এইমাত্র
  • কোটালীপাড়ায় বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা
  • দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জামায়াতের আমীর
  • মানসিকতার পরিবর্তন না হলে সংস্কার কাজে আসবে না: নুর
  • বিএনপি ক্ষমতায় এসে গেছে মনে করে হাওয়ায় ভাসবেন না: মির্জা ফখরুল
  • খানসামায় যথাযথ মর্যাদায় বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত
  • চট্টগ্রামে তেলবাহী ট্যাংকারে বিস্ফোরণ, নিহত ১
  • মনিটাইজেশনের শর্ত আরও সহজ করলো ফেসবুক
  • শেরপুরে বন্যাদুর্গত অসহায় মানুষের পাশে বিজিবি
  • ডিবি কার্যালয়ে আয়নাঘর-ভাতের হোটেল থাকবে না: রেজাউল করিম
  • আগামী ৩ দিন আবহাওয়া কেমন থাকবে, জানালো অধিদপ্তর
  • আজ শনিবার, ২০ আশ্বিন, ১৪৩১ | ৫ অক্টোবর, ২০২৪

    অর্থ-বাণিজ্য

    মধ্যপ্রাচ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা, বিশ্ববাজারে বেড়েছে তেলের দাম
    মধ্যপ্রাচ্যে হামলা-সংঘাতের জেরে আজ সকালে বিশ্ববাজারে তেলের দাম কিছুটা বেড়েছে। লেবানন ও ইসরায়েলের হামলা এবং তার জেরে ইসরায়েলে ইরানের হামলার কারণে অপরিশোধিত তেলের সরবরাহ বিঘ্নিত হতে পারে—এই আশঙ্কায় দাম বেড়েছে। যদিও বিশ্ববাজারে তেলের সরবরাহ এখন যথেষ্ট।বার্তা সংস্থা রয়টার্সের সংবাদে বলা হয়েছে, আজ সকালে ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৬৪ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৮৭ শতাংশ বেড়ে ৭৪ দশমিক ৫৪ ডলারে উঠেছে। সেই সঙ্গে ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ক্রুড বা ডব্লিউটিআই ক্রুডের দাম ৭২ সেন্ট বেড়ে ব্যারেল প্রতি ৭০ দশমিক ৮২ ডলারে উঠেছে।আজ বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) ভোরে লেবাননের বৈরুত শহরের বাচুরা এলাকায় ইসরায়েলের বোমা বর্ষণে দুজন নিহত এবং ১১ জন আহত হয়েছেন। লেবাননে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।মঙ্গলবার ইসরায়েল-লেবাননে সংঘাতে ইরানও জড়িয়ে পড়ে। সেদিন রাতে তারা ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ১৮০টি উচ্চগতির ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। এর মধ্য দিয়ে এই সংঘাত ইসরায়েল ও লেবাননের বাইরে অন্যান্য দেশেও ছড়িয়ে পড়েছে।এই পরিস্থিতিতে তেলের দাম অনেকটা বেড়ে যাওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু গতকাল বুধবার হঠাৎ যুক্তরাষ্ট্রের অপরিশোধিত তেলের মজুত বাড়ানো হয়েছে। পাল্টাপাল্টি হামলার জেরে অপরিশোধিত তেলের সরবরাহ নিয়ে যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্র তেলের মজুত বৃদ্ধি করায় তা কিছুটা প্রশমিত হয়েছে।গত ২৭ সেপ্টেম্বর শেষ হওয়া সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের অপরিশোধিত তেলের মজুত ৩ দশমিক ৯ মিলিয়ন বা ৩৯ লাখ ব্যারেল বৃদ্ধি পেয়ে ৪১৭ মিলিয়ন বা ৪১ কোটি ৭০ লাখ ব্যারেলে উন্নীত হয়েছে। যদিও গত সপ্তাহে রয়টার্সের এক জরিপে বাজার বিশ্লেষকেরা ধারণা করেছিলেন, উল্টো যুক্তরাষ্ট্রের অপরিশোধিত তেলের মজুত ১৩ লাখ ব্যারেল কমবে।ইসরায়েল ইরানের তেলখনিতে হামলা চালালে বিশ্ববাজারে তেলের সরবরাহ কমবে। যদিও রয়টার্সের সংবাদে বলা হয়েছে, ওপেকের হাতে এখন বাড়তি তেল আছে। তবে ইরান ইসরায়েলের তেল পরিশোধনাগারে হামলা চালালে সরবরাহে টান পড়তে পারে, এ নিয়ে বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগ আছে।তবে এ ধরনের পরিস্থিতিতে সাধারণত যা হয়, এবারও তার অন্যথা হয়নি। সেটা হলো অনিশ্চয়তার মধ্যে বিনিয়োগকারীরা শেয়ার ছেড়ে সোনার মতো নিরাপদ বিনিয়োগমাধ্যম বেছে নিচ্ছেন। সে কারণে সোনার দাম গত কয়েক দিনে বেড়েছে, যদিও আজ তা কিছুটা কমেছে।একই সঙ্গে ইউরোর বিপরীতে মার্কিন ডলারের বিনিময় হার গত তিন সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠেছে। মার্কিন অর্থনৈতিক পরিসংখ্যান ইতিবাচক হওয়ায় এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা, বিশেষ করে কর্মবাজার বেশ শক্তিশালী। এই বাস্তবতায় বাজার আশা করছে, নভেম্বর মাসে ফেডারেল রিজার্ভ খুব বেশি হারে নীতি সুদহার কমাবে না। অন্যদিকে ইউরোপের যে বাস্তবতা, তাতে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক আগামী নভেম্বর মাসে নীতি সুদহার হ্রাস করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।এইচএ
    ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন প্রবাসীরা
    প্রবাসীদের আর্থিক ভিত্তিকে প্রসারিত করার লক্ষ্যে ব্যাংকগুলোকে ঋণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন নিয়মে একজন প্রবাসী ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন। এই ঋণ প্রবাসীরা ইচ্ছামতো প্রয়োজনীয় খাতে ব্যয়ও করতে পারবেন। আগে কেবল উচ্চ আয়ের প্রবাসীরা গৃহনির্মাণের কাজে একেবারে স্বল্প পরিমাণ কিছু ঋণ পেতেন। কিন্তু নতুন নীতিমালা অনুযায়ী ব্যাংক-গ্রাহকের সম্পর্ক ভিত্তিতে ঋণের সুদের হার নির্ধারণের কথা বলা হয়েছে।আজ বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে সকল অথোরাইসড ডিলারসকে (এডি) ঋণের বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছে।প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, যেসব বাংলাদেশি নাগরিক বিদেশে রয়েছেন (প্রবাসী) তারাই কেবল এই ঋণের জন্য বিবেচিত হবেন। আর বৈধভাবে পাঠানো রেমিট্যান্সের ভিত্তিতে ঋণ পাওয়ার যাবতীয় বিষয় নির্ধারণ করা হবে। প্রবাসীদের বৈধ চ্যানেলে পাঠানো রেমিট্যান্স থেকে ঋণের কিস্তি পরিশোধ করার বিধান রাখা হয়েছে। আর ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে দেশের ব্যাংকিং নীতিমালার প্রচলিত ধারা মেনে চলার জন্য বলা হয়েছে।সূত্র জানায়, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি তথা অধিক পরিমাণে জনশক্তি পাঠানোর জন্য প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সর্বদা কাজ করে যাচ্ছে। জনশক্তি ও কর্মসংস্থান ব্যুরোর (বিএমইটি) অধীনে বর্তমানে ১০৪টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং ছয়টি ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজিসহ মোট ১১০টি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ৫৫টি কর্মসংস্থান উপযোগী স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদী কোর্সে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশি কর্মীর সংখ্যা ১ কোটি ৫৫ লাখ ১৩ হাজার ৪৬০ জন।এফএস
    জুলাই-আগস্টে এডিপি বাস্তবায়ন রেকর্ড সর্বনিম্ন
    চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) অর্থ ব্যয় হয়েছে ৭ হাজার ১৪৩ কোটি টাকা, যা মোট এডিপি বরাদ্দের ২ দশমিক ৫৭ শতাংশ।চলতি অর্থবছরে সরকারের এডিপি বরাদ্দ ছিল ২ লাখ ৭৮ হাজার ২৮৮ কোটি টাকা।বুধবার বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) প্রকাশিত এডিপি বাস্তবায়নের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।যেখানে এডিপি বাস্তবায়নের এই হার এ যাবতকালের সর্বনিম্ন বলে জানানো হয়েছে।আইএমইডির ওয়েবসাইটে ২০১০-১১ অর্থবছর পর্যন্ত  তথ্য পাওয়া যায়। সেখানো কোনো অর্থবছরই এডিপি বাস্তবায়ন হার ৩ শতাংশের কম ছিল না।গত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এডিপি বাস্তবায়ন হার ছিল ৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ। এর আগের অর্থবছরে বাস্তবায়ন হার ছিল ৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ।আইএমইডির কর্মকর্তাদের ভাষ্য, অর্থবছরের শুরুতে সাধারণত প্রস্তুতিমূলক কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকেন প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মককর্তারা। এ কারণে অর্থবছরের শুরুতে এডিপি বাস্তবায়ন হার কম থাকে। এ ছাড়া জুলাই মাসজুড়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বাংলা ব্লকেড ও অযোহযোগ আন্দোলনের প্রভাবেও এডিপি বাস্তবায়নে প্রভাব পড়েছে।একই পরিস্থিতি ছিল আগস্ট মাসে। ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান এবং এর তিন দিন পর দেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। যার প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। কিন্তু আগস্ট মাসজুড়ে প্রশাসনে অস্থিরতা দেখা দেয়। এতে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডও স্থবির হয়ে পড়ে।আবার বিদেশি অর্থায়নের কিছু প্রকল্পে বিদেশি কর্মী, ঠিকাদার প্রতিনিধি ও পরামর্শকরা প্রকল্প ছেড়ে চলে যান। এতে প্রকল্প বাস্তবায়ন ব্যাহত হয়।আইএমইডির প্রতিবেদন অনুযায়ী, জুলাই-আগস্ট মাসে সরকারি তহবিল থেকে ৩ হাজার ২৪১ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে, যা সরকারি তহবিলের বরাদ্দের ১ দশমিক ৬৯ শতাংশ। এর আগে কোনো অর্থবছরে জুলাই-আগস্ট মাসে এত কম অর্থ ব্যয় হয়নি। গত অর্থবছরের একই সময়ে ব্যয় হয়েছিল ৬ হাজার ৮৫৪ কোটি টাকা, যা ওই অর্থবছরের এডিপিতে সরকারি তহবিলের বরাদ্দের ১ দশমিক ২৭ শতাংশ ছিল।বৈদেশিক সহায়তা খাতের বরাদ্দ থেকে চলতি অর্থবছরের জুলাই-আগস্ট মাসে ব্যয় হয়েছে ৩ দশমিক ১০ শতাংশ বা ৩ হাজার ৯৮ কোটি টাকা। গত অর্থবছরে বৈদেশিক তহবিল থেকে ব্যয় হয়েছিল ৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ।আইএমইডির তথ্য বলছে, জুলাই-আগস্ট মাসে সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাওয়া অনেক বড় মন্ত্রণালয় ও বিভাগও প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ শুরু করতে পারেনি। এরমধ্যে রয়েছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের এডিপি ০.০১ শতাংশ, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ ০.২৩ শতাংশ, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ০.৩৫ শতাংশ, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগ ০.০১ শতাংশ, সেতু বিভাগ ০.২৩ শতাংশ, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ০.০১ শতাংশ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ০.৯৬ শতাংশ এবং শিল্প মন্ত্রণালয় ০.৫৭ শতাংশ।এ ছাড়া সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাওয়া মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ বরাদ্দের ২.৪৭ শতাংশ, বিদ্যুৎ বিভাগ ৩.১৬ শতাংশ, সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগ ১.০৫ শতাংশ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ ১.৯৩ শতাংশ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ০.৬৫ শতাংশ এবং নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয় ০.৫০  শতাংশ অর্থ ব্যয় করেছে।এসএফ 
