এইমাত্র
  • শেখ হাসিনার পক্ষে আদালতে লড়তে চান জেড আই খান পান্না
  • জাতি গঠনমূলক কাজে সশস্ত্র বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে: রাষ্ট্রপতি
  • অটোচালকদের রেললাইন অবরোধে ঢাকার সঙ্গে রেল যোগাযোগ বন্ধ
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত
  • সিরিয়ার ঐতিহ্যবাহী শহরে ইসরায়েলি হামলা, নিহত ৩৬
  • আজ ঢাকা কলেজ-সিটি কলেজের ক্লাস বন্ধ
  • রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
  • রাজধানীতে আজ ১২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়
  • ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই: প্রধান উপদেষ্টা
  • বিচারের শুদ্ধতায় ট্রাইব্যুনালে আপিলের বিধান রাখা হয়েছে : আইন উপদেষ্টা
  • আজ বৃহস্পতিবার, ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২১ নভেম্বর, ২০২৪

    কৃষি ও প্রকৃতি

    ‘রামরঙ্গন কমলা লেবু’ চাষ করে অহিদুজ্জামানের স্বপ্নপূরণ
    যশোরের শার্শায় ‘রামরঙ্গন কমলা লেবু’ চাষ করে স্বপ্নবাজ যুবকের স্বপ্নপূরণ হতে চলেছে। যশোরের মাটিতে সুস্বাদু ‘রামরঙ্গন কমলা লেবু’ তিনিই প্রথম চাষ করেছেন বলে দাবি তার।সুমিষ্ট ফল ‘রামরঙ্গন কমলা লেবু’ চাষের অপার সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে শার্শায়। শার্শার মাটিতে উৎপাদিত ‘রামরঙ্গন কমলা লেবু’ চীনসহ অন্য যে কোনো দেশ থেকে আমদানিকৃত রামরঙ্গন লেবুর চেয়ে মিষ্টি ও সুস্বাদু। বিভিন্ন জাতের আম, কুল, আঙ্গুর, কমলা, ড্রাগন, স্ট্রবেরি, মালটা, লিচু চাষের পর এবার ‘রামরঙ্গন কমলা লেবু’ চাষে সফল হল শার্শার এক যুবক।নার্সারী ব্যবসার পাশাপাশি শখের বসে ‘রামরঙ্গন কমলা লেবু’ চাষ করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন যশোরের শার্শা  উপজেলার পানবুড়িয়া গ্রামের কৃষক অহিদুজ্জামান।বুক সমান গাছ। কোনটা আবার ৫/৬ ফুট ছাঁড়িয়েছে। সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে ঝুলছে নজরকাড়া ছোট ছোট হলুদ রঙের ‘রামরঙ্গন কমলা লেবু’। এরই মধ্যে অনেক ফলেই পাকা রং ধরেছে। ফলটির নাম ‘রামরঙ্গন’ এটা কমলার একটি ভ্যারাইটি জাত। এই জাতের কমলা চাষে সুবিধা হচ্ছে ‘পূনাঙ্গ পরিপক্ক হওয়ার পরও এটা গাছ থেকে ঝরে পড়ে না। পরিপক্কের পরও অন্তত ফলটি এক মাস গাছে রাখা যায়।ভারত ও চীন দেশে ব্যাপক চাষ হয় ফলটির। তবে শার্শা উপজেলার পানবুড়িয়া গ্রামের স্বপ্নবাজ যুবক অহিদুজ্জামানের বাগানে এই ফলটির চাষ হয়েছে। ফলনও হয়েছে বেশ ভালো। ‘রামরঙ্গন কমলা লেবু’ চাষ দেখতে আশে পাশের লোকসহ দূরদুরান্ত থেকে ছুটে আসছেন অনেকেই। দেখছেন, কেউবা আবার তুলছেন ছবি।রামরঙ্গন কমলা চাষি অহিদুজ্জামান জানান, তিনি ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দুই বিঘা জমি ১০ বছর মেয়াদে লীজ নিয়ে ১৯৬টি ‘রামরঙ্গন চায়না কমলা লেবু‘র চারা রোপন করেন। সে সময় তিনি সঠিক জানতেনও না, এই গাছে কেমন ফল হবে। প্রথম বছর কিছু ফল আসে। সে ফল খুব সুস্বাদু হওয়ায় তাতে কলম বাঁধি। পরে দুই বিঘা জমিতে ওই চারা লাগালে দ্বিতীয় বছর গাছে ফল ভরে গেছে।প্রথম বছর তার ফল বিক্রি হয়েছিল এক লাখ ৬৬ হাজার টাকা। তবে এ বছর বাগানের ফল ৮ থেকে ১০ লাখ টাকায় বিক্রি হবে বলে আশা করছেন তিনি। ফলে অহিদুজ্জামান আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছেন। দুই বিঘা জমিতে ‘রামরঙ্গন কমলা লেবু’র চাষ করতে প্রথম বছর ৮০ হাজার টাকা খরচ হয়। বছরের যে কোন সময় চারা রোপন করা যায়। শুষ্ক মৌসুম হলে সেচের ব্যবস্থা করতে হবে। সাধারণত নভেম্বর থেকে জানুয়ারির মধ্যে ফল হারভেস্ট করতে হবে।সামান্য কিছু পরিচর্যা করলেই এ চাষে সাফল্য আসে। ‘রামরঙ্গন কমলা লেবু’ চাষে পোকামাকড়ের আক্রমণও কম। একটি পূর্ণ বয়স্ক গাছ থেকে এক মৌসুমে দেড়মন থেকে দুই মন ‘রামরঙ্গন কমলা লেবু’ পাওয়া সম্ভব বলে মনে করেন তিনি। আগামী মৌসুমে প্রতিটি গাছে দুই মন কমলা পাওয়ার আশা অহিদুজ্জামান। প্রায় প্রতিদিন দর্শনার্থীদের ভিড়ে মুখরিত থাকে এই বাগান চত্বর। তখন মনটা খুশিতে ভরে যায়।তিনি জানান, সর্বপ্রথম ২০২২ সালে টেলিভিশনে একটা প্রতিবেদন দেখি দেশের মাটিতে বিদেশি ফলের চাষ হচ্ছে। প্রতিবেদনটি দেখার পরে ‘রামরঙ্গন কমলা লেবু’ চাষের আগ্রহ জন্মায়।নাভারন-সাতক্ষীরা মহাসড়কের কুচেমোড়া বাসস্ট্যান্ডের পাশে ‘জিসান নার্সারীর’ মালিক অহিদুজ্জামান বলেন, আগে আম, পেয়ারা, মাল্টা, কুল চাষ করে সাফল্য পেয়েছি। তারপর লীজ নেওয়া ওই জমিটি ‘রামরঙ্গন কমলা লেবু’ চাষের উপযোগী করে মাটি প্রস্তুুত করি।বাগান ঘুরে দেখা গেছে, হলুদ রঙে থোকায় থোকায় ‘রামরঙ্গন কমলা লেবু’তে ছেয়ে গেছে পুরো বাগান। যা দেখে যে কারোরই মন ভরে উঠবে।যদি কমলার আবাদ করা হয় তাহলে শুধু এই অঞ্চলের উৎপাদিত কমলা বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করাও সম্ভব হবে। তাই বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ করে দেশের বাইরে না গিয়ে তরুণ, বেকার এবং শিক্ষিত যুবকদের ‘রামরঙ্গন কমলা লেবু’র বাগান করার পরামর্শ দেন অহিদুজ্জামান।তিনি আরো বলেন, ‘রামরঙ্গন কমলা লেবু’র চারা গুলো মূলত দুই বছরের মধ্য ফলন দেয় যা ২০ থেকে ২৫ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। দুই বিঘা  জমিতে ১৯৬টি চারা থেকে শুরু হওয়া শখের বসে গড়ে তোলা এই বাগান এখন চার বিঘা জায়গায় রুপ নিয়েছে।তার ‘জিসান নার্সারী’ মূলত কৃষি বিপ্লব করায় মূখ্য উদ্দেশ্য বলে জানান, এই নতুন কমলাচাষী। নার্সারী ব্যবসার মাধ্যমে রামরঙ্গন কমলার চারা তৈরি করে বিক্রি করছেন। প্রতিটি চারা তিনি বিক্রি করছেন ৬০ টাকা দরে। এখান থেকে চারা সংগ্রহ করে অনেকেই বাগান তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছেন।ঝিকরগাছার ফলের ব্যাপারি আব্দুল মজিদ বলেন, দেশে চায়না জাতের ‘রামরঙ্গন কমলা লেবু’র ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এই কমলা বিদেশ থেকে আমদানি করতে প্রায় ফলের দামের সমান ভ্যাট ও খরচখরচা হয়ে যায়। দেশি এই ফলগুলো একশ টাকা কেজি দরেও ভালভাবে বিক্রি করতে পারি, তাতে ভাল লাভও হয়।শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দীপক কুমার সাহা বলেন, শার্শা উপজেলার আবহাওয়া ও মাটি বিভিন্ন ফল চাষের জন্য উপযোগী। বিভিন্ন দেশি বিদেশি জাতের আম, কুল, আঙ্গুর, কমলা, ড্রাগন, স্ট্রবেরি, মাল্টা, লিচু ও চায়না লেবু (কমলা) চাষের জন্য এই মাটি উপযোগী। চাষ সম্পর্কে তিনি বলেন, বেলে-দোআঁশ মাটিতে জুন-জুলাই মাসে চারা লাগালে জানুয়ারি ফেব্রুয়ারি মাসে তাতে ফল পাওয়া যাবে। তবে ব্যাগিং চারা যে কোন সময় সেচ দিয়ে লাগানো সম্ভব। এইচএ
    ৩ উপজেলা বন্ধ রেখে বান্দরবান ভ্রমণের দুয়ার খুললো
