এইমাত্র
  • জাতি গঠনমূলক কাজে সশস্ত্র বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে: রাষ্ট্রপতি
  • অটোচালকদের রেললাইন অবরোধে ঢাকার সঙ্গে রেল যোগাযোগ বন্ধ
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত
  • সিরিয়ার ঐতিহ্যবাহী শহরে ইসরায়েলি হামলা, নিহত ৩৬
  • আজ ঢাকা কলেজ-সিটি কলেজের ক্লাস বন্ধ
  • রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
  • রাজধানীতে আজ ১২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়
  • ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই: প্রধান উপদেষ্টা
  • বিচারের শুদ্ধতায় ট্রাইব্যুনালে আপিলের বিধান রাখা হয়েছে : আইন উপদেষ্টা
  • সশস্ত্র বাহিনী দিবসে শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা
  • আজ বৃহস্পতিবার, ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২১ নভেম্বর, ২০২৪

    অর্থ-বাণিজ্য

    বাংলাদেশ ব্যাংকে আওয়ামীপন্থিদের নিরঙ্কুশ বিজয়, বিএনপিপন্থিদের ধস
    বাংলাদেশ ব্যাংকের অফিসার্স ওয়েলফেয়ার কাউন্সিলের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে আওয়ামীপন্থি নীল দল। সভাপতি, সহ-সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ গুরুত্বপূর্ণ সব পদেই বিজয়ী হয়েছেন নীল দলের প্রার্থীরা। বিএনপিপন্থি সবুজ দল থেকে মাত্র একজন বিজয়ী হয়েছেন।বুধবার সকাল থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৫টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে ভোট অনুষ্ঠিত হয়।এতে ১৫টি পদের মধ্যে নীল দলে থেকে নির্বাচিত হয়েছেন ৯ জন। তারা হলেন- সভাপতি একেএম মাসুম বিল্লাহ। সহ-সভাপতি তানভির আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা শ্রাবণ, সহ-সম্পাদক এইউএম মান্না ভূঁইয়া, মোহাম্মদ তৌফিকুর রহমান খান, কোষাধ্যক্ষ আফসানা চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক সাগর সরকার। এছাড়া নীল দল থেকে সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন- মোস্তাক আহমেদ এবং প্রণয় রায় শুভ।আওয়ামীপন্থিদের এই বিজয়কে ঘিরে ব্যাংক খাতে ইতিমধ্যে সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে রাতের ভোটে নির্বাচনে জয় পাওয়ার অভিযোগ থাকলেও দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে তারা জয় পেয়েছেন দিনের ভোটেই। আর ফ্যাসিবাদি সরকারের পালিয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংকে আওয়ামীপন্থিদের এমন বিজয়কে অর্থনীতির জন্য অশনি সংকেত হিসেবে দেখছেন খাত সংশ্লিষ্টরা। ব্যাংকাররা বলছেন, আওয়ামী লীগের দীর্ঘ শাসনামলে দেশের আর্থিক খাতে যে লুটপাট চলেছে তার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা। এতদিন তারা আওয়ামী লীগের চাপে বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত হওয়ার অজুহাত উপস্থাপন করতো। এবারের নির্বাচনে প্রমাণ হয়েছে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক আওয়ামী দোসরদের কব্জায়  রয়েছে। নাম প্রকাশ না করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, দেশের সকল খাতে আওয়ামীপন্থিরা কোণঠাসা হয়ে পড়লেও বাংলাদেশ ব্যাংকে ভিন্ন চিত্র। বিগত দুই গভর্নর ফজলে কবির এবং আব্দুর রউফ তালুকদারের সাজিয়ে যাওয়া ছকেই চলছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কোনো অপরাধীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেননি বর্তমান গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। সরকার পতনের পর অপরাধীদের সকল অপকর্মের তথ্য ধামাচাপা দিয়ে রেখেছে বিশেষ গোষ্ঠী। বিভিন্ন অনিয়ম ঋণ জালিয়াতি এবং অর্থপাচারের তথ্য সাংবাদিকদের হাতে গেলে ওই কর্মকর্তাদের তালিকা তৈরি করে যারা বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থার হাতে তুলে দিতেন, তারাই এখনো দাপটের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংক শাসন করছেন। দেশের আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থার এমন দশা হলে চলমান সংস্কার কিভাবে সফল হবে এমন প্রশ্ন রাখেন সংশ্লিষ্টরা।অন্য প্যানেলগুলো থেকে বিজয়ীরা হলেন, সবুজ দল থেকে বিজয়ী একজন হলেন সহ-সভাপতি অমিতাভ চক্রবর্তী। আর হলুদ দল থেকে বিজয়ী পাঁচজন হচ্ছেন, সাংগঠনিক সম্পাদক রামেন্দু দাস পলাশ, প্রচার সম্পাদক শাহ মো. ইয়াকিমুল আলম, সদস্য শাহরিয়ার রহমান সামস, সাবিকুন নাহার শিরিন, আবিদ আলী মোগল।এসএফ
    ৫ ব্যাংকের ২ হাজার কোটি টাকার বন্ড অনুমোদন
    পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৫ ব্যাংকের ২ হাজার কোটি টাকার বন্ড অনুমোদন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ব্যাংকগুলো হলো- ঢাকা ব্যাংক পিএলসি, ইসলামী ব্যাংক পিএলসি, ব্যাংক এশিয়া পিএলসি, ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসি ও এক্সিম ব্যাংক পিএলসি। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৯৩২তম কমিশন সভায় কোম্পানিগুলোর বন্ড ইস্যুর প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকা ব্যাংকের ৪০০ কোটি টাকার বন্ডটি হবে আনসিকিউরড, নন-কনভার্টিবল, ফ্লোটিং রেট এবং অবসায়নযোগ্য ৪র্থ সাবঅর্ডিনেটেড বন্ড। বন্ডটি প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও উচ্চ সম্পদশালী একক বিনিয়োগকারীদের কাছে ইস্যু করা হবে। এ বন্ডের প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য ১০ লাখ টাকা। বন্ডটি ইস্যুর মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করে ঢাকা ব্যাংক টায়ার-২ মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী করবে। বন্ডের ট্রাস্টি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে ডিবিএইচ ফাইন্যান্স পিএলসি এবং অ্যারেঞ্জার হিসেবে কাজ করছে ব্র্যাক ইপিএল ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড। বন্ডটি অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে তালিকাভুক্ত হবে। ইসলামী ব্যাংকের ৫০০ কোটি টাকার বন্ডটি হবে মুদারাবা আনসিকিউরড, নন-কনভার্টিবল, ফ্লোটিং রেট এবং অবসায়নযোগ্য পঞ্চম সাবঅর্ডিনেটেড বন্ড। যার কুপন রেট রেফারেন্স রেটের সঙ্গে ৩ শতাংশ যোগ করে নির্ধারণ করা হবে। বন্ডটি প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও উচ্চ সম্পদশালী একক বিনিয়োগকারীদের কাছে ইস্যু করা হবে। এ বন্ডের প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য ৫০ লাখ টাকা। বন্ডটি ইস্যুর মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করে ইসলামী ব্যাংক টায়ার-২ মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী করবে। বন্ডের ট্রাস্টি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে ডিবিএইচ ফাইন্যান্স পিএলসি এবং অ্যারেঞ্জার হিসেবে কাজ করছে ইউসিবি ইনভেস্টমেন্ট, প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট এবং ইসলামী ব্যাংক ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড। বন্ডটি অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে তালিকাভুক্ত হবে। ব্যাংক এশিয়ার ৪০০ কোটি টাকার বন্ডটি হবে আনসিকিউরড, নন-কনভার্টিবল এবং অবসায়নযোগ্য ফ্লোটিং রেট সাবঅর্ডিনেটেড বন্ড। প্রস্তাব ট্রাষ্টি রেজিস্টিশন সনদ জমা দেওয়ার শর্ত সাপেক্ষে অনুমোদন করেছে। এটি প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও উচ্চ সম্পদশালী একক বিনিয়োগকারীদের নিকট ইস্যু করা হবে। বন্ডের প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য এক কোটি টাকা। উল্লেখ্য, এই বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করে ব্যাংক এশিয়ার টায়ার-২ মূলধন ভিত্তিক শক্তিশালী করা হবে। বন্ডের ট্রাষ্টি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছে ব্র্যাক ইপিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড এবং অ্যারেঞ্জার হিসাবে কাজ করছে সিটি ব্যাংক ক্যাপিটাল রিসোর্সেস লিমিটেড। এছাড়াও বন্ডটি অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে তালিকাভুক্ত হবে। ট্রাস্ট ব্যাংকের ৪৫০ কোটি টাকার বন্ডটি হবে আনসিকিউরড, নন-কনভার্টিবল, ফ্লোটিং রেট এবং সম্পূর্ণ অবসায়নযোগ্য সাবঅর্ডিনেটেড বন্ড। ট্রাস্টি রেজিস্ট্রেশন সনদ জমা দেওয়ার শর্ত সাপেক্ষে এ বন্ড অনুমোদন করা হয়েছে। বন্ডটির কুপন রেট রেফারেন্স রেটের সঙ্গে ৩ শতাংশ যোগ করে নির্ধারণ করা হবে। বন্ডটি প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও উচ্চ সম্পদশালী একক বিনিয়োগকারীদের কাছে ইস্যু করা হবে। এ বন্ডের প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য ৫ লাখ টাকা। বন্ডটি ইস্যুর মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করে ট্রাস্ট ব্যাংক টায়ার-২ মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী করবে। বন্ডের ট্রাস্টি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে ব্র্যাক ইপিএল ইনভেস্টমেন্টস এবং অ্যারেঞ্জার হিসেবে কাজ করছে ইউসিবি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। বন্ডটি অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে তালিকাভুক্ত হবে। এক্সিম ব্যাংকের ২৫০ কোটি টাকার বন্ডটি হবে আনসিকিউরড, নন-কনভার্টিবল এবং অবসায়নযোগ্য ফ্লোটিং রেট সুবর্ডিনেটেড বন্ড। প্রস্তাব ট্রাষ্টি রেজিস্টিশন সনদ জমা দেওয়ার শর্ত সাপেক্ষে অনুমোদন করেছে। বন্ডটির কুপন রেট রেফারেন্স রেটের সঙ্গে ৩ শতাংশ যোগ করে নির্ধারণ করা হবে। এটি প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও উচ্চ সম্পদশালী একক বিনিয়োগকারীদের নিকট ইস্যু করা হবে। বন্ডের প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য ৫ লাখ টাকা। এই বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করে এক্সিম ব্যাংকের টায়ার-২ মূলধন ভিত্তিক শক্তিশালী করা হবে। বন্ডের ট্রাষ্টি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছে ডিবিএইচ ফাইন্যান্স পিএলসি এবং অ্যারেঞ্জার হিসাবে কাজ করছে ইউসিবি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। এছাড়াও বন্ডটি অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে তালিকাভুক্ত হবে।এইচএ
