এইমাত্র
  • 'চাপাবাজীর অস্কার অনন্য মামুন পাবেন', বলছেন শাকিব ভক্তরা
  • রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ ও ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাবিতে মশাল মিছিল
  • ২০২৫ সালের ছুটির তালিকা প্রকাশ
  • শেখ হাসিনার পদত্যাগ মীমাংসিত, বিতর্ক সৃষ্টি না করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
  • শেখ হাসিনা কীভাবে পদত্যাগ করেছেন, জানালেন আসিফ মাহমুদ
  • শুরু হলো বরবাদ'র শুটিং, শাকিব খান যোগ দেবেন কবে?
  • মিয়ানমার উপকূলে নৌকাডুবি, ১১ মরদেহ উদ্ধার
  • রাষ্ট্রায়ত্ত ১০ ব্যাংকে নতুন এমডি নিয়োগ
  • কারাগারে ইমরানকে দেওয়া হয় মাটন মুরগি দই জুস আঙ্গুর
  • ঘুষের টাকা নিয়েও কাজ না করে উল্টো হুমকি যত ইচ্ছে নিউজ করেন : ভূমি সহায়ক শাহানুর
  • আজ মঙ্গলবার, ৭ কার্তিক, ১৪৩১ | ২২ অক্টোবর, ২০২৪

    অর্থ-বাণিজ্য

    রাষ্ট্রায়ত্ত ১০ ব্যাংকে নতুন এমডি নিয়োগ
    সোনালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক, কৃষি ব্যাংক, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক, বাংলাদেশ ডেপলমেন্ট ব্যাংক ও বেসিক ব্যাংক- এ রাষ্ট্রায়ত্ত ১০ ব্যাংকে নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।এর মধ্যে সোনালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, বাংলাদেশ ডেপলমেন্ট ব্যাংক ও বেসিক ব্যাংকে চুক্তিভিত্তিক নতুন এমডি ও সিইও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আর আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক, কৃষি ব্যাংক এবং প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক এ চার প্রতিষ্ঠানে এমডি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দিয়ে।উপব্যবস্থাপনা (ডিএমডি) পরিচালক থেকে এমডি পদে পদোন্নতি ও পদায় দিয়ে সোমবার (২১ অক্টোবর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জরি করা হয়েছে। আর বাকি ৬ ব্যাংকের এমডি নিয়োগের সুপারিশ করে পরিচালনা পর্ষদকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।সোনালী ব্যাংকের এমডি ও সিইও পদে নিয়োগ পেয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের এমডি মো. শওকত আলী খান। জনতা ব্যাংকের ব্যাংকের এমডি ও সিইও পদে নিয়োগ পেয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের এমডি মো. মজিবর রহমান।অগ্রণী ব্যাংকের এমডি ও সিইও পদে নিয়োগ পেয়েছেন ব্যাংকটির সাবেক ডিএমডি মো. আনোয়ারুল ইসলাম। রূপালী ব্যাংকের এমডি ও সিইও পদে নিয়োগ পেয়েছেন রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের ডিএমডি মো. আ. রহিম।বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের এমডি ও সিইও হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন জনতা ব্যাংকের সাবেক ডিএমডি মো. জসীম উদ্দিন এবং বেসিক ব্যাংকের এমডি ও সিইও পদে নিয়োগ পেয়েছেন জনতা ব্যাংকের আরেক সাবেক ডিএমডি মো. কামরুজ্জামান।এছাড়া সোনালী ব্যাংকের ডিএমডি মীর মোফাজ্জল হোসেনকে আনসারি-ভিডিপি ব্যাংকের এমডি, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ডিএমডি সালমা বানুকে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের এমডি, সোনালী ব্যাংকের ডিএমডি সঞ্চিতা বিনতে আলীকে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের এমডি এবং বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ডিএমডি চানু গোপাল ঘোষকে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের এমডি হিসেবে পদোন্নতি ও পদায়ন করা হয়েছে।এর আগে রাষ্ট্রায়ত্ত ৬ বাণিজ্যিক ব্যাংক- সোনালী, জনতা, অগ্রণী, রূপালী, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক ও বেসিক ব্যাংকে শেখ হাসিনা সরকারের সময় তিন বছরের চুক্তিতে নিয়োগপ্রাপ্ত এমডি ও সিইওদের চুক্তির অবশিষ্ট মেয়াদ বাতিল করে সরকার।গত ১৯ সেপ্টেম্বর এসব ব্যাংকের এমডিদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের অবশিষ্ট মেয়াদ বাতিল করতে চেয়ারম্যানদের চিঠি দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়। তারপর থেকে এসব ব্যাংকের এমডি ও সিইও পদ শূন্য ছিলো।যোগাযোগ করা হলে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবের রুটিন দায়িত্ব পালন করা অতিরিক্ত সচিব অমল কৃষ্ণ মণ্ডল জাগো নিউজকে বলেন, ৪টি ব্যাংকের ডিএমডি-কে পদোন্নতি দিয়ে এমডি পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। আর বাকি ৬টি ব্যাংকের এমডি নিয়োগের জন্য সুপরিশ করে ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদকে চিঠি দেয়া হয়েছে। এখন পরিচালনা পর্ষদ তাদেরকে চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ দেবেন।এবি 
    চালের ওপর শুল্ক কমালো এনবিআর
    চালের ওপর আরোপিত আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ ও রেগুলেটরি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। একইসাথে চালের ওপর বিদ্যমান ৫ শতাংশ আগাম কর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে।রোববার (২০ অক্টোবর) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। মূলত, দ্রব্যমূল্যের এই উর্ধ্বগতির সময়ে বাজারে সরবরাহ বৃদ্ধি করার জন্য এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চালের ওপর বিদ্যমান আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ, রেগুলেটরি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ এবং বিদ্যমান ৫ শতাংশ আগাম কর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে। এতে আমদানি পর্যায়ে প্রতি কেজি চালের দাম কমবে ১৪ টাকা ৪০ পয়সা। এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপনও জারি করেছে এনবিআর।সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এই উদ্যোগের ফলে বাজারে চালের সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে। দেশের জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। চালের মূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকবে।এসএফ