    এক মাসের অধিক সময় বন্ধ থাকার পর পাহাড়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় বান্দরবানের পর্যটনের দুয়ার খুলেছে। তবে রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি এই তিন উপজেলায় ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) থেকে বান্দরবান ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কথা জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। বুধবার (৬ নভেম্বর) সকালে জেলা প্রশাসক কনফারেন্স রুমে বান্দরবান পার্বত্য জেলার পর্যটনকেন্দ্রসমূহ উন্মুক্তকরণ বিষয়ক প্রেস ব্রিফিংয়ে ভ্রমণে বিরত থাকার বিষয়টি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এস এম মঞ্জুরুল হক, পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ কাওছার, বান্দরবান সেনা রিজয়নের ক্যাপ্টেন আব্দুল মান্নান, জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাচ্চু প্রমুখ।জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, ‘আগামী ৭ নভেম্বর থেকে বান্দরবান সদর, লামা, আলীকদম, নাইক্ষ্যংছড়ি, নীলগিরি উন্মুক্ত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। আগামীকাল থেকে এ চারটি উপজেলার সাথে থানচি সড়কে নীলগিরি পর্যটনকেন্দ্র সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। অপর তিনটি উপজেলা- রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচিতে ভ্রমণের বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত পর্যটকদের নিরুৎসাহিত করা হলো।’তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কখনই চাই না পর্যটন শিল্প বন্ধ থাকুক। আমরা সবসময় চাই প্রত্যেকটা মানুষের নিরাপত্তা। একটা প্রাণ ঝরে যাক সরকার কখন চায় না। সেদিক বিবেচনায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মাথায় রেখে কিছুদিনের জন্য বান্দরবান জেলাসহ তিন পার্বত্য জেলা ভ্রমণে পর্যটকদের বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।’এর আগে দেশের তিন পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও রাঙ্গামাটিতে ৮ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত পর্যটকদের ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় জেলা প্রশাসন। এফএস
    জুড়ীতে মাল্টা চাষে স্বপ্ন বুনছেন চাষিরা
    মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলায় সময়ের ব্যবধানে বেড়েছে মাল্টা চাষ। মাল্টার ফলন ভালো হওয়ায় চাষীরা ঝুঁকছেন এই ফল চাষে। সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি অনেকেই ব্যক্তি উদ্যোগে চাষ করছেন মাল্টা। আগে এক সময় কমলার দিকে ঝোক থাকলেও এখন অনেকেই মাল্টার বাগান গড়ে তুলছেন। প্রতি বছর বাড়ছে মাল্টা বাগানের সংখ্যা। তেমনি একটি বাগান গড়ে তুলেছেন জাবের আহমদ। তার বাগানে ১২ শতাধিক মাল্টা গাছ রয়েছে। মাল্টার পাশাপাশি কিছু অংশে গড়ে তুলেছেন কমলার বাগান। তিন বছর আগে কৃষি বিভাগের পরামর্শে সাড়ে ৩ একর জায়গার উপর এই বাগান গড়ে তুলেছেন।কৃষি বিভাগ জানায়, মাল্টা দেখতে সবুজ হলেও খেতে অত্যন্ত সু-স্বাদু ও মিষ্টি। বারি-১ জাতের এই মাল্টার উৎপাদন বাড়ছে মৌলভীবাজার জেলার জুড়ীতে। সম্ভাবনাময় এই ফসল চাষাবাদে তুলনামূলক খরচ কম থাকায় সহজে ফলন হয়। সে জন্য কৃষকরা ঝুঁকছেন এখন মাল্টা চাষে।কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, জুড়ী উপজেলায় ২৪ হেক্টর জমিতে মাল্টা বাগান গড়ে উঠেছে। গত বছর যা ছিল ২১ হেক্টর। উপজেলার সবকটি ইউনিয়নে কম বেশি হচ্ছে মাল্টার আবাদ। রয়েছে ছোট বড় শতাধিক বাগান। জুড়ী উপজেলার পূর্বজুড়ী, ফুলতলা, সাগরনাল ও গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নে এর ফলন হচ্ছে বেশি। কেউ করেছেন সখের বসে চাষাবাদ আবার কেউ কেউ বাণিজ্যিক চিন্তাধারা নিয়ে। এবছর জুড়ীতে মাল্টা উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে ৭৭ টন।সরজমিনে পূর্ব জুড়ী ইউনিয়নের বিনোদপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তার পাশে বড় বড় দুটি পাহাড়ে প্রায় ১২ শতাধিক মাল্টার গাছ দিয়ে তৈরি করেছেন বিশাল বাগান। মাত্র ৩ বছর পূর্বে প্রায় সাড়ে ৩ একর জমিতে মাল্টা চাষ শুরু করেন জাবের আহমদ। গাছ রোপণের পরের বছর থেকে ফল পাওয়া শুরু হয়। গতবছর থেকে তিনি এই বাগান থেকে মাল্টা পাচ্ছেন। মাল্টার পাশাপাশি তার একই টিলা ভূমিতে রয়েছে কমলা ও জারালেবু। এবং পাশের জমিতে রয়েছে মাছের ঘের, হাঁস-মুরগি ও গরু ছাগলের খামার। কিছুটা সরকারি হলেও বাকি সম্পূর্ণ করেছেন ব্যক্তিগত উদ্যোগে।বাগানের নিয়মিত পরিচর্চা করা রমজান আলী বলেন, এবছর ফলন অনেক ভালো হয়েছে। গাছের চেয়ে ফল বেশি হওয়ায় ফুল থাকতেই মেডিসিন দিয়ে ঝরানো হয়েছে। অতিরিক্ত ফল হলে গাছ দূর্বল হয়ে যায়। তাই কৃষি অফিসারের পরামর্শে এই কাজ করা হয়। আগামী বছর থেকে গাছে যে ফল আসবে সবগুলো রাখা যাবে। তিনি বলেন, বাজারে যে মাল্টা পাওয়া যায় তার চেয়ে এই ফলগুলো বেশি মিষ্টি। সাইজেও এই মাল্টাগুলো বড় হয়। ৬ থেকে ৭টি মাল্টায় কেজি হয়। বাজারে মাল্টা কেজি বিক্রি হয় সাড়ে ৩শত টাকা করে। আর আমরা বিক্রি করি ২শত টাকা করে।জুড়ীর বর্তমান সময়ের সবচেয়ে বড় মাল্টা বাগানের মালিক জাবের আহমদ বলেন, পূর্বজুড়ী ইউনিয়নের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা সুরঞ্জিত ধর রনি এর পরামর্শে আমি মাল্টা বাগান শুরু করি। সরকার থেকে সার সহ সকল ধরণের সহযোগীতা পেয়েছি। কৃষি অফিসের কর্মকর্তাগণ নিয়মিত বাগান দেখেছেন এবং পরামর্শ দিয়েছেন। এবছর মাল্টার ফলন ভালো হয়েছে। গাছ ছোট থাকায় ভারসাম্য রক্ষার জন্য কিছু গাছের মাল্টা আমরা গাছ থেকে ছাটাই করেছি কৃষি অফিসারের পরামের্শ। আশাকরি আগামী বছর আমাদের মাল্টার বাম্পার ফলন হবে।তিনি বলেন, আমাদের বাগানে সরকার থেকে প্রদর্শনীসহ নিজ খরছে ১২০০শত মাল্টা গাছ, ৪শত কমলা গাছ সহ লেবু জাতীয় বিভিন্ন প্রজাতির ফলের গাছ লাগানো হয়েছে। প্রায় সাড়ে ৩ একর জায়গার উপর আমাদের মাল্টা বাগান। প্রতিনিয়ত ২জন লোক আমাদের বাগানে কাজ করে।উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের লাঠিটিলার ডোমাবাড়ি গ্রামের খোর্শেদ আলম ৩ বছর আগে ১০ শতক জায়গার উপর গড়ে তুলেন মাল্টা বাগান। গত বছর ফল আসলেও তেমন ভালো হয়নি। বিগত বছরের তুলনায় এবছর প্রত্যেক গাছে বারি-১ জাতের মাল্টায় স্বপ্ন দেখছেন তিনি। ফলন ভালো হওয়ায় নিজের চাহিদা মিটিয়ে বাজারে বিক্রি করছেন এসব মাল্টা। সুস্বাদু এই মাল্টার প্রতি আগ্রহ মানুষের। যার জন্য বিক্রি হয়ে যাচ্ছে খুব সহজেই।খোর্শেদ আলম জানান, সরকারি ভাবে জুড়ী উপজেলা থেকে ১০ শতাংশ যায়গায় ৩০ টি গাছের একটি প্রদর্শনী পান তিনি। গাছের বয়স এখন চার বছর হয়েছে। এই বছর প্রতিটি গাছে প্রায় ২৫০ থেকে ৩০০টি করে ফল এসেছে। ছোট ছোট গাছের ফল দেখে অনেকের উৎসাহ বেড়েছে মাল্টার প্রতি। কেউ কেউ উদ্যোগ নিয়েছেন আগামীতে মাল্টা চাষে মনযোগ দিবেন।জুড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকতা মো. মাহমুদুল আলম খান বলেন, লেবু জাতীয় ফসলের উৎপাদন বাড়াতে কৃষি বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে। কৃষি অফিসের পরামর্শে মাল্টা চাষে ঝুঁকছে কৃষকরা। শুকনো মৌসুমে মাল্টার উৎপাদন বাড়াতে গাছের পরিচর্চায় আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করা হবে। এই প্রযুক্তিতে পানি ও সার একসাথে দেওয়া যাবে ড্রিপ ইরিগেশনের মাধ্যমে।তিনি বলেন, যারা মাল্টা চাষ করেছে তাদের ফলন ভালো হয়েছে। এবছর নতুন মাল্টা চাষী ৪৫ জন বেড়েছেন। অফিস থেকে প্রদর্শনী প্রাপ্ত কৃষকদের ৬ রকমের সার, কীটনাশক, ছত্রাক নাশক, সিকেচার, স্প্রে মেশিন এবং মাটি পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও শুকনো মৌসুমের জন্য মালচিং পেপার বিতরণ করা হয়েছে।আরইউ
    অনির্দিষ্টকালের জন্য সাজেক ভ্রমণে ‘নিষেধাজ্ঞা’
    পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটির সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সাজেক ভ্যালিতে ভ্রমণে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিরুৎসাহিত করেছে জেলা প্রশাসন। আজ বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানান রাঙ্গামাটির অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুল ইসলাম।বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটির সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় জরুরি সভা হয়। সভায় জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক সাজেকে ৪ অক্টোবর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পর্যটকদের ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।এরআগে পার্বত্য জেলায় সংঘর্ষ ও বিশৃঙ্খলার কারণে গত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে তিন দফায় ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করার সময় বাড়ানো হয় ৩ অক্টোবর পর্যন্ত। এখন আবারও খাগড়াছড়ির সংঘাতকে কেন্দ্র করে অনির্দিষ্টকালের জন্য পর্যটকদের সাজেক ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করা হলো।এফএস
    জানা গাছের অজানা গুণে, মিলবে শত রোগ মুক্তি
    প্রাচীনকাল থেকেই আমাদের আশেপাশে থাকা অনেক গাছপালা, উদ্ভিদ বা তরুলতা নানা ঔষুধি কাজে মানুষজন ব্যবহার করে আসছে। বিশেষ করে আয়ুর্বেদিক ও ইউনানি ওষুধের ক্ষেত্রে এসব গাছ-গাছড়ার ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে।বাংলাদেশের গবেষকরা বলছেন, আমাদের আশেপাশে থাকা অনেক গাছের ঔষুধি গুণ রয়েছে। গ্রামাঞ্চলের মানুষজন এগুলো প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে ব্যবহার করে এলেও এখন তাদের গবেষণায় এগুলোর নানা গুণাগুণ দেখতে পেয়েছেন।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ‘পৃথিবীজুড়ে ৫০ হাজারের ওপর এমন গাছ ও উদ্ভিদ রয়েছে, যা মানুষ নানা কাজে ওষুধ হিসাবে ব্যবহার করে। বাংলাদেশেও এরকম প্রায় ১৫০০ প্রজাতির তথ্য রয়েছে। এর মধ্যে কমপক্ষে ৮০০ প্রজাতির গাছ ও উদ্ভিদের ওষধি ক্ষমতার প্রমাণ আমরা পেয়েছি।’ এর অনেক গাছই আমাদের ঘরের আশেপাশে, অযত্নে, অবহেলায় বড় হয়ে ওঠে। আবার সংরক্ষণের অভাবে অনেক গাছ ও উদ্ভিদ এখন হারিয়ে যেতেও বসেছে।বহুকাল ধরে গ্রামে গঞ্জের মানুষ ওষুধ হিসাবে ব্যবহার করে আসছেন, এরকম গাছপালা নিয়ে একটি গবেষণা করেছেন ড. তাহমিনা হক। সেখানে তিনি ৪৬৭ জনের ওপর গবেষণা করেছেন।তিনি বলছেন, ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া মাঠ পর্যায়ে কাজ করতে গিয়ে আমি দেখেছি, সেখানকার মানুষ কমপক্ষে ২৪৭টি উদ্ভিদ নানা ধরণের ঔষুধি কাজে ব্যবহার করে। বিশেষ করে ৭৩টির মতো শারীরিক সমস্যায় তারা এসব গাছের নিয়মিত ব্যবহার করেন। সব মিলিয়ে আমরা দেখতে পেয়েছি, এসব গাছপাতার ৪৮৫ ধরণের কাজে ব্যবহার করা হয় ‘তিনি বলছেন, এর অনেকগুলো গাছের গুণাগুণের বিষয়টি গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে। আবার গবেষণায় এখনো প্রমাণিত না হলেও অনেক উদ্ভিদ বা তরুলতা ব্যবহারকারীরা বলছেন, তারা সেগুলো ব্যবহার করে উপকার পেয়েছেন। ড. তাহমিনা গ্রামেগঞ্জে ঔষুধি হিসাবে যেসব গাছপালা, উদ্ভিদ বা তরুলতার ব্যবহার দেখতে পেয়েছেন, সেরকম কয়েকটি এখানে তুলে ধরা হলো:১. মেন্দাএ গাছটি বাংলাদেশের অঞ্চলভেদে চাপাইত্তা, কারজুকি, রতন, খারাজুরা নামেও পরিচিতি রয়েছে। গ্রামাঞ্চলে এখনো পেটের পীড়া, রক্ত-আমাশা হলে পাতা বেটে পানিতে মিশিয়ে দুইবেলা খাওয়া হয়। ড. তাহমিনা হক বলছেন, গবেষণায় দেখা গেছে, ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কার্যকর ভূমিকা রাখে। এই গাছের বাকল ও পাতা উভয়ই ব্যবহার করা হয়। একসময় হাড় ভেঙ্গে গেলে ছালের মিশ্রণ স্থানীয়ভাবে প্লাস্টারিংয়ে ব্যবহার করা হতো। অনেক সময় বুকের ব্যথার জন্য মালিশ করা হয়।২. বনধনে পেটের ব্যথা ও ডায়রিয়ার ওষুধে কার্যকর। ঘা-পাঁচড়ার ক্ষেত্রে পাতার মিশ্রণ লাগানো হয়।৩. ভাট ফুল বা বনজুঁইকৃমিনাশক এবং ডায়রিয়ার জন্য কাজ করে। কাঁচা হলুদের সাথে পাতার রস মিশিয়ে খাওয়ানো হয়। যাদের চর্ম রোগ রয়েছে, তারা এই ফুলের রস মালিশ করে উপকার পেয়েছেন। লজ্জাবতী গাছের অনেক ঔষুধি গুণ রয়েছে বলে গবেষকরা বলছেন৪. নিমডায়াবেটিসের রোগীরা অনেকে নিমের পাতা শুকিয়ে ছোট ছোট ট্যাবলেট বানিয়ে সকাল বিকেল খেয়ে থাকেন। এছাড়া বহুকাল থেকে চিকেন পক্স, চামড়ার অ্যালার্জির মতো সমস্যায় নিমের পাতা গরম পানিতে মিশিয়ে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। পোকা মাকড়ের কামড়ের ক্ষত হলে, সেখানে নিম আর হলুদের রস একসাথে মিশিয়ে লাগানো হয়। দাঁতের ব্যথার জন্য নিমের ডালের রস ব্যবহার করা হয়।৫. তুলসীএটি বাংলাদেশের অনেকের কাছেই একটি পরিচিত নাম। বিশেষ করে গ্রামের অনেক বাড়িতেই দেখা যায়। সর্দিজনিত রোগে এই গাছটির পাতা খাওয়া হয়। অনেকে চায়ের সাথেও ভিজিয়ে খান। বলা হয়ে থাকে, তুলসী পাতা ভেজে ঘি দিয়ে নিয়মিত খেলে মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে।৬. চিরতাএটি অনেক স্থানে কালমেঘ নামেও পরিচিত। ডায়াবেটিস রোগীরা খেয়ে থাকেন। পাতাগুলো গুড়ো করে পানির সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে অনেকে খান। পেট খারাপ, ডায়রিয়া, জ্বর ও বাত ব্যথার ক্ষেত্রে সারারাত পানিতে ভিজিয়ে খাওয়া হয়্রে৭. পাথরকুচিগ্রামে একটা প্রচলিত ধারণা আছে, পাথরকুচি কিডনির পাথর ভাঙ্গতে সহায়তা করে, যদিও এর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি পাওয়া যায়নি। তবে ব্যবহারকারীরা গবেষকদের কাছে বলেছেন, জ্বর ও পেট ফাঁপার মতো সমস্যায় পাথরকুচির পাতা বেটে খেয়ে তারা উপকার পেয়েছেন। চামড়ার অ্যালার্জির জন্যও এটি বেটে ব্যবহার করা হয়। ঠাণ্ডাজনিত সমস্যায় পাথরকুচির পাতার রস ব্যবহার করা হয়।৮. তকমাহজমশক্তি বৃদ্ধিকারক ও ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রণে।৯. কেশরাজ বা কালোকেশীভারত উপমহাদেশে বহুকাল ধরেই চুলের যত্নে এই গুল্মজাতীয় গাছটি ব্যবহার করা হচ্ছে। এটি চুল পড়া বন্ধ করতে সহায়তা করে বলে বিশ্বাস করা হয়। ড. তাহমিনা হক বলছেন, গবেষণার সময় অনেকে বলেছেন, মেয়েদের মাসিকের সমস্যায় অনেকে পাতার রস খেয়ে থাকেন। বৈজ্ঞানিকভাবে এটা ছত্রাকরোধী বা অ্যান্টিফাঙ্গাল হিসাবে প্রমাণিত হয়। উচ্চ রক্তচাপ ও লিভারের বিভিন্ন ওষুধে সাজনার পাতা ও ফল ব্যবহার হয়১০. বাসকঠাণ্ডার জন্য, ফুসফুসের নানা সমস্যায় বাসক পাতার রস ফুটিয়ে সেই রস বা পানি খাওয়ানো হয়। শ্বাসনালীর সমস্যায় লালাগ্রন্থিকে বাসকের রস সক্রিয় করে বলে বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় দেখা গেছে। তবে অধিক মাত্রায় খেলে বমি ভাব হতে পারে।১১. অর্জুনএই গাছের মূল, ছাল, কাণ্ড, পাতা, ফল ও ফুল ওষধি হিসাবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। হৃদরোগ, বুকে ব্যথার জন্য অর্জুনের ছাল গুড়ো করে খেয়ে থাকে। অর্জুনের গুড়ো বাসক পাতার সাথে মিশিয়ে খেলে যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে বলে মনে করা হয়। মচকে গেলে বা হাড়ে চিড় ধরলে রসুনের সাথে মিশিয়ে অর্জুনের ছাল বেটে লাগালে উপকার পাওয়া যায়।১২. রিফিউজি লতাএটি একেক অঞ্চলে একেক নামে পরিচিত। বাংলাদেশের প্রায় সর্বত্র এই লতা গাছটি দেখা যায়। কেটে গেলে রক্তপাত বন্ধ করতে সহায়তা করে।১৩. জবাপেট খারাপের জন্য জবা গাছের পাতা ও ফুল গরম ভাতের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া হয়। জন্ডিসের জন্য পাতার জুস খাওয়া হয়। ফুলের রস নারীরা মাসিক ও স্রাবজনিত সমস্যার জন্য খেয়ে থাকেন।