    টানা চার দফা কমার পর বাড়লো স্বর্ণের দাম
    টানা চার দফা কমার পর এবার দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।  ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামীকাল শুক্রবার (২০ নভেম্বর) থেকে স্বর্ণের নতুন দাম কার্যকর হবে।নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি এক লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি এক লাখ ১০ হাজার ৬২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।এর আগে সবশেষ গত ১৪ নভেম্বর ভরিতে সর্বোচ্চ এক হাজার ৬৮০ টাকা কমানো হয়েছিল। ফলে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৪ হাজার ৫০৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি এক লাখ ২৮ হাজার ৩৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি এক লাখ ১০ হাজার ৬২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯০ হাজার ২৩৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল, যা কার্যকর হয়েছে ১৫ নভেম্বর থেকে।স্বর্ণের দাম কমানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৫৭৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম এক হাজার ৫৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।এসএফ  
    ডিসেম্বরে এডিবি-বিশ্বব্যাংক থেকে ১১০ কোটি ডলার ঋণ পাবে বাংলাদেশ
    বাংলাদেশকে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ৬০ কোটি ডলার ও বিশ্বব্যাংক ৫০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা দেবে।অর্থ সচিব ড. মো. খায়রুজ্জামান মজুমদার মঙ্গলবার অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে অর্থ মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারক, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান প্রমুখ।অর্থ সচিব বলেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ও বিশ্বব্যাংকের মতো দাতা সংস্থাগুলো অন্তর্বর্তী প্রশাসনের বাস্তবায়িত নীতিগুলোকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছে।অন্তর্বর্তী সরকারের নীতিগত পদক্ষেপগুলো ভালো ফলাফল দিয়েছে। তহবিলের ক্ষেত্রে আমাদের প্রাথমিক প্রত্যাশা ছাড়িয়ে গেছে।খায়রুজ্জামান মজুমদার জানান, অন্তর্বর্তী সরকার আইএমএফের কাছে আরও আর্থিক সহায়তা চেয়েছে।এ বছর আইএমএফের কাছে অতিরিক্ত ১০০ কোটি ডলার চাওয়া হয়েছে। আগামী ৪ ডিসেম্বর আইএমএফের প্রতিনিধিদল সফরের সময় আলোচনা শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।এসএফ 
    ৪০ টাকা কেজি আলু বিক্রি করবে টিসিবি
    রাজধানীতে এবার ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করবে সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)।মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে টিসিবি জানায়, প্রতি কেজি আলু ৪০ টাকা করে বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন।বুধবার থেকে ঢাকায় সাধারণ ভোক্তাদের জন্য এসব আলু বিক্রি শুরু হবে।এই কার্যক্রম বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় টিসিবি ভবন থেকে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন উদ্বোধন করবেন বলে জানা গেছে।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় নিম্ন আয়ের এক কোটি কার্ডধারী পরিবারে টিসিবির পণ্য (ভোজ্যতেল ও ডাল) সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রি চলছে। এই কার্যক্রমের পাশাপাশি ঢাকার ৫০টি ও চট্টগ্রামের ২০টি ট্রাকে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির তেল, ডাল এবং খাদ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে চাল বিক্রি করা হচ্ছে। এর সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হচ্ছে আলু।এতে আরও বলা হয়, প্রতি লিটার ভোজ্যতেল ১০০ টাকা, মসুর ডাল ৬০ টাকা এবং ৩০ টাকায় চাল পাওয়া যাবে। একজন গ্রাহক সর্বোচ্চ দুই লিটার তেল, দুই কেজি মসুর ডাল এবং পাঁচ কেজি চাল কিনতে পারবেন।এসএফ
    সারাদেশে ৯৯.৪৩ শতাংশ গার্মেন্টসই খোলা: বিজিএমইএ
