনেপ্লেক্সের তিন হলের সব টিকেট আগেই কিনে ফেলা হয়েছে।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শাকিব খান ছাড়াও বাংলাদেশের শোবিজ অঙ্গনের অনেকে এই স্পেশাল স্ক্রিনিং-এ উপস্থিত থাকবেন। ছবিটি উপভোগ করে এই সুপারস্টার তার অনুভূতি ও সিনেমা কর্ম পরিকল্পনা জানাবেন। শাকিবের সঙ্গে তার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের পরিবারের সদস্যরাও সেদিন তার সঙ্গে বসে 'দরদ' উপভোগ করবেন। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থবিরতা বিরাজ করলেও দর্শক সিনেপ্লেক্স থেকে সিঙ্গেল স্ক্রিনে 'দরদ' দেখতে যাচ্ছেন। এ কারণে তাদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে শাকিব বলেন, প্রথমদিন থেকে 'দরদ' দেখতে প্রেক্ষাগৃহে ছুটে আসছে দর্শক। তাদের কাছে আমার অসীম কৃতজ্ঞতা। খেয়াল করছি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ইন্টারভিউয়ে দর্শকদের অনুভূতি। সাধারণ দর্শকদের পাশাপাশি শাকিবিয়ানদেরও 'দরদ' ভরা ভালোবাসা।  
    মিডিয়ার মানুষের চেয়ে বাইরের মানুষের ডিভোর্স বেশি হয়: মৌসুমী হামিদ
    চলতি বছর বিয়ে করেছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী মৌসুমী হামিদ। চলতি বছর ১২ জানুয়ারি ভালোবেসে লেখক-নির্মাতা আবু সাইয়িদ রানার সঙ্গে ঘর বেঁধেছেন। বিয়ের বছর না পেরোতেই হঠাৎ অভিনেত্রীর মুখে শোনা গেল বিচ্ছেদের কথা। এ নিয়ে বেশ মুখরোচক আলোচনাও চলছে।সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমে মৌসুমী হামিদ কথা বলেছেন সংসার নিয়ে। তার মতে, 'সংসার করাটা খুব সহজ। ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে যদি বোঝাপড়াটা সুন্দর হয়, তাহলে সংসার পানির মতো সহজ হয়ে যায়।' সঙ্গে এও জানান, তার সংসার খুব ভালো যাচ্ছে।এ সময় তারকাদের সংসার ভাঙা নিয়েও কথা বলেন এই অভিনেত্রী। তার কথায়, 'আমরা প্রতিটি মানুষ আলাদা। কারো ব্যক্তিগত জীবনে যদি ঝড় আসে সেটা সবার সঙ্গে মিলিয়ে ফেলা একেবারেই উচিত না। শুধু আমাদের শিল্পীদের মধ্যে ডিভোর্স হয় এমন না। আমার মনে হয়, এখন মিডিয়ার মানুষের চেয়ে বাইরের মানুষের ডিভোর্স বেশি হয়। তাদেরটা সামনে আসে না, আমাদেরটা আসে।' এদিকে, মুক্তির অপেক্ষায় আছে মৌসুমী হামিদ অভিনীত 'নয়া মানুষ' সিনেমাটি। এ ছাড়া নাটক ও ওটিটি প্লাটফর্মেও কাজ করছেন তিনি।
    আমি বিয়ে তো গোপনে করিনি: তৌহিদ আফ্রিদি
    দেশের আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদিকে এখন তেমন একটা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব দেখা যায় না। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় শেখ হাসিনা সরকারের পক্ষে কাজ করার গুঞ্জন এখনো রয়েছে তাকে নিয়ে। এর মধ্যে আলোচনায় এলো তার বিয়ের খবর।গত ১২ নভেম্বর রাত থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু ছবি ছড়িয়ে পড়ার পর আলোচিত ইউটিউবার ও কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদির বিয়ের খবর চাউর হয় চারপাশে। যা পরবর্তীতে সংবাদমাধ্যমেও আসে। বিভিন্ন সূত্রে তার বিয়ের খবর সামনে আসলেও এ বিষয়ে মুখে কুলুপ ছিল আফ্রিদির। অবশেষে নিজের বিয়ে নিয়ে মুখ খুলেছেন আলোচিত এই ইউটিউবার।সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে কথা বলেন আফ্রিদি। তবে কবে, কখন বিয়ে সেরেছেন, তা নিয়ে কিছু জানাননি। আফ্রিদি জানালেন, পারিবারিক আয়োজনেই তার কাবিন সম্পন্ন হয়েছে। দুই পরিবারের সদস্যরাই কাবিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিল।আফ্রিদির কথায়, ‘আমি গাড়িতেই বসে শুনলাম, গোপনে বিয়ে করেছেন তৌহিদ আফ্রিদি! আরে, বিয়ে তো গোপনে করিনি। আমি বিয়ের ছবি আপলোড দেওয়ার আগে আপলোড হয়ে গেছে।’আফ্রিদি বলেন, ‘ভেবেছিলাম বাসায় যাব। এরপর সবাইকে বিয়ে খবর জানাব। কিন্তু সে সময় আর পেলাম কই, অনেকেই ছবি পোস্ট করেছে। আসলে জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে-এটা সম্পূর্ণ মহান আল্লাহ তায়ালাই লিখে রাখেন।’কনে দেখতে গিয়ে কাবিন হয়ে গেছে জানিয়ে আফ্রিদি বলেন, ‘আমি আমার মাকে নিয়ে কনে দেখতে গিয়েছিলাম, পরিবারকে নিয়ে দেখতে গেছি, ওখানেই কাবিন হয়ে গেছে। কার, কখন, কোথায়, কীভাবে বিয়ে হবে, এখানে কারও হাত নেই।’তৌহিদের স্ত্রীর নাম রামিসা আল রিসা, তার যমজ বোন রাইসা আল রোজা। শুরুতে খবর ছড়ায়, টিকটকার রাইসাকে বিয়ে করেছেন আফ্রিদি। এ প্রসঙ্গে আফ্রিদি বলেন, ‘সমস্যা হচ্ছে, মানুষ আসলে কনফিউজড হয়ে গেছে, তারা তো যমজ বোন। যমজ বোন হওয়ার কারণে আমার শালিকে (শ্যালিকা) অনেকে আমার ওয়াইফ বলা শুরু করেছে। এসব এক দিক থেকে হাস্যকর লাগে।’

    অর্থ-বাণিজ্য

    সব দেখুন
    ৫ ব্যাংকের ২ হাজার কোটি টাকার বন্ড অনুমোদন
    পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৫ ব্যাংকের ২ হাজার কোটি টাকার বন্ড অনুমোদন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ব্যাংকগুলো হলো- ঢাকা ব্যাংক পিএলসি, ইসলামী ব্যাংক পিএলসি, ব্যাংক এশিয়া পিএলসি, ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসি ও এক্সিম ব্যাংক পিএলসি। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৯৩২তম কমিশন সভায় কোম্পানিগুলোর বন্ড ইস্যুর প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকা ব্যাংকের ৪০০ কোটি টাকার বন্ডটি হবে আনসিকিউরড, নন-কনভার্টিবল, ফ্লোটিং রেট এবং অবসায়নযোগ্য ৪র্থ সাবঅর্ডিনেটেড বন্ড। বন্ডটি প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও উচ্চ সম্পদশালী একক বিনিয়োগকারীদের কাছে ইস্যু করা হবে। এ বন্ডের প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য ১০ লাখ টাকা। বন্ডটি ইস্যুর মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করে ঢাকা ব্যাংক টায়ার-২ মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী করবে। বন্ডের ট্রাস্টি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে ডিবিএইচ ফাইন্যান্স পিএলসি এবং অ্যারেঞ্জার হিসেবে কাজ করছে ব্র্যাক ইপিএল ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড। বন্ডটি অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে তালিকাভুক্ত হবে। ইসলামী ব্যাংকের ৫০০ কোটি টাকার বন্ডটি হবে মুদারাবা আনসিকিউরড, নন-কনভার্টিবল, ফ্লোটিং রেট এবং অবসায়নযোগ্য পঞ্চম সাবঅর্ডিনেটেড বন্ড। যার কুপন রেট রেফারেন্স রেটের সঙ্গে ৩ শতাংশ যোগ করে নির্ধারণ করা হবে। বন্ডটি প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও উচ্চ সম্পদশালী একক বিনিয়োগকারীদের কাছে ইস্যু করা হবে। এ বন্ডের প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য ৫০ লাখ টাকা। বন্ডটি ইস্যুর মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করে ইসলামী ব্যাংক টায়ার-২ মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী করবে। বন্ডের ট্রাস্টি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে ডিবিএইচ ফাইন্যান্স পিএলসি এবং অ্যারেঞ্জার হিসেবে কাজ করছে ইউসিবি ইনভেস্টমেন্ট, প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট এবং ইসলামী ব্যাংক ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড। বন্ডটি অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে তালিকাভুক্ত হবে। ব্যাংক এশিয়ার ৪০০ কোটি টাকার বন্ডটি হবে আনসিকিউরড, নন-কনভার্টিবল এবং অবসায়নযোগ্য ফ্লোটিং রেট সাবঅর্ডিনেটেড বন্ড। প্রস্তাব ট্রাষ্টি রেজিস্টিশন সনদ জমা দেওয়ার শর্ত সাপেক্ষে অনুমোদন করেছে। এটি প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও উচ্চ সম্পদশালী একক বিনিয়োগকারীদের নিকট ইস্যু করা হবে। বন্ডের প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য এক কোটি টাকা। উল্লেখ্য, এই বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করে ব্যাংক এশিয়ার