১৪. লজ্জাবতীঅনেকে একে লাজুক লতা বা অঞ্জলিকারিকাও বলে থাকেন। এই গাছের শেকড় বেটে গুড়ো করে ডায়রিয়ার জন্য খাওয়া হয়ে থাকে। পাতা ঘা-পাঁচড়া নিরাময়ের জন্য ব্যবহার করা হয়। গাছের পাতা ও ফুল বেটে শরীরের ক্ষতের স্থানে ব্যবহার করা হয়। বাতজ্বর বা হাড়ের ব্যথায়ও এই গাছটি বেটে দিলে উপকার পাওয়া যায়। এছাড়া আমাশয়, হাত-পায় জলুনির জন্য অনেকে লজ্জাবতী গাছের মিশ্রণ ব্যবহার করেন।সাধারণ যেকোনো পেটের ওষুধের জন্য থানকুনি পাতা কার্যকরী ১৫. দূর্বা ঘাসমাঠে, ঘাটে, রাস্তার এই ঘাস অবাধে জন্মালেও অনেকেরই এর ঔষুধি গুণের কথা জানা নেই। রক্তক্ষরণ, আঘাতজনিত কেটে যাওয়া, চর্ম রোগে এই ঘাসের রস অনেক উপকারী। কোথাও কেটে গেলে এই পাতার রস লাগালে রক্তপাত তাৎক্ষণিক বন্ধ হয়ে যায়। এতে অনেক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে বলে গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে।১৬. ধুতুরাএটা এখন বিলুপ্তির পথে। এটা অনেকে অ্যাজমার জন্য ব্যবহার করতেন। পাতা শুকিয়ে গুড়ো করে ধোয়া তৈরি করে সেটা শোকা হতো।১৭. থানকুনিএটি সম্ভবত বাংলাদেশে বহুল প্রচলিত একটি ওষধি উদ্ভিদ। খুবই সাধারণ যেকোনো পেটের ওষুধের জন্য থানকুনি পাতা কার্যকরী। এটা পাতা বেটে রস বা ভর্তা করে খাওয়া হয়। এই পাতা হজম শক্তি বাড়ায়, কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে, চুল পড়া কমায়, ক্ষত নিরাময়ে সহায়তা করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।১৮. স্বর্ণলতাজন্ডিস নিরাময়, তলপেটের ব্যথা কমানো, ও ক্ষত উপশমে এই লতা কাজ করে বলে গবেষণায় দেখা গেছে। লতা সেদ্ধ করে পানি খাওয়া হয়। এই লতার পানি পিত্তনাশক ও কৃমি দমনে সহায়তা করে। ব্যাকটেরিয়া দমনেও এটি সহায়ক। তবে এই পাতার রস অনেক সময় গর্ভপাত, বা প্রজনন ক্ষমতা কমিয়ে দেয় বলেও ধারণা আছে।১৯. শতমূলীশতমূলী উচ্চমানের ফলিক এসিড ও পটাশিয়ামের প্রাকৃতিক উৎস। এতে ফাইবার, ভিটামিন এ ও ভিটামিন বি রয়েছে। এটি বন্ধ্যাত্ব নিরাময় ও শক্তিবর্ধক হিসাবে কাজ করে। সেই সঙ্গে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও সহায়তা করে।২০. বিলিম্বিকামরাঙ্গা গোত্রের একটি ফল হলেও এটি আলাদা ধরণের একটি ফল। এই ফল ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রণে প্রমাণিত। গবেষণায় দেখা গেছে, এর ভেতরে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আছে। চুলকানি নিরাময়, মাম্পস, চামড়া ফাটা, যৌনরোগ চিকিৎসায় অনেক আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক এই গাছের ফল ও পাতা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তবে যাদের কিডনির রোগ রয়েছে, তাদের জন্য এই ফল বা পাতা ক্ষতিকর। উচ্চ রক্তচাপ ও লিভারের বিভিন্ন ওষুধে সাজনার পাতা ও ফল ব্যবহার হয়।২১. সাজনাউচ্চ রক্তচাপ ও লিভারের বিভিন্ন ওষুধে সাজনার পাতা ও ফল ব্যবহার হয়। মনে করা হয়, সাজনা খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। কাচা রসুনের সাথে সাজনা গাছের পাতা একসাথে মিলিয়ে খেয়ে বাতের ব্যথা উপশম হয়। এছাড়া এই গাছের পাতা ও ফল অনেক পুষ্টিকারক বলে গবেষণায় দেখা গেছে। রুচি বৃদ্ধি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে বলে বহুকাল ধরে ভারতীয় উপমহাদেশে বিশ্বাস রয়েছে। এছাড়া আমলকি, হরিতকী, বহেরার মতো ফলগুলো ঔষুধি হিসাবে বহুকাল ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।সূত্র : বিবিসিএমআর
    ভৈরবে বস্তায় আদা চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের
    কিশোরগঞ্জের ভৈরবের বিভিন্ন গ্রামের বাড়ির আঙ্গিনাসহ অনাবাদি জমিতে বস্তায় আদা চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। এ বছর কালিকাপসাদ,ঝগড়ারচর, আতকাপাড়া,বাশগাড়ি,গজারিয়া ও মানিকদীতে ৬ হাজার বস্তায় আদা চাষ করেছেন ওই এলাকার কয়েকজন কৃষক। এ পন্থায় আদা চাষে কৃষক লাভবান হবে। বস্তা প্রতি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা খরছ হয়। প্রতি বস্তায় গড়ে এক থেকে দেড় কেজি আদা উৎপাদন হয়। সে হারে ১ শত টাকা দরে বিক্রি করলেও অনেক টাকা লাভ হবে এমনটাই মনে করছেন আদা চাষীরা। বস্তায় আদা চাষ বৃদ্ধি পেলে এক সময় আমাদের দেশ থেকেও আদা বিদেশে রপ্তানী করা সম্ভব হবে বলছেন উপজেলা কৃষি অফিসার আকলিমা বেগম। সরেজমিনে জানা যায়, উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে এ বছর বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ তাদের পতিত জমি, বসতবাড়ির আঙ্গিনা, কিংবা সুউচ্ছ ভবনের ছাদেও আধুনিক পদ্ধতিতে বস্তায় আদা চাষ করছেন। এ বছর কালিকাপ্রসাদ উনিয়নের আতকাপাড়া ও নয়াহাটি, গজারিয়া, শিবপুর এলাকায় প্রায় ৬ হাজার বস্তায় আদা চাষ করেছেন। এ ভাবে আদা চাষ করলে তুলনামূলক ভাবে রোগ বালাই হয়না এবং খরছও অনেক কম হয়। চাষের যায়গাটি ছায়াযুক্ত হওয়ায় হলে ফলনও ভালো হয়। প্রতি বস্তায় ৩টি করে বীজ রোপণ করতে হয়। প্রতি বস্তায় ১ কেজি করে হলেও ৬ হাজার কেজি আদা উৎপাদন হবে। বাজার দর ভাল থাকলে কম করে হলেও ৬ লাখ টাকার আদা বিক্রি করতে পারবে। বস্তায় আদা চাষ দেখে অনেকেই বাসা বাড়ির ছাদ , বাড়ির আঙ্গিনা, অনবাদি পতিত জমিতে বস্তায় আদা চাষ দেখে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের মাঝে আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বস্তায় উৎপাদিত আদা পরিবারের চাহিদা মিটিয়েও বানিজ্যক ভাবে বাজার জাত করতে পারলে আয় হবে লক্ষ লক্ষ টাকা। এতে করে দেশে আদার চাহিদা কিছুটা হলেও পুরণ হবে। বস্তায় আদা চাষে কৃষকদের মাঝে আগ্রহ বাড়াতে উঠান বৈঠক ও পরামর্শ দিতে মাঠ পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছেন উপসহকারি কৃষি অফিসারগণ। চাষী আল আমিন, কালিকাপ্রসাদ ইউনিয়নের আতকাপাড়া, নয়াহাটির কৃষক এনামুল হক ও আব্বাস মিয়া বলেন, আমরা কৃষি অফিসের পরামর্শে আমাদের বাড়ির আঙ্গিনায় পতিত জমিতে বস্তার মাঝে আদা চাষ করেছি। প্রথমে ভেবেছিলাম বস্তায় আদা চাষ করে আবার না লোকশানে পড়ি। এখন দেখছি ফলন ভাল হচ্ছে। একেক বস্তায় মাত্র ৩০ থেকে ৩৫ টাকা খরছ হয়। ফলন হয় একে বস্তায় কম করে হলেও এক থেকে দেড় কেজি আদা উৎপাদন হয়। আমরা প্রায় ২ হাজার বস্তায় আদা চাষ করেছি। আমাদের অনেক টাকা আয় হবে।ডা: মোহাম্মদ মিজানুর রহমান কবির, এম বি বি এস বলেন, আমি পেশায় একজন চিকিৎসক। আমার চিকিৎসা পেশার পাশাপাশি   কৃষির প্রতি আমার অনেক আগ্রহ ছিল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ কারো বাড়ির আঙ্গিনা এমনকি অনাবাদি জমি যেন খালি না রাখে। কিছু একটা হলেও যেন আবাদ করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর এমন নির্দেশনায় উদ্ভোবদ্ধ হয়ে আমার অনাবাদি জমিসহ বাড়ির আঙ্গিনাতেও বিভিন্ন সবজি বাগান আর ফলদ গাছও লাগিয়েছি। বস্তায় আদা চাষ এটা আমার কাছে নতুন পদ্ধতি বলে মনে হয়েছে। কৃষি অফিসার আকলিমা বেগমের পরামর্শ নিয়ে আমার বাড়ির আঙ্গিনাতে ১ হাজার বস্তায় আদা চাষ করেছি। খলছ মাত্র বস্তা প্রতি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। ১ হাজার বস্তায় কম করে হলেও আশা করছি প্রায় দেড় থেকে ২ হাজার কেজি আদা উত্তোলন করা যাবে। এটা সম্পুর্ন দেশি জাতিয় আদা। এ আদা দিয়ে আমার নিজের চাহিদা পুরণ করেও আশা করছি আমার এলাকার চাহিদাও পুরণ করতে পারব। তাছাড়া কৃষির প্রতি আমার আগ্রহ আরো বিভিন্ন ভাবে। আমার বাড়িতে বাকি আরো কিছু যায়গা ছিল। সে যায়গাতে আমি বিভিন্ন সবজি বাগান ও ফলদ গাছ লাগিয়েছি। সেখান থেকে ভাল ফলন পাচ্ছি। সিগুলো নিজের পরিবারের চাহিদা পুরণ করে প্রতিবেশিদের মাঝেও দিতে পেরে আমি অনেক আনন্দিত। উপজেলা কৃষি অফিসার আকলিমা বেগম বলেন, এ বছর