এইমাত্র
  • লাখ মুসল্লির অংশগ্রহণে দিনাজপুরে দেশের সবচেয়ে বড় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত
  • ঈদের জামাতে দ্রুত নির্বাচন চেয়ে দোয়া প্রার্থনা
  • আগামীতে আরও বড় পরিসরে ঈদ উদযাপন করব: উপদেষ্টা আসিফ
  • যত বাধাই আসুক ঐক্যবদ্ধ থেকে নতুন বাংলাদেশ গড়ব
  • জাতীয় ঈদগাহে প্রধান উপদেষ্টার ঈদের নামাজ আদায়
  • লোহাগাড়ায় ২ বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৫ জন নিহত
  • জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত
  • ঈদের দিনেও গাজায় ই’রায়েলি হামলা, নিহত ৬৪
  • ঈদে মুসলিমদের শুভেচ্ছা জানাল পুতিন
  • বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত
  • আজ সোমবার, ১৭ চৈত্র, ১৪৩১ | ৩১ মার্চ, ২০২৫
    লাখ মুসল্লির অংশগ্রহণে দিনাজপুরে দেশের সবচেয়ে বড় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত
    ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সারাদেশে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদের সবচেয়ে বড় জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে দিনাজপুরের ঐতিহাসিক গোর-এ-শহীদ বড় ময়দানে। সকাল ৯টায় প্রায়  লাখ মুসল্লির অংশগ্রহণে সেখানে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।ঐতিহাসিক এ ঈদের জামাতে অংশ নিতে দিনাজপুর সদর উপজেলা ছাড়াও জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও আশপাশের কয়েকটি জেলার মুসল্লিরা আসেন। জামাতে ইমামতি করেন মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান।বৃহৎ এ জামাতকে ঘিরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ছিল কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা। সিসিটিভি ক্যামেরার পাশাপাশি ছিল কঠোর গোয়েন্দা নজরদারি। মাঠের আশপাশে র‌্যাব, বিজিবি, পুলিশ, আনসার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অন্যান্য সদস্যরাও তৎপর ছিলেন।নামাজে অংশ নেন জেলা প্রশাসক রফিকুল ইসলাম, দিনাজপুর পৌর প্রশাসক বিয়াজুল ইসলাম,দিনাজপুর পুলিশ সুপার মারুফাত হুসাইন মারুফ,জেলা বিএনপির সভাপতি সাধারন সম্পাদক, জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমিরসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও কর্মীরা।জেলার নীলফামারী থেকে ঈদ জামায়াতে আসা মুসল্লী তামিরুল হক বলেন, একসাথে এত বেশি মুসল্লী একসাথে নামাজ আদায় করে নিজেকে গর্বিত মনে করছি।ঠাকুরগাঁও জেলা থেকে ঈদ জামায়াতে আসা মুসল্লী ডা জাকির হোসেন বলেন,দীর্ঘ দিনের ইচ্ছে আজ আল্লাহর রহমতে পুরন হলো। একসাথে লাখ মুসল্লী ঈদের নামাজ আদায় করলাম। আল্লাহ আমাদের রোজ ও নামাজ গুলো কবুল করুন।গোর-এ-শহীদ বড় ময়দানের ইমাম মাওলানা মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান বলেন, আল্লাহ তালার রহমতে দেশের সবচেয়ে বড় ঈদগাহ মাঠে মুসল্লীর সুন্দর ভাবে নামাজ আদয়া করতে পেরেছে। আমারা নামাজ শেষ মোনাজাতের মাধ্যমে দেশ ও জাতীর মঙ্গল কামনায় দোয়া করেছি।বিশেষ করে ফিলিস্তিনি মুসলিমদের জন্য দোয়া করেছি আল্লাহ তাদের হেফাজত করবেন।৭১ ও ২৪ সালের নিহতদের আত্মার  মাগফেরাত কামনা করছি।জেলা প্রশাসক রফিকুল ইসলাম বলেন, দেশের সবচেয়ে বড় ঈদগাহ মাঠ ঐতিহাসিক গোর-এ-শহীদ বড় ময়দানে লাখো মুসল্লীর উপস্থিতিতে সুন্দর ভাবে ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠর নজরদারি ছিলো সবমিলিয়ে আলহামদুলিল্লাহ সুন্দর ভাবে নামাজ সম্পন্ন হয়েছে। জানা যায়, বিভিন্ন স্থান থেকে বড় বড় ঈদগাহ মাঠের চিত্র নিয়ে এসে এ মাঠের নির্মাণ পরিকল্পনা করা হয়। সর্বপ্রথম মাঠের পশ্চিম প্রান্তে গত ২০১৫ সালে এ ঈদগাহ মাঠের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। প্রায় দেড় বছর পর এটি নামাজের জন্য পুরো প্রস্তুত করা হয়। এ ঈদগাহে রয়েছে ৫২টি গম্বুজের দুই ধারে ৬০ ফুট করে দু’টি মিনার, এর মধ্যের দুটি মিনার ৫০ ফুট করে এবং প্রধান মিনারের উচ্চতা ৫৫ ফুট। এসব মিনার আর গম্বুজের প্রস্থ হলো ৫১৬ ফুট। দেশের বড় ঐতিহাসিক গোর-এ শহীদ ময়দানের পশ্চিম দিকে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এ ঈদগাহ মিনারটি। প্রত্যেকটি গম্বুজে দেওয়া হয়েছে বৈদ্যুতিক বাতি সংযোগ। ৫২টি গম্বুজ ২০ ফুট উচ্চতায় স্থাপন করা হয়েছে। গেট দুটির উচ্চতা ৩০ ফুট নির্মাণে নান্দনিক স্থাপনা দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।উল্লেখ্য, আগে দেশের সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হতো কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায়। এখন দিনাজপুরের ৫২ গম্বুজের ঈদগাহ মাঠে সবচেয়ে বড় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
    আগামীতে আরও বড় পরিসরে ঈদ উদযাপন করব: উপদেষ্টা আসিফ
    আগামী বছর থেকে আরও বড় পরিসরে ঈদ উৎসবের আয়োজন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।সোমবার (৩১ মার্চ) জাতীয় সংসদের সামনে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন আয়োজিত ঈদ আনন্দ উৎসবের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।আসিফ মাহমুদ বলেন, সবাইকে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা। আজকের এই আনন্দের দিনে আমি মনে করতে চাই সেসব শহীদ ভাইদের কথা, যাদের কারণে আজকের ঈদ এতো আনন্দময় হয়েছে। তাদের আত্মত্যাগের কারণেই আজ শতবর্ষী ঈদ উদযাপনের যে ঐতিহ্য, তা আয়োজন করা সম্ভব হয়েছে। আগামী বছরও একইভাবে আমরা নগরবাসী ঈদ উদযাপন করব।উপদেষ্টা আরও বলেন, ঈদের দিন ঘরে বসে আমাদের আর ঈদ পালন করতে হবে না। আমরা ঈদ আনন্দ করব, ঈদ মিছিল করব। একে অপরের সঙ্গে সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে নেব। ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে ঈদ উৎসবের আয়োজন করব।

    জাতীয়

    সব দেখুন
    ঈদের জামাতে দ্রুত নির্বাচন চেয়ে দোয়া প্রার্থনা
    ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) প্রথমবারের মতো ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাতের আয়োজন করেছে। সোমবার (৩১ মার্চ) সকাল সাড়ে ৮টায় রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের পুরনো বাণিজ্যমেলার মাঠে অনুষ্ঠিত এই জামাতে লাখো মুসল্লি অংশ নেন। এ আয়োজনকে ঘিরে ছিল ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা।ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাতে দেশের শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয়েছে। পাশাপাশি, একটি গ্রহণযোগ্য ও দ্রুত নির্বাচন আয়োজনের জন্যও প্রার্থনা করা হয়।সোমবার সকাল সাড়ে ৮টায় এই ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। জামাতের ইমামতি করেন ক্বারি গোলাম মোস্তফা, এবং বিকল্প ইমাম ছিলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সহকারী পরিচালক মুফতি জুবাইর আহমদ আল-আযহারী।বিশেষ দোয়ায় ক্বারি গোলাম মোস্তফা বলেন, যারা এতো সুন্দর একটি ঈদ জামাতের আয়োজন করেছেন, মহান আল্লাহ যেন তাদের আরও বড় পরিসরে আয়োজনের তৌফিক দান করেন এবং সুস্থ জীবন দান করেন।এছাড়া, দেশের স্থিতিশীলতা ও শান্তি রক্ষায় যারা দায়িত্ব পালন করছেন, তাদের সফলতার জন্যও দোয়া করা হয়। তিনি বলেন, আমরা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি, যাতে দেশ দ্রুত একটি সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন পায়।
    আগামীতে আরও বড় পরিসরে ঈদ উদযাপন করব: উপদেষ্টা আসিফ
    আগামী বছর থেকে আরও বড় পরিসরে ঈদ উৎসবের আয়োজন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।সোমবার (৩১ মার্চ) জাতীয় সংসদের সামনে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন আয়োজিত ঈদ আনন্দ উৎসবের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।আসিফ মাহমুদ বলেন, সবাইকে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা। আজকের এই আনন্দের দিনে আমি মনে করতে চাই সেসব শহীদ ভাইদের কথা, যাদের কারণে আজকের ঈদ এতো আনন্দময় হয়েছে। তাদের আত্মত্যাগের কারণেই আজ শতবর্ষী ঈদ উদযাপনের যে ঐতিহ্য, তা আয়োজন করা সম্ভব হয়েছে। আগামী বছরও একইভাবে আমরা নগরবাসী ঈদ উদযাপন করব।উপদেষ্টা আরও বলেন, ঈদের দিন ঘরে বসে আমাদের আর ঈদ পালন করতে হবে না। আমরা ঈদ আনন্দ করব, ঈদ মিছিল করব। একে অপরের সঙ্গে সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে নেব। ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে ঈদ উৎসবের আয়োজন করব।
    যত বাধাই আসুক ঐক্যবদ্ধ থেকে নতুন বাংলাদেশ গড়ব
    প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মাদ ইউনূস বলেছেন, যত বাধাই আসুক ঐকবদ্ধ থেকে নতুন বাংলাদেশ গড়ব।সোমবার (৩১ মার্চ) জাতীয় ঈদগাহে নামাজ আদায় শেষে মুসল্লিদের শুভেচ্ছা জানান প্রধান উপদেষ্টা। এ সময় তিনি এ কথা বলেন। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের নতুন বাংলাদেশ গড়ার যারা সুযোগ করে দিয়েছেন যেসব শহীদরা, যারা আত্মাহুতি দিয়েছেন, আমরা তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করি। যারা আহত হয়েছেন, যারা স্বাভাবিক জীবন থেকে বিচ্যুত হয়ে গেছেন। এ দেশের জন্য নিজেদের স্বাভাবিক জীবন ত্যাগ করতে যারা বাধ্য হয়েছেন তাদের স্বাভাবিক জীবনের ক্ষমতা দেওয়ার জন্য, রোগমুক্তির জন্য মহান আল্লাহর কাছে আমরা প্রার্থনা করি।’অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রামে , প্রতিটি বাজারে , প্রতিটি গঞ্জে , প্রতিটি শহরে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আমরা জাতির পক্ষ থেকে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। যারা ঈদের জামাতে শরীক হওয়ার সুযোগ পাননি, তাঁদেরকেও আমরা ঈদ মোবারক জানাচ্ছি। আমাদের মা বোনেরা, যারা ঘরে আছেন , তাদেরকেও আমরা জাতির পক্ষ থেকে ঈদ মোবারক জানাচ্ছি।’প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের প্রবাসী শ্রমিক ভাইয়েরা , যারা বিদেশে আছেন, সারা বছর কষ্ট করেন, আজকে হয় তো ঈদের জামাতে যেতে পারবেন কিংবা যেতে পারবেন না, কিন্তু জাতির পক্ষ থেকে আমরা তাঁদেরকেও ঈদ মোবারক জানাচ্ছি।‘পিএম
    জাতীয় ঈদগাহে প্রধান উপদেষ্টার ঈদের নামাজ আদায়
    অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জাতীয় ঈদগাহ মাঠে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন।সোমবার (৩১ মার্চ) সকাল সাড়ে ৮টায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাতে তিনি নামাজ আদায় করেন।প্রধান উপদেষ্টা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- প্রধান বিচারপতি, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ হাজারো মুসল্লি।এদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে দুই ঘণ্টা আগে থেকেই মুসল্লিরা রাজধানীর হাইকোর্টসংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে প্রবেশ করেছেন।বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি মোহাম্মদ আবদুল মালেক ইমাম হিসেবে এ জামাতে দায়িত্ব পালন করেন, এবং ক্বারী হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররমের মুয়াজ্জিন মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান।ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ব্যবস্থাপনায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দান প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রায় ৩ লাখ ২২ হাজার ৮০০ বর্গফুট আয়তনের এই মাঠে একসাথে ৩৫ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন।
    জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত
    রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে যথাযোগ্য ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসবমুখর পরিবেশে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।সোমবার (৩১ মার্চ) সকাল সাড়ে ৮টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি মোহাম্মদ আবদুল মালেক এবং ক্বারী হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররমের মুয়াজ্জিন মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান।ঈদের এ জামাতে প্রধান বিচারপতি, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ হাজারো মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন।দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।ঢাকা সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবারের জাতীয় ঈদগাহে ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়া, ঈদগাহে নারীদের জন্য আলাদা নামাজের ব্যবস্থা ছিল।এদিকে, জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে ঈদের জামাতের সূচি সকাল ৭টা, ৮টা, ৯টা, ১০টা এবং ১০টা ৪৫ মিনিট।
    বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত
    জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। যথাযোগ্য ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসবমুখর পরিবেশে এতে অংশ নেন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত মুসল্লিরা। সোমবার (৩১ মার্চ) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে পেশ ইমাম হিসেবে হাফেজ মুফতি মাওলানা মুহিববুল্লাহিল বাকী এবং মুকাব্বির হিসেবে মুয়াজ্জিন হাফেজ মো. আতাউর রহমান দায়িত্ব পালন করেন।নামাজের আগে ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মুহিববুল্লাহিল বাকী উপস্থিত মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে নসীহত করে বয়ান করেন। তিনি বলেন, রোজাদারদের জন্য ঈদ আল্লাহর উপহার। এটি আমাদের জন্য খুশির বার্তা নিয়ে এসেছে। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর আমরা পবিত্রতা ও তাকওয়ার সঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় করছি।তিনি আরও বলেন, আল্লাহ বান্দার গুনাহ ক্ষমা করার জন্য রমজান মাস দিয়েছেন। তিনি আমাদের জন্য রহমতের দরজা খোলা রেখেছেন। রমজানের শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে সারাবছর জীবন পরিচালনা করতে হবে।মাওলানা মুহিববুল্লাহিল বাকী বলেন, ঈদুল ফিতর কেবল আনন্দের দিন নয়, বরং এটি ধনী-গরিব সবার মাঝে ভ্রাতৃত্ব ও সংহতির বন্ধন দৃঢ় করার দিন। এসময় তিনি উপস্থিত মুসল্লিদের সমাজের দুঃস্থ ও দরিদ্রদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে ঈদের প্রকৃত সৌন্দর্য উপলব্ধি করার আহ্বানও জানান।বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে আরও চারটি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সকাল ৭টায় প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হওয়ার পর এক ঘণ্টা পরপর আরও তিনটি জামাত এবং পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে।এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাতে ইমাম হিসেবে সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান এবং মুকাব্বির হিসেব প্রধান খাদেম মো. নাসির উল্লাহ দায়িত্ব পালন করবেন।তৃতীয় জামাতে ইমাম হিসেবে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুহাদ্দিস ড. মাওলানা মুফতি ওয়ালিউর রহমান খান এবং মুকাব্বির হিসেবে খাদেম মো. আব্দুল হাদী দায়িত্ব পালন করবেন।চতুর্থ জামাতে ইমাম হিসেবে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অনুবাদ ও সংকলন বিভাগের সম্পাদক ড. মুশতাক আহমদ এবং মুকাব্বির হিসেবে খাদেম মো. আলাউদ্দীন দায়িত্ব পালন করবেন।পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাতে ইমাম হিসেব ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতি মো. আব্দুল্লাহ এবং মুকাব্বির হিসেব খাদেম মো. রুহুল আমিন দায়িত্ব পালন করবেন।পিএম
    সাত বছর পর পরিবারের সঙ্গে খালেদা জিয়ার ঈদ
    সাত বছর পর পরিবারের সঙ্গে যুক্তরাজ্যে ঈদ উদযাপন করছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এসময় তার পাশে থাকছেন বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমান, তিন নাতনি জায়মা রহমান, জাফিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমান। সর্বশেষ, ২০১৭ সালে চিকিৎসা করাতে গিয়ে লন্ডনে পরিবারের সঙ্গে ঈদ করেন খালেদা জিয়া।এর আগে গত ৮ জানুয়ারি লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি হন খালেদা জিয়া। কাতারের আমিরের শেখ তামিম বিন হামাদ আল সানির পাঠানো রাজকীয় বিশেষ অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকা থেকে লন্ডনের হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন তিনি। সেখান থেকে সরাসরি খালেদা জিয়াকে লন্ডন ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়। ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত তিনি লন্ডনের দ্য ক্লিনিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ২৫ জানুয়ারি চিকিৎসকদের ছাড়পত্র পেয়ে হাসপাতাল থেকে ছেলে তারেক রহমানের বাসায় ওঠেন।এদিকে, দেশবাসীসহ দলীয় নেতাকর্মীদের পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।রোববার (৩০ মার্চ) খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন গণমাধ্যমকর্মীদের মাধ্যমে দেশবাসীকে শুভেচ্ছার তথ্য জানান।তিনি বলেন, ম্যাডাম দেশবাসীসহ দলীয় নেতাকর্মীদের ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এ সময় লন্ডনে খালেদা জিয়ার তৃতীয়বারের মতো ঈদ উদযাপনের তথ্য জানিয়ে এ জেড এম জাহিদ আরও বলেন, লন্ডনে ঈদুল ফিতর উদযাপন হচ্ছে। আপনারা জানেন, ম্যাডাম উনার বড় ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বাসায় আছেন। ঈদের দিনটি উনি বাসায় আপনজনদের নিয়ে একান্তে কাটাচ্ছেন।এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, দ্য লন্ডন ক্লিনিকের অধ্যাপক প্যাট্রিক কেনেডি ও জেনিফার ক্রসের অধীনে বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন খালেদা জিয়া। এ ছাড়া তাঁর চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল দলের সদস্যরা সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিচ্ছেন এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিচ্ছেন। শারীরিকভাবে এখন খালেদা জিয়া অনেকটা সুস্থ। তিনি মানসিকভাবেও চাঙ্গা।এফএস
    দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
    দেশবাসীকে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।রোববার (৩০ মার্চ) এক শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতরে সকলকে জানাই ঈদ মোবারক। ঈদে পরিবার-পরিজন নিয়ে নির্বিঘ্নে ও আনন্দ সহকারে নিজ নিজ বাড়ি যাবেন। আত্মীয়-স্বজনের কবর জিয়ারত করবেন। গরিব পরিবারের খোঁজখবর নেবেন। তাদের ভবিষ্যৎ ভালো করার জন্য চিন্তাভাবনা করবেন। আপনার সন্তানদের সঙ্গে তাদের পরিচয় করিয়ে দেবেন, এই কামনা করছি।ঈদের জামাতে দলমত নির্বিশেষে সবাই যেন পরাজিত শক্তির সব প্ররোচনা সত্ত্বেও সুদৃঢ়ভাবে ঐক্যবদ্ধ থাকেন সে জন্য আল্লাহর কাছে মোনাজাত করবেন, এই আহ্বান জানাচ্ছি। সকলের জীবন স্বার্থক হোক, আনন্দময় হোক, মহান আল্লাহ আমাদের সহায় হোন।এমআর-২

    রাজনীতি

    সব দেখুন
    নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে হতাশ হয়েছি: ফখরুল
    সম্প্রতি নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্যে হতাশা ব্যক্ত করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের যে অবস্থা তাতে নির্বাচন জরুরি।রোববার (৩০ মার্চ) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ তিনি।প্রধান উপদেষ্টার চীন সফরকে ইতিবাচক উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ভূরাজনৈতিক ভাবে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন খুবই জরুরি। নিজেদের স্বার্থেই চীন, ভারত, পাকিস্তান, মিয়ানমারের মতো দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে হবে।তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্রের শত্রুকে ভারতে বসিয়ে রেখে নির্বাচন পেছালে আরও বেশি সংকট তৈরি করবে। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়, জনগণের বৈধতার জন্য নির্বাচনের কথা বলছে বিএনপি। এ সময় নির্বাচিত ও অনির্বাচিত সরকারের শক্তি এক নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।এমআর-২
    নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে হতাশ হয়েছি: ফখরুল
    সম্প্রতি নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্যে হতাশা ব্যক্ত করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের যে অবস্থা তাতে নির্বাচন জরুরি।রোববার (৩০ মার্চ) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ তিনি।প্রধান উপদেষ্টার চীন সফরকে ইতিবাচক উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ভূরাজনৈতিক ভাবে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন খুবই জরুরি। নিজেদের স্বার্থেই চীন, ভারত, পাকিস্তান, মিয়ানমারের মতো দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে হবে।তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্রের শত্রুকে ভারতে বসিয়ে রেখে নির্বাচন পেছালে আরও বেশি সংকট তৈরি করবে। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়, জনগণের বৈধতার জন্য নির্বাচনের কথা বলছে বিএনপি। এ সময় নির্বাচিত ও অনির্বাচিত সরকারের শক্তি এক নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।এমআর-২
    বিএনপি প্রয়োজনে আবারও রাজপথে নামবে: ফখরুল
    বিএনপি জনগণের স্বার্থে প্রয়োজনে আবারও রাজপথে নামবে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।শনিবার (২৯ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর ১০০ ফিটের বেরাইদ এলাকার দুস্থদের মধ্যে ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।বিদেশে থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিএনপি টার্গেট করে নানা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচন পিছিয়ে নিতে নানা ষড়যন্ত্র চলছে। দেশে কোনো ষড়যন্ত্র হতে দেওয়া হবে না, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে।নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে।তিনি বলেন, কোনোভাবে কোনো চক্রান্ত সফল হতে দেওয়া হবে না। ফ্রান্স, লন্ডন, আমেরিকা থেকে কেউ যদি দেশের মানুষকে উত্তেজিত করার চেষ্টা করেন, তবে তা রুখে দেওয়া হবে। দেশে কোনো অস্থিতিশীল পরিবেশ মেনে নেওয়া হবে না।‘বিএনপি এখন রাস্তায় নামে না। কিন্তু দল ও দেশের জনগণের স্বার্থে আঘাত এলে বিএনপি আবার মাঠে নামবে,’ বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।ফখরুল বলেন, বিএনপি ভারতের পক্ষেও নয়, পাকিস্তানের পক্ষেও নয়। আমেরিকার পক্ষেও নয়, ইংল্যান্ডের পক্ষেও নয়।বিএনপি বাংলাদেশের পক্ষে।তিনি দাবি করেন, ‘বিএনপি সব পরিবর্তন এনেছে, সংস্কার বিএনপি করেছে। একদলীয় শাসনব্যবস্থা বাতিল করে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাও বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছে।’এ সময় গত ১৭ বছরে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করেন দলটির মহাসচিব।তিনি বলেন, এত নির্যাতন, এত মামলা, গুম, খুন, সহ্য করেছে বিএনপি। বিএনপি করে এমন মানুষ নির্যাতনের স্বীকার হয়েছে ৯৯ শতাংশ। কিন্তু একদিন হঠাৎ করে হাসিনাকে আল্লাহ গুম করে দিলেন, মানুষ শান্তি পেল। ডাইনির হাত থেকে আল্লাহ দেশের মানুষকে রক্ষা করেছেন। নতুন সুযোগ তৈরি করেছে।মির্জা ফখরুল আরও বলেন, অতি অল্প সময়ে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করাই বর্তমান সরকারের প্রধান চ্যালেঞ্জ হওয়া উচিত। জনগণ নির্বাচিত সরকার চায়, যেখানে প্রতিনিধিরা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে। কারণ সমস্ত সংগ্রাম হয়েছে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য। তাই নির্বাচনের কথা বলছে বিএনপি।এমআর-২
    দেশে পরিচ্ছন্ন রাজনীতির অভাব উপলব্ধি হচ্ছে: তারিকুল ইসলাম
    দেশে পরিচ্ছন্ন রাজনীতির অভাব উপলব্ধি হচ্ছে, রাজনীতিতে রাজনীতিবিদদের কাঁদা ছোড়াছুড়ি বন্ধ করতে হবে। নিজেদের স্বার্থ ত্যাগ করে রাজনীতিবিদদের সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হবে।শনিবার (২৯ মার্চ) বেলা সাড়ে ১২টায় রাজধানীর মিরপুরে ন্যাশনাল পিপলস যুব পার্টির কার্যালয়ে ঈদ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ন্যাশনাল পিপলস যুব পার্টির আহ্বায়ক তারিকুল ইসলাম সুমন।সভাপতির বক্তব্যে তারিকুল ইসলাম সুমন বলেন, নিজেদের স্বার্থ ত্যাগ করে রাজনীতিবিদদের সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হবে।তারিকুল ইসলাম সুমন আরো বলেন, রাজনীতিবিদদের প্রধান কাজ হচ্ছে দেশের ভাবমূর্তিকে সুশৃংখল রাখার লক্ষ্যে কাজ করা। সকল শ্রেণি পেশার মানুষের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশ ও জাতির উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করা। এ সময় প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলকে দুস্থ ও অসহায় মানুষদের সাহায্য করার আহব্বান জানান তিনি ।অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ন্যাশনাল পিপলস যুব পার্টির সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমান বাপ্পি, ন্যাশনাল পিপলস যুব পার্টির সদস্য মো. আলাউদ্দিন, মোশারফ হোসাইন, শান্ত, ইকবাল হোসাইন প্রমুখ।পিএম
    ড. ইউনূসকে ৫ বছরের জন্য প্রধানমন্ত্রী পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা থাকবে: সারজিস
    প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ৫ বছরের জন্য বাংলাদেশের একটি নির্বাচিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা আজীবন থাকবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।শনিবার (২৯ মার্চ) বেলা ১১টায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এ মন্তব্য করেন তিনি।স্ট্যাটাসে সারজিস লিখেন, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মতো একজন স্টেটসম্যানকে পাঁচ বছরের জন্য বাংলাদেশের একটি নির্বাচিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা আমার আজীবন থাকবে।এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত স্ট্যাটাসটিতে ২০ হাজারেরও অধিক মানুষ মন্তব্য করেছেন।সোহেল বীর নামে একজন বলেন, এ জাতির সৌভাগ্য একজন ড. ইউনূস পেয়েছে।আজাদ আবুল কালাম লিখেছেন, আমারও একই আকাঙ্ক্ষা।দেলোয়ার আকন্দ সৌরভ লিখেন, ড. ইউনূস সারা পৃথিবীর গর্ব।তারেক হাসান নামে আরেকজন লিখেন, এভাবেই কমপক্ষে ৫ বছর চলমান রাখা যায় কিনা সেটাই চেষ্টা করেন। জনগণ এর সুফল ভোগ করতে শুরু করেছে ইতোমধ্যেই।প্রসঙ্গত, চীনের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আজ সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি দেওয়া হয়েছে।এমআর-২
    এক পরিবারের স্বার্থে আটকে যাবে না দেশের সংস্কার : তাসনিম জারা
    ‘এক পরিবারের স্বার্থে আটকে যাবে না দেশের সংস্কার ’ এমন মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. তাসনিম জারা।শুক্রবার (২৮ মার্চ) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন তিনি।ডা. তাসনিম জারা তার পোস্টে কোনো পরিবারকে ইঙ্গিত করেছেন তা জানা যায়নি। কিন্তু ওই পোস্টের কমেন্ট সমকালের একটি নিউজের লিঙ্ক শেয়ার করা হয়। নিউজের শিরোনাম ছিল ‘ প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কমানোর পক্ষে নয় বিএনপি।’তাসনিম জারার পোস্টে তার সাথে একমত পোষণ করে মত দিয়েছে অনেকেই। মন্তব্যের ঘরে একজন লিখেছেন, রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্রের স্থায়ী অবসান ঘটুক। মুষ্টিমেয়ের করাল থাবা থেকে মুক্ত হয়ে রাজনীতির চর্চা হোক দেশ, সমাজ ও মানুষের বৃহৎ কল্যাণের জন্য। তবেই তো কাঙ্ক্ষিত স্বদেশের স্বপ্ন বাস্তব হয়ে ধরা দেবে।অন্যদিকে তার এ মন্তব্যে ভিন্ন মত প্রকাশ করা লোকের সংখ্যাও অনেক দেখা গেছে।এনআই
    ঢাকায় মহাসমাবেশের ডাক হেফাজতে ইসলামের
    নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের আমলে দায়েরকৃত সব মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবিতে আগামী ৩ মে (শনিবার) ঢাকায় মহাসমাবেশ করবে হেফাজতে ইসলাম।শুক্রবার (২৮ মার্চ) কেন্দ্রীয় খাস কমিটির এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।  এদিন বিকেলে জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা মিলনায়তনে সংগঠনের মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমানের সভাপতিত্বে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।এতে উপস্থিত ছিলেন- কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মাওলানা মাহফুজুল হক, ড. আহমদ আবদুল কাদের, মাওলানা আহমাদ আলী কাসেমী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জুনাইদ আল হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, অর্থসম্পাদক মাওলানা মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী,‌ প্রচার সম্পাদক মুফতি কেফায়েতুল্লাহ আজহারী প্রমুখ।সভায় পরামর্শক্রমে ৫ মে ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে গণহত্যা, পিলখানা হত্যাকাণ্ড, গুম-খুন, ২০২১ সালে মোদী বিরোধী আন্দোলন ও চব্বিশের ছাত্রজনতার ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে গণহত্যার বিচার এবং হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের আমলে দায়েরকৃত সব মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবিতে ৩ মে শনিবার ঢাকায় মহাসমাবেশ করবে সংগঠনটি। এছাড়া আগামী জুন মাসে সব জেলা ও মহানগর প্রতিনিধিদের নিয়ে জাতীয় কনভেনশন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।সভায় গৃহীত আরেক প্রস্তাবে বলা হয় যে, জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশনের প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগকে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধ করুন।পিএম
    নির্বাচন নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি করছে সরকার: রিজভী
    জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি করছে অন্তর্বর্তী সরকার। একেক সময় একেক বক্তব্য দিয়ে পতিত সরকারের মতোই বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।শুক্রবার (২৮ মার্চ) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে রিকশাভ্যান ও অটোচালকদের মাঝে ঈদ উপহার প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।রুহুল কবির রিজভী বলেন, গণঅভ্যুত্থানে সবার ত্যাগ স্বীকার না করলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে। জাতীয় নির্বাচন ডিসেম্বর না জুনে?— এমন দোদুল্যমান বক্তব্য না দিয়ে স্পষ্ট ও সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করে জাতিকে আশ্বস্ত করার আহ্বান জানান তিনি।তিনি আরও বলেন, অনেকেই বলেন যে আন্দোলন কি করা হয়েছে শুধু নির্বাচন করার জন্য? নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি বলেই তো আন্দোলন হয়েছে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করেননি শেখ হাসিনা। ক্ষমতা রক্ষার জন্য দেশকে একটি কারবালায় পরিণত করেছিলেন।বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের এই নেতা আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সরাসরি জনগণের ভোটে নির্বাচিত না হলেও জনগণের সমর্থন রয়েছে। সকল আন্দোলনকারী দল তাদের সমর্থন দিয়েছে।এবি