    ডিমের বাজারে আগুন : হালি ৬০ টাকা
    সরকার গত ১৫ সেপ্টেম্বর খুচরা বাজারে ডিমের দাম নির্ধারণ করে দেয়। সে অনুযায়ী খুচরায় ডিম বিক্রি হওয়ার কথা প্রতি পিস ১১ টাকা ৮৭ পয়সায়। অথচ বাজারে ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা করে। আর ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা করে। দাম নিয়ে ক্রেতাদের ক্ষোভ-অসন্তোষ থাকলেও সেসব পাত্তাই যেন দিচ্ছেন না বিক্রেতারা। দাম নিয়ে প্রশ্ন তুললেই তারা বলছেন, ‘নিলে নেন, না নিলে সামনে হাঁটেন।’বুধবার (২ অক্টোবর) রাজধানীর বাড্ডা-রামপুরা এলাকার বাজার ঘুরে ও ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্র দেখা গেছে।বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকারের কর্তা-ব্যক্তিরা অফিসে বসে একটা দাম নির্ধারণ করে দিয়েছেন, যেখানে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। তাদের দাবি, দেশের বাজারে মুরগির খাদ্যের প্রচুর দাম। তাছাড়া অতিরিক্ত গরমের জন্য খামারে ডিমের উৎপাদনও কমে গেছে। এ কারণে বাজারে সরবরাহ কমেছে। আর সরবরাহ কমায় ডিমের দাম বেড়ে গেছে। তবে বাজারে আসা ভোক্তাদেরও পাল্টা প্রশ্ন, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে আমদানি করা প্রতি পিস ডিম আমদানি খরচসহ ৭ টাকা দাম পড়লেও বাংলাদেশে উৎপাদিত ডিম কেন প্রতি পিস ১৪/১৫ টাকা হবে?বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে প্রতি ডজন বাদামি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকায়, যা সরকারের বেঁধে দেওয়া দামের চেয়ে প্রায় ২৮ টাকা বেশি। আর কেউ যদি পিস হিসেবে (এক ডজনের কম) কিনতে আসেন, সেক্ষেত্রে প্রতি পিসের দাম ১৫ টাকা, যা ডজন হিসেবে গিয়ে দাঁড়ায় ১৮০ টাকায়। অন্যদিকে ফার্মের মুরগির সাদা ডিমের ডজনও অধিকাংশ বাজারে ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে; কোথাও কোথাও অবশ্য ৫ টাকা কমেও পাওয়া যাচ্ছে। বাজারে গত সপ্তাহে সাদা ডিমের ডজন ছিল ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের দাম ডজন প্রতি ১০ টাকা করে বেড়েছে।ভোক্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ডিমের দাম নিয়ে ভোক্তা মহলে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। কেউ কেউ প্রকাশ্যেই বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ‘ব্যর্থ’ বলেও সমালোচনা করছেন। তাদের দাবি, ডিমের বাজারে এখনও শক্ত একটা সিন্ডিকেট কাজ করছে। আওয়ামী লীগের পতন হলেও বর্তমান সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। তা না হলে সরকার দাম নির্ধারণের ১৫ দিন চলে গেলেও কেন এখনও ডিমের দাম নিয়ন্ত্রণে আসছে না?ডিমের দাম প্রসঙ্গে রাফিউল হাসান নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, সরকার ডিমের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে অনেক আগেই। যেখানে সরকার নির্ধারিত দাম হওয়ার কথা প্রতি পিস ১০/১১ টাকা, সেখানে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা করে। এক হালি ডিম নিয়েছি ৬০ টাকায়। আমরা তো চেয়েছিলাম একটা নতুন সরকার এলে বাজারের সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে সবকিছুর একটা যৌক্তিক দাম নির্ধারণ করে দেবে। এখন পর্যন্ত তার কোনো প্রতিফলন নেই।তিনি বলেন, কিছুদিন আগে শুনেছিলাম ইন্ডিয়া থেকে কিছু ডিম বাংলাদেশে আনা হয়েছে, সেটা কি এখন আসছে না? যতটুকু জানি সেই ডিমের আমদানি খরচসহ প্রতি পিসের দাম পড়েছিল ৭ টাকা করে। সেটি যদি ১০ টাকা করেও বিক্রি হয়, তারপরও তো ভোক্তারা লাভবান হতো। কিন্তু সেটি কেন করা হচ্ছে না? কারও স্বার্থে কি সেই উদ্যোগ আটকে আছে?আফজাল হোসেন নামের আরেক ক্রেতা আক্ষেপ করে বলেন, আমাদের মতো যারা নিয়মিত মাছ মাংস খেতে পারে না, তাদের জন্য ডিমই ছিল ভরসা। এখন দেখি দিন দিন এর দামও বাড়তে শুরু করেছে। যে ডিমের দাম সর্বোচ্চ হওয়া উচিত ৩০/৩৫ টাকা হালি, সেটা এখন ৬০ টাকা। এগুলো দেখার কি কেউ আছে? কেউই নাই।এদিকে ডিমের দাম নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ-অসন্তোষ থাকলেও এসবের যেন কোনো পাত্তাই নেই বিক্রেতাদের কাছে। তাদের দাবি, আমরা সাধারণ বিক্রেতা। দাম নিয়ে  আমাদের সঙ্গে কিছু বলে লাভ নেই। আমরা ডিম কিনে আনি, এরপর বিক্রি করি। আমরা যদি কমে কিনে আনতে পারি, তাহলে কমে বিক্রি করতে আপত্তি নেই। আমাদের দিন শেষে ২/৪ টাকা লাভ থাকলেই হলো।রফিক মিয়া নামের এক বিক্রেতা বলেন, শুনেছিলাম কিছুদিন আগে সরকার ডিম ও মুরগির দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। কিন্তু পাইকারি বাজারে কিনতে গিয়ে দেখি উল্টো বেড়ে গেছে। আড়তদাররা বলছে বাজারে ডিমের সংকট আছে। জানি না হঠাৎ করে কেন সংকট তৈরি হলো। তবে আমাদের যদি বেশি দামে কিনে আনতে হয়, তাহলে তো সে অনুযায়ী একটু বাড়িয়েই বিক্রি করতে হবে।মনসুর আলী নামের আরেক বিক্রেতা বলেন, গতকাল (মঙ্গলবার) পাইকারি বিক্রেতার কাছ থেকে প্রতি পিস ডিম ১৩ টাকায় কিনেছি, এর সঙ্গে আছে পরিবহন খরচ। এছাড়াও প্রতিনিয়তই বেশ কিছু ডিম নষ্ট হয়। এসব হিসাব করেই আমাদের বিক্রি করতে হয়।তিনি আরও বলেন, অতিরিক্ত গরমের জন্য খামারে ডিমের উৎপাদনও কমে গেছে। যে কারণে পাইকারি বাজারে ডিমের সরবরাহ কম। এ কারণে বাড়তি দামে ডিম কিনতে হচ্ছে। ফলে খুচরা পর্যায়েও ডিমের দাম বেড়েছে।প্রসঙ্গত, গত ১৫ সেপ্টেম্বর মুরগি ও ডিমের দাম নির্ধারণ করে দেয় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ রেয়াজুল হকের সই করা এক চিঠিতে বলা হয়, ডিম খুচরা পর্যায়ে ১১ টাকা ৮৭ পয়সা, সোনালি মুরগি প্রতি কেজি ২৬৯ টাকা ৬৪ পয়সা এবং ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৭৯ টাকা ৫৯ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। চিঠিতে মুরগি (সোনালি ও ব্রয়লার) ও ডিমের নির্ধারিত যৌক্তিক মূল্য (উৎপাদক, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে) সঠিকভাবে বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়।এসএফ 
