এইমাত্র
  • সমন্বয়ক রাফিকে শেষ করে দেওয়ার হুমকি ছাত্রলীগের সাবেক নেতা রব্বানীর
  • ছাদ ভেঙ্গে আহত বলিউড তারকা অর্জুন কাপুর
  • ‘টেসলা’র ধাক্কায় গুরুতর জখম অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন
  • 'পিনিক'র পোস্টারে খাঁচায় বন্দি চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী
  • সারা রাত শুটিং করতেও কষ্ট লাগে না: জান্নাতুল সুমাইয়া হিমি
  • নিখোঁজের সাতদিন পর সেপটিক ট্যাংকে মিলল যুবকের মরদেহ
  • ‘সংস্কারের নামে বিরাজনীতিকরণের দুরভিসন্ধি দেখতে চাই না’
  • কুষ্টিয়ায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক ৫
  • রাজনীতিতে একটি গুণগত পরিবর্তন আনতে হবে: আমির খসরু
  • রোহিত শর্মাকে অধিনায়ক করে ভারতের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দল ঘোষণা
  • আজ রবিবার, ৫ মাঘ, ১৪৩১ | ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫

    অর্থ-বাণিজ্য

    অবশেষে খেলাপি ঋণ পুনঃতপশিলে ফের বিশেষ সুবিধা দিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
    ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে খেলাপি ঋণ পুনঃতফশিলে আবারও বিশেষ সুবিধা দিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ঋণ পুনঃতফশিল, সুদ মওকুফ ও ঋণের মেয়াদ বাড়ানোর প্রক্রিয়াটি স্বচ্ছভাবে করতে বিভিন্ন খাতের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে ইচ্ছাকৃত খেলাপিরা এই সুযোগ পাবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র। ঋণ পুনঃতফসিল হলেও ঋণের মান পরিবর্তনের বিপক্ষে বিশ্লেষকরা। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে দেশের অনেক শিল্প কলকারখানা। এতে উৎপদন বন্ধসহ নানা জটিলতায় খেলাপি হয়ে পড়ছে অনেকে। আছে বিগত সরকারের আমলে রাজনৈতিক কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে খেলাপি হওয়ার ঘটনাও। এমন পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে ঋণ পুনঃতফশিলে আবারও বিশেষ সুবিধা দিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মাধ্যমে ডাউন পেমেন্টের শর্ত শিথিল, সুদ মওকুফ ও ঋণের মেয়াদ বাড়ানোর সুযোগ থাকবে। এই প্রক্রিয়াটি স্বচ্ছভাবে করতে বিভিন্ন খাতের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে পাঁচ সদস্যের যাচাই-বাছাই কমিটি গঠন করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ২০ কোটি টাকার বেশি ঋণের প্রস্তাব এই কমিটি বিবেচনা করবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত মুখপাত্র মোহাম্মদ শাহরিয়ার সিদ্দিক বলেন, ব্যাংকগুলো প্রথমে পর্যালোচনা করে সুপারিশ কমিটিতে পাঠাবে। সুপারিশ কমিটি তখন সেগুলো পর্যালোচনা করবে। তবে এখানে ইচ্ছাকৃত খেলাপি এই পর্যালোচনার মধ্যে আসবে না। ২০১৯ সালেও খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিল করতে সুযোগ দিয়েছিলো বাংলাদেশ ব্যাংক। যদিও এই সুযোগ পেয়েছিলো ক্ষমতাবান ব্যবসায়ীরা। নতুন এই কমিটি রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ আমলে না নিয়ে নির্মোহভাবে কাজ করলে সুফল মিলবে বলে মনে করছেন ব্যাংক নির্বাহীরা। আর ঋণ পুনঃতফসিল হলেও ঋণের মান পরিবর্তনের বিপক্ষে বিশ্লেষকরা। চলতি মাসে এ নিয়ে নির্দেশনা জারি করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এবি 
    ‘স্বপ্ন’তে মাত্র ৯৯ টাকার মিলছে এক ঝুড়ি শীতের সবজি
    চেইন সুপারশপ 'স্বপ্ন' এবার গ্রাহকদের কেনার সুবিধার্থে এনেছে শীতের সবজির মিক্স কম্বোর সাশ্রয়ী অফার। আজ শনিবার ঢাকা, কুমিল্লা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, ও সাভার জোনের নির্দিষ্ট আউটলেটে এই অফার থাকবে।  'স্বপ্ন' কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ছোট পরিবারের কেনার সুবিধার্থে এক ঝুড়ি সবজি দিয়ে কম্বো প্যাক করা হয়েছে। যেখানে পাওয়া যাবে ফুলকপি, লাউ, আলু, শিম, টমেটো, লেবু, শসা, বেগুন, গাজর ও পেঁয়াজের কলি। যার বিক্রয়মূল্য ধরা হয়েছে মাত্র ৯৯ টাকা। অফারটি চালু হয় গতকাল শুক্রবার থেকে। ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতার নাগালে থাকায় নতুন এ উদ্যোগ ইতিমধ্যে ভোক্তাদের মধ্যে বেশ সাড়াও ফেলেছে। পোশাকশ্রমিক, রিকশাচালক, দিনমজুরসহ বিভিন্ন পেশার মানুষেরা স্বপ্নের আউটলেট থেকে এসব পণ্য কিনছেন।এর আগে নিম্ন-মধ্যবিত্তদের সুবিধার্থে ২০০ গ্রাম গরুর মাংস ও ১০০ গ্রাম আলুর কম্বো প্যাক বিক্রি শুরু করে স্বপ্ন সুপার শপ। এ অফার চালুর পর আউটলেটে কেনাকাটার লাইন পড়ে যায়। এরপর আরও বেশকিছু কম্বো প্যাক চালু করে প্রতিষ্ঠানটি। 
    ভ্যাট বাড়ছে না মোবাইলে রিচার্জ, রেস্টুরেন্ট ও ওষুধের ওপর