    দেশজুড়ে

    সব দেখুন
    বনানীতে রাস্তায় মাঝখানে উল্টে গেল বাস, আহত ৪২ জন
    রাজধানীর বনানীতে গার্মেন্টস শ্রমিকদের আনা নেওয়া করা পরিস্থান পরিবহনের একটি বাস উল্টে ৪২ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৮ মার্চ) ভোরে এ ঘটনা ঘটে।বিষয়টি নিশ্চিত করে বনানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাসেল সারোয়ার।তিনি বলেন, পরিস্থান পরিবহনের একটি বাস আজ ভোরে বনানী এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তায় উল্টে যায়। বাসটি মূলত গার্মেন্টস শ্রমিকদের আনা নেওয়া করতো। আজ ভোরে গার্মেন্টস শ্রমিকদের নিয়ে বাসটি গাজীপুর যাচ্ছিল। এর মাঝখানে বনানীতে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় ৪২ জন গার্মেন্টস শ্রমিক আহত হয়েছেন। তবে ছয় জন বাদে বাকিরা তেমন গুরুতর আহত হননি। গার্মেন্টস মালিকপক্ষ আহত শ্রমিকদের দেখভাল করছে।  এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনি প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হচ্ছে বলেও জানান রাসেল সারোয়ার।
    বৃহস্পতিবার যেসব এলাকায় গ্যাস থাকবে না
    ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের আওতাধীন এমআরটি লাইন-১ এর ভূগর্ভস্থ তিতাস গ্যাসের বিদ্যমান গ্যাস লাইন স্থানান্তর কাজের জন্য আগামীকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার বিভিন্ন স্থানে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।বুধবার (২৬ মার্চ) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এমআরটি লাইন-১ এর জন্য ভূগর্ভস্থ গ্যাস পাইপলাইন অপসারণের জন্য আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত মোট ৮ ঘণ্টা নিকুঞ্জ-১, নিকুঞ্জ-২, খিলক্ষেত এলাকা, কনকর্ড সিটি (নদীর পাড় পর্যন্ত), নামাপাড়া ও তৎসংলগ্ন এলাকায় বিদ্যমান সকল শ্রেণির গ্রাহকের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।উক্ত সময়ে আশেপাশের এলাকায় গ্যাসের স্বল্পচাপ বিরাজ করতে পারে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে তিতাস গ‍্যাস কর্তৃপক্ষ।এমআর-২
    ধানমন্ডিতে র‍্যাব পরিচয়ে ডাকাতি, আটক ৪
    রাজধানীর ধানমন্ডিতে র‍্যাব পরিচয়ে ডাকাতির ঘটনায় ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আজ বুধবার (২৬ মার্চ) সকালে তাদের আটক করা হয়।সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা যায়, বুধবার ভোরে র‍্যাবের পোশাকে ধানমন্ডির একটি ভবনে ডাকাতি করতে যায় ৮ থেকে ১০ জনের একটি দল। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ওই ভবনে থাকা একটি কক্ষ থেকে নগদ টাকা লুট করছেন ২ জন। তারা বেরিয়ে যাওয়ার পর আরও ৩ জন সেই কক্ষে প্রবেশ করে বাকি টাকাও নিয়ে যান।পুলিশ জানায়, ডাকাতি করে পালানোর সময় এলাকাবাসী ও পুলিশ মিলে চারজনকে আটক করে। বাকিরা পালিয়ে যায়। আটক চারজনের কেউই র‍্যাব সদস্য নয় বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ।রমনা থানার ডিসি জানান, খবর পেয়ে দ্রুতই ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। এসময় আটক হয় ৪ জন। তাদের গ্রেফতার করতে গিয়ে ধস্তাধস্তিতে দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। এ ঘটনায় র‍্যাবের কোনো সদস্য জড়িত কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।এবি 
    রাজধানীতে ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার ১৯৪
    জননিরাপত্তা বিধান ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) ব্যাপক অভিযানে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।তিনি বলেন, রাজধানীর ৫০টি থানা এলাকায় দুই পালায় মোট ৬৬৭টি টহল দল দায়িত্ব পালন করেছে। এর মধ্যে রাতে ৩৪০টি এবং দিনে ৩২৭টি টহল টিম কাজ করে। এছাড়া জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ৭১টি চেকপোস্ট বসানো হয়। ডিএমপির সাঁড়াশি অভিযানে গ্রেপ্তারদের মধ্যে রয়েছে ৬ জন ডাকাত, সাতজন সক্রিয় ছিনতাইকারী, একজন চাঁদাবাজ, ১০ জন চোর, ২৩ জন মাদক ব্যবসায়ী, ৪৩ জন পরোয়ানাভুক্ত আসামিসহ অন্যান্য অপরাধী।তিনি আরও বলেন, অভিযানে উদ্ধার করা হয়েছে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, পাঁচ রাউন্ড গুলি, একটি মাইক্রোবাস, দুটি গাড়ি, ২৩টি প্রিন্টেড স্মার্ট কার্ড, ছয়টি মোবাইল ও ১৮টি পাসপোর্ট। এছাড়া মাদকের মধ্যে রয়েছে ২৬ কেজি ৬০০ গ্রাম গাঁজা, ৯০৫১ পিস ইয়াবা ও ছয় গ্রাম হেরোইন।গত ২৪ ঘণ্টায় ডিএমপির বিভিন্ন থানায় ৫৮টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।এমআর-২
    সচিবালয় অভিমুখে আন্দোলনরত শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ
    বকেয়া বেতন, ঈদ বোনাস ও ছুটিসহ বিভিন্ন দাবিতে শ্রম ভবন থেকে সচিবালয় অভিমুখে মিছিল নিয়ে যাওয়া পোশাক শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে শ্রমিকসহ বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সকাল ১০টায় শ্রম ভবনের সামনে গার্মেন্টস শ্রমিকরা জড়ো হন। বেলা পৌনে ১১টায় তারা মিছিল নিয়ে সচিবালয়ের দিকে অগ্রসর হতে থাকেন। তবে সোয়া ১১টায় তোপখানা রোডে পৌঁছালে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন। এসময় শ্রমিকরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলে পুলিশ তাদের সরিয়ে দিতে ধাওয়া দেয়। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় শ্রমিকরা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এতে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।সংঘর্ষ চলাকালে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা পুলিশের একটি গাড়ি ভাঙচুর করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় শ্রমিকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান। পরে তারা আবারও শ্রম ভবনের সামনে অবস্থান নেন।এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খালিদ মনসুর বলেন, 'দুপুরে পোশাক শ্রমিকদের একটি মিছিল সচিবালয়ে ঢোকার চেষ্টা করে। এসময় পুলিশ তাদের বাধা দিলে তারা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে পুলিশ তাদের লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।'
    জীবননগরে পরিত্যক্ত অবস্থায় অস্ত্র-গুলি উদ্ধার
    চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে  পরিত্যক্ত অবস্থায় ৫ রাউন্ড তাজা গুলিসহ একটা আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।রবিবার (৩০ মার্চ ) সকাল সাড়ে ১০ টার সময় জীবননগর পৌর শহরের মডেল মসজিদের পাশের একটি ঘর থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৫  রাউন্ড তাজা গুলি উদ্ধার করে জীবননগর থানা পুলিশ। স্থানীয় এ পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রোববার সকাল সাড়ে ১০ টার সময় জীবননগর থানা পুলিশের একটি দল জীবননগর মডেল মসজিদের পাশের পরিত্যক্ত কক্ষে তল্লাশী করে একটি অস্ত্র ও ৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে।জীবননগর শহর থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার হওয়ায় এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে আতস্ক বিরাজ করছে। জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মামুন হোসেন বিশ্বাস বলেন, রবিবার সকালে জীবননগর উপজেলা মডেল মসজিদের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে মসজিদের কাজ করার সময় মিস্ত্রিদের থাকার জন্য একটা ঘর থেকে মালামাল নেওয়ার সময় তারা অস্ত্র ও গুলি দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে সেগুলো পুলিশ হেফাজতে নেয়। এনআই
    নড়াইলে দু'পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ১০
    আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নড়াইলের কালিয়া উপজেলায় দু'পক্ষের সংঘর্ষে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম তালেব শেখ (৬৫)। এ ঘটনায় অন্তত আরো ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ রোববার (৩০ মার্চ) সন্ধার দিকে উপজেলার পেড়লী ইউনিয়নের জামরিলডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত তালেব ওই গ্রামের ইমতিয়াজ শেখের ছেলে।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কালিয়া উপজেলার পেড়োলী ইউনিয়নের জামরিলডাঙ্গা গ্রামে দুই বংশ লস্কর বাড়ি ও শেখ বাড়ীদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। রোববার সন্ধায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই গ্রামের সুইচগেট বাজার এলাকায় দুইপক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। এতে প্রতিপক্ষের দেশীয় অস্ত্রের কোপে শেখ বংশের তালেব শেখ নামে এক বৃদ্ধ গুরুতর জখম হলে স্থানীয় ও স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে নড়াইল সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় অন্তত আরো ১০ জন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। তদের নড়াইল সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন জায়গায় নেয়া হয়েছে।কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশিদুল ইসলাম জানান, ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে তা পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে। এ ছাড়া এ ঘটনায় যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।এমআর
    লোহাগড়ায় ক্রেতাকে পিটিয়ে হত্যা করলো বিক্রেতা
    নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় আলু কিনতে গিয়ে বাগবিতন্ডায় আব্দুল্লাহ আল-মামুন (৫০) নামে এক ক্রেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত লক্ষীপাশা চৌরাস্তার সবজি বিক্রেতা ইদ্রিস মিয়া। রোববার (৩০ মার্চ) বিকেলে উপজেলার লক্ষীপাশা চৌরাস্তায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরে অভিযুক্ত ইদ্রিস মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত আব্দুল্লাহ আল-মামুন ফকির উপজেলার মহিষাপাড়া গ্রামের ওলিয়ার ফকিরের ছেলে। অভিযুক্ত ইদ্রিস মিয়া গোপিনাথপুর গ্রামের তাহের শেখের ছেলে।স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আজ রোববার বিকেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন নামে ওই ব্যক্তি আলু কিনতে ইদ্রিস মিয়ার সবজির দোকানে যান। পরে আলুর দাম নিয়ে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে ইদ্রিস মিয়া মামুনের মাথায় গামলা দিয়ে আঘাত করলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের দ্বায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আশিকুর রহমান জানান, ‘ঘটনার পরে দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামিকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।পিএম
    ভারতে পাচার হওয়া ৩ বাংলাদেশি নারীকে বেনাপোলে হস্তান্তর
     ভালো কাজের প্রলোভনে ভারতে পাচারের শিকার তিন বাংলাদেশি নারী দুই বছর পর বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে দেশে ফিরেছেন।রবিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদের বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।ফেরত আসা নারীরা হলেন- ঢাকা জেলার কদমতলির সানজিদা আক্তার সিরাবনি (১৬), নারায়ণগঞ্জ জেলার নুরুল ইসলামের মেয়ে লাজু আক্তার (২৭) এবং একই জেলার দেবুল মিয়ার মেয়ে চাঁদনি আক্তার (২৬)।বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ জানান, আনুষ্ঠানিকতা শেষে নারীদের বেনাপোল পোর্ট থানার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখান থেকে মানবাধিকার সংস্থা ‘জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার’ এর হাতে তাদের হস্তান্তর করা হবে। তাদের অভিভাবকদের কাছে পৌছে দিতে ও আইনি সহায়তা দিতে এ সংস্থাটি কাজ করে থাকে। সংস্থাটির এসইএফ বুলকি বালা জানান, পাচারকারীদের প্রলোভনে পড়ে এসব নারী অবৈধভাবে সীমান্ত পার হয়ে ভারতে যান। পরে সেখানকার পুলিশ তাদের আটক করে আদালতে সোপর্দ করে। ভারতীয় মানবাধিকার সংস্থা ‘পিজোলা’ তাদের মুক্ত করে শেল্টার হোমে আশ্রয় দেয়। দুই দেশের সহযোগিতায় বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে তারা দেশে ফেরার সুযোগ পান। #প্রেরক : মো. জামাল হোসেন।বেনাপোল, যশোর
    সৌদির সঙ্গে মিল রেখে মোংলায় ঈদ উদ্‌যাপন
    সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে মোংলার সুন্দরবন ইউনিয়নের চটেরহাট বাজারে পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঈদের জামাত শেষে একে অন্যের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় ও কোলাকুলি করেছেন।রবিবার (৩০ মার্চ ) সকাল ৮টায় চটেরহাট বাজার জামে মসজিদে এই ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এ ঈদের জামাতের ইমামতি করেন মাওলানা আব্দুর রহমান। এতে শতাধিক মুসল্লি অংশ নেন।নামাজ শেষে বিশ্ব মুসলিম উম্মার শান্তি কামনা করে মোনাজাত করা হয়। জানা গেছে, সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখেই দীর্ঘ ১০/১২ বছর ধরে চটেরহাট এলাকায় ঈদ উদযাপন করে আসছেন তারা।সৌদির সঙ্গে মিল রেখে রোজা শুরু করেছিলেন এবং তাদের সঙ্গে মিল রেখেই ঈদ উদ্‌যাপন হচ্ছে বলে জানান মুসল্লিরা।চটেরহাট বাজার জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি মো: ইয়াছিন শেখ বলেন, দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর ঈদুল ফিতর উদযাপন করছি। বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর শান্তির জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়। পাশাপাশি আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য এই রোজা। প্রতি বছর সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা পালন করা হয়।এনআই
    চট্টগ্রামে গুলিতে ২ জন নিহতের ঘটনার নেপথ্যে বালু মহালের নিয়ন্ত্রণ
    চট্টগ্রামে গভীর রাতে গোলা-গুলিতে দুইজন নিহতের ঘটনার নেপথ্যে নগরীর বাকলিয়া থানাধীন এলাকায় বালুর মহালের নিয়ন্ত্রণ। আধিপত্য বিস্তারের এ দ্বন্দ্ব গভীর রাতে নগরীর এক্সেস রোডে রক্তক্ষয়ী হামলায় রূপ নেয়, যেখানে বৃষ্টির মতো ছুটে আসে গুলি। ঘটনাস্থলেই নিহত হন আবদুল্লাহ ও মানিক নামের দুই যুবক, আর গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন রবিনসহ আরেকজন।শনিবার (২৯ মার্চ) রাত পৌনে ৩টার দিকে বাকলিয়া থানাধীন এক্সেস রোড এলাকায় এই সংঘর্ষ ঘটে। সংঘর্ষে জড়িত ছিল নগরীর অন্যতম শীর্ষ সন্ত্রাসী সারোয়ার বাবলার নেতৃত্বাধীন একটি গ্রুপ এবং রাউজান-রাঙ্গুনিয়া কেন্দ্রিক খোরশেদ হাসান, হাসান ও রায়হানের নেতৃত্বাধীন আরেকটি গ্রুপ।ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায় উঠে আসে, মধ্যরাত থেকেই শাহ আমানত সেতু এলাকায় বালুর মহালকে কেন্দ্র করে উভয় গ্রুপের সদস্যরা অবস্থান নেয়। সারোয়ার বাবলার দল ছয়জনের একটি দল নিয়ে একটি প্রাইভেটকারে ছিল, অন্যদিকে খোরশেদ হাসানের গ্রুপ মোটরসাইকেলে করে ভারী অস্ত্র নিয়ে তাদের পিছু নেয়।এক প্রত্যক্ষদর্শী সময়ের কণ্ঠস্বর-কে জানান, ‘‘আমি তখন কয়েকজন বন্ধুসহ চা খাচ্ছিলাম। হঠাৎ দেখি, মোটরসাইকেলে আসা তিনজন এক প্রাইভেটকারকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ছে। পাশে থাকা পুলিশের টহল গাড়ি কিছু বুঝে ওঠার আগেই হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। আমরা আতঙ্কিত হয়ে আশপাশে ছড়িয়ে পড়ি। পরে দেখি, দুজন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে, আর গাড়ির চালকের আসনে রক্ত ছড়িয়ে আছে।’’এই হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান আবদুল্লাহ ও মানিক। আহত রবিন ও আরেকজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাদের একজনের পায়ে, অন্যজনের হাতে গুলি লেগেছে, তবে দুজনেই শঙ্কামুক্ত।ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে নগর পুলিশের উত্তর জোনের উপ-কমিশনার আমিরুল ইসলাম সময়ের কণ্ঠস্বর-কে বলেন, ‘‘বালুর মহালকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসী সারোয়ার বাবলার সঙ্গে খোরশেদ, রায়হান ও হাসানের গ্রুপের দ্বন্দ্ব চলছিল। শনিবার রাতে বাবলার গ্রুপ প্রাইভেটকারে ছিল, আর খোরশেদ গ্রুপ মোটরসাইকেলে তাদের ধাওয়া করে। একপর্যায়ে চন্দনপুরা এলাকায় পুলিশ টহল গাড়ি দেখে বাবলা গ্রুপের একজন সাহায্য চাইতে যায়, কিন্তু তখনই প্রতিপক্ষ এসে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়, যার ফলে ঘটনাস্থলেই দুইজন মারা যায়।’’তিনি আরও বলেন, ‘‘গোলাগুলির পর আমরা চট্টগ্রামের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চেকপোস্ট বসিয়েছি। বিশেষ করে হাটহাজারী, রাউজান ও রাঙ্গুনিয়া এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। তবে এখনো কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।’’সারোয়ার বাবলা চট্টগ্রামের অপরাধ জগতের পরিচিত নাম। একসময় কুখ্যাত সন্ত্রাসী সাজ্জাদ আলী খানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন তিনি। সাজ্জাদের ‘সেকেন্ড ইন কমান্ড’ হিসেবে পরিচিত বাবলা নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার খোন্দকার পাড়ার বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ ১৮টি মামলা রয়েছে।চার বছর কারাভোগের পর তিনি পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন এবং সেখানে সাজ্জাদের ছায়ায় আত্মগোপনে থাকেন। ২০২০ সালে দেশে ফিরেই শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার হন। পরে জামিনে বের হয়ে আবারও পুরোনো অপরাধের জগতে ফিরে যান। সর্বশেষ ২০২৪ সালের ২৭ জুলাইয়ে চান্দগাঁও থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছিল, কিন্তু জামিনে বেরিয়ে ফের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন।চট্টগ্রামে একের পর এক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বেড়ে চলায় নগরবাসী উদ্বিগ্ন। বিশেষ করে বালুর মহাল ও অবৈধ অর্থের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে একাধিক গ্রুপের সংঘর্ষ সাধারণ মানুষের নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলছে। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় এখনো সক্রিয় রয়েছে এমন বহু সন্ত্রাসী চক্র, যারা আধিপত্য বিস্তারের লড়াইয়ে লিপ্ত।নগর পুলিশের দাবি, তারা এসব অপরাধীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। তবে একাধিক মামলার আসামিরা বারবার জামিনে বেরিয়ে এসে পুনরায় অপরাধে জড়ানোয় আইনের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।পিএম
    চট্টগ্রামে গুলিবিদ্ধ হয়ে ২ জনের মৃত্যু
    চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়ার এক্সেস রোড এলাকায় মানিক ও আব্দুল্লাহ নামে দুই যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আরও দুজন। শনিবার (২৯ মার্চ) আনুমানিক রাত তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে।খবর পেয়ে চমেক হাসপাতালে ছুটে আসেন নিহত মানিকের স্বজনরা। হাসপাতালে তারা কান্নায় ভেঙে পড়েন।নিহত মানিকের স্বজনরা জানিয়েছেন, মানিক পেশায় একজন প্রাইভেটকার চালক। সরোয়ার নামে এক ব্যক্তির প্রাইভেট কার চালাতেন। তার বাড়ি হাটহাজারী উপজেলায়। নিহত আবদুল্লাহর বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এসআই নুরুল আলম আশিক বলেন, এক্সেস রোডে গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় চার জনকে হাসপাতালে আনা হয়। দুই জনকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। বাকি দুজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, রাত পৌনে ৩টার দিকে নগরীর এক্সেস রোডের গুলজার বেগম মোড়ে প্রচণ্ড গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। অস্ত্র নিয়ে বেশ কয়েকজন যুবক কয়েকটি মোটরসাইকেল নিয়ে একটি প্রাইভেটকারকে তাড়া করে। চলন্ত প্রাইভেটকারকে লক্ষ্য করে একপর্যায়ে গুলি ছুড়তে থাকে দুর্বৃত্তরা। এ সময় প্রাইভেটকারে থাকা চার জনই গুলিবিদ্ধ হন। পরে ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।উপ-কমিশনার আমিরুল ইসলাম বলেন, 'গুলিবিদ্ধ দুই জনের লাশ চমেক হাসপাতালে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় আহত আরও দুই জনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। নিহত এবং আহতরা সবাই প্রাইভেট কারে ছিল। এ ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।'পিএম
    ইনসাফভিত্তিক কল্যাণ রাষ্ট্র গড়ার জন্য সংস্কার জরুরি: মাও. শামসুল ইসলাম
    আওয়ামী গণহত্যা, লুটপাট, অর্থপাচারের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দেখতে চায় মানুষ।  একইসাথে রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কারের জন্য পুরো জাতি মুখিয়ে আছে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি, ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা আ ন ম শামসুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, জুলাই বিপ্লবে শত শত ছাত্র-জনতা তাদের প্রাণের বিনিময়ে এই ঘুণে ধরা রাষ্ট্রকে নতুনভাবে গড়ে তোলার প্রেক্ষাপট  তৈরি করে দিয়েছে। আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশকে সঠিক পথে পরিচালনার নিমিত্তে রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার করার এখনই সুবর্ণ সুযোগ। অতীতে বিভিন্ন দল, বিভিন্ন জোট বাংলাদেশ শাসন করেছে, কিন্তু জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহবান জানাই, আগামীতে যাতে আর কোনো ফ্যাসিস্ট ফিরে আসতে না পারে সেজন্য যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিন। ইনসাফভিত্তিক কল্যাণ রাষ্ট্র গড়ার জন্য সংস্কার জরুরি। শনিবার (২৯ মার্চ) সাতকানিয়া উপজেলার বারদোনা গ্রামে ইফতার মাহফিলে উপরোক্ত কথা বলেন। উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা কামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি সাবেক ছাত্রনেতা তারেক হোসাইনের সঞ্চালনায় ইফতার মাহফিলে বিশেষ মেহমান ছিলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মুহাম্মদ এনামুল হক, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির প্রফেসর ড. হেলাল উদ্দিন মোহাম্মদ নোমান, সাবেক এমপিপুত্র ডক্টর সালেম আবদুহু, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম মহানগরী সভাপতি এস এম লুৎফর রহমান, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি মাওলানা নুরুল হোসাইন, লোহাগাড়া উপজেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক আসাদুল্লাহ ইসলামাবাদী, সেক্রেটারি অধ্যাপক মাওলানা আবুল কালাম, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি আসিফুল্লাহ মোহাম্মদ আরমান, সাতকানিয়া উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মাস্টার আব্দুস সোবহান, দক্ষিণ জেলা জামায়াতের শুরা সদস্য এম ওয়াজেদ আলী, সাতকানিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ইব্রাহীম চৌধুরী, সাতকানিয়া পৌর জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ হামিদ উদ্দিন আজাদ, নায়েবে আমির শাহ আলম, সাতকানিয়া সদর ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি মাওলানা মাহমুদুল হক, আমিরাবাদ ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর অধ্যাপক মোহাম্মদ হাসান, পদুয়া ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর মাওলানা আ ক ম হামিদুল হক, কাঞ্চনা ইউনিয়ন আমীর মাওলানা আবু তাহের, লোহাগাড়া উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মাষ্টার আব্দুস সালাম, সাবেক ছাত্রনেতা জসিম উদ্দিন সরকার, ছদাহা ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা আনোয়ার হোসাইন জিহাদী, আইবিএফ দক্ষিণ জেলা শাখার অর্থ সম্পাদক কাজী মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন, ছদাহা ইউনিয়ন জামায়াত পেষাজীবি পরিষদের সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন, আমিরাবাদ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এনামুল হক, প্রফেসর রশিদ আহমদ, শিক্ষক নেতা রাশেদুল আলম চৌধুরীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।এমআর