    বসুন্ধরা-বেক্সিমকোসহ ৭ কোম্পানির শেয়ার স্থানান্তরে নিষেধাজ্ঞা
    দেশের সাতটি কোম্পানির শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় এবং হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা চেয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। গত রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেলের মহাপরিচালক আহসান হাবিব স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। চিঠিটি যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদফতরের নিবন্ধক বরাবর পাঠানো হয়েছে।কোম্পানিগুলো হলো– বসুন্ধরা গ্রুপ, ওরিয়ন গ্রুপ, সামিট গ্রুপ, বেক্সিমকো গ্রুপ, এস আলম গ্রুপ, নাসা গ্রুপের সব প্রতিষ্ঠান ও থার্ড ওয়েভ টেকনোলজিস লিমিটেড (নগদ)।চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের আয়কর আইনের ২২৩ ধারার আওতায় এনবিআর কর ফাঁকি রোধে সম্পত্তির অন্তবর্তীকালীন অবরুদ্ধকরণ বা ক্রোকের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার ক্ষমতা সংরক্ষণ করে।এ কারণ দেখিয়ে ‘জনস্বার্থে’ এসব কোম্পানির শেয়ার স্থানান্তর (কেনাবেচা ও দান) স্থগিত করার অনুরোধ জানানো হয়েছে যৌথমূলধনী কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদফতরে পাঠানো চিঠিতে।চিঠিতে আরও বলা হয়– চলমান তদন্ত অনুযায়ী, এই কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে কর ফাঁকির অভিযোগসহ আর্থিক অনিয়মের বিষয়ে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরের শাসন অবসানের পর সরকারি দফতরের পাশাপাশি আর্থিক খাত এবং বড় কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে থাকা দুর্নীতি ও অনিয়মের বিষয়ে তৎপর হয় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রশাসন। তখনই বেক্সিমকো, বসুন্ধরা, সামিট, ওরিয়ন ও নাসার মালিকদের বিষয়ে অনুসন্ধানে নামে সিআইসি।এসএফ 
    সাকিব আল হাসান ও তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব তলব
    পুঁজিবাজারে কারসাজি ও আর্থিক অনিয়ম খতিয়ে দেখতে ক্রিকেট তারকা সাকিব আল হাসান ও তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের যাবতীয় তথ্য তলব করেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিএফআইইউ থেকে সাকিব আল হাসান ছাড়াও তার স্ত্রী উম্মে রোমান আহমেদ (সাকিব উম্মে আল হাসান), আবুল খায়ের হিরুর বাবা আবুল কালাম মাদবর, হিরুর ভাই মোহাম্মদ বাশার, বোন কনিকা আফরোজ ও ব্যবসায়ী মো. নাজমুল বাশার খানের ব্যক্তিগত ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়ে ব্যাংকগুলোকে চিঠি দেয় বিএফআইইউ।প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার লেনদেনে কারসাজি করে সিকিউরিটিজ আইন ভঙ্গ করায় পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) গত ২৪ সেপ্টেম্বর সাকিব আল হাসানকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করে। ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আবুল খায়ের হিরুকে জরিমানা করা হয় ২৫ লাখ টাকা। শেয়ার কারসাজির অভিযোগে হিরুর ব্যাংক হিসাব গত ২০ আগস্ট থেকে জব্দ রয়েছে।ক্রিকেট অল রাউন্ডার সাকিব আল হাসান আওয়ামী লীগ সরকারের মনোনয়ন নিয়ে গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাগুরা-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর আদাবর থানায় দায়ের করা একটি হত্যা মামলায় আসামি করা হয় সাকিব আল হাসানকে।
    প্রবাসী আয় আহরণে শীর্ষে ইসলামী ব্যাংক
    প্রতিবারের মতো এবারও সেপ্টেম্বরে প্রবাসীদের পছন্দের শীর্ষে উঠে এসেছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ। সবচেয়ে বেশি প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স এই ব্যাংকটির মাধ্যমে দেশে এসেছে। মোট প্রবাসী আয়ের প্রায় ১৭ শতাংশ এসেছে এই ব্যাংকে। গতকাল মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) রাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিদায়ী সেপ্টেম্বরের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।তথ্য অনুযায়ী, দেশে কার্যত (সরকারি, বেসরকারি, বিশেষ ও বিদেশি ব্যাংক) মোট ৬০ ব্যাংকের মাধ্যমে গত সেপ্টেম্বরে প্রবাসী আয় এসেছে ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার। এর মধ্যে ৭০ শতাংশ প্রবাসী আয় ১০টি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে। এ ছাড়া সাতটি ব্যাংকের মাধ্যমে দেশে কোনো প্রবাসী আয় আসেনি।