    তিন মাসে বৈদেশিক ঋণ এসেছে ৮৪ কোটি ডলার, শোধ ১১২ কোটি ডলার
    বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের চাপ বেড়েই চলছে বাংলাদেশের ওপর। চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) যত বৈদেশিক ঋণ এসেছে দেশে, পরিশোধ করা হয়েছে তার চেয়ে অনেকটা বেশি।রোববার (২০ অক্টোবর) অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) জুলাই-সেপ্টেম্বর মাসের বিদেশি ঋণ পরিস্থিতি হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে দেখা গেছে এ চিত্র।ইআরডির প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে সুদ ও আসল মিলিয়ে ১১২ কোটি ৬৫ লাখ ডলার পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে এই সময়ে বিভিন্ন দাতা সংস্থা ও দেশের কাছ থেকে ৮৪ কোটি ৬১ লাখ ঋণ ছাড় করাতে পেরেছে সরকার। অর্থাৎ এই তিন মাসে ঋণ ছাড়ের চেয়ে ঋণ পরিশোধের পরিমাণ প্রায় ২৮ কোটি ডলার বেশি ছিল।ইআরডি সূত্রে জানা গেছে, আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ঋণ ছাড় যেমন কমেছে, তেমনি ঋণ শোধও বেড়েছে। গত অর্থবছরের (২০২৩-২৪) প্রথম প্রান্তিকে ১২৮ কোটি ডলার বিদেশি ঋণ এসেছিল দেশে, যা এবারের চেয়ে ৪২ কোটি ডলার বেশি। অন্যদিকে আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে এবার ২৫ কোটি ডলার ঋণ বেশি পরিশোধ করতে হয়েছে সরকারকে।অবশ্য, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের প্রেক্ষাপটে ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলসহ (আইএমএফ) উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে কয়েকশো কোটি ডলার বাজেট সহায়তার প্রতিশ্রুতি পেয়েছে শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। তবে, এখন পর্যন্ত অর্থ ছাড় যেমন কমেছে, আবার ঋণ পরিশোধও বেড়েছে। ফলে ঋণ প্রাপ্তি ও পরিশোধের ভারসাম্য নেতিবাচক।জানা গেছে, ঋণের অর্থ পরিশোধের জন্য জাতীয় বাজেটে আলাদা বরাদ্দ থাকে। তবে, ডলারের বাড়তি দাম ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংকটের এ সময়ে আগের চেয়ে বেশি পরিমাণে বিদেশি ঋণ পরিশোধ করতে হচ্ছে। কয়েক বছর ধরেই বিদেশি ঋণ পরিশোধ ব্যাপকভাবে বেড়েছে।এদিকে গত জুলাই-সেপ্টেম্বর মাসে বিদেশি ঋণের প্রতিশ্রুতিও প্রায় তলানিতে নেমেছে। ওই তিন মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে মাত্র ২ কোটি ৭৪ লাখ ডলারের ঋণের প্রতিশ্রুতি মিলেছে।ইআরডি সূত্র বলছে, গত জুলাই-সেপ্টেম্বর মাসে ছাড় করা মোট অর্থের মধ্যে অনুদান হিসেবে পাওয়া গেছে ১৮ কোটি ২৫ লাখ ডলার। অন্যদিকে একই সময়ে ঋণের আসল হিসেবে ৬৮ কোটি ৫৫ লাখ ডলার এবং সুদ বাবদ ৪৪ কোটি ১০ লাখ ডলার পরিশোধ করতে হয়েছে সরকারকে।এসএফ 
    ক্রেডিট কার্ডে বাংলাদেশিদের খরচ কমেছে ১০০ কোটি টাকার বেশি
    দেশের বাইরে গিয়ে বাংলাদেশিরা ক্রেডিট কার্ডে বিভিন্ন সেবা ও পণ্য কিনে চলতি বছরের আগস্ট মাসে ৩৭২ কোটি ৮০ লাখ টাকা খরচ করেছেন। যা জুলাই মাস থেকে ১০২ কোটি টাকা কম। জুলাই মাসে ক্রেডিট কার্ডে ৪৭৫ কোটি টাকা খরচ করেছে বাংলাদেশিরা। জুন মাসে খরচ করেছিল ৫২৪ কোটি টাকা। এভাবে ধারাবাহিকভাবে খরচ কমছে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ডে।বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, বেশ কয়েকটি দেশে বাংলাদেশিরা ক্রেডিট কার্ডে বেশি খরচ করে। তবে আগস্ট মাসের সবগুলো দেশে ক্রেডিট কার্ডে খরচ কমেছে বাংলাদেশিদের। ক্রেডিট কার্ডে খরচের শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, ইউকে, থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুর। গত দুই মাসে বিদেশে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ডে খরচের ৫০ শতাংশের বেশি এই ৫ দেশে হয়েছে।বাংলাদেশিদের একটি বড় অংশ প্রতি মাসে ভারতে ভ্রমণ ও চিকিৎসার জন্য যান। সাম্প্রতিক সময়ে দেশটিতে বাংলাদেশিদের ভ্রমণ উল্লেখযোগ্যহারে কমেছে। এ কারণে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ডের খরচ ভারতে কমেছে।পর্যালোচনায় দেখা গেছে, চলতি বছরের আগস্ট মাসে আমেরিকায় ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে বাংলাদেশিরা সবচেয়ে বেশি খরচ করেছেন। দেশটিতে বাংলাদেশিরা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ৭৫ কোটি ২০ লাখ টাকা খরচ করেছেন, যা মোট খরচের ২০ দশমিক ১৭ শতাংশ। আমেরিকার খরচের এ অঙ্ক জুলাইয়ে ছিল ৭৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা। একইভাবে আগস্টে প্রতিবেশী দেশ ভারতে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে বাংলাদেশিরা ৫০ কোটি ৬০ লাখ টাকা খরচ করেছেন, যা মোট খরচের ১৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ভারতে খরচের এ অঙ্ক জুলাইয়ে ছিল ৭৩ কোটি ২০ লাখ টাকা।আগস্টে যুক্তরাজ্যে খরচ করেছেন ৩৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা, থাইল্যান্ড গিয়ে বাংলাদেশিরা ৩২ কোটি ৭০ লাখ টাকা, সিঙ্গাপুরে গিয়ে খরচ করেছেন ৩০ কোটি টাকা। এছাড়া কানাডায় ২৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা কার্ডে খরচ করেছেন বাংলাদেশিরা।বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, একজন বাংলাদেশি নাগরিক বিদেশে গিয়ে প্রতি বছর ১২ হাজার ডলারের সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করতে পারেন। এ অর্থ কার্ডের মাধ্যমে খরচ করতে পারেন, আবার বিদেশে যাওয়ার সময় নগদ ডলারও সঙ্গে করে নিয়ে যেতে পারেন। তবে কার্ডের মাধ্যমে ডলার পেমেন্ট করতে গেলে একবারে সর্বোচ্চ ৩০০ ডলার পর্যন্ত খরচ করার সুযোগ রয়েছে। এইচএ