ভৈরবে প্রায় ৬ হাজার বস্তায় আদা চাষ হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে আমাদের উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তাগণ কৃষকদের পরামর্শ ও ঊঠান বৈঠক সহ সার্বিক সহযোগিতা দিয়ে বস্তায় আদা চাষে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের মাঝে আগ্রহ বাড়াতে কাজ করছেন। এ বছর উপজেলার কালিকাপ্রসাদ,শিবপুর, গজারিয়া,বাঁশগাড়ি, মানিকদী গ্রামে অধিক পরিমানে বস্তায় আদা চাষ করা হয়েছে। এ ভাবে আদা চাষ করার ফলে কৃষকদের মাত্র ৩০ থেকে ৩৫ টাকা খরছ হয়। একেকটি বস্তায় এক থেকে দেড় কেজি আদা পাওয়া যায়। এভাবে আদা চাষ করলে ফলন ভাল হয়। পোকা মাকড়ের উপদ্রব হয়না। এতে করে কৃষকরা অনেক লাভবান হতে পারবে। এ আদা পরিবারের চাহিদা মিটিয়েও বানিজ্যিক ভাবে বাজারে বিক্রি করে আর্থিক ভাবে লাভবান হবে আদা চাষীরা। বর্তমান সময়ে বস্তায় আদা চাষ বানিজ্যিক কৃষিতে চলে যাচ্ছে। বস্তায় আদা চাষ বৃদ্ধি পেলে আমাদের দেশে বাহির থেকে আদা আমদানী অনেকটাই কমে যাবে। বস্তায় আদা চাষ বৃদ্ধি পেলে এক সময় আমাদের দেশ থেকেও আদা বিদেশে রপ্তানী করা সম্ভব হবে। আমরা আশা করছি এবছরের তুলনায় সামনের বছরে বস্তায় আদা চাষ দ্বিগুন বৃদ্ধি পাবে।  এমআর
    লক্ষ্মীপুরে বন্যায় দেড় লাখ কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত
    লক্ষ্মীপুরে চলমান বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এক লাখ ৫৭ হাজার ২০৯ জন কৃষক। ক্ষতির পরিমান ২২৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।  সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে আউশ ধান, আমনের বীজতলা, রোপা আমন ও সবজি ক্ষেতে। এছাড়া পান, আখ, হলুদ, আদা এবং নানা জাতের ফলজ গাছেরও ক্ষতি হয়েছে।বুধবার (১১সেপ্টেম্বর) জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের প্রণোদনার আওতায় আনার কাজ চলছে বলে জানান জেলা কৃষি বিভাগ।জানা যায়, লক্ষ্মীপুরে চলতি মৌসুমে ৩ হাজার ৬০৭ হেক্টর জমিতে আমনের বীজতলা তৈরি করা ছিল। বন্যা, জলাবদ্ধতা ও জোয়ারের পানিতে তলিয়ে দুই হাজার ৫৩৬.৮০ হেক্টর জমির বীজতলা পঁচে নষ্ট হয়ে গেছে। যা মোট বীজতলার ৭০ ভাগের বেশি। এতে ৬৩ হাজার ৪২০ জন কৃষকের ২৯ কোটি ২৬ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।রোপা আমনের আবাদ হয়েছে ১৪ হাজার ৩৯৪ হেক্টর জমিতে। পানিতে তলিয়ে নষ্ট হয়েছে ৭ হাজার ৬১০.৭০ হেক্টর জমির। যা আবাদকৃত মোট জমির ৫৩ ভাগ। এতে ৩১ হাজার ৭০৬ জন কৃষকের ৮৫ কোটি ৬২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।২৪ হাজার ৪২৩ জন কৃষকের ৪ হাজার ৭০.৫০ হেক্টর জমির আউশ ধান নষ্ট হয়েছে। এতে ক্ষতি হয়েছে ৩৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকার। বোনা আমনে ৯ হাজার ৭২০ জন কৃষকের এক কোটি দুই লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।বন্যায় ১০ হাজার ৩৯০ হেক্টর জমির শরৎকালীন শাক-সবজি নষ্ট হয়েছে। যা আবাদকৃত জমির শতভাগ। এতে ২০ হাজার ৭৮০ জন কৃষকের ৫১ কোটি ৯৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।পান নষ্ট হয়েছে ১১২.২ হেক্টর জমির। এতে ১৬৬৩ জন কৃষকের ক্ষতি হয়েছে ১৬ কোটি ৮৩ লাখ টাকার। আদা নষ্ট হয়েছে ২৪০ জন কৃষকের ৮৩.৩৩ হেক্টর জমির। ক্ষতি হয়েছে ৭০ লাখ টাকার।৩৯ হেক্টর জমিতে থাকা ৯৮ মেট্রিক টন হলুদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে ২০৪০ জন কৃষকের ১ কোটি ৪৬ লাখ টাকার ক্ষতি হয়।৭৪৪ জন কৃষকের ৯.৩ হেক্টর জমির আখ নষ্ট হয়েছে। এতে ক্ষতির পরিমাণ ২ কোটি ৯ লাখ টাকা।২০৭৩ জন ফল চাষীর ৪১.৪৬ হেক্টর জমির ফল বাগান নষ্ট হয়েছে। এতে ২০৭ মেট্রিক টন ফলের ক্ষতি হয়েছে। যারা বাজার মূল্য ২ কোটি ৭ লাখ ৩০ হাজার টাকা।জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক সোহেল মো: শামসুদ্দীন ফিরোজ বলেন, চলমান বন্যা, বৃষ্টিপাতে জলাবদ্ধতা এবং পাহাড়ী ঢলের কারণে লক্ষ্মীপুরের ফসলি জমিতে পানি জমে গেছে। কৃষকের আমনের বীজতলা, রোপা আমন ক্ষেত, পান, সবজি ও ফলজগাছ নষ্ট হয়েছে। যার আর্থিকমূল্য প্রায় ২২৭ কোটি টাকা। আমরা ক্ষতির পরিমাণ নির্নয় করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। দ্রুত কৃষকের মাঝে যাতে পুনর্বাসন প্রণোদনা সরবরাহ করা যায়। কর্তৃপক্ষ সে নির্দেশনা দিয়েছেন। ইতোমধ্যে আমরা ৬ হাজার কৃষকের মাঝে আমন ধানের বীজ ও সার বিতরণ করেছি। তাদের এ্যাকাউন্টে এক হাজার টাকা করে সহয়তা হিসেবে দেওয়া হয়েছে।এছাড়া আগাম রবি মৌসুমের জন্য প্রণোদনা প্যাকেজ হাতে পেয়েছি। ১৩ হাজার ২০০ শ' কৃষকের মাঝে গম, ভুট্টা, সরিষা, সূর্যমূখী, মুগ, মশুর, খেশারী, চিনা বাদাম, সয়াবিন, শীতকালীন পেয়াজ বীজ বিতরণের জন্য কর্মসূচি আসবে।আমন ধান চাষীদের উদ্দেশ্যে এ কৃষি কর্মকর্তা বলেন, আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আমন ধানের চারা লাগাতে পারবে। তারা যেন নাভি জাতের বিআর-২২, বিআর-২৩ ধানের চারা রোপণ করে। এছাড়া আমরা যে বীজ দিয়েছি, বিআর-৭৫, বিআর-১৭, এ দুটা বীজ দ্রুত কাদাযুক্ত মাটিতে বপন করে ১৫ দিনের চারা জমিতে রোপণ করতে পারবে। এ ধান নির্দিষ্ট সময়ে ভাল ফলন দিতে পারে।তিনি বলেন, ৬৫ হাজার কৃষকের জন্য শীত কালীল সবজির প্রণোদনা চাহিদা পাঠিয়েছি। তারা যাতে বাড়ির আঙ্গিনায় শীতের সবজির চাষাবাদ করতে পারে, সে সহযোগিতা করা হবে। আমরা কৃষকের জন্য যতটুকু করনীয় তা করার জন্য তৎপর আছি। এসএফ
    করলা চাষে সাফল্য পেয়েছেন কৃষক তৈয়ব আলী
    পিরোজপুরের কাউখালীতে করলা চাষ করে সাফল্য অর্জন করেছেন কৃষক তৈয়ব আলী। উপজেলার সদর ইউনিয়নের কেউন্দিয়া ব্লকের ঝাপষী গ্রামের আসমত আলীর ছেলে তৈয়ব আলী।উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের এসএ সি পি প্রকল্পের আওতায় পঞ্চাশ শতাংশ জায়গার উপর স্থায়ী মাচা তৈরি করে করলা (টিয়া সুপার) চাষ করেন।এ প্রকল্পে কৃষককে সহযোগিতা করেন উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বীজ,সার, মাচা সহ বিভিন্ন উপকরণ দেওয়া হয়েছে। সরেজমিনে কৃষক তৈয়ব আলী প্রকল্প এলাকায় গেলে তৈয়ব আলী তার কৃষিকাজের সাফল্যের কথা আমাদের সামনে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, মাত্র ৫০ শতাংশ জমির উপর করলা চাষ করা হয়। এতে তার খরচ হয়েছে ১০ হাজার টাকা থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। তিনি বলেন, মে মাসে করলা চারার বীজ বপন করা হয়। জুলাই মাস থেকে করলা বিক্রি শুরু করা হয়েছে। এ পর্যন্ত প্রায় ২০ মণ করলা বিক্রি করা হয়েছে। প্রতি মন করলা ১ হাজার ৬০০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হয়েছে। ব্যাপারীরা তার খামার থেকে করলা কিনে নিয়ে যায়। এছাড়া স্থানীয় বাজারে খুচরা হিসেবে প্রতি কেজি করলা ৫০ টাকা থেকে ৭০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করেছে বলে তিনি জানান। এ পর্যন্ত প্রায় লক্ষাধিক টাকার করলা বিক্রি করেছেন। এখনো আরো ১০ মন করলা বিক্রি করতে পারবেন। তৈয়ব আলী স্ত্রী, চার ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। মেয়েকে বিবাহ দিয়েছে এবং এক ছেলেকে দেশের বাইরে পাঠিয়েছে। অন্য ছেলেরা তার কৃষি কাজে সহযোগিতা করছে। ছেলে-মেয়েদের বেশি লেখাপড়া করাতে পারেননি তিনি। করলার পাশাপাশি বরবটি, কাঁকরোল, বেগুন,লাউ সহ বিভিন্ন সবজি সারা বছরই চাষ করে থাকেন। এ দিয়ে তার সংসার ভালোই চলছেন বলে তিনি আমাদের হাসিমুখে বলেন। নিজের কাজ করতে তিনি গর্ব বোধ করেন। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সোমরানি দাস বলেন, আমরা সর্বক্ষণিক কৃষক তৈয়ব আলীর যোগাযোগ রক্ষা করি এবং তাদের আমাদের স্বার্থ অনুযায়ী বিভিন্ন প্রশিক্ষণ সহ কৃষি সংক্রান্ত সরকারি অনুদান দিয়ে থাকি। আমার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা পবিত্র কুমার রায় সার্বক্ষণিক কৃষকদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করছে ও পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে।এসএফ 