সেপ্টেম্বরে প্রবাসী আয়ে শীর্ষ স্থানীয় ব্যাংকগুলো হলো—ইসলামী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক ও ঢাকা ব্যাংক। এর মধ্যে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৪০ কোটি ২৭ লাখ ৮০ হাজার ডলার, যা মোট প্রবাসী আয়ের ১৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৩২ কোটি ২১ লাখ ২০ হাজার ডলার, যা মোট আয়ের ১৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ। ট্রাস্ট ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ২৪ কোটি ৫৫ লাখ ৪০ হাজার ডলার, যা মোট আয়ের ১০ দশমিক ২১ শতাংশ। রূপালী ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১১ কোটি ৩৭ লাখ ডলার, যা মোট আয়ের চার দশমিক ৭৩ শতাংশ।বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১০ কোটি  ৯৯ লাখ ৮০ ডলার, যা মোট আয়ের চার দশমিক ৫৭ শতাংশ। জনতা ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১০ কোটি ৬৫ লাখ ৪০ হাজার ডলার, যা মোট আয়ের চার দশমিক ৪৩ শতাংশ। সিটি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১০ কোটি ১৫ লাখ ৩০ হাজার ডলার, যা মোট আয়ের চার দশমিক ২২ শতাংশ। ব্র্যাক ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৯ কোটি ৯৯ লাখ ৩০ হাজার ডলার, যা মোট আয়ের চার দশমিক ১৬ শতাংশ। সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৯ কোটি ৫৭ লাখ ৯০ হাজার ডলার, যা মোট আয়ের তিন দশমিক ৯৮ শতাংশ। ঢাকা ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে আট কোটি ৪৩ লাখ ৯০ হাজার ডলার, যা মোট আয়ের তিন দশমিক ৫১ শতাংশ।যে ৭ ব্যাংকের মাধ্যমে দেশে কোনো প্রবাসী আয় আসেনি সেগুলো হলো—হাবিব ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকার), বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, কমিউনিটি ব্যাংক, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান ও স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া।অতীতের চেয়ে প্রবাসী আয়ের প্রবৃদ্ধি বেড়েছে জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা বলেন, সেপ্টেম্বরে ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী আয় আহরণে শীর্ষে উঠে এসেছে। বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে সচেতনতা বাড়ানোর কারণে এখন হুন্ডি বা অবৈধভাবে রেমিট্যান্স পাঠানোর প্রবণতা কমেছে।এইচএ
    লাল তালিকামুক্ত হলো সব পাকিস্তানি পণ্য
    নিরাপত্তার অজুহাত দিয়ে পাকিস্তান থেকে আমদানি করা অধিকাংশ পণ্য ‘লাল তালিকাযুক্ত’ করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। দীর্ঘদিন পর গত ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে দেশটির পণ্যগুলো ‘লাল তালিকামুক্ত’ করা হয়েছে।দেশে আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতা নেওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে আধিপত্য বাড়ে ভারতের। বাংলাদেশের সব ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করে দেশটি। তারই অংশ হিসেবে পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য কমাতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে বাধ্য করে তারা।এর আগে গত ১০ সেপ্টেম্বর অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে দেখা করেন বাংলাদেশে পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ। সে সময় তিনি জানান, বাংলাদেশের সঙ্গে স্তিমিত হয়ে পড়া দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্ক জোরালো করতে চায় পাকিস্তান।অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছিলেন, অনেক দিন ধরে বিভিন্ন কারণে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য স্তিমিত হয়ে পড়েছিল। পাকিস্তান এখন আবার বাণিজ্য করতে আগ্রহী।এই আহ্বানের পর গতকাল একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনবিআর। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে পাকিস্তান থেকে আসা সব ধরনের পণ্য অ্যাসাইকুডা ওয়ার্লড পদ্ধতির রেডলেন থেকে অবমুক্ত করা হয়েছে।শুধু পাকিস্তানের পণ্য এই রেডলেনে ছিল। ন্যাশনাল সিলেকটিভিটি ক্রাইটেরিয়ার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ায় এই পণ্যগুলো রেডলেন থেকে অবমুক্ত করা হয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।এনবিআর বলছে, মাদকদ্রব্যসহ নিষিদ্ধ পণ্যে কঠোরতা রেখে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি ও পণ্য খালাসের ক্ষেত্রে সহজ পদ্ধতির পথে হাঁটছে এনবিআর। এতে করে দেশে উৎপাদনমুখী পণ্যের কাঁচামাল আমদানিতে কোনো ধরনের জটিলতা থাকবে না।এনবিআরের প্রজ্ঞাপনটিতে বলা হয়, পাকিস্তান থেকে আসা সব পণ্যচালান ন্যাশনাল সিলেকটিভ ক্রাইটেরিয়া কর্তৃক শতভাগ কায়িক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত হচ্ছে। ফলে রেডলেন থেকে অবমুক্তকরণে অ্যাসিস্ট্যান্ট বা ডেপুটি কমিশনার পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অধিক সময় ব্যয় হচ্ছে। তা ছাড়া কায়িক পরীক্ষায় উল্লেখযোগ্য কোনো ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে না, তাই ঢাকা কাস্টম হাউজকে ন্যাশনাল ক্রাইটেরিয়া থেকে বাইরে রাখার জন্য বলা হয়েছে।সূত্র জানায়, বাংলাদেশের চামড়া, টেক্সটাইল ও গার্মেন্টস খাতে পাকিস্তানিদের বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ রয়েছে। পাকিস্তান সরকারের তথ্য মতে, ২০২৩ সালেও বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানে রপ্তানি হয়েছে ছয় কোটি ৩৩ লাখ ডলারের বেশি পণ্য। পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে আমদানি হয়েছে ৬৫ কোটি ৫ লাখ ডলারের পণ্য।এমআর
