এইমাত্র
  • জাতি গঠনমূলক কাজে সশস্ত্র বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে: রাষ্ট্রপতি
  • অটোচালকদের রেললাইন অবরোধে ঢাকার সঙ্গে রেল যোগাযোগ বন্ধ
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত
  • সিরিয়ার ঐতিহ্যবাহী শহরে ইসরায়েলি হামলা, নিহত ৩৬
  • আজ ঢাকা কলেজ-সিটি কলেজের ক্লাস বন্ধ
  • রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
  • রাজধানীতে আজ ১২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়
  • ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই: প্রধান উপদেষ্টা
  • বিচারের শুদ্ধতায় ট্রাইব্যুনালে আপিলের বিধান রাখা হয়েছে : আইন উপদেষ্টা
  • সশস্ত্র বাহিনী দিবসে শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা
  • আজ বৃহস্পতিবার, ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২১ নভেম্বর, ২০২৪

    ধর্ম ও জীবন

    ২১ নভেম্বর: নামাজের সময়সূচি
    আজ বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪ ইংরেজি, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বাংলা, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি। ঢাকা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো-নামাজের সময়সূচিফজর- ৫:০০ মিনিট।জোহর- ১১:৪৮ মিনিট।আসর- ৩:৩৫ মিনিট।মাগরিব- ৫:১৫ মিনিট।ইশা- ৬:৩১ মিনিট।আজ সূর্যাস্ত- ৫:১১ মিনিট।আজ সূর্যোদয়- ৬:১৭ মিনিট।বিভাগীয় শহরের জন্য উল্লেখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগে সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, তা হলো-বিয়োগ করতে হবেচট্টগ্রাম: -০৫ মিনিট।সিলেট: -০৬ মিনিট।যোগ করতে হবেখুলনা: +০৩ মিনিট।রাজশাহী: +০৭ মিনিট।রংপুর: +০৮ মিনিট।বরিশাল: +০১ মিনিট।এইচএ
    ‘বাড়িওয়ালা নাইরে বাড়ি’ গজলের গীতিকার মারা গেছেন
    ইসলামী সঙ্গীত ‘বাড়িওয়ালা নাইরে বাড়ি ...’ গজলের গীতিকার আব্দুল কাদির মারা গেছেন। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।বুধবার (২০ নভেম্বর) সকাল ৭টায় কাকরাইলের ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন তিনি।তার মৃত্যু সংবাদে শোকের ছায়া নেমে আসে সঙ্গীতাঙ্গনসহ সর্বত্র। ‘বাড়িওয়ালা নাইরে বাড়ি নাইরে....’ গজলটি আজও মুগ্ধ করে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বাঙালি মুসলমানদের।জানা গেছে, কিছুদিন আগে স্ট্রোক করেন গীতিকার আবদুল কাদির। এরপর তাকে কাকরাইলের ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। আবদুল কাদির হাওলাদার ইসলামী সাংস্কৃতিক সংগঠন কলরবসহ বিভিন্ন শিল্পীগোষ্ঠীর সঙ্গে কাজ করেছেন।এফএস
    আরো ১০ হজ এজেন্সির তালিকা প্রকাশ করলো ধর্ম মন্ত্রণালয়
    শর্তসাপেক্ষে ২০২৫ সালের হজ কার্যক্রমে অংশ নেয়ার জন্য প্রাথমিকভাবে যোগ্য আরও ১০ হজ এজেন্সির তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। বুধবার (২০ নভেম্বর) ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হজ-২ শাখা থেকে এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।এ নিয়ে ২০২৫ সালের হজ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পাঁচটি ধাপে মোট ৯৩৭টি হজ এজেন্সি অনুমতি পেলো। যারমধ্যে প্রথম ধাপে গত ২৯ আগস্ট ১৩৬টি, দ্বিতীয় ধাপে গত ১৯ সেপ্টেম্বর ৬২৯টি, তৃতীয় ধাপে গত ২৫ সেপ্টেম্বর ১২৬টি এবং চতুর্থ ধাপে গত ৫ নভেম্বর ৩৬টি হজ এজেন্সির অনুমোদন দেয় ধর্ম মন্ত্রণালয়।উপসচিব মো. রফিকুল ইসলামের সই করা ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, হিজরি ১৪৪৬ (২০২৫) সালের হজ কার্যক্রমে অংশগ্রহণের জন্য শর্তসাপেক্ষে প্রাথমিকভাবে যোগ্য ১০ হজ এজেন্সির তালিকা (৫ম পর্যায়) নির্দেশক্রমে প্রকাশ করা হলো। এ ক্ষেত্রে হজ এজেন্সিগুলোর জন্য বেশ কয়েকটি শর্তও দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এসব শর্ত অমান্য করলে এজেন্সির নাম তালিকা থেকে বাদ দেয়া হবে বলেও সতর্ক করা হয়েছে।শর্তগুলো হলো-(ক) হজে প্রেরণের জন্য প্রত্যেক হজযাত্রীর সঙ্গে হজ এজেন্সির লিখিত চুক্তি সম্পাদন নিশ্চিত করতে হবে।(খ) প্রত্যেক এজেন্সি ১৪৪৬ হিজরি/২০২৫ সনে সৌদি সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সংখ্যক হজযাত্রী প্রেরণ করতে পারবে।(গ) প্রত্যেক হজ এজেন্সিকে নির্ধারিত সংখ্যক হজ গাইড নিয়োগ করে হজ সিস্টেমে আপলোড করতে হবে।