    রাজধানীসহ সারাদেশে আজ মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) ৯৯ দশমিক ৪৩ শতাংশ গার্মেন্টসই খোলা রয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।বিজিএমইএ বলছে, সারাদেশে মোট দুই হাজার ৯৩টি সক্রিয় কারখানার মধ্যে দুই হাজার ৮১টির কার্যক্রম চলছে। সাভার, আশুলিয়া এবং জিরানি এলাকায় সাময়িকভাবে বন্ধ বা ছুটি রয়েছে ১২টি কারখানার (০.৫৭ শতাংশ)। অক্টোবর মাসের বেতন প্রদান করেছে ১ হাজার ৯৯২টি কারখানা, শতকরা হিসেবে যা ৯৫ দশমিক ১৭ শতাংশ। অক্টোবর মাসের বেতন দেয়নি ১০১টি প্রতিষ্ঠান (৪ দশমিক ৮৩ শতাংশ)।দুই হাজার ৯৩টি কারখানার মধ্যে গাজীপুর ও ময়মনসিংহ এলাকায় ৮৭০টি, সাভার, আশুলিয়া ও জিরানি এলাকায় ৪০১টি, নারায়ণগঞ্জ এলাকায় ১৯৯টি, ডিএমপি এলাকায় ৩০০টি এবং চট্টগ্রাম এলাকায় ৩২৯টি কারখানা রয়েছে। এগুলোর মধ্যে শুধু আশুলিয়া ও জিরানি এলাকার ১২টি কারখানা বন্ধ রয়েছে।এ ছাড়া খোলা রাখার পর কাজ বন্ধ, ছুটি বা শ্রমিকরা চলে গেছে এরকম কারখানার সংখ্যা ৮টি।শ্রমিকদের বাধার কারণে যেসব কারখানা কার্যত অচল সেগুলো হলো বেক্সিমকো গ্রুপ, ডরেন গার্মেন্টস (১৩/১ ধারায় বন্ধ), ডরেন অ্যাপারেলস (১৩/১ ধারায় বন্ধ), ডরেন ফ্যাশন (১৩/১ ধারায় বন্ধ), আইরিশ ফেব্রিক্স, কেএসি কোম্পানি লিমিটেড, এক্সাকো লিমিটেড, ওয়াইপি গাজীপুর লিমিটেড, হামিম নিটওয়্যার, অকোটেক লিমিটেড এবং উত্তরা নিটওয়্যার লিমিটেড।শ্রম আইনের ১৩ (১) ধারায় বলা আছে, কোনো প্রতিষ্ঠানের কোনো শাখা বা বিভাগে বেআইনি ধর্মঘটের কারণে মালিক উক্ত শাখা বা প্রতিষ্ঠান আংশিক বা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিতে পারবেন। একই সঙ্গে ধর্মঘটে অংশগ্রহণকারী শ্রমিকরা কোনো মজুরি পাবেন না।এবি 
    তিনদিনের মধ্যে আলুর দাম না কমালে ভোক্তার অফিস ঘেরাও
    যেসব কোল্ড স্টোরেজে আলুর মজুত রয়েছে সেগুলোতে অভিযান চালানোর জন্য জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে তিন দিনের আলটিমেটাম দিয়েছে বেসরকারি ভোক্তা অধিকার সংস্থা ‘কনশাস কনজ্যুমার্স সোসাইটি’ (সিসিএস) ও এর যুব শাখা ‘কনজ্যুমার ইয়ুথ বাংলাদেশ’ (সিওয়াইবি) এর স্বেচ্ছাসেবীরা। আগামী তিন দিনের মধ্যে কোল্ড স্টোরেজে অভিযান চালিয়ে মজুত আলু বাজারে ছেড়ে মূল্য নিয়ন্ত্রণে না আনলে রোববার অধিদপ্তর ঘেরাও করা হবে বলে জানিয়েছেন সিসিএস-এর নির্বাহী পরিচালক পলাশ মাহমুদ।মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সকালে কারওয়ানবাজারে অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে সিসিএস ও সিওয়াইবির সদস্যরা। স্মারকলিপির সঙ্গে দেশের বিভিন্ন জেলায় আলুর মজুত রয়েছে এমন কোল্ড স্টোরেজের বিভাগ ও জেলা ভিত্তিক তালিকা, অধিক মুনাফাখোর মজুতদারদের তালিকা ও কোল্ড স্টোরেজে সংরক্ষিত আলুর তথ্য সরবরাহ করা হয়। এসময় মহাপরিচালককে মৌখিকভাবে তিন দিনের আলটিমেটাম দেওয়া হয়।স্মারকলিপিতে বলা হয়, বিগত ১ মাস ধরে প্রতীয়মান হচ্ছে যে, অসাধু ব্যবসায়ীরা কোল্ড স্টোরেজকেন্দ্রীক কূটকৌশলের মাধ্যমে আলুর বাজার নিয়ন্ত্রণ করে ভোক্তা সাধারণকে জিম্মি করে ফেলেছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত মজুদদাররা আলু সংগ্রহ করে কোল্ড স্টোরেজে রেখেছেন। ওই সময় তাদের আলুর ক্রয় মূল্য কেজি প্রতি ছিল ১৮ থেকে ২০ টাকা। কোল্ড স্টোরেজে রাখার খরচ ৬০ কেজির বস্তাপ্রতি অঞ্চলভেদে ১৮০-৩৪০ টাকা।কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের ও আশঙ্কার বিষয় হচ্ছে, কতিপয় মজুদদার, বেপারি, ফড়িয়া (অধিকাংশ ব্যবসায়ী ট্রেড লাইসেন্সবিহীন) এবং সংশ্লিষ্ট কোল্ড স্টোরেজ ম্যানেজার/মালিক যোগসাজসে অস্বাভাবিক ও অযৌক্তিকভাবে মূল্য বাড়িয়ে আড়তদারদের নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ভোক্তা সাধারণকে জিম্মি করে প্রতি কেজি আলু খুচরা পর্যায়ে ৭০-৭৫ টাকা দরে বিক্রয় করা হচ্ছে।এমতাবস্থায়, কোল্ড স্টোরেজ পর্যায়ে অবৈধ বিপণন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত হিমাগার ম্যানেজার, দলিল ক্রেতা-বিক্রেতা, ফড়িয়া/মধ্যস্বত্তভোগী বেপারির বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট/অভিযান জোরদার করে আলুর মূল্য যৌক্তিক পর্যায়ে আনার অনুরোধ জানানো হয়।এর আগে সোমবার (১৮ নভেম্বর) কোল্ড স্টোরেজে অভিযান চালানোর দাবিতে মুন্সিগঞ্জ, রংপুর, নারায়ণগঞ্জ, খুলনা, কিশোরগঞ্জ, শরীয়তপুর, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, সিলেট ও মৌলভীবাজারে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেয় সিসিএস ও সিওয়াইবির সদস্যরা। জেলাগুলোতে স্মারকলিপি দেওয়ার পর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করা হয়।এবি 
    ব্যাংকের সব শাখায় কয়েন লেনদেনের নির্দেশ
    তফসিলি ব্যাংকের প্রতিটি শাখায় ১, ২ ও ৫ টাকা মূল্যমানের ন্যূনতম নির্দিষ্ট সংখ্যক ধাতব মুদ্রা বা কয়েন সংরক্ষণ ও লেন‌দে‌নের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।  সোমবার (১৮ নভেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব কারেন্সি ম্যানেজমেন্ট (ডিসিএম) থেকে এমন একটি নির্দেশনা জারি করে সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের পাঠানো হয়েছে। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বেশ কিছু তফসিলি ব্যাংকের শাখা নির্দিষ্ট পরিমাণ ধাতব মুদ্রা শুধু ভল্টে সংরক্ষণ করলেও জনসাধারণের চাহিদামতো লেনদেন করছে না। এতে চাহিদা থাকলেও জনসাধারণ তফসিলি ব্যাংক থেকে ধাতব মুদ্রা সংগ্রহ করতে পারছে না, জমাও দিতে পারছে না।