টায়ার-২ মূলধন ভিত্তিক শক্তিশালী করা হবে। বন্ডের ট্রাষ্টি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছে ব্র্যাক ইপিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড এবং অ্যারেঞ্জার হিসাবে কাজ করছে সিটি ব্যাংক ক্যাপিটাল রিসোর্সেস লিমিটেড। এছাড়াও বন্ডটি অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে তালিকাভুক্ত হবে। ট্রাস্ট ব্যাংকের ৪৫০ কোটি টাকার বন্ডটি হবে আনসিকিউরড, নন-কনভার্টিবল, ফ্লোটিং রেট এবং সম্পূর্ণ অবসায়নযোগ্য সাবঅর্ডিনেটেড বন্ড। ট্রাস্টি রেজিস্ট্রেশন সনদ জমা দেওয়ার শর্ত সাপেক্ষে এ বন্ড অনুমোদন করা হয়েছে। বন্ডটির কুপন রেট রেফারেন্স রেটের সঙ্গে ৩ শতাংশ যোগ করে নির্ধারণ করা হবে। বন্ডটি প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও উচ্চ সম্পদশালী একক বিনিয়োগকারীদের কাছে ইস্যু করা হবে। এ বন্ডের প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য ৫ লাখ টাকা। বন্ডটি ইস্যুর মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করে ট্রাস্ট ব্যাংক টায়ার-২ মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী করবে। বন্ডের ট্রাস্টি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে ব্র্যাক ইপিএল ইনভেস্টমেন্টস এবং অ্যারেঞ্জার হিসেবে কাজ করছে ইউসিবি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। বন্ডটি অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে তালিকাভুক্ত হবে। এক্সিম ব্যাংকের ২৫০ কোটি টাকার বন্ডটি হবে আনসিকিউরড, নন-কনভার্টিবল এবং অবসায়নযোগ্য ফ্লোটিং রেট সুবর্ডিনেটেড বন্ড। প্রস্তাব ট্রাষ্টি রেজিস্টিশন সনদ জমা দেওয়ার শর্ত সাপেক্ষে অনুমোদন করেছে। বন্ডটির কুপন রেট রেফারেন্স রেটের সঙ্গে ৩ শতাংশ যোগ করে নির্ধারণ করা হবে। এটি প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও উচ্চ সম্পদশালী একক বিনিয়োগকারীদের নিকট ইস্যু করা হবে। বন্ডের প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য ৫ লাখ টাকা। এই বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করে এক্সিম ব্যাংকের টায়ার-২ মূলধন ভিত্তিক শক্তিশালী করা হবে। বন্ডের ট্রাষ্টি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছে ডিবিএইচ ফাইন্যান্স পিএলসি এবং অ্যারেঞ্জার হিসাবে কাজ করছে ইউসিবি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। এছাড়াও বন্ডটি অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে তালিকাভুক্ত হবে।এইচএ
    টানা চার দফা কমার পর বাড়লো স্বর্ণের দাম
    টানা চার দফা কমার পর এবার দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।  ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামীকাল শুক্রবার (২০ নভেম্বর) থেকে স্বর্ণের নতুন দাম কার্যকর হবে।নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি এক লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি এক লাখ ১০ হাজার ৬২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।এর আগে সবশেষ গত ১৪ নভেম্বর ভরিতে সর্বোচ্চ এক হাজার ৬৮০ টাকা কমানো হয়েছিল। ফলে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৪ হাজার ৫০৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি এক লাখ ২৮ হাজার ৩৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি এক লাখ ১০ হাজার ৬২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯০ হাজার ২৩৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল, যা কার্যকর হয়েছে ১৫ নভেম্বর থেকে।স্বর্ণের দাম কমানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৫৭৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম এক হাজার ৫৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।এসএফ  
    ডিসেম্বরে এডিবি-বিশ্বব্যাংক থেকে ১১০ কোটি ডলার ঋণ পাবে বাংলাদেশ
    বাংলাদেশকে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ৬০ কোটি ডলার ও বিশ্বব্যাংক ৫০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা দেবে।অর্থ সচিব ড. মো. খায়রুজ্জামান মজুমদার মঙ্গলবার অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে অর্থ মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারক, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান প্রমুখ।অর্থ সচিব বলেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ও বিশ্বব্যাংকের মতো দাতা সংস্থাগুলো অন্তর্বর্তী প্রশাসনের বাস্তবায়িত নীতিগুলোকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছে।অন্তর্বর্তী সরকারের নীতিগত পদক্ষেপগুলো ভালো ফলাফল দিয়েছে। তহবিলের ক্ষেত্রে আমাদের প্রাথমিক প্রত্যাশা ছাড়িয়ে গেছে।খায়রুজ্জামান মজুমদার জানান, অন্তর্বর্তী সরকার আইএমএফের কাছে আরও আর্থিক সহায়তা চেয়েছে।এ বছর আইএমএফের কাছে অতিরিক্ত ১০০ কোটি ডলার চাওয়া হয়েছে। আগামী ৪ ডিসেম্বর আইএমএফের প্রতিনিধিদল সফরের সময় আলোচনা শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।এসএফ 
    ৪০ টাকা কেজি আলু বিক্রি করবে টিসিবি
    রাজধানীতে এবার ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করবে সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)।মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে টিসিবি জানায়, প্রতি কেজি আলু ৪০ টাকা করে বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন।বুধবার থেকে ঢাকায় সাধারণ ভোক্তাদের জন্য এসব আলু বিক্রি শুরু হবে।এই কার্যক্রম বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় টিসিবি ভবন থেকে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন উদ্বোধন করবেন বলে জানা গেছে।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় নিম্ন আয়ের এক কোটি কার্ডধারী পরিবারে টিসিবির পণ্য (ভোজ্যতেল ও ডাল) সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রি চলছে। এই কার্যক্রমের পাশাপাশি ঢাকার ৫০টি ও চট্টগ্রামের ২০টি ট্রাকে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির তেল, ডাল এবং খাদ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে চাল বিক্রি করা হচ্ছে। এর সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হচ্ছে আলু।এতে আরও বলা হয়, প্রতি লিটার ভোজ্যতেল ১০০ টাকা, মসুর ডাল ৬০ টাকা এবং ৩০ টাকায় চাল পাওয়া যাবে। একজন গ্রাহক সর্বোচ্চ দুই লিটার তেল, দুই কেজি মসুর ডাল এবং পাঁচ কেজি চাল কিনতে পারবেন।এসএফ
    সারাদেশে ৯৯.৪৩ শতাংশ গার্মেন্টসই খোলা: বিজিএমইএ
    রাজধানীসহ সারাদেশে আজ মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) ৯৯ দশমিক ৪৩ শতাংশ গার্মেন্টসই খোলা রয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।বিজিএমইএ বলছে, সারাদেশে মোট দুই হাজার ৯৩টি সক্রিয় কারখানার মধ্যে দুই হাজার ৮১টির কার্যক্রম চলছে। সাভার, আশুলিয়া এবং জিরানি এলাকায় সাময়িকভাবে বন্ধ বা ছুটি রয়েছে ১২টি কারখানার (০.৫৭ শতাংশ)। অক্টোবর মাসের বেতন প্রদান করেছে ১ হাজার ৯৯২টি কারখানা, শতকরা হিসেবে যা ৯৫ দশমিক ১৭ শতাংশ। অক্টোবর মাসের বেতন দেয়নি ১০১টি প্রতিষ্ঠান (৪ দশমিক ৮৩ শতাংশ)।দুই হাজার ৯৩টি কারখানার মধ্যে গাজীপুর ও ময়মনসিংহ এলাকায় ৮৭০টি, সাভার, আশুলিয়া ও জিরানি এলাকায় ৪০১টি, নারায়ণগঞ্জ এলাকায় ১৯৯টি, ডিএমপি এলাকায় ৩০০টি এবং চট্টগ্রাম এলাকায় ৩২৯টি কারখানা রয়েছে। এগুলোর মধ্যে শুধু আশুলিয়া ও জিরানি এলাকার ১২টি কারখানা বন্ধ রয়েছে।এ ছাড়া খোলা রাখার পর কাজ বন্ধ, ছুটি বা শ্রমিকরা চলে গেছে এরকম কারখানার সংখ্যা ৮টি।শ্রমিকদের বাধার কারণে যেসব কারখানা কার্যত অচল সেগুলো হলো বেক্সিমকো গ্রুপ, ডরেন গার্মেন্টস (১৩/১ ধারায় বন্ধ), ডরেন অ্যাপারেলস (১৩/১ ধারায় বন্ধ), ডরেন ফ্যাশন (১৩/১ ধারায় বন্ধ), আইরিশ ফেব্রিক্স, কেএসি কোম্পানি লিমিটেড, এক্সাকো লিমিটেড, ওয়াইপি গাজীপুর লিমিটেড, হামিম নিটওয়্যার, অকোটেক লিমিটেড এবং উত্তরা নিটওয়্যার লিমিটেড।শ্রম আইনের ১৩ (১) ধারায় বলা আছে, কোনো প্রতিষ্ঠানের কোনো শাখা বা বিভাগে বেআইনি ধর্মঘটের কারণে মালিক উক্ত শাখা বা প্রতিষ্ঠান আংশিক বা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিতে পারবেন। একই সঙ্গে ধর্মঘটে অংশগ্রহণকারী শ্রমিকরা কোনো মজুরি পাবেন না।এবি 