    তৈরি পোশাক শিল্পখাত এখন স্থিতিশীল: বিজিএমইএ
    পোশাক শিল্প একটি চ্যালেঞ্জিং সময় পার করে বর্তমানে স্থিতিশীলতা অর্জন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম।শনিবার (১৯ অক্টোবর) উত্তরার বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, সরকার, মালিক, শ্রমিক, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ সবার সহযোগিতায় বিজিএমইএ বোর্ড বিপর্যয়কর পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছে।খন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন, সবাই আমাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছেন। তার জন্য বিজিএমইএ বোর্ড সরকার ও সেনাবাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। তাছাড়া ক্রেতারাও বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের ওপর আস্থা রেখেছে। বিজিএমইএ বোর্ডের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সরকারের নির্দেশনায় পোশাক কারখানাগুলোর নিরাপত্তায় সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথবাহিনী গঠন হয়েছে এবং যৌথবাহিনী গার্মেন্টস অধ্যুষিত অঞ্চলগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিতে নিয়মিতভাবে টহল পরিচালনা করেছে। বিজিএমইএ সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় কমিউনিটি পুলিশিং চালু করেছে।তিনি আরও বলেন, পোশাক কারখানাগুলোতে আগস্ট মাসের বেতন পরিশোধে অনিশ্চয়তা দেখা দেওয়ায় বিজিএমইএ থেকে এ ব্যাপারে সহযোগিতা চেয়ে অর্থ উপদেষ্টাকে চিঠি দেওয়া হয়। বিজিএমইএ বোর্ড বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গেও দেখা করেছে। তারপর বিজিএমইএ এর অনুরোধের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক আগস্ট মাসের বেতনভাতা পরিশোধের জন্য ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে।বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, শ্রম অসন্তোষে আশুলিয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত ৩৯টি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের সেপ্টেম্বর মাসের বেতন বেতনভাতা পরিশোধের সক্ষমতা ছিল না। বিজিএমইএ থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়কে সেপ্টেম্বর মাসের বেতন ভাতা পরিশোধের লক্ষ্যে ৩৯টি পোশাক কারখানাকে সুদবিহীন সহজ শর্তে ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।আরইউ
    সবজির বাজারে অস্বস্তি, ডিমের ডজন কমলেও বেড়েছে মুরগির দাম
    অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার আড়াই মাস পার হতে চললেও স্বস্তি ফেরেনি নিত্যপণ্যের বাজারে। সরবরাহ সংকটের অজুহাতে শাক-সবজিসহ নিত্যপণ্যের বাজারে দামের বড় উল্লম্ফন ঘটেছে। ডিমের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য বেশকিছু উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। তার সুফলও দেখা যাচ্ছে বাজারে। বাজারে কমতে শুরু করেছে ডিমের দাম। তবে ডিমের দাম কমলেও এবার অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে মুরগির দাম। সোনালি মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ৫০ টাকা পর্যন্ত।নিত্যপণ্যের এই বাড়তি দামের চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ। নিম্ন আয়ের মানুষ শুধু নয়, মধ্যবিত্তরাও সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে।অন্যদিকে বাজারে কিছুটা কমেছে কাঁচামরিচের ঝাল। পাশাপাশি সামান্য কমলেও সবজির দাম এখনো সাধারণ মানুষের স্বস্তির মধ্যে আসেনি। শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারের চিত্র এমন।বাজারে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বেশ আলোচনায় ছিল ডিম। বিশেষ করে চলতি সপ্তাহে প্রতি ডজন ডিমের দাম ১৮০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। তবে এ দাম এখন বড়বাজারে ১৫০ টাকায় নেমেছে। যদিও পাড়া-মহল্লায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে কেউ কেউ এখনো ডিম বিক্রি করছেন ১৬০ টাকায়। সরকার এরমধ্যে ডিমের শুল্কছাড়, আমদানির অনুমতি এবং বেঁধে দেওয়া দামে ডিম বিক্রি করতে ব্যবসায়ীদের কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে। যার সুফল মিলছে বলে জানিয়েছেন খুচরা বিক্রেতারা।ব্যবসায়ীরা বলেন, বাজারে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার নিয়মিত অভিযান এবং খামারি ও করপোরেটদের ডিম সরবরাহ বাড়ানোর কারণে দাম কমে আসছে। তাছাড়া শুল্কছাড়ের সঙ্গে সরকার নতুন করে আরও সাড়ে ৪ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দিচ্ছে। এটিও দাম কমার পেছনে অনুঘটক হিসেবে কাজ করছে।অপর দিকে, একই সময় বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম ১০ টাকা বাড়তে দেখা গেছে। এ মুরগির দাম আগের সপ্তাহেও বেড়েছিল। যা এখন বিক্রি হচ্ছে ২০৫ থেকে ২১৫ টাকা পর্যন্ত। যা দুই সপ্তাহ আগে ১৮০ টাকার মধ্যে ছিল। এদিকে, অস্বাভাবিকভাবে সোনালি মুরগির দাম কেজিপ্রতি প্রায় ৫০ টাকা বেড়ে ৩২০ থেকে ৩৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহে ২৭০-২৮০ টাকা ছিল।