    ঈদযাত্রা নিরাপদ রাখতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে র‌্যাবের টহল-তল্লাশি
    কুমিল্লায় ঘরমুখী মানুষের ঈদযাত্রা নিরাপদ ও স্বস্তিদায়ক রাখতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক গুলোতে টহল ও তল্লাশি কার্যক্রম শুরু করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান র‌্যাব-১১। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহসড়কের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে তাদের এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে।শনিবার (২৯শে মার্চ) রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্টে তল্লাশির মাধ্যমে এ কার্যক্রম করেন র‌্যাব-১১ কোম্পানি অধিনায়ক লে. কমান্ডার মাহমুদুল হাসান।এ সময় সাংবাদিকদের দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে র‌্যাব-১১ কোম্পানি অধিনায়ক লে. কমান্ডার মাহমুদুল হাসান বলেন, সাধারণ মানুষদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য আমরা নিয়মিতই টহল ও চেক পোষ্ট করে থাকি। তবে এবার যেহেতু ঈদের ছুটিটা একটু বেশি সময়ের জন্য তাই আমাদের কার্যক্রমটাকে আরেকটু বাড়ানো হয়েছে। বিশেষ করে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কটি দেশের অন্যতম একটি মহাসড়ক। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করে। তিনি আরও বলেন, এসব বিষয়কে সামনে রেখে ঘরমুখো মানুষদের ঈদ যাত্রাকে নিরাপদ রাখতে আমাদের গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোসহ টহল ও তল্লাশি কার্যক্রম বৃদ্ধি করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড থেকে কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম পর্যন্ত আমাদের এই কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এই সড়কের বিভিন্নস্থানে টহল ও চেকপোষ্ট বাড়ানো হয়েছে। পিএম
    সীতাকুণ্ডে কৃষকদল নেতাকে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ৪
    চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে উপজেলার কৃষকদলের সাংগঠনিক সম্পাদক নাসির উদ্দিনকে হত্যার ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৮ মার্চ) সীতাকুণ্ড পৌরসভা এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে শুক্রবার (২৮ মার্চ) নিহত নাসির উদ্দীনের স্ত্রী মোমেনা আক্তার বাদি হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতসহ মোট ১২ জনের নামে সীতাকুণ্ড মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে ৪ আসামীকে আটক করে শনিবার সকালে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়।গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মোঃ বশির (৩৫)। সে উপজেলার বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের হাতিলোটা গ্রামের মোহাম্মদ আলী প্রকাশ ভুলোর ছেলে ও বাড়বকুণ্ড ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব, মোঃ আনোয়ার হোসেন (৩২)। সে মুরাদপুর ইউনিয়নের দক্ষিন রহমতনগর গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে ও জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য। মোঃ আরমান শাকিল (৩৫)।সেমুরাদপুর  ইউনিয়নের পেশকারপাড়া গ্রামের মোঃ কামালের (চৌকিদার) ছেলে ও মুরাদপুর ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব।  ফকিরহাট জহুর আহম্মেদের ছেলে ও মুরাদপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক রাসেল প্রকাশ মুরগি রাসেল (৩৮)।এজাহারে অন্য আসামীরা হলেন- উপজেলার বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের হাতিলোটা মাহমুদাবাদ গ্রামের নুরুল আলম নুরুর ছেলে মোঃ এমরান (৪৫) ও মোঃ সুজন (২৮), বাড়বকুণ্ড এসকে এম চৌধুরী পাড়া এলাকার মৃত নুর হোসেনের ছেলে মোঃ শাহিন (২৬) ও মুরাদপুর হাসনাবাদ গ্রামের মোহাম্মদ লাতুর ছেলে সাহাব উদ্দিন (৩৬)। মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, সীতাকুণ্ড উপজেলার বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের হাতিলোটার বাসিন্দা নাসির উদ্দীন। ব্যবসা করতেন গরুর খামারের। গত ২৬ মার্চ সন্ধায় ইফতারের পর মোটরসাইকেল যোগে প্রতিবন্ধী ছেলে নাফিজ উদ্দিনকে নিয়ে শপিং করার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। এসময় হাতিলোটা বোচার নতুন বাড়ির সামনে পূর্ব পাশে কালভাটের উত্তর পাশে রাস্তা অতিক্রম করার সময় সন্ত্রাসীরা মোটরসাইকেল থামিয়ে ছেলে নাফিজকে (প্রতিবন্ধী) মোটরসাইকেল হতে নামিয়ে একটি চকলেট দিয়ে বাড়ির দিকে চলে যেতে বলা হয়। কিন্তু ছেলর বাড়ির না গিয়ে ঘটনাস্থলে দাড়িয় ছিল। তখনই ধারালো রামদা দিয় কুপিয়ে নাসিরের ডান পাশের গালে ও ঘাড়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। রামদার কুপে থুতনী হতে ঘাড়ের পেছনে বাম কান পর্যন্ত এক-তৃতীয়াংশ কেটে যায়। পরে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। এদিকে মামলার এজাহারে ৮ জনই বিএপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী বলে জানা গেছে।এরআগে বুধবার (২৬ মার্চ) সন্ধায় ইফতারের পরে বাড়ি থেকে প্রতিবন্ধী ছেলেকে নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে শপিং করতে যাওয়ার সময় ধারালো অস্ত্রের কোপে নাসির উদ্দিনের শরীর থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে তাকে হত্যা করা হয়।সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুজিবুর রহমান বলেন, নাসির উদ্দীনকে আত্মার ঘটনায় তার স্ত্রী ৮ জনের নাম উল্লেখ করে মোট ১২ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। এরমধ্যে শুক্রবার চারজনকে আটক করা হয়েছে। অন্যদেরকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। গ্রেফতার হওয়া আসামিদেরকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এইচএ
    রাত পোহালেই ঈদ, ক্রেতাদের ধাক্কাধাক্কি
    মাদারীপুরের শিবচরে শেষ মুহূর্তের ঈদের কেনাকাটায় মুখরিত বিপণীবিতানগুলো। রঙিন আলোয় সেজেছে বাজার, জমে উঠেছে পোশাক ও জুতার দোকান। ভিড় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন কাঁচাবাজারের বিক্রেতারাও। বাড়তি দামের আক্ষেপে মিশিয়ে নিচ্ছেন আনন্দের রঙ।শনিবার (২৯ মার্চ) সরেজমিনে দেখা গেছে, ঈদকে কেন্দ্র করে শিবচরের বিপণীবিতানগুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। বাহারি পোশাকের পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা, আর ক্রেতারা ব্যস্ত তাদের সাধ্যের মধ্যে পছন্দের পোশাক কেনায়। নামিদামি ব্র্যান্ডের প্রতি আগ্রহ থাকলেও অতিরিক্ত দাম নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে ক্রেতাদের।উপজেলার একাধিক মার্কেটের প্রবেশপথ থেকে দোকানের ভেতর পর্যন্ত ধাক্কাধাক্কির চিত্র চোখে পড়ার মতো। কেউ ছুটছেন গার্মেন্টসের পোশাকের দিকে, কেউবা কসমেটিকস ও জুতার দোকানে ভিড় করছেন।শিবচরের বিভিন্ন কাঁচাবাজার ও বিপণীগুলোতে ঈদের আনন্দে মিশেছে কেনাকাটার ব্যস্ততা, আর মানুষের মুখে হাসির ঝিলিক। ঈদের আনন্দে নতুন পোশাকের খুশি ছড়িয়ে পড়ছে সবার মনে।ইউনুস নামের এক পোশাক ক্রেতা বলেন, "দোকানে ঢুকতেই ভিড়ে ধাক্কাধাক্কি। দামও চড়া, পছন্দের পোশাক পেলেও কিনতে কষ্ট হচ্ছে। তবুও সাধ্যের মধ্যে কেনাকাটা করছি।"ইতালি প্রবাসী রুবেল বেপারীর ভাষ্য, "পরিবারের জন্য পোশাকাদি কেনাকাটা করতে এসেছি। চাপ যেমন বেশি, দামও তেমন। তবে ঈদের আনন্দ পরিবারের সঙ্গে ভাগাভাগি করতেই হবে।"বিক্রেতারাও খুশি ঈদের বেচাকেনায়। সবীজ গার্মেন্টসের স্বত্বাধিকারী বলেন, "গত বছরের তুলনায় বিক্রি ভালো। ক্রেতারাও আগ্রহ নিয়ে কিনছেন।" সৌরভ ফ্যাশনের মালিক জানান, "সকাল থেকে ব্যস্ত সময় পার করছি। ব্র্যান্ডের পোশাকের দাম সবসময় একটু বেশি থাকে।"এদিকে ঈদকে ঘিরে কাঁচাবাজারগুলোতে সমানভাবে ভিড় জমেছে। কেউ ধাক্কাধাক্কি করে, কেউ আবার সাবধানে নিজেদের চাহিদামতো কাঁচাবাজার সংগ্রহ করছেন। পোশাকের মতোই কাঁচাবাজারের গুরুত্বও কম নয়। ঈদের নামাজ ও সেমাই খাওয়ার পরই গরুর মাংস দিয়ে বাহারি পিঠা ও অন্যান্য খাবার তৈরি হয়, যা উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ।গ্রামের ঐতিহ্য সম্পর্কে জুলহাস নামের এক ব্যক্তি বলেন, “আমরা সাধারণত ঈদের দিনে সেমাই খাওয়ার পর দুপুরে একই সমাজের সবাই একত্রে গরুর মাংস দিয়ে ভাত খাই। এটা আমাদের গ্রামের একটি চিরাচরিত ঐতিহ্য।” এ কারণেই ঈদের আগের দিন প্রতিটি কাঁচাবাজারে গরুর মাংসের দোকানসহ আনুষঙ্গিক পণ্য—পেঁয়াজ, রসুন, ও অন্যান্য মসলার দোকানে ব্যাপক ভিড় দেখা যায়।শিবচর থানার ওসি মো. রতন শেখ জানান, "কেনাবেচার চাপ বেড়েছে। যানজট নিরসনে ট্রাফিক ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।"এমআর 
    কালিয়াকৈর চন্দ্রায় ১৬ বছর পর ঈদযাত্রায় স্বস্তি
    দীর্ঘ ১৬ বছর পর এবারের ঈদযাত্রায় গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা মোড় এলাকায় স্বস্তি ফিরেছে। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের অন্যতম ব্যস্ত ও গুরুত্বপূর্ণ এই সংযোগস্থলে ২৩টি জেলার মানুষ এবার নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারছেন।প্রতিবছর ঈদ এলেই চন্দ্রা মোড় ও আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হতো। ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থেকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হতো যাত্রী ও চালকদের। তবে এবার সেই চিত্র বদলে গেছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কার্যকরী পদক্ষেপ, সড়ক উন্নয়ন ও সুসংগঠিত ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার কারণে যানজটমুক্ত ঈদযাত্রার অভিজ্ঞতা পেয়েছেন যাত্রীরা।চলতি বছরে যানজট এড়াতে সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। পুলিশের পাশাপাশি হাইওয়ে পুলিশ, আনসার, র‍্যাব ও সেনাবাহিনী সম্মিলিতভাবে মহাসড়কের যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করছে।চন্দ্রা মোড়সহ গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোর সড়ক সম্প্রসারণ ও সংস্কার করা হয়েছে, ফলে যানবাহনের গতি স্বাভাবিক রয়েছে।বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ঈদযাত্রার সুবিধার্থে মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে কাজ করছে, যা যানজট নিরসনে ভূমিকা রেখেছে।যাত্রীদের সুবিধার্থে ঢাকা ও উত্তরবঙ্গের সংযোগস্থলে বিকল্প সড়কের ব্যবহার নিশ্চিত করা হয়েছে, চাপ কমাতে সহায়তা করেছে।যাত্রীরা জানান, এবারের ঈদযাত্রা অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক স্বস্তিদায়ক। ঢাকার গাবতলী, আশুলিয়া ও চন্দ্রা মোড় হয়ে উত্তরবঙ্গগামী বাস, ট্রাক ও ব্যক্তিগত গাড়িগুলো সহজেই গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছে।নাটোরগামী যাত্রী মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রতিবছর চন্দ্রা মোড়ে এসে ভয় পেতাম, কখন পৌঁছাবো জানতাম না। এবার কোনো যানজট নেই, মাত্র ৩০ মিনিটেই সাভার থেকে চন্দ্রা পার হয়েছি।অপর এক যাত্রী, রাজশাহীগামী রোকসানা আক্তার বলেন, ছোট বাচ্চাদের নিয়ে ঈদের আগে বাসে দীর্ঘ যানজটে আটকে থাকা খুব কষ্টকর ছিল। কিন্তু এবার খুব আরামে বাড়ি ফিরতে পারছি।আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ধন্যবাদ জানাই।নাওজোড় হাইওয়ে পুলিশের (ওসি) রইজ উদ্দিন বলেন, যানজট এড়াতে আমরা এক সপ্তাহ আগেই পরিকল্পনা নিয়েছি। প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে ট্রাফিক পুলিশের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরদারি করা হচ্ছে।কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউসার আহমেদ বলেন,চন্দ্রা মোড়ে যানজট নিরসনে এবার বেশ কিছু নতুন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মূল সড়কের পাশাপাশি বিকল্প রুট চালু করা হয়েছে, ফলে চাপ কমেছে।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু ঈদ নয়, সারা বছর এভাবেই সুষ্ঠু যানবাহন ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা গেলে দেশের মহাসড়কগুলোতে আর কখনো যানজট হবে না। এজন্য নিয়মিত মনিটরিং ও পরিকল্পিত ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা জরুরি।এআই
    শরীয়তপুরের ৩০ গ্রামে আগাম ঈদ উদযাপন
    শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার সুরেশ্বর দরবার শরিফের অনুসারীরা রবিবার সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদুল ফিতর উদযাপন করেছেন। জেলার ছয় উপজেলার ৩০টি গ্রামের প্রায় ৩২ হাজার মানুষ এ ঈদ উৎসবে অংশ নেন।রবিবার (৩০ মার্চ) সকাল ১০টায় সুরেশ্বর দরবার শরিফ সংলগ্ন মাঠে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন মাওলানা শাহ সূফী সৈয়দ বেলাল নূরী সুরেশ্বরী এবং মোনাজাত পরিচালনা করেন দরবারের গদিনশীন পীর ও মোতোয়াল্লী হযরত মাওলানা শাহ সূফী সৈয়দ কামাল নূরী সুরেশ্বরী।সুরেশ্বর দরবারের গদিনশীন পীর জানান, দেড় শতাধিক বছর ধরে চান্দ্র মাসের হিসেব অনুযায়ী সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে এ অঞ্চলের মানুষ আগেভাগে রোজা রাখা ও ঈদ উদযাপন করে আসছেন।
    রাজধানীতে ঈদ জামাতের নিরাপত্তায় থাকবে ১৫ হাজার পুলিশ
    রাজধানী ঢাকায় এবারের ঈদ জামাতের নিরাপত্তায় ১৫ হাজার পোশাকধারী পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। পুলিশের পাশাপাশি অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে ‘সমন্বিত নিরাপত্তা বলয়’ গড়ে তোলার কথা জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার। এছাড়া কোন ধরনের নিরাপত্তার ঝুঁকি না থাকলেও নিষিদ্ধঘোষিত কোনো দল যাতে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে না পারে সেব্যাপারে সতর্ক থাকার কথাও জানান তিনি।রোববার (৩০ মার্চ) জাতীয় ঈদগাহে গৃহিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।ডিএমপি কমিশনার বলেন, বরাবরের মতো এবারও জাতীয় ঈদগাহে প্রায় ৩৫ হাজার মুসল্লির অংশগ্রহণে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। আর বায়তুল মোকাররমে ৫টি ঈদ জামাতের মধ্যে প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। আবহাওয়া প্রতিকূলে থাকলে জাতীয় ঈদগাহের জামাতটি সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া ঢাকা মহানগরীতে মোট ১১১টি ঈদগাহে এবং ১ হাজার ৫৭৭ টি মসজিদে ১ হাজার ৭৩৯টি ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে।শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, সব স্থানের ঈদ জামাতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ডিএমপি সমন্বিত ও সুদৃঢ় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের নিরাপত্তা বিধানে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হবে। তল্লাশির জন্য আর্চওয়ে ও মেটাল ডিটেক্টর থাকবে। পুরো জাতীয় ঈদগাহ ময়দানসহ আশপাশের এলাকা সিসিটিভি আওতাভুক্ত থাকবে। প্রায় ১০০ সিসিটিভি ইতোমধ্যে স্থাপন করা হয়েছে। কন্ট্রোল রুম থেকে যা সার্বক্ষণিকভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে।তিনি বলেন, ঈদগাহে প্রবেশের প্রধান তিনটি গেইটে ব্যারিকেড থাকবে, যেখানে আর্চওয়ে ও মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশির ব্যবস্থা থাকবে। মৎস্যভবন, প্রেস ক্লাব ও শিক্ষাভবন এবং ঈদগাহ ময়দানের চতুর্পাশে বহির্বেস্টনি দিয়ে তল্লাশির ব্যাবস্থা থাকবে। ঈদগাহ ময়দান ও আশপাশের এলাকা এসবির সুইপিং টিম এবং সিটিটিসির ডগ স্কোয়াড সুইপিং করবে। সোয়াত ও বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট স্ট্যান্ডবাই থাকবে। সাদা পোশাকে ডিবি ও সিটিটিসি সদ্য মোতায়েন থাকবে। ওয়াচটাওয়ার থেকে মনিটরিংসহ ও নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করা হবে।তিনি আরও বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে তল্লাশিকাজে সহায়তার অনুরোধ করা হলো। কোনো প্রকার ব্যাগ, ধারালো বস্তু, দাহ্য পদার্থ নিয়ে না আসার জন্য অনুরোধ রইল। সকলকে জামাত শেষে তাড়াহুড়া না করে সুশৃঙ্খলভাবে বের হওয়ার অনুরোধ করা যাচ্ছে।সন্দেহজনক কিছু মনে হলে নিকটস্থ পুলিশ সদস্যকে জানাতে কিংবা প্রয়োজনে ৯৯৯ অথবা পুলিশ কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন তিনি।এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমরা দুই ধরনের নিরাপত্তা ব্যাবস্থা নিয়েছি। একটা হলো- ওভার এবং আরেকটা কভার। সবকিছুতো আমরা ডিসক্লোজ করি না। অনেককিছু নিরাপত্তার স্বার্থে গোপন রাখি।তিনি বলেন, ঈদে কোনো ঝুঁকি নেই। আলহামদুলিল্লাহ আমরা রমজান মাসে ঢাকাবাসী অনেক ভালো ছিলাম বলেই আমি মনে করি। আজকে শেষ দিন রমজানের, ইনশাল্লাহ আজকের দিনটিও আমরা ভালোভাবে পার করতে সক্ষম হবো। ঈদ জামাতের নিরাপত্তায় ১৫ হাজার পোশাকধারী পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। সাথে এটিইউ, সিটিটিসি, ডিবি সবার সমন্বয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হয়েছে। বাংলাদেশ আর্মিও থাকবে। সাবাই মিলে সমন্বিতভাবে নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলছি।ঈদ ঘিরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আওয়ামী লীগের ‘অপতৎপরতা’ নিয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমরা সবসময় সতর্ক আছি। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ না, নিষিদ্ধঘোষিত যে সব দল আছে সেসব দল যাতে কোনো রকম অ্যাকটিভিটিজ পরিচালনা না করতে পারে সে ব্যপারে আমরা সদা সতর্ক।পিএম
    পরিবারের সাথে ঈদ হলো না নাজমুল দম্পতির, সড়কে গেল প্রাণ
    প্রিয়জনদের সাথে ঈদ উল ফিতরের আনন্দ ভাগাভাগি করতে বাড়ী উদ্দেশ্যে স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে রোববার সকালে যাত্রা করেন নাজমুল। কিন্তু স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে তার আর বাড়ী যাওয়া হলো না। পথে তাকওয়া পরিবহণের একটি বেপরোয়া গতির বাস কেড়ে নেয় তার ও তার স্ত্রীর প্রাণ। ঈদে তিনি স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ী গেলেন নিথর দেহে। আর তার দুই অবুঝ সন্তান দাদার বাড়ীর পরিবর্তে এখন হাসপাতালের বিছানায় যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে।দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, আজ রোববার (৩০ মার্চ) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী থানাধীন দেওলিয়বাড়ী এলাকায়। তাকওয়া পরিবহনের বেপরোয়া একটি যাত্রীবাহি বাস এ পরিবারের চার সদস্যসহ ৮ জন যাত্রীবাহি একটি অটোরিক্সাকে চাপা দিলে তিন জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো পাঁচ জন।এ দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিচয় পাওয়া গেছে। তবে, দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা নিয়ে পুলিশের দুই কর্মকর্তা দুই রকম তথ্য দিয়েছেন। দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন, টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতি থানার ঘোড়িয়া গ্রামের আনসার আলীর ছেলে নাজমুল হোসেন ও তার স্ত্রী ফরিদা ইয়াসমিন (২৮)। অপরজন, অটোরিক্সার চালক হালিম ওরফে জুয়েল সরকার (২৫)। তিনি সিরাজগঞ্জ জেলার কামারখন্দ থানার চন্ডিপুরের হিরো সরকারের ছেলে। তাদের মধ্যে অটো চালকের মরদেহ পুলিশের হেফাজতে আছে, অপর দুইজনের মরদেহ স্বজনরা নিয়ে গেছে।স্বামী-স্ত্রী নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, নিহত নাজমুলের চাচাতো ভাই শরিফুল ইসলাম। তিনি আরো জানান, দুর্ঘটনার পর তাদেরকে টাঙ্গাইল মেডিকেলে আনার সময় পথে তারা মারা যায়। এ ঘটনায় আহত তাদের দুই সন্তানকে টাঙ্গাইল মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে।অপরদিকে, অটো চালক নিহতের তথ্য নিশ্চিত করেছেন গাজীপুর মহানগর পুলিশের কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম। তিনি ৩ জন নিহত হওয়ার কথা জানেন না বলেও জানান।অপরদিকে, দুর্ঘটনার কিছু সময় পর কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। নিহত নাজমুলের চাচাতো ভাই শরিফুল ইসলাম বলেন, নিহত নাজমুল ও তার স্ত্রী কোনাবাড়ী এলাকায় স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকুরী করতেন। রোববার সকালে নামজমুল তার স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে বাড়ীর উদ্দেশ্য টাঙ্গাইল আসার জন্য অটোরিকশায় করে কোনাবাড়ী দিকে যাচ্ছিলেন। পথে দুর্ঘটনায় তারা মারা গেছেন।দুর্ঘটনায় আহতরা হলেন, নিহত দম্পতির ছয় বছরের মেয়ে ও এক বছরের ছেলে। অপর তিনজন হলেন, কোনাবাড়ী এলাকার এনামুল (৩০), মানিকগঞ্জ জেলার ধামরাইয়ের অজিত চরণ (৪৫) ও তার পিতা গঙ্গা চরণ (৮০)।স্থানীয়রা জানায়, তাকওয়া পরিবহনের একটি যাত্রীবাহি বাস বেপরোয়া গতিতে গাজীপুর মহানগরীর জয়দেবপুর থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক দিয়ে কালিয়াকৈরের চন্দ্রার দিকে আসছিল। পথে কোনাবাড়ী ফ্লাইওভারের পশ্চিম পাশে বাসটি যাত্রীবাহি অটোরিক্সাকে সামনে থেকে চাপা দেয়। এতে অটোরিক্সাটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। অটোরিক্সাটিতে স্বামী-স্ত্রীসহ একই পরিবারের ৪ জন যাত্রীসহ মোট ৮ জন যাত্রী ছিলেন। তাদের মধ্যে ৩ জন নিহত ও অপর ৫ জন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) এস এম আশরাফুল ইসলাম, রোববার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বেপরোয়া গতির একটি তাকওয়া পরিবহনের যাত্রীবাহী বাস একটি ব্যাটারীচালিত অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এতে অটোরিক্সাটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। এ ঘটনায় অটোরিক্সার তিন যাত্রী ঘটনাস্থলেই নিহত হন এবং অপর দুজন গুরুতর আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ও স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করেছে।পিএম
    ঈদে বাড়ি ফেরা মানুষের নিরাপত্তায় যৌথবাহিনী
    ভোলার চরফ্যাশনে ঈদে বাড়ি ফেরা মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে পাশে রয়েছেন যৌথবাহিনী।রবিবার (৩০ মার্চ) বিকালে ঢাকা থেকে বেতুয়াগামী যাত্রীবাহী লঞ্চে বাড়ি ফেরা মানুষের নিরাপত্তা দিতে যাত্রীদের পাশে দাড়ালেন নৌ-বাহিনীসহ চরফ্যাশন থানা পুলিশ যৌথবাহিনীর একটি টিম।জানাযায়, পরিবারদের সাথে ঈদ উদযাপন করতে নারীর টানে ইট পাথরের শহর ঢাকা থেকে গ্রামে ছুটে এসেছেন কর্মমুখী মানুষেরা। তাদের ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ও নিরাপত্তার স্বার্থে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও চরফ্যাশন থানা পুলিশ এর সমন্বয়ে যাত্রীদের নিরাপত্তা প্রদানের লক্ষ্যে রোববার বেতুয়া লঞ্চঘাট এলাকায় যৌথ টহল ও তল্লাশির কার্যক্রম করেছেন।ঢাকা ফেরত লঞ্চ যাত্রী একরাম বলেন, আমরা বিগত সময় ঈদ মৌসুমে বেতুয়া লঞ্চঘাটে লঞ্চ যাত্রীদের বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হতে দেখেছি। তবে আজকে নৌবাহিনীসহ পুলিশের যৌথবাহিনী লঞ্চঘাটে অবস্থান করার কারনে যাত্রীরা নিরাপদে গন্তব্যে ফিরছেন।চরফ্যাশন থানার উপ-পরিদর্শক মো. সাইফুল ইসলাম জানান, পরিবারের সাথে ঈদ যাপন করতে শহরমুখী মানুষের নিরাপদে বাড়ী ফেরা নিশ্চিতে নৌবাহিনী ও চরফ্যাশন থানা পুলিশসহ যৌথবাহিনী নিরাপত্তা মূলক কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন এবং সামনের দিনগুলোতেও এই কার্যক্রম অব্যহত থাকবে।এনআই
    বিয়ের দাবীতে পরকীয়া প্রেমিকের বাসায় প্রবাসীর স্ত্রী