    বেক্সিমকোর শেয়ার কারসাজি, ৪২৮ কোটি টাকা জরিমানা
    শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানির (বেক্সিমকো) শেয়ার লেনদেনে কারসাজির ঘটনায় ৯ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ৪২৮ কোটি ৭ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সভায় মঙ্গলবার এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়াও কমিশন সভায় আরও ৯টি কোম্পানির আইপিও (প্রাথমিক শেয়ার) অর্থ ব্যবহারের বিষয়টি পরিদর্শন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিএসইসির মুখপাত্র ফারহানা ফারুকী স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। দেশের শেয়ারবাজারের ইতিহাসে কারসাজির বিরুদ্ধে এটি সবচেয়ে বড় জরিমানা। কোম্পানিটির মালিক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা বহুল সমালোচিত ব্যবসায়ী সালমান এফ রহমান।যাদের জরিমানা করা হয়েছে, তারা হলেন- মারজানা রহমানকে ৩০ কোটি, ট্রেড নেক্সট ইন্টারন্যাশনালকে ৪ কোটি ১ লাখ, মুশফিকুর রহমানকে ১২৫ কোটি, মমতাজুর রহমানকে ৫৮ কোটি, জুপিটার বিজনেসকে ২২ কোটি ৫০ লাখ, এপোলো ট্রেডিংকে ১৫ কোটি ১ লাখ, এআরটি ইন্টারন্যাশনালকে ৭০ কোটি, আব্দুর রউফকে ৩১ কোটি ও ক্রিসেন্টকে ৭৩ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, এসব অভিযুক্তরা ২০২১ সালের ২৮ জুলাই থেকে ২০২২ সালের ১০ মার্চ পর্যন্ত ৭ মাস ১০ দিনে সংঘবদ্ধভাবে কোম্পানিটির শেয়ার অস্বাভাবিকভাবে লেনদেন করেন। এ ধরনের কাজ সিকিউরিটিজ আইনের লঙ্ঘন। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে পাঠানো রিপোর্টের ভিত্তি করে সংশ্লিষ্টদের শুনানির মাধ্যমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সূত্র আরও জানায় কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কারসাজির বিষয়টি সবার জানা ছিল। কিন্তু বেক্সিমকোর মালিক সালমান এফ রহমান অত্যন্ত প্রভাবশালী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এ সময়ে অনেক বড় উদ্যোক্তাকে জোর করে শেয়ার কিনতে বাধ্য করেছেন। শেয়ারের দাম অনেক বেশি বেড়ে গেলে কেউ কেউ শেয়ার বিক্রি করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাদেরকে বিক্রি করতে না দিয়ে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করা হয়েছে। এ ছাড়া ১৯৯৬ এবং ২০২০-১১ সালের শেয়ার কেলেঙ্কারিতেও সালমান এফ রহমানের নাম আছে। গত ৫ আগস্ট দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হলে সালমান এফ রহমান পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পরবর্তীতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হন তিনি। কয়েক দফার রিমান্ড শেষে বর্তমানে কারাগারে আছেন আর্থিক খাতের বহু বির্তকিত এই ব্যবসায়ী। অন্যদিকে আরও ৯টি কোম্পানি পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি। এসব কোম্পানিগুলো আইপিওর মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ করে কোন কাজে ব্যবহার করেছে তা খতিয়ে দেখবে। কোম্পানিগুলো হলো- বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, বেস্ট হোল্ডিংস (লা মেরিডিয়ান হোটেল), ইনডেক্স এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ, জেএমআই হসপিটাল অ্যান্ড রিকুইজিট মেন্যুফ্যাকচারিং, লুব রেফ (বাংলাদেশ), নাভানা ফার্মাসিউটিক্যাল, রিং শাইন টেক্সটাইল, সিকদার ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি এবং সিলভা ফার্মাসিউটিক্যালস।এসএফ 
    সেপ্টেম্বরে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২৪০ কোটি ডলার
    চলতি অর্থবছরের সেপ্টেম্বর মাসে দেশে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এই মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ মার্কিন ডলার (২৮ হাজার ৮৫৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা)।  আজ মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, সেপ্টেম্বর মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার। অন্যদিকে আগস্টে রেমিট্যান্স এসেছিল ২২২ কোটি ১৩ লাখ ডলার। সে হিসাবে সেপ্টেম্বর রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে। এ মাসে প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ৮ কোটি ২ লাখ ডলার।আগের বছরের (২০২৩ সাল) সেপ্টেম্বর মাসে প্রবাসী আয় এসেছিল ১৩৩ কোটি ডলার। আর চলতি বছরের (২০২৪ সাল) সেপ্টেম্বর মাসে প্রবাসী আয় এসেছে ২৪০ কোটি ডলার। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ১০৭ কোটি ডলার। সেই হিসেবে এই সময়ের মধ্যে প্রবাসী আয় বেড়েছে ৮২ দশমিক ২০ শতাংশ।  বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সেপ্টেম্বরে আসা প্রবাসী আয় রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৬৩ কোটি ৮২ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ১০ কোটি ৯৯ লাখ ৮০ হাজার ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ১৬৫ কোটি ৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৬২ লাখ ১০ হাজার ডলার।এর আগে, গত জুন মাসে ২৫৩ কোটি ৮৬ লাখ ডলার রেমিট্যান্স আসার পর চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে প্রবাসী আয় এসেছিল প্রায় ১৯১ কোটি মার্কিন ডলার। যা গত ১০ মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম আয় ছিল।এসএফ
    বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্ভার ত্রুটিতে চেক ক্লিয়া‌রিং‌ বা‌তিল
    কারিগরি ত্রুটি দেখা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্ভারে। এ কারণে আন্তঃব্যাংক লেনদেন নিষ্পত্তিতে সমস্যা দেখা দিয়েছে। ফলে সোমবারের (৩০ সেপ্টেম্বর) নিষ্পত্তিকৃত সব ক্লিয়ারিং চেকের সেটেলমেন্ট বাতিল করা হয়েছে।মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হোসনে আরা শিখা এ তথ্য নি‌শ্চিত ক‌রে‌ছেন।তিনি বলেন, গতকাল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্ভারের কারিগরি ত্রুটির কারণে চেক ক্লিয়ারিংয়ের সমস্যা হয়। ফলে সোমবার যে চেকগু‌লো এসেছে, তার ক্লিয়ারিং করা সম্ভব হয়‌নি।হোসনে আরা শিখা বলেন, সার্ভারের সমস্যা সমাধানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কারিগরি টিম কাজ করছে। খুব শিগগিরই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানান, সোমবার রাত ৯টায় সার্ভারে ত্রুটি ধরা পড়ে। রাত ২টা পর্যন্ত সমাধানের চেষ্টা করেও সমাধান না হওয়ায় সোমবারের নিষ্পত্তি হওয়া সব চেকের সেটেলমেন্ট বাতিল করা হয়।এসএফ 
    গুজব রটিয়ে কারখানায় অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করা হচ্ছে: বিজিএমইএ
    কারখানার নিরাপত্তা নিয়ে অসন্তুষ্ট পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা। তাদের অভিযোগ, নিখোঁজের গুজব রটিয়ে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করা হচ্ছে। সময়মতো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা মিলছে না।সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তারা।এতে বিজিএমইএ’র জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আবদুল্লাহ হিল রাকিব বলেন, আমরা নিরাপত্তার দাবি জানাচ্ছি, তা না হলে শ্রমিক অসন্তোষের কারণে আমাদের কারখানাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে।শ্রমিকদের ১৮ দফা দাবি আদায়ের পরও পোশাক খাতে অসন্তোষ বিরাজ করছে। কারণ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির সুযোগ নিয়ে কিছু মহল গুজব ছড়াচ্ছে বলে মন্তব্য পোষাক কারখানার উদ্যোক্তাদের।সংবাদ সম্মেলনে শ্রমিকদের মতো মালিকরাও নিরাপদ কর্ম পরিবেশের দাবি তুলেছেন। বলেন, নিরাপত্তা দেয়ার দায়িত্ব সরকারের। এ বিষয়ে কঠোর অবস্থান নিতে হবে। তদন্ত করে নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান বিজিএমইএ’র সদস্যরা।তারা আরও বলেন, বিভিন্ন কারখানায় সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ছে। ভালো প্রতিষ্ঠানও আক্রান্ত হচ্ছে। ক্রেতা প্রতিষ্ঠান আর কোনো অজুহাত শুনতে চায় না।এসএফ
    ৪০ লাখ শ্রমিক পাবে টিসিবির পণ্য, ১ অক্টোবর থেকে বিতরণ
    ৪০ লাখ শ্রমিককে টিসিবির ন্যায্যমূল্যের পণ্য দেবে সরকার। আগামী ১ অক্টোবর থেকে শ্রমঘন এলাকায় এ কার্যক্রম উদ্বোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে গ্রামীণফোনের চেক গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা এ কথা জানান।শ্রম উপদেষ্টা বলেন, আমরা বিশ্বাস করি বাংলাদেশের যে ব্যবস্থাগুলো আছে সেগুলো যদি আমরা সচল করতে পারি তাহলে বাংলাদেশের অধিকাংশ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। নতুন কিছু না করলেও।তিনি বলেন, কিছুদিন আগে শ্রমিকদের যে ১৮টি দফা ছিল মালিক এবং শ্রমিক পক্ষের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সেই দফাগুলোর সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করেছি। যে দাবিগুলো মেনে নেওয়া হয়েছে সেগুলো বাস্তবায়নের জোর দেওয়া হচ্ছে।আগামী ১ অক্টোবর থেকে শ্রমঘন এলাকায় এ কার্যক্রম উদ্বোধন করা হবে। শ্রমিকরা ন্যায্যমূলে প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে পারবেন।শ্রম সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, আমরা শ্রমিকদের জন্য সুখবর দিতে চাই। শ্রমিকদের ১৮ দফার মধ্যে একটি বিশেষ দফা ছিল তাদের রেশনের বিষয়। সেটা নিয়ে আমরা এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছি। আজ আমরা মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি আগামী ১ অক্টোবর আশুলিয়ায় টিসিবির পণ্য শ্রমিকদের বিতরণের জন্য উদ্বোধন করবো। টিসিবির আওতায় এক কোটি পরিবারের বাইরে অতিরিক্ত হিসেবে শ্রমঘন এলাকায় আমরা বাড়াবো। উপদেষ্টা উপস্থিত হয়ে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন। আমরা ৪০ লাখ শ্রমিককে পর্যায়ক্রমে টিসিবির ন্যায্য মূল্যের পণ্য দেব।