(ঘ) অনিবন্ধিত কোনো ব্যক্তিকে হজযাত্রী হিসেবে হজে নেয়া যাবে না। যদি কোনো এজেন্সি এ ধরনের কোনো উদ্যোগ নেয় তাহলে কোনো কারণ দর্শানো ছাড়াই ওই এজেন্সির লাইসেন্স বাতিলসহ অন্যান্য আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।(ঙ) পরবর্তীতে কোনো এজেন্সির হালনাগাদ তথ্য পাওয়া গেলে সেসব এজেন্সির নাম পরবর্তী তালিকায় প্রকাশ করা হবে।(চ) তালিকা প্রকাশের পর কোনো হজ এজেন্সির বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগের কারণে দণ্ডিত হলে কারণ দর্শানো ছাড়াই সংশ্লিষ্ট এজেন্সির নাম তালিকা থেকে বাতিল করা হবে।(ছ) প্রত্যেক এজেন্সিকে হালনাগাদ হজ লাইসেন্স, ট্রাভেল লাইসেন্স ও ট্রেড লাইসেন্স এবং হালনাগাদ আয়কর সনদ জমা দেয়ার পাশাপাশি ঢাকার হজ অফিস পরিচালকের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করতে হবে।আরও পড়ুন: ৬শ’ বছরের অটোমান সাম্রাজ্যের পতনের নেপথ্যে যে কারণ(জ) স্বত্বাধিকারী/অংশীদার/পরিচালকদের মধ্য থেকে হজ এজেন্সির মোনাজ্জেম নির্ধারণ করতে হবে।(ঝ) প্রকাশিত তালিকার কোনো এজেন্সি হজ ২০২৫ মৌসুমে যৌক্তিক কারণ ছাড়া হজযাত্রীর নিবন্ধন না করলে সেই এজেন্সির বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।উল্লেখ্য, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছরের ১ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এ উপলক্ষে বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনকে হজের অনুমতি দিয়েছে সৌদি সরকার। আগামী ১৩ জানুয়ারি মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির সঙ্গে হজ চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে।এসএফ 
    ২০ নভেম্বর: নামাজের সময়সূচি
    প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক নারী ও পুরুষের জন্য ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়া ফরজ। পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের বাইরে ওয়াজিব, সুন্নত ও কিছু নফল নামাজ রয়েছে। যতই ব্যস্ততা থাকুক না কেন ওয়াক্তমতো ফরজ নামাজ আদায় করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।ইসলামের ৫টি রুকনের মধ্যে নামাজ অন্যতম। পঞ্চস্তম্ভের মধ্যে এটি দ্বিতীয়। ঈমান বা বিশ্বাসের পর নামাজই ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। কেয়ামতের দিন প্রথম হিসাব নেওয়া হবে নামাজের।বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ওয়াক্তে নামাজ পড়া হলেও মিরাজের পর থেকে নামাজের বর্তমান রীতি চালু হয়। আল্লাহর নৈকট্য লাভের মাধ্যম হিসাবে নামাযই একমত্র মাধ্যম। আল্লাহ বলেন “নিশ্চয়ই নামায পাপ ও অশ্লীল কাজ থেকে বিরত রাখে।রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর পক্ষ থেকে বার বার নামাজের তাগিদ পেয়েছেন। কুরআনে পাকে আল্লাহ তাআলা বিভিন্ন জায়গায় সরাসরি ৮২ বার সালাত শব্দ উল্লেখ করে নামাজের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। তাই প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামাজকে ঈমানের পর স্থান দিয়েছেন। নামাজের গুরুত্ব ও ফায়েদা সম্পর্কে সাহাবায়ে কেরামের সামনে অসংখ্য হাদিন বর্ণনা করেছেন।আজ বুধবার, ২০ নভেম্বর, ২০২৪ ইংরেজি, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বাংলা, ১৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি। ঢাকা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো-নামাজের সময়সূচিফজর- ৪:৫৮ মিনিট।জোহর- ১১:৪৭ মিনিট।আসর- ৩:৩৬ মিনিট।মাগরিব- ৫:১৫ মিনিট।ইশা- ৬:৩২ মিনিট।আজ সূর্যাস্ত- ৫:১২ মিনিট।আজ সূর্যোদয়- ৬:১৬ মিনিট।বিভাগীয় শহরের জন্য উল্লেখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগে সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, তা হলো-বিয়োগ করতে হবেচট্টগ্রাম: -০৫ মিনিট।সিলেট: -০৬ মিনিট।যোগ করতে হবেখুলনা: +০৩ মিনিট।রাজশাহী: +০৭ মিনিট।রংপুর: +০৮ মিনিট।বরিশাল: +০১ মিনিট।এইচএ
    আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম বাংলাদেশের আনাস