এদিকে মাসখানেক ধরে উত্তাপ ছড়ানো সবজির বাজারও রয়েছে কমতির দিকে। যদিও এখনকার দাম সাধারণ ক্রেতাদের জন্য মোটেই স্বস্তিদায়ক নয়। সরবরাহ সংকটের অজুহাতে কয়েক দিন আগে রাজধানীর বাজারে কাঁচা মরিচের কেজি ৬০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। তবে দাম কমে এখন খুচরায় ৩২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এ কয়টি পণ্যের দাম কমা ছাড়া বাকি সব সবজি এখনো চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে। গোল বেগুন মানভেদে কেজি ১৬০ থেকে ২০০ টাকা, লম্বা বেগুন ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, ঢেঁড়স, পটোল মানভেদে ৯০ থেকে ১০০ টাকা, করলা ১২০ টাকা, বরবটি ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, চিচিঙ্গা-ধুন্দল ১০০ টাকা, আলু ৬০ টাকা, পেঁপে ৫০ টাকা কেজি এবং প্রতি পিস লম্বা লাউ ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।এদিকে পাইকারি বাজার থেকে খুচরা বাজারে বিভিন্ন ধরনের সবজির দামে কেজিপ্রতি পার্থক্য দেখা গেছে ২০ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত। গতকাল কারওয়ান বাজারে খুচরায় প্রতি কেজি করলা ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা, ঢেঁড়স ও পটোল ৬০ থেকে ৭০ টাকা, গোল বেগুন মানভেদে ১২০ থেকে ১৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা, লম্বা লাউ প্রতি পিস ৬০ টাকা, টমেটো ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি বিক্রি হয়।এদিকে চলতি সপ্তাহে তেল ও চিনিতেও শুল্কছাড় দিয়েছে নতুন সরকার। কয়েকজন খুচরা ব্যবসায়ী জানান, শুল্ক কমানোর খবরে পাইকাররা তেল ও চিনির দরে কিছুটা ছাড় দিচ্ছে। তবে ভোক্তারা শুল্কছাড়ের সুফল পেতে কিছু দিন সময় লাগবে। চিনির দর নতুন করে বাড়েনি। বরং এক সপ্তাহে পাইকারিতে বস্তায় (৫০ কেজি) ১০০-২০০ টাকার মতো কমেছে। দুই-তিন দিনের মধ্যে এসব পণ্যের খুচরা দাম কমে আসবে বলে আশা করা যাচ্ছে। বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, কৃষক থেকে ভোক্তা পর্যায়ে সবজির চড়া দামের কারণ সরবরাহ ঘাটতি ও বারবার হাতবদল। উৎপাদন পর্যায়ের চেয়ে ভোক্তা পর্যায়ে পৌঁছাতে দাম কয়েক গুণ বাড়ছে।লাল শাকের আঁটি ২৫ টাকা, লাউ শাক ৫০ টাকা, মুলা শাক ২৫ টাকা, কলমি শাক ২০ টাকা, পুঁই শাক ৪০ টাকা এবং ডাঁটা শাক ৩০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। বাজারগুলোতে সপ্তাহ ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে ১২৫ টাকা, আদা ৩২০ টাকা, রসুন ২২০ টাকা, নতুন আলু ১২০ টাকা, বগুড়ার আলু ১০০ টাকা ও পুরোনো আলু ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।বাজারের সবজি বিক্রেতা বলেন, ‘বাজারে সবজির সরবরাহে সংকট আছে, এ কারণে দাম তেমন কমছে না। তবে কাঁচা মরিচ ও টমেটোর দাম অনেকটাই কমেছে। বাজারে সরবরাহ বাড়লে সবজির দাম কমতে থাকবে। এছাড়া ভাড়া, প্রায় ২৫ শতাংশ পণ্য পচে যাওয়া এবং ইজারাদারদের বাড়তি টাকা দিতে গিয়ে খরচ বেড়ে যায়। এ কারণে পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে দামে বড় ব্যবধান তৈরি হয়।এদিকে অন্তর্বর্তী সরকার উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ঋণের সুদহার বাড়ানোসহ নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। চলমান ডলার সংকটের মধ্যেও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে জোর দেওয়া হয়েছে। পেঁয়াজ, আলু, ডিম, চিনি ও ভোজ্য তেল আমদানিতে শুল্ক কমানো হয়েছে। ভারত থেকে ডিম আমদানি শুরু হয়েছে। ডিম ও মুরগির দাম বেঁধে দেওয়া, চাঁদাবাজি রোধে নানা উদ্যোগ, টিসিবির মাধ্যমে খোলাবাজারে পণ্য বিক্রি বাড়ানো এবং পণ্য উৎপাদন ও সরবররাহ নিশ্চিত করতে সহযোগিতাসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। তার পরও বাজারে স্বস্তি ফিরছে না।এইচএ
    এবার ডিম আমদানিতে শুল্ক ছাড়
    এবার ডিম আমদানিতে কর ছাড় দেওয়া হয়েছে। বিদ্যমান ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই শুল্ক সুবিধা থাকবে। আজ বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।বিজ্ঞপ্তিতে এনবিআর বলছে, আমদানি শুল্ক কমানোর ফলে প্রতি ডজন ডিমের দাম ১৩ দশমিক ৮০ টাকা কমবে। আমদানি শুল্ক কমানোর কারণে বাজারের ডিমের সরবরাহ বাড়বে। ফলে ভোক্তা পর্যায়ে ডিমের দাম কমবে। এ ছাড়া কনফেকশনারি, বেকারিসহ ডিমনির্ভর খাদ্য উৎপাদন শিল্পের খরচও কমবে।এদিকে ভোক্তা পর্যায়ে ভোজ্যতেলের দাম কমাতে আবারও কর ছাড় দিয়েছে সরকার। স্থানীয় উৎপাদন ও আমদানি উভয় পর্যায়ে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাটে ছাড় দেওয়া হয়েছে।আজ অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (ইআরডি) থেকে পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপনে এই ছাড়ের সিদ্ধান্ত জানানো হয়। এর আগে চিনি আমদানিতেও শুল্ক ছাড় দিয়েছে সরকার।পরিশোধিত সয়াবিন তেল ও পরিশোধিত পাম তেলের ক্ষেত্রে স্থানীয় উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া পরিশোধিত ও অপরিশোধিত সয়াবিন তেল এবং পরিশোধিত ও অপরিশোধিত পাম তেলের আমদানি পর্যায়ের মূল্য সংযোজন কর ১৫ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ১০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই ছাড় অব্যাহত থাকবে।বর্তমানে বছরে ২০ লাখ টন ভোজ্যতেলের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে ২ লাখ টন স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হয়, বাকি ১৮ লাখ টন আমদানি করতে হয়।নতুন সিদ্ধান্তের ফলে দেশে পরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেলের উৎপাদন ও ব্যবসা পর্যায়ে আপাতত ভ্যাট দিতে হবে না এই শিল্প ও ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায়ীদের। বিদেশ থেকে পরিশোধিত ও অপরিশোধিত সয়াবিন তেল এবং পাম তেল আমদানির ক্ষেত্রে আমদানি পর্যায়ের ১৫ শতাংশের পরিবর্তে ১০ শতাংশ ভ্যাট দিলেই হবে।সচিবালয়ে গত মঙ্গলবার অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বৈঠক করে ভোজ্যতেল পরিশোধন শিল্পের সমিতি জানায়, স্থানীয় পর্যায়ে দাম তারা বাড়াবে না, যদি সরকার আমদানি পর্যায়ে বিদ্যমান শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনে। পাশাপাশি স্থানীয় উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে সব ধরনের শুল্ক প্রত্যাহারও চায় তারা। তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার এই কর ছাড়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেও দুই মাসের জন্য উৎপাদন ও ব্যবসা পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়ার হয়েছিল। আর আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট কমানো হয়েছিল।এফএস