    ভোলার বোরহানউদ্দিনে পরকীয়া প্রেমিককে বিয়ের দাবীতে অনশনে বসেছেন সোনিয়া বেগম (২৩) নামের এক প্রবাসীর স্ত্রী। রোববার (৩০ মার্চ) সকালে উপজেলার পক্ষিয়া ইউনিয়নের আফিরউদ্দিন হাজী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। সোনিয়া বেগম ওই বাড়ির সাফিজলের মেয়ে। তার পরকীয়া প্রেমিকের নাম মারুফ। সোনিয়া বেগম ও  মারুফ একই বাড়ির বাসিন্দা এবং সম্পর্কে চাচাতো ভাইবোন হয়।স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, গত ৩ বছর আগে একই উপজেলার টবগী ইউনিয়নের মনিরাম এলাকার বাসিন্দা মন্নান মিয়ার ছেলে মামুনের সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় সোনিয়ার। বিয়ের ৭ পর স্বামী মামুন মিয়া প্রবাসে চলে যান। যদিও চাচাতো ভাই মারুফের সাথে বিয়ের আগে থেকেই প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। স্বামী প্রবাসে যাওয়ার পর সোনিয়া তার বাবার বাড়িতে চলে আসেন। বাড়িতে এসে তাদের প্রেমের সম্পর্ক আরো গভীর হয়। বিয়ের প্রশ্রুতিতে নিজ বাড়িতে  কাটান একান্ত মূহুর্ত। সোনিয়া বেগম জানান, বিয়ের আগে থেকেই মারুফের সাথে তার কথা বার্তা চলতো। বিয়ের পর তার স্বামী প্রবাসে যাওয়ার পর থেকেই মারুফ তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখায়। তার প্রবাসী স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে তার সাথে সংসার করবে বলে আশা দিতেন। এভাবে তাদের সম্পর্ক গভীরে গিয়ে শারীরিক সম্পর্কে রুপ নেয়। কয়েক দফায় সোনিয়ার কাছ থেকে টাকাও নিয়েছেন মারুফ।পরে সোনিয়া মারুফকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে মারুফ বিয়ে করতে রাজি না হয়ে তালবাহানা করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে সোনিয়ার প্রবাসী স্বামী তাকে ডিবোর্স দিবে বলে জানায়। তাই কোন ডাল কূল না পেয়ে মারুফের বাসায় বিয়ের দাবীতে অনশনে বসেছেন সোনিয়া বেগম। এদিকে প্রেমিক মারুফের মা জানান, তার ছেলে এরকম কোন কিছুই করেনি। এই মেয়ের স্বামী না থাকায় তার ছেলেকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন। চাচাতো ভাইবোন হিসেবে তাদের মধ্যে কথাবার্তা হতো। সেটাকে পুঁজি করে এই মেয়ে তার ছেলের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে দাবী করেন তিনি। এ বিষয়ে বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিদ্দিকুর রহমান জানান, এই বিষয়ে কোন অভিযোগ পাওয়া যায় নি। তাই বিষয়টি তার জানা নেই।এমআর
    ঝালকাঠিতে কিশোরীকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১
    ঝালকাঠির নলছিটিতে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে হাসান তালুকদার নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৯ মার্চ) নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়নের তিমিরকাঠি গ্রাম থেকে আসামি মো. হাসান তালুকদারকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নলছিটি থানার ওসি মো. আব্দুস ছালাম। মামলা সূত্রে জানা গেছে , স্কুলে ও প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় অভিযুক্ত হাসান তালুকদার মেয়েটিকে দীর্ঘদিন ধরে উত্ত্যক্ত করছিলেন এবং প্রেমের প্রস্তাব দিচ্ছিলেন। বিষয়টি ভুক্তভোগীর পরিবার অভিযুক্তের অভিভাবকদের জানালে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।ফলে গত ২৫ মার্চ সকালে ওই কিশোরী প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘর থেকে বের হলে অভিযুক্ত হাসান ওঁত পেতে থেকে তার মুখ চেপে ধরে এবং ধারালো কাঁচির ভয় দেখিয়ে পাশের একটি বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে মেয়েটিকে মাটিতে ফেলে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে।এ ঘটনায় কিশোরীর মা শনিবার (২৯ মার্চ) সকালে বাদী হয়ে নলছিটি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৯(১) ধারা অনুযায়ী একটি মামলা দায়ের করে। মামলা দায়ের করার পরপরই এসআই করুন চন্দ্র বিশ্বাস আসামী মো. হাসান তালুকদার (২৪) কে গ্রেপ্তার করে। সে উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়নের তিমিরকাঠি এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ আলী তালুকদারের ছেলে ।নলছিটি থানার ওসি মো. আব্দুস ছালাম জানান, কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করার পরপরই অভিযান চালিয়ে আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।এআই
    বাউফলের ১৪ গ্রামে আজ ঈদ উৎসব
    পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় আজ পালিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। উপজেলার ১৪ গ্রামের প্রায় ২৬ হাজার মুসলিম তাদের পবিত্র এ উৎসব উদ্যাপন করেছেন। সৌদিআরবের সাথে সমন্বয় রেখে জাহাগিরিয়া শাহসুফী মমতাজিয়া দরবার শরিফ এলাহাবাদ চন্দনাইস চট্রগ্রাম এর অনুসারীরা প্রতি বছর ১দিন আগে তারা ঈদ উৎসব পালন করেন।আজ রবিবার (৩০ মার্চ) সকাল সারে ৯টায় ঈদের প্রথম ও প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয় উত্তর চন্দ্রপাড়া শাহসূফী মমতাজিয়া জামে মসজিদে। ওই নামাজে খুতবা প্রদান করেন শাহসুফি মমতাজিয়া জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব হাফেজ মাওলানা মো. রাসেদ। মসজিদের সভাপতি আলী আহম্মদ খান জানান, হানিফী মাযহাবের মতে শাওয়াল মাসের চাঁদ পশ্চিম আকাশে দেখা দিলে উহার সংবাদ পূর্বপ্রান্তে এসে পৌছাইলে সকলের জন্য ঈদ করা ওয়াজিব হয়ে যায়। এ ছাড়াও উপজেলার বগা, বানাজোরা, বামনিকাঠী, ধাউড়াভাঙ্গা, চাঁদপাল, সাবপুরা, রাজনগর, শাপলাখালী (পুরাতন), শাপলাখালী (নতুন), কনকদিয়া, সূর্দী, দ্বিপাশা, গোসিংগা, মদনপুরা, চন্দ্রপাড়া, মাঝপাড়া, তাঁতেরকাঠী ও কাশিপুর গ্রামের পরিবারগুলো আজ পবিত্র ঈদুল ফিতর উৎসব পালন করেছেন। ঈদ উপলক্ষে গ্রাম গুলোতে আনন্দ বিরাজ করছে। একে অপরের প্রতি ঈদ শুভেচ্ছা বিনময় করেন।এইচএ
    ঈদ আসলেই নিরবে কাঁদেন বৃদ্ধাশ্রমের বাবারা
    মানুষের জীবনের বৃদ্ধ বয়স হলো শেষ ধাপ, সেই বয়সে পিতা-মাতার  খেয়াল না রাখলে হবে যে পাপ। তুমিও যে আমার মতো হবে একদিন বৃদ্ধ বাপ, দিচ্ছি না আমি তোমায় অভিশাপ। বাস্তবতায় আমাকে দেখে কি উপলব্ধি হচ্ছে আজ? তোমারও যে চামরায় পড়িবে একদিন এইরকম ভাঁজ। আনন্দময় মূহুর্ত বা বড় কোন উৎসবের আমেজ আসলেই এই কবিতার লাইনগুলোই যেনো শেষ সম্বল হয়ে মনের কোনে উঁকি দেয় বৃদ্ধাশ্রমে বসবাস করা বাসিন্দাদের মনে। ঈদুল ফিতরের আর মাত্র একদিন বাকী। চারদিকে উৎসবের আমেজ, ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে দুর দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন পরিবারের স্বজনা। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে দিতে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কেনাকাটায় ছুটছেন হাজারো মানুষ। ধনী-গরিব সবাই যখন ঈদ আনন্দে মশগুল সেসময়ও দূর নির্জন জায়গায় প্রিয়জন ছাড়া নিভৃতে বৃদ্ধাশ্রমে চোখের জল ফেলছেন একদল মানুষ। এ মানুষগুলোর মধ্যে অনেকেই আশায় আছেন এবারের ঈদে তার স্বজন বা সন্তানরা কেউ আসবে। সকাল থেকে দুপুর, দুপুর থেকে সন্ধ্যা ও রাত পর্যন্ত অধীর আগ্রহ নিয়ে বসে আছেন বৃদ্ধাশ্রমে থাকা মানুষগুলো।সব থেকেও যেন কেউ নেই তাদের। পরিবার থেকে অনেক দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছে এসব মানুষদের। এখন শেষ বয়সে একা জীবন পার করছেন তারা। জানালার কাছে একা বসে তীক্ষ্ণ চাউনিতে চেয়ে আছেন বৃদ্ধরা।এমনি নির্মম গল্প ভোলার বৃদ্ধ নিবাসের অসহায় বাবাদের। যাদের কেউ ভালো নেই। বৃদ্ধ নিবাস থেকে তাদের তিন বেলা খাবার দেয়া হলেও স্বজন থেকে আলাদা থাকতে হচ্ছে। এমন কষ্ট আর অসহায়ত্বের কথা কারো কাছে বলতে পারছেন না। তবুও সন্তানদের বিরুদ্ধে অভিযোগ নেই তাদের। বৃদ্ধ নিবাসের বাসিন্দা বৃদ্ধ বাবাদের এমনি গল্প যা অত্যান্ত নির্মম বলেই মনে করছেন অনেকে। তবে বাবাদের যেন এভাবে রাখা না হয়, সন্তানদের প্রতি সেই অনুরোধ সচেতন মহলের।ভোলার বিশিষ্ট সমাজসেবক নিজাম-হাসিনা ফাউন্ডশনের অর্থায়নে পরিচালিত ভোলা সদরের পৌর কাঠালির বৃদ্ধ নিবাসে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, একজন সামছুল হক বৃদ্ধ নিবাসে বসে নিপুন হাতে জাল বুনছেন, কি কাজে লাগাবেন সেই জাল নিজেও জানেন না। সময় কাটাতেই হয়তো জাল বুনছেন তিনি। সদর উপজেলার আলীনগর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন সামসল হক। তার ৬ মেয়ে এক ছেলে। সব মেয়েদের বিয়ে দিয়ে দিয়েছেন । ঘরে আছে একমাত্র ছেলের বউ। কিন্তু তার আচরণ সন্তোষজনক না, তার পরেও কোন অভিযোগ নেই তার। বললেন, এখানেই ভালো আছেন তিনি। সন্তানদের প্রতি কোন অভিযোগ অভিমান নেই তার।আ.রশিদ নামের এক বৃদ্ধ বাবা তার ছেলেকে বৃদ্ধাশ্রমে এসে দেখা করতে নিষেধ করেছেন। বললেন, ছেলের সম্মানের কথা বিবেচনা করেই আসতে নিষেধ করা হয়েছে। চাপা কষ্ট বুকে চেপে রেখে বললেন বৃদ্ধাশ্রমে ভালো আছেন তিনি। সংসার জীবনে কোন অভাব ছিলো না তার। তারপরেও এখানে থাকি। মাঝে মধ্যে বাড়িতে যাই সবার সাথে দেখা করতে।সামসল হক কিংবা আ.রশিদই নয়, তাদের মত একই অবস্থা মন্নান,  ইউনুসসহ আরো অনেক বাবাদের। তাদের প্রত্যেকের বৃদ্ধাশ্রমে আসার গল্পটা ভিন্ন হলেও পরিনতি যেন একই।এ বৃদ্ধনিবাসে এ থাকেন ১৭জন বৃদ্ধ বাবা। খাবার-সেবা যত্ন নিয়মিত চললেও সন্তানদের কথা মনে করে কাঁদেন তারা। সব কিছু থেকেও যেনো, কিছুই নেই তাদের। জীবন যুদ্ধে নেমে ধরেছেন সংসারের হাল, করেছেন সন্তানদের জন্য অর্থ সম্পদ। সময়ের ব্যবধানে আজ তারা বাড়ি হারা হয়ে পরেছেন।ওই বৃদ্ধাশ্রমের ম্যানেজার সালেহ উদ্দিন সেলিম বলেন, বাবাদের এভাবে বৃদ্ধাশ্রমে যে সন্তানরা রেখেছেন তারাও তো একদিন বাবা হবেন। তখন তাদের পরিনতিও এরকম হতে পারে। প্রত্যেক সন্তানদের উচিত তাদের বাবাদের কাছে রাখা। এমন দিন আসবে তারাও বৃদ্ধ হবে।প্রতিষ্ঠাতা নিজাম উদ্দিন জানান, তার অধ্যায়নর অবস্থায় বাবা মা মারা যান। বাবা মায়ের সেবাযত্ন করতে না পারার আক্ষেপ থেকেই বৃদ্ধাশ্রম গড়ে তোলেন তিনি। ঈদ কিংবা কোন উৎসবে সময় কাটান বৃদ্ধ নিবাশের বৃদ্ধদের সাথে। নিজেই উৎসবে মেতে উঠেন তাদের সাথে। পিএম
    ভালুকায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১
    ময়মনসিংহের ভালুকায় মাহিন্দ্রা ট্রাক ও মিনিবাসের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন, আহত একাধিক।রবিবার (৩০ মার্চ) সকালে উপজেলার কাঁঠালী পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ওই সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে।স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ময়মনসিংহ গামী লেনে চ্যাম্পিয়ন পরিবহনের একটি মিনিবাস একটি মাহিন্দ্রা ট্রাক ওভারটেক করতে গিয়ে রাস্তার পাশের বৈদ্যুতিক খুটিতে লাগে। মিনিবাসের সামনের অংশ দুমড়ে মুচড়ে যায়। এসময় একজন অজ্ঞাত বৃদ্ধ নারী নিহত হয়।খবর পেয়ে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনী এসে উদ্ধার কাজ করেন।ভরাডোবা হাইওয়ে থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় একজন বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন। আহতের সংখ্যা নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না।পিএম
    ফেসবুকে হা হা রিয়্যাক্ট দিয়ে প্রাণ হারালেন কলেজ ছাত্র
    বন্ধুর ফেসবুক পোস্টে হা হা রিয়্যাক্ট দেওয়ায় জেরে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে ছুড়িকাঘাতে নাইম বাদশা নামে এক কলেজ ছাত্রকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সবুজ আহমেদকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার সকালে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নয়াবিল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।নিহত নাইম বাদশা ওই গ্রামের কৃষক সাইফুল ইসলামের ছেলে এবং সরকারি নাজমুল স্মৃতি কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল।পুলিশ ও স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, উপজেলার নয়াবিল ইউনিয়নের আন্ধারুপাড়া গ্রামের হুরমুজ আলী ভুট্টুর ছেলে সবুজ আহমেদ গাজীপুর এলাকায় সিকিউরিটি গার্ডের কাজ করে। নিহত নাইম পার্শ্ববর্তী নয়াবিল গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে। উভয়ে বাল্যবন্ধু। সম্প্রতি নাইম সবুজের একটি ফেসবুক পোস্টে হা হা রিয়্যাক্ট দেয়। এ নিয়ে সবুজ ক্ষোভে নাইমকে হুমকিও দেয়। শনিবার সকালে সবুজ নাইমকে মোবাইল ফোনে ডেকে বাড়ির অদূরে কৃষি ব্যাংক নয়াবিল শাখার পেছনে নিয়ে যায়। সেখানে যাওয়ার পর নাইমের সঙ্গে সবুজের বাক-বিতণ্ডা বাধে। একপর্যায়ে সবুজ নাইমকে পেছন থেকে ছুরিকাঘাত করে। এসময় সঙ্গে থাকা অন্য বন্ধুরা চিৎকার শুরু করে। পরে নাইমকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় স্বজনেরা। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে নাইম মারা যায়। পরে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক নাইমকে মৃত ঘোষণা করেন।এদিকে ঘটনার পরপরই এলাকাবাসী সবুজকে ধরে ফেলে। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ওসি সোহেল রানা বলেন, অভিযুক্তকে আটক করা রয়েছে। এখন আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।এমআর
    দেওয়ানগঞ্জে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু 
    জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে পানিতে ডুবে আয়েশা সিদ্দিকা নামের ৭ বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার  (২৯ মার্চ) দুপুরে উপজেলার চরআমখাওয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ মকিরচর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আয়েশা সিদ্দিকা পল্লী চিকিৎসক নজরুল ইসলামের দ্বিতীয় মেয়ে। সে দক্ষিণ মকিরচর হাফিজিয়া মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী।জানা গেছে, শনিবার দুপুরে শিশু আয়েশা সিদ্দিকা সবার সাথে বাড়ির পাশে সুতারের বিলে মাছ ধরতে যায়। সবার অজান্তে বিলের মাঝখানে গভীর গর্তের পানিতে পড়ে যায় আয়েশা সিদ্দিকা কিনারায় না ওঠায় পরবর্তীতে তাকে খুঁজে না পেলে স্বজনরা খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে ডোবার পানি থেকে তাকে উদ্ধার করে। পরে তাকে সানন্দবাড়ী উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আয়েশা সিদ্দিকাকে মৃত ঘোষণা করেন।সানন্দবাড়ী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আব্দুর রহিম জানান, শিশুটির মৃত্যুর খবর আমরা পেয়েছি। বাড়ির পাশের ডোবাই মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে পড়ে তার মৃত্যু হয়। এসআর
    সরিষাবাড়ীতে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু, স্বামীসহ আটক ৪
    জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে আকতারা বেগম (৪২) নামে চার কন‍্যা সন্তানের জননীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।শুক্রবার (২৮ মার্চ) দুপুরে ঐ জননীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছেন সরিষাবাড়ি থানা পুলিশ। এ ঘটনায় জিঙ্গাসাবাদের জন‍্য স্বামী শান্ত মিয়াসহ চার জনকে আটক করেছে থানা পুলিশ।পুলিশ ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, নিহত ওই নারী পোগলদিঘা ইউনিয়নের গাছ বয়ড়া গ্রামের আঃ রশিদের ছেলে শান্ত মিয়া স্ত্রী এবং চকপাড়া গ্রামের মৃত ছফর আলী মন্ডলের মেয়ে। সে চার কন্যা সন্তানের জননী। পুত্র সন্তান না হওয়া পরিবারের মধ্যে সব সময় ঝগড়া ছিলো স্বামী-স্ত্রীর।গত বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) গাছবয়ড়া এলাকার শ্বশুর বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় আক্তারা বেগম। পরে তাকে তার স্বামীসহ স্বজনরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে মধ্য রাতে সবাই বাড়ী চলে যায়। আজ সকালে নিহতের বাবার বাড়ীর পাশে খলিলের পরিত্যক্ত ভিটায় আকতারা বেগমের ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পায় এলাকাবাসী। পরে স্থানীয়রা পুলিশকে অবগত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ঘটনার সত্যতা পায় এবং নিহতের সুরতহাল শনাক্ত করে থানায় নিয়ে যায়।এঘটনায় নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা ধারণা করছেন সম্ভবত তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে স্বামীর বাড়ী থেকে বাপের বাড়ী এলাকায় গাছের সাথে ঝুলিয়ে রেখে গেছে। আকতারা বেগমের পা মাটিতে স্পর্শ করে একটি ছোট চিকন গাছের সাথে যেভাবে ফাঁস নিয়েছে, তা দেখে এলাকাবাসী সহ সবার মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পুত্র সন্তান না হওয়া নিয়ে ঝগড়া লেগেই থাকতো।এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মো. চাঁদ মিয়া বলেন, ‘মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নেয়া হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। রিপোর্ট আসলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এনআই
    ময়মনসিংহে বহুতল ভবনের ছাদ থেকে পড়ে এক তরুণীর মৃত্যু
    ময়মনসিংহ নগরীর প্রাণকেন্দ্র গাঙ্গিনারপাড় মোড়ের একটি বহুতল ভবনের ‘ছাদ থেকে পড়ে’  অজ্ঞাত এক তরুণীর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এদিকে মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।শুক্রবার (২৮ মার্চ) দুপুরের দিকে নগরীর গাঙ্গিনারপাড় মোড়ের ‘বর্ণালী সিটি সেন্টার’ নামে ১৪ তলা বিশিষ্ট একটি বহুতল ভবনে এ ঘটনা ঘটে। তবে সে ওই ভবনের কেউ নয় বলে দাবি বাসিন্দাদের। এখন পর্যন্ত নিহত তরুণীর পরিচয় পাওয়া যায়নি। এ ঘটনাকে রহস্যজনক বলছেন স্থানীয়রা।পুলিশ ও সিসিটিভি ফুটেজ দেখে জানা গেছে, দুপুর ১টা ১১ মিনিটের দিকে গেট দিয়ে ভবনে প্রবেশ করে নীল জামা পরিহিত এক তরুণী। মুখে মাস্ক থাকায় চেনার উপায় নেই। নিচে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা দারোয়ান না থাকায় সোজা লিফটে চলে যায় সে। ঠিক দুই মিনিট পর ১২ তলায় লিফট থেকে বেরিয়ে সিঁড়ি দিয়ে চলে যায় ছাদে। কিছু সময় পর ভবনের নিচে মেলে তার নিথর দেহ।এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: শফিকুল ইসলাম খান জানান, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে বুঝা গেছে সে আগেও এ ভবনে আসা যাওয়া করেছে কিন্তু কেউ তার নাম পরিচয় বলতে পারছে না। তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। রহস্য উদঘাটনে তদন্ত চলছে। নিহত তরুণীর বয়স আনুমানিক ২৫ বছর হবে। পরিচয় নিশ্চিতের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কাজ করছে। আশাকরি খুব দ্রুতই রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে।
    লাখ মুসল্লির অংশগ্রহণে দিনাজপুরে দেশের সবচেয়ে বড় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত
    ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সারাদেশে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদের সবচেয়ে বড় জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে দিনাজপুরের ঐতিহাসিক গোর-এ-শহীদ বড় ময়দানে। সকাল ৯টায় প্রায়  লাখ মুসল্লির অংশগ্রহণে সেখানে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।ঐতিহাসিক এ ঈদের জামাতে অংশ নিতে দিনাজপুর সদর উপজেলা ছাড়াও জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও আশপাশের কয়েকটি জেলার মুসল্লিরা আসেন। জামাতে ইমামতি করেন মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান।বৃহৎ এ জামাতকে ঘিরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ছিল কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা। সিসিটিভি ক্যামেরার পাশাপাশি ছিল কঠোর গোয়েন্দা নজরদারি। মাঠের আশপাশে র‌্যাব, বিজিবি, পুলিশ, আনসার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অন্যান্য সদস্যরাও তৎপর ছিলেন।নামাজে অংশ নেন জেলা প্রশাসক রফিকুল ইসলাম, দিনাজপুর পৌর প্রশাসক বিয়াজুল ইসলাম,দিনাজপুর পুলিশ সুপার মারুফাত হুসাইন মারুফ,জেলা বিএনপির সভাপতি সাধারন সম্পাদক, জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমিরসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও কর্মীরা।জেলার নীলফামারী থেকে ঈদ জামায়াতে আসা মুসল্লী তামিরুল হক বলেন, একসাথে এত বেশি মুসল্লী একসাথে নামাজ আদায় করে নিজেকে গর্বিত মনে করছি।ঠাকুরগাঁও জেলা থেকে ঈদ জামায়াতে আসা মুসল্লী ডা জাকির হোসেন বলেন,দীর্ঘ দিনের ইচ্ছে আজ আল্লাহর রহমতে পুরন হলো। একসাথে লাখ মুসল্লী ঈদের নামাজ আদায় করলাম। আল্লাহ আমাদের রোজ ও নামাজ গুলো কবুল করুন।গোর-এ-শহীদ বড় ময়দানের ইমাম মাওলানা মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান বলেন, আল্লাহ তালার রহমতে দেশের সবচেয়ে বড় ঈদগাহ মাঠে মুসল্লীর সুন্দর ভাবে নামাজ আদয়া করতে পেরেছে। আমারা নামাজ শেষ মোনাজাতের মাধ্যমে দেশ ও জাতীর মঙ্গল কামনায় দোয়া করেছি।বিশেষ করে ফিলিস্তিনি মুসলিমদের জন্য দোয়া করেছি আল্লাহ তাদের হেফাজত করবেন।৭১ ও ২৪ সালের নিহতদের আত্মার  মাগফেরাত কামনা করছি।জেলা প্রশাসক রফিকুল ইসলাম বলেন, দেশের সবচেয়ে বড় ঈদগাহ মাঠ ঐতিহাসিক গোর-এ-শহীদ বড় ময়দানে লাখো মুসল্লীর উপস্থিতিতে সুন্দর ভাবে ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠর নজরদারি ছিলো সবমিলিয়ে আলহামদুলিল্লাহ সুন্দর ভাবে নামাজ সম্পন্ন হয়েছে। জানা যায়, বিভিন্ন স্থান থেকে বড় বড় ঈদগাহ মাঠের চিত্র নিয়ে এসে এ মাঠের নির্মাণ পরিকল্পনা করা হয়। সর্বপ্রথম মাঠের পশ্চিম প্রান্তে গত ২০১৫ সালে এ ঈদগাহ মাঠের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। প্রায় দেড় বছর পর এটি নামাজের জন্য পুরো প্রস্তুত করা হয়। এ ঈদগাহে রয়েছে ৫২টি গম্বুজের দুই ধারে ৬০ ফুট করে দু’টি মিনার, এর মধ্যের দুটি মিনার ৫০ ফুট করে এবং প্রধান মিনারের উচ্চতা ৫৫ ফুট। এসব মিনার আর গম্বুজের প্রস্থ হলো ৫১৬ ফুট। দেশের বড় ঐতিহাসিক গোর-এ শহীদ ময়দানের পশ্চিম দিকে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এ ঈদগাহ মিনারটি। প্রত্যেকটি গম্বুজে দেওয়া হয়েছে বৈদ্যুতিক বাতি সংযোগ। ৫২টি গম্বুজ ২০ ফুট উচ্চতায় স্থাপন করা হয়েছে। গেট দুটির উচ্চতা ৩০ ফুট নির্মাণে নান্দনিক স্থাপনা দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।উল্লেখ্য, আগে দেশের সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হতো কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায়। এখন দিনাজপুরের ৫২ গম্বুজের ঈদগাহ মাঠে সবচেয়ে বড় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
    দিনাজপুরে ৬ উপজেলায় ঈদ উদযাপন
    প্রতি বছরের ন্যায় এবারও সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দিনাজপুরে ৬ উপজেলায় রবিবার (৩০ মার্চ) ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিদের একটি অংশ। তারা প্রতি বছর সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে একই দিনে রোজা শুরু, ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আজহার নামাজ আদায় ও কোরবানি করেন।দিনাজপুর শহরের দিনাজপুর শহরের বাসুনিয়া পট্টি পার্টি সেন্টারে, চিরিরবন্দর উপজেলার রাবার ড্যাম এলাকা, বিরামপুর উপজেলার  বিনাইল ইউনিয়নের আয়রা গ্রামের নুরুলহুদা মাদ্রাসা মাঠ ও ৬ জোদবানি ইউনিয়নের খয়েরবাড়ী আমগাছি ঈদগা মাঠ,নবাবগঞ্জ উপজেলার  বিনোদপুর ইউনিয়নের রাঘবেন্দপুর বাজার মাদ্রাসা মাঠ,কাহারোল উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের ভবানীপুর গোরস্থান ঈদগাঁ মাঠ,বিরল থানাধীন ধর্মপুর ইউনিয়নের বনগাঁও গ্রামে বনগাঁও জামে মসজিদে ঈদুল ফিতরের নাজম আদায় করে কয়ে শতাধিক পরিবার। সকাল ৯টায় দিনাজপুর চিরিরবন্দর উপজেলায় সাইতাঁড়া ইউনিয়নের রাবারড্যাম চিরিনদী ঈদগাহ মাঠে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেন আশপাশের কয়েকটি পরিবারের মানুষ। এই জামায়াতে পুরুষ, মহিলা ও শিশুসহ প্রায় অধ্যশাতাধিক মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন। এই জামায়াতে ইমামতি করেন মোহাম্মদ আব্দুল আলিম।খানসামা উপজেলা থেকে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করতে আসা মুসল্লী জুবায়ের হোসেন বলেন, আমরা সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে রোজা ও ঈদ পালন করে আসছি। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছে তোমরা চাঁদ দেখে রোজা রাখো চাঁদ দেখে রোজ ছাড়ো।পৃথিবীতে যে খানেই চাঁদ উঠবে সবাইকে সেই দিনে রোজা ও ঈদ করতে হবে।জামাতে আসা মুসল্লী হাবিব ইসলাম বলেন,আমরা সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে রোজা ও ঈদ পালন করতে পেরে ভালো লাগছে।চিরিনদী ঈদগাহ মাঠে সভাপতি হাসান আলী বলেন, আমরা ২০০৯ সাল থেকে সৌদির সাথে মিল রেখে রোজা ঈদ ও কুরবানি  করি। উল্লেখ্য, দিনাজপুর জেলায় ২০০৭ সাল থেকে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদের নামাজ আদায় করে আসছে মুসলমানদের একটি অংশ। প্রথমে মুসল্লির সংখ্যা কম থাকলেও বর্তমানে ২০২২ সালে এসে তা বেড়ে প্রায় ২০০ জনে পৌঁছেছে।এইচএ
