এইমাত্র
  • দুর্গোৎসবের মঞ্চে ইসলামী সংগীত
  • ফ্লোরিডায় হারিকেন মিল্টনের তাণ্ডব, বিদ্যুৎহীন ৩০ লাখের বেশি মানুষ
  • দুর্গোৎসবে সপ্তমীতে মণ্ডপে মণ্ডপে উৎসবের বারতা
  • ভারতে পালিয়ে যাওয়ার গুঞ্জন বিতর্কিত ম্যাজিস্ট্রেট ঊর্মির
  • প্রধান বিচারপতির বাসভবনকে সংরক্ষিত রাখা হবে পুরাকীর্তি হিসেবে
  • বাসায় ঢুকে ফ্ল্যাট দখলের চেষ্টার অভিযোগ, দীপ্ত টেলিভিশনের কর্মীকে পিটিয়ে হত্যা
  • মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি নির্মাণ শ্রমিককে গলা কেটে হত্যা
  • মার্কিন অর্থনীতিতে ধস, শেয়ার নামল ১৫ শতাংশের নিচে
  • ফের ৫ দিনের রিমান্ডে আ. লীগ নেতা ডাবলু, আদালতে চত্বরে ডিম নিক্ষেপ
  • শেখ হাসিনাসহ তার সাঙ্গোপাঙ্গ খুনিদের বিচার করতে হবে: এ্যানি
  • আজ বৃহস্পতিবার, ২৫ আশ্বিন, ১৪৩১ | ১০ অক্টোবর, ২০২৪

    ফিচার

    এম. আজিজুর রহমানের চলে যাওয়ার এক বছর আজ
    প্রথিতযশা কবি, সাহিত্যিক সাবেক সচিব ও দেশের প্রথম প্রধান তথ্য কমিশনার এম. আজিজুর রহমানের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০২৩ সালের এই দিনে সবাইকে কাঁদিয়ে বার্ধক্যজনিত কারণে চিরবিদায় নেন তিনি। দেখতে দেখতে আজ তাঁর চলে যাওয়ার এক বছর হলো।গুণী এ মানুষটি দেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল 'সময়ের কন্ঠস্বর' এর প্রতিষ্ঠাতা। ২০১৩ সালের ১৪ জুন 'প্রজন্মের সংবাদ মাধ্যম' স্লোগান নিয়ে যার যাত্রা শুরু করেছিলেন তিনি। তাঁর কীর্তিধন্য এ প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘ সময় পাড়ি দিয়ে আজ বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে কোটি পাঠকদের মন জয় করেছে।মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর আত্মার মাগফেরাত কামনায় মিরপুর ১০ নম্বর সেকশনে অবস্থিত জান্নাতুল মাওয়া কবরস্থানে কবর জিয়ারত ও সময়ের কণ্ঠস্বর কার্যালয়ের হলরুমে স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকেও নানা আয়োজন করা হয়েছে। বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের অধিকারী বরেণ্য এই মানুষটি মাদারীপুর সদর উপজেলার ধুরাইল ইউনিয়নের ইটখোলা বাজিতপুর গ্রামে ১৯৪৩ সালের ১০ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা আঃ মান্নান ও মা শিরিন জাহান। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের উপরে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। এছাড়া তিনি যুক্তরাজ্যের কুইন ভিক্টোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয় অফ ম্যানচেস্টারেও পড়াশোনা শেষ করেন।প্রচারবিমুখ এই মানুষটি মাদারীপুরে মায়ের নামে স্কুল-কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছেন। মৃত্যুকালে তিনি দুই ছেলে এক মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী এ মানুষটি সাহিত্য জগতে আজিজুর রহমান আজিজ নামে পরিচিত ছিলেন। বিশেষ করে তিনি তার প্রজম্ন এবং বন্ধু, অণুসারী ও পরিচিত সম্প্রদায়ের মাঝে 'এই শহরের জীবন্ত কবি' নামেই পরিচিত।শৈশবে কবিতা ও ছড়া লেখা দিয়ে তার লেখালেখির যাত্রা শুরু হলেও ধীরে ধীরে তিনি কবিতার পাশাপাশি গল্প, উপন্যাস, গান রচনা করে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করেছেন।তিনি ছিলেন একাধারে সাবেক সচিব ও দেশের প্রথম প্রধান তথ্য কমিশনার, বঙ্গীয় সাহিত্য সংস্কৃতি সংসদের প্রধান উপদেষ্টা, রবীন্দ্র একাডেমির সভাপতি, কবি, সাহিত্যিক, উপন্যাসিক, সুরকার, এবং গীতিকার। এ পর্যন্ত আজিজুর রহমান আজিজ ৬৫ গ্রন্থ; উপন্যাস, অসংখ্য কাব্যগ্রন্থ, শিশুতোষ গ্রন্থ লিখেছেন এবং তাঁর লেখা নিয়ে চলচ্চিত্র হয়েছে। পেশাগত জীবনে এম. আজিজুর রহমান জনপ্রশাসনের একজন সদস্য ছিলেন। এবং ২০০১ সালে সচিবের পদ থেকে অবসর জীবন গ্রহণ করেন। ২০১০ তিনি বাংলাদেশের প্রথম প্রধান তথ্য কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন এবং এই কমিশনকে কাঙ্খিত পর্যায়ে প্রতিষ্ঠিত করেন। পরবর্তীতে তিনি বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের বাের্ড অব ট্রাস্টিজের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া ইসলামী ফাউন্ডেশনের বাের্ড অফ গর্ভনরস এর অন্যতম গৰ্ভরনস, পিস এ্যান্ড হারমনি ট্রাস্টের চেয়ারম্যানসহ বহু সাহিত্য সংস্কৃতি সামাজিক, দাতব্য সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। সর্বশেষ ইসলামী ফাউন্ডেশনের বাের্ড অফ গর্ভনরস এর অন্যতম গৰ্ভরনস হিসেবেও নিজেকে অবদান রাখার চেষ্টা করেছেন। তিনি ১৯৮০ সাল থেকে লেখালেখি করেছেন, সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য ২০২১ সালে বাংলা একাডেমি তাকে সম্মানসূচক ফেলোশিপ প্রদান করে এছাড়াও তিনি স্বনির্ভর প্রকল্প কর্তৃক ব্রোঞ্জ পদক, মাইকেল মধুসূদন পুরস্কার ঢাকা, শের-ই-বাংলা সাহিত্য পদক ঢাকা, যুক্তরাষ্ট্র ক্যামব্রিজ ভিত্তিক গ্রন্থাগারিক কেন্দ্র, ১৯৯৮ সালের 'বর্ষসেরা ব্যক্তি' পুরস্কারসহ বহু পুরস্কার পেয়েছেন।এম. আজিজুর রহমানের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে মরহুমের আত্মার শান্তি কামনা করছে সময়ের কণ্ঠস্বর পরিবার।এবি 
    পরমাণু জ্বালানীর ব্যবস্থাপনা বিষয়ে রূপপুরে বিশেষজ্ঞদের প্রশিক্ষণ
    রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের এক দল বিশেষজ্ঞ ভিভিইআর চুল্লীতে কম্পিউটার বিশ্লেষণ ট্যুল ব্যবহারের মাধ্যমে পরমাণু জ্বালানীর ব্যবস্থাপনা বিষয়ে তিন সপ্তাহের প্রশিক্ষণ লাভ করেছেন।রাশিয়ার ত্রয়িতস্কে রসাটম গবেষণা ইন্সটিটিউটে রসাটম জ্বালানী বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত প্রশিক্ষণ কোর্সটি পরিচালনা করেন তাত্ত্বিক পদার্থ বিদ্যা, কম্পিউটেশনাল গণিত এবং আধুনিক প্রকৌশল ক্ষেত্রে শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞবৃন্দ।মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বিকেলে প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রাশিয়ার রসাটম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।বাংলাদেশী প্রকৌশলীদের বিশেষ করে রিয়্যাক্টর ফুয়েল-কুল্যান্ট একটিভিটি (RTOP-CA) কোড বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। এই কোডের মাধ্যমে পরমাণু জ্বালানী রডের অখন্ডতা এবং ভিভিইআর চুল্লীর প্রাইমারি সার্কিটে ইউরেনিয়ামের বিভাজনের ফলে সৃষ্ট বিভিন্ন পদার্থের নির্গমন করা সম্ভব হয়। এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বিশেষজ্ঞরা অস্বাভাবিক কোনও অবস্থায় পরমাণু জ্বালানীর আচরণ সম্পর্কে বিশদ জ্ঞান অর্জন করেন।রসাটম গবেষণা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক কিরিল ইলিন বলেন, “আন্তর্জাতিক পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হলো কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞদের প্রশিক্ষণ। কম্পিউটার স্টিমুলেশন ট্যুলের ব্যবহার আধুনিক প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামের একটি অংশ। আমাদের এই প্রোগ্রামে এই বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে উপস্থাপন করা হয়েছে। প্রশিক্ষণে অন্তর্ভূক্ত ছিল লেকচার, টেকনিক্যাল ডকুমেন্টের পর্যালোচনা এবং জ্বালানী রডের অখন্ডতা নিয়ন্ত্রনে ব্যবহারিক কার্যক্রম”।রূপপুর এনপিপি’র ফুয়েল রড জ্যাকেট স্পেকট্রোমেট্রি এবং মনিটরিং বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ শরিফুদ্দীন তার মন্তব্যে বলেন, “আমাদের দক্ষতা উন্নয়নের জন্য প্রশিক্ষণটি ছিল একটি বড় সুযোগ। প্রোগ্রামের সকল লেকচার, এসাইনমেন্ট, টিউটোরিয়ালগুলো ছিল যথাযথ, সহজবোধ্য এবং আমাদের কাজের সাথে সম্পর্কিত”।প্রশিক্ষণ শেষে বাংলাদেশী প্রকৌশলীরা একটি পরীক্ষায় অবতীর্ণ হন এবং সফলতার সঙ্গে উত্তীর্ণ হওয়ার পর তাদেরকে RTOP-CA  ব্যবহারকারী সনদ প্রদান করা হয়।জ্বালানী রড জ্যাকেটের ইন-প্রসেস মনিটরিং এর জন্য RTOP-CA কোড প্রবর্তন করা হয়। এর সাহায্যে ফিশন বিক্রিয়ার ফলে ভিভিইআর পরমাণু চুল্লীর প্রাইমারী সার্কিটের কুল্যান্টের (শীতলকারী মাধ্যম) মধ্যে নির্গত বিভিন্ন পদার্থের কার্যক্রম এবং অখন্ডতা ক্ষুণ্ণ হওয়ার ফলে জ্বালানী রডের আচরণ সম্পর্কে ভবিষ্যৎ বানী করা সম্ভব।রসাটম নিয়মিতভাবে রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্পের বিশেষজ্ঞদের প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে। চুক্তি অনুযায়ী ১,৫০০ বাংলাদেশী প্রকৌশলী রাশিয়ায় রসাটমের বিভিন্ন স্থাপনায় প্রশিক্ষণ এবং ইন্টার্নশীপ সম্পন্ন করার সুযোগ পাবেন। ইতোমধ্যে রসাটম টেকনিক্যাল একাডেমীর অধীনে প্রায় ৮০০ জন এ জাতীয় প্রশিক্ষণ লাভ করেছেন।উল্লেখ্য, রাশিয়ার কারিগরী ও আর্থিক সহায়তায় রূপপুরে নির্মিত হচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। প্রকল্পটিতে দুটি বিদ্যুৎ ইউনিট থাকবে এবং এর মোট উৎপাদন ক্ষমতা হবে ২,৪০০ মেগাওয়াট। প্রতিটি ইউনিটে স্থাপিত হবে ৩+ প্রজন্মের রুশ ভিভিইআর-১২০০ রিয়্যাক্টর যা সকল আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা চাহিদা পুরনে সক্ষম। রসাটম প্রকৌশল শাখা জেনারেল ডিজাইনার এবং কন্ট্রাকটর হিসেবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।পিএম
    ইতিহাস গড়লেন দেশের প্রথম নারী রেসিং ড্রাইভার কাশফিয়া আরফা
    বাংলাদেশের প্রথম ও একমাত্র নারী রেসিং ড্রাইভার হিসেবে ইতিহাস গড়েছেন কাশফিয়া আরফা। তিনি এশিয়ান অটো জিমখানা চ্যাম্পিয়নশিপে ষষ্ঠ স্থান অর্জন করেন।সম্প্রতি এক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে অরফা জানিয়েছেন, এশিয়ান অটো জিমখানা চ্যাম্পিয়নশিপে মিক্সড-ডাবল ক্যাটাগরিতে সেকেন্ড রাউন্ডে ষষ্ঠ স্থান জিতে নিয়েছেন। তিনি তার এই অদম্য যাত্রা অব্যাহত রাখতে চান।আরফা এফআইএ (ফিয়া) এএসএন জাতীয় রেসিং লাইসেন্সের অধিকারী।ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজ থেকে চলতি বছরে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন কাশফিয়া আরফা। যেখানে তিনি হ্যান্ডবল টিমেও ছিলেন। বর্তমানে অটোমোবাইল এসোসিয়েশন বাংলাদেশে কাজ করছেন।এসএফ 
    আজ ক্ষমা করে মানসিক চাপ কমানোর দিন
    দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ভেঙে গেছে। যাওয়ার আগে প্রিয় মানুষটি দিয়ে গেলেন একরাশ অপবাদ। রাগে, দুঃখে, অপমানে শরীরের রক্ত টগবগ করছে। কিংবা নির্দিষ্ট কোনো ঘটনা নিয়ে আপনার সঙ্গে চূড়ান্ত অন্যায় করলেছেন ওই প্রিয় মানুষটি বা পরিবারের মানুষজন। অথবা ঘনিষ্ঠ বন্ধু, আত্মীয়-পরিজন বা কোনো সহকর্মী বড় কোনো ক্ষতি করেছেন; চলতিপথে রিকশাচালক, পথচারী কিংবা গণপরিবহনের হেলপারের কাছে অযথাই দুর্ব্যবহার পেলেন; এসব পরিস্থিতিতে কী করেন বা কী করবেন? তাহলে আজ ক্ষমা করে দিন কেননা আজ ক্ষমা করে মানসিক চাপ কমানোর দিন। তাছাড়া মানুষের মধ্যে মহৎ গুণের অন্যতম একটি গুণ হচ্ছে ‘ক্ষমাশীলতা’ সর্বোৎকৃষ্ট এ গুণ মানুষকে মহৎ বানায়। সম্মান বাড়ায়। পরস্পরের মধ্যে ভালোবাসার বন্ধন দৃঢ় করে।ব্যক্তিভেদে প্রতিক্রিয়া ভিন্ন হবে, এটাই স্বাভাবিক। অধিকাংশ মানুষই হয়তো প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে উঠবেন। আর যারা একটু অন্যরকম, মানবিক, ক্ষমাশীল হৃদয়ের মানুষ, তারা কিন্তু সে পথ মাড়াবেন না। তারা দুঃখ পাবেন, আড়ালে মুখ লুকিয়ে বিষাদ লুকাবেন হয়তো। মুহূর্তে নিজেকে সামলে নিয়ে ছোট্ট করে হাসি ফুটিয়ে তুলবেন মুখে। তারপর মনে মনে বলবেন, ‘ব্যাপার না, ক্ষমা করে দিলাম।’