এইমাত্র
  • বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশিপ চালু করলো পাকিস্তান
  • শেখ হাসিনার পক্ষে আদালতে লড়তে চান জেড আই খান পান্না
  • জাতি গঠনমূলক কাজে সশস্ত্র বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে: রাষ্ট্রপতি
  • অটোচালকদের রেললাইন অবরোধে ঢাকার সঙ্গে রেল যোগাযোগ বন্ধ
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত
  • সিরিয়ার ঐতিহ্যবাহী শহরে ইসরায়েলি হামলা, নিহত ৩৬
  • আজ ঢাকা কলেজ-সিটি কলেজের ক্লাস বন্ধ
  • রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
  • রাজধানীতে আজ ১২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়
  • ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই: প্রধান উপদেষ্টা
  • আজ বৃহস্পতিবার, ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২১ নভেম্বর, ২০২৪

    করপোরেট সংবাদ

    ক্যানন আউটস্ট্যান্ডিং গ্রোথ অ্যাওয়ার্ড পেল স্মার্ট টেকনোলজিস
    বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ড ক্যাননের লার্জ ফরম্যাট প্রিন্টার ব্যবসায়ে ‘আউটস্ট্যান্ডিং গ্রোথ অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছে দেশের অন্যতম শীর্ষ তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান স্মার্ট টেকনোলজিস (বিডি) লিমিটেড। সম্প্রতি থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের দি সেন্টারা গ্র্যান্ড হোটেলে আয়োজিত ‘রিজিওনাল পার্টনার্স কনফারেন্স ২০২৪’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে লার্জ ফরম্যাট প্রিন্টার ব্যবসায়ে অসাধারণ অবদানের কারণে দক্ষিণ এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার ১৫টি দেশের মধ্যে অন্যতম আউটস্ট্যান্ডিং গ্রোথ হিসেবে এই সম্মাননা প্রদান করা হয়। স্মার্ট টেকনোলজিসের পক্ষ থেকে ক্যাননের এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারটি গ্রহন করেন প্রতিষ্ঠানটির জেনারেল ম্যানেজার এবং ক্যানন ডিভিশনের বিজনেস হেড নুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার। ১৫টি দেশের ক্যানন লার্জ ফরম্যাট প্রিন্টার ব্যবসায়িক নেতারা, বিশেষজ্ঞ এবং উদ্ভাবকগণের উপস্থিতিতে আয়োজিত উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- ক্যানন সিংগাপুরের ভাইস প্রেসিডেন্ট-সিএএমজি ওআইপি গ্রুপ হেডকোয়ার্টার নোরিহিরো কাটাগিরি, সিএস অ্যান্ড এসএস প্রোডাক্ট মার্কেটিং ডিপার্টমেন্টের রিজিওনাল বিজনেস ইমেজিং সল্যুশন ডিভিশন ডিরেক্টর কাটসুভা টোডে এবং এরিয়া মার্কেটিং প্রোডাক্ট মার্কেটিং ডিপার্টমেন্টের সিনিয়র ম্যানেজার ইয়ুজিরো নাকাগাওয়াসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। আগামীতেও স্মার্ট টেকনোলজিস প্রযুক্তিখাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার মাধ্যমে দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনবে বলে অঙ্গীকারবদ্ধ ক্যানন ব্যবস্থাপনা দল, এমনটাই আশাবাদ ব্যক্ত করেন নুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার।
    দেশে প্রথম লিমিটলেস ইন্টারনেট প্যাক চালু করল গ্রামীণফোন
    প্রথমবারের মতো দেশে স্পিড-বেইসড লিমিটলেস ইন্টারনেট প্যাক চালু করলো শীর্ষস্থানীয় টেলিকম অপারেটর গ্রামীণফোন।এর মাধ্যমে দেশের ডিজিটাল সংযোগ সমৃদ্ধ করার ক্ষেত্রে একটি তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করলো অপারেটরটি। নতুন এই অফারগুলো এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যেন ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে গ্রাহকরা স্বাধীনভাবে নিজের পছন্দমতো সেবা উপভোগ করতে পারেন।আজ মঙ্গলবার রাজধনীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই প্যাকগুলোর উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আজমান, চিফ মার্কেটিং অফিসার মোহাম্মদ সাজ্জাদ হাসিব সহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।এই প্যাকগুলোর মাধ্যমে গ্রাহকরা লিমিটলেস ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ পাবেন যা তাদের বৈচিত্র্যময় চাহিদা ও পছন্দের প্রয়োজন মেটাবে। দেশের ডিজিটাল খাতে এটি এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। স্পিড-বেইসড বিভিন্ন প্যাকের মধ্যে গ্রাহকরা তাদের পছন্দেরটি বেছে নিতে পারেন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে: ২৬৯ টাকায় ৭ দিন মেয়াদি ১০ এমবিপিএস পর্যন্ত গতির প্যাক, ৮৯৯ টাকায় ৩০ দিন মেয়াদি ১০ এমবিপিএস পর্যন্ত গতির প্যাক এবং ৯৯৮ টাকায় ৩০ দিন মেয়াদি ১৫ এমবিপিএস পর্যন্ত গতির প্যাক। বাজারে প্রথমবারের মতো চালু হওয়া এই প্যাকগুলোর মাধ্যমে উল্লিখিত মেয়াদ ও গতিতে লিমিটলেস ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ পাবেন গ্রাহকরা।অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আজমান বলেন, “ইন্টারনেট ও সংযুক্ত ডিভাইসের অপার সম্ভাবনায় বিশ্বাস করে গ্রামীণফোন; তাই আমরা নিয়ে এসেছি লিমিটলেস প্যাক। নতুন নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে গ্রাহকের প্রয়োজন মেটাতে পেরে আমরা আনন্দিত।”গ্রামীণফোনের চিফ মার্কেটিং অফিসার মোহাম্মদ সাজ্জাদ হাসিব বলেন, “আমরা অনুধাবন করতে পারি, আমাদের গ্রাহকরা তাদের কাজ, বিনোদন এবং প্রিয়জনদের সাথে যুক্ত থাকতে চান নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেটের মাধ্যমে। নতুন এই প্যাকগুলো গ্রাহকদের জন্য অতুলনীয়; পাশাপাশি তারা পাবেন গতি ও আস্থার নিশ্চয়তা যার জন্য গ্রামীণফোন সমাদৃত। ডিজিটাল ভবিষ্যতের চাহিদা পূরণে আমাদের ক্রমাগত উদ্ভাবনী প্রচেষ্টার আরেকটি উদাহরণ এই পদক্ষেপ। নতুন এই প্যাকগুলোর মাধ্যমে ডিজিটালভাবে ক্ষমতায়িত সমাজ গড়তে গ্রামীণফোন তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছে; যে সমাজে সবাই নিজের সুবিধামতো দ্রুতগতির ও নির্ভরশীল ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ পাবে।”গ্রাহকরা মাইজিপি অ্যাপ, ইউএসএসডি (*১২১#) অথবা সরাসরি রিচার্জের মাধ্যমে এই প্যাকগুলো কিনতে পারবেন।এফএস
    বেস্ট রিটেইল অর্গানাইজেশন অফ দ্য ইয়ার পুরস্কার জিতল ‘স্বপ্ন’
    বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম ও বাংলাদেশ রিটেইল ফোরামের উদ্যোগে শনিবার (৫ অক্টোবর) রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ রিটেইল অ্যাওয়ার্ডস ২০২৪-এর দ্বিতীয় আসর।  আর এই আসরে স্বপ্ন (এসিআই লজিস্টিকস লিমিটেড) বেস্ট অ্যাকুজিশন স্ট্যাটেজি, মোস্ট অ্যাডমাইরড রিটেইলার-নিউ মার্কেট পেনেট্রাশন, মোস্ট সাসটেইনাবল রিটেইল ইনিশিয়েটিভ এবং বেস্ট রিটেইল অর্গানাইজেশন অফ দ্য ইয়ার শীর্ষক চারটি পুরস্কার জিতেছে। আয়োজনটির অন্যতম আকর্ষণ ছিল এই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। কী নোট সেশনে বক্তব্য রাখেন এসিআই লজিস্টিকস লিমিটেড (স্বপ্ন)-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাব্বির হাসান নাসির।স্বপ্ন এর পক্ষ থেকে ‍পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- এসিআই লজিস্টিকস লিমিটেডের বিজনেস ডিরেক্টর সোহেল তানভীর খান, স্বপ্ন’র হেড অব বিজনেস (কোম্পানী গুডস) সালাহ উদ্দিন মিসবাহ, হেড অফ বিজনেস-কমোডিটি নিয়াজ মোর্শেদ, হেড অব প্রকিউরমেন্ট অ্যান্ড ক্যাটাগরি গাজী মুজিবর রহমান, হেড অব প্রকিউরমেন্ট মিরন হোসেন, হেড অব বিজনেস এক্সপানশন জহিরুল ইসলাম, হেড অব বিজনেস এক্সপ্যানশন মো. শামছুজ্জামান, বিজনেস অ্যানাইলাইটিকস লিড শেহজাদ আর মাজিদ, হেড অব বিজনেস (লাইফস্টাইল) তানজিনা আক্তার, ইভেন্টস এন্ড বি.টি.এল এক্টিভেশন ম্যানেজার আফজাল এইচ খান, রিজিওনাল ম্যানেজার অফ অপারেশনস কামরুজ্জামান স্বাধীন, সাব্বির হোসাইন, মিডিয়া অ্যান্ড পিআর ম্যানেজার মো: কামরুজ্জামান মিলু।উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে যাত্রা শুরু করে সুপারশপ ‘স্বপ্ন’। প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষক, সরবরাহকারীদের সঙ্গে গ্রাহকের মেলবন্ধন তৈরি হচ্ছে স্বপ্নের চেইন শপের মাধ্যমে। দেশব্যাপী এখন স্বপ্ন’র ৫০০ এর বেশি আউটলেট রয়েছে। এর আগে সুপারব্র্যান্ডস বাংলাদেশের অধীনে ২০১৮ ও ২০২০-২১,২২-২৩ সালে ‘সুপারব্র্যান্ড’ হিসেবে পুরস্কার জিতেছে ‘স্বপ্ন’। এছাড়া স্বপ্ন ‘ষষ্ঠ এশিয়া মার্কেটিং এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ শীর্ষক পুরস্কার জিতেছে, যা এশিয়ার ‘মার্কেটিং কোম্পানি অব দ্য ইয়ার ২০২০’ নামে স্বীকৃত। জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, চীন, থাইল্যান্ড, হংকং, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়ার মত শক্তিশালী মোট ১৮টি দেশের শীর্ষস্থানীয় মার্কেটিং কোম্পানীর সাথে প্রতিযোগিতা করে এই পুরস্কার অর্জন করেছে বাংলাদেশের ‘স্বপ্ন’। এছাড়া টানা ৭ বার সেরা সুপারমার্কেট ব্র্যান্ড ‘স্বপ্ন’।এসএফ 
    জামাই-শ্বশুর মিলে ৩৫৩ কোটি লুট, বিদেশে পাচার ৪৪ কোটি টাকা
    সোনালী লাইফের বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব ও পেটি ক্যাশ (খুচরা নগদান বই) থেকে প্রতিষ্ঠানটির সাবেক দুই চেয়ারম্যান তাদের পরিবার ও ভারপ্রাপ্ত মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তাসহ (সিইও) অন্যান্য কর্মকর্তা অন্তত ৩৫৩ কোটি টাকা তছরুপ করেছেন। এসব অর্থের মধ্যে প্রায় ৪৪ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে বলে সংবাদ প্রচার করেছে দেশের একটি গণমাধ্যম। এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটিকে পারিবারিক সম্পত্তি হিসেবে ব্যবহার করেছেন সাবেক চেয়ারম্যান নুর-ই-হাফসা, ভাগিনা মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস ও তার জামাতা ভারপ্রাপ্ত সিইও মীর রাশেদ বিন আমান। আমানের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির ভাইস চেয়ারম্যান ফৌজিয়া কামরান তানিয়ার বিবাহবিচ্ছেদের পর তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এরপর একে অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললে কয়েকটি সংস্থা প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। এতে বেরিয়ে আসে সোনালী লাইফের সব অনিয়মের খবর। সর্বশেষ আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) পরিদর্শন প্রতিবেদনেও প্রতিষ্ঠানটির লুটপাটে কুদ্দুস পরিবারের সংশ্লিষ্টতা উঠে আসে।অর্থ তছরুপের সঙ্গে জড়িত প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বীমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষকে (আইডিআরএ) চিঠি দিয়েছে বিএফআইইউ। এ বিষয়ে নেওয়া ব্যবস্থার অগ্রগতি সম্পর্কেও সংস্থাটিকে অবহিত করতে বলা হয়েছে।বিএফআইইউর প্রতিবেদনের তথ্যানুসারে, সোনালী লাইফের ৩৫৩ কোটি টাকা তছরুপের সঙ্গে জড়িত কোম্পানিটির সাবেক চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানসহ আট পরিচালক, ভারপ্রাপ্ত সিইও ও অন্য দুই কর্মকর্তা। এ ছাড়া কোম্পানিটির ভারপ্রাপ্ত সিইওর এক ভাই ও ফুফুর নাম উঠে এসেছে।গ্যালাক্সি হলিডেজের মাধ্যমে ৩৭ কোটি ৬৪ লাখ টাকা পাচার: বিএফআইইউর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্যালাক্সি হলিডেজ লিমিটেডকে বিভিন্ন দেশে ট্যুর, সেমিনার, ওমরাহ পালন ও অস্ট্রেলিয়ায় বিশ্বকাপ ক্রিকেট খেলা দেখার নামে ৩৭ কোটি ৬৪ লাখ টাকা দিয়েছে সোনালী লাইফ। এই লেনদেনের ভাউচার ছাড়া কোনো প্রকার সহায়ক দলিল প্রধান কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগ বা হিসাব বিভাগের কাছে রক্ষিত নেই মর্মে পরিদর্শন দলকে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অবহিত করেন। এই টাকা গ্যালাক্সি হলিডেজের মাধ্যমে বিদেশে পাচার করা হয়ে থাকতে পারে এবং প্রতিষ্ঠানটির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মীর রাশেদ বিন আমানের ওপরই এর দায়ভার বর্তায়।ক্রাউন মানি চেঞ্জারের মাধ্যমে পাচার ৬ কোটি ৪৬ লাখ টাকা: ক্রাউন মানি চেঞ্জার কোম্পানির মাধ্যমে বিভিন্ন সময় সোনালী লাইফের ৬ কোটি ৪৬ লাখ টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে বলে মনে করছে বিএফআইইউ। এসব টাকা দেওয়া হয়েছে বীমা কোম্পানিটির পেটি ক্যাশ ও বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব থেকে নগদে উত্তোলন করে। হুন্ডি অথবা বাহকের মাধ্যমে এই টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে পাউন্ড কেনা, লন্ডনে অর্থ পাঠানো, লন্ডনে শপিং, দুবাই ট্যুর, লন্ডন কার্ড, সফটওয়্যার কেনা, পরিচালক সফিয়া সোবহান চৌধুরী ও মোস্তফা কামরুস সোবহানের কন্যা মাহেরাকে প্রদান, মুখ্য নির্বাহী রাশেদের মেডিকেল ব্যয়সহ অন্য বাবদ এসব টাকা দেওয়া হয়েছে ক্রাউন মানি চেঞ্জার কোম্পানিকে।