এইমাত্র
  • মানসিকতার পরিবর্তন না হলে সংস্কার কাজে আসবে না: নুর
  • বিএনপি ক্ষমতায় এসে গেছে মনে করে হাওয়ায় ভাসবেন না: মির্জা ফখরুল
  • খানসামায় যথাযথ মর্যাদায় বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত
  • চট্টগ্রামে তেলবাহী ট্যাংকারে বিস্ফোরণ, নিহত ১
  • মনিটাইজেশনের শর্ত আরও সহজ করলো ফেসবুক
  • শেরপুরে বন্যাদুর্গত অসহায় মানুষের পাশে বিজিবি
  • ডিবি কার্যালয়ে আয়নাঘর-ভাতের হোটেল থাকবে না: রেজাউল করিম
  • আগামী ৩ দিন আবহাওয়া কেমন থাকবে, জানালো অধিদপ্তর
  • চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
  • দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জামায়াতের আমীর
  • আজ শনিবার, ২০ আশ্বিন, ১৪৩১ | ৫ অক্টোবর, ২০২৪

    আপনার স্বাস্থ্য

    সেপ্টেম্বরে ডেঙ্গুতে ৮০ প্রাণহানি, আক্রান্ত ১৮০৯৭
    সেপ্টেম্বর মাসে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৮ হাজার ৯৭ জন। এ সময়ে মৃত্যু হয়েছে ৮০ জনের। এই সংখ্যা এখন পর্যন্ত এ বছরের সর্বোচ্চ। এর আগের মাস আগস্টে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৬ হাজার ৫২১ এবং মৃত্যু হয় ২৭ জনের; জুলাইয়ে এ সংখ্যা ছিল মাত্র ২ হাজার ৬৬৯ এবং মৃত্যু হয় ১২ জনের। এ ছাড়া এ বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩০ হাজার ৯৩৮ জন।সেপ্টেম্বরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন গড়ে ৬০৩ জনের বেশি মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ সময় দৈনিক মৃত্যুর হার ২ দশমিক ৬৬ শতাংশ। আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা গত আগস্টের তুলনায় তিনগুণের বেশি এবং যা চলতি বছরের অন্য মাসগুলোর তুলনায় অনেক বেশি। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৩ হাজার ৪৬২ ডেঙ্গু রোগী। এর মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১ হাজার ৭৫৯ জন। ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৭০৩ জন। এ বছর ভর্তি রোগীদের মধ্যে ১৭ হাজার ৪৩০ জন ঢাকার বাইরের রোগী। ঢাকার দুই মহানগর এলাকার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৩ হাজার ৫০৮ জন।চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট ৩০ হাজার ৯৩৮ জন, যাদের মধ্যে ৬৩ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৭ শতাংশ নারী। চলতি বছরে ডেঙ্গুতে মারা যাওয়া ১৬৩ জনের মধ্যে ৫০ দশমিক ৯ শতাংশ নারী এবং ৪৯ দশমিক ১ শতাংশ পুরুষ।বাংলাদেশে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এ ছাড়া ২০১৯ সালে ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন, ২০২২ সালে ৬২ হাজার ৩৮২ জন এবং ২০২১ সালে ২৮ হাজার ৪২৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন ডেঙ্গু রোগ নিয়ে।এবি 
    কোন উপসর্গ দেখলেই বুঝবেন ডেঙ্গু টেস্ট করা জরুরি?
    ডেঙ্গুর জ্বর নিয়ে অনেক মানুষের মধ্যে উদ্বেগ রয়েছে। কারণ এই রোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়া, হাসপাতালে ভর্তি হওয়া বা মৃত্যুর সংখ্যা একেবারে কম নয়।কোন শরীরে কোন লক্ষণ দেখলে আপনি বুঝবেন যে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন এবং সেক্ষেত্রে আপনার করণীয় কী হতে পারে?সাধারণভাবে ডেঙ্গুর লক্ষণ হচ্ছে জ্বর। ১০১ ডিগ্রি থেকে ১০২ ডিগ্রি তাপমাত্রা থাকতে পারে। জ্বর একটানা থাকতে পারে, আবার ঘাম দিয়ে জ্বর ছেড়ে দেবার পর আবারো জ্বর আসতে পারে। এর সাথে শরীরে ব্যথা মাথাব্যথা, চেখের পেছনে ব্যথা এবং চামড়ায় লালচে দাগ (র‍্যাশ) হতে পারে। তবে এগুলো না থাকলেও ডেঙ্গু হতে পারে।ডেঙ্গুর লক্ষণ/উপসর্গ ডেঙ্গু সাধারণত দু-ধরনের-ক্লাসিক্যাল এবং হেমোরেজিক। তবে বেশি তীব্র হলে সেটাকে ‘ডেঙ্গু শক সিনড্রোম’ বলে। সাধারণত ডেঙ্গু হলে নিম্নলিখিত লক্ষণগুলো দেখা দেয়– ১। ডেঙ্গু জ্বরে সাধারণত প্রচণ্ড জ্বর এবং সেই সাথে হাড় ও শরীর ব্যথা থাকে।২। তাপমাত্রা ১০৫ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠতে পারে। সেই সাথে ঘাম দিয়ে জ্বর ছেড়ে দিয়ে আবার জ্বর আসতে পারে।৩। মাথাব্যথা, চোখের পেছনে ব্যথা হয়।৪। জ্বর হওয়ার ৪-৫ দিন পর শরীরে লালচে র‍্যাশ দেখা যায়।৫। বারবার গলা শুকিয়ে যাওয়া এবং অত্যধিক পানি পিপাসা।৬। খাবারে অরুচি এবং এর সাথে বমি বমি ভাব, পাতলা পায়খানা, পেটে ব্যথা, মাঝে মাঝে খিচুনিও হতে পারে।৭। অতিরিক্ত ক্লান্তিবোধের মাঝে মাঝে শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে রক্তক্ষরণ হতে পারে।৮। পানি আসার কারণে অনেক সময় পেট ফুলে যেতে পারে।৯। গরমের সময় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে অনেক রোগীর ক্ষেত্রে জ্বর দুদিন স্থায়ী হয়ে চলে যায়। বিবিসির একটি প্রতিবেদন বলছে, অনেক ডেঙ্গু জ্বরের রোগীর জ্বর থাকে না। সে ক্ষেত্রে অন্য যে কোনো উপসর্গ দেখলেই ডেঙ্গু টেস্ট করে নিশ্চিত হতে পারেন আপনি ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত কি না।  ১০।  