    তীব্র সমালোচনার মুখে বাড়তি ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্ত আবারো পরিবর্তন করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। কমানো হচ্ছে মোবাইলে রিচার্জ, রেস্টুরেন্ট ও ওষুধের ওপর ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক। এরই মধ্যে জাতীয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর কে নির্দেশনা দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। নতুন ভ্যাট হারের আদেশ জারি হবে শিগগিরিই। এর আগে গত ৯ জানুয়ারি প্রায় শতাধিক পণ্যের ভ্যাট- সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হয়। যাতে, জীবনরক্ষাকারী ওষুধের উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট ২ দশমিক ৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩ শতাংশ করা হয়। ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৩ শতাংশ করা হয় মোবাইলে কথা বলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর সম্পূরক শুল্ক। আর হোটেল-রেস্টুরেন্টের ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে করা হয় ১৫ শতাংশ করা হয়। যার প্রতিবাদ জানান ব্যবসায়ীরা। দেয়া হয় কর্মসূচিও।এনবিআর সূত্র থেকে জানা যায়, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণের চতুর্থ কিস্তি ছাড়ের আগে বাংলাদেশকে কর-জিডিপি অনুপাত দশমিক ২ শতাংশ বাড়ানোর শর্ত দেয়। টাকার অঙ্কে যা ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রার (৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা) সঙ্গে যোগ করে আদায় করতে হবে। একই সঙ্গে আইএমএফ শর্ত দেয় যে, বকেয়া আদায় বা মামলা নিষ্পত্তির মাধ্যমে ১২ হাজার কোটি টাকা আদায় করলে চলবে না, অতিরিক্ত রাজস্ব আদায় করতে হবে বাজেট পদক্ষেপের মাধ্যমে। অর্থাৎ কর হার বাড়িয়ে-কমিয়ে। এ অবস্থায় এনবিআর ভ্যাটহার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। এরই ধারাবাহিকতায় ৯ জানুয়ারি প্রায় শতাধিক পণ্যের ভ্যাট- সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হয়। এ তালিকায় ছিল-জীবনরক্ষাকারী ওষুধ, বিস্কুট, আচার, টমেটো কেচাপ/সস, সিগারেট, জুস, টয়লেট টিস্যু, ন্যাপকিন, ফলমূল, সাবান, ডিটারজেন্ট পাউডার, মিষ্টি, চপ্পল (স্যান্ডেল), বিমান টিকিট। নতুন আদেশ অনুযায়ী, জীবনরক্ষাকারী ওষুধের ব্যবসায়ী পর্যায়ে ভ্যাট ২ দশমিক ৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩ শতাংশ করা হয়। এ কারণে ওষুধের দাম বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে ওষুধ কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকে এনবিআরকে জানানো হয়। একইভাবে মোবাইলে কথা বলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৩ শতাংশ করা হয়। এ নিয়ে সব মহলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এবি 
    সঞ্চয়পত্রে মুনাফার হার বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি
    জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের আওতায় পরিচালিত পাঁচটি সঞ্চয় কর্মসূচির মুনাফার হার বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি)। স্কিমের ধরন অনুযায়ী নতুন মুনাফার হার ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ পর্যন্ত করা হয়েছে। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এই মুনাফার হার কার্যকর হবে।রাষ্ট্রপতির আদেশে বুধবার (১৫ জানুয়ারি) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এতে সই করেছেন উপসচিব মকিমা বেগম।মুনাফার হার বাড়ানো পাঁচ স্কিমের মধ্যে রয়েছে- পরিবার সঞ্চয়পত্র, পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র, তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র, পেনশনার সঞ্চয়পত্র এবং পোস্ট অফিস ফিক্সড ডিপোজিট।সঞ্চয়পত্রের বিনিয়োগকারীদের দুটি ধাপ রাখা হচ্ছে। প্রথম ধাপ ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার নিচের বিনিয়োগকারী। আর দ্বিতীয় ধাপটি হলো ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার ওপরের বিনিয়োগকারী।পরিবার সঞ্চয়পত্রে সাড়ে ৭ লাখ টাকা বা তার কম বিনিয়োগ করা বিনিয়োগকারীরা সাড়ে ১২ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন। আর সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগকারীরা মুনাফা পাবেন ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ হারে।পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রের ক্ষেত্রে সাড়ে ৭ লাখ টাকা বা তার নিচের বিনিয়োগকারীদের জন্য মুনাফার হার নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ দশমিক ৪০ শতাংশ। আর সাড়ে ৭ লাখা টাকার বেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য মুনাফার হার হবে ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ।তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রে সাড়ে ৭ লাখ টাকা বা তার নিচের বিনিয়োগকারীদের জন্য মুনাফার হার হবে ১২ দশমিক ৩০ শতাংশ এবং সাড়ে ৭ লাখা টাকার বেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য মুনাফার হার হবে ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ।পেনশনার সঞ্চয়পত্রে সাড়ে ৭ লাখ টাকা বা তার নিচের বিনিয়োগকারীদের জন্য মুনাফার হার ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ এবং সাড়ে ৭ লাখা টাকার বেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ।এছাড়া পোস্ট অফিস ফিক্সড ডিপোজিটে সাড়ে ৭ লাখ টাকা বা তার নিচের বিনিয়োগকারীদের জন্য মুনাফার হার করা হচ্ছে ১২ দশমিক ৩০ শতাংশ। আর সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য মুনাফার হার হবে ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ।চলতি বছরের জানুয়ারি-জুন সময়ের মধ্যে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এই মুনাফার হার কার্যকর হবে। ছয় মাস পর জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের বিনিয়োগের মুনাফার হার পুনরায় নির্ধারণ করা হবে। তবে বিনিয়োগকারী ইস্যুকালীন সময়ে বিদ্যমান মুনাফার পর বিনিয়োগকালের পূর্ণ মেয়াদে পাবেন।