    বাড়িতে একা পেয়ে ধর্ষণ চেষ্টা, থানায় মামলা
    পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে আব্দুল হালিম নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। শনিবার (২৯ মার্চ) জয়তুন বেগম নামে ভুক্তভোগী নারী ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ এনে দেবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।মামলায় অভিযুক্ত আব্দুল হালিম সদর ইউনিয়নের উপেনচৌকি ভাজনী আশ্রয়ণের আইজুল হকের ছেলে।মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগী নারী বলেন, উপেনচৌকি ভাজনী আশ্রয়ণে দীর্ঘদিন থেকে তিনি বসবাস করেন। তার স্বামী কাজের উদ্দেশ্যে ঢাকায় অবস্থান করছেন। বাড়ির পাশেই মুদির দোকান রয়েছে ওই নারীর। আব্দুল হালিম নিয়মিত ওই দোকানে যাতায়াত ও প্রয়োজনীয় কেনাকাটা করেন। যাতায়াতের কারণে বিভিন্ন সময় ওই নারীকে কুপ্রস্তাব দেন হালিম। গত শুক্রবার (২৮ মার্চ) সকাল আনুমানিক ৯টায় জয়তুন নিজ বাড়ির রান্নাঘরে কাজ করছিলেন। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে হালিম বাড়িতে প্রবেশ করে ওই নারীকে কুপ্রস্তাব দেন। তবে ওই এতে সম্মতি না দেওয়ায় হালিম জয়তুনের মুখ চেপে পরনের কাপড় খুলে ধর্ষণ চেষ্টা করে। এই সময় জয়তুন চিৎকার করলে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে আসলে হালিম সেখান থেকে পালিয়ে যায়।এইদিকে মামলা দায়েরে পর একটি পক্ষ হালিমকে জামায়াতের সদস্য দাবি করে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। এই দাবির প্রেক্ষিতে জানতে চাইলে জামায়াতের উপজেলা সেক্রেটারি বেলাল হোসাইন বলেন, আব্দুল হালিম আমাদের সংগঠনের কোন পর্যায়েরই সদস্য নন। ব্যক্তিগত ভাবে তিনি জামায়াতকে ভালোবাসতে পারেন। অনেকেই জামায়াতকে ভালোবাসেন। তাই বলে কারো কৃতকর্মের দায় জামায়াতের কর্মী বলে চাপিয়ে দেওয়াটা অন্যায়।অভিযুক্ত আব্দুল হালিম জানান, প্রায় একবছর আগে জয়তুনকে সে ১৫ হাজার টাকা ধার দেন হালিম। সেই টাকা চাইতে গেলে ঘটনার দিন জয়তুন রাস্তা থেকে তার শার্টের কলার চেপে ধরে বাসায় টেনে নিয়ে গিয়ে অহেতুক চিৎকার শুরু করেন। এই সময় হালিমের সাথে থাকা স্মার্টফোনটি জ্বলন্ত চুলায় দেয় জয়তুন। সেদিন শ্লীলতাহানির কোন ঘটনাই ঘটেনি। ধারের টাকা না দেওয়ার জন্য জয়তুন মিথ্যা অভিযোগ তুলেছেন বলে দাবি হালিমের।দেবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোয়েল রানা বলেন, এই ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।এনআই
    অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, ৪ বাস কাউন্টারকে জরিমানা
    ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ করতে পঞ্চগড়ে জেলা প্রশাসন ও বিআরটিএর যৌথ উদ্যোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর আমিনুল হক তারেক।সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধ ও যাত্রীদের নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে এবছর প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশেষ কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। সড়কে সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি মোটরসাইকেলের বেপরোয়া গতি, অপ্রাপ্তবয়স্ক চালকদের গাড়ি চালনা ও মহাসড়কে গ্রামীণ যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণে অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় বিভিন্ন যানবাহনের ফিটনেস, রেজিস্ট্রেশন ও চালকদের লাইসেন্স পরীক্ষা করা হয়।এছাড়া বাস কাউন্টারে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগে বুড়িমারী এক্সপ্রেস, হানিফ পরিবহন, শ্যামলী এন্টারপ্রাইজ এবং মামুন এন্টারপ্রাইজের টিকেট কাউন্টারকে মোট ১৫,৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়।অভিযানে বিআরটিএ, পুলিশ প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। বিআরটিএ’র মোটরযান পরিদর্শক হিমাদ্রী ঘটক জানান, ঈদ উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে, যাতে যাত্রীদের যাত্রা নির্বিঘ্ন হয়।পঞ্চগড় জেলা প্রশাসকের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আমিনুল হক তারেক জানান, ঈদযাত্রায় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।এনআই
    গাইবান্ধায় ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ৫
     গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে দুর্ঘটনায় ১ ব্যক্তি নিহত হয়েছে।শনিবার (২৯ মার্চ) দুপুরে ধাপেরহাট আরভি কোল্ড স্টোরের সামনে যাত্রী বোঝাই পিকআপের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা মহেন্দ্র ট্রাক্টরের মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে ঘটনাস্থলেই একজন নিহত হন। এ ঘটনায় আরও পাঁচজন আহত হয়েছেন, যার মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানাযায়, ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে আসা দ্রুতগামী পিকআপটি অন্য একটি গাড়িকে দ্রুত পাশ কাটানোর সময় অপরদিক থেকে আসা ট্রাক্টরের সাথে সংঘর্ষ হয়। এতে পিকআপটি দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং যাত্রীদের মধ্যে কুড়িগ্রাম নাগেশ্বরী উপজেলার বাসিন্দা মুসা (২০) ঘটনাস্থলেই নিহত হন। আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে উপজেলা স্বস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে অবস্থা ভাল না থাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: তাজ উদ্দিন খন্দকার জানান, নিহতের পরিচয় পাওয়া গেলেও আহতদের পরিচয় এখনও পাওয়া যায় নি সেই সাথে দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস দ্রুত উদ্ধারকাজ চালায়, এ সময় মহাসড়কে কিছু সময়ের জন্য যান চলাচল ব্যাহত হয়, তবে পরে স্বাভাবিক করা হয়।এদিকে, স্থানীয়রা মহাসড়কে ট্রাক্টরের বেপরোয়া চলাচল নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানোর দাবি জানানোর পাশাপাশি জানান এসব অবৈধ ট্রাক্টর নিয়ন্ত্রণহীনভাবে চলাচলের কারনেই প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে।এসআর
    ভাঙ্গুড়ায় ঈদের দিনে ঐতিহ্যেবাহী মোরগ লড়াই অনুষ্ঠিত
    প্রতি বছরের ন্যায় এবারও পাবনার ভাঙ্গুড়ায় অনুষ্ঠিত হয়েছে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী মোরগ লড়াই। লড়াইয়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে করতালির মাধ্যমে আনন্দ উল্লাসে মেতে ওঠেন উপস্থিত দর্শকরা।সোমবার (৩১ মার্চ) পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন সকালে উপজেলার কলেজ পাড়া মোড়ে এ মোরগ লড়াই অনুষ্ঠিত হয়। ঐতিহ্যবাহী এই খেলা ঈদের আনন্দকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে। লড়াইয়ে উপজেলার কলেজ পাড়া, উত্তর মেন্দা, চৌবাড়ীয়া মাষ্টার পাড়াসহ বিভিন্ন এলাকার ১০০টি মোরগ অংশ নেয়।সরেজমিনে দেখা যায়, এক এক বারে দুটি করে মোরগ লড়াইয়ে অংশ নেয়। লড়াইয়ের একপর্যায়ে পরাজিত মোরগগুলো একে একে তার মালিকের কাছে ফিরে যায়। বিজয়ী মোরগগুলোকে কোলে নিয়ে মালিকরা উল্লাস করতে থাকে। এই ঐতিহ্যবাহী মোরগ লড়াইকে ঘিরে স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যায়। শত শত মানুষ এ আয়োজনে উপস্থিত হয়ে ঈদের আনন্দকে ভাগাভাগি করে নেন।ভাঙ্গুড়া পৌরসভার চৌবাড়ীয়া মাষ্টার পাড়া এলাকার আলহাজ্ব শেখ আব্দুস সামাদ, কলেজ পাড়া এলাকার আজমত আলী, চলনবিল সাহিত্য সংসদের সভাপতি নুরুজ্জামান সবুজসহ বেশ কয়েকজন দর্শনার্থী জানান, ছোটবেলা গ্রামে মোরগ লড়াই দেখেছি। সেসময় বেশ উৎসাহ আর উদ্দীপনা ছিল। এ খেলা আমাদের প্রাণের খেলা। লড়াই চলাকালে একটি মোরগ অপর একটি মোরগকে নানা কৌশলে পরাস্ত করেছে। লড়াইয়ে অংশ নেয়া প্রতিটি মোরগই বিজয়ী হওয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছে। মোরগ লড়াই প্রতিযোগিতায় পৌরসভার কলেজ পাড়া এলাকার বাঁধনের কক ফাইটার ও নাজদুলের পাহাড়িকা ফাইটার নামের দুটি মোরগ বিজয়ী হয়।এ বিষয়ে আয়োজক কমিটির সভাপতি জীবন হোসেন বকুল সময়ের কন্ঠস্বরকে বলেন, এক সময় গ্রামগঞ্জের ঐতিহ্য ছিল মোরগ লড়াই। এখন খুব একটা দেখা মেলে না এ ধরনের প্রতিযোগিতার। ভাঙ্গুড়ায় ভবিষ্যতেও এ খেলার আয়োজন করা হবে বলে জানান তিনি।পিএম
    চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত
    চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার নয়াদিয়াড়ী গ্ৰামে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৩১ মার্চ) সকাল ৬ টা ২০ মিনিটে নয়াদিয়াড়ী জামে মসজিদের ইমাম আব্দুল ওহেদের ইমামতিতে এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় মুসল্লী মামুনুর রশিদ দাবি করে বলেন, বাংলাদেশে যতগুলো ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় তার মধ্যে এটি একটি জামাত যা অতি ভোরে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়। আমরা প্রতিবছর এমন সময়ে ঈদের জামাত আদায় করি।চাঁপাইনবাবগঞ্জের ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক গোলাম মোস্তফা বলেন, এ জেলায় ৪৮৮টি স্থানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। তবে নয়াদিয়াড়ী গ্ৰামে সকাল ৬টা ২০ মিনিটে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হলে এটা চাঁপাইনবাবগঞ্জের প্রথম জামাত। এর আগে ঈদের জামাত জেলার কোথাও অনুষ্ঠিত হয় কি না তা আমার জানা নেই।পিএম
    রাজশাহীতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নজরদারি
    পবিত্র ইদ-উল-ফিতরকে কেন্দ্র করে রাজশাহী মহানগরীর নিরাপত্তা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। প্রায় ২ হাজার৭০০ পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন, যাদের ৮০ শতাংশই পরিবার ছাড়াই ইদ করবেন। রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) মাত্র ১০ শতাংশ সদস্য ছুটিতে গেছেন, বাকিরা দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন। ইদের পর অন্য ১০ শতাংশ ছুটি নেবেন।ইদ উপলক্ষে শহরের ব্যস্ততম স্থানগুলোতে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে মার্কেট, বাসস্ট্যান্ড, রেলস্টেশন এবং গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে পুলিশের বাড়তি টহল ও চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। র‌্যাবও রাতভর টহল দিচ্ছে এবং নগরীর প্রবেশপথে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে।রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) সাবিনা ইয়াসমিন জানিয়েছেন, প্রথম রোজা থেকেই নগরীতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সাদাপোশাকে গোয়েন্দা শাখার সদস্যরাও মাঠে কাজ করছেন।রাজশাহীতে ইদের ছুটিকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অস্থিরতার সম্ভাবনার কথা বলা হলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এখন পর্যন্ত তেমন কোনো শঙ্কা দেখছে না। তারপরও সম্ভাব্য যেকোনো অস্থিরতা রোধে তারা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।এদিকে, মহানগর ছাত্রদল ইদের ছুটিতে ছাত্রলীগের সম্ভাব্য কার্যক্রম মোকাবিলায় নেতাকর্মীদের মোড়ে মোড়ে খেলাধুলার নির্দেশ দিয়েছে। ছাত্রদল সভাপতি আকবর আলী জ্যাকি জানিয়েছেন, তাদের কর্মীরা সবসময় মাঠে প্রস্তুত থাকবে।র‌্যাব-৫ এর রাজশাহীর উপ-অধিনায়ক মেজর আসিফ আল-রাজেক জানান, বাস টার্মিনাল, রেলস্টেশনসহ নগরীর প্রবেশপথগুলোতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। ইদের দিন কেন্দ্রীয় ইদগাহ ময়দানসহ বিভিন্ন ইদগাহে র‌্যাবের ডগ স্কোয়াড মোতায়েন থাকবে।#এনআই
    পাবনায় শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ, বাড়িঘরে আগুন
    পাবনা বেড়া পৌর এলাকার শেখপাড়া মহল্লায় সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশি গোলজার হোসেন (৫০) নামের এক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে। ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী অভিযুক্তের বাড়িঘর ভাংচুর ও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। অভিযুক্ত কে আটক করে থানায় হস্তান্তর করে স্থানীয়রা। শনিবার (২৯ মার্চ) সন্ধ্যা ছয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত গোলজার হোসেন বেড়া পৌর সদরের শেখপাড়া মহল্লার মৃত্য সুলতান শেখ এর ছেলে। পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, শিশুটি ইফতারের আগ মূহূর্তে অভিযুক্তের বাড়ির পাশ দিয়ে বাড়ি ফিরছিল। এসময় আশেপাশে কোন লোকজন না থাকায় শিশুটিকে দশ টাকার লোভ দেখিয়ে তার বাড়ির একটি রুমে নিয়ে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত গোলজার। পরে শিশুটি রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়ি গিয়ে তার মায়ের কাছে ঘটনা বললে পরিবারে লোকজন শিশুটিকে দ্রুত বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে শিশুটির অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পাবনা জেেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করে। ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকাবাসী অভিযুক্তের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বেড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওলিউর রহমান বলেন, খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। এলাকাবাসীর সহায়তায় অভিযুক্ত গোলজার হোসেনকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে থানায় মামলা দাায়ের করেছেন। সেই মামলায় অভিযুক্ত গোলজারকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে রোববার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এদিকে ঘটনার পর শিশুটির খোঁজখবর নিতে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ছুটে যান বিএনপি নেতা হাজী মোহাম্মদ ইউনুছ আলী।তিনি বলেন, শিশুটির চিকিৎসা ও তার পরিবারকে আইনী সহায়তা দেয়ার দায়িত্ব নিয়েছি। আমি চাই অভিযুক্ত ব্যক্তির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক। আমাদের নেতা তারেক রহমানের নির্দেশ আছে এ ধরণের ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর। তারই নির্দেশে আমরা শিশুটির পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছি।
    এবার ডিসির পুরনো বাংলোর জঙ্গল মিলল ৭৯ বস্তা ব্যালট!
    নাটোরে ডিসির পুরনো বাংলোর জঙ্গল থেকে ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসের বস্তাসহ মোট ৭৯ বস্তা ব্যবহৃত ও কিছু অব্যবহৃত ব্যালট উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (২৯ মার্চ) দিবাগত রাত ১১টা ৪৫ মিনিট থেকে রবিবার ভোর ৩টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত মাটি খুঁড়ে ৭৯ বস্তা ভর্তি ব্যালট উদ্ধার করেছে যৌথ বাহিনী।সদর থানার ওসি মাহাবুর রহমান জানান, গত শনিবার দুপুরে ডিসির পুরনো বাংলোর পাশে জঙ্গলে পুঁতে রাখা ব্যালটের খোঁজ পেয়ে উর্ধ্বতন পুলিশ ও গোয়েন্দা কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে সবার সম্মিলিত সিদ্ধান্তে রাত ১১টা ৪৫ মিনিট থেকে যৌথ বাহিনির উপস্থিতিতে টানা ৪ ঘন্টা মাটি খোঁড়া হয়। এসময় সকলের উপস্থিতিতে আড়াই মন বস্তা ৪০টি ও ৬০ কেজির বস্তা ৩৯ টি (০১ টি ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস সহ) মোট ৭৯ বস্তা ব্যালট উদ্ধার করা হয়।অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) একরামুল হক বলেন, উত্তোলিত ব্যালট থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পরবর্তী সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।প্রসঙ্গত, গত ২৯ মার্চ দুপুরে নাটোর শহরের কান্দিভিটায়  জেলা প্রশাসকের পরিত্যক্ত বাংলোর মাঠে পুঁতে রাখা অবস্থায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জেলার চারটি আসনের বিপুল সংখ্যক ব্যালট পেপারের সন্ধান পায় জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা। পিএম
    সুনামগঞ্জে নৌকাডুবিতে প্রাণ গেল পাঁচজনের
    সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে যাত্রীবাহী নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে নারী ও শিশুসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার রাত নয়টায় উপজেলার বেহেলী ইউনিয়নের বৌলাই নদীতে এ নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে।এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করেছেন স্থানীয়রা। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য দেবাশীষ তালুকদার।এদিকে ঘটনাস্থল দূরে হওয়ায় সেখানে পৌঁছাতে পারেনি পুলিশ। জামালগঞ্জ থানার ওসি জানিয়েছেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে যাচ্ছে। এছাড়া নৌ পুলিশও ঘটনাস্থলে যাচ্ছে।প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য দেবাশীষ তালুকদার বলেন, মধ্যনগর উপজেলা সদরে শনিবার হাট ছিল। সেখানে কেনাকাটা শেষে নৌকায় ফিরছিলেন ৫০-৬০ যাত্রী। তাতে মালামালও ছিল। নৌকাটি মদনাকান্দি-দুর্গাপুরের কাছাকাছি নোয়াপাড়া এলাকায় এসে ডুবে যায়। এ সময় যাত্রীরা সাঁতরে পাড়ে উঠলেও নারী-শিশুসহ পাঁচজন ডুবে মারা যান। তাদের মধ্যে তিনজনের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন- নোয়াপাড়া’র বিউটি চক্রবর্ত্তী (৫০), মোহনগঞ্জের হাতনি গ্রামের কল্পনা সরকার (৪৫) ও কলমাকান্দা উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামের সুজিত সরকারের ছেলে গঙ্গা সরকার (৫)। বাকি দুজনের পরিচয় জানা যায়নি।জামালগঞ্জ থানার ওসি মো. সাইফুল ইসলাম রাত সাড়ে ১১টার দিকে জানান, নৌকাডুবিতে পাঁচজন মারা গেছেন। সবার নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। ঘটনাস্থল থানা সদর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে। আমরা ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওয়ানা দিয়েছি।এফএস
    অন্তর্বর্তী সরকার দ্রুত নির্বাচন না দিলে বিএনপিসহ দেশের জনগন আন্দোলনে যাবে: আনিসুল হক
    অন্তর্বর্তী সরকার যদি দ্রুত নির্বাচন না দেয় তাহলে দেশের আপামর জনসাধারণকে নিয়ে আবারও আন্দোলন সংগ্রামে বাধ্য হবে বিএনপি। শুধু বিএনপিই নয় দেশের সকল জনগনও বাধ্য হবে বলে জানিয়েছেন কৃষকদল কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সুনামগঞ্জ-১আসনের বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশি সাবেক তাহিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আনিসুল হক।তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে আমরা বারবার তাগদা দিচ্ছি নির্বাচন শীঘ্রই দেওয়ার জন্য তারা কথা দিয়েছেন ডিসেম্বরে নির্বাচন দেব কিন্তু এদেশের মানুষ চায় এর আগেই নির্বাচন দেয়ার জন্য। নির্বাচনের মাধ্যমেই দেশে শান্তি শৃঙ্খলা ফিরে আসবে গনতন্ত্র ফিরে আসবে।শুক্রবা (২৮ মার্চ) উপজেলার বাদাঘাট বাজারে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সুস্থতা এবং দেশের সমৃদ্ধি কামনায় যুবদলের আয়োজিত এক দোয়া ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা গুলো বলেন। আনিসুল হক বলেন, ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ সরকারের বিগত সতেরো বছর আমাদের মা বেগম খালেদা জিয়াসহ নেতা কর্মীরা মামলা-হামলা,জোর-জুলুম ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। আমার বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আগামী দিনের দেশ নায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে যে আন্দোলন শুরু করেছিলাম আমাদের এ আন্দোলন এখনোও অব্যাহত আছে আর থাকবে। দোয়া ও ইফতার মাহফিলে বাদাঘাট ইউনিয়ন যুবদল সভাপতি সুমন আহমেদ এর সভাপতিত্বে সাধারণ কামরুল ইসলাম ও উত্তর বড়দল ইউনিয়ন যুবদল সভাপতি আক্তার হোসেনের সঞ্চালন কুরআন তেলাওয়াত করেন যুবদল নেতা ইসলাম উদ্দিন। এসময় বক্তব্য রাখেন,সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক রাখাব উদ্দিন,তাহিরপুর উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আবু সায়েম, সুনামগঞ্জ জেলা যুবদলের আর্থ বিষয়ক সম্পাদক এসএম মাহবুব মল্লিক,তাহিরপুর উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক শাহীন আলম,উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব ডাক্তার হাবিবুর রহমান,উত্তর বড়দল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম শাহ,উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক শফিকুল ইসলাম প্রমুখ। পরে ইফতার পূর্ব মুহুর্তে খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি ও দীর্ঘায়ু কামনায় এ দেশের মানুষের শান্তি কামনা দোয়া করেন তাহিরপুর উপজেলা যুবদলের আহবায়ক এনামুল হক এনাম।এসআর
    গোলাপগঞ্জে ছেলের হাতে বাবা খুন
    সিলেটের গোলাপগঞ্জের লক্ষিপাশা ইউনিয়নে ছেলের হাতে দুদু মিয়া (৬০) নামের এক পিতা খুন হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ ) সন্ধ্যা সাড়ে ৫ টার দিকে লক্ষিপাশা ইউনিয়নের পালপাড়া গ্রামের এ ঘটনাটি ঘটে।এ ঘটনায় অভিযুক্ত ছেলে সুলতান আহমদ (৩৩) কে পুলিশ গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে। সে কিছুটা মানসিক বিকারগ্রস্ত বলেও পরিবারের সদস্যরা জানান।জানা যায়, বৃহস্পতিবার সাড়ে ৫টার দিকে বাবাকে ঘুমন্ত অবস্থায় দা দিয়ে গলা কেটে ফেলে। তাৎক্ষণিক পুলিশ খবর পেয়ে লাশ ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন।ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মনিরুজ্জামান মোল্যা বলেন, অভিযুক্ত ছেলেকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।এনআই
    হবিগঞ্জে একসঙ্গে গলায় ফাঁস নিলেন স্বামী-স্ত্রী! 
    হবিগঞ্জ সদর উপজেলার করিমপুর গ্রামে এক সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে স্বামী-স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।নিহতরা হলেন, ওই গ্রামের রুহুল আমিন (৩২) ও তার ২য় স্ত্রী মুর্শিদা আক্তার (২৫)। বুধবার (২৬ মার্চ) সন্ধ্যায় এ আত্মহত্যা ঘটনা ঘটে। বুধবার রাতে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবির জানান, নিজ ঘরে এক সঙ্গে গলায় কাপড় পেঁচিয়ে ফাঁস লাগায় রুহুল আমিন ও মুর্শিদা আক্তার। কিছুক্ষণ পরে বিষয়টি টের পেয়ে স্বজনরা এগিয়ে এসে রুহুল আমিনকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আর মুর্শিদা ঘটনাস্থলেই মারা যায়।ওসি জানান, রুহুল আমিনের ১ম স্ত্রীসহ তিন সন্তান রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের জের ধরে তারা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে ময়না দতন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা যাবে। এসআর
    শায়েস্তাগঞ্জ লেগুনা গাড়ীর চাপায় পথচারী নিহত
    হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় লেগুনা গাড়ীর চাপায় সিরাজ মিয়া (৭৫) নামে এক পথচারী নিহত হয়েছেন। তিনি উপজেলার ওলিপুর গ্রামের মৃত হাজী চান মিয়ার ছেলে।  বুধবার (২৬ মার্চ)  দিবাগত রাতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন মাধবপুর আর্মি ক্যাম্পের ল্যা. কর্পো. সাইদুল ইসলাম। এর আগে ইফতারের পূর্বে উপজেলার ওলিপুর স্কয়ার কোম্পানির সামনে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে (সিলেট ছ-১১-২৫৫৩) নং লেগুনা গাড়ীর চাপায় পথচারী সিরাজ মিয়া গুরুত্বর আহত হন।  এ ঘটনার খবর পেয়ে মাধবপুর আর্মি ক্যাম্পের সদস্য, শায়েস্তাগঞ্জ থানা ও হাইওয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয় জনতার সহযোগীতায় আহত সিরাজ মিয়াকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে প্রেরণ করে। পরে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম মাহমুদুল হক বলেন- লেগুনা গাড়ীর চাপায় গুরুত্বর আহত হলে সিরাজ মিয়াকে উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে তিনি মারা যান। অভিযোগ সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।   এনআই