    জয়পুরহাটে থোকায় থোকায় ঝুলছে আরবের খেজুর
    গাছে থোকায় থোকায় ঝুলছে কাঁচা-পাকা খেজুর। মরিয়ম, আজোয়া, মেডজুল, আম্বার, সুক্কারিসহ প্রায় ১০ জাতের খেজুর রয়েছে বাগানে। এমনই নয়নাভিরাম দৃশ্য সৌদি আরবে নয়, দেখা যাবে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার মুনজিয়া গ্রামের সাইফুল ইসলামের বাগানে।সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘২০২১ সালে ইউটিউব থেকে ভিডিও দেখে খেজুর বাগান করার আগ্রহ জন্মে। খোঁজ নিয়ে ঢাকা, নরসিংদীসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে চারা সংগ্রহ করে ২০২১ সালের ২৫ আগস্ট ৪৫০টি চারা রোপণ করি। প্রতিটি চারা ২৫০০ থেকে ৩০০০ টাকা করে কিনি। প্রতিটি টিস্যু কালচার চারা সাড়ে ৯ থেকে ১০ হাজার টাকা দামে কিনি।’তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমার বাগানে সব মিলিয়ে প্রায় ২৩ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ইউটিউব দেখেই সব গাছের পরিচর্যা করেছি। এ পর্যন্ত দুই-আড়াই লাখ টাকার চারা বিক্রি করেছি। এরই মধ্যে ১০৩টি গাছে ফল ধরেছে। যে ফল থেকে ৫-৭ লাখ টাকা বিক্রির আশা করছি।’আক্কেলপুর উপজেলার রায়কালি গ্রামের কৃষক আতোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমি কিছুদিন আগে জানতে পারলাম, আমাদের আক্কেলপুরেই সৌদি আরবের খেজুর চাষ হচ্ছে। তাই বাগানটি দেখতে এলাম। বাগান দেখে খুব ভালো লাগলো। গাছে গাছে খেজুর ধরে আছে। আমিও কিছু চারা এখান থেকে নিয়ে যাবো।’মনজিয়া গ্রামের কৃষক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সাইফুল ইসলাম আমার চাচাতো ভাই। তিনি প্রথমে যখন বাগানে এসব গাছ লাগান; তখন বিশ্বাস করিনি যে খেজুর ধরবে। অথচ এখন বাগানে অনেক সুন্দর খেজুর ধরেছে। বাগান দেখে অনেক ভালো লাগছে। আমরাও বাগান করার স্বপ্ন দেখছি।’আক্কেলপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসেন বলেন, ‘খেজুর মূলত সৌদি আরবে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হয়। সাইফুল ইসলামও তাদের মধ্যে একজন। আমরা তার বাগানের খোঁজ রাখছি। সরকারিভাবে কোনো ধরনের সহযোগিতা এলে তাকে দেওয়া হবে।’এসএফ 
    ৬০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার কিনবে সরকার
    রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে চলতি অর্থবছরের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার এবং কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো) থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন করে মোট ৬০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে আনা ৩০ হাজার মেট্রিকটন ইউরিয়া সারের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১২১ কোটি ৪৮ লাখ ২১ হাজার ৮০০ টাকা৷ অপরদিকে কাফকো থেকে এ সারের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১১৬ কোটি ৯৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা৷বুধবার (৩১ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে কাফকো থেকে প্রথম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির প্রস্তাব করে শিল্প মন্ত্রণালয়। এর প্রতি মেট্রিক টনের মূল্য ৩৩০.৫০ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে৷ যার পূর্ব মূল্য ছিল ২৯৯.৬২৫ মার্কিন ডলার৷অপরদিকে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে ফার্টিগ্লোব ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড থেকে দশতম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন (৫১০%) বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির ক্রয় প্রস্তাবটিও করে শিল্প মন্ত্রণালয়। এর প্রতি মেট্রিক টনের মূল্য ৩৪৩.১৭ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে৷ যার পূর্বমূল্য ছিল ৩২২.৫০ মার্কিন ডলার।এবি 
    যশোরে আগাম শীতকালীন সবজির বাম্পার ফলন
    যশোরে বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে এখন আগাম শীতকালীন সবজি। নানা রকমের সবজির চাষ হওয়ায় সবুজের সমারোহে বদলে গেছে মাঠের দৃশ্যপট। বাম্পার ফলন ও দাম বেশি পাওয়ায় চাষিদের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। এখানকার সবজি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ছড়িয়ে পড়ছে দেশ বিদেশে।যশোর আঞ্চলিক কৃষি অফিস সূত্র জানিয়েছে, দেশের সবজির একটি বড় অংশ উৎপাদিত হয় যশোরে।  গ্রীষ্মকালিন, আগাম শীতকালিন ও শীতকালিন এই তিন ভাগে বারো মাস সবজির চাষ হয়ে থাকে। জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি সবজির চাষ হয় যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি, হৈবতপুর ও কাশিমপ্রু ইউনিয়নে। নতুন করে বাঘারপাড়া ও মণিরামপুরের কিছু এলাকা যোগ হয়েছে।এবার যশোর সদর উপজেলায় আগাম শীতকালিন আগাম সবজির চাষ হয়েছে ২৮শ’ হেক্টর। এরমধ্যে সবজি খ্যাত হৈবতপুর ইউনিয়নে ১৩শ’ ২৮ হেক্টর, চুড়ামনকাটি  ইউনিয়নে ৪শ’ ২৫ হেক্টর ও কাশিমপুর ইউনিয়নে ২শ’ ৮৩ হেক্টর জমিতে আগাম শীতকালিন সবজির চাষ হয়েছে। বিভিন্ন মাঠ আগাম শীতকালিন সবজিতে ভরা। এই এলাকার সবজির সুনামের পাশাপাশি ব্যাপক চাহিদাও রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা।সবজি চাষি আমিনুর রহমান, শহিদুল ইসলাম,গোলাম রসুল, রাহাদ আলীসহ অনেকে জানান, এবারের মৌসুমে সব ধরণের সবজিতে বাম্পার ফলন হয়েছে। বর্তমান বাজার মূল্য বেশি থাকায় তারা প্রতিদিনই সবজি বাজারজাত করছেন। সময়োপযোগী আবহাওয়া ও পরিমান মতো বৃষ্টির কারণে ফলন হয়েছে। এখন বাজার দর ভালো হওয়ায় আগাম শীতকালীন সবজি চাষে এবার লাভবান হবেন বলে আশাবাদী।চাষিরা আরো জানান, ভরা মৌসুমে সুযোগ বুঝে অসাধু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সবজির দাম কমিয়ে দেয়। তখন তারা কম দামে সবজি বিক্রি করতে বাধ্য হন। বারীনগর ও চুড়ামনকাটি এলাকায় যদি একটি কোল্ড-স্টোরেজ থাকতো তাহলে দাম কমের সময় সবজি বিক্রি না করে সংরক্ষণ করতেন। পরে বাজার বুঝে বেশি দামে বিক্রির সুযোগ পেতেন।যশোর কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক সুশান্ত কুমার তরফদার জানান, সবজির জেলা হিসেবে যশোর সারা দেশে পরিচিত। এখানকার সবজির সুনাম অনেক। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে তা ছড়িয়ে পড়ছে দেশ বিদেশের বাজারে। তিনি জানান, এবার জেলায় গ্রীষ্মকালীন সবজির চাষ হয়েছে ১৪শ’ হেক্টর জমিতে। সবজির মধ্যে ফুল কপি, বাধা কপি, বেগুন, পটল, ঝিঙে, বরবটি উল্লেখযোগ্য। বাম্পার ফলন পেয়েছে। দামও পাচ্ছে অনেক। এতে চাষিরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে।আরইউ
    কুড়িগ্রামে বন্যায় কৃষিতেই ১০৫ কোটি টাকা ক্ষতি