অর্থাৎ ছয় মাস পর নতুন মুনাফার হার নির্ধারণ করা হলেও জানুয়ারি-জুন সময়ে যে মেয়াদ পর্যন্ত সঞ্চয়পত্র কেনা হবে, সেই সময় পর্যন্ত এখন যে হার নির্ধারণ করা হয়েছে, সেই হারে মুনাফা পাবেন বিনিয়োগকারীরা।জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের আওতায় ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড, ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড, ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ড এবং ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক সাধারণ হিসাব এই চারটি স্কিমের মুনাফার হার অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।এদিকে মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে সঞ্চয়পত্র নগদায়নের ক্ষেত্রে পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রে ১০ দশমিক ১১ শতাংশ থেকে ১২ দশমিক ৪০ শতাংশ, ৩ মাস অন্তর মুনাফা সঞ্চয়পত্রে ১১ শতাংশ থেকে ১২ দশমিক ৩০ শতাংশ, পেনশনার সঞ্চয়পত্রে ১০ দশমিক ১১ শতাংশ থেকে ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ, পরিবার সঞ্চয়পত্রে ১০ দশমিক ১১ শতাংশ থেকে ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং পেস্ট অফিস ফিক্সড ডিপোজিটে ১১ শতাংশ থেকে ১২ দশমিক ৩০ শতাংশ পর্যন্ত মুনাফা পাওয়া যাবে।পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রপ্রথম ধাপের বিনিয়োগকারীরা ৫ বছর বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১০ দশমিক ১৩ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১০ দশমিক ৬৪ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ১১ দশমিক ১৯ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ১১ দশমিক ৭৮ শতাংশ এবং পঞ্চম বছরে ১২ দশমিক ৪০ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন।দ্বিতীয় ধাপের বিনিয়োগকারীরারা মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১০ দশমিক ১১ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১০ দশমিক ৬২ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ১১ দশমিক ১৭ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ১১ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং পঞ্চম বছরে ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন।৩ মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রপ্রথম ধাপের বিনিয়োগকারীরা এই সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১১ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১১ দশমিক ৬৫ শতাংশ এবং তৃতীয় বছরে ১২ দশমিক ৩০ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন। দ্বিতীয় ধাপের বিনিয়োগকারীরা এই সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১১ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১১ দশমিক ৬১ শতাংশ এবং তৃতীয় বছরে ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন।পেনশনার সঞ্চয়পত্রপ্রথম ধাপের বিনিয়োগকারীরা এই সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১০ দশমিক ২৩ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১০ দশমিক ৭৫ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ১১ দশমিক ৩১ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ১১ দশমিক ৯১ শতাংশ এবং পঞ্চম বছরে ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন।দ্বিতীয় ধাপের বিনিয়োগকারীরা এই সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১০ দশমিক ১১ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১০ দশমিক ৬২ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ১১ দশমিক ১৭ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ১১ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং পঞ্চম বছরে ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন।পরিবার সঞ্চয়পত্রপ্রথম ধাপের বিনিয়োগকারীরা এই সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১০ দশমিক ২০ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১০ দশমিক ৭২ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ১১ দশমিক ৮৭ শতাংশ এবং পঞ্চম বছরে ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন।দ্বিতীয় ধাপের বিনিয়োগকারীরা এই সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১০ দশমিক ১১ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১০ দশমিক ৬২ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ১১ দশমিক ১৭ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ১১ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং পঞ্চম বছরে ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন।পোস্ট অফিস ফিক্সড ডিপোজিটপ্রথম ধাপের বিনিয়োগকারীরা এই সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১১ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১১ দশমিক ৬৫ শতাংশ এবং তৃতীয় বছরে ১২ দশমিক ৩০ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন। আর দ্বিতীয় ধাপের বিনিয়োগকারীরা প্রথম বছরে ১১ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১১ দশমিক ৬১ শতাংশ এবং তৃতীয় বছরে ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন।এইচএ