ক্ষমা করে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অদ্ভুত এক স্বর্গীয় সুখে তার মন ভরে উঠবে। মার্কিন মনোবিজ্ঞানী এভারেট অর্থিংটন সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখিয়েছেন যে অন্যকে ক্ষমা করলে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে। ৫টি দেশের ৪ হাজার ৫০০ জনের ওপর এই গবেষণা পরিচালিত হয়। অনেক গবেষণাপত্রেই এমন ফলাফল উঠে এসেছে। ক্ষমার মাধ্যমে মানুষের সঙ্গে গড়ে ওঠে সুস্থ ও সুন্দর সম্পর্ক। হতাশা, দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপ কমে যায়। শত্রুতা হ্রাস পায়। গবেষকরা জানান, ক্ষমার সঙ্গে মানুষের দৈহিক সুস্থতাও অনেকাংশে সম্পর্কিত। ক্ষমা করার গুণ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে, হৃৎস্বাস্থ্য ভালো রাখে, এমনকি দেহের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি করে। মোদ্দাকথা, বিদ্বেষ, রাগ বা প্রতিশোধপরায়ণতার মতো নেতিবাচক বৈশিষ্ট্যগুলো ক্ষমার মতো মহৎ গুণ দিয়ে প্রতিস্থাপন করতে পারলে অপার সুখে ভরে ওঠে মানবজীবন।আজ ৭ অক্টোবর, ক্ষমা করে সুখী হওয়ার দিন (ফরগিভনেস অ্যান্ড হ্যাপিনেস ডে)। যুক্তরাষ্ট্রে এটি পালিত হয়। রবার্ট ময়ার্স নামক এক ব্যক্তির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ওয়ার্ল্ডওয়াইড ফরগিভনেস অ্যালায়েন্স দিনটি চালু করে। দারুণ এই দিবস কিন্তু পালন করা যেতে পারে। যারা ভুল বা অন্যায় করেছেন আপনার সঙ্গে, ক্ষতি করেছেন, আপনাকে অপমান–অপদস্থ করার চেষ্টা করেছেন, তাদের ক্ষমা করে দিন। দেখবেন ঘৃণা, অভিযোগ, দোষারোপ, অভিশাপ, প্রতিশোধের মানসিকতামুক্ত জীবন সুখে ভরপর! এবি 
    ঐতিহ্যবাহী পানাম নগর
    সোনারগাঁ বাংলাদেশের ইতিহাসের এক গৌরবোজ্জল প্রাচীন জনপদ। সোনারগাঁ জাতির ইতিহাস, সংস্কৃতি ও শিল্পকলার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। প্রাচীন বাংলার রাজধানী সোনারগাঁর একাংশে রয়েছে পানাম নগর। পানাম নগর বাংলাদেশের ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ উপজেলায় অবস্থিত। ঢাকা থেকে দক্ষিণ-পূর্বে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরত্বে পানাম সিটি অবস্থিত। বর্তমানে পর্যটনের নগরী হিসেবে রূপান্তরিত হয়েছে। এখনে প্রতিদিন দেশ-বিদেশের হাজারো পযর্টক ঘুরতে আসেন। পানাম নগরকে সরকার ২০০৩ সালে সংরক্ষিত পুরাকীর্তি হিসেবে গেজেটভুক্ত করে ২০১৫ সালে ৬ অক্টোবর পর্যটকদের জন্য উম্মুক্ত করে দেয়।জানা গেছে, সোনারগাঁ ছিল বাংলার মুসলিম শাসকদের অধীন পূর্ববঙ্গের একটি প্রশাসনিক কেন্দ্র।তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে সোনারগাঁ ছিল বাংলার মুসলিম শাসকদের রাজধানী। এখানে রয়েছে গ্রাম বাংলার ঐতিহাসিক নানান সব নিদর্শন।এখনো পানাম নগরে দেখা যায় অপূর্ব ও নিপুণ কারুকাজখচিত প্রাচীন সব ইমারত। সরু রাস্তার দুই পাশে অট্টালিকা, সরাইখানা, মসজিদ, মন্দির, মঠ, ঠাকুর ঘর, গোসলখানা, কূপ, নাচঘর, খাজাঞ্চিখানা, টাঁকশাল, দরবার কক্ষ, গুপ্তপথ, প্রশস্ত দেয়াল, প্রমোদালয় জানান দেয় এ নগরের প্রাচীন সমৃদ্ধির কথা।পানাম নগরের বিভাশিত বর্নাঢ্য-ইমারত সমূহ স্বাক্ষ্য দেয় একসময় সোনারগাঁয়ের অভিজাত নাগরিকদের বসবাসের কেন্দ্র ছিল। ১২৮১ খ্রিষ্টাব্দে এই অঞ্চলে মুসলিম আধিপত্যের সূচনার পর আওরঙ্গজেবের আমলে বাংলার রাজধানী ঢাকা ঘোষণা হওয়ার আগপর্যন্ত মুসলিম সুলতানদের রাজধানী ছিল সোনারগাঁও। যদিও তখন প্রাচীন এই রাজধানী পানাম নামেই পরিচিত ছিল। ঈশা খাঁ ও তার বংশধরদের শাসনামলে সোনারগাঁ ছিল পূর্ববঙ্গের রাজধানী।সরেজমিনে দেখা গেছে,কোনো রকম টিকে আছে ঈশা খাঁর শাসনামলে গড়ে ওঠা ঐতিহাসিক পানাম নগর।পানাম নগরের প্রত্যেকটি ভবন খুবই ঝুঁকিপূর্ণ ।পানাম নগর হারাতে বসেছে তার ঐতিহাসিক রূপ, সোন্দর্য ও জৌলুস। এই নগরের অনেক প্রাচীন স্থাপনাই বিলুপ্ত হয়ে গেছে। ২০ বর্গকিলোমিটার এলাকার এ শহরের মাঝে দিয়ে চলে যাওয়া সড়কের দুই পাশে ছোট-বড় ১০২টি ইমারত একসময় শোভা পেলেও বর্তমানে কোনো রকম টিকে আছে মাত্র ৫২টি ভবন।পানাম সিটির মাঝে দিয়ে যে সড়কটি রয়েছে, তার একপাশে ৩১টি আর অপর পাশে ২১টি ভবন রয়েছে। এখন পর্যন্ত সংস্কার করা হয়েছে মাত্র দুটি (৪ নম্বর ও ১৩ নম্বর) ভবন।এক সময়কার ঐশ্বর্যমণ্ডিত আজকের জীর্ণ-পরিত্যক্ত পানাম নগরী তার অন্যতম স্মৃতি স্মারক। সোনারগাঁয়ে আকাশে-বাতাসে, জরাজীর্ণ প্রতিটি অট্টালিকার ইটের পরতে পরতে আজও যেন ধ্বনিত স্পন্দিত হয় বাংলার গৌরবময় রোমাঞ্চকর ইতিহাসের চাপা দীর্ঘশ্বাস।পানাম নগর একসময় সন্ধ্যা নামার পর নাচ, গান, সুর ও সাকির আয়োজনে মেতে উঠত; নৃত্যের তালে তালে ঝুমুরের শব্দ ও তানপুরার সুরে মুখর হয়ে উঠত সোনারগাঁর বাতাস। আজ সেই নগরে সন্ধ্যা নামলে নেমে আসে গা-ছমছমে নীরবতা।যে নাচঘরে সারা রাত চলত জলসা, নর্তকীর পায়ের ঘুঙুরের শব্দে মুখরিত থাকত; সেই নাচঘর এখন আর আলোকিত হয় না। নামিদামি বণিক ও পর্যটকদের ডিঙি নৌকা ভেড়ে না নগরের ময়ূরপঙ্খি ঘাটে। এখন যেন পানাম নগরের দেয়ালে কান পাতলে শোনা যায় নগরের হাহাকার আর আর্তনাদ।স্থানীয় ইতিহাসবিদ, লেখক ও বয়োজ্যেষ্ঠদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১৯৭৭-৭৮ সালের দিকেও পানাম নগরীর রাস্তার দুই পাশে প্রাচীনকালের প্রায় একই আদলে তৈরি একতলা ও দ্বিতলবিশিষ্ট ১০২টি ইমারত ছিল। ১৯৭৭-৭৮ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত বছরের বিভিন্ন সময় প্রায় অর্ধেক ভবন ধ্বংস হয়। ধসে যাওয়া ভবনগুলোর বেশির ভাগই ধ্বংস করা হয়েছে ব্যক্তিগত লোভ-লালসার কারণে। আর কিছু ধ্বংস হয় প্রকৃতগতভাবে বা রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে।ঐতিহাসিকদের মতে, প্রাচীন সুবর্ণ গ্রাম থেকে সোনারগাঁ নামের উদ্ভব। ১৩ শতকের স্থানীয় হিন্দু রাজা দনুজ মাধব দশরথদেব সুবর্ণ গ্রামকে তাঁর শাসনকেন্দ্রে পরিণত করেন। বঙ্গ অঞ্চল মুসলিম শাসনে আসার পর থেকে ঢাকা সুবা বাংলার রাজধানী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগপর্যন্ত সোনারগাঁ ছিল স্বাধীন সুলতানি বাংলার অন্যতম রাজধানী ও প্রশাসনকেন্দ্র। হাজার বছরের প্রাচীন। শহর সোনারগাঁ কেমন ছিল, তা আর আজ জানা যায় না। সেই অজানা নগরের কথা বলতেই যেন সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে পানাম নগর। স্থানীয় লোকজনের কাছে যা 'মৃত নগরী' বা 'রহস্য নগরী'। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের সূত্রমতে পানাম নগরের স্থাপনাগুলোয় ইউরোপীয় স্থাপত্যরীতির সঙ্গে মোগল ও সুলতানি স্থাপত্যরীতির মিশ্রণ রয়েছে। নিখুঁত নকশায় গড়া একটি সমৃদ্ধ নগর ছিল পানাম। এর সঠিক বয়স জানা যায় না। তবে ধারণা করা যায় যে শত শত বছর ধরে পানাম মূলত সমৃদ্ধ ব্যবসানগরী হিসেবে গড়ে উঠেছিল। ঐতিহ্যের মসলিন ও পরবর্তীকালে নীল কেনাবেচার কেন্দ্র হিসেবে এই নগরকে ব্যবহার করা হয়েছে।ঐতিহ্যমণ্ডিত এবং ঐতিহাসিক এই স্থাপনাগুলো অনতিবিলম্বে সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে সচেতন সুধীমহল মনে করেন। সেই সঙ্গে এই পুরাকীর্তিগুলো তার পুরোনো কাঠামো এবং আদলেই সংস্কার ও সংরক্ষণ করা একান্ত প্রয়োজন, নয়তো যে কয়েকটি স্থাপনা এখনো অবশিষ্ট আছে, একসময় তার শেষ চিহ্নটুকুও কালের গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। সেই সঙ্গে হারিয়ে যাবে এক ঐতিহ্যবাহী সমৃদ্ধ নগরীর গর্বিত ইতিহাস।এইচএ
    আজ ‘জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন’ দিবস
    ‘জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস’ আজ রবিবার (৬ অক্টোবর)। মূলত নাগরিক অধিকার সুরক্ষায় ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন করতে হয়। আইন অনুযায়ী, বর্তমানে সব পর্যায়ে ‘জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস’ নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক।   এদিকে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের বিষয়ে সাধারণ মানুষকে উৎসাহিত করতে ২০২১ সালের ৯ আগস্ট মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে ৬ অক্টোবরকে ‘জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস’ ঘোষণা করে সরকার।   জানা গেছে, ১৮৭৩ সালের ২ জুলাই ব্রিটিশ সরকার অবিভক্ত বাংলায় জন্ম নিবন্ধন-সংক্রান্ত আইন জারি করে। এরপর ২০০১-০৬ সালে ইউনিসেফ-বাংলাদেশের সহায়তায় পাইলট প্রকল্পের মাধ্যমে ২৮টি জেলায় ও ৪টি সিটি করপোরেশনে জন্মনিবন্ধনের কাজ নতুন করে শুরু হয়।  জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন আইন, ২০০৪ এর ৮ ধারা অনুযায়ী, শিশু জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন এবং কোনো ব্যক্তির মৃত্যুর ৪৫ দিনের মধ্যে মৃত্যু নিবন্ধন করতে হবে। জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অনুসারে ২০৩০ সালের মধ্যে ৮০ ভাগ মানুষকে নিবন্ধনের আওতায় আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন আইনে সবাইকে জন্ম ও মৃত্যুর দেড় মাসের মধ্যে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে ‘জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।এবি 
    আজ বিশ্ব শিক্ষক দিবস
    আজ শনিবার (৫ অক্টোবর) বিশ্ব শিক্ষক দিবস। ১৯৯৫ সাল থেকে প্রতি বছর ৫ অক্টোবর বিশ্বব্যাপী এ দিবসটি পালন করা হচ্ছে। ইউনেস্কোর মতে, বিশ্ব শিক্ষক দিবস শিক্ষা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে শিক্ষকদের অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ এ দিনটিকে শিক্ষক দিবস হিসেবে পালন করা হয়।এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘শিক্ষকের কণ্ঠস্বর: শিক্ষায় নতুন সামাজিক অঙ্গীকার’। এই প্রতিপাদ্য নিয়ে ‘বিশ্ব শিক্ষক, ২০২৪’ উপলক্ষ্যে কর্মসূচি নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।মন্ত্রণালয় বলছে, জাতি গঠনে শিক্ষকের অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ তাদের সম্মাননা জানানো হবে। আর এর মাধ্যমে অন্য শিক্ষকদেরও উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত করার লক্ষ্যে ৫ অক্টোবর ‘বিশ্ব শিক্ষক দিবস’ উদযাপন করা হবে। সেই লক্ষ্যে ‘বিশ্ব শিক্ষক দিবস উদযাপন নীতিমালা ২০২৪’ প্রণয়ন করা হয়েছে।নীতিমালা অনুযায়ী, দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সব উপজেলা, জেলা ও জাতীয় পর্যায়ে ‘বিশ্ব শিক্ষক দিবস’ উদযাপন করা হবে। এ অবস্থায়, দিবসটি যথাযথভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে অনুরোধ জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।দিবসের কর্মসূচিতে জানানো হয়, বিশ্ব শিক্ষক উপলক্ষ্যে রাজধানী ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ১০টায় শিক্ষক দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ এবং ইউনেস্কো ঢাকা অফিসের প্রধান ড. সুসান ভাইজ।মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নুজহাত ইয়াসমিন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. এস এম হাফিজুর রহমান।শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ব শিক্ষক দিবস ১৯৯৫ সাল থেকে প্রতি বছর ৫ সেপ্টেম্বর বিশ্বব্যাপী পালন করা হয়। ইউনেস্কোর মতে, বিশ্ব শিক্ষক দিবস শিক্ষা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে শিক্ষকদের অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ পালন করা হয়ে থাকে। বর্তমানে বিশ্বের ১০০টি দেশে এই দিবসটি পালিত হয়ে হয়। এই দিবসটি পালনে এডুকেশন ইন্টারন্যাশনাল ও তার সহযোগী ৪০১টি সদস্য সংগঠন মূল ভূমিকা রাখে।পিএম
    আজ চুল দিবস