মোস্তফা গোলাম কুদ্দুসে পকেটে ১৮৪ কোটি টাকা: সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস নিয়মবহির্ভূতভাবে সোনালী লাইফের তহবিল থেকে নিয়েছেন ১৮৩ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে ভবন বিক্রির নামে নিয়েছেন ১৩৯ কোটি ১০ লাখ টাকা। বাকি ৪৪ কোটি ৫৮ লাখ টাকা তিনি নিয়েছেন নিজের ও তার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে। এই টাকা তিনি নেন ২০১৫ থেকে ২০২৩ সালে। সোনালী লাইফের বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব ও পেটি ক্যাশ থেকে এসব অর্থ নিয়েছেন বলে বিএফআইইউর প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।ভবন বিক্রির নামে ১৩৯ কোটি ১০ লাখ টাকা নিলেও এই ভবন কেনার বিষয়ে সোনালী লাইফের বোর্ড সভার কোনো অনুমোদন নেই। অনুমোদন নেই বীমা খাত নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএর। এ ছাড়া ভবনটি ৩৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা ঋণের বিপরীতে যমুনা ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ শাখায় বন্ধক রাখা।তদন্তকারী প্রতিষ্ঠানটি বলছে, প্রতিবেদনটি প্রস্তুতের সময় মোস্তফা গোলাম কুদ্দুসের মতামত নেওয়া হয়েছে। মতামতে মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস জানিয়েছেন, তিনি ১৩৯ কোটি ১০ লাখ টাকা নিয়েছেন ইম্পেরিয়াল ভবনের ভাড়া বাবদ। তবে এর পক্ষে তিনি কোনো দলিল দেখাতে পারেননি। সোনালী লাইফের ইআরপি সফটওয়্যার ও কোম্পানিটির বিভিন্ন ভাউচারের তথ্যানুসারে ইম্পেরিয়াল ভবনের ভাড়া বাবদ ২০১৫ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ১৮ কোটি ১৭ লাখ টাকা নেওয়ার প্রমাণ পেয়েছে বিএফআইইউ। বিএফআইইউ বলছে, পর্যাপ্ত দলিল না পাওয়ায় মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস ভবনের ভাড়া বাবদ কত টাকা নিয়েছেন, তা তারা নিশ্চিত হতে পারেননি। এ বিষয়ে জানতে মোস্তফা গোলাম কুদ্দুসকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব থেকে নগদে উত্তোলন ১৬৯ কোটি টাকা: ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৩ সালের নভেম্বর পর্যন্ত সোনালী লাইফের বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব থেকে নগদে উত্তোলন করা হয়েছে ১৬৯ কোটি ৯ লাখ টাকা। একক চেকের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকা পর্যন্ত নগদে উত্তোলন করা হয়েছে। ২০১৮ সালের ২৬ জুন কোম্পানিটির এসবিএসি ব্যাংক থেকে একক চেকে এ টাকা তোলা হয়েছে। এই বিশাল অঙ্কের টাকা নগদে উত্তোলন করায় তা তহবিল তছরুপের ইঙ্গিত বহন করে বলে মন্তব্য করা হয়েছে বিএফআইইউর তদন্ত প্রতিবেদনে।রূপালী ইন্স্যুরেন্সকে দেওয়া হয়েছে ১ কোটি ৯২ লাখ টাকা: ২০১৯, ২০২০ ও ২০২২ সালে রূপালী ইন্স্যুরেন্সকে দেওয়া হয়েছে ১ কোটি ৯২ লাখ টাকা। ছয়টি ধাপে এসব টাকা দেওয়া হয়েছে নন-লাইফ বীমা কোম্পানিটিকে। এ অর্থের প্রকৃত সুবিধাভোগী বলা হয়েছে মোস্তফা গোলাম কুদ্দুসকে।ভারপ্রাপ্ত সিইও মীর রাশেদ বিন আমানের অনিয়ম: প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ থেকে ২০২৩ সাল এই চার বছরে রাশেদ বিন আমান বেতনের বাইরে ৪ কোটি ৬ লাখ টাকা নিয়েছেন সোনালী লাইফ থেকে। সোনালী লাইফের হিসাব থেকে বিভিন্ন ব্যক্তির নামে এই টাকা নগদে তুলেছেন রাশেদ। ২০২০ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে রাশেদ তিনটি বিলাসবহুল গাড়ি কিনেছেন। এই গাড়িগুলোর মোট মূল্য ৭ কোটি ১৭ লাখ টাকা। এর মধ্যে মার্সিডিজ বেঞ্জ ই২০০কোপ ব্র্যান্ডের একটি গাড়ি কিনেছেন ১ কোটি ৪৭ লাখ টাকায়, মার্সিডিজ বেঞ্জ জিএলই৫৩ গাড়িটি কিনেছেন ২ কোটি ২০ লাখ টাকায় এবং সাড়ে ৩ কোটি টাকায় একটি ব্র্যান্ড নিউ পোরশে গাড়ি কেনেন। এসব গাড়ির মূল্য পরিশোধ করা হয়েছে ঋণ নিয়ে এবং রাশেদের ব্যক্তিগত ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে।গাড়ির মূল্য ও গাড়ির বিপরীতে নেওয়া ঋণের টাকা রাশেদ সোনালী লাইফ থেকে বিধিসম্মতভাবে নিয়েছেন কি না, পরিদর্শন চলাকালে পরিদর্শন দলকে তা নিশ্চিত করতে পারেনি সোনালী লাইফ। এ ছাড়া গাড়ির বিপরীতে নেওয়া ঋণের কিস্তির টাকা সোনালী লাইফের অ্যাকাউন্ট থেকে পেটি ক্যাশের মাধ্যমে নগদে গ্রহণ করে ঋণের কিস্তি পরিশোধ করা হয়ে থাকতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিএফআইইউর প্রতিবেদনে।প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়, গুলশানে বিল্ডিং টেকনোলজি অ্যান্ড আইডিয়াস (বিটিআই) থেকে মীর রাশেদ বিন আমান ও ফৌজিয়া কামরুন তানিয়ার (কুদ্দুসের কন্যা) নামে ১৮ কোটি ৩৯ লাখ ৩৪ হাজার টাকা মূল্যের একটি অ্যাপার্টমেন্ট বুকিং দেওয়া হয়। এই অ্যাপার্টমেন্টের মূল্য বাবদ ১৩ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয় ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট থেকে ঋণ নিয়ে। বাকি ৫ কোটি ৩৯ লাখ টাকা পরিশোধ করেন রাশেদ ও ফৌজিয়া। আর ঋণের ১৩ কোটি টাকার মধ্যে ৩ লাখ ২ হাজার টাকাও পরিশোধ করেন তারা।বিটিআইকে সরাসরি পরিশোধ করা ৫ কোটি টাকার মধ্যে আড়াই কোটি টাকা পরিশোধ করা হয় রাশেদের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট থেকে। যার মধ্যে ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা ২০২০ সালে ও ১ কোটি টাকা ২০২২ সালে পরিশোধ করা হয়। ২০২০ সালে পরিশোধ করা ১ কোটি ৫০ লাখ টাকার মধ্যে ৫০ লাখ টাকা রাশেদ সোনালী লাইফ থেকে নিয়েছেন বলে মনে করছে বিএফআইইউ।বাকি ২ কোটি ৫৪ লাখ টাকা ২০২২ সালের ২৬ জুন ও ৫ জুলাই দুটি পে-অর্ডারে জমা করা হয় বিটিআইর অ্যাকাউন্টে। এই পে-অর্ডার দুটি করা হয় সোনালী লাইফের অ্যাকাউন্ট থেকে। দুটি পে-অর্ডারেরই ফরওয়ার্ডিং লেটারে স্বাক্ষর করেন সোনালী লাইফের সাবেক চেয়ারম্যান নূর-ই-হাফজা ও ফৌজিয়া কামরুন তানিয়া।ন্যাশনাল হাউজিং থেকে নেওয়া ঋণের ১৩ কোটি টাকার মধ্যে ২০২২ সালের ১০ আগস্ট থেকে ২০২৪ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ৩ কোটি ৩৭ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে রাশেদ ও তানিয়ার মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের যৌথ অ্যাকাউন্ট থেকে। রাশেদ ও তানিয়ার যৌথ ওই অ্যাকাউন্টটিতে অধিকাংশ টাকাই জমা হয়েছে নগদে। বিএফআইইউ মনে করছে, সোনালী লাইফের পেটি ক্যাশের মাধ্যমে টাকা নিয়ে রাশেদ ও তানিয়া যৌথ অ্যাকাউন্টটিতে জমা করে থাকতে পারেন।২০২০ থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে দুই দফায় পেটি ক্যাশ থেকে ডেভেলপমেন্ট ইনসেনটিভ বাবদ বিভিন্ন ব্যক্তির নামে ১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা ও ১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা (মোট ২ কোটি ৮৯ লাখ টাকা) অনুমোদনবিহীনভাবে গ্রহণ করেছেন। এই টাকা রাশেদ তছরুপ করেছেন কি না—এমন কোনো মতামত দেয়নি বিএফআইইউ।