    তিনদিনের মধ্যে আলুর দাম না কমালে ভোক্তার অফিস ঘেরাও
    যেসব কোল্ড স্টোরেজে আলুর মজুত রয়েছে সেগুলোতে অভিযান চালানোর জন্য জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে তিন দিনের আলটিমেটাম দিয়েছে বেসরকারি ভোক্তা অধিকার সংস্থা ‘কনশাস কনজ্যুমার্স সোসাইটি’ (সিসিএস) ও এর যুব শাখা ‘কনজ্যুমার ইয়ুথ বাংলাদেশ’ (সিওয়াইবি) এর স্বেচ্ছাসেবীরা। আগামী তিন দিনের মধ্যে কোল্ড স্টোরেজে অভিযান চালিয়ে মজুত আলু বাজারে ছেড়ে মূল্য নিয়ন্ত্রণে না আনলে রোববার অধিদপ্তর ঘেরাও করা হবে বলে জানিয়েছেন সিসিএস-এর নির্বাহী পরিচালক পলাশ মাহমুদ।মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সকালে কারওয়ানবাজারে অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে সিসিএস ও সিওয়াইবির সদস্যরা। স্মারকলিপির সঙ্গে দেশের বিভিন্ন জেলায় আলুর মজুত রয়েছে এমন কোল্ড স্টোরেজের বিভাগ ও জেলা ভিত্তিক তালিকা, অধিক মুনাফাখোর মজুতদারদের তালিকা ও কোল্ড স্টোরেজে সংরক্ষিত আলুর তথ্য সরবরাহ করা হয়। এসময় মহাপরিচালককে মৌখিকভাবে তিন দিনের আলটিমেটাম দেওয়া হয়।স্মারকলিপিতে বলা হয়, বিগত ১ মাস ধরে প্রতীয়মান হচ্ছে যে, অসাধু ব্যবসায়ীরা কোল্ড স্টোরেজকেন্দ্রীক কূটকৌশলের মাধ্যমে আলুর বাজার নিয়ন্ত্রণ করে ভোক্তা সাধারণকে জিম্মি করে ফেলেছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত মজুদদাররা আলু সংগ্রহ করে কোল্ড স্টোরেজে রেখেছেন। ওই সময় তাদের আলুর ক্রয় মূল্য কেজি প্রতি ছিল ১৮ থেকে ২০ টাকা। কোল্ড স্টোরেজে রাখার খরচ ৬০ কেজির বস্তাপ্রতি অঞ্চলভেদে ১৮০-৩৪০ টাকা।কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের ও আশঙ্কার বিষয় হচ্ছে, কতিপয় মজুদদার, বেপারি, ফড়িয়া (অধিকাংশ ব্যবসায়ী ট্রেড লাইসেন্সবিহীন) এবং সংশ্লিষ্ট কোল্ড স্টোরেজ ম্যানেজার/মালিক যোগসাজসে অস্বাভাবিক ও অযৌক্তিকভাবে মূল্য বাড়িয়ে আড়তদারদের নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ভোক্তা সাধারণকে জিম্মি করে প্রতি কেজি আলু খুচরা পর্যায়ে ৭০-৭৫ টাকা দরে বিক্রয় করা হচ্ছে।এমতাবস্থায়, কোল্ড স্টোরেজ পর্যায়ে অবৈধ বিপণন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত হিমাগার ম্যানেজার, দলিল ক্রেতা-বিক্রেতা, ফড়িয়া/মধ্যস্বত্তভোগী বেপারির বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট/অভিযান জোরদার করে আলুর মূল্য যৌক্তিক পর্যায়ে আনার অনুরোধ জানানো হয়।এর আগে সোমবার (১৮ নভেম্বর) কোল্ড স্টোরেজে অভিযান চালানোর দাবিতে মুন্সিগঞ্জ, রংপুর, নারায়ণগঞ্জ, খুলনা, কিশোরগঞ্জ, শরীয়তপুর, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, সিলেট ও মৌলভীবাজারে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেয় সিসিএস ও সিওয়াইবির সদস্যরা। জেলাগুলোতে স্মারকলিপি দেওয়ার পর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করা হয়।এবি 
    বাংলাদেশ ব্যাংকে আওয়ামীপন্থিদের নিরঙ্কুশ বিজয়, বিএনপিপন্থিদের ধস
    বাংলাদেশ ব্যাংকের অফিসার্স ওয়েলফেয়ার কাউন্সিলের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে আওয়ামীপন্থি নীল দল। সভাপতি, সহ-সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ গুরুত্বপূর্ণ সব পদেই বিজয়ী হয়েছেন নীল দলের প্রার্থীরা। বিএনপিপন্থি সবুজ দল থেকে মাত্র একজন বিজয়ী হয়েছেন।বুধবার সকাল থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৫টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে ভোট অনুষ্ঠিত হয়।এতে ১৫টি পদের মধ্যে নীল দলে থেকে নির্বাচিত হয়েছেন ৯ জন। তারা হলেন- সভাপতি একেএম মাসুম বিল্লাহ। সহ-সভাপতি তানভির আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা শ্রাবণ, সহ-সম্পাদক এইউএম মান্না ভূঁইয়া, মোহাম্মদ তৌফিকুর রহমান খান, কোষাধ্যক্ষ আফসানা চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক সাগর সরকার। এছাড়া নীল দল থেকে সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন- মোস্তাক আহমেদ এবং প্রণয় রায় শুভ।আওয়ামীপন্থিদের এই বিজয়কে ঘিরে ব্যাংক খাতে ইতিমধ্যে সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে রাতের ভোটে নির্বাচনে জয় পাওয়ার অভিযোগ থাকলেও দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে তারা জয় পেয়েছেন দিনের ভোটেই। আর ফ্যাসিবাদি সরকারের পালিয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংকে আওয়ামীপন্থিদের এমন বিজয়কে অর্থনীতির জন্য অশনি সংকেত হিসেবে দেখছেন খাত সংশ্লিষ্টরা। ব্যাংকাররা বলছেন, আওয়ামী লীগের দীর্ঘ শাসনামলে দেশের আর্থিক খাতে যে লুটপাট চলেছে তার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা। এতদিন তারা আওয়ামী লীগের চাপে বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত হওয়ার অজুহাত উপস্থাপন করতো। এবারের নির্বাচনে প্রমাণ হয়েছে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক আওয়ামী দোসরদের কব্জায়  রয়েছে। নাম প্রকাশ না করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, দেশের সকল খাতে আওয়ামীপন্থিরা কোণঠাসা হয়ে পড়লেও বাংলাদেশ ব্যাংকে ভিন্ন চিত্র। বিগত দুই গভর্নর ফজলে কবির এবং আব্দুর রউফ তালুকদারের সাজিয়ে যাওয়া ছকেই চলছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কোনো অপরাধীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেননি বর্তমান গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। সরকার পতনের পর অপরাধীদের সকল অপকর্মের তথ্য ধামাচাপা দিয়ে রেখেছে বিশেষ গোষ্ঠী। বিভিন্ন অনিয়ম ঋণ জালিয়াতি এবং অর্থপাচারের তথ্য সাংবাদিকদের হাতে গেলে ওই কর্মকর্তাদের তালিকা তৈরি করে যারা বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থার হাতে তুলে দিতেন, তারাই এখনো দাপটের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংক শাসন করছেন। দেশের আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থার এমন দশা হলে চলমান সংস্কার কিভাবে সফল হবে এমন প্রশ্ন রাখেন সংশ্লিষ্টরা।অন্য প্যানেলগুলো থেকে বিজয়ীরা হলেন, সবুজ দল থেকে বিজয়ী একজন হলেন সহ-সভাপতি অমিতাভ চক্রবর্তী। আর হলুদ দল থেকে বিজয়ী পাঁচজন হচ্ছেন, সাংগঠনিক সম্পাদক রামেন্দু দাস পলাশ, প্রচার সম্পাদক শাহ মো. ইয়াকিমুল আলম, সদস্য শাহরিয়ার রহমান সামস, সাবিকুন নাহার শিরিন, আবিদ আলী মোগল।এসএফ
    ৫ ব্যাংকের ২ হাজার কোটি টাকার বন্ড অনুমোদন
    পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৫ ব্যাংকের ২ হাজার কোটি টাকার বন্ড অনুমোদন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ব্যাংকগুলো হলো- ঢাকা ব্যাংক পিএলসি, ইসলামী ব্যাংক পিএলসি, ব্যাংক এশিয়া পিএলসি, ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসি ও এক্সিম ব্যাংক পিএলসি। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৯৩২তম কমিশন সভায় কোম্পানিগুলোর বন্ড ইস্যুর প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকা ব্যাংকের ৪০০ কোটি টাকার বন্ডটি হবে আনসিকিউরড, নন-কনভার্টিবল, ফ্লোটিং রেট এবং অবসায়নযোগ্য ৪র্থ সাবঅর্ডিনেটেড বন্ড। বন্ডটি প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও উচ্চ সম্পদশালী একক বিনিয়োগকারীদের কাছে ইস্যু করা হবে। এ বন্ডের প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য ১০ লাখ টাকা। বন্ডটি ইস্যুর মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করে ঢাকা ব্যাংক টায়ার-২ মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী করবে। বন্ডের ট্রাস্টি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে ডিবিএইচ ফাইন্যান্স পিএলসি এবং অ্যারেঞ্জার হিসেবে কাজ করছে ব্র্যাক ইপিএল ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড। বন্ডটি অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে তালিকাভুক্ত হবে। ইসলামী ব্যাংকের ৫০০ কোটি টাকার বন্ডটি হবে মুদারাবা আনসিকিউরড, নন-কনভার্টিবল, ফ্লোটিং রেট এবং অবসায়নযোগ্য পঞ্চম সাবঅর্ডিনেটেড বন্ড। যার কুপন রেট রেফারেন্স রেটের সঙ্গে ৩ শতাংশ যোগ করে নির্ধারণ করা হবে। বন্ডটি প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও উচ্চ সম্পদশালী একক বিনিয়োগকারীদের কাছে ইস্যু করা হবে। এ বন্ডের প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য ৫০ লাখ টাকা। বন্ডটি ইস্যুর মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করে ইসলামী ব্যাংক টায়ার-২ মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী করবে। বন্ডের ট্রাস্টি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে ডিবিএইচ ফাইন্যান্স পিএলসি এবং অ্যারেঞ্জার হিসেবে কাজ করছে ইউসিবি ইনভেস্টমেন্ট, প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট এবং ইসলামী ব্যাংক ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড। বন্ডটি অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে তালিকাভুক্ত হবে। ব্যাংক এশিয়ার ৪০০ কোটি টাকার বন্ডটি হবে আনসিকিউরড, নন-কনভার্টিবল এবং অবসায়নযোগ্য ফ্লোটিং রেট সাবঅর্ডিনেটেড বন্ড। প্রস্তাব ট্রাষ্টি রেজিস্টিশন সনদ জমা দেওয়ার শর্ত সাপেক্ষে অনুমোদন করেছে। এটি প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও উচ্চ সম্পদশালী একক বিনিয়োগকারীদের নিকট ইস্যু করা হবে। বন্ডের প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য এক কোটি টাকা। উল্লেখ্য, এই বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করে ব্যাংক এশিয়ার টায়ার-২ মূলধন ভিত্তিক শক্তিশালী করা হবে। বন্ডের ট্রাষ্টি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছে ব্র্যাক ইপিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড এবং অ্যারেঞ্জার হিসাবে কাজ করছে সিটি ব্যাংক ক্যাপিটাল রিসোর্সেস লিমিটেড। এছাড়াও বন্ডটি অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে তালিকাভুক্ত হবে। ট্রাস্ট ব্যাংকের ৪৫০ কোটি টাকার বন্ডটি হবে আনসিকিউরড, নন-কনভার্টিবল, ফ্লোটিং রেট এবং সম্পূর্ণ অবসায়নযোগ্য সাবঅর্ডিনেটেড বন্ড। ট্রাস্টি রেজিস্ট্রেশন সনদ জমা দেওয়ার শর্ত সাপেক্ষে এ বন্ড অনুমোদন করা হয়েছে। বন্ডটির কুপন রেট রেফারেন্স রেটের সঙ্গে ৩ শতাংশ যোগ করে নির্ধারণ করা হবে। বন্ডটি প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও উচ্চ সম্পদশালী একক বিনিয়োগকারীদের কাছে ইস্যু করা হবে। এ বন্ডের প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য ৫ লাখ টাকা। বন্ডটি ইস্যুর মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করে ট্রাস্ট ব্যাংক টায়ার-২ মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী করবে। বন্ডের ট্রাস্টি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে ব্র্যাক ইপিএল ইনভেস্টমেন্টস এবং অ্যারেঞ্জার হিসেবে কাজ করছে ইউসিবি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। বন্ডটি অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে তালিকাভুক্ত হবে। এক্সিম ব্যাংকের ২৫০ কোটি টাকার বন্ডটি হবে আনসিকিউরড, নন-কনভার্টিবল এবং অবসায়নযোগ্য ফ্লোটিং রেট সুবর্ডিনেটেড বন্ড। প্রস্তাব ট্রাষ্টি রেজিস্টিশন সনদ জমা দেওয়ার শর্ত সাপেক্ষে অনুমোদন করেছে। বন্ডটির কুপন রেট রেফারেন্স রেটের সঙ্গে ৩ শতাংশ যোগ করে নির্ধারণ করা হবে। এটি প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও উচ্চ সম্পদশালী একক বিনিয়োগকারীদের নিকট ইস্যু করা হবে। বন্ডের প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য ৫ লাখ টাকা। এই বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করে এক্সিম ব্যাংকের টায়ার-২ মূলধন ভিত্তিক শক্তিশালী করা হবে। বন্ডের ট্রাষ্টি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছে ডিবিএইচ ফাইন্যান্স পিএলসি এবং অ্যারেঞ্জার হিসাবে কাজ করছে ইউসিবি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। এছাড়াও বন্ডটি অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে তালিকাভুক্ত হবে।এইচএ
    টানা চার দফা কমার পর বাড়লো স্বর্ণের দাম
    টানা চার দফা কমার পর এবার দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।  ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামীকাল শুক্রবার (২০ নভেম্বর) থেকে স্বর্ণের নতুন দাম কার্যকর হবে।নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি এক লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি এক লাখ ১০ হাজার ৬২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।এর আগে সবশেষ গত ১৪ নভেম্বর ভরিতে সর্বোচ্চ এক হাজার ৬৮০ টাকা কমানো হয়েছিল। ফলে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৪ হাজার ৫০৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি এক লাখ ২৮ হাজার ৩৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি এক লাখ ১০ হাজার ৬২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯০ হাজার ২৩৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল, যা কার্যকর হয়েছে ১৫ নভেম্বর থেকে।স্বর্ণের দাম কমানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৫৭৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম এক হাজার ৫৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।এসএফ  
    ডিসেম্বরে এডিবি-বিশ্বব্যাংক থেকে ১১০ কোটি ডলার ঋণ পাবে বাংলাদেশ
    বাংলাদেশকে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ৬০ কোটি ডলার ও বিশ্বব্যাংক ৫০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা দেবে।অর্থ সচিব ড. মো. খায়রুজ্জামান মজুমদার মঙ্গলবার অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে অর্থ মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারক, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান প্রমুখ।অর্থ সচিব বলেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ও বিশ্বব্যাংকের মতো দাতা সংস্থাগুলো অন্তর্বর্তী প্রশাসনের বাস্তবায়িত নীতিগুলোকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছে।অন্তর্বর্তী সরকারের নীতিগত পদক্ষেপগুলো ভালো ফলাফল দিয়েছে। তহবিলের ক্ষেত্রে আমাদের প্রাথমিক প্রত্যাশা ছাড়িয়ে গেছে।খায়রুজ্জামান মজুমদার জানান, অন্তর্বর্তী সরকার আইএমএফের কাছে আরও আর্থিক সহায়তা চেয়েছে।এ বছর আইএমএফের কাছে অতিরিক্ত ১০০ কোটি ডলার চাওয়া হয়েছে। আগামী ৪ ডিসেম্বর আইএমএফের প্রতিনিধিদল সফরের সময় আলোচনা শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।এসএফ 
    ৪০ টাকা কেজি আলু বিক্রি করবে টিসিবি