এ পরিস্থিতিতে জনসাধারণের দৈনন্দিন স্বাভাবিক লেনদেনের স্বার্থে দেশে কার্যরত তফসিলি ব্যাংকের সব শাখায় ১, ২ ও ৫ টাকা মূল্যমানের ধাতব মুদ্রা লেনদেনের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।লেনদেন স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে ১, ২ ও ৫ টাকা মূল্যমানের ধাতব মুদ্রা সংরক্ষণের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের বেঁধে দেওয়া সংখ্যা মানতে হবে। তফসিলি ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয় ও ফিডিং শাখায় ১ টাকার কয়েন ২৪ হাজার পিস, ২ টাকার কয়েন ২৪ হাজার পিস ও ৫ টাকার কয়েন ন্যূনতম ১৫ হাজার পিস রাখতে হবে।এ ছাড়া অন্যান্য শাখায় ১ টাকার কয়েন ৮ হাজার পিস, ২ টাকার কয়েন ৮ হাজার পিস ও ৫ টাকার কয়েন ন্যূনতম ৫ হাজার পিস রাখতে হবে। আর প্রতিটি উপ-শাখায় ১ টাকার কয়েন ২ হাজার পিস, ২ টাকার কয়েন ২ হাজার পিস ও ৫ টাকার কয়েন ন্যূনতম ১ হাজার পিস রাখতে হবে।তবে লেনদেনের ফলে ধাতব মুদ্রার স্থিতি কমতে পারে জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, স্থিতি ন্যূনতম সংখ্যা থেকে কমলে জনসাধারণ, ফিডিং শাখা ও প্রয়োজনে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সংগ্রহ করতে পারবে।এইচএ
    আরও ১৯ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি
    বাজারে সরবরাহ বাড়াতে ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ৪৩টি প্রতিষ্ঠানকে আরও ১৯ কোটি ৩০ লাখ ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।  সূত্র জানায়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত ১৮ নভেম্বর এই ডিম আমদানির ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আমদানি-রফতানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দফতরকে চিঠি দিয়েছে। শিগগিরই এ বিষয়ে আদেশ জারি হবে।এর আগে গত অক্টোবর মাসে দুই দফায় ১৯ প্রতিষ্ঠানকে সাড়ে ৮ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়। চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ অনুমতি বলবৎ থাকবে। দেশে প্রতিদিন প্রায় পাঁচ কোটি ডিমের চাহিদা রয়েছে বলে মনে করা হয়।উল্লেখ্য, কিছু দিন আগে বাজারে প্রতি ডজন ডিমের দাম বেড়ে প্রায় ২০০ টাকা ছুঁইছুঁই করেছিল। ১৯০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। তখন সরবরাহে ঘাটতির কারণে ডিম পাওয়া যাচ্ছিল না। আমদানির অনুমতি দেওয়ায় ডিমের দাম কমে আসে। সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ ট্রেডিং করপোরেশনের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী আজ ঢাকার বাজারে প্রতি ডজন ডিম এখন ১৪৪ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।লাগামহীন ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণে গত ১৫ সেপ্টেম্বর কৃষি বিপণন অধিদফতর ডিমের ‘যৌক্তিক দাম’ নির্ধারণ করে দিয়েছিল। সে অনুযায়ী প্রতিটি ডিমের দাম উৎপাদন পর্যায়ে ১০ টাকা ৫৮ পয়সা, পাইকারি পর্যায়ে ১১ টাকা ০১ পয়সা ও খুচরা পর্যায়ে ১১ টাকা ৮৭ পয়সা (ডজন ১৪২ টাকা ৪৪ পয়সা) বিক্রি হওয়ার কথা। এতেও বাজার নিয়ন্ত্রণে না এলে দুই দফায় ডিম আমদানির অনুমতি ও গত ১৭ অক্টোবর বাজারে ডিমের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে সহনীয় পর্যায়ে রাখতে ডিম আমদানিতে কর ছাড় দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সেদিন ডিমের ওপর বিদ্যমান আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে সরকারি বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের বাজার মনিটরিং, বিভিন্ন বাজারে ডিম ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক, ভারত থেকে ডিম আমদানি ও আমদানি শুল্ক হ্রাসসহ নানা নাটকীয়তার পর কিছুটা স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে ডিমের বাজারে। বর্তমানে প্রতিডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪৪ টাকায়।এবি 
    উত্তরা ব্যাংকের এমডি রবিউল ইসলামের অপসারণ ও পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন
    উত্তরা ব্যাংকের এমডি মোঃ রবিউল হোসেনের অপসারণ ও পদত্যাগের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে সি বি এর নেতৃবৃন্দ ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা।গতকাল সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন শেষে ছাত্র জনতা ও সি বি এর নেতৃবৃন্দ মিলে উত্তরা ব্যাংকের হেড অফিসের মেইন ফটোকে প্রতিবাদ সমাবেশ ও সংবাদ সম্মেলন করেন।এসময় বক্তব্য রাখেন উত্তরা ব্যাংকের সি বি এর সাধারণ সম্পাদক আবু মোহাম্মদ আহসানুল হাবিব,ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ মোসলেম উদ্দিন, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোঃ জালাল আহম্মেদ বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের ছাত্র নেতা জাবের মাহমুদ, রোকন ও আবদুল্লাহ আল মাসুদ উপস্থিত ছিলেন।