    ভোজ্যতেল নিয়ে এনবিআরের সুখবর
    ভোজ্যতেলের দাম নিয়ন্ত্রণে পরিশোধিত-অপরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেলের ওপর আরোপিত ভ্যাট ছাড় দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমানের সই করা আদেশে এ তথ্য জানা যায়। সয়াবিন তেল ও পাম তেলের আমদানির ওপর ভ্যাট কমানোর আলাদা আদেশ জারি করেছে এনবিআর।প্রথম আদেশে পরিশোধিত ও অপরিশোধিত সয়াবিন কিংবা পাম তেলের উৎপাদন এবং ব্যবসায় পর্যায়ে প্রযোজ্য মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট ১৫ শতাংশ মওকুফ করা হয়েছে।অপর আদেশে পরিশোধিত ও অপরিশোধিত সয়াবিন কিংবা পাম তেল আমদানির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ভ্যাট ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। এর আগে গত ১৫ অক্টোবর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানিয়েছিলেন, ভোজ্যতেলের ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক ৫ শতাংশ কমানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া উৎপাদন ও সরবরাহ পর্যায়ে মূল্য সংযোজন কর প্রত্যাহারেরও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। একইদিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী নেতাদের বৈঠকে ভোজ্যতেলের আমদানিতে বিদ্যমান শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশ কমিয়ে ১০ শতাংশ নির্ধারণ এবং উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে আরোপিত সমুদয় মূল্য সংযোজন কর অব্যাহতির প্রস্তাব করা হয়। এ ধরনের শুল্ক অব্যাহতির ফলে ভোজ্যতেলের মূল্যবৃদ্ধি না করে বিদ্যমান মূল্য বহাল থাকবে বলে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে। এবি 
    সরকার নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি না হলেও কমেছে ডিমের দাম
    ভোক্তা অধিকারের কঠোর হুঁশিয়ারির পর বাজারে ডিমের দাম কিছুটা কমেছে। তবে সরকারের বেঁধে দেয়া নির্ধারিত মূল্যেও ডিম বিক্রি হচ্ছে না। আজ বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এই চিত্রের দেখা মিলেছে। রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ফার্মের মুরগির ডিমের ডজন দেড়শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একইসাথে ১৪৭ টাকায় নেমেছে সাদা ডিমের ডজন। যদিও সরকার খুচরা পর্যায়ে দাম বেধে দিয়েছিল ১১ টাকা ৮৭ পয়সা। খুচরা বাজারে ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকা ডজনে বিক্রি হচ্ছে ডিম। দিনে রাজধানীর পাইকারি বাজারগুলোয় ২০ লাখ ডিম সরবরাহের ব্যাপারে সম্মত হয় উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলো। কিন্তু সেটি ভোক্তার মাত্র দুই শতাংশ চাহিদা পূরণ করবে। বিক্রেতাদের অভিযোগ, বড় বড় কোম্পানিগুলোর কারণেই ডিমের বাজারে এ নৈরাজ্য। তাই কঠোর নজরদারীর তাগিদ দিয়েছেন তারা।পাইকারদের দাবি, পিস প্রতি প্রায় দেড় টাকা বেশি দরে কেনার কারণে খুচরাতেও দাম পড়ছে বেশি।তবে খুচরা ব্যবসায়ীদের দাবি, উৎপাদক পর্যায়ে বড় বড় কোম্পানিগুলোর কারণেই ডিমের বাজারে এই নৈরাজ্য দেখা দিয়েছে।এদিকে, ক্রেতারা বলছেন শুধু দাম বেধে দিলে হবে না। সরকার নির্ধারিত দরে বিক্রি হচ্ছে কি না সে বিষয়ে কঠোর নজরদারী থাকতে হবে।এবি 
    পণ্যের দাম বাড়ার পেছনে চাঁদাবাজি সিন্ডিকেট: শ্রম উপদেষ্টা
    পণ্যের দাম বাড়ার পেছনে চাঁদাবাজি সিন্ডিকেট কাজ করে। এই জনদুর্ভোগ কমাতে যা যা করা দরকার সরকার সবই করবে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) রাজধানীর কারওয়ানবাজারে টিসিবি ভবনের সামনে ন্যায্যমূল্যে কৃষিপণ্য বিক্রয় কার্যক্রম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে ট্রাকসেলের কার্যক্রম পর্যায়ক্রমে বাড়ানো হবে জানিয়ে আসিফ মাহমুদ বলেন, ভোক্তাদের যাতে সিন্ডিকেটের ওপর নির্ভর করতে না হয় তার জন্য উদ্যোক্তাদের নতুন উদ্যোগ নিতে হবে। সিন্ডিকেট জন্মলগ্ন থেকেই সমস্যা, অতি দ্রুত এর দৌরাত্ম্য ভাঙা হবে বলেও জানান তিনি। শ্রম সচিব জানান, কৃষকদের ফসল সরাসরি ভোক্তার পর্যায়ে পেলে দাম অনেক কমে আসবে। এ জন্য শুরু হয়েছে ট্রাকে সবজি বিক্রি কার্যক্রম। এই কার্যক্রমে কেউ বাধা বা চাঁদাবাজি করলে ভোক্তা অধিদফতরকে জানানোর আহ্বান জানান তিনি।  এবি 
    ‘কম দামে’ ডিম বিক্রির ঘোষণা দিলেন উৎপাদকরা