    রেমিট্যান্স পাঠানোর তালিকায় শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র
    যুক্তরাষ্ট্র থেকে গত তিন মাসে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় এসেছে বাংলাদেশে। এরপরই রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের অবস্থান। এ তথ্য দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।বার্তা সংস্থা ইউএনবির প্রতিবেদনে বলা হয়, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স আসা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। এতে বৈদেশিক মুদ্রা আসার দিক থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ছাড়িয়ে গেল যুক্তরাষ্ট্র।২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর-এই তিন মাসের প্রবাসীদের পাঠানো অর্থের বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে দেখা যায়, এই সময়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১৪০ কোটি মার্কিন ডলার বাংলাদেশে এসেছে। এরপরই রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। মধ্যপ্রাচ্যের এ দেশটি থেকে এসেছে ৯৯ কোটি ডলার। বাংলাদেশে রেমিট্যান্স আসা দেশগুলোর শীর্ষে রয়েছে সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, যুক্তরাজ্য, কুয়েত, ইতালি, ওমান, কাতার ও সিঙ্গাপুর।বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব বলছে, আগস্টে যুক্তরাষ্ট্র থেকে রেমিট্যান্স এসেছে ২৯ কোটি ৩৪ লাখ মার্কিন ডলার, সেপ্টেম্বরে সেটা ৩৪ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৩৯ কোটি ডলার। তবে গত কয়েক মাসে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা বাংলাদেশি প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠানো বাড়িয়ে দিয়েছেন। অক্টোবরে বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতির দেশটি থেকে ৫০ কোটি ডলার এসেছে। সেপ্টেম্বরের তুলনায় যা ২৮ শতাংশ বেশি। আর নভেম্বরে ৫১ কোটি ১৯ লাখ মার্কিন ডলার এসেছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে।গত ৫ মাসে রেমিন্স বেড়েছে ৩০০ কোটি মার্কিন ডলার এবং রপ্তানি বেড়েছে ২৫০ কোটি ডলার-এমন তথ্য জানিয়ে গত ১১ জানুয়ারি বাংলাদেশের ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু হয়নি, এখনো কেন্দ্রীয় ব্যাংকে চার মাসের রিজার্ভ রয়েছে। তবে সতর্ক থাকতে হবে।’প্রবাসে বাংলাদেশিদের রাজনৈতিক পরিচয়ে বিভাজন সবচেয়ে বড় সংকট উল্লেখ করে আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘সবাইকে বাংলাদেশের পক্ষে লবিং করতে হবে, নয়তো রাজনৈতিকভাবে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো অসম্ভব।ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স আনতে ২ দশমিক ৫ শতাংশ প্রণোদনা দেওয়ায় বছরে সরকারের ৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে বলেও জানান গভর্নর।  এফএস
    এলপিজির নতুন মূল্য নির্ধারণ, কার্যকর সন্ধ্যা থেকে
    দেশে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম ভোক্তাপর্যায়ে ১২ কেজিতে ৪ টাকা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ এবং সংশ্লিষ্ট প্রজ্ঞাপন ও আদেশ অনুযায়ী এলপিজির ওপর আরোপিত মূল্য সংযোজন করের (মুসক) হার পরিবর্তনের ফলে জানুয়ারি মাসের জন্য এলপিজির নতুন মূল্য ঘোষণা করেছে বিআইআরসি। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে নতুন মূল্যের ঘোষণা দেয় সংস্থাটি। নতুন মূল্য মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে কার্যকর হবে।বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, গ্রাহক পর্যায়ে প্রতি ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১,৪৫৯ টাকা, যা মাসের শুরুতে নির্ধারণ করা হয়েছিল ১,৪৫৫ টাকায়। এছাড়াও বেসরকারি এলপিজির রিটেইলার পয়েন্টে ভোক্তাপর্যায়ে মূসকসহ প্রতি কেজি গ্যাসের দাম ১২১.৫৬ টাকা ও রেটিকুলেটেড পদ্ধতিতে তরল অবস্থায় সরবরাহ করা গ্যাসের দাম ১১৭.৮১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।এছাড়াও গাড়িতে ব্যবহৃত এলপিজির (অটো গ্যাস) নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি লিটার ৬৭.২৭ টাকা, যা আগে ছিল ৬৬.৭৮ টাকা।এইচএ
    এবার ভারত থেকে জ্বালানি কিনছে বাংলাদেশ, খরচ ১১৩৭ কোটি
    ছাত্র-জনতার ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে গত বছর ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নেন। এরপর থেকেই শুরু হয় ঢাকা ও দিল্লির মধ্যকার সম্পর্কের টানাপোড়েন।  উভয় দেশের মধ্যে সীমান্তে উত্তেজনাও চলছে। অবশ্য সম্পর্কের এই উত্তেজনা সত্ত্বেও ভারত থেকে ডিজেল আমদানি অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ। সম্প্রতি অনুমোদিত এক সিদ্ধান্তের আলোকে শিগগিরই ভারত থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল আমদানি করবে বাংলাদেশ। আজ মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।সংবাদমাধ্যমটি বলছে, সীমান্ত ইস্যুতে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে উত্তেজনার ভেতরেই ভারতের নুমালিগড় রিফাইনারি লিমিটেড (এনআরএল) থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি)। গত রবিবার বিপিসির পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত অনুমোদন করা হয়েছে। বিপিসি’র বেশ কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, এই ডিজেল চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে আমদানি করা হবে এবং এর জন্য বাংলাদেশি টাকা খরচ হবে ১ হাজার ১৩৭ কোটি টাকা। এ বছর বিপিসির পরিশোধিত জ্বালানি তেলের চাহিদা ৭৪ লাখ মেট্রিক টন। এর মধ্যে ৪৬ লাখ টন ডিজেল, যার ৮০ শতাংশই সরাসরি আমদানি করা হয়ে থাকে।