    আজ মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) চুল দিবস। নুমি নামক যুক্তরাষ্ট্রের এক হেয়ার স্টাইল কোম্পানি ২০১৭ সালে দিবসটির প্রচলন করে।  বিচিত্র এ দিনটি পালন করতে আজ আপনার প্রিয়জনকে উপহার দিতে পারেন চিরুনি কিংবা চুলের যত্নআত্তির যেকোনো সরঞ্জাম। নারীর কাছে চুল মানে তো কেবল চুল নয়, সৌন্দর্যের এক অনুপম অনুষঙ্গ। পুরুষের কাছেও কম নয়। যার মাথায় চুল নেই, শুধু তিনিই জানেন চুল না থাকার যন্ত্রণা।চুলের যত্ন নিয়ে যুগ যুগ ধরে নানা রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছে মানুষ। জানা যায়, রানি ক্লিওপেট্রা নাকি গাধার দুধ দিয়ে চুল ধুতেন।চুল যেমন সৌন্দর্যের অনুষঙ্গ, তেমনই আত্মবিশ্বাসেরও দারুণ এক উৎস। সেই যে প্রবাদ, যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে।  কখনো কখনো ক্ষমতার দাপট বোঝাতেও আমরা চুলের কথা বলি। যেমন- তুমি আমার একটা চুলও ছিঁড়তে পারবে না।এবি 
    আজ আন্তর্জাতিক কফি দিবস
    সকাল বেলার এক কাপ কফি পান যেন দিনের শুরুকে করে তোলে সতেজ। দিনটা মেঘলা হোক কিংবা ঝলমলে রোদ, প্রকৃতির দোলাচলে নিজেকে চাঙা করতে কিন্তু কফির তুলনা নেই। আজ ১ অক্টোবর, আন্তর্জাতিক কফি দিবস। তাই আজ কিন্তু প্রিয়জনের সঙ্গে কফির চুমুকে দিনটিকে উদ্‌যাপন করে নিতে পারেন। প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে পান করা হয় কোটি কোটি কাপ কফি। দিনের শুরু হোক বা আড্ডা বা আলাপ আলোচনা, কফি জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে। আন্তর্জাতিক কফি সংস্থা (আইসিও) ২০১৪ সাল থেকে ১ অক্টোবরকে আন্তর্জাতিক কফি দিবস হিসাবে ঘোষণা করে। ২০১৫ সালে ইতালিতে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক কফি দিবস উদযাপিত হয়। তবে ব্রাজিলে পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি কফির উৎপাদন হলেও, কফি পানের দিক থেকে এগিয়ে কিন্তু ফিনল্যান্ডের মানুষ।   পানীয় হিসাবে কফি রয়েছে বিশ্বে জনপ্রিয়তার শীর্ষে। কফির উচ্চমাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং বেশ কিছু উপকারী উপাদানের জন্য কফি অনেক রোগের ঝুঁকি কমাতে সক্ষম।এছাড়াও কফি পানে রয়েছে আরও কিছু উপকারিতা।১. শরীরে অতিরিক্ত চর্বি কমাতে প্রাকৃতিক উপাদানের মধ্যে ক্যাফেইন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের শরীরে ৩-১১ শতাংশ পর্যন্ত মেটাবলিক রেট বা বিপাকের ক্রিয়া বৃদ্ধিতে সাহায্য করেক্যাফেইন।২. কফিতে থাকা ক্যাফেইন শরীরের ডোপামিনের নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবে নিউরনের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায় ও শরীরের ক্লান্তি ভাব অনেকটা কমে যায়।৩. কফি পুষ্টি উপাদানে সমৃদ্ধ একটি পানীয়। এতে থাকে ম্যাঙ্গানিজ, পটাশিয়াম, নিয়াসিন, রিবোফ্লাভিন প্রভৃতি।৪. কিছু গবেষণা বলছে, কফি টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগের ঝুঁকি কমিয়ে দেয় ২৩-২৫ শতাংশ।৫. নিয়মিত কফি পান হরমোন এপিনেফ্রিন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এতে শারীরিক কর্মক্ষমতা, পেশি শক্তি এবং সামগ্রিক ধৈর্য বৃদ্ধিতে সহায়ক। ফলে বিষণ্নতা-উদ্বেগের বিরুদ্ধে লড়াই করে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়।৬. অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর কফি নিয়মিত পান করলে, শরীর বহু রোগের হাত থেকে রক্ষা পাবে।৭. করোনারি হার্ট ডিজিজের মতো জটিল সমস্যায় ও কফি উপকারী ভূমিকা রাখে। হৃৎপিণ্ড ভালো রাখতেও কফি সহযোগী। নিয়মিত এবং পরিমিত কফি পান করলে স্ট্রোকের সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে যায়।৮. ত্বকের যত্নে কফি ভালো স্ক্রাবের কাজ করে। রোদে পোড়া ত্বক ও অ্যান্টিরিংকেল দূর করতে কফির জুড়ি মেলা ভার।৯. চুলের যত্নে সপ্তাহে অন্তত একদিন কফি পানিতে ফুটিয়ে সেই পানি চুলে লাগালে অতিরিক্ত চুল পড়া কমে যায়। পাশাপাশি রুক্ষতা কমিয়ে চুলের উজ্জ্বলতাও ফিরে আসে।এবি 
    জাতীয় কন্যাশিশু দিবস আজ
    আজ ৩০ সেপ্টেম্বর, জাতীয় কন্যাশিশু দিবস। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘কন্যাশিশুর স্বপ্নে গড়ি আগামীর বাংলাদেশ’।দিবসটি ঘিরে নানান কর্মসূচি হাতে নিয়েছে সরকারের বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থা। স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে দিবসটি উদযাপনে অধীনস্ত জেলা ও উপজেলা দপ্তরগুলোকে কর্মসূচি গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর।২০০৩ সালে কন্যাশিশুদের সুরক্ষা ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় ৩০ সেপ্টেম্বরকে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস ঘোষণা করা হয়।প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দেশের মোট জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ শিশুর উন্নয়ন, সুরক্ষা ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে বর্তমান সরকার। এই শিশুদের অন্তত ১৫ শতাংশ কন্যাশিশু। করোনাকালে কন্যাশিশুর ওপর বঞ্চনা বেড়ে যাওয়ায় দিবসটি বিশেষ গুরুত্ব সহকারে পালনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।উল্লেখ্য, জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রসমূহে ২০১২ সাল থেকে প্রতিবছরের ১১ অক্টোবর পালিত হয় আন্তর্জাতিক কন্যা শিশু দিবস। এদিকে প্রতিবছরের ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত আন্তর্জাতিক শিশু সপ্তাহ পালন করা হয়। এই শিশু সপ্তাহের দ্বিতীয় দিন, অর্থাৎ ৩০ সেপ্টেম্বর পালন করা হয় জাতীয় কন্যা শিশু দিবস হিসাবে।এমআর
    বিশ্বের সবচেয়ে দামি চাল