তারা অভিযোগ করেন ফ্যাসিবাদ সরকারের আমলের ইত মধ্যেই সকল ব্যাংকের এমডিরা অপসারণ বা পদত্যাগ করলেও কোন খুঁটির জোরে উত্তরা ব্যাংকের এমডি রবিউল হোসেন এখনো বহাল তোবিয়েতে রয়েছেন, তার দ্রুত অপসারণ ও পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।বক্তব্য রাখেন ছাত্র নেতা বৈষম্যের বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মেহেদী মেহরাব ছাত্র নেতা বৈষম্যের বিরোধী ছাত্র আন্দোলনেররেজওয়ান গাজী মহারাজ – শিক্ষার্থী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। জাহিদুর ইসলাম সুমন। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী কবি নজরুল সরকারি কলেজ,আরিয়ান নেওয়াজ, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী তিতুমীর সরকারি কলেজ, আবু মোহাম্মদ আহসানুল হাবিব, সাধারণ সম্পাদক উত্তরা ব্যাংক সিবিএ, মো: মোসলেহ উদ্দিন ( ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, সিবিএ) ,মো: জালাল আহমেদ প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সিবিএ মো: শাখাওয়াত হোসেন মহাসচিব উত্তরা ব্যাংক লিমিটেড কর্মচারী ইউনিয়ন মো: আলাউদ্দিন ড্রাইভার মো: শাহিন বার্তাবাহক ( উত্তরা ব্যাংক) মো: আমির হোসেন ড্রাইভার ,মো: রফিকুল ইসলাম, সভাপতি বাংলাদেশ ব্যাংক এমপ্লইজ ফেডারেশন।কৃষি ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।বক্তরা আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে এমডি রবিউল ইসলামকে পদত্যাগ করার আল্টিমেটাম দেন তা না হলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে মর্মে হুশিয়ারী দেন।এসএফ  
    এস আলমের শেয়ার বেচে ১০ হাজার কোটি টাকা আদায় করবে ইসলামী ব্যাংক
    ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ জানিয়েছেন, ইসলামী ব্যাংকে এস আলম গ্রুপের শেয়ার বিক্রি করে ১০ হাজার কোটি টাকা আদায়ের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।ওবায়েদ উল্লাহ ল মাসুদ বলেন, ‘এস আলম ইসলামী ব্যাংকের ১৭টি শাখা থেকে ৮০ হাজার কোটি টাকা নিয়ে গেছে। শুধু টাকা নেয়নি, আন্তর্জাতিক ব্যাংকগুলোর সঙ্গে ব্যাংকের যে সম্পর্ক ছিল, সেটাও ধ্বংস করে দিয়েছে।ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান আরো জানান, ‘টাকা আদায়ের পাশাপাশি পুরোনো উদ্যোক্তা সৌদি প্রতিষ্ঠান আল রাজিকে আনার চেষ্টা চলছে। আইএফসিকেও যুক্ত করার চেষ্টা করা হবে।’সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘সব ব্যাংককে রক্ষা করা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দায়িত্ব। পরিচালনায় বদল এনেও যেসব ব্যাংক এখনো ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি, তাদের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। সব আমানতকারীকে রক্ষা করা হবে।’তিনি আরো বলেন, ‘অনিয়মের মাধ্যমে যারা ব্যাংক থেকে টাকা নিয়েছেন, সেসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে আলাদাভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে। কোনো প্রতিষ্ঠানকে মরতে দেওয়া হবে না। কারণ, সব প্রতিষ্ঠান জাতীয় সম্পদ। এর সঙ্গে ব্যাংকের বিনিয়োগ, উৎপাদন ও সরবরাহ জড়িত। এস আলমের শাস্তির জন্য আদালতে মামলা দায়ের হবে। সেখানেই সিদ্ধান্ত হবে, তাদের কী হবে।’সংবাদ সম্মেলনে ইসলামী ব্যাংকের পুনর্গঠিত পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যানসহ পরিচালকেরা উপস্থিত ছিলেন।এসএফ 
    এস আলমের ঋণ জালিয়াতি: বাংলাদেশ ব্যাংকের ১৩ কর্মকর্তাকে তলব
    এস আলম গ্রুপ ও তার সহযোগীদের হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্যে এবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ১৩ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। উপ-পরিচালক ইয়াছির আরাফাত সই করা তলবি চিঠিতে আগামী ২০ ও ২১ নভেম্বর তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে হাজির হতে বলা হয়েছে। সোমবার (১৮ নভেম্বর) সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।চিঠিতে ২০ নভেম্বর যাদের তলব করা হয়েছে- বাংলাদেশ ব্যাংক পরিদর্শন বিভাগের যুগ্মপরিচালক সুনির্বাণ বড়ুয়া, অনিক তালুকদার, অতিরিক্ত পরিচালক শংকর কান্তি ঘোষ, ছলিমা বেগম, উপপরিচালক মো. জুবাইর হোসেন ও রুবেল চৌধুরী।২১ নভেম্বর যাদের তলব করা হয়েছে- বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংক পরিদর্শন বিভাগের যুগ্ম পরিচালক সৈয়দ মু. আরিফ-উন-নবী, অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, মো. শোয়েব চৌধুরী, মো. মঞ্জুর হোসেন খান ও মো. আব্দুর রউফ, উপ-পরিচালক লেনিন আজাদ পলাশ এবং পরিচালক মো. সরোয়ার হোসাইন।চিঠিতে কর্মকর্তাদের হাজির হওয়ার পাশাপাশি তাদের পরিচয়পত্র ও পাসপোর্টের সত্যায়িত ফটোকপি নিয়ে আসতে বলা হয়েছে। এছাড়া চিঠিতে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের চাকতাই শাখার গ্রাহক মেসার্স মুরাদ এন্টারপ্রাইজ, জুবিলি রোড শাখার গ্রাহক ইউনাইটেড সুপার ট্রেডার্স, খাতুনগঞ্জ শাখার গ্রাহক সেঞ্চুরি ফুড প্রোডাক্টস নামীয় ঋণ পরিদর্শন ও মনিটরিং সংক্রান্ত কর্মকর্তা ভূমিকার বিষয়ের বিস্তারিত তথ্যসহ হাজির হতে বলা হয়েছে। একই ঘটনায় এর আগে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের ২৩ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছিল সংস্থাটি। অভিযোগ রয়েছে, মেসার্স মুরাদ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী গোলাম সারওয়ার চৌধুরী, জুবিলি রোড শাখার গ্রাহক ইউনাইটেড সুপার ট্রেডার্স, খাতুনগঞ্জ শাখার গ্রাহক সেঞ্চুরি ফুড প্রোডাক্টসসহ অন্যান্যরা ঋণের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা ইসলামী ব্যাংকে থেকে আত্মসাৎ করেছে। এইচএ