    রাজধানীতে এবার ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করবে সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)।মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে টিসিবি জানায়, প্রতি কেজি আলু ৪০ টাকা করে বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন।বুধবার থেকে ঢাকায় সাধারণ ভোক্তাদের জন্য এসব আলু বিক্রি শুরু হবে।এই কার্যক্রম বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় টিসিবি ভবন থেকে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন উদ্বোধন করবেন বলে জানা গেছে।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় নিম্ন আয়ের এক কোটি কার্ডধারী পরিবারে টিসিবির পণ্য (ভোজ্যতেল ও ডাল) সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রি চলছে। এই কার্যক্রমের পাশাপাশি ঢাকার ৫০টি ও চট্টগ্রামের ২০টি ট্রাকে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির তেল, ডাল এবং খাদ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে চাল বিক্রি করা হচ্ছে। এর সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হচ্ছে আলু।এতে আরও বলা হয়, প্রতি লিটার ভোজ্যতেল ১০০ টাকা, মসুর ডাল ৬০ টাকা এবং ৩০ টাকায় চাল পাওয়া যাবে। একজন গ্রাহক সর্বোচ্চ দুই লিটার তেল, দুই কেজি মসুর ডাল এবং পাঁচ কেজি চাল কিনতে পারবেন।এসএফ
    সারাদেশে ৯৯.৪৩ শতাংশ গার্মেন্টসই খোলা: বিজিএমইএ
    রাজধানীসহ সারাদেশে আজ মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) ৯৯ দশমিক ৪৩ শতাংশ গার্মেন্টসই খোলা রয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।বিজিএমইএ বলছে, সারাদেশে মোট দুই হাজার ৯৩টি সক্রিয় কারখানার মধ্যে দুই হাজার ৮১টির কার্যক্রম চলছে। সাভার, আশুলিয়া এবং জিরানি এলাকায় সাময়িকভাবে বন্ধ বা ছুটি রয়েছে ১২টি কারখানার (০.৫৭ শতাংশ)। অক্টোবর মাসের বেতন প্রদান করেছে ১ হাজার ৯৯২টি কারখানা, শতকরা হিসেবে যা ৯৫ দশমিক ১৭ শতাংশ। অক্টোবর মাসের বেতন দেয়নি ১০১টি প্রতিষ্ঠান (৪ দশমিক ৮৩ শতাংশ)।দুই হাজার ৯৩টি কারখানার মধ্যে গাজীপুর ও ময়মনসিংহ এলাকায় ৮৭০টি, সাভার, আশুলিয়া ও জিরানি এলাকায় ৪০১টি, নারায়ণগঞ্জ এলাকায় ১৯৯টি, ডিএমপি এলাকায় ৩০০টি এবং চট্টগ্রাম এলাকায় ৩২৯টি কারখানা রয়েছে। এগুলোর মধ্যে শুধু আশুলিয়া ও জিরানি এলাকার ১২টি কারখানা বন্ধ রয়েছে।এ ছাড়া খোলা রাখার পর কাজ বন্ধ, ছুটি বা শ্রমিকরা চলে গেছে এরকম কারখানার সংখ্যা ৮টি।শ্রমিকদের বাধার কারণে যেসব কারখানা কার্যত অচল সেগুলো হলো বেক্সিমকো গ্রুপ, ডরেন গার্মেন্টস (১৩/১ ধারায় বন্ধ), ডরেন অ্যাপারেলস (১৩/১ ধারায় বন্ধ), ডরেন ফ্যাশন (১৩/১ ধারায় বন্ধ), আইরিশ ফেব্রিক্স, কেএসি কোম্পানি লিমিটেড, এক্সাকো লিমিটেড, ওয়াইপি গাজীপুর লিমিটেড, হামিম নিটওয়্যার, অকোটেক লিমিটেড এবং উত্তরা নিটওয়্যার লিমিটেড।শ্রম আইনের ১৩ (১) ধারায় বলা আছে, কোনো প্রতিষ্ঠানের কোনো শাখা বা বিভাগে বেআইনি ধর্মঘটের কারণে মালিক উক্ত শাখা বা প্রতিষ্ঠান আংশিক বা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিতে পারবেন। একই সঙ্গে ধর্মঘটে অংশগ্রহণকারী শ্রমিকরা কোনো মজুরি পাবেন না।এবি 

    শিক্ষাঙ্গন

    সব দেখুন
    আ.লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাবিতে কফিন মিছিল
    আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ ফ্যাসিবাদী শক্তি ও তাদের রাজনৈতিক তৎপরতা নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে কফিন মিছিল করেছে ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতা’। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) থেকে ‘ফ্যাসিবাদের কফিন মিছিল’ ব্যানারে মিছিলটি কলাভবন প্রদক্ষিণ করে মধুর ক্যান্টিনের সামনে এসে শেষ হয়। মিছিলের আগে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।সমাবেশে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও নাহিদ ইসলামকে উদ্দেশ্য করে ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, আপনারা গণঅভ্যুত্থানের চেতনা ধারণ করে কাজ করুন। আপনাদের ওপর কি কেউ বন্দুক ধরে রেখেছে, এমন প্রশ্ন ছুড়ে তিনি বলেন, আপনারা ভয় পাবেন না, নির্ভয়ে কাজ করুন। আমরা আপনাদের ব্যর্থ হতে দেব না।ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, আন্দোলনের সময় হত্যায় জড়িতদের এখনো গ্রেফতার করা হয়নি। তিনি শহিদদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশের দাবি জানিয়ে বলেন, আহতদের চিকিৎসা সেবা যথাযথভাবে দেওয়া হচ্ছে না। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে আপনারা কি পদক্ষেপ নিয়েছেন তা আমাদের জানান।বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, প্রধান উপদেষ্টা যদি মনে করেন আওয়ামী লীগকে এদেশের জনগণ চায়, তাহলে তাদের (আওয়ামী লীগের) ব্যাপারে গণভোটের আয়োজন করুন। একই সঙ্গে যারা তাদের (আওয়ামী লীগকে) চায় তাদেরকেও আগামী নির্বাচনে সাধারণ মানুষ চায় কিনা এমন প্রশ্ন রাখেন তিনি। এ সময় বিন ইয়ামিন মোল্লা কয়েকটি দাবি উত্থাপন করে বলেন, আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও তাদের দোসররা আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। তারা স্বতন্ত্রভাবেও নির্বাচন করতে পারবে না। গণহত্যাকারী কর্মকর্তাদের ডিভিশন বাতিল করতে হবে ও আওয়ামী লীগকে নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য পরিষ্কার করতে হবে। আরেক সংগঠক জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, আমরা নতুন বাংলাদেশের ১০০ দিন পার করছি। আমরা দেখছি, ফ্যাসিবাদীরা উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে, মন্ত্রণালয়ে তারা ঘুরাফেরা করছে। উপদেষ্টা পরিষদেও তাদের অংশগ্রহণ দেখছি। আমরা তাদের প্রতিহত করব।এসএফ 
    ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজ বন্ধ ঘোষণা
    রাজধানীর ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের সব ক্লাস আগামীকাল বৃহস্পতিবার বন্ধ থাকবে। অনিবার্য কারণবসত এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।বুধবার ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াস ও সিটি কলেজে অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) স্বাক্ষরিত আলাদা দুটি বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।ঢাকা কলেজ তাদের বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বৃহস্পতিবার সব ক্লাস বন্ধ থাকবে। তবে অফিস ও বিভাগসমূহ খোলা থাকবে এবং নির্ধারিত পরীক্ষাসমূহ অনুষ্ঠিত হবে।অন্যদিকে সিটি কলেজের বিজ্ঞপ্তিতে অনিবার্য কারণবসত বৃহস্পতিবার সব ক্লাস বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে।এর আগে বুধবার দুপুর থেকে সায়েন্সল্যাব মোড়ে ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ বাঁধে। তিন ঘণ্টা ধরে চলে এই সংঘর্ষ। এতে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বেশকিছু শিক্ষার্থী আহত হন। আহতরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ আশপাশের বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নিয়েছেন।এসএফ 
    যবিপ্রবিতে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী সমিতির সকল কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা
    ক্যাম্পাসে হৃদ্যতাপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী সমিতির সকল কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।বুধবার (২০ নভেম্বর) রেজিস্ট্রার (চলতি দায়িত্ব) মোঃ এমদাদুল হক স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। অফিস আদেশে বলা হয়, শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রমকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া, পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়ন ও ক্যাম্পাসে হৃদ্যতাপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার জন্যে আগামী ২০ নভেম্বর ২০২৪ তারিখ হতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত শিক্ষক,কর্মকর্তা ও কর্মচারী সমিতির সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখার জন্য অনুরোধ করা হলো।এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. ইঞ্জি. মোঃ আমজাদ হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার্থে সহকর্মীদের মধ্যে যাতে হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক বজায় থাকে এবং শিক্ষা-গবেষণা কার্যক্রমকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয় সেজন্য শিক্ষক,কর্মকর্তা ও কর্মচারী সমিতির কার্যক্রম বন্ধ রাখা।এমআর