    অনলাইন ভোট

    জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হওয়া উচিত বলে মনে করেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। আপনিও কি তাই মনে করেন?

    আন্তর্জাতিক

    সব দেখুন
    মক্কায় বাংলাদেশির অ্যাসিড হামলায় স্ত্রীসহ দুইজন নিহত
    পবিত্র মক্কায় এক বাংলাদেশি নাগরিক তার স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত ও অ্যাসিড দিয়ে হত্যা করেছেন। স্ত্রীকে হত্যাকারী সেই বাংলাদেশিকে সৌদি পুলিশ গ্রেপ্তার করেছেন, তবে তার নাম পরিচয় জানা যায়নি।রবিবার (৩০ মার্চ) পবিত্র মক্কা নগরীতে এক বাংলাদেশির দ্বারা এ ঘটনাটি ঘটে ।সৌদি পুলিশের তদন্তে জানানো হয়, মক্কার ঐ বাংলাদেশি তার  স্ত্রী এবং অন্য এক  মহিলাকে একটি তীক্ষ্ণ  ধারালো অস্ত্র  এবং অ্যাসিড দিয়ে মারাত্মকভাবে আক্রমণ করে তাদেরকে হত্যা করে। পরে সে  নিজের জীবন নেওয়ার চেষ্টা করার আগে অন্য কয়েকজনকে আহত করে। মক্কা অঞ্চলের পুলিশের এক বিবৃতি অনুসারে, পারিবারিক বিরোধের জেরে এই ঘটনাটি ঘটানো হয়। একটি রক্ষণাবেক্ষণ সংস্থার দ্বারা পরিচালিত একটি বাস হতে নামার সময় লোকটি তার স্ত্রীকে হত্যা করে । হত্যাকারী হামলার সময় একটি ব্লেডযুক্ত অস্ত্র এবং একটি ক্ষয়কারী পদার্থ (এসিড) উভয়ই ব্যবহার করে। এসময়  অন্য এক মহিলারও মৃত্যু হয় এবং আরও বেশ কয়েকজন আহত হন।সন্দেহভাজন ঐ বাংলাদেশি নিজের উপর অ্যাসিড ঢেলেও আত্মহত্যার চেষ্টা করার সময় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং বর্তমানে তাকে পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে ।আইনশৃঙ্খলা কর্তৃপক্ষ ঘটনার তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করছে বলে জানা যায়।পিএম
    ঈদের দিনেও গাজায় ই’রায়েলি হামলা, নিহত ৬৪
    পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিনেও ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েল হামলা চালিয়েছে। এতে ৬৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।  নিহতদের মধ্যে শিশুরাও রয়েছে।এছাড়া ফিলিস্তিনি এই উপত্যকায় নিখোঁজ ৮ জন চিকিৎসকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে রেড ক্রিসেন্ট। সোমবার (৩১ মার্চ) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।সংবাদমাধ্যমটি বলছে, পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম দিনে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী শিশুসহ কমপক্ষে ৬৪ জনকে হত্যা করেছে বলে ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।এদিকে দক্ষিণ গাজার রাফাহের কাছে গাড়িতে ইসরায়েলি গোলাবর্ষণের মুখে পড়ার এক সপ্তাহ পর প্যালেস্টাইন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (পিআরসিএস) আটজন চিকিৎসক, পাঁচজন বেসামরিক প্রতিরক্ষা কর্মী এবং জাতিসংঘের একজন কর্মচারীর লাশ উদ্ধার করেছে।ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেড ক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিজ (আইএফআরসি) এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছে। সংস্থাটি বলেছে, “বিধ্বংসী এই ঘটনাটি” ২০১৭ সালের পর থেকে বিশ্বের যে কোনও জায়গায় তাদের কর্মীদের ওপর সবচেয়ে মারাত্মক আক্রমণের ঘটনা।কাতার-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকায় আজ পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম দিন পালন করা হচ্ছে। এই দিনে ঐতিহ্যগতভাবে ফিলিস্তিনিরা আনন্দ উদযাপন করে থাকলেও এ বছর একেবারে ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে। গাজায় বোমা বিস্ফোরণ, কামানের গোলার শব্দের মাঝে ফিলিস্তিনিদের বেঁচে থাকার আর্তনাদ বিলীন হয়ে যাচ্ছে।গাজার মধ্যাঞ্চলের আল-মাওয়াসি এলাকায় রোববর সকালের দিকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর বিমান থেকে গুলি চালানো হয়েছে।আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘‘যে শিশুরা এই দিনে নতুন পোশাক পরত তারা এখন ক্ষুধার্ত এবং মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। গাজার বাসিন্দাদের নিরাপত্তা নেই, উৎসবের কোনও খাবারও নেই। আজ ভোরের পর থেকে ইসরায়েলি বাহিনী সেখানকার বসতিগুলো ধ্বংস করে চলেছে।’’পিএম
    আল-আকসায় ঈদের নামাজে মুসল্লিদের ঢল
    ইসরায়েলি নিষেধাজ্ঞা ও হামলার আশঙ্কা উপেক্ষা করে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার ফিলিস্তিনি মুসল্লি রবিবার (৩০ মার্চ) ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন। স্বাভাবিকভাবেই এত বিপুল সংখ্যক মুসল্লির জায়গা হয়নি মসজিদে, তাই মসজিদ প্রাঙ্গণের বাইরেও অসংখ্য মুসল্লি নামাজ পড়তে বাধ্য হন। গত বছর আল-আকসায় ৪০ হাজার ফিলিস্তিনি ঈদের নামাজ আদায় করেছিলেন।বার্তা সংস্থা ইরান প্রেস তাদের এক প্রতিবেদনে বলেছে, আল-আকসা মসজিদ শুধু একটি মসজিদই নয়, এটি ফিলিস্তিনিদের ধর্মীয় ও রাজনীতির ঐতিহ্যেরও প্রতীক। ইসরায়েলি দখলদারেরা প্রায়ই এই মসজিদে মুসল্লিদের প্রবেশে বাধা দেয়। এ নিয়ে মাঝে মধ্যেই উত্তেজনা ও সহিংস পরিস্থিতি তৈরি হয় আল-আকসা প্রাঙ্গণে। তবু এসব আশঙ্কার মধ্যেই রোববার লক্ষাধিক মুসল্লি এই ঐতিহাসিক মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করলেন।ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ইসরায়েল আগে থেকেই আল-আকসা ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার করেছে। কড়া নিরাপত্তার মধ্যেই আজকের ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে আল–আকসায় মুসল্লি প্রবেশ সীমিত করার উদ্দেশ্যে ইসরায়েলি বাহিনী আগে থেকেই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। সেই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সকাল থেকেই হাজার হাজার মুসল্লি মসজিদ প্রাঙ্গণে জড়ো হন। শেষে লাখো মুসল্লি বিশাল সমাবেশে পরিণত হয় আল-আকসা প্রাঙ্গণ।ফিলিস্তিনি অধিকারকর্মী আবু আল-হুম্মুস বলেন, আমাকে মসজিদে প্রবেশ করতে বাধা দিয়েছে ইসরায়েলি নিরাপত্তাবাহিনী। শেষে মসজিদের বাইরের চত্ত্বরে নামাজ আদায় করেছি।আল–আকসায় ঈদের নামাজা আদায় করা একাধিক মুসল্লি জানান, নামাজ আদায় করতে আসা প্রতিটি মুসল্লিকে ব্যাপক তল্লাশি করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। ভীষণ কড়াকড়ির মধ্যে মুসল্লিদের নামাজ আদায় করতে হয়েছে।ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় গত দেড় বছর ধরে ভয়ঙ্কর হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এসব হামলায় এরই মধ্যে ৫০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এমন দুর্বিষহ এক পরিস্থির মধ্যে ঈদুল ফিতর উদযাপন করছে ফিলিস্তিনিরা।সূত্র:   আল জাজিরাএইচএ
    ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো হুথিরা
    ইসরায়েলে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথি। তবে এই হামলায় তাৎক্ষণিকভাবে কোনও ক্ষয়ক্ষতি কিংবা হতাহতের তথ্য পাওয়া যায়নি। রোববার (৩০ মার্চ) ইয়েমেন থেকে ছোড়া এই ক্ষেপণাস্ত্র গুলি চালিয়ে ভূপাতিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েল।ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, ইয়েমেনের হুথিদের ছোড়া একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলি আকাশসীমায় প্রবেশের আগেই সেটি সফলভাবে ধ্বংস করা হয়েছে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, ইসরায়েলি সীমান্তে প্রবেশের আগ মুহূর্তে ওই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রে গুলি চালিয়ে ভূপাতিত করা হয়েছে। ইয়েমেনের বিদ্রোহীদের এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলার আগে ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে সাইরেন বাজিয়ে বাসিন্দাদের সতর্ক করে দেওয়া হয়।এর মধ্যে ইসরায়েলের মধ্যাঞ্চল, জেরুজালেমের পার্শ্ববর্তী কয়েকটি শহর ও পশ্চিম তীরে হামলার উচ্চ সতর্কতা জারি করে ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদনে বলা হয়, এসব এলাকায় দীর্ঘ সময় ধরে সাইরেন বাজিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বিষয়ে বাসিন্দাদের সতর্ক করে দেয় আইডিএফ।গত ১৮ মার্চ গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে নতুন হামলা শুরু করে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী। এই হামলায় নতুন করে আরও প্রায় এক হাজার ফিলিস্তিনির প্রাণহানি ও হাজার হাজার ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।গাজায় ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর নতুন অভিযানের প্রতিশোধে সেদিন ইসরায়েলে হামলা শুরু করে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। এ নিয়ে গত কয়েক দিনে অষ্টম বারের মতো ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের এই বিদ্রোহী গোষ্ঠী।এমআর-২
    ২ হাজারের বেশি বন্দিকে মুক্তি দিল তালেবান সরকার
    পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ২ হাজারেরও বেশি কারাবন্দিকে মুক্তি দিয়েছে আফগানিস্তানের তালেবান সরকার। পাশাপাশি ৩ হাজারেরও বেশি কারাবন্দীর সাজা কমানো হয়েছে।আফগানিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম খালিজ টাইমস। আফগানিস্তানে কারাবন্দির সংখ্যা নিয়ে এরইমধ্যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। দেশটিতে কারাবন্দীর সংখ্যা বেশি বলে দাবি করেছে জাতিসংঘ।দেশটির সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, ২ হাজার ৪৬৩ জন কারাবন্দীকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ৩ হাজার ১৫২ জনের সাজা কমানো হয়েছে। ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে প্রতিবছরই আফগানিস্তানে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়। গত বছর প্রায় দুই হাজার ৮০০ কারাবন্দিকে মুক্তি দেয় তালেবান সরকার।আজ রবিবার (৩০ মার্চ) দেশটির মানুষ ঈদুল ফিতর পালন করছে।দেশটিতে কারাবন্দির সংখ্যা নিয়ে তেমন কিছু জানা যায়নি। তবে দেশটির জেল কর্তৃপক্ষ অফিস অব প্রিজন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (ওপিএ) বার্তা সংস্থা এপিকে জানিয়েছে, ১১ থেকে ১২ হাজার মানুষ এখন দেশটির কারাগারে আছে।আফগানিস্তানে জাতিসংঘ মিশন (ইউএনএএমএ) দেশটির কারা কর্তৃপক্ষের কাছে কারাবন্দির সংখ্যা বেড়ে যাওয়া নিয়ে উদ্বেগের কথা জানিয়েছে। উচ্চমাত্রায় আটক ও বিচারে দীর্ঘসময়ের কারণে কারাব্যবস্থা দূর্বল হয়ে পড়ছে বলে জানায় জাতিসংঘ।এইচএ
    গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সম্মত হামাস
    মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতায় গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। শনিবার (২৯ মার্চ) ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীটির প্রধান খলিল আল-হাইয়া এ তথ্য জানিয়েছেন। খলিল আল-হাইয়া এক টেলিভিশন ভাষণে বলেছেন, ‘দুই দিন আগে আমরা মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতায় একটি প্রস্তাব পেয়েছি। আমরা ইতিবাচকভাবে এটি গ্রহণ করেছি।’হাইয়া বলেন, ‘আমরা আশা করি যে (ইসরাইলি) দখলদাররা এটিকে ব্যাহত করবে না।’হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে চলমান পরোক্ষ আলোচনায় গাজায় যুদ্ধবিরতি নিশ্চিতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি।মিশর ইতোমধ্যে ইসরাইল থেকে নতুন যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার বিষয়ে ইতিবাচক ইঙ্গিত পেয়েছে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন নিরাপত্তা সূত্রগুলো। প্রস্তাব অনুযায়ী, হামাস প্রতি সপ্তাহে ৫ জন ইসরাইলি বন্দিকে মুক্তি দেবে।এদিকে, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, মধ্যস্থতাকারীদের কাছ থেকে পাওয়া প্রস্তাবের ভিত্তিতে তারা একটি ‘পাল্টা প্রস্তাব’ পাঠিয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পূর্ণ সমন্বিতভাবে তৈরি হয়েছে।প্রথম ধাপে ১৫ মাসের যুদ্ধের পর গাজায় ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়, যাতে সংঘর্ষ বন্ধ করা, কিছু ইসরাইলি বন্দিকে মুক্ত করা এবং কিছু ফিলিস্তিনি বন্দিকে ছাড়ার চুক্তি অন্তর্ভুক্ত ছিল।দ্বিতীয় ধাপে অবশিষ্ট বন্দিদের মুক্তির বিষয়ে সমঝোতা এবং গাজা থেকে ইসরাইলি বাহিনী প্রত্যাহারের পরিকল্পনা রয়েছে।হামাস বলছে, যুদ্ধবিরতির যেকোনো প্রস্তাবের মধ্যে দ্বিতীয় ধাপে যাওয়ার নিশ্চয়তা থাকতে হবে, যেখানে ইসরাইল প্রাথমিক ৪২ দিনের যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে।শনিবারও গাজায় ইসরাইলি হামলায় কমপক্ষে ২৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ।এমআর-২
    মিয়ানমারে ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ১৬০০ ছাড়াল
    মিয়ানমারে ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ১৬০০ ছাড়িয়েছে। স্থানীয়রা ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে জানায়, তারা খালি হাতেই ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিতদের উদ্ধার করার চেষ্টা করছে। প্রাচীন রাজধানী ও দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, যেখানে প্রায় ১৫ লাখ মানুষের বাস।এদিকে, ভূমিকম্প পরবর্তী উদ্ধার কাজে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে সরঞ্জামের অভাব, যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হওয়া এবং সড়ক-সেতু ধ্বসে পড়া। জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা সংস্থা ওসিএইচএ জানায়, ইয়াঙ্গুন-নাইপিদো-মান্দালয় মহাসড়কে ফাটল ও বিকৃতির কারণে পরিবহন ব্যবস্থা অচল হয়ে পড়েছে।ভাইরাল হওয়া ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, দুই ব্যক্তি ইট-পাথর সরিয়ে কংক্রিট স্ল্যাবের নিচে আটকে পড়া এক তরুণীকে উদ্ধার করছেন। মান্দালয়ে ১২ তলা একটি অ্যাপার্টমেন্ট ধসে যাওয়ার ৩০ ঘণ্টা পর এক নারীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে, তবে রেড ক্রসের মতে সেখানে আরও ৯০ জন আটকা পড়ে থাকতে পারেন।মান্দালয়ের কাছে একটি কিন্ডারগার্টেন ভবনের ধ্বংসস্তূপ থেকে ১২টি প্রি-স্কুল শিশু ও এক শিক্ষিকার মরদেহ উদ্ধার করেছে কর্তৃপক্ষ। স্থানীয়রা জানিয়েছে, হাসপাতালগুলো লাশ রাখার জায়গা সংকটে পড়েছে।২০২১ সালে ক্ষমতা দখলকারী সামরিক জান্তা দেশের বেশিরভাগ অংশের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে। জান্তা বিরোধী বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে চলমান সংঘাতের মধ্যেই ভূমিকম্পের সময় বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে সেনাবাহিনী। জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিবেদক টম অ্যান্ড্রুজ এই হামলা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন।জান্তা বিরলভাবে আন্তর্জাতিক সাহায্যের আবেদন জানালেও ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে এখনো তা পৌঁছায়নি। মান্দালয় বিমানবন্দর অচল থাকায় ও সাগাইংয়ের সেতু ধসে যাওয়ায় উদ্ধারকারী দলগুলোও আটকা পড়েছে।এই ভূমিকম্প যুদ্ধবিধ্বস্ত মিয়ানমারের জন্য এক ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে এনেছে। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, উদ্ধার কাজ বিলম্বিত হওয়ায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জরুরি হস্তক্ষেপ এখন সময়ের দাবি।এমআর-২
    সৌদি আরবসহ ১১ দেশে আজ ঈদ
    সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার ও বাহরাইনসহ ১১টি মুসলিম দেশে আজ পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে। এছাড়া মিসর, জর্ডান, সিরিয়া, ওমান, ইন্দোনেশিয়াসহ ১৪টি মুসলিম দেশে আগামীকাল সোমবার ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।শনিবার (২৯ মার্চ) ১১টি দেশে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ায় সেগুলোতে আজ রোববার ঈদ হচ্ছে।আবার শাওয়ালের চাঁদ দেখা না গেলে কোনো কোনো দেশে মঙ্গলবারও ঈদ হবে।মধ্যপ্রাচ্যের সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, তুরস্ক, ফিলিস্তিনসহ কয়েকটি দেশ শনিবার জানায়, তাদের দেশে চাঁদ দেখা গেছে। এর ফলে রোববার ঈদ হবে।তবে মিসর, সিরিয়া, মরক্কো, তিউনিশেয়া ও লিবিয়ার ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, রোববার ৩০ রমজান পালিত হবে।এদিকে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ইন্দোনেশিয়া জানায়, তাদের দেশে সোমবার ঈদ উদযাপিত হবে। পাকিস্তান, মালয়েশিয়া, ব্রুনেই, ভারত, অস্ট্রেলিয়াতেও সোমবার ঈদ হবে।ইরাকে আবার ভিন্ন অবস্থা দেখা যাচ্ছে। সুন্নি এনডাওমেন্ট অফিস এবং দেশটির সর্বোচ্চ শিয়া কর্তৃপক্ষ গ্রান্ড আয়াতুল্লাহ আলি আল সিস্তানির অফিস জানায়, সোমবার ইরাকে ঈদ হবে। তবে কুর্দিস্তান রিজিওন্যাল গভার্নমেন্ট নিজস্বভাবে চাঁদ দেখে শনিবার জানিয়েছে, ঈদ হবে রোববার।একইভাবে লেবাননে সুন্নি কর্তৃপক্ষ রোববার ঈদের কথা জানিয়েছে। তবে শিয়া হায়ার ইসলামিক কাউন্সিল রোববার চাঁদ দেখে সিদ্ধান্ত জানাবে বলে জানিয়েছে। অর্থাৎ তারা সোমবার ঈদ উদযাপন করবে।আজ রোববার যে ১১টি দেশ ঈদ উদযাপন করবে। দেশগুলো হচ্ছে- সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, কুয়েত, তুরস্ক, ইয়েমেন, ফিলিস্তিন, সুদান, লেবানন (সুন্নি কর্তৃপক্ষ) ও ইরাক (কেবল কুর্দিস্তান আঞ্চলিক সরকার)।যে ১৪টি দেশ সোমবার ঈদ উদযাপন করবে। দেশেগুলো হচ্ছে- ওমান, মিসর, সিরিয়া, জর্ডান, মরক্কো, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, মালয়েশিয়া, ব্রুনেই, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইরাক (সুন্নি ও শিয়া কর্তৃপক্ষ), তিউনিশিয়া ও লিবিয়া।এমআর-২
    মিয়ানমারে ৩০ ঘণ্টা পর ধ্বংসস্তূপ থেকে এক নারীকে জীবিত উদ্ধার
    মিয়ানমারে ৭.৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর হু হু করে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। সবশেষ দেড় হাজারের বেশি মৃতদেহ উদ্ধারের খবর জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।শনিবার (২৯ মার্চ) এএফপির বরাতে বিবিসির লাইভ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রায় ৩০ ঘণ্টা ধরে ধ্বংসস্তূপ আটকে থাকার পর ৩০ বছর বয়সী এক নারীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।সংবাদ সংস্থার খবর অনুযায়ী, তাকে স্ট্রেচারে বিধ্বস্ত ভবন থেকে বের করে আনা হয়। তার স্বামী তাকে জড়িয়ে ধরেন এবং তারপর হাসপাতালে নিয়ে যান।88মিয়ানমারে ভূমিকম্পের পর ধ্বংসস্তূপ থেকে এক নারীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। ছবি: সংগৃহীতউদ্ধারের সময় অপেক্ষা করতে করতে তার স্বামী এএফপিকে বলেন, শুরুতে আমি ভাবিনি যে, সে বেঁচে থাকবে। আমি খুব খুশি, আমি ভালো খবর শুনেছি।এর আগে লাইভ প্রতিবেদনে বিবিসি জানায়, উদ্ধারকর্মীরা মায়ানমারের মান্দালয়ে একটি ধসে পড়া অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকের নিচে আটকা পড়া ৯০ জনকে উদ্ধার করার চেষ্টা করছেন।পার্শ্ববর্তী দেশটি ইতোমধ্যেই একটি দীর্ঘস্থায়ী এবং রক্তাক্ত গৃহযুদ্ধের কবলে পড়ে বিশাল মানবিক সংকটে পড়েছে। নতুন করে এমন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়ে চলমান সঙ্কট আরও কঠিন এবং বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। ত্রাণ প্রচেষ্টাও জটিল হয়ে উঠেছে, যার ফলে মৃতের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।গতকাল শুক্রবার দুপুরের দিকে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে, যার উৎপত্তিস্থল মান্দালয়ের খুব কাছেই ছিল। এরপর বেশ কয়েকটি আফটারশক অনুভূত হয়, যার মধ্যে একটি ছিল ৬.৪ মাত্রার। এর ফলে অনেক এলাকার ভবন ধসে পড়ে, রাস্তাঘাট ভেঙে পড়ে, সেতু ভেঙে পড়ে এবং বাঁধ ভেঙে যায়।রাজধানী নেপিদোতে শনিবার ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা মেরামতের জন্য কর্মীরা কাজ করছেন। যদিও শহরের বেশিরভাগ অংশে বিদ্যুৎ, ফোন এবং ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ।ভূমিকম্পের ধসে পড়া ভবনগুলোর মধ্যে সরকারি কর্মকর্তাদের থাকা জায়গা ছিল - এমন একাধিক ইউনিটও রয়েছে। এছাড়া শহরের বড় একটি হাসপাতাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়।এফএস
    পাকিস্তানে ঈদ সোমবার
    পাকিস্তানে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন হবে আগামী সোমবার ৩১ মার্চ। দেশটিতে আজ ২৮তম রোজা। দুবাইভিত্তিক গণমাধ্যম খালিজ টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে আরও বলা হয়েছে, আগামীকাল দেশটির আকাশে খালি চোখে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যাবে। এর আগে খালিজ টাইমস জানিয়েছে, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ব্রুনাই ও অস্ট্রেলিয়ায়ও আগামী সোমবার ঈদ। ভৌগলিক অবস্থানের কারণে বিশ্বে সবার আগে ঈদের ঘোষণা দিয়ে থাকে অস্ট্রেলিয়া। এ বছর সবার আগে রমজান মাস শুরুর ঘোষণাও দিয়েছিল দেশটি। অস্ট্রেলিয়ায় রমজান শুরু হয় গত ১ মার্চ। সে হিসেবে এ বছর ৩০টি রোজা পালন করছে অস্ট্রেলিয়ার মুসলিমরা।এদিকে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ৮৬ কারাবন্দিকে মুক্তি দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার। এফএস

    বিনোদন

    সব দেখুন
    'শ্রোতার সঙ্গে শিল্পীর সংযোগ' শীর্ষক কর্মশালায় প্রশিক্ষক মিলা
    দেশের ব্যান্ড সংগীতে নারীদের মধ্যে যারা মঞ্চ মাতিয়ে শ্রোতার মন জয় করেছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম মিলা ইসলাম। তার গান এখনও শ্রোতাদের মুখে মুখে ফিরে। স্টেজ শো ও নতুন গানে বহুবার নিজেকে প্রমাণ করেছেন দেশের এই জনপ্রিয় পপতারকা। মাঝে শোতে খুব একটা পাওয়া না গেলেও এখন স্টেজ আয়োজনে সরব তিনি।সদ্য প্রশিক্ষক হিসেবে শিল্পকলা একাডেমিতে কর্মশালায় অংশ নিয়েছেন। তিন দিনব্যাপী আয়োজিত সংগীত পরিবেশক কৌশল বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ক্লাস নিয়েছেন এই গায়িকা।আয়োজন নিয়ে মিলা বলেন, 'দীর্ঘ ক্যারিয়ারে এটি নতুন একটি অভিজ্ঞতা। এই কর্মশালায় সংগীতের অনেকেই অংশ নিয়েছেন। শ্রোতাদের সঙ্গে শিল্পীদের সংযোগ করার জন্য এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়। এখানে দর্শকদের কাছে পৌঁছানোর কৌশল শেখানো হয়। আমার অভিজ্ঞতা সবার সঙ্গে শেয়ার করেছি। সমাপনী দিন প্রশিক্ষণ শেষে তাদের সম্মাননা দেওয়া হয়। সামনে এমন আয়োজনে আরও থাকতে চাই।'এদিকে, সাত বছর পর সিনেমার গানে কণ্ঠ দিয়েছেন মিলা। সঞ্জয় সমাদ্দারের 'ইনসাফ' সিনেমার আইটেম গানে কণ্ঠ দিয়েছেন এই শিল্পী। 'প্রেম পুকুরে বরশি ফেলে আনবরে ধরে' কথার গানটি লিখেছেন সুদীপ কুমার দ্বীপ। সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন শওকত আলী ইমন।চলচ্চিত্রের গানে বিরতি ভাঙতে পেরে উচ্ছ্বসিত মিলা। তিনি বলেন, 'শওকত আলী ইমনের সৃষ্টির আলাদা একটা বৈশিষ্ট্য আছে। যখনই তার সুরে গান গাওয়ার সুযোগ হয়েছে, আমি লুফে নিয়েছি। তাই এবারও যখন প্লেব্যাকের জন্য প্রস্তাব এলো, তখন দ্বিতীয়বার ভাবিনি। আনন্দ নিয়ে ‘ইনসাফ’ সিনেমার প্লেব্যাক করেছি।'
    কাজী হায়াতের গাড়ি আটকানো নিয়ে এবার মুখ খুললেন কাজী মারুফ
    ঈদ যত এগিয়ে আসছে, সিনেমাপাড়া ততই উত্তাপ হয়ে উঠছে। আসন্ন ঈদুল ফিতরে মুক্তিপ্রতিক্ষীত সিনেমা ‘বরবাদ’ মুক্তি নিয়ে জল ঘোলা তো কম হয়নি। চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড এ সিনেমায় ভায়োলেন্সের ওপর আপত্তি জানায়। আর তাতেই বেঁকে বসে শাকিবিয়ানরা। সেন্সর বোর্ড কর্তাদের আপত্তিতে কিছু সংশোধনী করা হয়েছে। তবে শাকিব ভক্তরা দাবি করেন আনকাট সার্টিফিকেশনের। সেই দাবি জানাতে মঙ্গলবার চলচ্চিত্র নির্মাতা ও চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডের সদস্য কাজী হায়াতের গাড়ি আটকে প্রতিবাদ করেন। এ সময় বর্ষীয়ান এই নির্মাতার সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয় ভক্তদের। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন কাজী হায়াতপুত্র চিত্রনায়ক কাজী মারুফ। বিষয়টি নিয়ে ফেসবুক লাইভে কথা বলেন তিনি। মারুফ বলেন, ‘কাজী হায়াত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডের সদস্য। উনি যেটা করেছেন, তা একান্ত ওনার ব্যাপার। বা উনি যা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তা সেই ছবির ভালোর জন্যই নিয়েছেন, দেশের জন্য করেছেন।’ সেদিন ভক্তদের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের সময় ‘আমার মারুফেরও লোক আছে’ মন্তব্য করে বিপাকে পড়েন কাজী হায়াত। এমনকি কাজী মারুফের ফেসবুক পেজের ইনবক্স ও মন্তব্যের ঘরে গালিগালাজসহ হুমকি আসতে থাকে।বিষয়টি নিয়ে মারুফ বলেন, ‘মারুফের লোক আছে বলে বাবা বুঝিয়েছেন আমার দর্শক আছে। একসময় আমার দর্শক ছিল।’তার ভাষায়, এখনকার দর্শকেরা গল্পপ্রধান সিনেমা থেকে ভায়োলেন্স বেশি পছন্দ করেন। তাই তারা মারুফের সিনেমা পছন্দ করবেন না। তার কথায়, ‘এখনকার প্রজন্ম আমার সিনেমা দেখেনি, দেখলেও হয়তো পছন্দ করবে না। এখনকার দর্শক মারামারি পছন্দ করে, যার নজির দেশের চলমান অবস্থা। দেশে আছিয়ার মতো শিশুদের, এটা বলতেও আমার খারাপ লাগছে।’ মারুফ আরও বলেন, ‘অনেক কথা বলার আছে আমার। নির্মাতাদের সেল্ফ সেন্সরশিপ থাকা উচিত। দুইটা টাকার জন্য যা খুশি বানালাম, এটা কখনো উচিত নয়।’এছাড়া শাকিবের দৃষ্টি আকর্ষণ করেও কথা বলেন মারুফ। তিনি বলেন, ‘শাকিব তোমাকে ইচ্ছা করেই ফোন দিইনি, তুমি বিষয়টি দেখো।’
    দাগি সিনেমার নায়ক ও গায়ক আফরান নিশো
    নাটকের পর ওটিটি পরে তো বড় পর্দার নায়ক। এবার নিশোকে দেখা গেল গানেও।  ঈদের ‘দাগি’ সিনেমার টাইটেল ট্র্যাকে কণ্ঠ দিয়েছেন আফরান নিশো। গানের কথা-'তোমাদের চোখে দাগি/সমাজের চোখে দাগি/যতবার খুশি মারো, তত বারবার জাগি'। ঠিক যেন 'দাগি' সিনেমার দাগি হয়ে নিজের কথাগুলোই বলেছেন গানে গানে। ২৬ মার্চ গানটি প্রকাশ পেয়েছে অনলাইনে। রাসেল মাহমুদের কথায়, গানটির সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন আরাফাত মহসীন। গানে মূলত নিধির সঙ্গে কিছু অংশ গেয়েছেন নিশো। কোনো পরিকল্পনা ছাড়াই গানটিতে কণ্ঠ দেওয়া অভিনেতার। নিশো বলেন, 'এটা আমার জন্য একরকম সারপ্রাইজই ছিল। প্রযোজক শাহরিয়ার শাকিল একদিন আমাকে গানটির একটা ডেমো ভার্সন শুনিয়ে জানতে চাইলেন, কেমন লেগেছে। আমি বললাম, ক্যাচি অ্যান্ড পাওয়ারফুল। গানটা নিয়ে কী করা যায়? এটা ভাবতে ভাবতে একসময় আমাকে জানানো হয়, গানটিতে আমি কণ্ঠ দিলে কেমন হয়?'  গানটির কথা সাজানো হয়েছে একজন দাগির দৃষ্টিকোণ থেকে। তাই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা চেয়েছেন ‘দাগি’ সিনেমার দাগি যিনি, তাঁর কণ্ঠেই গানটি সবচেয়ে বেশি মানায়। নিশো বলেন, 'গানটিতে কণ্ঠ দেওয়ার কারণগুলো আমার বেশ যৌক্তিক মনে হয়েছে বলেই আমি রাজি হয়েছি। পরে আরও কিছু সংযোজন-বিয়োজনের পর গানটিতে ভয়েস দিই।' সৈয়দপুর, রাজশাহী ও ঢাকায় হয়েছে 'দাগি' সিনেমার শুটিং। সিনেমায় অভিনয় করেছেন তমা মির্জা, সুনেরাহ বিনতে কামাল, শহীদুজ্জামান সেলিম, গাজী রাকায়েত, মিলি বাশার, রাশেদ মামুন অপু, এ কে আজাদ সেতুসহ অনেকে। ‘দাগি’ সিনেমার গল্প, চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন নির্মাতা শিহাব শাহীন।
    শুরু হতে যাচ্ছে সেলিব্রিটি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি
    ব্যাটে-বলে প্রিয় তারকারা লড়ছেন মাঠে, ডাগআউটে আর গ্যালারিতে বসে সমর্থন দিচ্ছেন অন্য তারকারা। এমন দৃশ্য হরহামেশাই দেখা যায় ভারতের সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগ (সিসিএল)-এ। এবার বাংলাদেশেও হতে যাচ্ছে ক্রিকেটের এমন আয়োজন।বাংলাদেশেও তারকাদের নিয়ে প্রফেশনাল ক্রিকেটের আদলে অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট। যেখানে মেনে চলা হবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটর সকল নিয়মকানুন।  বসুন্ধরা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ২৪ মে-৩ আগস্ট পর্যন্ত আয়োজন করা হবে সেলিব্রিটি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (সিসিটি) নামের এই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট।টুর্নামেন্টে দিবারাত্রি ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে ফ্লাড লাইটের আলোয়। ফাইনালসহ মোট ম্যাচ হবে ৭ টি। অন্যদকে ২ টি প্র্যাকটিস ম্যাচ থাকবে। তারকাদের এই প্রফেশনাল ক্রীড়া ইভেন্টটি সম্প্রচার করবে চ্যানেল টি-স্পোর্টস। গত সোমবার রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় আয়োজক প্রতিষ্ঠান এসএস স্পোর্টস। উক্ত অনুষ্ঠানে গ্ল্যাডিয়েটর্স, কিংস, ওয়ারিয়র্স, স্পারটান্স নামে চারটি দল ঘোষণা করা হয়।সেলিব্রিটি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি (সিসিটি) এর টুর্নামেন্ট অর্গানাইজিং টিমে অ্যাডভাইজার হিসেবে রয়েছেন ইশতিয়াক সাদেক, চেয়ারম্যান অভিনেতা জাহিদ হাসান, সেক্রেটারি ওয়াসিম খান, কনভেনর অভিনেতা ইরফান সাজ্জাদ, ট্রেজারার সাজ্জাদ খান সানসহ আরো অনেকে। এছাড়া টেকনিক্যাল টিম এডভাইজার হিসেবে রয়েছেন ওয়াসিম খান ও টেকনিক্যাল ডিরেক্টর রনি। বলা দরকার, সংবাদ সম্মেলনে অভিনেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আমিন খান, ইফরান সাজ্জাদ, রাশেদ সীমান্ত, রাফসান সাবাব, সাঞ্জু জন। এছাড়াও টি-স্পোর্টস, আয়োজক প্রতিষ্ঠান এবং স্পন্সর কোম্পানির উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