আর বাকি অংশ স্থানীয় শোধনাগার থেকে পাওয়া যায়। মূলত বিপিসি নিয়মিতভাবে ভারতের নুমালিগড় রিফাইনারি লিমিটেড (এনআরএল) থেকে পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করে থাকে। ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে এই তেল ট্রেনে করে বাংলাদেশে আসছে।এর আগে অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে ভারত থেকে ৫০ হাজার টন অ-বাসমতি সিদ্ধ চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।এবি 
    বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি ফ্লাইট চালুর ঘোষণা
    সমুদ্রের পর এবার আকাশপথেও বাংলাদেশের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করতে যাচ্ছে পাকিস্তান। চলতি বছর যেকোনো সময় চালু হবে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়াতে কাজ চলছে ভিসা জটিলতা নিরসন নিয়েও।ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নতুন করে আলোচনায় এসেছে পাকিস্তান-বাংলাদেশ সম্পর্ক। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে বেড়েছে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক যোগাযোগ। এরই মধ্যে করাচি ও চট্টগ্রাম বন্দরের মধ্যে সরাসরি জাহাজ চলাচলও শুরু হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে পাকিস্তানে প্রায় ৬২ মিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানির বিপরীতে বাংলাদেশ আমদানি করেছে ৬২৭ মিলিয়ন ডলারের পণ্য। বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে এবার ঢাকার সঙ্গে সরাসরি বিমানের ফ্লাইট চালুর ঘোষণা দিলেন ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানি হাইকমিশনার সৈয়দ আহমদ মারুফ।  সোমবার (১৩ জানুয়ারি) ঢাকা সফররত পাকিস্তানি ব্যবসায়ীদের নিয়ে রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সভায় তিনি বলেন, চলতি বছরই শুরু হচ্ছে সরাসরি বিমান চলাচল। তবে আগে বাংলাদেশি এয়ারলাইন্স ফ্লাইট চালু করলো নাকি পাকিস্তান এয়ারলাইন্স চালু করলো, সেটি কোনো বিষয় না। আমরা দুইদেশের মানুষের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করতে চাই। সভায় ফ্লাইটের পাশাপাশি ভিসা জটিলতার প্রসঙ্গও উঠে আসে। এসব সমাধান হলে বাংলাদেশের কৃষি, পর্যটন, টেক্সটাইল ও সিরামিকসহ বিভিন্ন খাতে পাকস্তানি বিনিয়োগের সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেন বক্তারা। ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান বলেন, বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যে ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি দেখা গেলেও কৃষি, বস্ত্র, ঔষধ, আইসিটিসহ সম্ভাবনাময় অনেক খাত এখনও অনাবিষ্কৃত থেকে গেছে। যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে উভয় দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বহুগুণ বাড়ানো সম্ভব।  বাংলাদেশ-পাকিস্তান বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদারের লক্ষ্যে দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (সার্ক) এবং ইসলামি সহযোগিতা সংস্থাকে (ওআইসি) কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জ্বালানি, শিক্ষা, প্রযুক্তি, মানবসম্পদ উন্নয়ন, গবেষণা ও উদ্ভাবন প্রভৃতি খাতে দুই দেশের নিবিড়ভাবে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। এফবিসিসিআই এবং এফপিসিসিআই সম্মিলিতভাবে বিভিন্ন কর্মশালা, সেমিনার, বিটুবি মিটিংসহ ’সিঙ্গেল কান্ট্রি ট্রেড ফেয়ার’ আয়োজনের উদ্যোগ নিতে পারে। এ সময় দি ফেডারেশন অব পাকিস্তান চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফপিসিসিআই) সভাপতি আতিফ ইকরাম শেখ বলেন, বাংলাদেশ-পাকিস্তানের মধ্যে বিপুল বাণিজ্য সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে কৃষি, ঔষধ, চামড়া, মেশিনারি, ক্যামিক্যাল, আইসিটি খাতে দু’দেশের এক সঙ্গে কাজ করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে আঞ্চলিক যোগাযোগের সুবিধাকে কাজে লাগানো যেতে পারে। এছাড়া সভায় ভিসা সহজিকরণ নিয়ে কাজ চলছে বলেও জানান পাকিস্তানি হাইকমিশনার সৈয়দ আহমদ মারুফ।এমআর
    ভ্যাট বসল বাচ্চাদের পানির বোতল ও টিফিন বক্সেও
    টিফিন বক্স ও পানির বোতল এখন মধ্যবিত্ত পরিবারের নিত্যপণ্যে পরিণত হয়েছে। শহর–গ্রামনির্বিশেষে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা প্লাস্টিকের তৈরি টিফিন বক্স ও পানির বোতল ব্যবহার করে থাকে। এতো দিন এসব পণ্যে কোনো ভ্যাট ছিল না। এবার প্লাস্টিকের তৈরি টিফিন বক্স ও পানির বোতলের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। উৎপাদন পর্যায়ে এই ভ্যাট বসবে। ফলে টিফিন বক্স ও পানির বোতলের দামও বাড়বে।গত বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) শতাধিক পণ্য ও সেবায় বাড়তি ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর বিষয়ে অধ্যাদেশ জারি করেছে সরকার।টিফিন বক্স ও পানির বোতল এখন মধ্যবিত্ত পরিবারের নিত্যপণ্যে পরিণত হয়েছে। উৎপাদন পর্যায়ে এই ভ্যাট বসলেও শেষ পর্যন্ত তা ভোক্তার ঘাড়েই চাপবে। এত দিন এসব পণ্যে কোনো ভ্যাট ছিল না।উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, একটি প্ল্যাস্টিকের পানির বোতলের দাম যদি হয় ১০০ টাকা, তাহলে উৎপাদন পর্যায়ে এই বোতলের জন্য ১৫ টাকা ভ্যাট দিতে হবে উৎপাদককে। ফলে উৎপাদন পর্যায়ে এই পানির বোতলের দাম ১৫ টাকা বেড়ে যাবে, যা শেষ পর্যন্ত ক্রেতাকেই দিতে হবে। একইভাবে টিফিন বক্সের দামও বাড়বে।এইচএ