    কুয়েতে অনুষ্ঠিত ১৩তম আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা-২০২৪ এ ১ম স্থান অর্জন করেছেন হাফেজ আনাস মাহফুজ। তিনি ‘মারকাযু ফয়জিল কুরআন আল ইসলামী ঢাকা’র কৃতি ছাত্র।হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতার পাশাপাশি কেরাত গ্রুপে তৃতীয় স্থান অর্জন করেছেন বাংলাদেশের উদীয়মান ক্বারী আবু জর গিফারী।আজ ১৯ নভেম্বর বুধবার স্থানীয় সময় বাদ মাগরিব প্রতিযোগিতার ফলাফল ঘোষণা করা হয়। যেখানে দেশ বিদেশের অসংখ্য প্রতিযোগির মধ্যে প্রথম হয়ে বাংলাদেশকে বিশ্ব মঞ্চে সম্মানিত করেন আনাস।আনাসের এই অর্জনে তার জন্য দেশ বিদেশের সবার কাছে দোয়া কামনা করেন তার মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মুফতি মুরতাজা হাসান ফয়েজী মাসুম।তিনি আনাসের জন্য দোয়া চেয়ে বলেন, ‘দেশ বিদেশের সবার কাছে দোয়া চাই, আল্লাহ যেন, আনাসকে যোগ্য আলেম ও দ্বীনের খাদেম হিসেবে কবুল করেন।’এসএফ
    মুশরিক শব্দের উৎপত্তি ও চেনার উপায়
    শিরক থেকে মুশরিক শব্দের উৎপত্তি। শিরক মানে অংশীদারিত্ব স্থাপন করা। বিশ্ব জাহানের একচ্ছত্র অধিপতি মহান আল্লাহর সঙ্গে কাউকে অংশীদার সাব্যস্ত করার নাম শিরক। মুশরিক হলো সেই ব্যক্তি যে শিরকে লিপ্ত হয়েছে। অর্থাৎ যে ব্যক্তি আল্লাহর সঙ্গে কাউকে অংশীদার সাব্যস্ত করবে সেই মুশরিক। প্রতিটি মুশরিক ব্যক্তিই হলো কাফির, কিন্তু প্রতিটি কাফির ব্যক্তি মুশরিক নয়।আল্লাহর গুণাবলীতে অন্য কাউকে সমকক্ষ স্থির করার চেয়ে বড় অপরাধ ইসলামে আর নেই। পবিত্র কোরআনে শিরককে বড় জুলুম বলে সাব্যস্ত করা হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘আর স্মরণ করো সেই সময়ের কথা, যখন লোকমান উপদেশচ্ছলে তার পুত্রকে বলল, হে বৎস, আল্লাহর সঙ্গে শরিক করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহর সঙ্গে শরিক করা বড় জুলুম।’ (সুরা লুকমান: ১৩)মহান আল্লাহ শিরককারীকে ক্ষমা করেন না। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন না, যে ব্যক্তি তাঁর সঙ্গে শরিক করে। এ ছাড়া অন্য পাপ তিনি যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর সঙ্গে শিরক করল, সে অত্যন্ত গুরুতর অপবাদ আরোপ করল।’ (সুরা নিসা: ৪৮) আরও ইরশাদ হয়েছে, ‘আর নিশ্চিত জেনো, যে ব্যক্তি আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরিক করে আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করে দেন। তার ঠিকানা জাহান্নাম। আর যারা (এরূপ) জুলুম করে তাদের কোনো রকমের সাহায্যকারী লাভ হবে না।’ (সুরা মায়েদা: ৭২)মানুষ যেভাবে শিরক করেমানুষ বিভিন্ন কথা ও কাজের মাধ্যমে আল্লাহর সঙ্গে শিরক করে ফেলে এমন কিছু কাজ ও কথার বিবরণ এখানে তুলে ধরা হলো-১) আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে ইবাদতের যোগ্য মনে করে করা। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন- তোমরা দুই ইলাহ গ্রহণ করো না; তিনিই একমাত্র ইলাহ। সুতরাং তোমরা আমাকেই ভয় করো (সুরা নাহল: ৫১)। অপর আয়াতে বলা হয়েছে- আমিই আল্লাহ, আমি ছাড়া অন্য কোনো ইলাহ নেই। অতঃএব আমারই ইবাদাত করুন। (সুরা ত্বহা: ১৪)২) মানুষকে দেখানোর জন্য কোনও ইবাদত করা। যেমন- রিয়া অর্থাৎ লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে কোনো ইবাদত বন্দেগি করা। সেটি হতে পারে, নামাজ, কোরআন তেলাওয়াত, ওয়াজ-নসিহত ইত্যাদি। রাসুল (স.) বলেছেন- আমি তোমাদের ওপর শিরকে আসগর বা ছোট শিরকের ব্যাপারে অত্যন্ত ভয় করছি। প্রশ্ন করা হলো তা কী? তিনি বললেন, তা রিয়া বা লোক দেখানোর জন্য ইবাদত করা। (সহিহ আত তারগিব ওয়াত তারহিব: ৩২)মানুষ নামাজের মধ্যে শিরক করে যেভাবে৩) কোনও বুজুর্গ বা পীর সম্পর্কে এমন বিশ্বাস ও ধারণা রাখা যে তিনি সবসময় আমাদের অবস্থা সম্পর্কে জানেন।৪) জোতির্বিদ, গণক, ঠাকুরদের কাছে অদৃষ্টের কথা জিজ্ঞেস করা।৫) আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো বা কিছুর নামে শপথ করা। হজরত সাঈদ ইবনে আবু উবাইদাহ (রহ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) এক ব্যক্তিকে এভাবে শপথ করতে শুনলেন, ‘না! এ কাবার শপথ।’ তখন ইবনে উমার (রা.) তাকে বললেন, আমি রাসুলুল্লাহ (স.)-কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি আল্লাহ ছাড়া অন্য কিছুর নামে শপথ করল, সে শিরক করল। (সুনানে আবু দাউদ: ৩২৫১)৬) কোনো পীর-বুজুর্গকে দূরদেশ থেকে ডাকা এবং মনে করা যে, তিনি তা শুনতে পেয়েছেন।৭) কোনো পীর বুজুর্গ, জ্বিন-পরী বা ভূতকে লাভ-লোকসানের মালিক মনে করা। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যা তিনি ইচ্ছা করেন তা ছাড়া তার জ্ঞানের কিছুই তারা আয়ত্ত করতে পারে না। (সুরা বাকারা: ২৫৫)। অপর আয়াতে বলা হয়েছে- তোমাদের সামান্য জ্ঞানই দান করা হয়েছে (সুরা বনি ইসরাইল: ৮৫)। নভোমণ্ডল, ভূমণ্ডল এবং এতদুভয়ে অবস্থিত সবকিছুর আধিপত্য মহান আল্লাহরই। তিনি সব কিছুর ওপর ক্ষমতাবান (সুরা মায়েদা: ১২০)৮) কোনো পীর বুজুর্গের কবরের কাছে গিয়ে সন্তান চাওয়া।