সোনালী লাইফের টাকায় শেয়ারের মালিক ১০ পরিচালক: ২০১৮ সালে সোনালী লাইফের পরিশোধিত মূলধন ১৮ কোটি থেকে ১০ কোটি টাকা বাড়িয়ে ২৮ কোটি টাকা করার অনুমোদন দেয় পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। উদ্যোক্তা পরিচালকদের এ টাকা পরিশোধ করার কথা থাকলেও তা না করে সোনালী লাইফের সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার ব্যাংকের এসওডি অ্যাকাউন্ট থেকে ৮ কোটি ৯৫ লাখ ও ১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা নগদে উত্তোলন করে ১০ জন পরিচালকের নামে শেয়ারের মূল্য পরিশোধ বাবদ পে-অর্ডার ইস্যু করা হয়। মূলত সোনালী লাইফের অর্থ দিয়েই ১০ জন পরিচালক কোম্পানিটির মূলধন বৃদ্ধিজনিত শেয়ার কিনেছেন, যা জালিয়াতি। এ ছাড়া সোনালী লাইফের হিসাব থেকে ৭ কোটি ৬ লাখ টাকা স্থানান্তর করে শেয়ার কেনা হয়। এসব শেয়ার কেনা হয়েছে সাবেক মুখ্য নির্বাহী মীর রাশেদ বিন আমানের আত্মীয়স্বজনসহ সোনালী লাইফের বিভিন্ন কর্মকর্তা, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে। কমার্স ব্যাংক সিকিউরিটিজ অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডে এসব ব্যক্তির নামে খোলা বিভিন্ন বিও হিসাবে শেয়ার কেনা বাবদ এই টাকা স্থানান্তর করা হয়।সাবেক চেয়ারম্যান ও তার পরিবার নিয়েছেন ২ কোটি টাকার আর্থিক সুবিধা: সোনালী লাইফের তহবিল থেকে নিয়মবহির্ভূতভাবে প্রায় ২ কোটি টাকার আর্থিক সুবিধা নেন সাবেক চেয়ারম্যান নূর-ই-হাফজাসহ মোস্তফা গোলাম কুদ্দুসের পরিবারের সদস্যরা। এর মধ্যে নূর-ই-হাফসার অনিয়ম ১ কোটি ১৫ লাখ টাকা। ভাইস চেয়ারম্যান ফৌজিয়া কামরুন তানিয়ার আত্মসাৎ ১১ লাখ ৬৬ হাজার টাকা। তাসনিয়া কামরুন আনিকার আত্মসাৎ ১১ লাখ ১২ হাজার টাকা। অবৈধভাবে শেখ মোহাম্মদ ড্যানিয়েল নিয়েছেন ৩০ লাখ ৩৪ হাজার টাকা। মোস্তফা কামরুস সোবহানের আত্মসাৎ ৪ লাখ ১৩ হাজার টাকা। ভ্রমণ ও বৈদেশিক মুদ্র কেনায় মোস্তফা কামরুস সোবহানের মেয়েকে দেওয়া হয় ২৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।কোম্পানিটির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সিইও মীর রাশেদ বিন আমান দেশের বাইরে থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি বলেও জানিয়েছে সংবাদ প্রকাশ করা দেশের গণমাধ্যমটি।
    RBIMCO BGFI ফান্ডের ইউনিটহোল্ডারদের জন্য বিজ্ঞপ্তি
    রয়্যাল বেঙ্গল ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজমেন্ট কো: লি: দ্বারা পরিচালিত আরবিআইএমসিও বিজিএফআই (RBIMCO BGFI) ফান্ডের ইউনিটহোল্ডারদের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি পিএলসি।সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আহমেদ সাইফুদ্দিন চৌধুরী স্বাক্ষরিত এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।এতে বলা হয়, রয়্যাল বেঙ্গল ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজমেন্ট কো: লি: দ্বারা পরিচালিত আরবিআইএমসিও বিজিএফআই ফান্ড (RBIMCO BGFI) ফান্ডের ট্রাস্টি হিসেবে বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি পিএলসি ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড আপনাকে জানাতে চায় যে, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) তাদের পত্র নং-এর মাধ্যমে উপরে উল্লিখিত তহবিল বন্ধ করার অনুমোদন দিয়েছে।BSEC/MF & SPV/MF-210120191130 তারিখ ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪।আরবিআইএমসিও বিজিএফআই ফান্ডের ট্রাস্টি হিসেবে বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি পিএলসি সংশ্লিষ্ট সকলকে তাদের দাবি জমা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছে তহবিল থেকে লভ্যাংশ ফেরত বা অন্য কোনো দাবির জন্য। আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে সম্পূর্ণ বিবরণসহ বাংলাদেশ জেনারেল ইনস্যুরেন্স কোম্পানি পিএলসি, ট্রাস্টি বিভাগ, ১ম তলা, ৪২ দিলকুশা সি/এ, ঢাকা-১০০০ ঠিকানায় ট্রাস্টির কাছে এ দাবি জমা দিতে হবে।উল্লিখিত তারিখের পরে প্রাপ্ত কোনো দাবি গ্রহণ করা হবে না বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
    ৮০০ কোটি টাকা পাচারের খবর অসত্য এবং কাল্পনিক: ইডরা
    সম্প্রতি একাধিক জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় ‘৮০০ কোটি টাকা হাতিয়ে পুরোটাই পাচার' শীর্ষক শিরোনামের প্রকাশিত সংবাদকে অসত্য, অনুমাননির্ভর ও কাল্পনিক অভিহিত করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অধীন বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (ইডরা)। গত ২২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের বীমা খাত উন্নয়ন প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক (উপসচিব) এস. এম. আনিসুজ্জামানের স্বাক্ষরিত একটি প্রতিবাদলিপি পাঠানো হয়েছে। এতে যাচাই-বাছাই না করে বাংলাদেশের বীমা খাত উন্নয়ন প্রকল্পের নামে প্রতিবেদন তৈরি করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়। বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে প্রতিবাদলিপিতে ইডরা বলছে, বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অধীন বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন বাংলাদেশের বীমা খাত উন্নয়ন প্রকল্পের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। প্রকল্পের বাস্তবায়নকাল ২০২৮ সালের ০১ জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এবং মোট প্রাক্কলিত ব্যয় ১৯৪০ কোটি টাকা। প্রকল্পের আগস্ট ২০২৪ পর্যন্ত ক্রমপুঞ্জিত আর্থিক ব্যয় ৫২৫.৪১ কোটি টাকা। যার মধ্যে সরকারের কোষাগারে ভ্যাট, আয়কর, কাস্টম ডিউটি ​​ট্যাক্স বাবদ প্রায় ৮২ কোটি টাকা জমা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া প্রকল্পের আগস্ট ২০২৪ পর্যন্ত রাজস্ব ব্যয় ১০৪.২৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ সরকারের কোষাগারে জমাকৃত এবং রাজস্ব ব্যয় বাবদ মোট ১৮৬.২৩ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। প্রকল্পের ক্রমপুঞ্জিত ব্যয়কৃত হতে অবশিষ্ট ৩৩৯.