    সরকার নির্ধারিত দামে ডিম বিক্রির ঘোষণা দিয়েছেন রাজধানীর শীর্ষস্থানীয় কয়েকটি ডিম উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। তাদের ঘোষণা কার্যকর হলে বর্তমান বাজারে ডিমের দাম ৩০ থেকে ৪০ টাকা কমতে পারে।ডিমের বাজারের চলমান অস্থিরতা কাটাতে আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে সরকারি দামে ডিম বিক্রির বিশেষ কার্যক্রম। এর অংশ হিসেবে রাজধানীতে ডিমের প্রধান দুটি পাইকারি বাজার তেজগাঁও ও কাপ্তান বাজারে প্রতিদিন ২০ লাখ ডিম সরবরাহ করবে শীর্ষস্থানীয় কয়েকটি প্রতিষ্ঠান।  আজ বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে কার্যক্রমের প্রধান সমন্বয়ক বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি)।প্রাথমিকভাবে ঢাকায় এ কার্যক্রম শুরু করা হলেও সারাদেশেই এর প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।আগামীকাল বৃহস্পতিবার ভোর ৪টায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আলীম আখতার খান কাপ্তান বাজারে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তেজগাঁও বাজারে এ কার্যক্রম শুরু হবে শুক্রবার থেকে।বিপিআইসিসির যুগ্ম আহ্বায়ক মসিউর রহমান বলেন, ‘সরকার নির্ধারিত দামে ডিম বিক্রি করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কৃষি বিপণন অধিদপ্তর, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও পোল্ট্রি স্টেকহোল্ডাররা একত্রে বসে ডিমের যৌক্তিক উৎপাদন খরচসহ উৎপাদক, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে ডিমের মূল্য নির্ধারণ করেছে। সাম্প্রতিক সময়ের পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টিজনিত বন্যার কারণে দেশের প্রায় এক-চতুর্থাংশ জেলার পোল্ট্রি খামার ক্ষতিগ্রস্ত হলে দৈনিক প্রায় ৬০-৭০ লাখ ডিমের উৎপাদন কমে যায়। এর ফলে চাহিদা ও জোগানের ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি হয়।এর আগে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ডিম উৎপাদক এবং সরবরাহকারীদের সঙ্গে বৈঠকে ডিমের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়। বৈঠক শেষে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান বলেন, ‘বুধবার থেকে উৎপাদক পর্যায়ে ১০ টাকা ৯১ পয়সা, পাইকারিতে ১১ টাকা ১ পয়সা। খুচরায় ১১ টাকা ৮৭ পয়সায় ডিম বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়েছে। সে হিসেবে ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি ডজন কিনতে খরচ হবে ১৪২ টাকা ৪৪ পয়সা।’প্রসঙ্গত, ঢাকার বাজারে আজ সাধারণ ডিমের ডজন এলাকাভেদে ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।  এফএস
    সুদহারসহ সুবিধা বাড়ছে সঞ্চয়পত্রে
    ব্যাংকে আমানতের সুদহার বাড়ার কারণে সব ধরনের সঞ্চয়পত্রের সুদহারও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ ছাড়া এখন থেকে পেনশনার সঞ্চয়পত্রের বিনিয়োগকারীদের প্রতি মাসে সুদের টাকা দেওয়া হবে। মাস শেষে পেনশনার সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগকারীদের অ্যাকাউন্টে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সুদের টাকা জমা হবে। একই সঙ্গে ওয়েজ আর্নার্স ডেভেলপমেন্ট বন্ড, ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড, ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ডসহ সঞ্চয় অধিদপ্তর পরিচালিত ১১টি সঞ্চয় স্কিমের বিনিয়োগগুলো মেয়াদ শেষে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পুনঃবিনিয়োগ হিসেবে গণ্য হবে। অর্থ বিভাগের নেতৃত্বে অংশীজনদের সমন্বয়ে গঠিত একটি কমিটি এখন এ নিয়ে কাজ করছে। সে কমিটির সিদ্ধান্তের আলোকে সব ধরনের সঞ্চয়পত্রের সুদহার বাড়াবে সরকার। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ এবং অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগসংশ্লিষ্ট সূত্রে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। গতকাল মঙ্গলবার অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়েছে। মূলত সরকারের রাজস্ব আয়ে ঘাটতি ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংকট মোকাবিলায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে সভা সূত্রে জানা গেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সঞ্চয়পত্রে শুধু সুদহার বৃদ্ধির পরিকল্পনাতেই থেমে নেই সরকার। দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এবং সরকারের রাজস্ব আয়ে ঘাটতি দূর করতে এখন সঞ্চয়পত্রকেই অন্যতম উপায় হিসেবে বিবেচনা করছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এ জন্য সব ধরনের সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগকে উৎসাহিত করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, লক্ষ্য বাস্তবায়নে এ-সংক্রান্ত বিধিমালা ও নীতিমালায়ও কিঞ্চিৎ পরিবর্তন আনা হয়েছে। বর্তমানে মেয়াদ শেষে সব ধরনের সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগকারীদের অর্থ সুদ-আসলে বিনিয়োগকারীর অ্যাকাউন্টে ফেরত দেওয়া হয়। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মেয়াদ শেষে সঞ্চয়ধারীরা তাঁদের বিনিয়োগের অর্থ তুলে না নিলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে পুনর্বিনিয়োগ হয়েছে বলে বিবেচিত হবে। যার থেকে সঞ্চয়ধারীরাও ওই বাড়তি বিনিয়োগের অর্থ থেকে বাড়তি সুদ-সুবিধাও পেতে থাকবেন। এ ছাড়া এখন নীতিমালার পরিবর্তনের কারণে পেনশনার সঞ্চয়পত্রের বিনিয়োগকারীদের প্রাপ্ত সুদের টাকা প্রতি মাসেই দেওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে, যা মাস শেষে সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীর অ্যাকাউন্টে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ওই সুদের টাকা জমা হয়ে যাবে। বাংলাদেশি মেরিনার, পাইলট ও কেবিন ক্রুরা এত দিন ওয়েজ আর্নার্স ডেভেলপমেন্ট বন্ডে বিনিয়োগের সুযোগ পেতেন না, এখন তাঁদেরও এই বন্ডে বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এভাবে ওয়েজ আর্নার্স ডেভেলপমেন্ট বন্ড, ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড, ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ডসহ সঞ্চয় অধিদপ্তর পরিচালিত ১১টি সঞ্চয় স্কিমের বিনিয়োগসমূহ মেয়াদ শেষে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পুনর্বিনিয়োগের সুযোগও তৈরি হয়েছে। যদিও দুই বছর ধরে আইএমএফের চাপ ও অধিক সুদ ব্যয়ের কারণে সরকার নিজেই জনগণের জন্য সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করাকে কঠিন করে তুলেছিল, যার