৯) পীর বুজুর্গের কবরকে সেজদা করা। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তুমি আল্লাহর সাথে অন্য ইলাহকে ডেকো না। তিনি ছাড়া অন্য কোনো ইলাহ নেই। আল্লাহর সত্তা ব্যতীত সব কিছু ধ্বংসশীল। বিধান তাঁরই এবং তাঁরই নিকট তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে। (সুরা কাসাস: ৮৮)। অন্যত্র ইরশাদ করেন- এই যে মসজিদগুলো আল্লাহরই জন্য। সুতরাং আল্লাহর সাথে তোমরা অন্য কাউকে ডেকো না (সুরা জ্বিন: ১৮)১০) কোনো পীর বুজুর্গের নামে শিরনি, সদকা বা মানত করা।১১) আল্লাহর আদেশ ছেড়ে অন্য কারো আদেশ বা সামাজিক প্রথা পালন করা।১২) মহররমের তাজিয়া মিছিল করা।১৩) কোনো সময়, মুহূর্ত, দিন বা মাসকে অশুভ মনে করা। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত- রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেন, কোনো বস্তুকে কুলক্ষণ মনে করা ‘শিরক’, কোনো বস্তুকে কুলক্ষণ ভাবা শিরক। এ কথা তিনি তিনবার বললেন। আমাদের কারো মনে কিছু জাগা স্বাভাবিক, কিন্তু আল্লাহর ওপর ভরসা করলে তিনি তা দূর করে দেবেন (সুনানে আবু দাউদ: ৩৯১০)। আব্দুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেন, অশুভ লক্ষণ (বিশ্বাস করা) শিরকি কাজ। রাবি বলেন, আমাদের মধ্যে অশুভ লক্ষণের ধারণা আসে। তবে আল্লাহর ওপর ভরসার দ্বারা তা দূরীভূত হয়। (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৩৫৩৮)১৪) কোনো ব্যক্তিকে সম্বোধন করে এভাবে বলা যে, উপরে খোদা নিচে আপনি।১৫) কারো নামে কসম করা বা জিকির করা।১৬) কোনো বুজুর্গের ছবিকে সম্মান করা বা কারো মূর্তি রাখা। (গুনাহের বিবরণ ও মুক্তির পথ, ৪-৫)প্রতিটি মুসলমানের উচিত, যেকোনো মূল্যে শিরকমুক্ত থাকার চেষ্টা করা। অতীতে শিরক হয়ে গেলে অনুতপ্ত হয়ে মহান আল্লাহর কাছে খাঁটি তাওবা করা। আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে শিরকি কার্যকলাপ থেকে হেফাজত করুন। তাওহিদের পথে অবিচল থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।এইচএ
    রসিকতা বা ঠাট্টাচ্ছলেও মিথ্যা বলা যাবে কি
    একজন মুমিন মুসলমানের আবশ্যিক বৈশিষ্ট্য হলো সত্যবাদিতা; সত্য বলা, সত্য সাক্ষ্য দেওয়া, সত্য প্রতিষ্ঠা করা, সত্য, ন্যায় ও ইনসাফের পক্ষে থাকা। আর ধোঁকা, প্রতারণা, ভাণ ও ভণ্ডামি থেকে দূরে থাকা। পবিত্র কোরআনুল কারিমে মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তাআলা মুমিনদের গুণাবলি উল্লেখ করে বলেন, اِنَّ الۡمُسۡلِمِیۡنَ وَ الۡمُسۡلِمٰتِ وَ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ وَ الۡمُؤۡمِنٰتِ وَ الۡقٰنِتِیۡنَ وَ الۡقٰنِتٰتِ وَ الصّٰدِقِیۡنَ وَ الصّٰدِقٰتِ وَ الصّٰبِرِیۡنَ وَ الصّٰبِرٰتِ وَ الۡخٰشِعِیۡنَ وَ الۡخٰشِعٰتِ وَ الۡمُتَصَدِّقِیۡنَ وَ الۡمُتَصَدِّقٰتِ وَ الصَّآئِمِیۡنَ وَ الصّٰٓئِمٰتِ وَ الۡحٰفِظِیۡنَ فُرُوۡجَهُمۡ وَ الۡحٰفِظٰتِ وَ الذّٰكِرِیۡنَ اللّٰهَ كَثِیۡرًا وَّ الذّٰكِرٰتِ ۙ اَعَدَّ اللّٰهُ لَهُمۡ مَّغۡفِرَۃً وَّ اَجۡرًا عَظِیۡمًاঅর্থ: ‘নিশ্চয় মুসলমান পুরুষ ও নারী, মুমিন পুরুষ ও নারী, অনুগত পুরুষ ও নারী, সত্যবাদী পুরুষ ও নারী, ধৈর্যশীল পুরুষ ও নারী, বিনয়াবনত পুরুষ ও নারী, দানশীল পুরুষ ও নারী, সিয়ামপালনকারী পুরুষ ও নারী, নিজেদের লজ্জাস্থানের হিফাজতকারী পুরুষ ও নারী, আল্লাহকে অধিক স্মরণকারী পুরুষ ও নারী, তাদের জন্য আল্লাহ মাগফিরাত ও মহান প্রতিদান প্রস্তুত রেখেছেন। (সূরা: আহজাব, আয়াত: ৩৫)মিথ্যা, ধোঁকা ও প্রতারণা মুনাফিকদের বৈশিষ্ট্য। মুনাফিকরা নিজেদের বিশ্বাসের ব্যাপারে যেমন অসত্য কথা বলে, প্রতারণা করে, অন্যান্য ক্ষেত্রেও মিথ্যাই তাদের স্বভাব। আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, آيَةُ الْمُنَافِقِ ثَلَاثٌ إِذَا حَدَّثَ كَذَبَ وَإِذَا وَعَدَ أَخْلَفَ وَإِذَا اؤْتُمِنَ خَانَঅর্থ: ‘মুনাফিকের চিহ্ন ৩টি; কথা বললে মিথ্যা বলে, ওয়াদা করলে তা খেলাপ করে এবং আমানত রাখা হলে তাতে খেয়ানত করে’। (সহিহ বুখারি: ৩৩)মুমিনদের সত্যের সঙ্গে থাকার নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ তাআলা বলেন, یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوا اتَّقُوا اللّٰهَ وَ كُوۡنُوۡا مَعَ الصّٰدِقِیۡنَঅর্থ: ‘হে মুমিনগণ,তোমরা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর এবং সত্যবাদীদের সাথে থাক। (সুরা তাওবা: ১১৯)মিথ্যা বলা কবিরা গুনাহ। মিথ্যা সর্বাবস্থায় পরিত্যাজ্য। রসিকতা বা ঠাট্টাচ্ছলেও মিথ্যা বলার সুযোগ নেই। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, وَيْلٌ لِلَّذِي يُحَدِّثُ فَيَكْذِبُ لِيُضْحِكَ بِهِ الْقَوْمَ وَيْلٌ لَهُ وَيْلٌ لَهُঅর্থ: ‘যে ব্যক্তি মানুষকে হাসানোর জন্য মিথ্যা বলে, তার জন্য ধ্বংস অনিবার্য, ধ্বংস অনিবার্য, ধ্বংস অনিবার্য’। (সুনানে আবু দাউদ: ৪৯৯০)অন্য আরেক হাদিসে রসিকতা করেও মিথ্যা না বলার আখেরাতের পুরস্কারের কথা উল্লেখ করে নবীজি (সা.) বলেন, أَنَا زَعِيمٌ بِبَيْتٍ فِي وَسَطِ الْجَنَّةِ لِمَنْ تَرَكَ الْكَذِبَ وَإِنْ كَانَ مَازِحًاঅর্থ: ‘আমি ওই ব্যক্তির জন্য জান্নাতের মাঝখানে একটি প্রাসাদের দায়িত্ব নিচ্ছি, যে দুষ্টুমির ছলেও মিথ্যা পরিহার করে’। (সুনান আবু দাউদ: ৪৮০০)সুতরাং সব মুসলিম উম্মাহকে রসিকতা বা ঠাট্টাচ্ছলেও মিথ্যা বলা থেকে বিরত থাকতে হবে। এইচএ
    ১৯ নভেম্বর: নামাজের সময়সূচি
    ইসলামের ৫টি রুকনের মধ্যে নামাজ অন্যতম। পঞ্চস্তম্ভের মধ্যে এটি দ্বিতীয়। ঈমান বা বিশ্বাসের পর নামাজই ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। কেয়ামতের দিন প্রথম হিসাব নেওয়া হবে নামাজের।বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ওয়াক্তে নামাজ পড়া হলেও মিরাজের পর থেকে নামাজের বর্তমান রীতি চালু হয়। আল্লাহর নৈকট্য লাভের মাধ্যম হিসাবে নামাযই একমত্র মাধ্যম। আল্লাহ বলেন “নিশ্চয়ই নামায পাপ ও অশ্লীল কাজ থেকে বিরত রাখে।রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর পক্ষ থেকে বার বার নামাজের তাগিদ পেয়েছেন। কুরআনে পাকে আল্লাহ তাআলা বিভিন্ন জায়গায় সরাসরি ৮২ বার সালাত শব্দ উল্লেখ করে নামাজের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। তাই প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামাজকে ঈমানের পর স্থান দিয়েছেন। নামাজের গুরুত্ব ও ফায়েদা সম্পর্কে সাহাবায়ে কেরামের সামনে অসংখ্য হাদিন বর্ণনা করেছেন।আজ মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২৪ (৪ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বাংলা; ১৬ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি)।ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি –জোহর: ১১:৪৭–৩:৩৫ মিনিটআসর: ৩:৩৬–৫:১১ মিনিটসূর্যাস্ত: ৪:৫৭–৫:১২ মিনিটমাগরিব: ৫:১৬–৬:২৯ মিনিটএশা: ৬:৩১–৪:৫২ মিনিটবুধবার (২০ নভেম্বর)ফজর: ৪:৫৯–৬:১৫ মিনিটবিভাগীয় শহরের জন্য উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগে সময় যোগ/বিয়োগ করতে হবে।বিয়োগ করতে হবেচট্টগ্রাম: ৫ মিনিটসিলেট: ৬ মিনিটযোগ করতে হবেখুলনা: ৩ মিনিটরাজশাহী: ৭ মিনিটরংপুর: ৮ মিনিটবরিশাল: ১ মিনিটএইচএ
    জমজমের পানি পানে সৌদি আরবের নতুন নির্দেশনা
    পবিত্র কাবা ও মসজিদে নববীতে রাখা জমজম কূপের পানি পান নিয়ে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে সৌদি আরব। দেশটির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় বলেছে, পবিত্র এই পানি পানের সময় নিজের মধ্যে শান্ত বোধ রাখতে হবে এবং এই পানি পানের সময় আল্লাহর সন্তুষ্টি চাইতে হবে। খবর গালফ নিউজের।আরও বলা হয়েছে, পবিত্র কাবা ও মসজিদে নববীতে যখন কেউ জমজমের পানি করবেন তারা যেন অবশ্যই আল্লাহর নাম স্মরণ করেন, ডান হাতে পানি পান করেন এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখেন। এই পানি পানের সময় খেয়াল রাখতে হবে এটি যেন ছড়িয়ে ছিটিয়ে না পড়ে। এছাড়া জমজমের পানির ট্যাপ ছেড়ে অযু না করতেও অনুরোধ করা হয়েছে।আর পানি পানের পর কাপ নির্দিষ্ট স্থানে রাখা, ঠেলাঠেলি না করা, ভীড় এড়িয়ে চলা ও ভদ্রতা বজায় রাখার জন্যও মুসল্লিদের অনুরোধ করেছে হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়। 
    ১৮ নভেম্বর:নামাজের সময়সূচি