১৮ কোটি টাকা প্রকল্পের বিভিন্ন প্যাকেজের সংশ্লিষ্ট সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে পরিশোধ করা হয়েছে। এখানে উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশ সরকারের বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট প্রকল্প অডিট অধিদপ্তর কর্তৃক প্রতি অর্থবছরে অভিট সম্পাদন করে অডিট প্রতিবেদন বিশ্বব্যাংকে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়াও বিশ্বব্যাংক প্রকল্পে সময়ে সময়ে বিশেষ অডিট কার্যক্রম পরিচালনা করে যার মধ্যে প্রকল্পের কোন কাজের অনিয়ম বা কোন দুর্নীতি পরিলক্ষিত হয়নি। প্রকল্পের আর্থিক অগ্রগতি সংক্রান্ত প্রতিবেদন মাসিক ও ত্রৈমাসিক বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ, হিসাব মহানিয়ন্ত্রকের কার্যালয়-অর্থ বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ এবং বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করা হয়ে থাকে। কিন্তু বাংলাদেশ প্রতিদিন, ডেইলি সান এবং বাংলানিউজ২৪.কম পত্রিকার গত ১৯ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত প্রতিবেদনে প্রকল্প হতে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে পাচার করেছে মর্মে উল্লেখ করা হয়েছে। অত্যন্ত দুঃখের সহিত জানানো যাচ্ছে যে যেখানে প্রকল্পের মোট ব্যয় ৫২৫.৪১ কোটি টাকা সেখান থেকে কীভাবে ৮০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে পাচার করা হয়েছে মর্মে সংবাদ প্রচার করা হয়েছে। তাছাড়াও উক্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে সিন্ডিকেট করে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেয়া হয়েছে। যা অসত্য এবং কাল্পনিক। এসময় স্মার্ট টেকনোলজি বিডি লিমিটেডের বিরুদ্ধে কাজ না করেই পুরো টাকা তুলে নেওয়ার যে অভিযোগ উঠেছে সেটিও প্রত্যাখ্যান করেছে বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (ইডরা)। প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, প্রকল্পের প্যাকেজ নং: G2-2 এর আওতায় আইটি ইকুইপমেন্ট সরবরাহের নিমিত্ত সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান স্মার্ট টেকনোলজিস (বিডি) লিমিটেড- এর সাথে প্রকল্পের চুক্তি সম্পাদিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান স্মার্ট টেকনোলজিস (বিডি) লিমিটেড সকল কার্যক্রম সম্পাদন করেছে। যা প্রকল্পের স্টেকহোল্ডার প্রতিষ্ঠান বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স একাডেমি, সাধারণ বীমা কর্পোরেশন এবং জীবন বীমা কর্পোরেশন কর্তৃক পৃথক পৃথক Goods Receiving Committee দ্বারা গ্রহণপূর্বক প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বুঝে নেয়া হয়েছে এবং প্যাকেজ নং: G-33 এর চুক্তি অনুযায়ী তস্মার্ট টেকনোলজিস (বিডি) লিমিটেড শতভাগ পণ্য ডেলিভারি সম্পন্ন করেছে। কিন্তু প্রকল্পের স্টেকহোল্ডার প্রতিষ্ঠান বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ, সাধারণ বীমা কর্পোরেশন এবং জীবন বীমা কর্পোরেশনের সাবস্টেশনে বিদ্যুৎ সরবরাহ না পাওয়ার কারণে মালামাল ইনস্টলেশন ও কনফিগারেশন কার্যক্রম সম্পন্ন হয়নি। মালামাল ইনস্টলেশন ও কনফিগারেশন পরবর্তীতে পৃথক পৃথক Goods Receiving Committee দ্বারা মালামাল বুঝে নেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সন্তোষজনকমর্মে গৃহীত হলে সে প্রেক্ষিতে চুক্তি অনুযায়ী বিল পরিশোধ করা হবে।এছাড়া বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স একাডেমিতে প্রকল্পের প্যাকেজ নং: G3-2 এর আওতায় Setting up Research center and Server room এর কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। পরবর্তীতে Goods Receiving Committee দ্বারা গ্রহণপূর্বক বুঝে নেয়া হয়েছে।
    টাকা লোপাটের খবর অসত্য ও বিভ্রান্তিকর: স্মার্ট টেকনোলজিস
    সম্প্রতি একাধিক জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় ‘৮০০ কোটি টাকা হাতিয়ে পুরোটাই পাচার' শীর্ষক শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত তথ্যপ্রযুক্তি পণ্য সরবরাহকারী ও সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান স্মার্ট টেকনোলজিস (বিডি) লিমিটেড-এর নামে বিভিন্ন ভুল তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। ফলে প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে কর্তৃপক্ষ তাদের বক্তব্য জানিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, প্রতিবেদনে যে প্রকল্পগুলোর কথা উল্লেখ করা হয়েছে তার মধ্যে স্মার্ট টেকনোলজিস বিশ্বব্যাংক এর প্রকল্প নাম্বার জি২-২ এবং জি-৩৩ এর সঙ্গে যুক্ত। এই প্রকল্পগুলোর অর্থায়ন এবং মূল্যায়ন প্রক্রিয়ায় সরাসরি যুক্ত বিশ্বব্যাংক। এর মধ্যে জি২-২ প্যাকেজের কাজ শতভাগ সম্পন্ন করে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানকে বুঝিয়ে দিয়েছেন তারা এবং জি-৩৩ প্যাকেজের কাজ ৯৫% সম্পন্ন করেছে, বাকি ৫% কাজও বর্তমানে চলমান রয়েছে। স্মার্ট টেকনোলজি'র দাবি, ২০২২ সালের ৩০ মার্চ বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রন কর্তৃপক্ষ স্মার্ট টেকনোলজিস (বিডি) লিমিটেড'কে আইটি এন্ড সাপোর্টিং নেটওয়ার্ক ইনফ্রাসট্রাকচার সিস্টেমস, সার্ভার এন্ড স্টোরেজ (একটিভ এন্ড প্যাসিভ) ফর জেবিসি, এসবিসি, বিআইএ এন্ড আইডিআরএ (প্যাকেজ নং জি২-২) এর নোটিফিকেশন অব এওয়ার্ড প্রদান করে। প্রকল্পের চুক্তিপত্র অনুযায়ী আর্থিক মূল্য ছিল ১ কোটি ৩ লাখ ৩ হাজার সাতশ' মার্কিন ডলার এবং ২ কোটি তেষট্টি লাখ নিরানব্বই হাজার আটশ' আঠার টাকা। এই প্রকল্পে অতিরিক্ত কোনো অর্থ স্মার্ট টেকনোলজিসকে বরাদ্দ দেয়া হয়নি। সুতরাং, প্রতিবেদনে উল্লেখিত অতিরিক্ত আড়াই কোটি টাকা স্মার্ট টেকনোলজিসকে বরাদ্দ দেয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ ভুল তথ্য।জানা গেছে, উক্ত জি২-২ প্যাকেজ এর চুক্তিপত্র অনুযায়ী শতভাগ ডেলিভারি, ইনস্টলেশন এবং হস্তান্তর সম্পন্ন করা হয়েছে, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ যার কার্যক্রম সমাপ্তি সংক্রান্ত সনদ ইস্যু করেছে। প্রকল্পের বাস্তবায়ন পর্যায়ে বিশ্বব্যাংকের বিদেশি প্রতিনিধিদল একাধিকবার সরেজমিনে প্রকল্প পরিদর্শন করেন এবং প্রকল্প বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনা করেন। এরপর প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্পন্ন হলে, আবারও বিশ্বব্যাংকের বিদেশি প্রতিনিধিগণ প্রকল্প পরিদর্শন করেন। এই প্যাকেজের আওতায় প্রত্যেকটি উপকারভোগী প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি করে ডাটা সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে যা টায়ার ফোর ডাটা সেন্টার বাংলাদেশ হাইটেক পার্কে অবস্থিত। উপরন্তু, প্রত্যেকটি উপকারভোগী প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি করে নেটওয়ার্ক অপারেশন সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে যা প্রত্যেকটি উপকারভোগী প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয়ে অবস্থিত। ইতোমধ্যেই প্যাকেজ-এর উপকারভোগী প্রতিষ্ঠানসমূহ-সাধারণ বীমা কর্পোরেশন, জীবন বীমা কর্পোরেশন, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ এবং বাংলাদেশ ইন্সুরেন্স একাডেমী এটি ব্যবহার করছে।