    অর্থ-বাণিজ্য

    সব দেখুন
    ঈদের আগে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরিতে কত?
    ঈদুল ফিতরের আগে আবারও এক দফায় স্বর্ণের দাম বাড়িয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। ভরিতে ১ হাজার ৭৭৩ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৫৭ হাজার ৮৭২ টাকা। শুক্রবার (২৮ মার্চ) বাজুসের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। নতুন এই দর শনিবার (২৯ মার্চ) থেকে কার্যকর হবে।নতুন দাম অনুযায়ী, ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৫৭ হাজার ৮৭২ টাকা। পাশাপাশি ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৫০ হাজার ৬৯৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ১ লাখ ২৯ হাজার ১৬৭ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৬ হাজার ৫৩৯ টাকা।এর আগে, সবশেষ গত ২৫ মার্চ দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় ভরিতে ১ হাজার ১৫৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৫৬ হাজার ৯৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি। এটি ছিল দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দাম।উল্লেখ্য, চলতি বছর দেশের বাজারে এ নিয়ে মোট ১৭ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করল বাজুস। যারমধ্যে ১৩ বার স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়েছে। দাম কমানো হয়েছে মাত্র ৪ বার। এর আগে ২০২৪ সালে মোট ৬২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছিল। এরমধ্যে ৩৫ বার বাড়ানো হয়েছিল স্বর্ণের দাম। এছাড়া গত বছর ২৭ বার কমানো হয়েছিল স্বর্ণের দাম।এনআই
    দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতে সিঙ্গাপুর-যুক্তরাজ্য থেকে আসবে ২ কার্গো এলএনজি
    দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কোটেশনের মাধ্যমে স্পট মার্কেট থেকে সিঙ্গাপুর থেকে এক কার্গো এবং যুক্তরাজ্য থেকে এক কার্গো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ১ হাজার ৩৬৬ কোটি ৮৭ লাখ ৮২ হাজার ৪০০ টাকা।এছাড়া ভারত থেকে আরও ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির করছে সরকার। এতে ব্যয় হবে দুই কোটি ১২ লাখ ৩৮ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ২৫৯ কোটি ১০ লাখ ৯৭ হাজার টাকা।মোট ১১টি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন করেছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে কমিটির এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।জানা গেছে, দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কোটেশনের মাধ্যমে স্পট মার্কেট থেকে সিঙ্গাপুর থেকে এক কার্গো এবং যুক্তরাজ্য থেকে এক কার্গো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ১ হাজার ৩৬৬ কোটি ৮৭ লাখ ৮২ হাজার ৪০০ টাকা।এছাড়া খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ৫০ হাজার টন নন বাসমতি সিদ্ধ চাল আমদানির প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি তা পর্যালোচনা করে অনুমোদন দিয়েছে। ভারতের মেসার্স বগাদিয়া ব্রাদার্স প্রাইভেট লিমিটেড থেকে এই চাল আনা হবে। প্রতি মেট্রিক টন চালের দাম ধরা হয়েছে ৪২৪.৭৭ মার্কিন ডলার। সে হিসাবে ৫০ হাজার টন চালের দাম পড়বে দুই কোটি ১২ লাখ ৩৮ হাজার ৫০০ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ২৫৯ কোটি ১০ লাখ ৯৭ হাজার টাকা।চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে ও জনস্বার্থে আন্তর্জাতিক উৎস থেকে ৬ লাখ টন চাল আমদানির সম্প্রতি অনুমোদন দেয় অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এর আওতায় ইতোমধ্যে ভারত, পাকিস্তান ও ভিয়েতনাম থেকে কয়েক টন চাল আমদানি প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। দেশের বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারিভাবেও চাল আমদানি বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।এবি 
    শ্রমিকদের পাওনা মেটাতে ৩ কারখানাকে সোয়া ১২ কোটি টাকা দিলো সরকার
    ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধে তিনটি পোশাক কারখানাকে ১২ কোটি ২৩ লাখ ৩৫ হাজার ৫৩৪ টাকা দিয়েছে সরকার। অন্যদিকে অসন্তোষ থাকা টিএনজেডের এক কারখানা গাড়ি বিক্রি করে শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করেছে।বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সংবাদ সম্মেলনে শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন এ কথা জানান। আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে শ্রমিকদের বেতন, বোনাসসহ যাবতীয় পাওনাদি পরিশোধে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগ বিষয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।উপদেষ্টা বলেন, ‘রোয়ার ফ্যাশন নামের প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে তাদের শ্রমিকদের কথা বিবেচনায় নিয়ে পাওনাদি পরিশোধের জন্য এরই মধ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় তহবিলের আপদকালীন হিসাব থেকে এক কোটি ২৩ লাখ ৩৫ হাজার ৫৩৪ টাকা দেওয়া হয়েছে। তবে এ উদ্যোগ অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রসারিত করা যাবে না।’তিনি বলেন, ‘শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত শ্রম অসন্তোষ নিরসন বিষয়ে গত ২৫ মার্চের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী টিএনজেড গ্রুপের অ্যাপারেলস ইকো লিমিটেড গাড়ি বিক্রি করে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করেছে। এটা এর আগে বাংলাদেশে হয়েছে কি না আমার জানা নেই। মালিক অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে আছেন।’এছাড়া শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে মাহমুদ গ্রুপের দুটি প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক নগদ সহায়তা বাবদ ১১ কোটি টাকা ছাড় করেছে বলেও জানিয়েছেন শ্রম উপদেষ্টা।সাখাওয়াত হোসেন আরও বলেন, ‘স্টাইলক্রাফট অ্যান্ড ইয়াংওয়ান বিডি লিমিটেড বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য মালিক ও শ্রমিকদের নিয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে আজ এক সভা হয়েছে। সভায় শ্রমিকদের পাওনাদি পরিশোধের বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়েছে।’পোশাক শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি, যার যা পাওনা পেয়ে যাবেন। বাকিরা যারা না পান আজ বা কাল সকালে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করবো। প্রায় সব সমস্যাই সমাধান হয়ে গেছে।’‘এই ঈদ অন্যান্য ঈদ থেকে অনেক ভালো। অন্যান্য বছরের তুলনায় শ্রমিক অসন্তোষ কম। পোশাক খাতের অনেকেই ভালো করছে। এই শিল্পটা বসে যায়নি, পোশাক শিল্পে ১৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে’, বলেন উপদেষ্টা।জিরো পয়েন্ট থেকে সদরঘাট পর্যন্ত ভয়াবহ যানজট। রাস্তার দুই পাশে দোকান বসেছে। সদরঘাট যেতে এই সড়কটি সচল রাখার কথা জানিয়েছিলেন- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে নৌপরিবহন উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমি পুলিশের ডিসি সাউথকে অনুরোধ করছি, এটি আপনারা দেখেন। আমি যদি বের হই, এরকম দেখি, আপনাদের বিরুদ্ধেই আমাকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ করতে হবে।এবি 
    দেশের গ্যাস সংকট নিরসনে স্বস্তির খবর
    বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে স্বস্তির খবর নিয়ে আসছে নতুন ১১ কার্গো এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস)। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চলতি মাসে দুটি এবং আগামী মাসে আরও নয়টি কার্গো এলএনজি দেশে পৌঁছাবে, যা জাতীয় গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বর্তমানে মহেশখালী থেকে প্রতিদিন ৯৮০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি সরবরাহ করা হচ্ছে, যার ফলে চট্টগ্রামসহ সারাদেশে গ্যাস সংকট অনেকটাই কমে এসেছে।সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নতুন এলএনজি সরবরাহের ফলে আগামী দুই মাসের বেশি সময় গ্যাসের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে এবং কোনো সংকটের আশঙ্কা নেই। বাংলাদেশের এলএনজি সরবরাহের ইতিহাসে এর আগে কখনো একসঙ্গে এত বড় পরিমাণে এলএনজি আসেনি। ২০১৮ সালের ১৮ আগস্ট প্রথমবারের মতো কক্সবাজারের মহেশখালীতে ভাসমান টার্মিনালের মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডে এলএনজি সরবরাহ শুরু হয়। তবে প্রায় সাত বছর পর এই প্রথম একসঙ্গে ১১ কার্গো এলএনজি সরবরাহ হতে যাচ্ছে, যা দেশের জ্বালানি ব্যবস্থাপনায় এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।চট্টগ্রামে গ্যাস সংকট দীর্ঘদিনের সমস্যা। চাহিদা ও যোগানের মধ্যে ফারাক থাকার ফলে প্রায়শই গ্যাস সংকট দেখা দেয়। বিশেষ করে আশুগঞ্জ–বাখরাবাদ পাইপলাইনকে ওয়ানওয়ে করে দিয়ে চট্টগ্রামকে পুরোপুরি এলএনজি নির্ভর করে ফেলার কারণে এই সংকট আরও প্রকট হয়। তবে সাম্প্রতিক এলএনজি আমদানির গতি বাড়ায় চট্টগ্রামে গ্যাসের প্রবাহ ও সরবরাহ স্বাভাবিক হয়েছে। আগামী অন্তত দুই মাস এই সরবরাহ অব্যাহত থাকবে বলে জানা গেছে।একটি এলএনজি কার্গোর ধারণক্ষমতা ১ লাখ ৪০ হাজার থেকে ১ লাখ ৬৬ হাজার ঘনমিটার লিকুইড গ্যাস। গ্যাসিফিকেশনের পর এটি প্রায় ৬০০ গুণ বৃদ্ধি পায়। প্রতিদিন ৯৮০ মিলিয়ন ঘনফুট হারে সরবরাহ করা হলে ১১ কার্গো এলএনজি অন্তত ৪০ দিনের গ্যাস চাহিদা পূরণ করতে পারবে। ফলে দেশের অন্তত দুই মাসের গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত হয়েছে, যা জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক।বর্তমানে বাংলাদেশে দৈনিক গ্যাসের চাহিদা প্রায় ৩,২০০ মিলিয়ন ঘনফুট। এর মধ্যে স্থানীয় গ্যাসক্ষেত্রগুলো থেকে সরবরাহ করা হচ্ছে প্রায় ২,২০০–২,৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট। ঘাটতি পূরণ করতে এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে। নতুন ১১ কার্গো এলএনজি এই ঘাটতি পূরণে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে এবং দেশের শিল্প, বিদ্যুৎ উৎপাদন ও আবাসিক খাতে গ্যাস সংকট লাঘব করবে।শীতকাল শেষে গ্যাসের প্রবাহে আর কোনো বাধা থাকবে না, ফলে পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে। এটি শিল্প ও বিদ্যুৎ খাতের উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনাও কমিয়ে দেবে। বিশেষ করে রপ্তানিমুখী শিল্পখাত, বিশেষ করে বস্ত্র ও পোশাক শিল্পে গ্যাসের সরবরাহ নিশ্চিত হলে উৎপাদন ব্যাহত হবে না।বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর জন্য পর্যাপ্ত গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত হলে লোডশেডিংয়ের মাত্রা কমে আসবে, যা শিল্প উৎপাদন ও সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় স্বস্তি আনবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, শিল্পের জন্য নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং রপ্তানিতে গতি আসবে।বাংলাদেশের নিজস্ব গ্যাসক্ষেত্রগুলোর উৎপাদন ক্রমশ কমছে। ফলে চাহিদা পূরণে আমদানি নির্ভরতা বাড়ছে। সরকার দীর্ঘমেয়াদে এলএনজি আমদানির জন্য বিভিন্ন উৎসের সঙ্গে চুক্তি করছে এবং আন্তর্জাতিক বাজার থেকে স্পট কার্গো সংগ্রহ করছে। তবে বিশ্ববাজারে এলএনজির দাম ও সরবরাহ পরিস্থিতি ভবিষ্যতে কেমন থাকবে, তা নির্ভর করছে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর।কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির উপ-মহাব্যবস্থাপক, পাইপলাইন ও পুরনির্মাণ ডিপার্টমেন্ট প্রকৌ. মো. আহসান হাবীব সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন, বর্তমানে গ্যাসের যোগান ঠিকমতো রয়েছে এবং প্রেসারও স্বাভাবিক। এটি ধরে রাখা গেলে দেশের অর্থনীতি ও শিল্পখাতের জন্য একটি সুসংবাদ হয়ে থাকবে।
    বিকাশ-নগদ-রকেটে দৈনিক ৫০ হাজার টাকা লেনদেন করা যাবে
    মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) ব্যবহারকারীদের জন্য বড় সুখবর। বিকাশ, নগদ, রকেটসহ অন্যান্য এমএফএস প্ল্যাটফর্মে বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, এখন থেকে একজন গ্রাহক আগের চেয়ে বেশি টাকা ক্যাশ ইন, ক্যাশ আউট ও স্থানান্তর করতে পারবেন।বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এখন থেকে এজেন্ট পয়েন্ট থেকে ব্যক্তিগত হিসাবে দৈনিক সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা ক্যাশ ইন করা যাবে, যা আগে ছিল ৩০ হাজার টাকা। মাসিক ক্যাশ ইন সীমাও ২ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৩ লাখ টাকা করা হয়েছে।একইভাবে ক্যাশ আউটের সীমাও বাড়ানো হয়েছে। আগে এজেন্ট পয়েন্ট থেকে ব্যক্তিগত হিসাবে দৈনিক সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা ক্যাশ আউট করা যেতো, যা এখন ৩০ হাজার টাকায় উন্নীত হয়েছে। মাসিক ক্যাশ আউট সীমা দেড়লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ লাখ টাকা করা হয়েছে।এছাড়া, এসব হিসাবে এখন সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত স্থিতি রাখা যাবে, যেখানে আগে সীমা ছিল ৩ লাখ টাকা। পাশাপাশি, লেনদেন সংখ্যার সীমাও প্রত্যাহার করা হয়েছে, অর্থাৎ গ্রাহকরা ইচ্ছেমতো লেনদেন করতে পারবেন।তবে বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের ঝুঁকি বিবেচনায় এসব সীমার কম নির্ধারণ করতে পারবে। নতুন নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে।এ সিদ্ধান্তে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের পরিসর আরও বাড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ব্যবসায়ী ও সাধারণ গ্রাহকদের জন্য এটি সুবিধাজনক হবে, কারণ লেনদেনের সীমা বাড়লে আর্থিক লেনদেনের গতিও ত্বরান্বিত হবে।এইচএ
    ভারত থেকে আরও ৫০ হাজার টন চাল কিনবে সরকার
    ভারত থেকে আরও ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল কিনতে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া প্রস্তাব অনুমোদন করেছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ২৫৯ কোটি ১০ লাখ টাকা। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এই প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় চাল ছাড়াও এলএনজি ও সার আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে।বৈঠক সূত্রে জানা যায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ভারতের মেসার্স বাগাদিয়া ব্রাদার্স প্রাইভেট লিমিটেডের কাছ থেকে প্যাকেজ-১০ এর আওতায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল কেনা হবে।জানা যায়, ক্রয় প্রস্তাবে প্রতি মেট্রিক টন চালের মূল্য ধরা হয়েছে ৪২৪.৭৭ মার্কিন ডলার। এতে ব্যয় হবে ২ কোটি ১২ লাখ ৩৮ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার বা ২৫৯ কোটি ১০ লাখ ৯৭ হাজার টাকা। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে এই চাল আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছে।এর আগে, গত বছর দায়িত্ব নেয়ার পর কয়েক দফায় ভারত থেকে চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। ভারতের পাশাপাশি চাল মিয়ানমার, সিঙ্গাপুর, পাকিস্তান ও ভিয়েতনাম থেকেও আমদানি হচ্ছে।এমআর-২
    আজ যেসব এলাকায় ব্যাংক খোলা
    এবার ঈদের ছুটিতে ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল টানা ৯ দিন ব্যাংক বন্ধ। তবে পোশাক খাতে কর্মরতদের বেতন দেওয়ার সুবিধার্থে শিল্প এলাকায় আজ (২৯ মার্চ) ব্যাংক খোলা থাকবে।এর আগে, শুক্রবার (২৮ মার্চ) সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত এসব এলাকায় ব্যাংকের শাখা খোলা ছিল। তবে লেনদেন চলে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত, বাকি সময় লেনদেন পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।শনিবার (২৯ মার্চ) শিল্প এলাকায় ব্যাংকের শাখা খোলা থাকবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত। এর মধ্যে লেনদেন হবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত। যেসব শাখা খোলা থাকবে সেসব শাখায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি ছুটির দিনে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিধি মোতাবেক ভাতা দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।২৪ মার্চ কিছু ব্যাংক শাখা খোলা রাখার বিষয়ে নির্দেশ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রজ্ঞাপন বলা হয়, আগামী ৩ এপ্রিল পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি ঘোষণা করায় তফসিলি ব্যাংকের সব শাখা ও উপশাখা বন্ধ থাকবে। ঈদুল ফিতরের আগে তৈরি পোশাকশিল্প সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কর্তৃক রপ্তানি বিল বিক্রির জন্য এবং ওই শিল্পে কর্মরতদের বেতন, বোনাস ও অন্যান্য ভাতা পরিশোধের সুবিধার্থে পোশাকশিল্পের লেনদেনে সংশ্লিষ্ট এলাকার ব্যাংক শাখা ২৮ ও ২৯ মার্চ খোলা রাখতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে ঢাকা মহানগরী, আশুলিয়া, টঙ্গী, গাজীপুর, সাভার, ভালুকা, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামে অবস্থিত পোশাকশিল্প এলাকার।এমআর-২
    ঈদের আগে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরিতে কত?
    ঈদুল ফিতরের আগে আবারও এক দফায় স্বর্ণের দাম বাড়িয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। ভরিতে ১ হাজার ৭৭৩ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৫৭ হাজার ৮৭২ টাকা। শুক্রবার (২৮ মার্চ) বাজুসের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। নতুন এই দর শনিবার (২৯ মার্চ) থেকে কার্যকর হবে।নতুন দাম অনুযায়ী, ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৫৭ হাজার ৮৭২ টাকা। পাশাপাশি ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৫০ হাজার ৬৯৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ১ লাখ ২৯ হাজার ১৬৭ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৬ হাজার ৫৩৯ টাকা।এর আগে, সবশেষ গত ২৫ মার্চ দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় ভরিতে ১ হাজার ১৫৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৫৬ হাজার ৯৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি। এটি ছিল দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দাম।উল্লেখ্য, চলতি বছর দেশের বাজারে এ নিয়ে মোট ১৭ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করল বাজুস। যারমধ্যে ১৩ বার স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়েছে। দাম কমানো হয়েছে মাত্র ৪ বার। এর আগে ২০২৪ সালে মোট ৬২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছিল। এরমধ্যে ৩৫ বার বাড়ানো হয়েছিল স্বর্ণের দাম। এছাড়া গত বছর ২৭ বার কমানো হয়েছিল স্বর্ণের দাম।এনআই
    দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতে সিঙ্গাপুর-যুক্তরাজ্য থেকে আসবে ২ কার্গো এলএনজি
    দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কোটেশনের মাধ্যমে স্পট মার্কেট থেকে সিঙ্গাপুর থেকে এক কার্গো এবং যুক্তরাজ্য থেকে এক কার্গো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ১ হাজার ৩৬৬ কোটি ৮৭ লাখ ৮২ হাজার ৪০০ টাকা।এছাড়া ভারত থেকে আরও ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির করছে সরকার। এতে ব্যয় হবে দুই কোটি ১২ লাখ ৩৮ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ২৫৯ কোটি ১০ লাখ ৯৭ হাজার টাকা।মোট ১১টি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন করেছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে কমিটির এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।জানা গেছে, দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কোটেশনের মাধ্যমে স্পট মার্কেট থেকে সিঙ্গাপুর থেকে এক কার্গো এবং যুক্তরাজ্য থেকে এক কার্গো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ১ হাজার ৩৬৬ কোটি ৮৭ লাখ ৮২ হাজার ৪০০ টাকা।এছাড়া খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ৫০ হাজার টন নন বাসমতি সিদ্ধ চাল আমদানির প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি তা পর্যালোচনা করে অনুমোদন দিয়েছে। ভারতের মেসার্স বগাদিয়া ব্রাদার্স প্রাইভেট লিমিটেড থেকে এই চাল আনা হবে। প্রতি মেট্রিক টন চালের দাম ধরা হয়েছে ৪২৪.৭৭ মার্কিন ডলার। সে হিসাবে ৫০ হাজার টন চালের দাম পড়বে দুই কোটি ১২ লাখ ৩৮ হাজার ৫০০ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ২৫৯ কোটি ১০ লাখ ৯৭ হাজার টাকা।চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে ও জনস্বার্থে আন্তর্জাতিক উৎস থেকে ৬ লাখ টন চাল আমদানির সম্প্রতি অনুমোদন দেয় অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এর আওতায় ইতোমধ্যে ভারত, পাকিস্তান ও ভিয়েতনাম থেকে কয়েক টন চাল আমদানি প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। দেশের বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারিভাবেও চাল আমদানি বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।এবি 
    শ্রমিকদের পাওনা মেটাতে ৩ কারখানাকে সোয়া ১২ কোটি টাকা দিলো সরকার
    ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধে তিনটি পোশাক কারখানাকে ১২ কোটি ২৩ লাখ ৩৫ হাজার ৫৩৪ টাকা দিয়েছে সরকার। অন্যদিকে অসন্তোষ থাকা টিএনজেডের এক কারখানা গাড়ি বিক্রি করে শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করেছে।বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সংবাদ সম্মেলনে শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন এ কথা জানান। আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে শ্রমিকদের বেতন, বোনাসসহ যাবতীয় পাওনাদি পরিশোধে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগ বিষয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।উপদেষ্টা বলেন, ‘রোয়ার ফ্যাশন নামের প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে তাদের শ্রমিকদের কথা বিবেচনায় নিয়ে পাওনাদি পরিশোধের জন্য এরই মধ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় তহবিলের আপদকালীন হিসাব থেকে এক কোটি ২৩ লাখ ৩৫ হাজার ৫৩৪ টাকা দেওয়া হয়েছে। তবে এ উদ্যোগ অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রসারিত করা যাবে না।’তিনি বলেন, ‘শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত শ্রম অসন্তোষ নিরসন বিষয়ে গত ২৫ মার্চের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী টিএনজেড গ্রুপের অ্যাপারেলস ইকো লিমিটেড গাড়ি বিক্রি করে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করেছে। এটা এর আগে বাংলাদেশে হয়েছে কি না আমার জানা নেই। মালিক অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে আছেন।’এছাড়া শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে মাহমুদ গ্রুপের দুটি প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক নগদ সহায়তা বাবদ ১১ কোটি টাকা ছাড় করেছে বলেও জানিয়েছেন শ্রম উপদেষ্টা।সাখাওয়াত হোসেন আরও বলেন, ‘স্টাইলক্রাফট অ্যান্ড ইয়াংওয়ান বিডি লিমিটেড বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য মালিক ও শ্রমিকদের নিয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে আজ এক সভা হয়েছে। সভায় শ্রমিকদের পাওনাদি পরিশোধের বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়েছে।’পোশাক শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি, যার যা পাওনা পেয়ে যাবেন। বাকিরা যারা না পান আজ বা কাল সকালে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করবো। প্রায় সব সমস্যাই সমাধান হয়ে গেছে।’‘এই ঈদ অন্যান্য ঈদ থেকে অনেক ভালো। অন্যান্য বছরের তুলনায় শ্রমিক অসন্তোষ কম। পোশাক খাতের অনেকেই ভালো করছে। এই শিল্পটা বসে যায়নি, পোশাক শিল্পে ১৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে’, বলেন উপদেষ্টা।জিরো পয়েন্ট থেকে সদরঘাট পর্যন্ত ভয়াবহ যানজট। রাস্তার দুই পাশে দোকান বসেছে। সদরঘাট যেতে এই সড়কটি সচল রাখার কথা জানিয়েছিলেন- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে নৌপরিবহন উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমি পুলিশের ডিসি সাউথকে অনুরোধ করছি, এটি আপনারা দেখেন। আমি যদি বের হই, এরকম দেখি, আপনাদের বিরুদ্ধেই আমাকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ করতে হবে।এবি 
    দেশের গ্যাস সংকট নিরসনে স্বস্তির খবর
    বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে স্বস্তির খবর নিয়ে আসছে নতুন ১১ কার্গো এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস)। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চলতি মাসে দুটি এবং আগামী মাসে আরও নয়টি কার্গো এলএনজি দেশে পৌঁছাবে, যা জাতীয় গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বর্তমানে মহেশখালী থেকে প্রতিদিন ৯৮০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি সরবরাহ করা হচ্ছে, যার ফলে চট্টগ্রামসহ সারাদেশে গ্যাস সংকট অনেকটাই কমে এসেছে।সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নতুন এলএনজি সরবরাহের ফলে আগামী দুই মাসের বেশি সময় গ্যাসের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে এবং কোনো সংকটের আশঙ্কা নেই। বাংলাদেশের এলএনজি সরবরাহের ইতিহাসে এর আগে কখনো একসঙ্গে এত বড় পরিমাণে এলএনজি আসেনি। ২০১৮ সালের ১৮ আগস্ট প্রথমবারের মতো কক্সবাজারের মহেশখালীতে ভাসমান টার্মিনালের মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডে এলএনজি সরবরাহ শুরু হয়। তবে প্রায় সাত বছর পর এই প্রথম একসঙ্গে ১১ কার্গো এলএনজি সরবরাহ হতে যাচ্ছে, যা দেশের জ্বালানি ব্যবস্থাপনায় এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।চট্টগ্রামে গ্যাস সংকট দীর্ঘদিনের সমস্যা। চাহিদা ও যোগানের মধ্যে ফারাক থাকার ফলে প্রায়শই গ্যাস সংকট দেখা দেয়। বিশেষ করে আশুগঞ্জ–বাখরাবাদ পাইপলাইনকে ওয়ানওয়ে করে দিয়ে চট্টগ্রামকে পুরোপুরি এলএনজি নির্ভর করে ফেলার কারণে এই সংকট আরও প্রকট হয়। তবে সাম্প্রতিক এলএনজি আমদানির গতি বাড়ায় চট্টগ্রামে গ্যাসের প্রবাহ ও সরবরাহ স্বাভাবিক হয়েছে। আগামী অন্তত দুই মাস এই সরবরাহ অব্যাহত থাকবে বলে জানা গেছে।একটি এলএনজি কার্গোর ধারণক্ষমতা ১ লাখ ৪০ হাজার থেকে ১ লাখ ৬৬ হাজার ঘনমিটার লিকুইড গ্যাস। গ্যাসিফিকেশনের পর এটি প্রায় ৬০০ গুণ বৃদ্ধি পায়। প্রতিদিন ৯৮০ মিলিয়ন ঘনফুট হারে সরবরাহ করা হলে ১১ কার্গো এলএনজি অন্তত ৪০ দিনের গ্যাস চাহিদা পূরণ করতে পারবে। ফলে দেশের অন্তত দুই মাসের গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত হয়েছে, যা জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক।বর্তমানে বাংলাদেশে দৈনিক গ্যাসের চাহিদা প্রায় ৩,২০০ মিলিয়ন ঘনফুট। এর মধ্যে স্থানীয় গ্যাসক্ষেত্রগুলো থেকে সরবরাহ করা হচ্ছে প্রায় ২,২০০–২,৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট। ঘাটতি পূরণ করতে এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে। নতুন ১১ কার্গো এলএনজি এই ঘাটতি পূরণে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে এবং দেশের শিল্প, বিদ্যুৎ উৎপাদন ও আবাসিক খাতে গ্যাস সংকট লাঘব করবে।শীতকাল শেষে গ্যাসের প্রবাহে আর কোনো বাধা থাকবে না, ফলে পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে। এটি শিল্প ও বিদ্যুৎ খাতের উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনাও কমিয়ে দেবে। বিশেষ করে রপ্তানিমুখী শিল্পখাত, বিশেষ করে বস্ত্র ও পোশাক শিল্পে গ্যাসের সরবরাহ নিশ্চিত হলে উৎপাদন ব্যাহত হবে না।বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর জন্য পর্যাপ্ত গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত হলে লোডশেডিংয়ের মাত্রা কমে আসবে, যা শিল্প উৎপাদন ও সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় স্বস্তি আনবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, শিল্পের জন্য নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং রপ্তানিতে গতি আসবে।বাংলাদেশের নিজস্ব গ্যাসক্ষেত্রগুলোর উৎপাদন ক্রমশ কমছে। ফলে চাহিদা পূরণে আমদানি নির্ভরতা বাড়ছে। সরকার দীর্ঘমেয়াদে এলএনজি আমদানির জন্য বিভিন্ন উৎসের সঙ্গে চুক্তি করছে এবং আন্তর্জাতিক বাজার থেকে স্পট কার্গো সংগ্রহ করছে। তবে বিশ্ববাজারে এলএনজির দাম ও সরবরাহ পরিস্থিতি ভবিষ্যতে কেমন থাকবে, তা নির্ভর করছে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর।কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির উপ-মহাব্যবস্থাপক, পাইপলাইন ও পুরনির্মাণ ডিপার্টমেন্ট প্রকৌ. মো. আহসান হাবীব সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন, বর্তমানে গ্যাসের যোগান ঠিকমতো রয়েছে এবং প্রেসারও স্বাভাবিক। এটি ধরে রাখা গেলে দেশের অর্থনীতি ও শিল্পখাতের জন্য একটি সুসংবাদ হয়ে থাকবে।
    বিকাশ-নগদ-রকেটে দৈনিক ৫০ হাজার টাকা লেনদেন করা যাবে
    মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) ব্যবহারকারীদের জন্য বড় সুখবর। বিকাশ, নগদ, রকেটসহ অন্যান্য এমএফএস প্ল্যাটফর্মে বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, এখন থেকে একজন গ্রাহক আগের চেয়ে বেশি টাকা ক্যাশ ইন, ক্যাশ আউট ও স্থানান্তর করতে পারবেন।বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এখন থেকে এজেন্ট পয়েন্ট থেকে ব্যক্তিগত হিসাবে দৈনিক সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা ক্যাশ ইন করা যাবে, যা আগে ছিল ৩০ হাজার টাকা। মাসিক ক্যাশ ইন সীমাও ২ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৩ লাখ টাকা করা হয়েছে।একইভাবে ক্যাশ আউটের সীমাও বাড়ানো হয়েছে। আগে এজেন্ট পয়েন্ট থেকে ব্যক্তিগত হিসাবে দৈনিক সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা ক্যাশ আউট করা যেতো, যা এখন ৩০ হাজার টাকায় উন্নীত হয়েছে। মাসিক ক্যাশ আউট সীমা দেড়লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ লাখ টাকা করা হয়েছে।এছাড়া, এসব হিসাবে এখন সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত স্থিতি রাখা যাবে, যেখানে আগে সীমা ছিল ৩ লাখ টাকা। পাশাপাশি, লেনদেন সংখ্যার সীমাও প্রত্যাহার করা হয়েছে, অর্থাৎ গ্রাহকরা ইচ্ছেমতো লেনদেন করতে পারবেন।তবে বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের ঝুঁকি বিবেচনায় এসব সীমার কম নির্ধারণ করতে পারবে। নতুন নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে।এ সিদ্ধান্তে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের পরিসর আরও বাড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ব্যবসায়ী ও সাধারণ গ্রাহকদের জন্য এটি সুবিধাজনক হবে, কারণ লেনদেনের সীমা বাড়লে আর্থিক লেনদেনের গতিও ত্বরান্বিত হবে।এইচএ