ডেঙ্গু জ্বরে অনেক রোগীর রক্তের প্লাটিলেট কমে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়, বুকে পেটে পানি আসে, যকৃত আক্রান্ত হওয়া, রক্তচাপ কমে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। জ্বর হওয়ার কতদিনের মধ্যে কোন টেস্ট করলে ডেঙ্গু ধরা পড়ে? স্বাভাবিক জ্বর থেকে ডেঙ্গু জ্বরের পার্থক্য টানতে চিকিৎসকরা শুধু শরীরে স্পষ্ট হয়ে ওঠা লক্ষণগুলোতেই নজর দেন না। কারণ, অনেক সময় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর শরীরে লক্ষণ স্পষ্ট হয় না। তাই ডেঙ্গু নির্ণয়ে কিছু টেস্ট করাতে দেন চিকিৎসকরা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গু জ্বর নির্ণয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ টেস্ট হলো এনএসওয়ান। এই টেস্ট জ্বর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই করলে টেস্টের রেজাল্ট ভুল আসে। তাই চিকিৎসকরা পরামর্শ দেন, টেস্টের রিপোর্ট যাতে শতভাগ নির্ভুলের জন্য জ্বরের ২ থেকে ৪ দিনের মধ্যে এ টেস্ট করতে হবে। আবার ৪ দিন ডেঙ্গু জ্বর পেরিয়ে গেলে এ পরিস্থিতিতে রোগীর এনএসওয়ান টেস্ট করা যাবে না। কারণ হিসেবে চিকিৎসকরা বলছেন, জ্বরের ৪ দিন পেরিয়ে যাওয়ার পর এনএসওয়ান টেস্ট ভুল আসে। তাই রোগীর ডেঙ্গু হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত করতে ৫ থেকে ৭ দিনের মধ্যে করতে হবে আইজিজি ও আইজিএম। এ দুই টেস্টের মধ্যে রোগী আইজিজি টেস্ট না করলেও চলবে। তবে আইজিএম টেস্ট অবশ্যই করতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আইজিএম টেস্টেই ধরা পড়ে রোগীর ডেঙ্গু জ্বর। টেস্টে ডেঙ্গু নিশ্চিত হলে উদ্বিগ্ন না হয়ে চিকিৎসা শুরু করতে হবে। রোগীকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম, তরল খাবার ও জ্বর কমানোর জন্য প্যারাসিটামল অথবা নাপা খেতে দিন। ডেঙ্গু জ্বরে প্লাটিলেট কমে গেলে তা ভয়ের কারণ নয়। খেয়াল রাখুন, রক্তের প্লাটিলেট ১০,০০০-এর নিচে নেমে গেলে এবং সেই সঙ্গে রক্তপাত হলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী রোগীর সেবা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা নিশ্চিত করুন।ডেঙ্গু হলে কী করবেন:১। বেশি পরিমান তরল জাতীয় খাবার খেতে হবে যেমন: লেবুর শরবত, ফলের জুস, খাবার স্যালাইন।২। সারাদিনে বিশুদ্ধ খাবার পানি ১২ থেকে ১৪ গ্লাস খেতে হবে।৩। ডেঙ্গু জ্বর হলে অবশ্যই সাথে সাথেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন। মুখে তরল জাতীয় খাবার বা অন্যান্য খাবার যদি খেতে পারে এবং শারীরিক জটিলতা যদি দেখা না দেয় তাহলে বাসায় পরিপূর্ণ বিশ্রামে থাকবেন।৪। জ্বরের শেষের দিকে রক্তচাপ কমে যেতে পারে অথবা মাড়ি, নাক  দিয়ে রক্তপাত হতে পারে। এক্ষেত্রে  ফ্লুইড  ম্যানেজমেন্ট সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, হয়ত শিরাপথে স্যালাইন দেয়া লাগতে পারে। এসব ক্ষেত্রে তাই হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে।ডেঙ্গু হলে কী করবেন না-১। ঘরবাড়ি আশপাশ অপরিচ্ছন্ন রাখা যাবে না।২। ফুলের টব কিংবা ফ্রিজে নিচে পানি জমাবেন না। প্রতি তিন দিন অন্তর অন্তর পানি ফেলে দিতে হবে।৩। ডেঙ্গু জ্বর হলে প্যারাসিটামল ছাড়া অ্যাসপিরিন, ক্লোফেনাক, আইবুপ্রোফেন–জাতীয় ওষুধ খাওয়া যাবে না। এফএফ
    দৃষ্টি সমস্যায় ভুগছে বিশ্বের এক তৃতীয়াংশ শিশু
    এই মুহূর্তে বিশ্বের প্রতি তিন জন শিশুর একজন মায়োপিয়া নামের চোখের অসুখে ভুগছে। এই রোগে আক্রান্তরা দূরদৃষ্টির সমস্যায় ভোগে, অর্থাৎ স্বাভাবিক দূরত্বে থাকা বস্তু অস্পষ্ট দেখে।যুক্তরাজ্যের চক্ষু বিশেষজ্ঞদের একটি দলের সাম্প্রতিক গবেষণায় উঠে এসেছে এ তথ্য। বিশ্বের ৬টি মহাদেশের ৫০ লাখ বিভিন্ন বয়সী শিশুর তথ্য সংগ্রহ এবং সেসব তথ্য বিশ্লেষণের ভিত্তিতে গবেষণা প্রবন্ধ প্রস্তুত করেছেন তারা। ব্রিটেনের বিখ্যাত চিকিৎসা সাময়িকী জার্নাল অব অপথামোলজিতে প্রবন্ধটি ছাপা হয়েছে।প্রবন্ধে গবেষকরা বলেছেন, এশিয়া মহাদেশের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। এই মহাদেশের অর্ধেকেরও বেশি শিশু দৃষ্টি সমস্যায় ভুগছে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বাজে অবস্থায় রয়েছে এই মহাদেশের দুই উন্নত দেশ জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়া। জাপানের ৮৫ শতাংশ এবং দক্ষিণ কোরিয়ার ৭৩ শতাংশ রোগী মায়োপিয়ায় আক্রান্ত।  চীন এবং রাশিয়ার মোট শিশুদের মধ্যে মায়োপিয়ায় আক্রান্তদের হার ৪০ শতাংশের বেশি। যুক্তরাজ্য, আয়ারল্যান্ড এবং যুক্তরাষ্ট্রের মোট শিশুদের ১৫ শতাংশ এই সমস্যায় ভুগছে।তুলনামূলকভাবে দক্ষিণ আমেরিকা এবং আফ্রিকায় মায়োপিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের সংখ্যা অনেক কম, শতকরা হার মাত্র ১ শতাংশ। গবেষণা প্রবন্ধে বলা হয়েছে, ১৯৯০ সাল থেকে ২০২৩— ৩৩ বছরে বিশ্বজুড়ে দৃষ্টিশক্তির সমস্যায় আক্রান্ত শিশুদের হার বেড়েছে ৩৬ শতাংশেরও বেশি।মায়োপিয়া রোগটি মূলত জেনেটিক। পিতা-মাতা বা রক্তসম্পর্কিত ঘনিষ্ঠ কেনো আত্মীয়ের এই সমস্যা থাকলে উত্তরাধিকারসূত্রে তা শিশুদের মধ্যেও সঞ্চারিত হয়। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশ্বজুড়ে শিশুদের মধ্যে মায়োপিয়ার এই উল্লম্ফণ শুধু জেনেটিক কারণে হয়নি, অন্যন্য কিছু প্রভাবও এখানে বেশ বড় ভূমিকা রেখেছে।চিকিৎসাবিজ্ঞান বলছে, জন্মের পর থেকে ২০ বছর বয়স পর্যন্ত আমাদের চোখ গঠিত হতে থাকে। কোনো ব্যক্তির ছোটো বেলায় যদি চোখের ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে, তাহলে তার মায়োপিয়া সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে এবং তা কখনও নিরাময় হয় না।