    সঞ্চয়পত্র বিক্রি বন্ধ, ভোগান্তিতে গ্রাহক
    জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের সার্ভার আপগ্রেডেশনের কাজ চলমান। এতে বন্ধ আছে সব ধরনের সঞ্চয়পত্র বিক্রি। এ সম্পর্কিত কোনো তথ্য না পাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে সঞ্চয়পত্রের গ্রাহকদের।সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিসে অনেক গ্রাহক এসেছেন সঞ্চয়পত্র কেনার জন্য। অনেকেই বিরক্তি প্রকাশ করছেন। হেল্পডেস্ক থেকে ফর্ম পূরণে সহায়তা করা হলেও সার্ভার চালুর বিষয়ে কোনো তথ্য নেই বলে জানানো হচ্ছে আগতদের।তবে অধিদপ্তর বলছে, সার্ভার আপগ্রেডেশনের কাজ চলমান। এতে সাময়িক বন্ধ রয়েছে বিক্রি। সোমবার দুপুরের পর থেকে আবারও আগের মতোই সেবা পাবেন গ্রাহকরা।গ্রাহকরা বলেন, আমি আগে থেকে কোনো বার্তা পাইনি। এর আগেও আমার সঞ্চয়পত্র কেনা রয়েছে। নতুন করে ৫ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র কিনেছি কিন্তু জমা দেওয়ার জন্য দু’দিন ধরে ঘুরছি। কোনো তথ্যও পাচ্ছি না কবে নাগাদ সার্ভার ঠিক হবে। ব্যাংকের গ্রাহককে মোবাইলে এসএমএস করে জানিয়ে দেওয়া হয় কিন্তু অধিদপ্তর আমাদের জানায় নাই। কবে সার্ভার ঠিক হবে এটা জানাতে পারছেন না কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা। আমরাও আশা নিয়ে এসেছি সার্ভার ঠিক হবে বলে।বাংলাদেশ ব্যাংক মতিঝিল অফিসের এক অতিরিক্ত পরিচালক জানান, গত বুধবার থেকে সার্ভার ডাউন আছে। কবে ঠিক হবে, আমরা এ বিষয়ে কোনো কিছু জানি না। সার্ভার ঠিক হলে সবাই সেবা পাবেন। তবে সার্ভার ঠিক না হওয়া পর্যন্ত ফরম নিতে পারছেন, তবে জমা হচ্ছে না। কেউ চাইলে কাউন্টারে রেখে দিতে পারেন, সার্ভার ঠিক হলে আমরা জমা করে নেবো। সার্ভার ঠিক হওয়া অধিদপ্তরের কাজ।জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন ও জনসংযোগ) এবং উপসচিব মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম বলেন, সার্ভার আপগ্রেডেশনের কাজ বৃহস্পতিবার থেকে চলছে। কাজ সম্পন্ন হয়েছে, দুপুর ১২টার পর থেকে চালু হবে। সবাই সেবা নিতে পারবেন বলে আশা করছি।অন্যদিকে চলতি মাস থেকে সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার বাড়ছে। জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের আওতায় পরিচালিত সঞ্চয় কর্মসূচিগুলোর (স্কিমের ধরন অনুযায়ী) মুনাফার হার বেড়ে হতে যাচ্ছে ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ পর্যন্ত। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ বুধবার (৮ জানুয়ারি) বর্ধিত হার নির্ধারণের আদেশ জারি করতে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগকে (আইআরডি) অনুরোধ করে। অর্থ বিভাগের তৈরি এ বিষয়ে প্রস্তাব অনুমোদন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।মুনাফার এ হার ১২ দশমিক ২৫ থেকে ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ পর্যন্ত। অর্থাৎ বর্ধিত হারের কারণে কোনো সঞ্চয়পত্রের মুনাফা ১২ শতাংশের কম হবে না। সবচেয়ে কম মুনাফা (১২.২৫ শতাংশ) পাওয়া যাবে ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকের বিপরীতে। সবচেয়ে বেশি মুনাফা (১২.৫৫ শতাংশ) পাওয়া যাবে পেনশনার সঞ্চয়পত্রে। সুদহার পরিবর্তনের সঙ্গে বিনিয়োগকারীদের ধাপেও পরিবর্তন আনার কথা বলা হয়েছে পাঠানো চিঠিতে। বর্তমানে ১৫ লাখ টাকা; ১৫ লাখ ১ টাকা থেকে ৩০ লাখ টাকা এবং ৩০ লাখ ১ টাকার বেশি, এই তিন ধাপ রয়েছে। প্রতিটি ধাপে আলাদা মুনাফার হার রয়েছে। তবে নতুন নিয়মে দুটি ধাপের কথা বলা হয়েছে। একটি ধাপে ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার নিচের বিনিয়োগকারীরা। আর অপর ধাপে এর ওপরের বিনিয়োগকারীরা থাকবেন। এইচএ
    বছরের প্রথম ১১ দিনে এলো ৮৮৩৯ কোটি টাকার রেমিট্যান্স
    দেশে চলতি জানুয়ারি মাসের প্রথম ১১ দিনে বৈধপথে ৭৩ কোটি ৬৬ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ৮ হাজার ৮৩৯ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২০ টাকা হিসাবে)। দৈনিক গড়ে রেমিট্যান্স এসেছে ৬ কোটি ৬৯ লাখ ডলার।রবিবার (১২ জানুয়ারি) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, চলতি জানুয়ারি মাসের প্রথম ১১ দিনে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২০ কোটি ১৯ লাখ ৩০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ২ কোটি ৪৮ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫০ কোটি ৭৩ লাখ ৩০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২৫ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৬ মাসে দেশে এক হাজার ৩৭৭ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। আগের বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল এক হাজার ৮০ কোটি  মার্কিন ডলার। আলোচ্য সময়ের ব্যবধানে রেমিট্যান্স বৃদ্ধি পেয়েছে ২৯৭ কোটি ৭০ লাখ ডলার।