আসিফ মাহমুদ বলেন, মূলত শ্রমিকদের কল্যাণের জন্য শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন গঠিত হয়। কিন্তু আমাদের অধিকাংশ শ্রমিকই জানে না যে তাদের জন্য এমন একটি ফান্ড রয়েছে। কীভাবে আবেদন করতে হবে হয়তো সেই প্রক্রিয়াটাও জানা নেই। এরই মধ্যে এই ফান্ড ব্যবস্থাপনা নিয়ে অস্বচ্ছতা এবং অনেক প্রশ্ন ছিল।তিনি বলেন, শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের অর্থ ব্যবস্থাপনা নিয়ে কোনো কোনো সমস্যা থাকলে সেগুলো তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।এখন পর্যন্ত ৩০ হাজার ২৮৫ জন শ্রমিককে শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের তহবিল থেকে সহায়তা দেওয়া হয়েছে।‌ ১৪১ কোটি ৬৬ লাখ টাকা সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এখন তহবিলে জমা আছে এক হাজার ২৬ কোটি টাকা বলেও জানান উপদেষ্টা।শ্রম উপদেষ্টা বলেন, এটা শ্রমিকদেরই অর্থ। কোম্পানিগুলো এখানে অংশগ্রহণের মাধ্যমে এটা আমাদের কাছে আমানত হিসেবে রাখে। আমরা সেটা সঠিকভাবে জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে শ্রমিকদের কাছে পৌঁছে দিতে চাই। এই তথ্যগুলো যে কোম্পানিগুলো অংশগ্রহণ করে তারাও যাতে দেখতে পারেন। একই সঙ্গে শ্রমিকরা আবেদন করলে যাতে তারা ফলোআপটা রাখতে পারেন তার আবেদনটা কোন অবস্থায় আছে, সেজন্য এটাকে আমরা সম্পূর্ণভাবে ডিজিটালাইজড করার পরিকল্পনা নিয়েছি। ডিজিটাল পদ্ধতিতে আমরা এটার বিতরণ করবো।আসিফ মাহমুদ বলেন, যে কোম্পানিগুলো এ তহবিলে অংশগ্রহণ করছেন না তাদের কীভাবে এর আওতাভুক্ত করা যায় আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করবো।উপদেষ্টা বলেন, শ্রমিকদের ১৮ দফার সমাধান আমরা দিয়েছি। যে দাবিগুলো মেনে নেওয়া হয়েছে সেগুলো বাস্তবায়নে জোর দেওয়া হচ্ছে।যেখানে শ্রমিকরা অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত সেখানে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন শ্রম কর্মসংস্থান উপদেষ্টা।দু-একটি জায়গায় এখনো শ্রমিক অসন্তোষ রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা সেগুলো নিয়ে কাজ করছি।এসএফ 
    ২৮ দিনেই দুই বিলিয়ন ডলার ছাড়ালো রেমিট্যান্স
    প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্সে গত মাস আগস্টের ধারাবাহিকতা রয়েছে চলতি মাস সেপ্টেম্বরেও। চলতি মাসের চার সপ্তাহেই দুই বিলিয়ন ডলার (২১১ কোটি ডলার) ছাড়িয়েছে রেমিট্যান্স, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২০ টাকা হিসাবে) ২৫ হাজার ৩৫৭ কোটি টাকার বেশি।বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, চলতি (সেপ্টেম্বর) মাসের প্রথম ২৮ দিনে ২১১ কোটি ৩১ লাখ ১০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। আর প্রতিদিন আসছে গড়ে ৭ কোটি ৫৫ লাখ ডলার বা ৯০৬ কোটি টাকা। যদিও আলোচিত সময়ে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি সাত ব্যাংকের মাধ্যমে।আলোচিত সময়ে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৫৮ কোটি ৬৫ লাখ ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৯ কোটি ২৬ লাখ মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৪২ কোটি ৮৬ লাখ ৭০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫৩ লাখ মার্কিন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স।আলোচিত সময়ে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি, এমন ব্যাংকের সংখ্যা সাতটি। এরমধ্যে রয়েছে- রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাব। বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে- কমিউনিটি ব্যাংক, আইসিবি ব্যাংক, বিদেশি খাতের হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া।কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, আগস্ট মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ২২২ কোটি (২.২২ বিলিয়ন) ডলার, যা তার আগের বছরের (আগস্ট-২০২৩) একই সময়ের চেয়ে ৬২ কোটি ডলার বেশি। গত বছরের আগস্ট মাসে এসেছিল প্রায় ১৬০ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স।এসএফ
    ব্যাংকিং-জ্বালানি খাত সংস্কারে আর্থিক সহায়তা দেবে বিশ্ব ব্যাংক ও আইএফসি
    অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, দেশের আর্থিক খাত সংস্কারে শর্ত সাপেক্ষে সব ধরনের সহায়তা দেবে বিশ্ব ব্যাংক ও ইন্টারন্যাশনাল ফাইনান্স করপোরেশন (আইএফসি)। রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে দুই সংস্থার প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তিনি এ কথা বলেন।ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ব্যাংকিং খাত, রাজস্ব কাঠামো, ভ্যাট এবং  জ্বালানি খাতের সংস্কারে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা দেবে বিশ্ব ব্যাংক ও আইএফসি। এ অর্থ পাওয়া গেলে ব্যাংক ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সংস্কারে ব্যয় হবে। তবে কি পরিমাণ অর্থ সহায়তা দেবে তা এখনও নির্ধারণ হয়নি। এছাড়া কিভাবে এবং কোন প্রক্রিয়ায় তারা সহায়তা করবে আগামীতে নির্ধারণ করা হবে।এর আগে গত সপ্তাহে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের সময় সাইডলাইন বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বিশ্বব্যাংক সাড়ে ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন।এসএফ 

    Loading…