    কুড়িগ্রামে বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় স্পষ্ট হয়ে উঠছে ক্ষতচিহ্ন। ক্ষেতের মাচান থাকলেও নেই সবুজ গাছ। পানির নিচ থেকে ভেসে উঠছে বিভিন্ন সবজি ক্ষেত। দ্বিতীয় দফায় দীর্ঘস্থায়ী বন্যায় জেলার ৯ উপজেলায় শুধুমাত্র কৃষিতেই ক্ষতি হয়েছে ১০৫ কোটি টাকার।জেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, জেলার ৯ উপজেলায় শুধুমাত্র কৃষিতে ৮ হাজার হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসল তলিয়ে যায়। এতে ক্ষতি হয়েছে ১০৫ কোটি টাকা। আর ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫০ হাজার। অপরদিকে বন্যার পানির প্রবল স্রোতে গ্রামাঞ্চলের কাঁচাপাকা সড়কগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিভিন্ন যানবাহনে যাতায়াত করছে মানুষ। এসব গ্রামীণ কাঁচাপাকা সড়ক ও ঘর বাড়ির ক্ষতি নিরুপণে কাজ করছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর।কুড়িগ্রাম সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামের কৃষক সেকেন্দার আলী বলেন, আমার এক বিঘা জমির পটলের আবাদ শেষ। এখনো বাড়ির চারদিকে পানি। আমন বীজতলা করতে পারছি না। আমন আবাদও মনে হয় করা হবে না।একই এলাকার কৃষক হযরত আলী বলেন, বানের পানিতে এখনো সব জমি তলিয়ে। বীজতলা করার সময় শেষের দিকে। এবার আমাদের এলাকার কৃষকরা কেমন করে আবাদ করবে সেই চিন্তায় আছে।কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, দ্বিতীয় দফা বন্যায় কুড়িগ্রামের ৯ উপজেলায় কৃষি সেক্টরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের তালিকা করছি। এছাড়াও কৃষকরা যেন আমন আবাদ ভালোভাবে করতে পারে তার পরামর্শ দিচ্ছি।কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান জানান, প্রায় দুই সপ্তাহ পর ব্রহ্মপুত্রসহ জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত সব নদনদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে এই মুহূর্তে বন্যার কোনো পূর্বাভাস নেই।এবি 
    সৌদি খেজুর চাষে মোতালেব এখন কোটিপতি
     বাংলাদেশের মাটি যে সোনাফলা সেটা ভালোই উপলব্ধি করেছিলেন আব্দুল মোতালেব। তাই সাহস করেছিলেন মরুর দেশের খেজুরের বীজ এনে দেশে ফলানোর। ময়মনসিংহের ভালুকার হবিরবাড়ি ইউনিয়নের পাড়াগাঁও গ্রামের এই মানুষটি শুধু সুস্বাদু ও মিষ্টি খেজুরই ফলাননি, মাত্র ৭টি গাছ থেকে হাজার হাজার চারা তৈরি করে ছড়িয়ে দিয়েছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। বিদেশের মোহ ছেড়ে দেশে এসে হয়েছেন কোটি টাকার মালিক।অভাবের সংসারে সচ্ছলতা ফেরাতে সৌদি আরব গিয়েছিলেন আব্দুল মোতালেব। ১০ হাজার টাকা বেতনে খেজুর বাগানে চাকরি নিয়েছিলেন। চাষাবাদ রপ্ত করে ৩ বছরের মাথায় দেশে ফেরেন। সঙ্গে আনেন খেজুরের বীজ। বাগান করে কয়েক বছরের মধ্যে বদলে ফেলেন ভাগ্য। এখন বছরে কোটি টাকার চারা ও খেজুর বিক্রি করেন তিনি।আব্দুল মোতালেব (৫৪) ময়মনসিংহের ভালুকার পাড়াগাঁও গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে। তিনি সফল উদ্যোক্তা। সবাই তাকে ‘খেজুর মোতালেব’ বলে ডাকেন।জানতে চাইলে মোতালেব বলেন, দেশে ফিরে আমার বাড়ির পাশে একটি জমিতে খেজুরের চারা রোপন করি। কিন্তু প্রায় সব গাছই পুরুষ হয়ে যাওয়ায় খেজুর হয়নি। আবার গাছ লাগালে আবারও একই অবস্থা। তৃতীয় দফায় আমি সফল হই। এবার ২টি গাছে খেজুর হয়। সেই ২ গাছ থেকে আজ প্রায় ১২শ চারা উৎপাদন করেছি। বর্তমানে প্রায় ১০০টি গাছে খেজুর ধরেছে। চলতি বছর ৫ লাখ টাকার খেজুর বিক্রি করেছি।কোনো কিছুতে সহজে হাল না ছাড়া মোতালেব বলেন, লোকে বিদেশে গেলে স্যুটকেস ভর্তি জিনিস নিয়ে আসে। আর আমি আনছিলাম খেজুর। দেশের মানুষ হাসাহাসি করতো, পাগল বলতো। আমার দেয়া বীজ থেকে ২৭৫টি চারা বের হয়। চারাগুলো সাইজ করে লাগাইনি। ৩ বছর তো বেশি সময় না, মুকুল এলে চারা লাগাবো। মোতালেব বলেন, শুরুকরি ২০০১ সালে। ১৭ মাস পর একদিন আমার বউ এসে বললো- তোমার গাছে মুকুল আইছে। আমি তো বিশ্বাসই করিনি। পরে বাজি ধরে গিয়ে দেখি সত্যি মুকুল বের হয়েছে, কিন্তু পুরুষ। তখন একটা সাহস এলো পুরুষ মুকুল যখন আসছে তখন মেয়েও হবে। সেটা চৈত্র মাসের ১৭ তারিখ ছিল। বৈশাখে একটা এলো সেটাও পুরুষ। পরের বছর ৫টা, তারপরের বছর ৭টা, তার পরেরবার ৯টা গাছে মুকুল এলো, সবগুলো পুরুষ। তবুও হতাশ হইনি। তবে টেনশন বাড়ছিল। হাল ছাড়ছিলাম না। পরের বছর ১১টা গাছের মধ্যে একটা গাছে মেয়ে মুকুল এলো। তুলে আলাদা করে লাগালাম। এই গাছটাই শাইখ সিরাজের নামে রাখলাম। আজোয়া গাছ। এটাই বাংলাদেশে প্রথম সৌদি খেজুর গাছ। প্রতি বছর উনি আসেন একবার। ওনার কাছে অনেক ঋণ আছে বলেই এটা ওনার নামে রেখেছি।সফল এই উদ্যোক্তা আরো বলেন, এখন আমি কাটিং জানি। নারী গাছগুলো থেকে গজানো চারা নারীই হয়। সেগুলো পুরুষ গাছে কাটিং করে বসানো যায়। এটা সারা বাংলাদেশে আমার মতো কেউ পারে না। আমার সব গাছ কাটিং করে মেয়ে বানাইছি।সরকারি সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে মোতালেব বলেন, সরকারি সহযোগিতা পেলে গাছ বিক্রি না করে হাজার হাজার চারা বানাতাম। আরও কম দামে চারা বিক্রি করতাম। আগে দেড় লাখ টাকা বেচতাম। কয়েকশ লোক আমার কাছ থেকে চারা নিয়ে বাগান করছে। আমাদের দেশে খেজুর শুকানো কঠিন। মেঘ-বৃষ্টি বেশি। তাই কাঁচাই বিক্রি করি। খেজুর পেড়ে পাকা অবস্থায় ৬-৭ দিন লাগে শুকাতে।আরইউ
    পটল চাষে ভাগ্য বদল শার্শার কৃষক রায়হান উদ্দিনের
    যশোরের শার্শায় পটল চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন রায়হান উদ্দিন (৬০) নামে এক কৃষক। দীর্ঘদিন ধরে পটল চাষ করে অভাবের সংসারে স্বচ্ছলতা এনেছেন তিনি। গত কয়েক বছর আগেও তাদের সংসারে অভাব অনটন লেগেই থাকতো। পটল চাষ করে তিনি ঘুরিয়েছেন ভাগ্যের চাকা ।রায়হান উদ্দিন উপজেলার শার্শা ইউনিয়নের বেড়ী গ্রামের তোফাজ্জেল খন্দকারের ছেলে। জানা যায়, কৃষক রায়হান ৩৩ শতক জমিতে মাচায় বোম্বাই জাতের পটলের চাষ করেছেন। সারিতে সারিতে রোপণ করা পটলগাছের একদিকে থোকায় থোকায় ফুটেছে ফুল, অন্যদিকে দেখা মিলছে ছোট-বড় পটল। তার ক্ষেত থেকে পটল উত্তোলন করা যাবে এখনও দুই থেকে তিন মাস। অন্যান্য ফসল থেকে পটলে বেশি লাভ হওয়ায় ভবিষ্যতে আরো বেশি জমিতে পটলের চাষ করবেন তিনি।উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে, এ বছর শার্শা উপজেলায় ৩৪৫ হেক্টর জমিতে পটলের চাষ হয়েছে। ফলন ও লাভ ভাল হওয়ায় এই উপজেলার কৃষকেরা পটল চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।পটল চাষি রায়হান উদ্দিন জানান, এক সময় তার সংসারে অভাব-অনটন লেগেই থাকতো। বর্তমানে পটল চাষ করে তার সংসারে স্বচ্ছলতা ফিরে এসেছে। এখন তার সে অভাব কেটে গেছে। এবার এক বিঘা জমিতে পটল চাষ করেছেন তিনি। এই জমিতে পটল চাষ করে তার খরচ হয়েছে প্রায় ২০ হাজার টাকা। খরচ বাদ দিয়ে এ পর্যন্ত তিনি ৭০ হাজার টাকা পটল বিক্রি করেছেন। তার ক্ষেত থেকে সপ্তাহে দুইবারে প্রায় ১৫-২০ মণ পটল তোলেন। উত্তোলন করা এ পটল তিনি উপজেলার সবচেয়ে বড় কাঁচাবাজার নাভারণ কাঁচামালের আড়তে ২৫-৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেন। অনেক সময় আবার পাইকারি ব্যবসায়ীরা মাঠ থেকেই পটল নিয়ে যান। আবহাওয়া ভালো থাকলে তার এই জমি থেকে আরো এক লাখ থেকে দেড় লাখ টাকার পটল বিক্রি করতে পারবেন বলে তিনি আশাবাদী। অন্যান্য ফসল তুলনায় পটলে বেশি লাভ হওয়ায় আগামীতে আরো বেশি জমিতে পটলের চাষ করবেন বলেও জানান তিনি।আরো কয়েকজন পটলচাষি জানান, তারা দীর্ঘদিন যাবত পটল চাষের সাথে যুক্ত আছেন। পটল চাষে তাদের দ্বিগুণ লাভ হয়। এবছর আবহাওয়া ভাল থাকায় তারা বেশি ফলন পাচ্ছেন। বাজারে বেশ ভালো দামে বিক্রি করতে পারছেন। এ বছর পটল চাষে তারা লাভবান হবেন। সারা বছর চাহিদা থাকায় এবং অন্য ফসলের থেকে অধিক লাভ হওয়ায় আগামীতে আরও বেশি জমিতে পটলের চাষ করবেন তারা। উপজেলা কৃষি অফিসার দীপক কুমার সাহা জানান, পটল একটি জনপ্রিয় সবজি। সারা বছর ধরেই কম-বেশি পাওয়া যায়। চলতি মৌসুমে শার্শা উপজেলায় অনেক চাষি পটল চাষ করে বেশ সাফল্য পেয়েছেন। এ বছর শার্শা উপজেলায় ৩৪৫ হেক্টর জমিতে পটল চাষ করেছেন কৃষকরা। কৃষকদের অর্থনৈতিকভাবে লাভবানের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে নিরাপদ সবজি চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।তিনি আরো জানান, উপজেলা কৃষি অফিস সব সময় আধুনিক পদ্ধতিতে পটল উৎপাদন এবং পোকা-মাকড় ও রোগ দমনে আইপিএম পদ্ধতিসহ বিভিন্ন কার্যকর পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কৃষি অফিস থেকে বীজ, সার দিয়ে কৃষকদের ধানের পাশাপাশি সবজি চাষে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে বলে তিনি জানান। আরইউ