    শিক্ষাঙ্গন

    সব দেখুন
    আবু সাঈদের পরিবারকে বেরোবি উপাচার্যের ঈদ সামগ্রী প্রদান
    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত বছরের জুলাইয়ে পুলিশের গুলিতে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শহীদ আবু সাঈদের পরিবারকে ঈদ সামগ্রী প্রদান করেছেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শওকাত আলী। রবিবার (৩০ মার্চ ) দুপুরে রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার মদনখালী ইউনিয়নের জাফরপাড়ার বাবনপুর গ্রামে শহীদ আবু সাঈদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। এ সময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ঈদ সামগ্রী শহীদ আবু সাঈদের বাবা জনাব মকবুল হোসেনের কাছে হস্তান্তর করেন। উপাচার্য শহীদ আবু সাঈদের পরিবারের সদস্যদের খোঁজ নেন এবং তাদের সাথে কথা বলেন। এ সময় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. হারুন-অর রশিদ উপস্থিত ছিলেন।এসময় বেরোবি উপাচার্য বলেন, শহীদ আবু সাঈদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের একজন সদস্য। শহীদ আবু সাঈদকে ছাড়া তার পরিবার প্রথমবারের মতো ঈদ পালন করবে। উপাচার্য বলেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক হিসেবে শহীদ আবু সাঈদের পরিবারকে ঈদ সামগ্রী দেওয়ার জন্য এখানে এসেছি। কিন্তু আবু সাঈদের পরিবারের মাঝে ঈদের কোন আনন্দ নেই। তিনি আরও বলেন, জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জনের পর প্রথমবারের মতো রমজান মাসে নিত্য পণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায় রয়েছে। জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে শহীদ আবু সাঈদের মতো যাঁরা প্রাণ দিয়েছেন, তাদের জন্য এটা সম্ভব হয়েছে। উপাচার্য বলেন, আবু সাঈদসহ জুলাই বিপ্লবে শহীদদের হত্যাকারীদের যথাযথ বিচার এখনো দেখতে পারিনি ভুক্তভোগী পরিবারগুলো। দ্রুত বিচার কাজ সম্পন্ন করে দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা গেলে জুলাই আন্দোলনের শহীদদের পরিবার ও দেশবাসী ঈদের চেয়েও বেশি আনন্দ অনুভব করবে। এনআই
    বাকৃবিতে ঈদুল ফিতরের জামাত সকাল ৯টায়
    বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কেন্দ্রীয় মসজিদে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজের জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে।রবিবার (৩০ মার্চ) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান।তিনি বলেন, প্রতিবছরের মতো এ বছরও বাকৃবির কেন্দ্রীয় মসজিদে ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। এবছর শুধু একটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হলেও কিছু শিক্ষার্থীসহ শিক্ষকরা এখনো ক্যাম্পাসে অবস্থান করছেন। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী এলাকার অনেক মানুষ কেন্দ্রীয় মসজিদে নামাজ আদায় করে। সবার সুবিধার্থে ঈদের নামাজের সময় সকাল ৯টায় নির্ধারণ করা হয়েছে।এআই
    বেরোবিতে ঈদের জামাত সকাল ৮টায়
    রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) কেন্দ্রীয় মসজিদে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। শনিবার (২৯ মার্চ) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের সিনিয়র ইমাম কাম-খতিব হাফেজ মাওলানা রকিব উদ্দিন আহাম্মেদ।তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হলেও হল ও ডরমিটরিগুলোতে কিছু শিক্ষার্থীসহ শিক্ষকরা অবস্থান করছেন। তাদের সুবিধার্থে আমরা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে ঈদের জামায়াত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সবার সুবিধার্থে ঈদের নামাজের সময় সকাল ৮টায় নির্ধারণ করা হয়েছে।এইচএ
    শেকৃবিতে ঈদের জামাত সকাল ৭ টা ৩০ মিনিটে
    শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭ টা ৩০ মিনিটে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সংলগ্ন ঈদগাহ মাঠে এই জামাত অনুষ্ঠিত হবে।ঈদগাহ মাঠটি সবুজে ঘেরা এবং অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন। রমজানের শেষ মুহূর্তে মাঠটি ঈদের জামাতের জন্য বিশেষভাবে প্রস্তুত করা হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সেখানেই জামাত অনুষ্ঠিত হবে। তবে, আবহাওয়া খারাপ থাকলে বা বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলে ঈদগাহ মাঠের পরিবর্তে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে সকাল ৭ টা ৩০ মিনিটে এবং শেকৃবি স্টাফ কোয়ার্টার জামে মসজিদে সকাল  ৭ টা ৪৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে।শেকৃবির সকল ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, প্রাক্তন ছাত্র, প্রতিবেশী ও শুভানুধ্যায়ীদের ঈদের জামাতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ঈদের জামাত নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার জন্য ঈদগাহ পরিচালনা কমিটি সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।ঈদগাহ পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও চিফ ফার্ম সুপারিনটেনডেন্ট কৃষিবিদ মো. লুৎফুর রহমান (মৃদুল) সকলকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এবং জামাতে অংশগ্রহণের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করেছেন।পিএম

    তথ্য-প্রযুক্তি

    সব দেখুন
    এবার এক্সও বেচে দিলেন ইলন মাস্ক
    সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটার (বর্তমানে এক্স) কিনে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইলন মাস্ক। এবার এক্স’কেই বিক্রি করে দিলেন তিনি। নিজের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সংস্থা এক্সএআই-কে এই প্ল্যাটফর্ম বিক্রি করে দিয়েছেন মাস্ক। শনিবার (২৯ মার্চ) মাস্কের এক এক্স পোস্টের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।এতে বলা হয়, ৩৩ বিলিয়ন ডলারের অল-স্টক লেনদেনের মাধ্যমে এক্স-এর হাতবদল হয়েছে। এক্স কিনে নিয়েছে ইলন মাস্কের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সংস্থা এক্সএআই।শুধু তাই নয়, ইলন মাস্কের এক্স-এর ১২ বিলিয়ন ডলারের ঋণের দায়ও এক্সএআই-এর ঘাড়ে চাপতে চলেছে। এই আবহে এক্সএআই-এর বাজার দর উঠেছে ৮০ বিলিয়ন ডলার। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এবং সোশ্যাল মিডিয়াকে এক ছাতার তলায় আনতে চলেছেন ইলন মাস্ক, এমনটাই মত বিশেষজ্ঞ মহলের।বিষয়টি নিয়ে মাস্ক নিজের এক্স হ্যান্ডেল পোস্টে লেখেন, ‘এক্সএআই এবং এক্স-এর ভবিষ্যৎ একে অপরের সঙ্গে জড়িত। আজ আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে ডেটা, মডেল, গণনা, বিতরণ এবং প্রতিভা এক ছাতার তলায় আনার পদক্ষেপ নিয়েছি।’মাস্ক আরও বলেন, ‘আমি এক্সএআই এবং এক্স-এর প্রত্যেক কর্মীর কঠোর পরিশ্রমকে স্বীকৃতি দিতে চাই যা আমাদের এই পর্যায়ে নিয়ে এসেছে। এটা তো সবে শুরু।’ মূলত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে লড়াইয়ে এক্সএআইকে সামনের সারিতে রাখার চেষ্টা করছেন মাস্ক। এক্সএআইয়ের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে এক্স-এর ৬০০ মিলিয়নেরও বেশি ব্যবহারকারী যুক্ত হওয়ায় এআই সম্পর্কিত কাজ আরও দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন হবে বলে মনে করছেন ধনকুবের মাস্ক।তবে এক্স বা এক্সএআইর মুখপাত্ররা এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্য করতে রাজি হননি। কারণ চুক্তির বেশিরভাগ সুনির্দিষ্ট বিষয় অস্পষ্ট রয়ে গেছে, যেমন বিনিয়োগকারীদের কীভাবে ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে, এক্স সংশ্লিষ্টদের কীভাবে নতুন ফার্মে অন্তর্ভুক্ত করা হবে ইত্যাদি বিষয় এখন অমিমাংসিত।এর আগে ২০২২ সালের শেষের দিকে সমাজমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম টুইটার কিনে নেন মাস্ক। ওই সময় ৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলার খরচ করেছিলেন তিনি। সংস্থাটির ঋণও এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ছিল। টুইটার-চুক্তি সম্পন্ন হতেই প্ল্যাটফর্মটির নাম বদল করে এক্স হ্যান্ডেল রাখেন তিনি।  এইচএ
    বছরের প্রথম সূর্যগ্রহণ শনিবার, দ্বিতীয়টি ২১ সেপ্টেম্বর
    ২০২৫ সালের প্রথম সূর্যগ্রহণ হতে যাচ্ছে আগামী শনিবার (২৯ মার্চ)। এবারের গ্রহণটি আংশিক বলে জানা গেছে।গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এবছর দু’টি সূর্যগ্রহণ হওয়ার কথা। প্রথমটি ২৯ মার্চ, দ্বিতীয়টি ২১ সেপ্টেম্বর।বাংলাদেশ সময় অনুযায়ী শনিবার দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে গ্রহণ শুরু হবে। শেষ হবে ৬টা ৪৩ মিনিটে। কিন্তু গ্রহণ চূড়ান্ত পর্বে পৌঁছাবে ৪টা ৪৭ মিনিটে। বাংলাদেশ থেকে দেখা না গেলেও আফ্রিকা, ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা, আটলান্টিক এবং উত্তর মহাসাগর থেকে তা দেখা যাবে।প্রসঙ্গত, সূর্য, চাঁদ ও পৃথিবী একই সরলরেখায় চলে এলে চাঁদ যদি সূর্যের আলো পৃথিবীতে পৌঁছাতে বাধা দেয়, তখনই সূর্যগ্রহণ হয়। যদি সূর্যের আলো সম্পূর্ণ বাধাপ্রাপ্ত হয় তাহলে পূর্ণগ্রাস গ্রহণ হয়। অন্যথায় হয় আংশিক সূর্যগ্রহণ। এবারের গ্রহণ আংশিক। উল্লেখ্য, এবছর ৪টি গ্রহণ হওয়ার কথা। এর মধ্যে মার্চে একটি চন্দ্রগ্রহণ ও একটি সূর্যগ্রহণ। আবার ৭ সেপ্টেম্বর হবে চন্দ্রগ্রহণ। ২১ সেপ্টেম্বর সূর্যের বলয়গ্রাস।২০২৫ সালের শুরু থেকেই মহাজাগতিক নানা বিস্ময় অপেক্ষা করে রয়েছে মহাকাশপ্রেমীদের জন্য। উল্কাবৃষ্টি থেকে শুরু করে শুক্র-শনির সহাবস্থানের মতো নানা দৃশ্যের সাক্ষী হয়েছেন তারা। এর মধ্যে অন্যতম গ্রহণ। প্রতি বছরের মতো এবারও আলাদা করে নজর কাড়বে সূর্য ও চন্দ্রের গ্রহণ। কিন্তু প্রথম গ্রহণটির মতো দ্বিতীয় গ্রহণও দেখা যাবে না বাংলাদেশ থেকে। তবে অনলাইনে তা দেখা যাবে।এইচএ  
    ল্যাপটপে মোবাইল চার্জ দেবার আগে একবার ভাবুন
    আজকাল অন্যতম প্রয়োজনীয় গ্যাজেট হয়ে দাঁড়িয়েছে এই ল্যাপটপ। অনেকেই স্মার্টফোন ল্যাপটপ থেকে চার্জ করে নেন। ল্যাপটপ থেকে ফোন চার্জ করার সুবিধা অনেক। চার্জারের দরকার হয় না। ইউএসবি ক্যাবল থাকলেই হলো। অফিস হোক কিংবা ক্যাফে, সহজে চার্জ করাও যায়। ইলেকট্রিকে বোর্ডেরও দরকার পড়ে না। কিন্তু এতে লাভের বদলে ক্ষতিই হয় বেশি।ল্যাপটপের ইউএসবি পোর্টের ভোল্টেজ ফোনের জন্য উপযুক্ত নয়। এর ফলে চার্জ উঠতে দেরি হবে। সময় বেশি লাগবে। পাশাপাশি ওভারহিটিংয়ের ঝুঁকিও থাকে। চার্জিংয়ের সময় যদি ফোন বেশি গরম হয়ে যায় তাহলে শুধু ফোন নয়, ল্যাপটপেরও ক্ষতি হতে পারে। সঠিক ভোল্টেজ ব্যবহার করা জরুরি, তবেই ব্যাটারি দীর্ঘদিন চলবে, কার্যক্ষমতাও ঠিক থাকবে।সবচেয়ে বড় কথা হলো, ল্যাপটপের ব্যাটারির আয়ু কমে যায়। হ্যাঁ, এটা অনেকেই জানেন না। যদি কেউ নিয়মিত ল্যাপটপ থেকে ফোন চার্জ করেন, তাহলে ল্যাপটপের ব্যাটারির উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে। ধীরে ধীরে আয়ু কমতে থাকে।ইউএসবি পোর্টেরও ক্ষতি হয়। বারবার খোলা-লাগানোর ফলে পোর্টের পিন বেঁকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তখন ইউএসবি পোর্ট আর কাজ করাই যাবে না। তাই ক্যাবল লাগানোর সময় খুব বেশি চাপ দিতে বারণ করা হয়।ল্যাপটপ ফোন চার্জের জন্য তৈরি হয়নি। যদি কেউ সেটাই করতে থাকে তখন পারফরম্যান্সে প্রভাব পড়ে। ল্যাপটপ মাল্টিটাস্কার। এতে অনেক কাজ একসঙ্গে চলে। কিন্তু ফোন চার্জ করতে থাকলে সেই কাজে প্রভাব পড়ে।দীর্ঘমেয়াদে ল্যাপটপ থেকে চার্জ করার কারণে বিদ্যুৎ খরচ বেশি হতে পারে। পাশাপাশি পাবলিক কম্পিউটার বা অজানা চার্জিং পোর্টে ফোন চার্জ করতেও বারণ করেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ এতে ডাটা চুরির আশঙ্কা থাকে।সবসময় ফোনের আসল ওয়াল চার্জার ব্যবহার করা উচিত। এতে ব্যাটারিও ভালো থাকবে। জরুরি প্রয়োজনে ল্যাপটপ থেকে ফোন চার্জ করাই যায়। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে, এটা যেন অভ্যাসে পরিণত না হয়। আর পাবলিক চার্জিং পোর্ট এড়িয়ে চলতে হবে। সুরক্ষা সবার আগে।ল্যাপটপ থেকে ফোন চার্জ করা সুবিধাজনক হলেও, সচেতনতার সঙ্গে ব্যবহার করাই বুদ্ধিমানের কাজ। সঠিক পদ্ধতি মেনে চললে ডিভাইসের পারফরম্যান্স বজায় থাকবে এবং ব্যাটারির আয়ু দীর্ঘস্থায়ী হবে।এইচএ
    দশ মিনিটের চার্জে ১০ ঘণ্টা চলবে ইয়ারবাড
    বর্তমানে সবারই খুব পছন্দ ইয়ারবাডস। ছোট্ট চার্জিং কেস সমেত এদিক-ওদিক নিয়ে যাওয়াও সহজ। পোশাকে একটা প্যাকেট কিংবা ব্যাগে অল্প একটু জায়গাই যথেষ্ট। বিভিন্ন সংস্থা তাদের ইয়ারবাড বাজারে আনছে।সম্প্রতি নতুন ইয়ারবাড বাজারে আনছে রিয়েলমি। রিয়েলমি বাডস এয়ার ৭ মডেল। এটি একটি ট্রু ওয়্যারলেস স্টিরিও ইয়ারবাডস। সংস্থার দাবি রিয়েলমির নতুন ইয়ারবাডসে একবার পুরো চার্জ দিলে ৫২ ঘণ্টা পর্যন্ত চার্জ থাকবে।রিয়েলমি বাডস এয়ার ৭ মডেলে ৫২ ডেসিবেল পর্যন্ত কাজ করবে অ্যাক্টিভ নয়েজ ক্যানসেলেশন বা এএনসি ফিচার। ছয়টি মাইক যুক্ত একটি সেটআপ থাকছে এই ইয়ারবাডসে যেখানে কল নয়েজ ক্যানসেলেশন ফিচার কাজ করবে।রিয়েলমির আসন্ন ইয়ারবাডসে রয়েছে ১২.৪ মিলিমিটারের ডিপ বেস ড্রাইভার এবং সেখানে হাই রেজোলিউশনেও অডিও সাপোর্ট পাবেন ব্যবহারকারীরা। এর সঙ্গে ২৬০ ডিগ্রি স্প্যাটিয়াল অডিও এবং এলএইচডিসি ৫.০ টেকনোলজির সাপোর্ট থাকছে।রিয়েলমি বাডস এয়ার ৭-এই ইয়ারবাডসে মাত্র ১০ মিনিট চার্জ দিলে এই ইয়ারফোন চালু থাকবে প্রায় ১০ ঘণ্টা। ক্রিস্টাল অ্যালয় ডিজাইন থাকতে চলেছে এই ইয়ারবাডসে।এটি আইপি৫৫ রেটিং যুক্ত ডাস্ট অ্যান্ড ওয়াটার রেজিসট্যান্ট ডিভাইস। অর্থাৎ ধুলা এবং পানিতে সহজে নষ্ট হবে না ইয়ারবাডটি। আইভরি গোল্ড, ল্যাভেন্ডার পার্পল এবং মস গ্রিন- এই তিন রঙে রিয়েলমি বাডস এয়ার ৭ লঞ্চ হতে চলেছে ভারতে। ইয়ারবাডের দাম সম্পর্কে এখনো জানা যায়নি।এমআর-২
    হোয়াটসঅ্যাপের ভিডিও কলে আসছে নতুন সুবিধা
    হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও কল করলে প্রস্তুতি না থাকায় চেহারা নিয়ে অনেক সময় বেশ বিব্রত হতে হয়। এ সমস্যা সমাধানে ফোনের ক্যামেরা বন্ধ রেখেই ভিডিও কলে কথা বলার নতুন সুবিধা চালু করছে হোয়াটসঅ্যাপ। এরই মধ্যে হোয়াটসঅ্যাপের সর্বশেষ পরীক্ষামূলক সংস্করণে (বেটা ভার্সন) নতুন এই সুবিধা যুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট অ্যান্ড্রয়েড অথরিটি।বর্তমানে হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও কল রিসিভ করলেই ফোনের সামনের ক্যামেরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হয়ে যায়। ফলে চাইলেও ক্যামেরা বন্ধ রেখে ভিডিও কলে কথা বলা যায় না। নতুন এ সুবিধা চালু হলে সামনের ক্যামেরা বন্ধ রেখেই অন্যদের করা ভিডিও কলে স্বাচ্ছন্দ্যে কথা বলা যাবে। সুবিধাটি কবে নাগাদ উন্মুক্ত হবে, সে বিষয়ে হোয়াটসঅ্যাপের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা দেয়নি। তবে শিগগিরই সুবিধাটি উন্মুক্ত করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।অ্যান্ড্রয়েড অথরিটির তথ্যমতে, সুবিধাটি চালু হলে ভিডিও কল আসার সময় হোয়াটসঅ্যাপে ‘টার্ন অফ ইয়োর ভিডিও’ নামের একটি অপশন দেখা যাবে। এরপর ‘একসেপ্ট উইথ আউট ভিডিও’ বাটনে ক্লিক করলেই ভিডিও কলের সময় ফোনের সামনের ক্যামেরা বন্ধ থাকবে এবং অডিও মোডে কথা বলা যাবে।এর পর যদি আপনি চান, মাঝপথে ভিডিও অন করতে, তার অপশনও আছে। সে ক্ষেত্রে কল চলার সময়েই ‘টার্ন অন ইয়োর ভিডিও’-তে ক্লিক করলেই ক্যামেরা চালু হয়ে যাবে।এইচএ
    ফেসবুক স্টোরি থেকে আয়ের সুযোগ
    ফেসবুক ব্যবহারকারীদের জন্য দারুণ এক সুযোগ নিয়ে এসেছে। এখন থেকে ফেসবুকের কনটেন্ট মনিটাইজেশন প্রোগ্রামের অন্তর্ভুক্ত কনটেন্ট নির্মাতারা তাদের ফেসবুক স্টোরিজ থেকেও অর্থ আয় করতে পারবেন। কনটেন্ট নির্মাতাদের জন্য আয়ের নতুন সুযোগ নিয়ে এসেছে ফেসবুকের মালিকানা প্রতিষ্ঠান মেটা। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, এখন থেকে ফেসবুকের কনটেন্ট মনিটাইজেশন প্রোগ্রামের অন্তর্ভুক্ত কনটেন্ট নির্মাতারা তাদের ফেসবুক স্টোরিজ থেকেও অর্থ আয় করতে পারবেন। নির্মাতারা তাদের ভিডিও, রিলস বা দৈনন্দিন জীবনের মুহূর্তগুলো স্টোরিতে শেয়ার করেও অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফেসবুকের মনিটাইজেশন প্রোগ্রামের সদস্যদের জন্য চালু হবে। উদাহরণস্বরূপ, যদি কেউ একটি রেসিপি ভিডিও তৈরি করে এবং সেটির কিছু অংশ স্টোরিতে শেয়ার করেন তবে সেটি থেকেও আয়ের সুযোগ থাকবে।ফেসবুকের মুখপাত্র জানিয়েছেন, স্টোরির পেমেন্ট নির্ধারিত হবে কনটেন্টের পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করে। অর্থাৎ নির্দিষ্ট সংখ্যক ভিউয়ের শর্ত ছাড়াই নির্মাতারা আয়ের সুযোগ পাবেন।বিশ্লেষকরা বলছেন, টিকটকের জনপ্রিয়তা বাড়ার ফলে ফেসবুক ক্রিয়েটরদের জন্য নতুন আয়ের পথ তৈরি করতে চাইছে। মেটা ইতোমধ্যে নগদ বোনাস, কনটেন্ট চুক্তি এবং অন্যান্য সুবিধা দিয়ে ক্রিয়েটরদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছে।ফেসবুক ক্রিয়েটরদের জন্য কী সুবিধা আনছে?ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুক উভয় প্ল্যাটফর্মেই কনটেন্ট মনিটাইজেশন সহজতর হবে।স্টোরির মাধ্যমে অতিরিক্ত আয়ের সুযোগ পাওয়া যাবে।কোনো অতিরিক্ত সেটআপ ছাড়াই এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে সক্রিয় হবে।আশা করা হচ্ছে, ফেসবুকের এই নতুন উদ্যোগ কনটেন্ট নির্মাতাদের জন্য বড় একটি সুযোগ তৈরি করবে।এসআর

    আইন-আদালত

    সব দেখুন
    ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র ঘোষণা
    ২০২০ সালে অনুষ্ঠিত হওয়া ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনে বিএনপি দলীয় প্রার্থী ইশরাক হোসেনকে জয়ী ঘোষণা করেছেন আদালত।বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে দায়িত্বপ্রাপ্ত ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ মো. নুরুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।ইশরাক হোসেন অবিভক্ত ঢাকার সিটির মেয়র প্রয়াত সাদেক হোসেন খোকার ছেলে। রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন তিনি।এর আগে, ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ২ সিটিতেই মেয়র পদে বিজয়ী হন আওয়ামী লীগের দুই প্রার্থী। এর মধ্যে ঢাকা উত্তরে মেয়র হন নৌকার প্রার্থী আতিকুল ইসলাম। আর দক্ষিণে মেয়র হন নৌকার আরেক প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস।নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপি হয়েছে এমন অভিযোগ এনে ভোটের ফল প্রত্যাখ্যান করে বিএনপির দুই প্রার্থী। দলটির পরাজিত দুই প্রার্থী তাবিথ আউয়াল ও ইশরাক হোসেন সংবাদ সম্মেলনে সিটি ভোটের ফলাফল বাতিল করে পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানান। একইসঙ্গে ভোটের নানা ‘অনিয়ম ও কারচুপির’ তথ্যপ্রমাণ বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিকদের কাছে তুলে ধরেন তারা। ওই বছরের ৩ মার্চ ভোটে অনিয়ম, দুর্নীতি ও অগ্রহণযোগ্যতার অভিযোগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) নির্বাচন ও ফলাফল বাতিল চেয়ে মামলা করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বিএনপি মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন।এমআর-২

    প্রবাস

    সব দেখুন
    লন্ডনের কিংসমেডাও খোলা মাঠে ঈদের নামাজ পড়লেন তারেক রহমান
    যুক্তরাজ্যের লন্ডনের কিংসটন এলাকার কিংসমেডাও স্টেডিয়ামের খোলা মাঠে ঈদুল ফিতরের জামাতে অংশ নিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। রবিবার (৩০ মার্চ) স্থানীয় সময় ৯টায় পশ্চিম লন্ডনের সর্ববৃহৎ এই খোলা মাঠে ঈদের নামাজে অংশ নিতে হাজির হন তিনি।স্থানীয় সময়ে সকাল সাড়ে ১০টায় এই মাঠে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় তার সঙ্গে বিএনপির বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। ঈদের জামাতে তারেক রহমানের পাশে ছিলেন বেগম জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ড. এজেডএম জাহিদ হোসেন এবং যুক্তরাজ্য বিএনপি সভাপতি এমএ মালেক, সাধারণ সম্পাদক কয়সর এম আহমেদ, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের ইউরোপের সমন্বয়ক কামাল উদ্দিন প্রমুখ। আগের দিন থেকেই জানা গিয়েছিল, আবহাওয়া ভালো থাকলে তারেক রহমান এই খোলা মাঠে ঈদের নামাজে অংশ নেবেন। যদি আবহাওয়া খারাপ থাকতো, তাহলে তিনি কিংস্টন মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করতেন।ঈদের নামাজের পর তারেক রহমান কুশল বিনিময় ও কোলাকুলি করেন লন্ডনের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা কমিউনিটি ব্যক্তিবর্গ ও বিএনপি নেতাদের সঙ্গে। এদিকে, প্রায় এক দশক পর মা খালেদা জিয়ার সঙ্গে ঈদ করার সুযোগ পেলেন তারেক রহমান।

    লাইফস্টাইল

    সব দেখুন
    নতুন টাকা ছাড়াও ঈদে যেভাবে সালামি দিতে পারেন
    ছোটবেলায় ঈদ সালামির জন্য আপনিও অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতেন নিশ্চয়ই। সালামি মানেই যেন চকচকে নোট আর ইচ্ছেমতো খরচ করার স্বাধীনতা। সেসব দিন পেরিয়ে এখন হয়তো সালামি দেওয়ার পালা আপনার। এরও একটা আলাদা আনন্দ আছে। তবে সালামি পাওয়ার নিখাদ আনন্দটাকে হয়তো এর চেয়ে বেশ এগিয়েই রাখবেন আপনি। কেউ সালামি হিসেবে নগদ অর্থ সরাসরি তুলে দেন হাতে, কেউ আবার সালামি দেন সুন্দর খামে পুরে। এ যুগে আরও আছে ডিজিটাল সালামি। ছোটদের সালামি বা ঈদি দেওয়ার প্রচলন আছে অন্যান্য দেশেও। দেশে দেশে মুসলিম পরিবারগুলোতে শিশুদের মুখে হাসি ফোটানোর এই ঐতিহ্যের প্রচলন বহু বছর ধরেই।বছরের পর বছর ধরে ঈদ বকশিস বা সালামি হিসেবে নতুন টাকা দেওয়ার রীতি চলে আসছে। এটি যেন অলিখিত ঐতিহ্য বা রেওয়াজ। তবে এবার এই রীতি আর পালন করা হচ্ছে না। কারণ বাংলাদেশ ব্যাংকের নিষেধাজ্ঞার কারণে এবার ঈদুল ফিতর উপলক্ষে টাকার নতুন নোট বাজারে আসেনি। তবে কি এবার ময়লা পুরনো টাকাতেই কাটাতে হবে ঈদ? ঈদে নতুন টাকা নেই বলে মন খারাপ করে থাকার কারণ নেই। তারচেয়ে বরং নতুন নোট ছাড়াও কীভাবে ঈদ সালামি দেওয়া যায় সেই উপায় জানুন- অপেক্ষাকৃত কম ব্যবহৃত নোট নতুন নোট যেহেতু এবার নেই তাই মানিব্যাগ বা পার্সে থাকা অপেক্ষাকৃত কম ব্যবহৃত নোটগুলোকেই বেছে নিতে পারেন সালামির জন্য। কিছুটা কম ময়লা, ছেঁড়াফাটাহীন নোটগুলো আলাদা করুন সালামির জন্য। সালামি দিন ডিজিটাল মাধ্যমে এখন যুগ বদলেছে। ছোট-বড় সবাই ডিজিটাল মাধ্যমে যুক্ত। তাই এবার সালামি দেওয়ার ক্ষেত্রে বেছে নিতে পারেন মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সিস্টেম বা ডিজিটাল মাধ্যম। বিকাশ, নগদ, উপায়ের মতো অ্যাপের মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত ব্যক্তিকে সালামি পাঠিয়ে দিন। তার যদি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকে তাহলে সেটিও হতে পারে সালামি আদান-প্রদানের মাধ্যম। অর্থের বদলে উপহার নগদ অর্থের মাধ্যমেই যে ঈদ সালামি দিতে হবে এমন কোনো বাঁধাধরা নিয়ম নেই। এবার নাহয় অর্থের বদলে উপহার দিন। ছোটদের প্রিয় কোনো খেলনা বা খাবার, বড়দের প্রয়োজনীয় কিছু বা শোপিস, মোমবাতি, বাহারি আয়না, প্রসাধনী, গয়না দিতে পারেন ঈদ উপহার। উপহার হতে পারে বই পরিবারের ছোট শিশু থাকলে তাদের ঈদ সালামি হিসেবে নতুন টাকার বদলে নতুন বই দিতে পারেন। কমিক্স বুক, রঙের খাতা, রঙপেন্সিল এসবও উপহার দিতে পারেন। নতুন টাকা না পেলেও নতুন বই পেলে তাদের আনন্দ বাড়বে বৈ কমবে না।
    Loading…