    আগামী বছর ব্যাংকে ছুটি ২৭ দিন
    আগামী বছর ২০২৫ সালে বিভিন্ন সরকারি ছুটি ও দুদিন ব্যাংক ছুটিসহ দেশের ব্যাংক ও ফাইন্যান্স কোম্পানিগুলো মোট ২৭ দিন বন্ধ থাকবে। তবে এই ২৭ দিনের মধ্যে আট দিন শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি রয়েছে। সরকারি ছুটি ছাড়াই ১ জুলাই ও ৩১ ডিসেম্বর ব্যাংক ছুটি উপলক্ষ্যে গ্রাহকদের সঙ্গে ব্যাংক ও ফাইন্যান্স কোম্পানিগুলোর লেনদেন বন্ধ থাকবে। তবে ওই দুদিন ব্যাংক চলবে অর্ধবার্ষিক ও বার্ষিক হিসাব হিকাশ করার জন্য। এ বিষয়ে রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সার্কুলার জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংক ও ফাইন্যান্স কোম্পানিগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে। সরকারি ছুটির সঙ্গে মিলিয়ে ব্যাংক ও ফাইন্যান্স কোম্পানিগুলোর জন্য আগামী বছরের ছুটির এই তালিকা চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি বছর ব্যাংকে ছুটি ছিল ২৪ দিন। আগামী বছর থেকে ঈদের ছুটি বাড়ানোর কারণে ব্যাংক ও ফাইন্যান্স কোম্পানিগুলোর ছুটিও বেড়েছে।বাংলাদেশ ব্যাংকের তালিকা অনুযায়ী, আগামী বছর প্রথম সরকারি ছুটির দিনটি হবে শবেবরাতে। এ উপলক্ষ্যে ১৫ ফেব্রুয়ারি শনিবার একদিন ব্যাংক বন্ধ থাকবে। ওই মাসে শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে ২১ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার একদিন ব্যাংক বন্ধ থাকবে। এরপর স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে ২৬ মার্চ বুধবার, জুমাতুল বিদা ও শবেকদর উপলক্ষ্যে ২৮ মার্চ শুক্রবার ছুটি থাকবে।আগামী বছরের পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে ২৯ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত পাঁচ দিন ব্যাংক বন্ধ থাকবে। এর মধ্যে এক দিন সাপ্তাহিক ছুটি পড়েছে। ঈদুল ফিতরের আগের দুই দিন, ঈদের দিন ও ঈদের পরের দুই দিন ব্যাংক বন্ধ রাখা হবে।নববর্ষ উপলক্ষে ১৪ এপ্রিল সোমবার, মে দিবস উপলক্ষে ১ মে বৃহস্পতিবার ও বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে ১১ মে রোববার ব্যাংক বন্ধ থাকবে। আগামী বছরের বছরের ৫ থেকে ১০ জুন এ ছয় দিন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ব্যাংক বন্ধ থাকবে। এর মধ্যে দুই দিন সাপ্তাহিক ছুটি পড়েছে।এ ছাড়া ১ জুলাই মঙ্গলবার ব্যাংক হলিডে উপলক্ষে এক দিন, আশুরা উপলক্ষে ৬ জুলাই রোববার, জন্মাষ্টমী উপলক্ষে ১৬ আগস্ট শনিবার, ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে ৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার, দুর্গাপূজা উপলক্ষে ১ ও ২ অক্টোবর (বুধ ও বৃহস্পতিবার) দুই দিন, বিজয় দিবস উপলক্ষে ১৬ ডিসেম্বর মঙ্গলবার, বড়দিন উপলক্ষে ২৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার ও ব্যাংক হলিডে উপলক্ষে ৩১ ডিসেম্বর বুধবার ব্যাংক বন্ধ থাকবে।আগে ঈদের ছুটি থাকতো তিন দিন। নতুন অন্তবর্তী সরকার ঈদের ছুটি বাড়িয়ে ঈদুল ফিতরের ছুটি পাচ দিন ও ঈদুল আজহার ছুটি ছয় দিন করেছে। এছাড়া দুর্গাপূজা উপলক্ষে আগে এক দিন ছুটি থাকতো। আগামী বছর থেকে তা বাড়িয়ে দুই দিন করা হয়েছে।গত বছর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিবস উপলক্ষে ১৭ মার্চ ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ১৫ আগস্ট ছুটি ছিল। এসব ছুটি সরকারের নির্বাহী আদেশে নতুন সরকার বাতিল করেছে।আলেঅচ্য ছুটির মধ্যে শবে বরাত, শবে কদর, ঈদুল ফিতর, বুদ্ধপূর্ণিমা, ঈদুল আজহা, আশুরা ও ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) এর ছুটি নির্ভর করবে চাঁদ দেখার ওপর। ফলে এসব ছুটির দিন ক্ষণ পরিবর্তন হতে পারে। আগামী বছরের জন্য সরকারি যে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে, তাতে কিছু ছুটি পড়েছে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার ও শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার। ফলে এসব ছুটির সঙ্গে সাপ্তাহিক ছুটিও যোগ হবে। তাতে লম্বা ছুটির সুযোগ পাবেন ব্যাংকের কর্মীরাও। সরকারি যেসব ছুটি রবি ও বৃহস্পতিবার পড়েছে, তার সঙ্গে শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে তিন দিন ছুটি ভোগ করতে পারবেন তারা। সেই হিসাবে ব্যাংকাররা আগামী বছর টানা তিন দিনের ছুটি পাবেন মে দিবস, বুদ্ধপূর্ণিমা, আশুরা ও বড়দিনের ছুটিকে কেন্দ্র করে। আর দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করেও চার দিনের ছুটি পাবেন তারা। এদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানায়, ছুটির তালিকা লম্বা হলে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে ও রপ্তানির গতি স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে লম্বা ছুটির মধ্যে কিছু দিন সীমিত সময়ের জন্য ব্যাংক খোলা রাখা হতে পারে। যেটি আগেও হয়েছে।এসএফ 