প্রভাব দেখা গেছে লক্ষ্য নির্ধারণে। গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে সরকার সঞ্চয়পত্র থেকে নিট ঋণ কমিয়েছে। এ বছর সঞ্চয়পত্র থেকে নেওয়া নিট ঋণের পরিমাণ আগের অর্থবছরের তুলনায় ৩ হাজার ৩৪৭ কোটি টাকা কম লক্ষ্য ধরেছে। গত অর্থবছরের বাজেটে সঞ্চয়পত্র থেকে নিট ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ১৮ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু সংশোধিত বাজেটে লক্ষ্যমাত্রা ৭ হাজার ৩১০ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর চলতি অর্থবছর এ খাত থেকে ১৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি রাজস্ব আহরণ কমে যাওয়ায় এবং ব্যাংক খাত থেকে ঋণ নেওয়া কমাতে আবারও সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ নেওয়ার দিকে ঝুঁকছে সরকার। এরপরই দেখা গেছে, টানা ১১ মাস পর সঞ্চয়পত্র বিক্রির নেতিবাচক প্রবণতা কাটিয়ে আবার ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে।বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, চলতি বছরের জুনে সঞ্চয়পত্র নিট বিক্রি ঋণাত্মক ছিল ৩ হাজার ৩৮১ কোটি ৪৩ লাখ টাকার। এই পরিমাণ সুদ-আসল বাড়তি পরিশোধ করেও পরের মাস জুলাইতে সঞ্চয়পত্র বিক্রি থেকে ২ হাজার ১৮৭ কোটি ৫৬ লাখ টাকা উদ্বৃত্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। অর্থাৎ ধীরে ধীরে সঞ্চয়পত্র বিক্রির প্রবণতা বাড়ছে। চলমান ঊর্ধ্বগতির মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের কৌশল হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক যেভাবে নীতি সুদহার বাড়াচ্ছে, তাতে ব্যাংকের আমানতের সুদহারও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। এ পরিস্থিতিতে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগে যাতে জনগণ নিরুৎসাহিত না হয়, তা ঠেকাতেই সরকারের এমন উদ্যোগ। এ ছাড়া ওয়েজ আর্নার্স ডেভেলপমেন্ট বন্ড, ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড, ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ডের অর্থ বিনিয়োগকারীদের সুদ-আসলে ফেরত দেওয়া হয়। কিন্তু ডলার-সংকটের কারণে কোনো কোনো ব্যাংক এসব বন্ডে বিনিয়োগকারীদের সুদ-আসল বৈদেশিক মুদ্রায় পরিশোধ করতে হিমশিম খাচ্ছে। সরকার চায় দেশে অধিকতর ডলার বজায় থাকুক। এর মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রার একটা নিরাপদ সঞ্চিতি গড়ে উঠুক। জাতীয় সঞ্চয় স্কিমে বিভিন্ন ধরনের সুবিধা বাড়ানোর ক্ষেত্রেও এসব বিষয় গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের জন্য সমন্বিত নীতিমালা প্রণয়নের উদ্দেশ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. আব্দুর রহমান খানের সভাপতিত্বে সচিবালয়ে এক বৈঠক থেকে এসব সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৈঠক শেষে এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব আব্দুর রহমান খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, এত দিন ধরে পেনশনার সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগকারীরা তিন মাস অন্তর সুদ বা মুনাফার টাকা পেতেন। এখন থেকে প্রতি মাসে তাঁদের মুনাফার অর্থ দেওয়া হবে। ব্যাংকে আমানতের সুদহার বাড়ার কারণে সব ধরনের সঞ্চয়পত্রের সুদহারও বাড়ানো হবে। এ নিয়ে কাজ চলছে বলেও জানান তিনি। বর্তমানে চারটি সঞ্চয়পত্র, দুটি ডাকঘর সঞ্চয় হিসাব, একটি ডাক জীবনবিমা, একটি প্রাইজবন্ড ও তিনটি প্রবাসী বন্ড চালু রয়েছে। এসবে বিনিয়োগের বিপরীতে সুদ বা মুনাফার হার ভিন্ন। পরিবার সঞ্চয়পত্রে সুদের হার ১১ দশমিক ৫২ শতাংশ, বছরভিত্তিক হিসাবে প্রথম বছর শেষে সাড়ে ৯ শতাংশ, দ্বিতীয় বছর শেষে ১০, তৃতীয় বছর শেষে সাড়ে ১০ এবং চতুর্থ বছর শেষে ১১ শতাংশ।এবি 
    বাংলাদেশের জিডিপি কমে দাঁড়াতে পারে ৪ শতাংশে: বিশ্বব্যাংক
    অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার ধাক্কায় চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) কমে দাঁড়াতে পারে ৪ শতাংশে। তবে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে সেটি বেড়ে দাঁড়াতে পারে ৫ দশমিক ৫ শতাংশে। উল্লেখযোগ্য অনিশ্চয়তায় বিনিয়োগ ও শিল্পে দুর্বল প্রবৃদ্ধি এবং সাম্প্রতিক বন্যার ফলে কৃষিতে মাঝারি মানের প্রবৃদ্ধি হবে। এসব কারণে প্রবৃদ্ধি কমবে বলে পূর্বভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁও এ বিশ্বব্যাংকের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ ডেভলপমেন্ট আপডেট’ প্রতিবেদনে এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়। সংবাদ সন্মেলনে অনলাইনে ওয়াসিংটন থেকে বক্তব্য রাখেন বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র ইকনোমিস্ট ধ্রুব শর্মা, ইকনোমিস্ট নাজমুস খান এবং বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র যোগাযোগ কর্মকর্তা মেহেরিন এ মাহবুব।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এই মুহূর্তে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো উচ্চ মূল্যস্ফীতি, বহিস্থ খাতের চাপ, আর্থিক খাতের দুর্বলতা এবং রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা। এসব কারণে প্রবৃদ্ধি খুব বেশি বাড়বে না। সংস্থাটি বলেছে, বাংলাদেশে প্রাতিষ্ঠানিক খাতে কর্মসংস্থান সৃষ্টির বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে। কেননা এখনো ৮৪ দশমিক ৯ শতাংশ কর্মসংস্থান অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে। এটি অত্যন্ত উচ্চ সংখ্যা। ২০১৬ সাল থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে কর্মসংস্থান কমেছে ৯ দশমিক ৬ শতাংশ হারে। আর্থিক খাত নিয়ে বলা হয়েছে, ব্যাংকিং খাতে নানা ধরনের সংকট রয়েছে। বিশেষ করে খেলাপি ঋণ অনেক বেশি। সরকারের অনেক প্রচেষ্টার পরও সেটি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। এছাড়া মূল্যস্ফীতি কমাতে ঋণের সুদেও হার বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে বেসরকারি খাতে ঋণ গ্রহণ কমেছে।