    ইসলামের ৫টি রুকনের মধ্যে নামাজ অন্যতম। পঞ্চস্তম্ভের মধ্যে এটি দ্বিতীয়। ঈমান বা বিশ্বাসের পর নামাজই ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। কেয়ামতের দিন প্রথম হিসাব নেওয়া হবে নামাজের।বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ওয়াক্তে নামাজ পড়া হলেও মিরাজের পর থেকে নামাজের বর্তমান রীতি চালু হয়। আল্লাহর নৈকট্য লাভের মাধ্যম হিসাবে নামাযই একমত্র মাধ্যম। আল্লাহ বলেন “নিশ্চয়ই নামায পাপ ও অশ্লীল কাজ থেকে বিরত রাখে।রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর পক্ষ থেকে বার বার নামাজের তাগিদ পেয়েছেন। কুরআনে পাকে আল্লাহ তাআলা বিভিন্ন জায়গায় সরাসরি ৮২ বার সালাত শব্দ উল্লেখ করে নামাজের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। তাই প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামাজকে ঈমানের পর স্থান দিয়েছেন। নামাজের গুরুত্ব ও ফায়েদা সম্পর্কে সাহাবায়ে কেরামের সামনে অসংখ্য হাদিন বর্ণনা করেছেন।আজ সোমবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ইংরেজি, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বাংলা, ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি। ঢাকা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো-নামাজের সময়সূচি ফজর- ৪:৫৮ মিনিট। জোহর- ১১:৪৭ মিনিট। আসর- ৩:৩৬ মিনিট। মাগরিব- ৫:১৫ মিনিট। ইশা- ৬:৩২ মিনিট। আজ সূর্যাস্ত- ৫:১২ মিনিট। আজ সূর্যোদয়- ৬:১৫ মিনিট।বিভাগীয় শহরের জন্য উল্লেখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগে সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, তা হলো-বিয়োগ করতে হবে-চট্টগ্রাম: -০৫ মিনিট।সিলেট: -০৬ মিনিট।যোগ করতে হবে-খুলনা: +০৩ মিনিট।রাজশাহী: +০৭ মিনিট।রংপুর: +০৮ মিনিট।বরিশাল: +০১ মিনিট। 
    খাবারের সময় সালাম দেওয়া-নেওয়া যাবে কি?
    প্রশ্ন: খাবার সময় সালাম দেওয়া ও সালামের জবাব দেওয়া যাবে কি?উত্তর: খাবারের সময় সালাম দেওয়া যাবে এবং নেওয়া যাবে। প্রচলিত যে ধারণা রয়েছে যে, ‘খাদ্য গ্রহণকারীকে সালাম দেয়া যাবে না’ এর কোন অস্তিত্ব নেই। তবে যদি কারো মুখের ভেতরে খাবার থাকে, তাহলে তাকে সালাম না দেওয়া ভাল। এ অবস্থায় কেউ সালাম দিলে উত্তর প্রদান ওয়াজিব নয়। (সাখাবী, আল মাকাসিদ, পৃ. ৪৬০, মোল্লা আলী কারী, আল-আসরার, পৃ. ২৬৫)এ সম্পর্কে (কাশফুল খুফা) কিতাবে বলা হয়েছে (لا سلام على أكل) ليس بحديث) অর্থাৎ খাবার চলাকালীন সময়ে সালাম দেওয়া যাবে না, এটা কোন হাদিস নয়।ইমাম নববী রহ. তার আযকার কিতাবে বলেন, খাবার চলাকালীন মুখে খাবার থাকা অবস্থায় সালাম দিলে জবাব দেওয়া জরুরি নয়। তবে যদি মুখে লোকমা না থাকা অবস্থায় সালাম দেয় তাতে কোন সমস্যা নেই এবং উত্তর প্রদান জরুরি।শায়খ আব্দুর রহমান আস সাহিম বলেন, সমাজে প্রচলিত খাবার সময় সালাম দেওয়া যায় না বলে যে কথাটি রয়েছে তা সালামের ব্যাপারে নয়, মোসাফাহার ব্যাপারে। সুতরাং সালাম দেওয়া ও নেওয়াতে কোন সমস্যা নেই।(সাখাবী, আল-মাকাসিদ, পৃ. ৪৬০, মোল্লা কারী, আল আসরার, পৃ. ২৬৫, আল-আজলূনী, কাশফুল খাফা ২/৪৮৮, যারকানী, মুখতাসারুল মাকাসিদ, পৃ. ২০৩। )এসএফ 
    মহানবী (সা.)-এর রওজা জিয়ারতে নতুন নির্দেশনা
    মহানবি মুহাম্মদ (সা.)-এর সমাধি পবিত্র রওজা শরিফ জিয়ারতে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে সৌদি আরব। এখন থেকে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর রওজা শরিফ জিয়ারতের জন্য আগাম অনুমতি নিতে হবে। সেই সঙ্গে বছরে একবারের বেশি রওজা শরিফ পরিদর্শন করা যাবে না।শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সৌদি সরকারের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় এক্স পোস্টে এ তথ্য জানায়।সৌদি সরকারের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে প্রায় ১ কোটি মুসলিম রওজা শরিফ জিয়ারত করেছেন, যা গত বছরের তুলনায় ২৬ শতাংশ বেশি। হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের মতে, বিশ্বব্যাপী মুসলিমদের ক্রমবর্ধমান আগ্রহ ও ভ্রমণ সহজলভ্য হওয়ায় রওজা শরিফ জিয়ারতকারীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।বিশ্বজুড়ে মুসলিমদের জন্য রওজা শরিফ জিয়ারত একটি পবিত্র আকাঙ্ক্ষা। তবে অতিরিক্ত ভিড় এবং প্রশাসনিক জটিলতা মোকাবিলা করতে গিয়ে সৌদি সরকার বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। নতুন এই নির্দেশনা সেই সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় বলছে, আমরা চাই প্রত্যেক মুসলিম যেন সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ পরিবেশে রওজা শরিফ জিয়ারত করতে পারেন। এই নিয়ম শুধু ভিড় কমানো নয়, বরং জিয়ারতের অভিজ্ঞতাকে আরও স্মরণীয় করার জন্য।