    ১৬ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৫ হাজার কোটি টাকা
    চলতি বছরের নভেম্বর মাসের প্রথম ১৬ দিনে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় দেশে এসেছে ১২৫ কোটি ৫১ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। যা দেশীয় মুদ্রায় দাঁড়ায় ১৫ হাজার ৪১ কোটি ৪৭ লাখ ৭৯ হাজার ২০০ টাকা (প্রতি ডলার ১১৯ টাকা ৮৪ পয়সা হিসেবে)।রোববার (১৭ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নভেম্বরের প্রথম ১৬ দিনে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে প্রবাসী আয় এসেছে ৭৪ কোটি ৯৭ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার, যা দেশীয় মুদ্রায় দাঁড়ায় আট হাজার ৯৮৫ কোটি ৪০ হাজার টাকা। এছাড়া রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪২ কোটি সাত লাখ ডলার, বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে আট কোটি ১৪ লাখ ৬০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৩২ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার। দেশে কার্যরত ব্যাংকগুলোর মধ্যে প্রথম ১৬ দিনে একক ব্যাংক হিসেবে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে। ব্যাংকটির মাধ্যমে প্রবাসী আয় ২০ কোটি ৩২ লাখ ৬০ হাজার ডলার এসেছে, যা দেশীয় মুদ্রায় দাঁড়ায় দুই হাজার ৪৩৫ কোটি ৮৬ লাখ ৭৮ হাজার ৪০০ টাকা। রেমিট্যান্সে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে জনতা ব্যাংক। ব্যাংকটির মাধ্যমে এসেছে ১২ কোটি ৮১ লাখ ৭০ হাজার ডলার। এরপর ব্র্যাক ব্যাংকের মাধ্যমে ১২ কোটি ১৫ লাখ ৩০ হাজার ডলার, সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে ১০ কোটি ২১ লাখ ৫০ হাজার ডলার, রূপালী ব্যাংকের মাধ্যমে ৯ কোটি ৮৬ লাখ ৭০ হাজার ডলার এবং অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে ৯ কোটি ১৬ লাখ ৬০ হাজার ডলার এসেছে।বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারিতে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১১ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার ডলার। ফেব্রুয়ারিতে আসে ২১৬ কো‌টি ৪৫ লাখ ৬০ হাজার ডলার, মার্চে ১৯৯ কো‌টি ৭০ লাখ ৭০ হাজার ডলার, এপ্রিলে ২০৪ কোটি ৪২ লাখ ৩০ হাজার ডলার, মে মাসে ২২৫ কোটি ৪৯ লাখ ৩০ হাজার ডলার, জুনে ২৫৩ কোটি ৮৬ লাখ ডলার, জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার, আগস্টে ২২২ কোটি ৪৫ লাখ ৫০ হাজার ডলার, সেপ্টেম্বর ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ ৯০ হাজার ডলার এবং অক্টোবর ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ ৮০ হাজার ডলার এসেছে।  গত বছরের ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯১ কোটি ১২ লাখ ৬০ হাজার ডলার, নভেম্বরে ১৯৩ কোটি ৪০ হাজার ডলার, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি ১৪ লাখ ৩০ হাজার ডলার, সেপ্টেম্বরে ১৩৩ কোটি ৪৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার, আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার এবং জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।এসএফ 
    বর্তমানে দেশে মোট খেলাপি ঋণ ২ লাখ ৮৫ হাজার কোটি টাকা
    বর্তমানে দেশে মোট খেলাপি ঋণ ২ লাখ ৮৫ হাজার কোটি টাকা বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। যা বিতরণ করা ঋণের ১৭ শতাংশ। রোববার (১৭ নভেম্বর) এ তথ্য জানানো হয়।বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৮৫ হাজার কোটি টাকা, যা বিতরণ করা ঋণের ১৭ শতাংশ। গত ১৬ বছরের মধ্যে বিতরণ করা ঋণ ও খেলাপি ঋণের সর্বোচ্চ অনুপাত এটি।তথ্য বলছে, গত জুন পর্যন্ত খেলাপি ঋণ ছিল ২ লাখ ১১ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা। অর্থাৎ গত তিন মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৭৩ হাজার ৫৮৬ কোটি টাকা।সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চাপে ব্যাংকগুলোর প্রকৃত তথ্য বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। এতদিন যা স্বার্থান্বেষী মহলগুলোর কারসাজিতে চাপা পড়েছিল।গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনের অবসান হয়। গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। মূলত তার পদত্যাগের পর ব্যাংক খাতের প্রকৃত তথ্য সামনে আসতে শুরু করছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।এসএফ 

    Loading…