    নার্সারির গ্রাম যশোরের বাসুদেবপুর
    যশোরের মণিরামপুর উপজেলার রোহিতা ইউনিয়নের বাসুদেবপুর নার্সারির গ্রাম হিসেবে পরিচিত পেয়েছে। যেদিকে চোখ পড়ে সেদিকে নার্সারি আর নার্সারি। বসতবাড়ির সামনে, পেছনে ও ছাদেও ফলদ, বনজ ও রকমারি ফুলের চারা উৎপাদন হয়। প্রতি বর্ষা মৌসুমে ১০ কোটি টাকার বেশি চারা বিক্রি হয়।জানা গেছে, বাসুদেবপুরে বিপুল পরিমাণে বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা উৎপাদন হয়।  বছরজুড়ে  কয়েকশ’ নার্সারিতে ফুল, ফল, মশলাসহ হরেক রকমের গাছের চারার বেচাকেনা চলে। ৩৫৬টি নার্সারি ছাড়াও গ্রামের প্রত্যেকটি বাড়িতে চারা উৎপাদন হয়। যশোর ও আশপাশের জেলাসহ সারাদেশে যায় এখানকার চারা। নার্সারি মালিকদের দেয়া হিসেব মতে, শুধুমাত্র বর্ষার তিন মাসে দশ কোটি টাকার ওপর চারা বিক্রি হয়। বছর জুড়ে চারা বিক্রি চললেও বর্ষা মৌসুমে সেটি বহুগুন বেড়ে যায়। বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারার মধ্যে বাসুদেবপুরে লিচু চারার বিক্রি হয় সবচেয়ে বেশি। দিনাজপুরের চাষিদের কাছে বাসুদেবপুরের লিচু চারার কদর অনেক।নার্সারি বাসুদেবপুরের মানুষের ভাগ্য বদলে দিয়েছে। গ্রামটিতে নিরব অর্থনৈতিক বিপ্লব ঘটে গেছে। নার্সারি ব্যবসা করে এখানকার বহু মানুষ সফল হয়েছেন। শূন্য থেকে কোটিপতিও হয়েছেন। লিজ নিয়ে নার্সারি গড়ে তুলে পরবর্তীতে জমি বাড়ির মালিক হয়েছেন। তাদের দেখাদেখি গ্রামের বাড়ি বাড়ি গড়ে উঠছে নার্সারি। বছরজুড়ে ১০ কোটিরও বেশি টাকার চারা বিক্রি হয় বাসুদেবপুরের কয়েক’শ নার্সারিতে। হতে চলল প্রায় অর্ধশতাব্দী। দীর্ঘ এই সময় ধরে নার্সারির ব্যবসা চলছে বাসুদেবপুরে। তবে শুরুর দিকের গল্পটা একটু অন্যরকম। ঠিক নার্সারি ব্যবসার চিন্তা থেকে এটির গোড়াপত্তন হয়নি। আজকের এই শত শত নার্সারি পথিকৃৎরা ‘বাচড়ায়’ (স্থানীয় ভাষায় পতিত জমি) দেশি মশলাসহ বিভিন্ন ফলের চারার আবাদ গড়ে তোলেন।নার্সারির গোড়াপত্তনকারী মোহাম্মদ আলী মেম্বার সারা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ চারা উৎপাদনকারী চাষি হিসেবে একবার পুরস্কারও পেয়েছেন। স্থানীয় নার্সারি মালিকদের দাবি, দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ পরিমাণ লিচুর চারা উৎপাদন হয় বাসুদেবপুরে। বষা মৌসুমেই ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকার লিচু চারা চারা বিক্রি হয়। এ ছাড়াও সারা বছর এখানে লিচুর চারা বিক্রি হয়।নার্সারি ব্যবসার গোড়াপত্তন বাসুদেবপুরে নার্সারি ব্যবসার যাত্রা শুরু হয় মোহাম্মদ আলী মেম্বারের হাত ধরে। স্বাধীনতা পূর্ববর্তী সময়ে তিনি নার্সারির ব্যবসা শুরু করেন। তার ছেলেরা এখন সেই নার্সারি ব্যবসার হাল ধরেছেন। পারিবারিকভাবে তার ছেলেরা নার্সারি ব্যবসায় যুক্ত হয়েছেন। তাদের এই নার্সারিটির নাম ‘পুরাতন নার্সারি’। ২২ বিঘার জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত এই নার্সারিটিতে কয়েকশ প্রজাতির লক্ষাধিক গাছের চারা রয়েছে।মোহাম্মদ আলীর ছোট ছেলে আনোয়ারুল ইসলাম জানান, তাদের নার্সারিটির নাম ‘পুরাতন নার্সারি’। এলাকার প্রথম নার্সারি বলে এটিকে বেশির ভাগ মানুষ পুরাতন নার্সারি বলে চেনেন ও এই নামেই ডাকেন। আর তার থেকেই এটির নামও হয়ে গেছে পুরাতন নার্সারি। কাগজ কলমেও এটির নাম পুরাতন নার্সারি। তাদের এই নার্সারিটির বয়স প্রায় ৫৫ বছর। তিনি দাবি করেন, তাদেরটি খুলনা বিভাগের প্রথম নার্সারি। এমন একটা সময় ছিলো যখন খুলনাসহ বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে ব্যবসায়িরা এসে তাদের এখান থেকে চারা সংগ্রহ করে বিক্রি করতেন।শত শত প্রজাতির চারা দেশি প্রজাতির পাশাপাশি বিদেশি ফলের চারারও উৎপাদন হয় বাসুদেবপুরে। এখানে স্ট্রবেরি, রাম্বুটান, অ্যাভোকেডো, ড্রাগন, থাই পেয়ারসহ ৩০ থেকে ৪০ প্রজাতির বিদেশি ফলের চারা তৈরি হয়। এ ছাড়া দেশি প্রজাতির ফলের বেশির ভাগই নার্সারিগুলোয় পাওয়া যায়। এসব ফলের ‘প্যাকেট চারা’ সারা বছর জুড়ে পাওয়া যায়।বর্ষাকালের চাক কেটে বিক্রি করা হয়। বর্ষাকালীন ৩ মাস এভাবে চারা বিক্রি হয়। প্যাকেটে রোপণ করা চারার পাশাপাশি টবে লাগানো ফুল-ফলের চারাও এখানে বিক্রি হয়। চুই, লবঙ্গ, তেজপাতা, দারুচিনি, গোল মরিচ, এলাচসহ বেশ কয়েক প্রজাতির মশলার চারার উৎপাদন ও বিক্রি হয় বাসুদেবপুরে। এসব মশলার গাছের একেকটি চারার দাম আকৃতি ভেদে ১০০ থেকে ২৫০ টাকা। মশলার এই চারাগুলোর মধ্যে গোলমরিচের চারা দাম একটু বেশি। একটি চারার দাম কমপক্ষে ২৫০ টাকা। চারা উৎপাদনের জন্য ভারত থেকে মশলার বীজ আমদানি করেন নার্সারি মালিকরা।২২ বিঘা জমির ওপর করা নার্সারি মালিক আনোয়ারুল ইসলাম জানান, তার বাবার হাত দিয়ে এখানে নার্সারি ব্যবসায় প্রসার ঘটে। বারোমাস তারা সারা দেশে চারা সরবরাহ করেন। তবে বর্ষা মৌসুমে বেচাবিক্রি বেশি হয়। তিনি জানান, গত বছর ৪২ লাখ টাকার চারা বিক্রি করেছেন। এ ছাড়া বর্ষা মৌসুম বাদেই সারা বছরে ৫ থেকে ১০ লাখ টাকার চারা বিক্রি করে থাকেন।বাসুদেবপুরের নার্সারি মালিক সমিতির সভাপতি মাহাবুবুর রহমান জানান, সারা গ্রামে ৩৬৫টিরও বেশি নার্সারি রয়েছে। এছাড়াও প্রত্যেক বাড়ির উঠোনো চারা আবাদ করেন সবাই। তিনি বলেন, ছোট নার্সারিগুলোতে স্বাভাবিকভাবে দেড় থেকে দুই লাখ টাকার টাকার বিক্রি হয়। বড়গুলোর বিক্রির পরিামাণ আরো অনেকগুণ বেশি। প্রতিবছর চারা বিক্রি থেকে বাসুদেবপুরে ১০ কোটি টাকার ওপর আর্থিক লেনদেন হয়।তিনি বলেন, নার্সারি চারা উৎপাদন করে না এমন পরিবার খুঁজে পাওয়া কঠিন বাসুদেবপুরে। বাড়িতে যার দুই কাঠা জমি রয়েছে নার্সারি করে লাভবান তারাও। নার্সারি ব্যবসায় এখন পাশের গ্রাম পলাশী ও চন্দ্রপুর ও হরিহর নদী পেরিয়ে পট্টি গ্রামেও ছড়িয়ে পড়েছে।মাহাবুবুর রহমান বলেন, বর্ষা মৌসুমে ৩৫ থেকে ৪০ ট্রাক লিচুর চারা যায় দিনাজপুরে। সারা দেশের মানুষ যে লিচু খায় সেই চারা বাসুদেবপুর থেকে যায়। দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ লিচুর চারা বাসুদেবপুরের নার্সারি থেকে উৎপাদন হয়।নার্সারিতে নারীদের কর্মসংস্থান গ্রামটির নার্সারিগুলোয় পুরুষদের মতো নারীদেরও কর্ম সংস্থান হয়েছে। ঘরগৃহস্থালীর কাজের ফাঁকে যখন ফুরসত মেলে নারীরা তখন নার্সারিতে কাজ করেন। এক্ষেত্রে নারীদের চারার প্যাকেটে মাটি ভরার কাজে লাগানো হয়। এখানকার নার্সাারিগুলোয় বিভিন্ন আকৃতির পলিথিন ব্যাগে মাটি ভর্তি করে রকমারি সব প্রজাতির গাছের চারা লাগিয়ে সংগ্রহে রাখা হয়। এভাবে সংগৃহীত চারা বাসুদেবপুরে ‘প্যাকেট চারা’ নামে পরিচিত।আরইউ

    Loading…