গবেষণা প্রবন্ধে ব্রিটিশ চক্ষুবিশেষজ্ঞরা বলেছেন, যেসব দেশে অল্প বয়সে শিশুদের স্কুলে ভর্তি করা হয়, সেসব দেশের শিশুদের মায়োপিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে। জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, হংকং, সিঙ্গাপুরের অধিকাংশ শিশুর দৃষ্টি সমস্যার বড় কারণ এটি।আবার দক্ষিণ আমেরিকা ও আফ্রিকার শিশুদের মধ্যে মায়োপিয়ায় আক্রান্তের হার অনেক কম পাওয়া গেছে। এ দু’টি অঞ্চলে শিশুরা গড়ে ৭ কিংবা ৮ বছর বয়সে স্কুলে ভর্তি হয়।এছাড়া শিশুদের মধ্যে মায়োপিয়ার হার ব্যাপক মাত্রায় বৃদ্ধির প্রবণতা দেখা গেছে করোনা মহামারির পর। কারণ মহামারির সময় শিশুরা দিনের পর দিন ঘরবন্দি ছিল এবং প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা তারা কাটিয়েছে মোবাইল, কম্পিউটার, ল্যাপটপ কিংবা টেলিভিশন স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থেকে। এসব ইলেকট্রিক গেজেট থেকে আসার রশ্মি দিনের পর দিন চোখে ঢুকলে এক সময় শিশুদের দূরের দৃষ্টিক্ষমতা কমে যায়।গবেষণা প্রবন্ধে বলা হয়েছে, “আমাদের হাতে থাকা তথ্য বলছে বিশ্বজুড়ে মায়োপিয়ার এই উল্লম্ফণের একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ করোনা মহামারি। আমাদের শিশুদের ইলেকট্রিক গেজেটের ওপর অতিমাত্রায় নির্ভরশীলতার শুরু এই মহামারির সময় থেকেই।”ছেলে শিশুদের তুলনায় মেয়ে শিশুদের মধ্যে মায়োপিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার হার বেশি। বিশেষজ্ঞদের মতে, ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের মধ্যে বাড়ির বাইরে চলাচল ও খেলাধূলার প্রবণতা কম থাকা এর প্রধান কারণ।গবেষণা প্রবন্ধে বলা হয়েছে, এই অবস্থা যদি চলতে আগামী ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি সংখ্যক শিশু মায়োপিয়ায় আক্রান্ত হবে বলে আশঙ্কা রয়েছে।মায়োপিয়ার উপসর্গএই রোগের উপসর্গগুলো হলো—১. স্বাভাবিক দূরত্বে থাকা জিনিস দেখতে সমস্যা হওয়া। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, স্কুলের ক্লাসবোর্ডের লেখা অস্পষ্ট দেখা।২. শিশুদের টিভি কিংবা কম্পিউটার স্ক্রিনের কাছাকাছি বসার প্রবণতা, মোবাইল বা ট্যাবলেটের লেখা একদম মুখের কাছে নিয়ে গিয়ে দেখা।৩. মাথাব্যাথা করা৪. ঘন ঘন চোখ কচলানোর প্রবণতামায়োপিয়া থেকে শিশুর সুরক্ষাব্রিটেনের চক্ষু বিশেষজ্ঞ ড্যানিয়েল হার্ডিম্যান ম্যাককার্টনি বিবিসিকে বলেন, মায়োপিয়ার কোনো চিকিৎসা এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয়নি, তবে কিছু নিয়ম মেনে চললে রোগটিকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।যেমন—১. ৭ থেকে ৯ বছর বয়সী প্রতিটি শিশুর দিনের বেলা অন্তত দুই ঘণ্টা বাড়ির বাইরে সূর্যালোকে কাটানো উচিত।২.যেসব অভিভাবকের ৭ থেকে ১০ বছর বয়সী শিশু রয়েছে, তাদের উচিত অন্তত একবার নিজের সন্তানের চোখ টেস্ট করানো।৩. সম্প্রতি একধরনের বিশেষ কন্টাক্ট লেন্স বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। যেসব কমবয়সী শিশু মায়োপিয়াতে ভোগে, তাদের এই রোগটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই লেন্স সহায়ক। তবে বিশেষ এই লেন্স ব্যবহারের আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।এবি 
    স্ট্রোক প্রতিরোধে যা যা করবেন
    স্ট্রোক মস্তিষ্কের রোগ। অনেকেই আবার স্ট্রোক আর হার্ট অ্যাটাককে এক মনে করেন। আসলে স্ট্রোক হলো ব্রেনের (মস্তিষ্ক) অসুখ আর হার্ট অ্যাটাক হৃৎপিণ্ডের। বিশ্বজুড়ে অকালমৃত্যুর প্রথম কারণ ক্যানসার, পরের দুটি যথাক্রমে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক। প্রতিবছর এক লাখ মানুষের মধ্যে ১৮০ থেকে ৩০০ জন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন।  এ রোগের ক্ষেত্রে মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহের সঙ্গে যুক্ত রক্তনালী ক্ষতিগ্রস্ত কিংবা রক্তনালীর ভেতর রক্ত জমাট বাঁধলে বা রক্তনালী ছিঁড়ে গেলেই বিপদ আসন্ন থাকে।রক্তক্ষরণের কারণে যে স্ট্রোক হয়ে থাকে তাকে হেমোরেজিক স্ট্রোক বা রক্তক্ষরণজনিত স্ট্রোক আর রক্ত সরবরাহ বন্ধের জন্য যে স্ট্রোক হয়ে থাকে, তাকে ইস্কেমিক স্ট্রোক বা রক্ত সংরোধজনিত স্ট্রোক বলা হয়।স্ট্রোক সাধারণত তিন ধরনের। টিআইএ, প্রোগ্রেসিভ স্ট্রোক ও কমপ্লিটেড স্ট্রোক। টিআইএ হলো সাময়িক বা ক্ষণিকের সমস্যা। এ ধরনের স্ট্রোক হলে আক্রান্ত রোগী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সুস্থ হয়ে যান। কিন্তু প্রোগ্রেসিভ স্ট্রোক হলে রোগীর অবস্থা ধীরে ধীরে আরও খারাপ হতে থাকে। আবার কমপ্লিটেড স্ট্রোকে একটা পর্যায়ে গিয়ে রোগীর অবস্থার আর অবনতি হয় না।মানুষের মস্তিষ্কে রক্তসরবরাহকারী রক্তনালী বন্ধ হলে বা ছিঁড়ে গেলে স্ট্রোক হয়। স্ট্রোকের ফলে শরীরের এক পাশ অবশ হতে পারে। এ ছাড়া কারো কারো ক্ষেত্রে মুখ বেঁকে যাওয়া, খিঁচুনি, কথা আটকে যাওয়ার মতো সমস্যা হতে পারে। স্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তির সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে আরোগ্য লাভ করা সম্ভব।লক্ষণ১. হঠাৎ হাসতে গিয়ে মুখের অর্ধেক নাড়াতে না পারা।২. মুখের অর্ধেক পুরোপুরি অসাড় হয়ে পড়া।৩. কথা বলার সময় অস্পষ্ট আওয়াজ করতে থাকা।৪. কোনো একটি বাহুতে দুর্বলতা অনুভব করা।৫. হঠাৎ ঝিমুনি বোধ করা।৬. কোনো একটি চোখের দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসা।৭. হাঁটতে গিয়ে নিজেকে অক্ষম মনে হওয়া।৮. তীব্র মাথা ব্যথা।প্রতিরোধ১. সুস্থ জীবনযাপন করতে হবে।২. ধূমপান বাদ দিতে হবে।৩. সুষম খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।৪. লাল মাংস, দুগ্ধজাত পণ্য এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।৫. নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম ও শরীরচর্চার ও অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।৬. মানসিক চাপমুক্ত জীবনযাপন করতে হবে।৭. দিনে অন্তত ২০ থেকে ৩০ মিনিট পরিমাণ হাঁটতে হবে।এবি