    বিশ্বের অধিকাংশ মানুষের প্রধান খাদ্য ভাত। বাজারে বিভিন্ন দামের চাল ও গম পাওয়া যায়। সেখান থেকে আম্বরা আমাদের বাজেট ও চাহিদা অনুযায়ী শস্য নির্বাচন করি। সাধারণত, ভাল এবং প্রিমিয়াম মানের চালের দাম প্রতি কেজি প্রায় ১০০-৩০০ টাকা হতে পারে। ফলে সর্বোচ্চ পুষ্টি নিশ্চিত করতে নতুন নতুন জাত আবিষ্কারে গবেষণা চলছে। বাংলাদেশেও জিংক ও ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ ধানের জাত এসেছে। তবে এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে জাপান।  তবে পৃথিবীতে এমন চালও আছে যা বিক্রি হয় রেকর্ড দামে। এই ধানও জাপানেই চাষ করা হয়। জাপানি এই চালের একটি ব্র্যান্ড হল কিনমেমাই। পুষ্টি ও সুবাসের কারণে বিশ্বের সবচেয়ে দামি চালের তকমা পেয়েছে এটি। অবশ্য সব দেশে এই চাল পাওয়া যায় না। কিনমেমাইয়ের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই চাল এখন শুধু জাপান ও সিঙ্গাপুরে পাওয়া যায়।     ওয়েবসাইট অডিটি সেন্ট্রালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাপানের এই চালটি বিশ্বের সবচেয়ে দামি চাল। মূল্যের কারণে এর নাম গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসেও রেকর্ড করা হয়েছে। মূলত জাপানি এই চাল প্রথম আলোচনায় আসে ২০১৬ সালে। ওই সময় সারা বিশ্ব থেকে ৬ হাজার জাতের চাল নিয়ে জাপানে একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। সেটি ছিল মূলত ভাতের স্বাদ পরখ করে দেখার আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা। অনেকগুলো বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে সেই প্রতিযোগিতায় সেরা চালের তকমা পায় কিনমেমাই। সেখানেই এই চালকে বিশ্বের সবচেয়ে দামি চাল বলে আখ্যা দেয় গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস। এই চালের দামের কথা শুনলে চমকে যাবেন আপনিও ৷ এই চালের দাম ছিল ২০১৬ সালে প্রতি কেজি ৯,১২৩ টাকা। এ সময় এটিকে বিশ্বের সেরা চাল ঘোষণা করা হলেও বর্তমানে এর দাম বেড়েছে ১০ হাজার টাকারও ওপরে। বর্তমানে এক কেজি কিনমেমাই চালের দাম ১০৯ মার্কিন ডলার। তবে সিঙ্গাপুরের ক্রেতাদের জন্য দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫৫ মার্কিন ডলার। বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ১৮ হাজার ১৮৯ টাকা!  ভাতে প্রচুর পুষ্টি রয়েছে, তবে কিনমেমাই প্রিমিয়াম রাইস রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় বলে দাবি করা হয়। এই জাপানি ধানের মোট ৫টি জাত উদ্ভাবিত হয়েছিল ১৭ বছর আগে। এটির স্বাদ বাদামের মতো।  রান্না করার আগে এটি ধোওয়ার দরকার নেই এবং এটি হালকা মিষ্টি এবং সুগন্ধযুক্ত।কিনমেমাই প্রিমিয়াম চাল উৎপাদন করা হয় জাপানের গুনমা, নাগানো ও নিগাতার মতো কয়েকটি প্রিফেকচারে। এটি মূলত পাঁচটি জাতের সংমিশ্রণ। এর মধ্যে কোশিহিকারি এবং পিকামারু জাত অন্যতম। কিনমেমাই ধানের উৎপাদক প্রতিষ্ঠান ওয়াকায়ামাভিত্তিক টয়ো রাইস করপোরেশন। তাদের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিটি ধরনের স্বাদের ওপর নির্ভর করে এই মিশ্রণটি প্রতিবছর পরিবর্তিত হতে পারে। কিনমেমাই প্রিমিয়াম চালের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এটি রান্নার আগে ধোয়ার প্রয়োজন হয় না। এই চালের উৎপাদক ও বিপণন কোম্পানির মতে, এই চাল এমন সূক্ষ্মভাবে প্রক্রিয়াজাত করা হয়, এতে কোনো ভুসি থাকে না, অপাচ্য মোমের স্তর অপসারণ করা হয়, কিন্তু উপকারী উপাদান, ভিটামিন এবং স্বাদ অক্ষত থাকে। ধান থেকে চাল তৈরির প্রক্রিয়াও পেটেন্ট করেছে কোম্পানি। অনন্য প্রযুক্তিতে চাল উৎপাদন ও পোলিশ করা হয় বলে তাদের দাবি। মিশ্রণের মাধ্যমে কিনমেমাই চাল প্রস্তুত করার আগে এর টেক্সচার (আকার–আকৃতি ও রং) এবং স্বাদ বাড়াতে ছয় মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ করা হয়। জাপানের প্রচলিত চালের তুলনায় কিনমেমাই প্রিমিয়ামের স্বাদ, মিষ্টতা এবং পুষ্টিগুণ উচ্চতর বলে দাবি করা হয়। আর ভাত থেকে পাওয়া যায় বাদামের ঘ্রাণ! কোম্পানির ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, উৎপাদকদের কাছ থেকে সাধারণ ধানের চেয়ে আট গুণ দাম দিয়ে এই ধান সংগ্রহ করা হয়। আর রং, স্বাদ, গন্ধ ও দরকারি খাদ্য উপাদান অক্ষত রাখতে চাল ছয় মাস সংরক্ষণের যে কৌশল অবলম্বন করা হয়, সেই কৌশল তারা উদ্ভাবন করেছে কমপক্ষে ১৭ বছর আগে। এ ছাড়া এই চালের ভাতে ছয় গুণ বেশি লাইপোপলিস্যাকারাইড (এলপিএস) রয়েছে। এটি একধরনের এন্ডোটক্সিন, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে প্রাকৃতিক বুস্টার হিসেবে কাজ করে। চাল ধোয়ার প্রয়োজন না হলেও টয়ো রাইস করপোরেশনের গ্লোবাল বিজনেস ডেভেলপমেন্টের প্রধান চিকাকো ইয়ামাওয়াকি, সর্বোত্তম স্বাদ পেতে রান্নার আগে চাল ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রাখার পরামর্শ দেন। কিনমেমাইয়ের সুলভ মূল্যের দুটি ভ্যারাইটি রয়েছে—কিনমেমাই বেটার হোয়াইট এবং কিনমেমাই বেটার ব্রাউন। কিনমেমাই বেটার হোয়াইটের এক কেজির ব্যাগের খুচরা মূল্য ৯ দশমিক ৪০ ডলার। আর কিনমেমাই বেটার ব্রাউনের দাম ৯ দশমিক ৮০ ডলার। হংকং এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও কিনমেমাই প্রিমিয়াম চাল বিক্রি শুরু করতে চায় কোম্পানি। এই চালের পুষ্টিগুণের বর্ণনায় বলা হয়েছে, কিনমেমাই বেটার হোয়াইটে সাধারণ চালের তুলনায়: ৭ গুণ ভিটামিন বি১, ১.৮ গুণ ভিটামিন বি৬, ফোলিক অ্যাসিড ১.৪ গুণ, ১.৮ গুণ ফাইবার, ৬ গুণ এলপিএস, ১৭ শতাংশ কম ক্যালরি এবং ১৪ শতাংশ কম চিনি বা শর্করা রয়েছে। আর কিনমেমাই বেটার ব্রাউনে ৩০ শতাংশ কম ক্যালরি থাকে।এবি 
    আজ বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস
    আজ ২৫ সেপ্টেম্বর। বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস। ইন্টারন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল ফেডারেশন (এফআইপি) কাউন্সিল ২০০৯ সালে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রতিবছর ২৫ সেপ্টেম্বরে ‘বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস’ পালনের ঘোষণা দেয়। উদ্দেশ্য, এই পেশায় কর্মরত ব্যক্তিরা বিশ্বময় স্বাস্থ্যসেবায় যে বহুমাত্রিক অবদান রেখে আসছে তার প্রতি বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করা।এই দিনটিকে বেছে নেওয়ার কারণ ছিল, ১৯১২ সালে এই দিনে বিশ্বের সব দেশের ফার্মাসিস্ট ও ফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্টিস্টদের বৈশ্বিক সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল ফেডারেশন (এফআইপি) নেদারল্যান্ডসের হেগে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এর যাত্রা শুরু করে।ইন্টারন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল ফেডারেশনের আহ্বানে ২০১০ সাল থেকে প্রতিবছর সারা বিশ্বে  ফার্মেসি পেশাজীবীরা জনসাধারণকে স্বাস্থ্যসেবায় এই পেশার অবদান সম্পর্কে সচেতন করতে সভা-সেমিনার, শোভাযাত্রা, রক্তদান কর্মসূচিসহ নানা বর্ণাঢ্য আয়োজন ও স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক কর্মসূচির মধ্য দিয়ে এ দিনটি পালন করে আসছে। প্রতিবছর এফআইপি এই দিবস উপলক্ষে এক একটি থিম বা প্রতিপাদ্য ঘোষণা করে। এই ধারাবাহিকতায় এবারকার প্রতিপাদ্য ঘোষিত হয়েছে : ‘ Pharmacists: Meeting global health needs’ (‘ফার্মাসিস্ট : বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য চাহিদা মেটাচ্ছেন’)।বর্তমানে ১৩টি সরকারি ও ৩০টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক পর্যায়ে চার থেকে পাঁচ বছর মেয়াদি ফার্মেসি শিক্ষা চালু রয়েছে, যারা গ্র্যাজুয়েট তথা ‘এ’ ক্যাটাগরির ফার্মাসিস্ট তৈরি করছে। এ ছাড়া ১৭টি সরকারি ও ৪১টি বেসরকারি ইনস্টিটিউট চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ডিগ্রি প্রদানের মাধ্যমে ‘বি’ ক্যাটাগরির ফার্মাসিস্ট তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে। উপরন্তু বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিল ও বাংলাদেশ কেমিস্টস অ্যান্ড ড্রাগিস্টস সমিতি যৌথভাবে ওষুধ ব্যবসায়ে আগ্রহী ব্যক্তিদের জন্য একটি ত্রৈমাসিক ফার্মেসি সার্টিফিকেট রেজিস্ট্রেশন কোর্স পরিচালনা করে আসছে।বিশ্বময় স্বাস্থ্যসেবার বিভিন্ন আঙ্গিকে ফার্মাসিস্টরা এক অতুলনীয় ভূমিকা রেখে আসছেন। আপনি যদি ছোট্ট করে বলতে চান, তাহলে বলতে পারেন, ফার্মেসি কারিকুলামের উদ্দেশ্য—ওষুধের বিভিন্ন দিক ও আঙ্গিকের ওপর দক্ষ এবং বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের জনবল তৈরি করা। এই উদ্দেশ্যে বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো চার বছর মেয়াদি ব্যাচেলর কিংবা পাঁচ বছর মেয়াদি ফার্ম.ডি. (ডক্টর অব ফার্মেসি) কোর্স অফার করে আসছে। এই দীর্ঘ পরিক্রমায় ফার্মেসির একজন ছাত্রকে ওষুধের ব্যবহার ও ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া বিষয়ে ব্যাপক প্রশিক্ষণ দেওয়ার পাশাপাশি ওষুধের মূল ও সহায়ক উপাদান আহরণ/সংশ্লেষণ, বিভিন্ন উপাদানের সমন্বয়ে ট্যাবলেট/ক্যাপসুল ইত্যাদি প্রডাক্ট তৈরি, মান নিয়ন্ত্রণ, সংরক্ষণ, বিপণন, বিতরণ, ওষুধ ব্যবহারকালে রোগীর অবস্থা পর্যবেক্ষণসহ ওষুধ সম্পর্কিত সব দিক ও আঙ্গিকের ওপর দক্ষ করে গড়ে তোলা হয়।এবি 
    আজ স্বপ্ন দিবস
    আজ শুধুই স্বপ্ন দেখার দিন কারণ আজ বিশ্ব স্বপ্ন দিবস। প্রতিবছর ২৫ সেপ্টেম্বর বিশ্বজুড়ে পালিত হয় ওয়ার্ল্ড ড্রিম ডে অর্থাৎ স্বপ্ন দিবস।  ভাবতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি, স্বপ্ন নিয়েও একটি দিবস আছে। জেগে এবং ঘুমিয়ে উভয় অবস্থাতেই মানুষ স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসেন। আমাদের সবার কিন্তু এই একটি জায়গায় মিল আছে। কারণ ধনী হোক বা গরীব আমরা সবাই স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি, কারণে-অকারণে স্বপ্ন দেখি। কিছু স্বপ্ন হয়তো পূরণ হয়, আবার অনেক স্বপ্ন হয়তো অধরা থেকে যায়। তবুও মানুষ স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসে।   সবাই স্বপ্ন দেখলেও সবার স্বপ্ন এক হয় না। স্বপ্নের ধরন, আকার, প্রকার- ব্যক্তি ভেদে আলাদা হয়। কিন্তু সবার একটি জায়গায় মিল থাকে, তা হলো জীবনে সফল হওয়া। পৃথিবীতে এমন কাউকে হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না, যে কখনো সফল হওয়ার স্বপ্ন দেখে না।স্বপ্ন দিবসের বয়স খুব বেশি নয়। ২০১২ সাল থেকে দিবসটি উদযাপন করা হচ্ছে। শুরুটা হয়েছিল ওজিওমা এগওয়ানুয়ের হাতে। তিনি কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রশিক্ষক ও শিক্ষাবিদ ছিলেন। দিবসটি উদযাপনের উদ্দেশ্য ইতিবাচক ছিল। তার লক্ষ্য ছিল এমন একটি দিন রাখা যেদিন মানুষ নিজের স্বপ্ন নিয়ে ভাববে এবং তা পূরণে অনুপ্রাণিত হবে।আমরা যে পৃথিবীতে বাস করছি সেটাও একসময় এমন ছিল না। অনেক পরিবর্তনের মাধ্যমে পৃথিবী এখানে এসেছে। বছরের পর বছর ধরে বিভিন্ন মানুষের স্বপ্নের বাস্তবায়নের মাধ্যমে তা হয়েছে। বর্তমানে যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কথা বলা হচ্ছে, সেটাও কারো না কারো স্বপ্ন ছিল। তার মানে এ কথা বলাই যায়, বিশ্বের অনেক কিছুই স্বপ্ন হিসেবে শুরু হয়েছে।স্বপ্ন দিবস উদযাপনের ভালো উপায় হলো, নিজের স্বপ্নগুলো নিয়ে ভাবা। শুধু ভাবলেই হবে না সেই স্বপ্ন পূরণে পরিকল্পনা করা।
    অন্যের বিয়ে ভেঙে মাসে আয় করেন লাখ টাকা