চলতি অর্থবছরের জুলাইয়ে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার, আগস্টে এসেছে ২২২ কোটি ৪১ লাখ মার্কিন ডলার, সেপ্টেম্বরে এসেছে ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ মার্কিন ডলার, অক্টোবরে এসেছে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ ডলার, নভেম্বরে এসেছে ১৯৩ কোটি মার্কিন ডলার এবং ডিসেম্বর মাসে এসেছে ২৬৩ কোটি ৮৭ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।আগের অর্থবছর ২০২৩-২৪ এর জুলাইয়ে দেশে রেমিট্যান্স আসে ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ ডলার, আগস্টে আসে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ডলার, সেপ্টেম্বর মাসে আসে ১৩৩ কোটি ৪৩ লাখ, অক্টোবরে আসে ১৯৭ কোটি ১৪ লাখ ডলার, নভেম্বর মাসে আসে ১৯৩ কোটি ডলার, ডিসেম্বরে আসে ১৯৯ কোটি ১২ লাখ ডলার, জানুয়ারিতে আসে ২১১ কোটি ৩১ লাখ ডলার, ফেব্রুয়ারিতে আসে ২১৬ কোটি ৪৫ লাখ ডলার, মার্চ মাসে আসে ১৯৯ কোটি ৭০ লাখ ডলার, এপ্রিলে আসে ২০৪ কোটি ৪২ লাখ ডলার, মে মাসে আসে ২২৫ কোটি ৩৮ লাখ ডলার এবং জুন মাসে এসেছিল ২৫৪ কোটি ১৬ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।এবি 
    ২৭ হাজার মেট্রিক টন চাল এলো ভারত থেকে
    ভারত থেকে ২৬ হাজার ৯৩৫ মেট্রিক টন আমদানি করা চাল নিয়ে এমভি এসডিআর ইউনিভার্স জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে।শনিবার (১১ জানুয়ারি)  রাত ৭টা ১৫ মিনিটে উন্মুক্ত দরপত্র চুক্তির আওতায় ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের কাকিনাডা বন্দর থেকে চাল নিয়ে জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছায়। আজ রবিবার (১২ জানুয়ারি) জাহাজটি বন্দরের জেটিতে ভিড়বে। শনিবার (১১ জানুয়ারি) খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার ও জনসংযোগ কর্মকর্তা ইমদাদ ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।এতে বলা হয়, উন্মুক্ত দরপত্র চুক্তির আওতায় ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের কাকিনাডা বন্দর থেকে ২৬ হাজার ৯৩৫ মেট্রিক টন চাল নিয়ে এমভি এসডিআর ইউনিভার্স জাহাজটি রাত সোয়া ৭টায় চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গঠিত অন্তবর্তী সরকারের আমলে দ্বিতীয়বারের মতো ভারত থেকে চালের চালান এলো।জাহাজে রক্ষিত চালের নমুনা সংগ্রহ করে ভৌত পরীক্ষা শেষে দ্রুত খালাসের কাজ শুরু হবে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এজন্য ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।এর আগে গত ২৫ ডিসেম্বর ভারতের বন্দর থেকে ২৪ হাজার ৬৯০ টন সিদ্ধ চাল নিয়ে ‘এমভি টানিস ড্রিম’ চট্টগ্রাম বন্দরে আসে।এইচএ 
    রিজার্ভ নিয়ে ভয়ের কিছু নেই: গভর্নর
    দেশে এখনও চার মাস চলার মতো বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রয়েছে। তাই ভয়ের কিছু নেই বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মুনসুর। শনিবার (১১ জানুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেল ‘ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।গভর্নর বলেন, দেশে এখনও চার মাস চলার মতো বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রয়েছে। তাই ভয়ের কিছু নেই। তবে সতর্ক থাকতে হবে। গত ৫ মাসে রেমিট্যান্স বেড়েছে ৩ বিলিয়ন ডলার। রফতানি বেড়েছে ২.৫ বিলিয়ন ডলার।প্রবাসীদের সরাসরি ব্যাংকিং চ্যানেলে টাকা পাঠানোর অনুরোধ জানিয়ে তিনি আরও বলেন, সৌদি আরবকে টপকে রেমিট্যান্স পাঠানোয় দুবাই শীর্ষে উঠেছে। এটা ভালো লক্ষণ নয়। কারণ সৌদি আরব থেকে অর্থ প্রথমে দুবাই আসছে। সেখান থেকে বাংলাদেশে আসছে। দুবাইয়ের কিছু প্রতিষ্ঠান এই সুযোগে মুদ্রা বিনিময় হার ম্যানুপুলেট করার চেষ্টা করছে।প্রশিক্ষিত কর্মী বিদেশে পাঠাতে পারলে রেমিট্যান্স বছরে ৬০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা সম্ভব হবে বলেও জানান ড. আহসান এইচ মুনসুর। তিনি বলেন, এটা কঠিন কিছু না।বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) বিল পরিশোধের পর দেশের বৈদেশিক মুদ্রার গ্রস রিজার্ভ ২ হাজার ৪৯০ কোটি ডলারে নেমে এসেছে। এছাড়া বিপিএম-৬ গণনার মান অনুযায়ী রিজার্ভ এখন ২ হাজার কোটি ডলার হয়েছে। তবে গত ৮ জানুয়ারি বৈদেশিক মুদ্রার গ্রস রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৬৫৭ কোটি ডলার। আর বিপিএম-৬ হিসাবে রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ১৬৭ কোটি ডলার।এইচএ
    কমেছে সবজির দাম, আগের মতোই চাল-মুরগি-মাছ
    বাজারে শীতকালীন সব সবজির দাম ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে। তবে ডিমের দাম স্থিতিশীল আর চাল, মুরগি ও মাছের দাম আগের মতোই চড়া। বাজারে শীতকালীন সবজির সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দাম অনেকটাই কমে এসেছে। ফুলকপি, বাঁধাকপি ও টমেটোর দাম প্রতি কেজিতে ১০ টাকা করে কমেছে। বাকি সবজিগুলো আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে।  আজ শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার বাজারের পরিস্থিতি এমনটিই।প্রতিকেজি গোল ও লম্বা বেগুন আগের মতো ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি মুলা ২০ টাকা, পেঁপে ও শালগম ৩০ টাকা, প্রতি পিস ফুলকপি ও বাঁধাকপি ১৫-৩০ টাকা, প্রতি পিস লাউ ৪০-৫০ টাকা, কলার হালি ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতিকেজি কাঁচামরিচ ৬০-৮০ টাকা, শিম ৪০-৫০ টাকা, শসা ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।