সৌদি সরকারের এই নতুন নির্দেশনা মুসলিম বিশ্বের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। অনেকে এ নিয়মকে সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনার অংশ হিসেবে দেখছেন, আবার অনেকের মনে প্রশ্ন জেগেছে কেন বছরে একবারের বেশি জিয়ারতের সুযোগ সীমিত করা হলো।বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের জন্য রওজা শরিফ জিয়ারত এক অনন্য অনুভূতির জায়গা। এই নতুন নিয়ম নিয়ে যেকোনো সমন্বয় ও পরিবর্তন যেন তাদের জন্য সহজ এবং গ্রহণযোগ্য হয়, সেদিকে সৌদি সরকারের নজর থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।উল্লেখ্য, সৌদি সরকারের হিসাবে চলতি বছর এক কোটির বেশি মুসলিম রওজা জিয়ারত করেছেন, যা গত বছরের চেয়ে ২৬ শতাংশ বেশি। এইচএ
    ১৬ নভেম্বর: নামাজের সময়সূচি
     প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক নারী ও পুরুষের জন্য ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়া ফরজ। পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের বাইরে ওয়াজিব, সুন্নত ও কিছু নফল নামাজ রয়েছে। যতই ব্যস্ততা থাকুক না কেন ওয়াক্তমতো ফরজ নামাজ আদায় করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।ইসলামের ৫টি রুকনের মধ্যে নামাজ অন্যতম। পঞ্চস্তম্ভের মধ্যে এটি দ্বিতীয়। ঈমান বা বিশ্বাসের পর নামাজই ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। কেয়ামতের দিন প্রথম হিসাব নেওয়া হবে নামাজের।বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ওয়াক্তে নামাজ পড়া হলেও মিরাজের পর থেকে নামাজের বর্তমান রীতি চালু হয়। আল্লাহর নৈকট্য লাভের মাধ্যম হিসাবে নামাযই একমত্র মাধ্যম। আল্লাহ বলেন “নিশ্চয়ই নামায পাপ ও অশ্লীল কাজ থেকে বিরত রাখে।রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর পক্ষ থেকে বার বার নামাজের তাগিদ পেয়েছেন। কুরআনে পাকে আল্লাহ তাআলা বিভিন্ন জায়গায় সরাসরি ৮২ বার সালাত শব্দ উল্লেখ করে নামাজের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। তাই প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামাজকে ঈমানের পর স্থান দিয়েছেন। নামাজের গুরুত্ব ও ফায়েদা সম্পর্কে সাহাবায়ে কেরামের সামনে অসংখ্য হাদিন বর্ণনা করেছেন।আজ শনিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৪ ইংরেজি, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বাংলা, ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি।ঢাকা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো- ফজর- ৪:৫৭ মিনিট। জোহর- ১১:৪৭ মিনিট। আসর- ৩:৩৭ মিনিট। মাগরিব- ৫:১৬ মিনিট। ইশা- ৬:৩২ মিনিট। আজ সূর্যাস্ত- ৫:১৩ মিনিট। আজ সূর্যোদয়- ৬:১৩ মিনিট।বিভাগীয় শহরের জন্য উল্লেখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগে সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, তা হলো-বিয়োগ করতে হবে- চট্টগ্রাম: -০৫ মিনিট। সিলেট: -০৬ মিনিট।যোগ করতে হবে- খুলনা: +০৩ মিনিট। রাজশাহী: +০৭ মিনিট। রংপুর: +০৮ মিনিট। বরিশাল: +০১ মিনিট।এইচএ
    কিয়ামতের দিন যারা নবীজি (সা.)-এর সবচেয়ে কাছে থাকবে
    প্রত্যেক মুমিনের একান্ত কামনা রাসূলের সঙ্গ লাভে ধন্য হওয়া। পৃথিবীতে এ সৌভাগ্য হয়েছিল একমাত্র সাহাবায়ে কেরামের। পরবর্তী উম্মতের জন্য আল্লাহর রাসুল রেখে গেছেন কোরআন ও সুন্নাহ। তবে অনাগত উম্মতের জন্য তার হৃদয়ে ছিল অকৃত্রিম ভালোবাসা। উম্মতের মধ্যে যারা আল্লাহর রাসুলকে না দেখেই ভালোবাসবে এবং তার আদেশ নিষেধ মেনে চলবে তাদের সম্পর্কে নবীজির ভালোবাসার কথা উল্লেখ করে এক হাদিসে হজরত আনাস (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আমার ভাইদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে ইচ্ছা করছে। সাহাবিরা বললেন, আমরা কি আপনার ভাই নই? রাসূল (সা.) বললেন, তোমরা তো আমার সাহাবি তথা সঙ্গি। আমার ভাই হলো, যারা আমার ওপর ঈমান আনবে, কিন্তু আমাকে দেখবে না।’-(মুসনাদে আহমাদ: ১২৭১৮)।রাসুলকে না দেখেও তার বর্ণিত কিছু কিছু কথার ওপর আমল করলে উম্মতে মুহাম্মদী কেয়ামতের দিন আল্লাহর রাসূলের কাছাকাছি থাকার সৌভাগ্য লাভ করবে। এমন একটি বিষয় হলো উত্তম চরিত্র।