স্মার্ট টেকনোলজিস (বিডি) জানায়, ২০২৩ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি তারিখে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ স্মার্ট টেকনোলজিস (বিডি) লিমিটেড'কে আইটি এন্ড সাপোর্টিং পাওয়ার ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডিআর (একটিভ এন্ড প্যাসিভ) ফর আইডিআরএ, জেবিসি এন্ড এসবিসি (প্যাকেজ নং: জি-৩৩) এর নোটিফিকেশন অব এওয়ার্ড প্রদান করে। প্রকল্পের কার্যাদেশ অনুযায়ী আর্থিক মূল্য ছিল ছিয়ানব্বই লাখ পঁচাশি হাজার সাতশ' পঁচিশ মার্কিন ডলার এবং ৬ কোটি বাহাত্তর লাখ ১২ হাজার আটশ' পাঁচ টাকা।উক্ত জি-৩৩ প্যাকেজ এর চুক্তিপত্র অনুযায়ী স্মার্ট টেকনোজিস শতভাগ পণ্য ডেলিভারি এবং ইনস্টলেশন সম্পন্ন করেছে। কিন্তু, উপকারভোগী প্রতিষ্ঠান সাধারণ বীমা কর্পোরেশন, জীবন বীমা কর্পোরেশন এবং বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ এর নির্ধারিত প্রকল্প স্থানে যথাসময়ে বিদ্যুত সরবরাহ না পাওয়ার কারণে হস্তান্তর প্রক্রিয়া বিলম্বিত হয়। অতি সম্প্রতি সাধারণ বীমা কর্পোরেশন এবং বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ এর নির্ধারিত স্থানে বিদ্যুত সরবরাহ পাওয়ার পর চুড়ান্ত কনফিগারেশন কার্য চলমান রয়েছে। অন্যদিকে, জীবন বীমা কর্পোরেশন এর নির্ধারিত প্রকল্প স্থানে এখনো পর্যন্ত বিদ্যুত সংযোগ স্থাপিত না হওয়ায় কনফিগারেশনের কাজ বিলম্বিত হচ্ছে। উল্লেখ্য, এই বিদ্যুত সরবারহের কাজ স্মার্ট টেকনোলজিস এর এখতিয়ারের মধ্যে নেই। তাই, বিদ্যুত পাওয়ার সাথে সাথেই চুড়ান্ত কনফিগারেশন সম্পন্ন করে পুরো প্রকল্প হস্তান্তরে স্মার্ট টেকনোলজিস সচেষ্ট।চুক্তিপত্র অনুযায়ী, শতভাগ পণ্য সরবরাহ এবং ইনস্টলেশন সম্পন্ন করা সত্ত্বেও, স্মার্ট টেকনোলজিস উক্ত প্রকল্পের আর্থিক মূল্য ছিয়ানব্বই লাখ পঁচাশি হাজার সাতশ' পঁচিশ মার্কিন ডলার এর বিপরীতে মাত্র ৮০ শতাংশ এবং ৬ কোটি বাহাত্তর লাখ ১২ হাজার আটশ' পাঁচ টাকার বিপরীতে মাত্র ১০ শতাংশ পেমেন্ট এখন পর্যন্ত গ্রহণ করেছে। বলে রাখা ভালো, বিদ্যুত সংক্রান্ত কারণে প্রকল্প হস্তান্তর প্রক্রিয়া বিলম্বিত হওয়ায়, ইতোমধ্যেই টাইম এক্সটেনশন অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সুতরাং, প্রকল্পের ২০ শতাংশের কম কাজ সম্পন্ন করে পুরো অর্থ তুলে নেয়ার তথ্যটি সম্পূর্ণ ভুল, কল্পনাপ্রসূত এবং বিভ্রান্তিকর। এছাড়াও, প্রতিবেদনের অন্য একটি স্থানে যে অতিরিক্ত ২ কোটি ৩১ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়ার কথা বলা হয়েছে, সেটিও সম্পূর্ণ ভুল। ফলে প্রকাশিত প্রতিবেদনের কারণে সৃষ্ট নেতিবাচক ধারণা নিরসনে সঠিক তথ্য প্রকাশ করা জরুরি বলে মনে করে স্মার্ট টেকনোলজিস (বিডি) লিমিটেড। এ প্রসঙ্গে স্মার্ট টেকনোলজিস (বিডি) লিমিটেড- এর পরিচালক (এন্টারপ্রাইজ এন্ড সফটওয়্যার) আবু মোস্তফা চৌধুরী বলেন, স্মার্ট টেকনোলজিস নিজস্ব দক্ষতা এবং পরিশ্রম দিয়ে পরিচালিত প্রতিষ্ঠান যা কখনোই রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে কোনো প্রকার প্রকল্পের কাজ করেনি। এখন পর্যন্ত দেশের সরকারি ও বেসরকারি খাতের অসংখ্য প্রকল্প নিষ্ঠার সাথে সম্পন্ন করেছি এবং কোথাও কোনো কাজ অসম্পন্ন রাখিনি আমরা। সম্প্রতি স্মার্ট টেকনোলজিসকে জড়িয়ে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে, সেটি অত্যন্ত দুঃখজনক। আবু মোস্তফা আরও বলেন, প্রতিবেদনে যে ৮০০ কোটি টাকার প্রকল্পগুলোর কথা উল্লেখ করা হয়েছে, সেখানে কমপক্ষে ১০টি প্রকল্প অন্তর্ভূক্ত। তার মধ্যে স্মার্ট টেকনোলজিস শুধুমাত্র বিশ্বব্যাংক এর প্রকল্প নাম্বার জি২-২ এবং জি-৩৩ এর সাথে যুক্ত। এই প্রকল্পগুলোর অর্থায়ন এবং মূল্যায়ন প্রক্রিয়ায় সরাসরি যুক্ত বিশ্বব্যাংক। এর মধ্যে জি২-২ প্যাকেজের কাজ আমরা শতভাগ সম্পন্ন করে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানকে বুঝিয়ে দিয়েছি এবং চুক্তি অনুযায়ী তার পেমেন্ট গ্রহণ করেছি। তাই আমাদের প্রতিষ্ঠানকে জড়িয়ে ভুল তথ্যে ভরা প্রতিবেদনের ফলে আমাদের সুনাম মারাত্মকভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে। আমরা আশা করবো, ভবিষ্যতে যেকোন তথ্য সঠিকভাবে বিচার বিশ্লেষন করে যেন যেকোন প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত তথ্যপ্রযুক্তি পণ্য সরবরাহকারী ও সেবা প্রদানকারী একটি প্রতিষ্ঠান স্মার্ট টেকনোলজিস (বিডি) লিমিটেড। বিগত ২৫ বছর ধরে অত্যন্ত সুনামের সাথে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে কাজ করে যাচ্ছে তারা। বিশ্বের প্রায় ৮০টিরও বেশি স্বনামধন্য আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অফিসিয়ালি যুক্ত স্মার্ট টেকনোলজিস (বিডি) লিমিটেড। গ্রাহক সেবা নিশ্চিতে দেশের প্রতিটি বিভাগীয় শহরসহ বৃহৎ জেলা শহরগুলোতে রয়েছে নিজস্ব শাখা অফিস। সারাদেশে ২৫০০-এর অধিক প্রতিষ্ঠানকে পণ্য সরবরাহ এবং বিক্রয়োত্তর সেবা নিশ্চিত করতে স্মার্ট টেকনোলজিসের রয়েছে ২০০০-এর অধিক কর্মী, যা বাংলাদেশের আর কোন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানে নেই। 
    ‘সেস লেডি’ এবার যাত্রা শুরু করলো বাংলাদেশে
    বাংলাদেশের প্রসাধনী বাজারে নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ড ‘সেস লেডি’। Be Yourself- স্লোগান নিয়ে সম্প্রতি ঢাকায় ব্র্যান্ডটির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছে, যেখানে তারা তাদের প্রসাধনী পণ্যে বিশুদ্ধতা এবং প্রাকৃতিক যত্নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ত্বকের যত্ন ও রূপচর্চায় প্রাকৃতিক উপাদানের গুরুত্ব এবং কেমিক্যালমুক্ত পণ্য ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে 'সেস লেডি' সবার জন্য স্বাস্থ্যসম্মত ও নিরাপদ পণ্য সরবরাহ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রতিষ্ঠানটির সিইও কবির হোসেন বলেছেন, ত্বককে সুন্দর রাখার জন্য প্রাকৃতিক উপাদানসমৃদ্ধ প্রসাধনী ব্যবহার করা উচিত। অনিরাপদ রূপচর্চা আসল সৌন্দর্য কেড়ে নিতে পারে। অধিকাংশ প্রসাধনীতে ব্যবহৃত কেমিক্যাল ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি করে, যা দীর্ঘমেয়াদে ত্বকের বার্ধক্য এবং অন্যান্য জটিলতাও সৃষ্টি করতে পারে। তবে ‘সেস লেডি’ এ সমস্যাগুলোকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে প্রতিটি পণ্য FDA অনুমোদিত এবং শতভাগ পরীক্ষিত উপাদান দিয়ে তৈরি করছে। বিশ্বব্যাপী ২৫টিরও বেশি দেশে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করা ‘সেস লেডি’ তাদের গুণগত মান বজায় রেখেই প্রসাধনী বাজারে প্রতিযোগিতা করছে। পণ্যগুলো প্রাকৃতিক উপাদান ও স্বাস্থ্যসম্মত প্রক্রিয়ায় উৎপাদিত হওয়ায় ভোক্তাদের আস্থা অর্জন করেছে। ব্র্যান্ডটির প্রধান লক্ষ্য হলো, বাজারে ভেজাল ও ক্ষতিকারক উপাদানযুক্ত প্রসাধনী থেকে মানুষকে সচেতন করে তাদের কাছে নিরাপদ ও কার্যকর পণ্য পৌঁছে দেওয়া। তিনি আরও বলেন, আমরা রং ফর্সা করার গ্যারান্টি দিচ্ছি না, তবে আমাদের পণ্যগুলো ব্যবহারকারীর ত্বকের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে ফুটিয়ে তুলবে। প্রতিটি পণ্যের গুণগত মান নিশ্চিত করা হয়েছে এবং দীর্ঘ সময় ধরে এটি কার্যকর থাকবে। সেস লেডির পণ্য ব্যবহারের মাধ্যমে গ্রাহকরা তাদের সৌন্দর্য এবং ত্বকের স্বাস্থ্যের ব্যাপারে আরও বেশি আত্মবিশ্বাসী হতে পারবেন। দেশের বাজারে বেশিরভাগ কসমেটিকস পণ্য নকল এবং ক্ষতিকারক উপাদান দিয়ে তৈরি হচ্ছে বলে এক সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে। এ কারণে সঠিক এবং নিরাপদ প্রসাধনী পণ্যের চাহিদা বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে 'সেস লেডি'র মতো নির্ভরযোগ্য ব্র্যান্ড গ্রাহকদের জন্য একটি নিরাপদ ও আস্থার বাতিঘর হয়ে উঠবে। প্রতিষ্ঠানটি গুণগত মানে কোনরূপ আপোষ না করেই বিশ্বমানের পণ্য বাংলাদেশি ভোক্তাদের জন্য সহজলভ্য করে তুলেছে।‘সেস লেডি’র পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে ত্বকের যত্নে বিভিন্ন ধরণের মেকআপ প্রোডাক্ট, যেমন ফাউন্ডেশন, লিপস্টিক, ফেস পাউডার, ব্লাশ, লিপ বাম, বিব কুশন, কালার কারেকশন, কনসিলার, লিপলাইনার, আইব্রাও জেল, আইশ্যাডো এবং অন্যান্য প্রসাধনী সামগ্রী। প্রতিটি পণ্যই গ্রাহকদের প্রয়োজনীয়তা মাথায় রেখে তৈরি করা হয়েছে এবং এর অনন্য বৈশিষ্ট্য হলো এর দীর্ঘস্থায়ীত্ব এবং কার্যকারিতা। বিশ্ববাজারে সেস লেডির প্রসাধনী পণ্যগুলো ইতোমধ্যেই গ্রাহকদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। বাংলাদেশের প্রসাধনী বাজারে প্রতিযোগিতার মধ্যে টিকে থাকার পাশাপাশি তারা নতুন মানদণ্ড তৈরি করার প্রতিশ্রুতি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। ‘সেস লেডি’র অনলাইন প্ল্যাটফর্ম https://www.sacelady.com.bd/থেকে সহজেই তাদের পণ্য কেনা যাবে, যা গ্রাহকদের আরও বেশি স্বাচ্ছন্দ্য দেবে। সৌন্দর্যের চাবিকাঠি শুধু বাহ্যিক নয়, বরং এটি একটি সুস্থ জীবনযাপনের অংশ। ‘সেস লেডি’ সেই চেতনাকেই তুলে ধরে, তাদের পণ্যের মাধ্যমে গ্রাহকদের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে আরও ফুটিয়ে তুলতে সাহায্য করে।
    এনআরবি ইসলামিক লাইফের মতিঝিল কর্পোরেট অফিসে প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত
    এনআরবি ইসলামিক লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এর মতিঝিল কর্পোরেট অফিসে ১৬ সেপ্টেম্বর, প্রশিক্ষণ কর্মশালা-২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়। প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও জনাব মো: শাহ্ জামাল হাওলাদার, বিশেষ অতিথি ছিলেন জনাব এইচ. এম. মিলন রহমান, এসইভিপি (সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং) এবং প্রশিক্ষণ প্রদান করেন প্রশিক্ষণ ও গবেষণা বিভাগীয় প্রধান জনাব মো. মাহমুদুল ইসলাম।উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জনাব মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক, ইভিপি (সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং) মতিঝিল কর্পোরেট অফিস, ঢাকা।এসএফ 
    তিতাস গ্যাসের পরিচালক হলেন মতিউর রহমান চৌধুরী
    তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশনের পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন দৈনিক মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী। একই পদে নিয়োগ পেয়েছেন ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির স্কুল অব বিজনেস এডুকেশনের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মুসা।আজ রবিবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের প্রশাসন-২ অধিশাখা থেকে জারি করা অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ ফারুক হোসেন স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়, পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত দৈনিক মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী এবং ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির স্কুল অব বিজনেস এডুকেশনের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মুসাকে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন পিএলসির (টিজিটিডিপিএলসি) পরিচালক করা হলো।যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে জারি করা এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও অফিস আদেশে বলা হয়।এফএস
    আইডিআরএ’র নতুন চেয়ারম্যানকে এনআরবি ইসলামিক লাইফের ফুলেল শুভেচ্ছা
    ড. এম আসলাম আলম, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) এর চেয়ারম্যান হিসেবে নবনিযুক্ত হওয়ায় এনআরবি ইসলামিক লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এর পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান প্রতিষ্ঠানের ভাইস চেয়ারম্যান এম মাহফুজুর রহমান এবং কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো: শাহ্ জামাল হাওলাদার।এই সময় উপস্থিত ছিলেন এনআরবি ইসলামিক লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এর সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং বিভাগের এসইভিপি শরীফ মো. শহীদুল ইসলাম, এইচ. এম. মিলন রহমান, উন্নয়ন প্রশাসন প্রধান মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আল যুবায়ের এবং প্রশিক্ষণ ও গবেষণা প্রধান মো. মাহমুদুল ইসলাম।এসএফ 
    এনআরবি ব্যাংকের নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারেক রিয়াজ খান