কাঁচাবাজারে গত সপ্তাহের মতো করলা,পটোল, ঝিঙা ও ধুন্দল প্রতি কেজি ৮০-১০০ টাকা, চিচিঙা ৬০ টাকা, গাজর ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। টমেটো ৫০-৬০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। লালশাক, পালং, কলমি শাক ১০ থেকে ১৫ টাকা প্রতি আঁটি বিক্রি হচ্ছে।কাঁচাবাজারে ব্যবসায়ী বলেন, শীতের সবজির প্রচুর সরবরাহ, দামও কম। বাজারে এখন প্রচুর আলু পাওয়া যাচ্ছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসছে দেশি আলু। এ জন্য দাম কমেছে। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ কেজি ৫০-৫৫ টাকা, ভারতীয় নতুন পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকা দরে। এছাড়া দেশি রসুন ২৫০ ও ভারতীয় রসুন প্রতি কেজি ২২০ টাকা, চীনা আদা ১৮০-২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।খোলা সয়াবিন তেল গত সপ্তাহের মতো প্রতি কেজি ১৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খোলা পাম তেল ও সুপার প্রতি কেজি ১৭৫ টাকা, বোতলজাত ৫ লিটার সয়াবিন ৮৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অপরিবর্তিত রয়েছে মুরগি ও গরুর মাংসের দাম। প্রতি কেজি সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৪০ টাকা দরে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২০০-২১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস প্রতিকেজি ৭৫০-৭৮০ টাকা, খাসির মাংস প্রতিকেজি ১১০০-১১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আকারভেদে প্রতিকেজি পাবদা মাছ ৩৫০-৪০০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ টাকা, ছোট রুই ২৫০ টাকা, ৪ থেকে ৫ কেজি ওজনের রুই ৪৫০ টাকা, টেংরা ৬৫০ টাকা, চাষের শিং ৪৫০ টাকা, পাঙাশ আকারভেদে ১৮০-২০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।আগের মতোই চড়া চালের বাজার। প্রতি কেজি নাজিরশাইল ৮০-৯০ টাকা, মানভেদে মিনিকেট ৮৫-৯০ টাকা, বিআর-২৮ চাল ৬০-৬৫ টাকায়, মোটা চাল (গুটিস্বর্ণা) ৫৫-৫৮ টাকা, পুরোনো আটাশ ৬৫ টাকা, পাইজাম ৬০ টাকা, কাটারিভোগ ৮৫ টাকা, বাসমতী ৯৪-৯৮ টাকা, পোলাওয়ের চাল ১২০ থেকে ১২৫ টাকা ও আমন ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। চাল ব্যবসায়ী বলেন, বাজারভেদে চালের দাম ৫-৬ টাকা কমবেশি হয়। এর কারণ সরবরাহ ও মজুত। কারও কাছে পুরোনো চাল থাকলে সে আগের দামে বিক্রি করতে পারে। তবে চালের দামের ঊর্ধ্বগতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। জুবায়ের নামে একজন ক্রেতা বলেন, ৭০ টাকার নিচে ভালো কোনো চাল নেই। ভরা মৌসুমে চালের এতদাম হলে অন্যসময় কী হবে?এইচএ 
    মুনাফার হার বাড়ছে সঞ্চয়পত্রে
    জাতীয় সঞ্চয় অধিদফতরের আওতায় পরিচালিত সঞ্চয় কর্মসূচিগুলোর (স্কিম) মুনাফার হার বাড়ছে। সঞ্চয়পত্রের ধরন অনুযায়ী এ হার বেড়ে হতে যাচ্ছে ১২ শতাংশের বেশি।বুধবার (৮ জানুয়ারি) বর্ধিত হার নির্ধারণের আদেশ জারি করতে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগকে (আইআরডি) অনুরোধ করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ।অর্থ বিভাগ আইআরডিকে বলেছে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস অর্থ বিভাগের তৈরি এ বিষয়ে প্রস্তাব অনুমোদন করেছেন। আর সুপারিশটি এসেছে অর্থসচিবের নেতৃত্বাধীন নগদ ও ঋণ ব্যবস্থাপনা কমিটি (সিডিএমসি) থেকে। এ কমিটিকে সহায়তা করেছে অর্থ বিভাগের ট্রেজারি ও ঋণ ব্যবস্থাপনা অনুবিভাগ।চিঠিতে বলা হয়, সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার নির্ধারণ করা হবে পাঁচ বছর মেয়াদি ও দুই বছর মেয়াদি ট্রেজারি বন্ডের গড় সুদের হার অনুযায়ী। প্রতি ছয় মাস পরপর ট্রেজারি বন্ডের সুদহার পর্যালোচনা করে সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার পুনঃনির্ধারণ করা হবে।বর্তমানে ৪টি সঞ্চয়পত্রের জন্য তিন ধরনের মুনাফার হার রয়েছে। নতুন পদ্ধতি অনুযায়ী, পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রের বিপরীতে সাড়ে ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত মুনাফার হার হবে ১২ দশমিক ৪০ শতাংশ। সাড়ে ৭ লাখ টাকা বা তার বেশি সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ।এছাড়া ৩ মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রের ক্ষেত্রে নতুন মুনাফার হার হবে ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে ১২ দশমিক ৩০ শতাংশ। তবে চলমান ব্যবস্থায় এই হার ৯ শতাংশ থেকে ১১ দশমিক ০৪ শতাংশ ।আর পরিবার সঞ্চয়পত্রের ক্ষেত্রে নতুন হার হবে ১২ দশমিক ৩৭ থেকে ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ। যেখানে চলমান ব্যবস্থায় মুনাফার হার ৯ দশমিক ৫০ থেকে ১১ দশমিক ৫০ শতাংশ।এদিকে নতুন ব্যবস্থায় পেনশনার স্কিমের বিপরীতে মুনাফার হার হবে ১২ দশমিক ৩৭ থেকে ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ। বর্তমানে যা ৯ দশমিক ৭৫ থেকে ১১ দশমিক ৭৬ শতাংশ।তবে ওয়েজ আর্নার্স বন্ড, ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ড ও ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ডের হার অপরিবর্তিত থাকবে।অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, শিগগিরই এ সংক্রান্ত সরকারি বিজ্ঞপ্তি আসবে। তবে ১ জানুয়ারি থেকে নতুন এই পদ্ধতি কার্যকর হবে।এইচএ

    Loading…