    ইস্পাহানি-প্রথম আলো ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৪
    গেল বছর ইস্পাহানি-প্রথম আলো আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয় (গবি) এবারও শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নামছে। আগামী ৩০ নভেম্বরের ম্যাচে অংশগ্রহণ করবে বিশ্ববিদ্যালয়টি। গত ১৭ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া ইস্পাহানি-প্রথম আলো আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় আসরে দেশের ৪২টি বিশ্ববিদ্যালয় অংশ নিচ্ছে। প্রতিযোগিতায় দেশের চারটি অঞ্চল (ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও খুলনা) থেকে আটটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে দলগুলো নকআউট পদ্ধতিতে খেলবে। গবি ঢাকা অঞ্চলের 'গ্রুপ-এফ'-এ খেলছে, যেখানে রয়েছে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি, অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অফ ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি। প্রসঙ্গত, আগামী ৩০ নভেম্বর দুপুর ২:৩০ টায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মাঠে টুর্নামেন্টের ১৮ তম ম্যাচের (জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বনাম বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অফ ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি) বিজয়ী দলের মুখোমুখি হয়ে প্রথম ম্যাচ খেলবে গবি। প্রতিটি গ্রুপের সেরা দল নিয়ে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে চূড়ান্ত পর্বের খেলা।এমআর

    তথ্য-প্রযুক্তি

    সব দেখুন
    এআই জেনারেটেড প্রোফাইল পিকচার আসছে ইনস্টাগ্রামে
    মেটার মালিকানাধীন জনপ্রিয় ফটো শেয়ারিং অ্যাপ ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে সংযোগ রক্ষার পাশাপাশি অচেনা মানুষদের সঙ্গেও বন্ধুত্ব তৈরি করা সম্ভব। সম্প্রতি ইনস্টাগ্রাম এআই জেনারেটেড প্রোফাইল পিকচার ফিচার চালুর উদ্যোগ নিয়েছে যা ব্যবহারকারীদের অনন্য, ক্রিয়েটিভ এবং ব্যক্তিগতকৃত প্রোফাইল পিকচার তৈরি করতে সহায়তা করে।এই ফিচারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদের পছন্দের ডিজাইন এবং স্টাইল অনুযায়ী প্রোফাইল ছবি তৈরি করতে পারবেন। ১) একাধিক স্টাইলের অপশন: ব্যবহারকারীরা বাস্তবসম্মত, কার্টুনিশ, ফ্যান্টাসি, কিংবা বিমূর্ত স্টাইলে প্রোফাইল ছবি তৈরি করতে পারেন।২) ব্যক্তিগতকরণ: আপনার ছবি আপলোড করে সেটিকে এআই-এর মাধ্যমে বিভিন্ন ফিল্টার ও এফেক্টে রূপান্তর করতে পারবেন।৩) সহজ ব্যবহারযোগ্যতা: ফিচারটি ব্যবহার সহজ এবং অ্যাপের ভেতর থেকেই সরাসরি কাজ করা যায়।৪) ইউনিক ডিজাইন: প্রতিটি ছবি একেবারেই আলাদা ও ইউনিক, যা আপনার প্রোফাইলকে বিশেষভাবে তুলে ধরবে।এআই-জেনারেটেড প্রোফাইল পিকচার অপশনের উপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছে ইনস্টাগ্রাম যা মেটা লামা থ্রি এআই মডেল দ্বারা চালিত হবে। যদিও এটি আপাতত পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর্যায়ে রয়েছে। তবে ইনস্টাগ্রামে ব্যাবহারকারীদের জন্য খুব শিগগিরই এ ফিচার চালু করে দেওয়া হবে।এআই জেনারেটেড ছবি ব্যবহার করার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন এটি প্রোফাইলের উদ্দেশ্যের সঙ্গে মানানসই হয়। এছাড়া, সৃজনশীল ডিজাইন ব্যাবহার করতে হবে যাতে অন্যদের কাছে তা আকর্ষণীয় মনে হবে।  ফিচারটি ইনস্টাগ্রামের প্রোফাইল আপডেটকে আরও সৃজনশীল এবং আকর্ষণীয় করে তুলবে।এইচএ
    শীতে এসি বন্ধ রাখার আগে যা করবেন
    শীত প্রায় দোর গোড়ায়, আর শীত পড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রায় সবারই এসি বন্ধ থাকে। এতে ৩-৪ মাস বন্ধ থাকবে এসি। তারপর শীত শেষে আবার এসি চালিয়ে নানান ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তাই আগেই কয়েকটি কাজ করতে পারেন। এতে দীর্ঘদিন এসি বন্ধ থাকলেও কোনো সমস্যা হবে না।চলুন তবে জেনে নেই শীতে এসি বন্ধ রাখার আগে করণীয় কী?*** প্রথমেই যে কাজটি করতে হবে তা হচ্ছে এসি আনপ্লাগ করে রাখতে হবে। এতে শর্ট সার্কিটের ভয় থাকবে না।*** এবার আসা যাক সাফাইয়ে। এসির ফিল্টার দিয়ে শুরু করা যাক। স্প্লিট এসি হলে সামনের ঢাকনাটা আলতো করে তুলে ফিল্টার বের করে নিলেই হলো। উইন্ডো এসির ক্ষেত্রে ফ্রন্ট প্যানেল খুলে তা বের করতে হবে। এর পর পানি আর সাবান দিয়ে ধুয়ে নরম পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছে লাগিয়ে দিলেই হল।*** এসির ভেতরে থাকে ইভাপোরেটর কয়েল আর বাইরে থাকে কনডেনসার কয়েল। দুটোই সাফ রাখা দরকার। স্প্লিট এসি হলে সামনের ঢাকনাটা আলতো করে তুলে একটা নরম পরিষ্কার কাপড় দিয়ে ইভাপোরেটর কয়েল মুছে নিতে হবে। আউটডোর ইউনিটের ক্ষেত্রে কয়েল ক্লিনার স্প্রে ব্যবহার করলে ভালো হয়, কেন না কনডেনসার কয়েলে ধুলো জমে বেশি।*** অনেকেই নিশ্চয়ই দেখেছেন সার্ভিসিংয়ের সময়ে ইঞ্জিনিয়াররা একটা টুথব্রাশ দিয়ে এসির ভেতরে একটা জায়গা সাফ করেন। ওটাকে বলে ফিন। আমাদেরও টুথব্রাশ দিয়েই তা করতে হবে। কোনো ফিনে বেন্ট থাকলে ফিন কম্ব দিয়ে তা আলতো করে সোজা করে দিতে হবে।*** এসির আর্দ্রতা যে অংশ শুষে নেয়, তাকে বলে কনডেনসেশন লাইন। এই জায়গাটা খুঁজে বের করে ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে জমে থাকা ময়লা টেনে বের করে আনতে হবে।*** আউটডোর ইউনিটে ময়লা জমে সবচেয়ে বেশি। তাই ওটা পানি দিয়ে ধুতে হবে। একটা পাইপ দিয়ে পানি ছিটিয়ে ছিটিয়ে ধোয়া যায়। তবে খুব বেশি পানি দেওয়া যাবে না, যাতে মেশিনের ক্ষতি না হয়।*** বাকি থাকে কেবল দুটো কাজ। এর পর ইনডোর আর আউটডোর ২ ইউনিট ঢেকে রাখতে পারলে ভালো হয়। তাতে ধুলা জমবে না।*** আরেকটা যেন কী করতে হবে? এসিতে ময়লা বেশিরভাগক্ষেত্রেই জমে পরিবেশ দূষণের জন্য। তাই ঘরে একটা এয়ার পিউরিফায়ার রাখতে পারলে এসিতে ময়লা জমার পরিমাণ অনেক কম হয়ে আসবে। 
    সাংবাদিক শফিক রেহমানও আ.লীগের ছোবল থেকে রক্ষা পাননি: রিজভী
    বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, শফিক রেহমান একজন বর্ষীয়ান সাংবাদিক। ৯০ বছর বয়সেও যিনি দেশ ও গণতন্ত্রের জন্য অবদান রেখেছেন, জাতির কাছে তা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদের কাছে কোনো শ্রেণির মানুষই রেহাই পায়নি। এই বর্ষীয়ান সাংবাদিক শফিক রেহমানও তাদের ছোবল থেকে রক্ষা পায়নি। শুধুমাত্র গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের কথা বলায় অন্যায়ের প্রতিবাদ করাতে এই বৃদ্ধ বয়সেও তাকে কারাগারে নিয়েছে পতিত আওয়ামী স্বৈরশাসক। শুধু তাই নয়, তাকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছিল। সোমবার বিকালে প্রখ্যাত সাংবাদিক শফিক রেহমানের ৯০তম জন্মদিন উপলক্ষে তার ইস্কাটনের বাসভবনে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগ কখনই ভিন্নমত সহ্য করতে পারে না। কোনো রাজনৈতিক দল যদি প্রতিবাদ করে তাহলে সেই দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে শুরু করে দমন-পীড়ন। কোনো গণমাধ্যম যদি সত্য কথা তুলে ধরে তাহলে বন্ধ করে দেওয়া হয় সেই গণমাধ্যম। আর কোনো সাংবাদিক কলমের মাধ্যমে সত্য তুলে ধরার চেষ্টা করলে তো আর রক্ষাই নেই- হয় খুন, না হয় গুম অথবা দেশত্যাগে বাধ্য করা হয়। এ সময় বিএনপির সহ-অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন উপস্থিত ছিলেন।এসএফ 