    সম্প্রতি এনআরবি ব্যাংক পিএলসি.-তে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে ৩ বছরের মেয়াদে যোগদান করেছেন তারেক রিয়াজ খান। এনআরবি ব্যাংক পিএলসিতে যোগদানের আগে, তারেক রিয়াজ খান পদ্মা ব্যাংক পিএলসি-এর এমডি এবং সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।১৯৯৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মার্কেটিংয়ে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করার পর, তারেক একাধিক ন্যাশনাল ও মাল্টি-ন্যাশনাল প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। দীর্ঘ ৩০ বছরের বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে তারেক রিয়াজ ১৯৯৭ সালে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকে ট্রেইনি অফিসার হিসেবে তার ব্যাংকিং ক্যারিয়ার শুরু করেন এবং ১৬ বছর সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট পদসহ বিশেষ করে রিটেইল এবং ব্রাঞ্চ ব্যাংকিংয়ের ডোমেনে দায়িত্ব পালন করেন।এছাড়াও তিনি প্রিমিয়ার ব্যাংক পিএলসি এবং মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসি-তে উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক, সিওও এবং ক্যামেলকো হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও ব্যাংক আলফালাহ বাংলাদেশের রিটেইল ব্যাংকিং এবং ব্র্যাঞ্চ-এর কান্ট্রি হেড হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।তারেক রিয়াজ খান বিভিন্ন ব্যাংকে একাধিক সাংগঠনিক কাঠামো পরিবর্তনের উদ্যোগের নেতৃত্ব দিয়েছেন, যার মধ্যে ব্যবসা সম্প্রসারণ, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা, অপারেশন, সাপোর্ট ফাংশন, প্রযুক্তি এবং এইচআর-এর নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে মৌলিক উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের সাথে থাকাকালীন তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভারত এবং মালয়েশিয়াতে অ্যাটাচমেন্ট এক্সপোজার ছিলেন। ব্যাংক আলফালাহ বাংলাদেশ অপারেশনে থাকাকালীন পাকিস্তানেও তার অ্যাটাচমেন্ট এক্সপোজার ছিল। 
    বন্যার্তদের মাঝে এনআরবি ইসলামিক লাইফের ত্রাণ বিতরণ
    নোয়াখালী, ফেনী ও কুমিল্লায় স্মরণকালের সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যায় পানিবন্দিদের মাঝে ব্যাপক ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে এনআরবি ইসলামিক লাইফ ইন্স্যুরেন্স। জেলাগুলোর প্রত্যন্ত এলাকায় সড়ক যোগাযোগ বিপর্যস্ত হওয়া সত্ত্বেও বিশেষ ব্যবস্থায় পানিবন্দিদের কাছে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন বীমা কোম্পানিটির কর্মীরা। বন্যার্ত এলাকায় বিশেষ করে নোয়াখালীর বিভিন্ন উপজেলার গ্রামগুলো এখনও পানির নিচে। বড় নদী না থাকায় এসব গ্রাম থেকে পানি দ্রুত নামতে পারছে না। ফলে এখনো যান চলাচলের উপযোগি নয়, এ ধরনের এলাকায় কোম্পানির একদল সাহসী ও উদ্যোমী বীমা কর্মকর্তা নিজ নিজ টিমের সদস্যদের নিয়ে ত্রাণ সামগ্রী মাথায় করে হাটু থেকে কোমর পানি ভেঙে বন্যার্তদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেন। কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শাহ্ জামাল হাওলাদার ত্রাণ কার্যক্রম মনিটর করেন। তিনি জানান, এই মানবিক কর্মকাণ্ডে তার কোম্পানির নারী পুরুষ নির্বিশেষে সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারি আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছেন। তিনি আরও জানান, এনআরবি ইসলামিক লাইফ দেশের যেকোনো প্রয়োজনে জনগণের পাশে আছে এবং থাকবে।
    সেনাবাহিনীর কাছে বন্যার্তদের জন্য ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দিলো ‘স্বপ্ন’
    বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণের লক্ষ্যে কাজ করছে বাংলাদেশের অন্যতম রিটেইল চেইন শপ ‘স্বপ্ন’।শনিবার (২৪ আগস্ট) বিকেলে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টের ৩৫ ব্যাটালিয়নের কর্মকর্তাদের হাতে বন্যার্তদের জন্য ত্রাণ বিতরণ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এসময় স্বপ্নর বেশ কয়েকজন কর্মী ত্রাণসামগ্রী সেনবাহিনীর কর্মকর্তার হাতে তুলে দেন।স্বপ্ন কর্তৃপক্ষ জানায়, স্বপ্ন একটি মানবিক ব্র্যান্ড। যখনই কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা খারাপ সময় আসে তখনই মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে আসছে স্বপ্ন। সেই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এবার বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।প্রসঙ্গত, খাবার পানি, মুড়ি, বিস্কুট, মশার কয়েলসহ প্রয়োজনীয় বেশকিছু খাবারপণ্য স্বপ্ন’র পক্ষ থেকে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
    দেড় বছর পর প্রকাশের অনুমতি পেল দৈনিক দিনকাল
    প্রকাশের অনুমতি পেয়েছে দৈনিক দিনকাল পত্রিকাটি। রবিবার (১১ আগস্ট) ঢাকা জেলা আনিসুর রহমান স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে এ অনুমতি দেয়া হয়েছে। অফিস আদেশে বলা হয়, তথ্যের অবাধ প্রবাহ, বাক স্বাধীনতা ও পত্রিকা সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক কর্মচারীদের স্বার্থ বিবেচনায় অনুমতি দেয়া হলো। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান পত্রিকাটির প্রকাশক হিসেবে রয়েছেন। জানা যায়, এর আগে ২০২২ সালের ২৬ ডিসেম্বর পত্রিকাটির প্রকাশনা অনুমতি বাতিল করেছিল সরকার। বাতিল আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে দৈনিক দিনকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ড. রেজোয়ান সিদ্দিকী প্রেস আপিল বোর্ডে আপিল করেন। পরবর্তী বছর ১৯ ফেব্রুয়ারি বোর্ড বাতিলের রায় বহাল রাখে। দৈনিকটির ব্যবস্থাপনা সম্পাদক শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস এ বাতিল আদেশ স্থগিত চেয়েছিলেন।শিমুল বিশ্বাসের আবেদনের ভিত্তিতে এখন অনুমতি দেয়া হলো।রবিবার আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পত্রিকাটির বিশেষ প্রতিবেদক ও বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুমনকে অফিস আদেশ বুঝিয়ে দেওয়া হয়। এসময় জেলা প্রশাসনকে দৈনিক দিনকালের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ দেন তিনি। এক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিক আতিকুর রহমান রুমন বলেন, ‘দৈনিক দিনকাল আবারো প্রকাশিত হচ্ছে, এর চেয়ে বড় আনন্দের খবর আজকে আর নেই।আমরা আশা করছি, দেশে বন্ধ থাকা অন্যান্য গণমাধ্যমগুলোও অচিরেই প্রকাশনায় ও সম্প্রচারে ফিরে আসবে  ইনশাআল্লাহ।এফএস

    Loading…