এ সম্পর্কে হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর রা: বলেন-একবার রাসুল সা: বললেন, আমি কি তোমাদের ওই ব্যক্তি সম্পর্কে অবগত করব না যে কিয়ামতের দিন আমার সবচেয়ে প্রিয় এবং সর্বাধিক নিকটবর্তী হবে? সাহাবায়ে কিরাম চুপ রইলেন। রাসুল সা: একই প্রশ্ন করলেন দুই বা তিনবার। তখন তাঁরা বললেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ! অবশ্যই বলুন। তিনি বললেন, সে হলো ওই ব্যক্তি, যার চরিত্র সবচেয়ে সুন্দর। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ৬৭৩৫)। আরেক হাদিসে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে জিজ্ঞাসা করা হলো, কোন আমল জান্নাতে প্রবেশের জন্য বেশি সহায়ক হবে? মহানবী (সা.) বলেন, ‘আল্লাহর ভয় ও উত্তম চরিত্র। ’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ২০০৪)। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) হতে বর্ণিত আরেকটি রেওয়াতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেছেন, ‘আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জন্মগতভাবে বা ইচ্ছাপূর্বক অশ্লীল ভাষী ছিলেন না। তিনি বলেছেন, তোমাদের মধ্যে ওই ব্যক্তিই আমার কাছে সবচেয়ে প্রিয়, যে সর্বোত্তম চরিত্রের অধিকারী।’ –(সহিহ বোখারি : ৩৭৫৯)।কেয়ামতের দিন মানুষের সওয়াব ও গুনাহ পরিমাপের জন্য মিজানে ওজন করা হবে। সেদিন যে আমলের ওজন সবচেয়ে বেশি ভারী হবে তা হলো- উত্তম চরিত্র।এ সম্পর্কে হজরত আবু দারদা (রা.) হতে বর্ণিত, হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘কেয়ামতের দিন মুমিনের দাঁড়িপাল্লায় উত্তম চরিত্রের চেয়ে বেশি ওজনের আর কোন জিনিস হবে না। কেননা, আল্লাহতায়ালা অশ্লীল ও কটুভাষীকে ঘৃণা করেন।’ -(সুনানে তিরমিজি : ২০০২)।রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেও ছিলেন সর্বোত্তম চরিত্রের অধিকারী। তিনি কখনও কারও সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেননি। চরিত্রবান মানুষদেরকে তিনি ভালোবাসতেন। তাই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রিয় মানুষদের কাতারে শামিল হতে চাইলে উত্তম চরিত্রের অধিকারী হওয়া আবশ্যক।এফএস
    ১৪ নভেম্বর: নামাজের সময়সূচি
    প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক মুসলিম নারী ও পুরুষের জন্য ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়া ফরজ। পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের বাইরে ওয়াজিব, সুন্নত ও কিছু নফল নামাজ রয়েছে। যতই ব্যস্ততা থাকুক না কেন ওয়াক্তমতো ফরজ নামাজ আদায় করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।ইসলামের ৫টি রুকনের মধ্যে নামাজ অন্যতম। পঞ্চস্তম্ভের মধ্যে এটি দ্বিতীয়। ঈমান বা বিশ্বাসের পর নামাজই ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। কেয়ামতের দিন প্রথম হিসাব নেওয়া হবে নামাজের।বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ওয়াক্তে নামাজ পড়া হলেও মিরাজের পর থেকে নামাজের বর্তমান রীতি চালু হয়। আল্লাহর নৈকট্য লাভের মাধ্যম হিসাবে নামাযই একমত্র মাধ্যম। আল্লাহ বলেন “নিশ্চয়ই নামায পাপ ও অশ্লীল কাজ থেকে বিরত রাখে।রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর পক্ষ থেকে বার বার নামাজের তাগিদ পেয়েছেন। কুরআনে পাকে আল্লাহ তাআলা বিভিন্ন জায়গায় সরাসরি ৮২ বার সালাত শব্দ উল্লেখ করে নামাজের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। তাই প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামাজকে ঈমানের পর স্থান দিয়েছেন। নামাজের গুরুত্ব ও ফায়েদা সম্পর্কে সাহাবায়ে কেরামের সামনে অসংখ্য হাদিন বর্ণনা করেছেন।আজ বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪ ইংরেজি, ২৯ কার্তিক ১৪৩১ বাংলা, ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি। ঢাকা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো-নামাজের সময়সূচিফজর- ৪:৫৫ মিনিট।জোহর- ১১:৪৬ মিনিট।আসর- ৩:৩৮ মিনিট।মাগরিব- ৫:১৭ মিনিট।ইশা- ৬:৩৩ মিনিট।আজ সূর্যাস্ত- ৫:১৩ মিনিট।আজ সূর্যোদয়- ৬:১২ মিনিট।বিভাগীয় শহরের জন্য উল্লেখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগে সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, তা হলো-বিয়োগ করতে হবে-চট্টগ্রাম: -০৫ মিনিট।সিলেট: -০৬ মিনিট।যোগ করতে হবে-খুলনা: +০৩ মিনিট।রাজশাহী: +০৭ মিনিট।রংপুর: +০৮ মিনিট।বরিশাল: +০১ মিনিট।এইচএ

    Loading…