    পাঙাশ-তেলাপিয়ায় অতিমাত্রায় অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার হচ্ছে
    পাঙাশ ও তেলাপিয়া মাছে অতিমাত্রায় অ্যন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব নিউট্রিশন অ্যান্ড ফুড সাইয়েন্সের অধ্যাপক ড. শারমিন রুমি আমিন। এতে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাচ্ছে।   বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শাহবাগে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ (বিএফএসএ) আয়োজিত গবেষণার প্রাক-অবহিতকরণ সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।   তিনি বলেন, আমাদের সাধারণ মানুষের তথা নিম্ন আয়ের মানুষের অন্যতম পছন্দের খাবার পাঙাশ ও তেলাপিয়া মাছে অ্যন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হচ্ছে। এর মাত্রা এতো বেশি যে, শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। এক রোগের ওষুধ খেলে অন্যান্য রোগ মাথা চাড়া দিয়ে উঠে। শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মাসুম বলেন, ‌‌‘দেশে পশু মোটা-তাজাকরণে স্ট্রয়েট ড্রাগ ব্যবহার হচ্ছে না বলা হলেও খামারিরা এটি ব্যবহার করছে। খামারিরা প্রথমে স্বীকার না করলেও পরবর্তীতে তারা জানায় তারা হলুদ বা গোলাপি বড়ি নামে ব্যবহার করে। আর এসব ড্রাগ সীমান্ত এলাকায় বেশি ব্যবহার হয়। কেননা ভারত থেকে এগুলো সহজেই পাচার হয়ে দেশে আসে। আমরা পশুর রক্ত ও মূত্র পরীক্ষা করে স্ট্রয়েড ব্যবহারটা তুলে ধরব।’ বিএফএসএর অতিরিক্ত পরিচালক অমিতাভ মণ্ডল বলেন, ‘অনিরাপদ খাদ্যে বিশ্বে প্রতিবছর ৬০ কোটি লোক অসুস্থ হয়, ৪ কোটি মানুষের মৃত্যু হয়। বিশ্বে বছরে ৪০ শতাংশ শিশু রোগাক্রান্ত হয় ও ১ লাখ ২৫ হাজারের মৃত্যু হয়।’  বিএফএসএর সাবেক পরিচালক ড. সহদেব চন্দ্র সাহা জানান, মানুষকে নিরাপদ খাদ্য সরবরাহ করাও একটি ইবাদত। ইতোপূর্বে ১৩টি দুধের স্যাম্পলের মধ্যে ১১টিতে হেভি মেটার পাওয়া গিয়েছিল। এটি নিয়ে কাজ করায় সেখান থেকে উত্তরণ হয়েছে। বর্তমানে ১০টি গবেষণায় অর্থায়ন করা হচ্ছে। আশা করি দেশের খাদ্য ব্যবস্থায় এটি বড় অবদান রাখবে। স্ট্রিট ফুডগুলোতে নানা ধরনের রঙ ব্যবহার খাবারকে আকর্ষণ করে তোলা হয়। এসব খাবার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।  এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্সের ড. মাহফুজা মোবারক, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেইরি সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোহেল রানা সিদ্দিকী, নোয়াখালী সায়েন্স অ্যান্ড টেকননোলজি ইউনিভার্সিটির ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন সায়েন্সের অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর সরকার প্রমুখ। এবি 
    ডেঙ্গু আক্রান্ত ছাড়াল ২০ হাজার
    রাজধানীসহ দেশজুড়ে বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। শুধু ঢাকা নয়, এবার আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে রাজধানীর বাইরেও। এছাড়া চলতি বছরের শুরু থেকে গতকাল মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ১১৩ জন মৃত্যুবরণ করেছেন বলে জানা গেছে। চলতি বছরে এ পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ২০ হাজার ২১৩ জন। এর মধ্যে ৬২.২ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৭.৮ শতাংশ নারী রয়েছেন। যার ভিতর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মারা যাওয়াদের মধ্যে ৫৪.৯ শতাংশ নারী ও ৪৫.১ শতাংশ পুরুষ। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে ফিরেছেন ১৭ হাজার ৮৯৭ জন।  সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রতিদিন অন্তত ২০ থেকে ২২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। তবে এই সংখ্যা গত সপ্তাহের তুলনায় প্রতিদিনই বাড়ছে।ব্যক্তি পর্যায়ে সচেতনতার উপর জোর দেয়ার আহ্বান জানিয়ে হাসপাতালটির পরিচালক ডা. মো. শফিউর রহমান বলেন, রোগীর চাপ বাড়লেও এখনও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে মশক নিধন কার্যক্রম ত্বরান্বিত করা না গেলে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।ডেঙ্গু আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। প্রতিনিয়ত আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে হলে লার্ভা ধ্বংসে কাজ করতে হবে বলে জানানা ডা. শফিউর।তিনি আরও জানান, এখন পর্যন্ত আক্রান্তদের মধ্যে নতুন কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। ডেঙ্গুর নতুন কোনো ভ্যারিয়েন্টের প্রাদুর্ভাব ছড়াচ্ছে কিনা তা আইইডিসিআর নিশ্চিত করবে বলেও জানান তিনি।এবি 
    যে ৫ লক্ষণে বুঝবেন গোপনে হানা দিচ্ছে কিডনি রোগ