প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাংক বলছে, বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি শ্লথ হয়ে ৩ দশমিক ২ শতাংশ থেকে ৫ দশমিক ২ শতাংশের মধ্যে থাকবে। মধ্যবর্তী পয়েন্ট হবে ৪ শতাংশ। এর আগে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য বিশ্বব্যাংক এপ্রিলে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বভাস দিয়েছিল।চলমান অর্থবছরের বাজেটে সদ্য পতন হওয়া আওয়ামী লীগ সরকার ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল। সেই হিসাবে বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস সরকারি লক্ষ্যের চেয়ে ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ কম হবে। বাংলাদেশে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস অনুযায়ী কমে গেলে তা হবে কোভিড মহামারির পর সবচেয়ে কম প্রবৃদ্ধি। ২০১৯-২০ অর্থবছরে দেশে ৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল।বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক বলেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতি বাংলাদেশের জন্য অন্যতম একটি চ্যালেঞ্জ। নানা উদ্যোগ নিয়েও এটি কমানো যাচ্ছে না। বিশেষ করে খাদ্য মূল্যস্ফীতি অনেক বেশি। যা সাধারণ মানুষের জীবনমানকে নিচে নামাচ্ছে। পাশাপাশি বৈষম্যও বাড়ছে বাংলাদেশে। এসএফ 
    খুচরা পর্যায়ে প্রতি পিস ডিম ১১ টাকা ৮৭ পয়সায় বিক্রির নির্দেশনা
    আগামীকাল থেকে খুচরা পর্যায়ে প্রতি পিস ডিম ১১ টাকা ৮৭ পয়সায় পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন ভোক্তা অধিকার মহাপরিচালক, আলীম আখতার খান।মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে, ডিমের উৎপাদক ও পাইকারি ব্যবসায়ীদেরদের সাথে বৈঠক শেষে একথা জানান তিনি।এ সময় তিনি বলেন, যেসব এলাকা থেকে ডিম আসে সেখান থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত আসতে কয়েকবার হাত বদল হয়। এতে খরচ বেড়ে যায়। এখন থেকে করপোরেট প্রতিষ্ঠানরা খামারিদের থেকে সরাসরি গাড়ি দিয়ে ডিম সরবরাহ করবেন বলেও জানান তিনি।তিনি আরও জানান, এক সপ্তাহের মধ্যে ঢাকার বড় বড় বাজারগুলোতেও এই পদ্ধতিতে ডিম প্রবেশ করবে। ব্যবসায়ীরা সরাসরি সরকার নির্ধারিত যৌক্তিক মূল্যে ডিম বিক্রির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ভয় পেয়ে দোকান বন্ধ রাখা কাঙ্ক্ষিত নয়। দোকানীদের ভয় পাওয়ার কোনও কারণ ছিলো না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।এসএফ 
    দাম নিয়ে আপত্তি থাকলেও বাতিল হচ্ছে না আদানির সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তি
    দাম নিয়ে আপত্তি থাকা সত্ত্বেও ভারতের বেসরকারি সংস্থা ‘আদানি পাওয়ার’ থেকে বিদ্যুৎ কেনা অব্যাহত রাখবে বাংলাদেশ। দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ে উদ্বেগ এবং আইনি জটিলতার কারণে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে চুক্তি বাতিল করা হচ্ছে না। গতকাল শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০১৭ সালে আদানি গ্রুপের সঙ্গে একটি চুক্তি হয়। ঝাড়খণ্ডের গোড্ডায় অবস্থিত ১৬০০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ২৫ বছরের জন্য বিদ্যুৎ কিনতে চুক্তিবদ্ধ হয় বাংলাদেশ। বিদ্যুৎ কেনার ক্ষেত্রে মূল্য-সংক্রান্ত উদ্বেগের কারণে এই চুক্তি যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি সূত্র জানায়, প্রকল্পটি বাংলাদেশের বিদ্যুৎ চাহিদার প্রায় এক-দশমাংশ পূরণ করে। তাই আদানির চুক্তিটি সরাসরি বাতিল করা কঠিন হবে। দ্বিতীয় সূত্রটি জানিয়েছে, শক্তিশালী প্রমাণ ছাড়া আন্তর্জাতিক আদালতে এ সংক্রান্ত আইনি চ্যালেঞ্জে ব্যর্থ হওয়ার আশঙ্কা আছে। এ ক্ষেত্রে যদি চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব না হয়, তাহলে একমাত্র সম্ভাব্য বিকল্প হতে পারে শুল্ক কমাতে পারস্পরিক চুক্তি।অন্তর্বর্তী সরকারের জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়েই শেখ হাসিনা সরকারের করা চুক্তিগুলো জাতির স্বার্থ রক্ষা করেছে কি না, তা যাচাই করতে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছে। কমিটি বর্তমানে বিষয়টি পর্যালোচনা করছে এবং এ ক্ষেত্রে আগেভাগে কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না।বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) একজন কর্মকর্তা ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সর্বশেষ অডিটের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, আদানি পাওয়ারের কাছ থেকে এক ইউনিট বিদ্যুৎ কিনতে বাংলাদেশের প্রায় ১২ টাকা খরচ হয়। এটি ভারতের অন্যান্য বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের তুলনায় ২৭ শতাংশ বেশি এবং ভারতীয় রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর তুলনায় ৬৩ শতাংশ বেশি। ভারতের বেসরকারি সংস্থা ‘আদানি পাওয়ার’ ও আরও কয়েকটি রাষ্ট্রায়ত্ত বিদ্যুৎ সংস্থার বাংলাদেশের কাছে মোট বকেয়ার পরিমাণ ১ বিলিয়ন বা ১০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে গেছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলের শেষ দিক থেকেই বাংলাদেশ চরম আর্থিক সংকটে ভুগছে, টান পড়েছে দেশের বৈদেশিক রিজার্ভেও। অথচ এই বকেয়া পরিশোধ করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে খুব দ্রুতই অর্থের সংস্থান করতে হবে।এইচএ

    Loading…