    ফের ২৫ পয়সা কলরেটে ফিরছে সিটিসেল
    আবারও সাশ্রয়ী মূল্যে কথা বলার সুযোগ দিতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে ফিরছে বাংলাদেশের প্রথম সিডিএমএ প্রযুক্তির মোবাইল ফোন অপারেটর সিটিসেল।সম্প্রতি রাজধানীর মহাখালীতে অবস্থিত সিটিসেলের হেড অফিস থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।জানা গেছে, ১৯৮৯ সালে বিটিআরসি থেকে মোবাইল ফোন প্রবর্তনের জন্য বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড (বিটিসিএল) তরঙ্গ দৈর্ঘ্য বরাদ্দ লাভ করে। লাইসেন্স নেওয়ার পরের বছর হংকং হাচিসন টেলিকমিউনিকেশন লিমিটেড ওই কোম্পানিতে বিনিয়োগ করলে এর নাম বদলে হয় হাচসন বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড। ১৯৯৩ সালে এটির মালিকানায় আবার পরিবর্তন আসে। বিএনপির সাবেক সিনিয়র নেতা ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোরশেদ খানের মালিকানাধীন প্যাসিফিক মটরস ও ফারইস্ট টেলিকম মিলে এইচবিটিএল-এর শেয়ার কিনে নেয়। কোম্পানির নাম বদলে হয় প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড ও সিটিসেল নামে ব্র্যান্ডিং শুরু হয়। ২০০৪ সালে এ কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে সিঙ্গাপুরের সিংটেল। ২০০৭ সালের শেষের দিকে সিটিসেল নতুন লোগো উন্মোচন করে। গ্রাহক সংখ্যার দিক থেকে এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম মোবাইল অপারেটর কোম্পানি ছিল। কিন্তু ২০১৬ সালে তৎকালীন আওয়ামী সরকারের রোষানলে সিটিসেলের লাইসেন্স বাতিল করা হয়। ওই বছরের ২০ অক্টোবর বিটিআরসি কোম্পানিটির কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়। এ সময় এর গ্রাহক সংখ্যা ছিল ৬ লাখের কিছু বেশি। ৩ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সিটিসেলের তরঙ্গ আবার খুলে দেওয়া হয়। যা ৬ নভেম্বর আবার বন্ধ করা হয়। ২০২৩ সালে সিটিসেলের লাইসেন্স চূড়ান্তভাবে বাতিল করা হয়।সিটিসেল বন্ধের সময় বিটিআরসির এক বিজ্ঞপ্তিতে দেখা যায়, সিটিসেলের কাছে সরকারের পাওনা ছিল ৪৭৭ কোটি টাকা। পরে ২৪৪ কোটি টাকা পরিশোধ করে সিটিসেল। সে হিসাবে সিটিসেলের বকেয়া ২৩৩ কোটি টাকা। কিন্তু কোর্টের গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্টে দেখা যায়, সিটিসেলকে ১০ মেগা হার্জ তরঙ্গ বরাদ্দ দেওয়ার কথা থাকলেও দেওয়া হয়েছে ৮ দশমিক ৮২ মেগা হার্জ। সে হিসাবে সিটিসেলের কাছে সরকারের সবশেষ মোট বকেয়ার পরিমাণ ১২৮ কোটি টাকা।গত ১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে (বিটিআরসি) চিঠি পাঠিয়ে অপারেটিং ও রেডিও ইকুইপমেন্ট লাইসেন্স দুটি ফেরত চেয়েছে। চিঠিতে কোম্পানিটি দাবি করেছে, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে প্রথমে তাদের তরঙ্গ স্থগিত করা হয়। এ জন্য সাবেক টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমকে দায়ী করেছেন তারা।বিটিআরসিকে পাঠানো চিঠিতে প্যাসিফিক টেলিকম জানায়, তরঙ্গ বন্ধ করায় গত ৮ বছরে ব্যাংক ঋণ, কর্মচারীদের বকেয়া, অবকাঠামোর ক্ষতি–সবমিলিয়ে তাদের প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। ৮ বছর কার্যক্রম বন্ধ থাকায় প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আয় সম্ভব হয়নি। এতে সরকার প্রায় ৪৩০ কোটি টাকা কর ও ফি থেকে বঞ্চিত হয়েছে। তারা এখন লাইসেন্স বাতিলের জন্য জারি করা পত্রের প্রত্যাহার চায়। পাশাপাশি প্রযুক্তি নিরপেক্ষ লাইসেন্স চায়, যাতে ফাইভজিও অন্তর্ভুক্ত থাকবে। তারা এজন্য অর্থ পরিশোধ করবে, তবে তা রাজস্ব আদায়ের পর।সিটিসেলের চিফ স্ট্রেটিজিক অ্যাডভাইজার মেহবুব চৌধুরী জানান, তারা কোন কিছু আইনের বাইরে যেয়ে করেননি। সিটিসেলের ফ্রিকুয়েন্সি পাওয়ার কথা ছিল ১০ মেগা হার্জ, তাদের লাইসেন্সেও তাই ছিল। তবে অনুমোদনের কাগজে তারা ফ্রিকোয়েন্সি পান রিজোনাল ৬ মেগা হার্জ, আর ঢাকায় ৮ দশমিক ৮২ মেগা হার্জ।তিনি জানান, লাইসেন্স পাওয়ার পর তারা বিটিসিএল অফিসে গেলে তারা বলে আপনার এই মেগা হার্জই পাবেন। অথচ সিটিসেল ১০ মেগা হার্জের টাকাই পরিশোধ করে সরকারকে। তারা দ্বিতীয়বারের মতো সিটিসেলকে কোনো সুযোগই দেয়নি। কম ফ্রিকোয়েন্সি দিয়ে ১০০ কোটির বেশি টাকা পাওনা করা হয়েছিল তাদের কাছে। সেই টাকা পরিশোধ না করায় এই টেলিকম কোম্পানিটিকে বন্ধ করে দেওয়া হয়।সিটিসেলের হেড অব দ্যা টেজরি মাকসুদা হাবিব বলেন, ২০১৬ সাল থেকে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন তারা। সেই সঙ্গে ব্যাংকের লস তো আছেই। তাদের ব্যান্ড ভ্যালু ক্ষুণ্ন হয়েছে, সেই সঙ্গে কোম্পানিটির সঙ্গে যুক্ত প্রায় ৫ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সরকার প্রায় ৪৩০ কোটি টাকা কর ও ফি বঞ্চিত হয়েছে।বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. এমদাদ উল বারী বলেন, সিটিসেল আবেদন করেছে। আমারা তাদের সঙ্গে বসব।এফএস
    প্রতারণা বন্ধে প্রায় ২ লাখ অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করেছে ইমু
    সাইবার নিরাপত্তার হুমকির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম ইমু। প্ল্যাটফর্মটি এ বছর জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হ্যাকিং, হয়রানি ও প্রতারণার সাথে সম্পৃক্ত ১ লাখ ৭৯ হাজার ডিভাইস শনাক্ত ও নিষিদ্ধ করেছে। একইসাথে, ইমু অত্যাধুনিক ‘অটো টেকনোলজি’র মাধ্যমে হ্যাকিং ঝুঁকি শনাক্ত ও প্রতিরোধে পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে ৪ লাখ ৩৫ হাজার অ্যাকাউন্টকে হ্যাকিংয়ের ঝুঁকি থেকে সুরক্ষিত রেখেছে। পাশাপাশি দেশের ব্যবহারকারীদের ৯ হাজার ৬০০টি অ্যাকাউন্ট পুনরুদ্ধার করতেও সহায়তা করেছে ইমু। ২০২৪ সালের প্রথম তিন প্রান্তিকে ইমু প্রতারণা ও হয়রানির সাথে সংশ্লিষ্টতায় তাৎক্ষণিকভাবে যথাক্রমে ১৮০০টি ও ৬ লাখ ৬৭ হাজার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেছে ইমু। ডিজিটাল ক্ষমতায়নের পথ প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে হুমকি। লিঙ্গ বা বয়স নির্বিশেষে যেকোনো ইন্টারনেট ব্যবহারকারীই বিভিন্ন ধরনের সাইবার হুমকির মুখে পড়তে পারেন। এক্ষেত্রে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্মগুলোর উচিত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। বিগত বছরগুলো থেকে ব্যবহারকারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করে আসছে ইমু। এছাড়া অ্যাকাউন্টের ওপর ব্যবহারকারীদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তাদের ক্ষমতায়নে কার্যকরী সব ফিচার চালু করেছে।উদাহরণস্বরূপ, ইমু’র ‘লগইন প্রোটেকশন’ ফিচার ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা নিশ্চিতে অত্যন্ত কার্যকর। এছাড়াও ইমু’তে রয়েছে ‘টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন’ ও ‘ট্রাস্টেড ডিভাইস’ -এর মতো সুরক্ষা ফিচার। সুরক্ষা নিশ্চিতে আরও রয়েছে ‘সিম বাইন্ডিং ফিচার।’ এসব ফিচার ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্টে শুধুমাত্র নির্ভরযোগ্য ও অনুমোদিত ডিভাইসের মাধ্যমে লগইন নিশ্চিত করতে সহায়তা করে। এছাড়াও ব্যবহারকারীরা অতিরিক্ত সুরক্ষায় ইমু অ্যাকাউন্টে লগইন করার সময় নিয়মিত ‘ম্যানেজ ডিভাইস’ চেক করলে সন্দেহজনক ডিভাইস অপসারণ করতে পারেন; অথবা দুই বা ততোধিক ডিভাইস ব্যবহার না করলে, ‘মাল্টি ডিভাইস’ ফাংশন ডিঅ্যাক্টিভেট করে রাখতে পারেন।এইচএ
    আইফোন ব্যবহারকারীদের জন্য সতর্কতা