    মানবদেহের অন্যতম অঙ্গ কিডনি। এই অঙ্গটির কিছু হলে পুরো শরীরে বিরূপ প্রভাব পড়ে। কিডনির সমস্যা বা অসুখের নির্দিষ্ট কোনো উপসর্গ হয় না। তবে কয়েকটি উপসর্গ অত্যন্ত সাধারণ বলে মনে হলেও, এগুলো লক্ষ্য করলে আগে থেকেই সতর্ক হওয়া দরকার। আমাদের শরীরে ছাঁকনির মতো কাজ করে কিডনি। কোনো কারণে এই অঙ্গটি আক্রান্ত হলে বা কিডনিতে কোনো রকম সংক্রমণ হলে শরীরে একের পর এক জটিল সমস্যা বাসা বাঁধতে শুরু করে। তাই কিডনির সমস্যা বা অসুখকে ‘নিঃশব্দ ঘাতক’ বলেই ব্যাখ্যা করে থাকেন চিকিৎসকরা।কিডনি রোগের লক্ষণ:কিডনিতে কোনো সমস্যা হলে তা ধরা পড়তে অনেকটা সময় লেগে যায়। কিন্তু তার আগে শারীরিক কিছু লক্ষণ দেখেই বুঝতে পারবেন, আপনি কিডনির সমস্যায় আক্রান্ত কি-না। লাইফস্টাইল বিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই ডটকমের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী চলুন জেনে নেয়া যাক সেই লক্ষণগুলো।ফোলাভাব:মুখ, চোখের চারপাশ হঠাৎ অস্বাভাবিকভাবে ফুলে ওঠলে অবশ্যই সতর্ক হওয়া জরুরি। চিকিৎসকরা বলছেন, কিডনিতে সমস্যা হলে চোখের নিচে অথবা পায়ের গোড়ালি বা মুখের ফোলাভাব স্থায়ী হয়। সেটা এক সপ্তাহ বা দুই সপ্তাহ হলে, তা কিডনির সমস্যার কারণে হতে পারে। কিডনি যখন শরীর থেকে পানি বের করতে পারে না, তখন তা শরীরে জমে এই ফোলাভাব হয়।ক্লান্তি:কোনো নির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই সবসময় ক্লান্তি, দুর্বল অনুভব, ওজন দ্রুত কমে যাওয়া কিডনির সমস্যার কারণে হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কিডনি ঠিকমতো কাজ না করলে রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়। এছাড়া কিডনি সঠিকভাবে কাজ না করলে রক্ত পরিশুদ্ধ হয় না। রক্তে বিষাক্ত ও অপ্রয়োজনীয় উপাদান বাড়তে থাকে। ফলে আরও বেশি ক্লান্ত লাগে।প্রস্রাবে সমস্যা:ঘনঘন প্রস্রাব হওয়া অথবা প্রস্রাব কমে যাওয়া দুটিই কিডনির সমস্যার লক্ষণ। শরীর থেকে পানি বের করা ছাড়াও পানি শুষে নেয়ার কাজও করে কিডনি। সেটি করতে না পারলে বেশি প্রস্রাব হয়ে থাকে। কিডনি প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে বর্জ্য নির্গত করে। কিন্তু কিডনি ঠিকমতো কাজ না করলে মূত্রনালিতে সমস্যা দেখা দেয়। বারবার মূত্রত্যাগ, মূত্রের সঙ্গে রক্ত বের হওয়া বা মূত্রে অতিরিক্ত ফেনা হওয়াও কিডনির সমস্যার লক্ষণ। বিশেষত রাতে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি বার প্রস্রাব করতে হলে খুব সতর্ক হন।শ্বাসকষ্ট:আমাদের শরীরের তরল ভারসাম্যতা বজায় রাখে কিডনি। তবে কিডনিতে সমস্যা দেখা দিলে ফুসফুসে তরল জমা হবে, ফলে শ্বাসকষ্ট হতে পারে। একে ফ্লুইড ওভারলোড বা হাইপারভোলেমিয়াও বলা হয়। অনেকে আবার এক্ষেত্রে বুকে ব্যথাও অনুভব করেন।অনিদ্রা:বিশেষজ্ঞদের মতে, কিডনির সমস্যায় আক্রান্তদের রাতে ঘুম না আসার সমস্যা দেখা দেয়। কিডনি যখন শরীর থেকে পানি নিঃসরণ করতে পারে না, তখন কিছু পানি ফুসফুসে জমে যায়। সে কারণে ঘুমের সমস্যা হতে পারে। এফএস
    দুই সপ্তাহে ২৩ প্রাণ কেড়েছে ডেঙ্গু
    মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সেপ্টেম্বরের দুই সপ্তাহে মোট ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। সব মিলিয়ে চলতি বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১০৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।এদিকে, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত তার আগের ২৪ ঘণ্টায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ডেঙ্গু আক্রান্ত ৫৪৮ জন।  স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, নতুন মারা যাওয়া তিনজনই ঢাকার। তাদে মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে দু’জন এবং উত্তর সিটি কর্পোরেশনে একজন রয়েছেন। ৫৪৮ নতুন রোগীর মধ্যে ঢাকার দক্ষিণ সিটিতে ১৯০ জন, উত্তর সিটিতে ১৬৯ জন, ঢাকার বাইরে ৪৬ জন, বরিশাল সিটির বাইরে ৫৪ জন, চট্টগ্রাম সিটির বাইরে ২৪ জন, খুলনায় ২০ জন, ময়মনসিংহে ২৪ জন, রংপুরে ১২ জন ও রাজশাহীতে ৯ জন। চলতি সেপ্টেম্বর মাসের গত ১৪ দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর এই সময়ে রোগী শনাক্ত হয়েছে পাঁচ হাজার ৭৪৮ জন।আর গত ১ জানুয়ারি থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ হাজার ৫৮৯ জন। এবি 
    যে নিয়মগুলো মানলেই নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে বাতের ব্যথা
    ঘরে ঘরে এখন বাতের ব্যথার সমস্যা। কারও হাঁটুতে সমস্যা তো কারও আবার কোমরে ব্যথা। কখনও আবার গাঁটে গাঁটে যন্ত্রণা। বাতের ব্যথা একবার হলে খুব ভোগায়। কখন তার ব্যথা জানান দিয়ে উঠবে কেউ বলতে পারে না।গরমের সময় বা বর্ষায় আর্দ্রতা থাকে বলে বেশি বাতের সমস্যা হয়। বেড়ে যায় ব্যথা। এমনকি সেই ব্যথা এমন জায়গায় পৌঁছায় যে হাত, পা ভাঁজ করতেও সমস্যা হয়। তবে কিছু নিয়ম মানলে কিন্তু এই সময়ে আরাম মিলতে পারে।শরীরে বাতের ব্যথা বাড়লে অনেকেই হাঁটাচলা একদম কমিয়ে দেন, সাধারণ কাজগুলোও করতে চান না। এই অভ্যাস কিন্তু মোটে ভাল নয়। বাতকে হার মানাতে হলে, নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করা জরুরি। যোগ ব্যায়াম করুন। তাহলেই আরাম পাবেন।ব্যথার চোটে অনেক সময় জয়েন্টে জয়েন্টে ব্যথার প্রকোপ বাড়ে। এক্ষেত্রে গরম সেঁক দিতে পারেন। গরম কাপড় দিয়ে সেঁক দিন। আরাম পাবেন। বাতের ব্যথার সমস্যা থাকলে হালকা গরম জলে স্নান করুন, সেটা ভালো।পানি বা তরল খাবার বেশি করে খেতে হবে। শরীরের ভিতরের আর্দ্রতা অস্থিসন্ধির তরলের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। অস্থিসন্ধির তরল শুকিয়ে গেলে ব্যথা বেশি হতে পারে।