    অন্যের বিয়ে ভেঙে টাকা আয় করা যায় এই বুদ্ধি বা উপায় হয়তো কেউ কখনো ভাবতেই পারেননি। তবে এমনই এক অবিশ্বাস্য কাজ করেছেন স্প্যানিশ ব্যক্তি। এরই মধ্যে স্পেনের টক অব দ্য টাউন হয়ে উঠেছেন তিনি। তবে টিকটকের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার কারণে সব দেশেই তার পরিচিতি বেড়েছে।অ্যান্টেনা ৩ এর ওয়াই আহোরা সন সলেস নামের টিকটক অ্যাকাউন্ট থেকে এমনই একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়। তিনি দাবি করেন যে, বেশিরভাগ লোকেরা তাদের বিয়ের দিনটিকে তাদের জীবনের সবচেয়ে সুখী হিসেবে দেখেন। তবে কারো জন্য এটি একটি দুঃস্বপ্ন। সেই সব মানুষেরাই তার ক্লায়েন্ট হতে পারেন।অর্থাৎ যারা বিয়ে ঠিক হয়ে যাওয়ার পর আর না বলতে পারছেন না। হয়তো কোনো কারণে এই বিয়েটা আর তিনি করতে চাইছেন না। কিন্তু না বলার সময় বা সুযোগ কোনোটিই নেই। তারা আর্নেস্টোর স্মরণাপন্ন হচ্ছেন।আর্নেস্টো ক্লায়েন্টের বিয়ে ভেঙে ফেলার প্রতিশ্রুতি দেয় এবং তাদের জীবনের প্রেমিক বা প্রেমিকা হিসেবে উপস্থাপন করে। ইভেন্টটি বাতিল করার জন্য তাদের একসঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করে। কান্নাকাটি করেন প্রেমিক বা প্রেমিকাকে ফিরে পেতে।এজন্য তিনি ফিস নেন ৫০০ ইউরো, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬৭ হাজার টাকা। তবে এই ফি বেড়ে যায় সেখানকার পরিস্থিতির উপর। অপ্রত্যাশিত ঘটনার ক্ষেত্রে তাকে অতিরিক্ত অর্থ প্রদান করা হয়। যেমন ধরুন যদি তাকে থাপ্পড়, ঘুষি বা লাথি দেওয়া হয় তবে তাকে আরও বেশি অর্থ দিতে হবে। প্রতিটি থাপ্পড়ের জন্য ৫০ ইউরো।আর্নেস্টো মজা করে বলেন, পালানোর জন্য আমি দৌড়ানোর চেষ্টা করি, কিন্তু আমি সচেতন যে যতবারই আমি আঘাত পাই, ততবারই আমি বেশি পারিশ্রমিক পাই। তাই যদি আমি ধীরগতিতে যেতে পারি তাহলে অর্থও বেশি পাব। ব্যাপারটা তার অনুসারীরা বেশ মজার হিসেবেই নিয়েছেন। তবে আর্নেস্টো যে এভাবে আয় করছেন এটা অনেকেই অবিশ্বাস্য ভাবছেন।বিশ্বাস করুন বা না করুন, আর্নেস্টোর বিয়ে ভাঙা পরিষেবাটি বেশ জনপ্রিয় এরই মধ্যে। তিনি এটাও জানিয়েছেন, ২ নভেম্বর পর্যন্ত নাকি তার সময়সূচী সম্পূর্ণভাবে বুক হয়ে গেছে। এবি 
    রাজধানীতে ঘুরে আসতে পারেন পছন্দসই কাশবনে
    শরৎ মানেই আকাশে নরম তুলোর মতো শুভ্র মেঘের ভেসে বেড়ানো আর দিগন্তজোড়া প্রান্তরে কাশফুলের মনোরম দৃশ্য। প্রকৃতি প্রিয় মন খেয়াল খুশি মতো আকাশে ভেসে বেড়াতে না পারলেও ইচ্ছে হলেই কাশফুলের রাজ্যে হারিয়ে যেতে পারে। আর তাই নগরীর বুকে ব্যস্ততার অবসরে কাশফুলের বিস্তৃর্ণ প্রান্তরের সৌন্দর্য উপভোগকারীর সংখ্যা কম নয়। সাধারণত নদী তীর এবং পানির কাছাকাছি ফাকা বালুময় জমিতে প্রচুর কাশফুল ফুটে। শরতকাল অর্থাৎ সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর মাসে সাধারণত কাশফুল ফুটে। তাই কাশবন বেড়ানোর জন্যে উপযুক্ত সময় তখনই। তবে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি বা শেষের দিকে কাশফুলের দেখা বেশি পাওয়া যায়। কাশফুলের শুভ্রতায় মনকে শান্ত করতে ভ্রমণ গাইডের আজকের আয়োজনে থাকছে ঢাকার আশেপাশে কিছু কাশবনের খোঁজখবর।কাশফুল দেখতে যাওয়ার পরামর্শ: কাশবনের অবস্থান সাধারণত জনবিচ্ছিন্ন জায়গায় হয়ে থাকে। তাই নিরাপত্তার জন্য নিজ এলাকার আশেপাশে কাশবনের সন্ধান করুন অথবা দলবদ্ধভাবে ভ্রমণ করুন।৩০০ ফিট সড়ক: প্রকৃতিপ্রেমী এবং ভোজন রসিকদের কাছে প্রসিদ্ধ ৩০০ ফুট সড়ক কাশফুল আর রেস্তোরাঁর জন্য সর্বাধিক পরিচিত ছিল। তবে বিভিন্ন কারণে রেস্তোরাঁগুলো ৩০০ ফিট থেকে সরিয়ে নেয়া হলেও কাশবন, নদী এবং বিস্তৃত খোলা প্রান্তরের সৌন্দর্য আগের মতোই অটুট রয়েছে। কালো কুচকুচে পিচঢালা রাস্তার দুইপাশে শুভ্রতার সমারোহ মনকে ভাসিয়ে নিয়ে যায় কল্পনার রাজ্যে।দিয়াবাড়ি: গত কয়েক বছরে দিয়াবাড়ির জনপ্রিয়তা তুমুলভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। কাশবনের সৌন্দর্য উপভোগের পাশাপাশি ফটোসেশনে জন্য দিয়াবাড়ি একটি আদর্শ জায়গা। বেলা বাড়ার সাথে সাথে এখানে বিনোদনপ্রেমীদের আনাগোনা বাড়তে থাকে। আর কাশবনের পাশে নদীর তীরের হিমেল বাতাস আলোড়িত করে দর্শনার্থীদের।আফতাবনগর: রামপুরা ব্রিজ থেকে উত্তর পূর্ব দিকে অবস্থিত জহুরুল ইসলাম সিটির ভেতর দিয়ে কিছুটা সামনে এগিয়ে গেলে কাশবনের আরেক মহাসমুদ্র চোখে পড়ে। ঢাকার এত কাছে আফতাবনগরের এই কাশবন জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে সৌন্দর্য প্রেমীদের কাছে তৃতীয় স্থানে রয়েছে।হযরতপুর: কেরাণীগঞ্জের হযরতপুরের কালিগঙ্গা নদীর তীরের বিস্তৃর্ণ ভূমিতে শরতের শোভা কাশফুল ফোটে। বছিলা সেতু অতিক্রম করে আটিবাজার পার হয়ে আরো কিছু দূরেই হযরতপুর। খেয়া নৌকায় নদী পার হলে দেখা মিলবে কাশবনের।ধলেশ্বরী নদী: ধলেশ্বরী নদীর দুই তীরে প্রতিবছরই কাশফুল ফুটে থাকে। ঢাকা থেকে মাওয়া সড়ক যাওয়ার কুচিয়ামারা এলাকাযর নদীতেও কাশফুল দেখা যায়।মায়াদ্বীপ: মেঘনার বুকে কাশফুলের মায়া ছড়িয়ে আছে মায়াদ্বীপ। এই দ্বীপে কাশফুলের সৌন্দর্য দেখার সাথে সাথে বোনাস হিসাবে এখানকার মানুষের জীবনযাত্রার সাথে পরিচিত হতে পারবেন। ঢাকার গুলিস্তান থেকে বাসে চড়ে মোগড়াপাড়া চৌরাস্তা হয়ে বৈদ্দের বাজার এসে সেখান থেকে মেঘনার ঘাট হয়ে ইঞ্জিন নৌকা ভাড়া করে মায়াদ্বীপ যাওয়া যায়।পদ্মা নদী: শরতে পদ্মা নদীর আশেপাশে অনেক স্থানেই কাশফুল ফোটে। শুভ্র এই ফুলের সৌন্দর্য আহরণে চলে যেতে পারেন মাওয়ার শিমুলিয়া ঘাটে। সেখান থেকে নৌকা ভাড়া করে নদীতে ঘুরোঘুরির সাথে সাথে খোঁজে নিন কাশবনের চর।যমুনার চর: মানিকগঞ্জের আরিচার পুরনো ফেরিঘাট হতে ইঞ্জিন নৌকা নিয়ে চলে যেতে পারেন যমুনার বুকে জেগে ওঠা চরের কাশবনে। গাবতলী থেকে অল্প টাকা ভাড়ায় শুভযাত্রা, লাক্সারি পরিবহনের বাসে সরাসরি আরিচা যাওয়া যায়।মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ: নদীর তীরবর্তী বালুময় প্রান্তরে শরতে কাশফুলের মেলা বসে। আর বুড়িগঙ্গা তীরের মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধ কাশফুলের তেমনি এক রাজ্য। এছাড়াও বসিলা সড়ক ধরে এগিয়ে ওয়াশপুরের বিভিন্ন ফাকা জমিতে কাশফুলের সমারোহ দেখা যায়। এইচএ

    Loading…