    তথ্য চুরির পাশাপাশি আইফোন অকেজো করতে পারে এমন স্পাইওয়্যারের সন্ধান পেয়েছে নেদারল্যান্ডসভিত্তিক সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান থ্রেটফ্যাব্রিক।রোববার (৩ নভেম্বর) দ্য হ্যাকার নিউজের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।থ্রেটফ্যাব্রিকের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইফোনের জন্য বিশেষভাবে তৈরি স্পাইওয়্যারটির নাম ‘লাইটস্পাই’। যা এর আগের সংস্করণের চেয়েও অনেক বেশি শক্তিশালী। সাইবার অপরাধীদের তৈরি নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে প্রবেশ করলেই স্পাইওয়্যারটি আইফোনে প্রবেশ করে। ফলে ব্যবহারকারীদের অজান্তে তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি আইফোনকে পুরোপুরি অকেজো করে দিতে পারে অপরাধীরা।প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, লাইটস্পাই যে ডিভাইসে প্রবেশ করে সেই ডিভাইসের ফোন নম্বর, ফোন কলের ইতিহাস ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কের তথ্য, স্ক্রিনশট, অবস্থান, আইক্লাউড, সাউন্ড রেকর্ডিং, ছবি, ইন্টারনেট ব্যবহারের ইতিহাসসহ আদান-প্রদান করা বার্তার তথ্য সংগ্রহ করতে পারে।লাইটস্পাই এমনই শক্তিশালী যে এটি টেলিগ্রাম, উইচ্যাট এবং হোয়াটসঅ্যাপের মতো অ্যাপের তথ্য সংগ্রহ করার পাশাপাশি আইফোন থেকে বিভিন্ন বার্তা বা ফোন নম্বরও মুছে ফেলতে সক্ষম।আইফোনকে যেভাবে আক্রান্ত করে লাইটস্পাইওয়েবকিট এক্সপ্লোইট ব্যবহার করে একটি ডট পিএনজি এক্সটেনশনের ফাইলের মাধ্যমে আইফোনে প্রবেশ করে লাইটস্পাইটি। পরে ফ্রেমওয়ার্কলোডার নামের একটি কম্পোনেন্টের মাধ্যমে স্পাইওয়ারের মূল কোর মডিউল ও অন্যান্য প্লাগইন গোপনে ডাউনলোড করে। এসব মডিউল ও প্লাগইন আলাদা ফোল্ডার তৈরি করে আইফোনের বিভিন্ন তথ্য সংরক্ষণ করে। একই সঙ্গে সেসব সাইবার অপরাধীদের কাছে পাঠায়।নিরাপদ থাকতে যে পদক্ষেপ নিতে হবেথ্রেটফ্যাব্রিক জানিয়েছে, লাইটস্পাইয়ের আক্রমণ থেকে নিরাপদ থাকতে আইফোন ব্যবহারকারীদের আইওএস হালনাগাদ করতে হবে। একই সঙ্গে সন্দেহজনক লিংক কিংবা ওয়েবসাইটে প্রবেশ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।এসএফ

    আইন-আদালত

    সব দেখুন
    এবার শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা করলেন যুবলীগ কর্মী
    এবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৮৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন যুবলীগের এক কর্মী। তার নাম কফিল উদ্দিন।  চট্টগ্রাম নগরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলায় নেতৃত্বদানকারী যুবলীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত তিনি। মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানসহ আওয়ামী, যুবলীগের নেতা-কর্মীকেও আসামি করা হয়েছে। মহানগরের নন্দনকানন এলাকার বাসিন্দা কফিল উদ্দিন গত সোমবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালতে মামলাটি করেন। আদালত বাদীর বক্তব্য শুনে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।এই মামলার পরপরই শুরু হয়েছে নতুন আলোচনা-সমালোচনা। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, মামলার বাদীর বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় অস্ত্র ও মাদকসহ তিনটি মামলা এবং আনোয়ারা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) রয়েছে। গ্রেপ্তার হয়ে একাধিকবার কারাগারেও গেছেন তিনি।মামলাটির আসামিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য-সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল মামুন, সাবেক সংসদ সদস্য এম এ মোতালেব, মজিবুর রহমান, জাতীয় পার্টির চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি সোলায়মান আলম শেখ, পিবিআই সাবেক প্রধান বনজ কুমার মজুমদার, ডিবি সাবেক প্রধান হারুন অর রশিদ, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার সরকার, সাবেক পুলিশ কমিশনার সাইফুল ইসলাম, চট্টগ্রামের কোতয়ালী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবায়দুল হক।মামলার অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেন, তিনি গত ৪ আগস্ট নগরের নিউমার্কেট গোলচত্বর এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেন। ওই দিন আসামিদের কয়েকজনের নির্দেশে ও পরিকল্পনায় বাকি আসামিরা গুলি করেন। ককটেল বিস্ফোরণও ঘটান। এতে কফিল হাতে আঘাত পান। ঘটনার পর হাসপাতালে ভর্তি হন। ঘটনায় জড়িত আসামিদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ ও সুস্থ হতে সময় লাগায় মামলা করতে দেরি হয়।এফএস

    প্রবাস

    সব দেখুন
    কুয়েতে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল বাংলাদেশি যুবকের
    কুয়েতে সড়ক দুর্ঘটনায় আবু বক্কর আনসারি নামে এক প্রবাসী বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। রোববার (১৭ নভেম্বর) দেশটির জাহারা অঞ্চলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।নিহত প্রবাসীর বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর থানায় চাতলপুর ইউনিয়নের ফকিরদিয়া গ্রামে। তিনি ওই এলাকার হাজী কবির আনসারির ছেলে। আবু বাক্কার তিন সন্তানের বাবা।আবু বাক্কারের স্বজনরা জানান, দীর্ঘ ২০ বছর যাবত কুয়েতে প্রবাসে জীবনযাপন করছেন শেখ আবু বাক্কার আনসারী। কুয়েতে তিনি প্রাইভেটকার রাইড শেয়ারিং করতেন। ঘটনার দিন রাইড শেয়ারিং করতে গিয়ে তার প্রাইভেটকারটি দুর্ঘটনার শিকার হয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।নিহতের প্রতিবেশী নিয়ামুল ভূইয়া জানান, শেখ আবু বাক্কার আনসারী দীর্ঘদিন যাবত কুয়েত প্রবাসে থাকেন। আজ রাতে প্রাইভেটকার দুর্ঘটনায় তিনি মারা যান। ব্যক্তি হিসেবে তিনি অত্যন্ত ভালো মানুষ ছিলেন। তার পরিবার লাশ আনার জন্য যোগাযোগ করছেন।

    লাইফস্টাইল

    সব দেখুন
    ঘরের নানা কাজে টুথপেস্ট
    চলুন জেনে নেওয়া যাক টুথপেস্টের বিভিন্ন ব্যবহার সম্পর্কে১. জুতো পরিষ্কার করতে কিন্তু বেশ উপকারী টুথপেস্ট। স্নিকার্স বা চামড়ার জুতোয় লাগিয়ে নিন। তারপর শুকনো নরম কাপড় দিয়ে ঘষে মুছে নিলেই নতুনের মতো চকচক করবে আপনার কাদা লাগা জুতোও।২. বাড়িতে শিশু থাকলে দেয়ালে আঁকিবুঁকি থাকবেই। আঁকিবুকি তুলতে নরম কাপড় বা ব্রাশে টুথপেস্ট লাগিয়ে দেওয়ালে মাখিয়ে নিন। তার পর শুকনো কাপড় দিয়ে ঘষে তুলে ফেলুন। তবে জেল টুথপেস্ট ব্যবহার করবেন না কিন্তু।৩. বাথরুমের আয়নায় বাষ্প জমে যায়। এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন টুথপেস্ট ব্যবহার করে। নন-জেল টুথপেস্ট আয়নায় লাগিয়ে পাতলা কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করে ফেলুন। আয়না ঝাপসা হবে না।৪. চা বা কফি মগের হলুদ দাগ তুলতে প্রথমে কিছুক্ষণ টুথপেস্ট লাগিয়ে রেখে দিন। এবার সেটিকে ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। নিমেষে ঝকঝকে হয় উঠবে কাপ।।৫. রান্না করার পরে কিছুতেই হাত থেকে পেঁয়াজ-রসুনের গন্ধ দূর করতে কয়েক ফোঁটা টুথপেস্ট লাগিয়ে ভালো করে ঘষে নিন। তার পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। মুহূর্তে দুর্গন্ধ দূর হয়ে যাবে।৬.হঠাৎ কাপড়ে কলমের দাগ লেগে গেছে? দুশ্চিন্তার কিছু নেই। টুথপেস্টের সাহায্যে তুলে ফেলুন চট করে। দাগের উপরে সাদা টুথপেস্ট লাগিয়ে জোরে জোরে ঘষুন। বার কয়েক করলে উঠে যাবে কালির দাগ। দাগ উঠে গেলে ডিটারজেন্ট দিয়ে ধুয়ে ফেলুন কাপড়। লিপস্টিকের দাগও দূর করতে পারবেন একইভাবে।৭. স্পঞ্জে টুথপেস্ট নিয়ে সিঙ্ক ঘষে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ঝকঝকে হওয়ার পাশাপাশি দুর্গন্ধও দূর হবে।৮. কাঠের আসবাবে পানির সাদাটে দাগ পড়েছে? দাগ ওঠাতে সাহায্য নিন টুথপেস্টের।৯. কার্পেটে চা অথবা কফির দাগ পড়লে খানিকটা টুথপেস্ট ঘষে পরিষ্কার করে নিন।১০. ইস্ত্রির সামনের অংশে দাগ লেগে থাকলে কাপড়ও নোংরা হয়ে যায়। একটি নরম কাপড়ে টুথপেস্ট লাগিয়ে পরিষ্কার করে আরেকটি কাপড়ের সাহায্যে মুছে ফেলুন ইস্ত্রি।১১. পুরনো নরম ব্রাশে সামান্য টুথপেস্ট লাগান। তার পর তা দিয়ে ধীরে ধীরে ঘষুন রুপোর গয়না। এর পর পাতলা কাপড় দিয়ে আলতো করে মুছে পরিষ্কার করে নিন। কালচে দাগ উঠে একেবারে চকচকে হয়ে যাবে।এমআর

    Loading…