স্বাস্থ্যকর খাবার নিয়মিত খাওয়া কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, বাদাম, মাছ, সবজি এইসব খাবার নিয়মিত খাদ্য তালিকায় রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ। পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবার শরীর ভালো রাখার জন্য ও হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য জরুরি।বেশি ওজন শরীরের জন্য ভালো নয়। অতিরিক্ত ওজনের ফলে হাঁটু ও অন্যান্য অস্থিসন্ধিতে চাপ পড়ে। যার জেরে হাড় ক্ষয়ে যেতে পারে। আর্থ্রাইটিসের ব্যথা বাড়তে পারে।হাড়ের ব্যথা বা বাতের ব্যথা থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সঠিক চিকিৎসা হলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়াও সম্ভব। সঙ্গে নিয়মিত সঠিক সময়ে ওষুধ খেতে হবে এবং শরীরচর্চাও করতে হবে।এসএফ 
    কোন যোগাসনে কোন রোগের মুক্তি?
     ইয়োগা বা যোগাসন শারীরিক ও মানসিক অবসাদ কাটিয়ে তুলতে যেমন কার্যকরী, তেমনি ফলদায়ক রোগ থেকে মুক্তি লাভেও। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যে কোনো রোগ থেকে মুক্তি পেতে হলে ওষুধের বিকল্প হিসেবে যোগাসনের অভ্যাস করাই বুদ্ধিমানের কাজ।যোগাসনের অর্থ হলো শরীরের সমস্ত অংশকে প্রকৃতির সঙ্গে আত্মস্থ করা। এর ফলে শরীরের চালনা ও উৎফুল্লতা বজায় থাকে। নিয়মিত এ অভ্যাসে প্রাকৃতিক উপায়ে শারীরিক গঠন সুগঠিত হয় এবং শরীরের অতিরিক্ত ক্যালরি ঝরতে সাহায্য করে। বিভিন্ন রোগ থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। যোগাসনে অসংখ্য আসন রয়েছে যা শরীর ফিট রাখে ও নির্দিষ্ট কিছু রোগের মুক্তি ঘটায়। তাই আসুন এক নজরে জেনে নিই কোন রোগ থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত কোন যোগাসনের উপর জোর দেবেন- ১। মস্তিষ্ক ও হার্টকে সুরক্ষিত রাখতে: মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখতে নিয়মিত শীর্ষাসনের অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন। আর হার্টজনিত নানা সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অনুশীলন করতে পারেন শশকাসন, অপান বায়ু মুদ্রা, অনলোম- বিলোম প্রাণায়াম। ২। হজমের সমস্যা: অনিয়ন্ত্রিত জীবনে আমাদের প্রায় সবারই হজমের সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যা সমাধানে পবনমুক্তাসন বা সুপ্ত বজ্রাসন করা যেতে পারে। পবনমুক্তাসনে চিৎ হয়ে শুয়ে প্রথমে ডান পা ভাঁজ করে পেটের সঙ্গে লাগাতে হবে। বাঁ পা তখন সোজা থাকবে। এরপরে একইভাবে বাঁ পা ভাজ করে পেটে লাগতে হবে। ডান পা তখন সোজা থাকবে। নিয়মিত এভাবে যোগাসন করার ফলে গ্যাস, অম্বল, হজমের সমস্যাসহ কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করা যায়। ৩। কোমরের যন্ত্রণা: কোমরজনিত বিভিন্ন রোগ ও এর যন্ত্রণা কমাতে ভুজঙ্গাসন একটি আদর্শ স্থান। এই আসন করার সময় আপনার শারীরিক ভঙ্গি দেখতে অনেকটাই সাপের মতো হবে। এই আসন ছাড়াও উপুড় হয়ে শুয়ে এক পা উপরে তুলে একপদ সলভাসন বা পবনমুক্তাসন করলেও ভালো উপকার পাওয়া যাবে। ৪। হাঁটুর ব্যথা: যারা হাঁটুর ব্যথার সমস্যায় ভুগছেন তারা হাঁটুর ব্যথা কমানোর জন্য উত্থান পদাসন করলে উপকার মিলবে। চেয়ারে বসে পা তোলা ও নামানো অর্থাৎ সিটেড লেগরাইজও ভারী কাজে আসতে পারে। শুয়ে হাঁটু ভাঁজ করে উপরের দিকে পা তোলা নামা বা পেলভিস ব্রিজও করতে পারেন। এতে থাইয়ের পেশি সংকুচিত বা প্রসারিত হয়ে হাঁটুর ব্যথাকে সারিয়ে তুলবে।  ৫। কাঁধ ও ঘাড়ের যন্ত্রণা: কর্মব্যস্ত জীবনে বসে বসে কাজের অভ্যাসে অনেকেই এখন ঘাড় ও কাঁধের সমস্যায় ভুগেন। ঘাড়ের যন্ত্রণা থেকে মুক্তির জন্য আইসোমেট্রিক প্রেসার অভ্যাস করতে পারেন। এর জন্য দু’হাত মাথার পিছনে নিয়ে মাথাকে হাত দিয়ে ঘাড় সোজা করে চাপ দিতে হবে। এভাবে মাথাকে চার দিকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে চাপ দিন। চিৎ হয়ে শুয়ে ভুজঙ্গাসন অভ্যাস করলেও কাঁধ ও ঘাড়ের ব্যথা দূর করা যায়। ৬। পেট ও নিতম্বের চর্বি কমাতে: দৈনন্দিন জীবনে শারীরিক পরিশ্রম কম হওয়ায় অনেকেরই পেট ও নিতম্বের আশেপাশে অতিরিক্ত চর্বি জমতে দেখা যায়। এই সমস্যা সমাধানে অর্ধকূর্মাসন খুবই কার্যকরী। এই আসনটি নিয়মিত অনুশীলন করতে প্রথমে মাটিতে বজ্রাসনে বসুন। মাথা মাটিতে ঠেকান। এইবার হাত দুটি সোজা করে একসঙ্গে জড়ো করে মাথার ওপরে তুলুন নমস্কারের ভঙ্গিতে। খেয়াল রাখবেন এসময় যেন পেট ও বুক ঊরুর সঙ্গে লেগে থাকে। এই অবস্থায় ২০ মিনিট থাকার পর ধীরে ধীরে সোজা হয়ে বসে শবাসনে বিশ্রাম নিন। ৭। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা: হাঁপানি বা শ্বাসজনিত সমস্যায় সিদ্ধাসন নিয়মিত অনুশীলন করতে পারেন। এর জন্য মেরুদণ্ড সোজা রেখে পা গুটিয়ে বসে ধীরে ধীরে শ্বাস নিতে ও ছাড়তে হবে। এই আসন দেখতে অনেকটাই পদ্মাসনের মতো। সিদ্ধাসনে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি ফুসফুসের কার্যক্ষমতাও বাড়ে। ৮। মেরুদণ্ডজনিত সমস্যা: হরমোন বা বংশগত সমস্যার জন্য অনেকেরই শারীরিক উচ্চতা বেশি হয় না। তাই যাদের উচ্চতা কম তারা অল্পবয়স থেকেই করতে পারেন সর্বাঙ্গাসন, তাড়াসন, উষ্ট্রাসন এবং বৃক্ষাসনের মতো আসনগুলো। এসব আসন মেরুদণ্ডকে সুগঠিত করে। সেই সঙ্গে নমনীয় করে উচ্চতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হিসেবে কাজ করে। সূত্র: জিনিউজ
    ফেনীতে বন্যাদুর্গত এলাকায় রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছে বিজিবি
    ফেনীতে বন্যাদুর্গত ৫০০ জন রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা ও ওষুধ প্রদান করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ–বিজিবির মেডিকেল ক্যাম্প। শনিবার পিবিজিএমএস জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলাসমূহে আকস্মিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় মানুষদের উদ্ধার তৎপরতা, ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ এবং বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা অব্যাহত রেখেছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ বিজিবি হাসপাতালে, ঢাকা এর মেডিসিন ও বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ ডা. মেজর শাহ মো. মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে বন্যাদুর্গত ফেনীর জয় লস্করপুর উচ্চ বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হয়। উক্ত মেডিকেল ক্যাম্পেইনে ২০০ জন পুরুষ, ২৫০ জন মহিলা ও ৫০ জন শিশুসহ মোট ৫০০ জন রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা ও ওষুধ প্রদান করা হয়।এবি 
    বন্যাদুর্গত এলাকায় কাজ করছে সেনাবাহিনীর মেডিকেল টিম
    দেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যাদুর্গতদের উদ্ধার, নিরাপদে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া, ত্রাণ বিতরণ ও চিকিৎসাসেবা সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। চিকিৎসাসেবা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নতুন করে সেনাবাহিনীর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে মেডিকেল টিম মোতায়েন করা হয়েছে।শনিবার (২৪ আগস্ট) রাতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।আইএসপিআর জানায়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী হেলিকপ্টার, স্থলপথ ও স্পিডবোটের মাধ্যমে মোট ১২ হাজার ৬১৫ প্যাকেট ত্রাণ বন্যাদুর্গতদের মাঝে বিতরণ করেছে। পাশাপাশি বন্যাদুর্গত এলাকায় চিকিৎসাসেবা বাড়াতে নতুন করে সেনাবাহিনীর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে ৬টি মেডিকেল টিম মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও, উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমের গতি ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে অতিরিক্ত ১৬টি স্পিড বোট সংযোজন করা হয়েছে।এদিকে শনিবার ২১টি হেলি সর্টির মাধ্যমে উদ্ধার ও ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে। দিনব্যাপী হেলিকপ্টারের মাধ্যমে ১৯ জন রোগীকে জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।বন্যাদুর্গত এলাকায় উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনায় সেনাবাহিনীর ৫টি হেলিকপ্টার (২টি এমআই, ২টি বেল ও ১টি ডওফিন), বিজিবির ১টি এমআই হেলিকপ্টার এবং র‍্যাবের ২টি বেল হেলিকপ্টার মোতায়েন রয়েছে। এছাড়া আনম্যান্ড কম্ব্যাট এরিয়াল ভেহিক্যালের (ইউসিএভি) মাধ্যমে বন্যাদুর্গতদের অবস্থান চিহ্নিত করে ডাটাবেজ তৈরির মাধ্যমে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ সেলের সঙ্গে প্রয়োজনীয় সমন্বয় করে কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচলের উপযোগী রাখার লক্ষ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে দুটি ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড প্রাথমিকভাবে কাজ শুরু করেছে। পাশাপাশি ওই ব্রিগেডগুলোতে ক্ষতিগ্রস্ত গোমতি নদীর বাঁধ রক্ষায় নিরলসভাবে দায়িত্ব পালন করছে।বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত জাতির আস্থার প্রতীক বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এ কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।এবি 
    দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে মাঙ্কিপক্স ভাইরাস, বিশ্বব্যাপী জরুরি অবস্থা জারি ডব্লিওএইচওর
    চলতি বছর গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গোতে মাঙ্কিপক্স ভাইরাসে ১৩ হাজার ৭০০ জনের মতো আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে কমপক্ষে ৪৫০ জন মারা গেছেন। এছাড়াও রোগটি বুরুন্ডি, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, কেনিয়া এবং রুয়ান্ডাসহ অন্যান্য আফ্রিকান দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। এ অবস্থায় অত্যন্ত সংক্রামক মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাবকে ‘খুব উদ্বেগজনক’ উল্লেখ করে বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। খবর বিবিসির।বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাঙ্কিপক্স এখন মধ্য এবং পূর্ব আফ্রিকার বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়েছে। এই রোগের একটি নতুন রূপ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।ডব্লিউএইচও প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেইসাস বলেছেন, আফ্রিকা এবং তার বাইরে আরও ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা ‘খুব উদ্বেগজনক’। তিনি বলেন, এই প্রাদুর্ভাব বন্ধ করতে এবং জীবন বাঁচাতে একটি সমন্বিত আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া অপরিহার্য। মাঙ্কিপক্স সংক্রামক রোগ।এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে এমনকি শ্বাসপ্রশ্বাস থেকেও অন্য কেউ এতে সংক্রমিত হতে পারে। মাঙ্কিপক্সের উপসর্গ ফ্লুর মতো। এটি ত্বকের ক্ষত সৃষ্টি করে এবং মারাত্মক হতে পারে, ১০০টির মধ্যে চারটি মৃত্যু ঘটায়।আফ্রিকায় মাঙ্কিপক্স ভাইরাসে দু’টি প্রধান ঢেউ সঞ্চালিত হয়েছে। মাঙ্কিপক্সের একটি ধরণ হলো ‘ক্লেড আই’, এটি মধ্য আফ্রিকার স্থানীয়দের শরীরে বেশি সংক্রমিত হতে দেখা যায়। আরেকটি ধরন হলো ‘ক্লেড আইবি’। এটি মাঙ্কিপক্সের নতুন এবং আরও মারাত্মক রূপ, যেটিকে একজন বিজ্ঞানী ‘এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বিপজ্জনক’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন। এই নতুন ধরণটির কারণেই বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে ডব্লিউএইচও। চলতি বছরের শুরু থেকে গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গোতে এই রোগে ১৩ হাজার ৭০০ জনের মতো আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে কমপক্ষে ৪৫০ জন মারা গেছেন। এরপর থেকে এটি বুরুন্ডি, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, কেনিয়া এবং রুয়ান্ডাসহ অন্যান্য আফ্রিকান দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে।মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাবের কারণে বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা জারি এবারই প্রথম নয়। ২০২২ সালের জুলাইয়ে মাঙ্কিপক্সের একটি ধরন ইউরোপ এবং এশিয়ার কিছুসহ প্রায় ১০০টি দেশে ছড়িয়ে পড়ে। সে সময় এটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।ডব্লিউএইচওর একটি গণনা অনুসারে, সেই প্রাদুর্ভাবের সময় ৮৭ হাজার মানুষ এতে আক্রান্ত হন। সেই সময় এ রোগে অন্তত ১৪০ জনের মৃত্যু হয়। 
    যে ৭ লক্ষণে অ্যাপেন্ডিক্স এর ব্যথা বুঝা যায়
    অনেক সময় পেটের  ব্যথাই আমরা গ্যাসের ব্যথা বলে এড়িয়ে যাই। কিন্তু সব ব্যথাই তো আর গ্যাসের নয়। বিশেষ করে নারীদের পিরিয়ড জটিলতার সঙ্গে অন্যান্য সমস্যার কারণে অ্যাপেন্ডিক্সের ব্যথা আলাদা করে চিনে ওঠা সম্ভব হয় না।  অনেক সময় ভয়ঙ্কক রোগের আলামত হিসেবেও এই ব্যথা দেখা দেয়। অ্যাপেন্ডিক্স এর ব্যথাকে অনেকেই স্বাভাবিকভাবে দেখে দেরি করে ফেলেন। কিন্তু এজন্য ঘটতে পারে অনেক বড় বিপদ। বৃহদান্ত্র এবং ক্ষুদ্রান্ত্রের সংযোগস্থলে বৃহদান্ত্রের সঙ্গে যুক্ত একটি ছোট থলির মতো অঙ্গটিকে অ্যাপেন্ডিক্স বলা হয়। মূলত অ্যাপেন্ডিক্স আমাদের শরীরের একটি অকেজো অঙ্গ। বিশ্বের প্রায় ৫ শতাংশ মানুষের প্রাণ যায় এই অ্যাপেন্ডিক্স এর সময়মতো চিকিৎসা না হওয়ায়। অ্যাপেন্ডিক্সের এই সমস্যাটি অ্যাপেনডিসাইটিস নামে পরিচিত। চিকিৎসা বিজ্ঞানে একে ‘সার্জিক্যাল এমার্জেন্সি’ হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়। তাই অ্যাপেনডিসাইটিসের সমস্যা কখনও অবহেলা করা উচিত নয়।১. অ্যাপেন্ডিক্স হলে তল পেটের ডান দিকে ব্যথা শুরু হবে। নাভির চারিদিক থেকে ব্যথাটা ক্রমশ তল পেটের দিকে ছড়িয়ে পড়ে।২. অনেক সময় তলপেট ফুলে ওঠে। তবে শুরুর দিকে ব্যথা কম হবে। কিন্তু ধীরে ধীরে সেই ব্যথা বাড়তে থাকে। খাবার খেলেই ব্যথা বেড়ে যায়।৩. এ সময় জ্বর আসার সম্ভাবনা থাকে। তবে সবার ক্ষেত্রে জ্বর আসে না। শরীরের তাপমাত্রা হেরফের করে।৪. খেতে ইচ্ছা করে না। হজমে সমস্যা হয়। সেখান থেকে শুরু হয় বমি।৫. কিছুক্ষেত্রে রোগীর পেট খারাপও হতে পারে। হাঁটাচলা করলে, বসে ওঠার সময়, অথবা সিড়ি দিয়ে নামার সময় ব্যথা হতে পারে।৬. ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বেড়ে যাওয়া।৭. অ্যাপেন্ডিক্স কোনও কারণে ফেটে গেলে সারা পেট জুড়ে মারাত্মক ব্যথা অনুভূত হয় এবং পেট ফুলে ওঠে।এসব লক্ষণ দেখা দিলে দেরি করা যাবে না। যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।এবি 
    বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ, একদিনেই ১০৩ জন শনাক্ত
    দেশে এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় কারও মৃত্যু না হলেও ১০৩ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছরে চার হাজারের বেশি ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়াদের মধ্যে ঢাকা সিটিতে ৪৫ জন এবং বাকি ৫৮ জন ঢাকার বাইরের।এ ছাড়া গত ৮ জুলাই ৬৩ জন, ৯ জুলাই ৮৮ জন এবং ১০ জুলাই ৭৯ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন চার হাজার ৩১১ জন। এরমেধ্য সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন তিন হাজার ৯৪৯ জন। মারা গেছেন ৪৭ জন।বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান জানান, ডেঙ্গু এখন সিজনাল নেই, সারা বছরই হচ্ছে। বৃষ্টি শুরু হলে এটা বাড়ছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশা নিরোধক ওষুধ ব্যবহারের পাশাপাশি সিটি করপোরেশনে পক্ষ থেকে সব জায়গায় প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। একই সঙ্গে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন বছরব্যাপী নানান উদ্যোগ নিলেও কীটতত্ত্ববিদ ড. মনজুর চৌধুরী বলছেন, মশানিধনে শুধু জেল-জরিমানা আর জনসচেনতনা বাড়িয়ে কাজ হবে না। সঠিকভাবে জরিপ চালিয়ে দক্ষ জনবল দিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে দেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী আক্রান্ত এবং ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়।এসএফ

    Loading…