এইমাত্র
  • বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশিপ চালু করলো পাকিস্তান
  • শেখ হাসিনার পক্ষে আদালতে লড়তে চান জেড আই খান পান্না
  • জাতি গঠনমূলক কাজে সশস্ত্র বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে: রাষ্ট্রপতি
  • অটোচালকদের রেললাইন অবরোধে ঢাকার সঙ্গে রেল যোগাযোগ বন্ধ
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত
  • সিরিয়ার ঐতিহ্যবাহী শহরে ইসরায়েলি হামলা, নিহত ৩৬
  • আজ ঢাকা কলেজ-সিটি কলেজের ক্লাস বন্ধ
  • রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
  • রাজধানীতে আজ ১২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়
  • ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই: প্রধান উপদেষ্টা
  • আজ বৃহস্পতিবার, ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২১ নভেম্বর, ২০২৪

    জাতীয়

    জাতি গঠনমূলক কাজে সশস্ত্র বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে: রাষ্ট্রপতি
    রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার মহান দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জাতীয় সংকট মোকাবিলায় বেসামরিক প্রশাসনকে সহযোগিতাসহ জাতি গঠনমূলক কর্মকাণ্ডে সশস্ত্র বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।২১ নভেম্বর ‘সশস্ত্র বাহিনী দিবস’ উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, এ বছর জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সশস্ত্র বাহিনীর দায়িত্ববোধ, ধৈর্য ও দেশপ্রেম সাধারণ মানুষের প্রশংসা অর্জন করেছে। কেবল দেশেই নয়, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নিয়ে পেশাগত দক্ষতা, সর্বোচ্চ শৃঙ্খলা, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে চলেছেন।‘সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০২৪ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সব সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।তিনি বলেন, সশস্ত্র বাহিনী দিবসে আমি পরম শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সাতজন বীরশ্রেষ্ঠ ও ৩০ লাখ শহীদের, যারা মাতৃভূমির জন্য অকাতরে প্রাণ বিসর্জন দিয়েছিলেন। আমি গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি মহান মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন সময়ে দেশ ও দেশের বাইরে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে আত্মোৎসর্গকারী সশস্ত্র বাহিনীর বীর সদস্যদের। আমি তাদের আত্মার মাগফেরাত ও শান্তি কামনা করি। আমি সশস্ত্র বাহিনীর যুদ্ধাহত সদস্য ও শহিদ পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান ও বীরত্বগাথা জাতি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে।মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা সশস্ত্র বাহিনী আমাদের গর্ব ও আস্থার প্রতীক উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর তিন বাহিনী সম্মিলিতভাবে হানাদার বাহিনীর ওপর সর্বাত্মক আক্রমণ পরিচালনা করে। তিন বাহিনীর সম্মিলিত এই প্রয়াস আমাদের বিজয়কে ত্বরান্বিত করে। তাই বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সংগ্রামের ইতিহাসে ২১ নভেম্বর একটি স্মরণীয় দিন।একটি শক্তিশালী, আধুনিক ও প্রশিক্ষিত সশস্ত্র বাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার অন্যতম পূর্বশর্ত উল্লেখ করে তিনি বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নে যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের পাশাপাশি বাহিনীগুলোতে যুক্ত হচ্ছে অত্যাধুনিক সামরিক সরঞ্জাম, যা নিঃসন্দেহে সশস্ত্র বাহিনীকে আরো আধুনিক, দক্ষ ও গতিশীল করবে। সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নে নেতৃত্বের প্রতি গভীর আস্থা, পারস্পরিক বিশ্বাস, শ্রদ্ধাবোধ, পেশাগত দক্ষতা এবং সর্বোপরি শৃঙ্খলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।তিনি বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা সর্বদা রাষ্ট্র ও নেতৃত্বের প্রতি পরিপূর্ণ অনুগত থেকে কঠোর অনুশীলন ও দেশপ্রেমের সমন্বয়ে সশস্ত্র বাহিনীর গৌরব সমুন্নত রাখবেন-এ প্রত্যাশা করি।রাষ্ট্রপতি সশস্ত্র বাহিনীর উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি এবং বাহিনীগুলোর সব সদস্য ও তাদের পরিবারের অব্যাহত সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।এইচএ
    অটোচালকদের রেললাইন অবরোধে ঢাকার সঙ্গে রেল যোগাযোগ বন্ধ
    ঢাকা মহানগর এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের নির্দেশ দেওয়ায় দ্বিতীয় দিনের মতো রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন করছেন চালকরা।সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, রাজধানীর মহাখালী থেকে সাতরাস্তাগামী রাস্তার মহাখালী মোড় অবরোধ করে রেখেছেন ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকরা।এছাড়া মহাখালী রেলক্রসিংসহ রেললাইনে অবস্থান নিয়েছেন তারা। এই অবস্থানের কারণে মহাখালী ও আশপাশ এলাকায় সম্পূর্ণ যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। যান চলাচল বন্ধ থাকায় সকাল থেকে অফিসগামী মানুষকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। যানবাহন না পেয়ে তারা হেঁটে গন্তব্যে রওনা দিয়েছেন।এদিকে মহাখালী রেলগেট এলাকায় রেলপথ অবরোধ করে আন্দোলন করায় যাত্রী নিরাপত্তার স্বার্থে ঢাকা থেকে সারাদেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে রাখা হয়েছে।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।তিনি বলেন, অটোরিকশাচালকরা রেললাইনে অবরোধ করে আন্দোলন করছেন। ফলে নিরাপত্তার স্বার্থে সকাল ১০টা থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ আছে। সকাল ১০টার পর কোনো ট্রেন ঢাকা স্টেশন থেকে ছেড়ে যায়নি এবং আসছেও না। ঢাকামুখী ট্রেনগুলো কাছাকাছি স্টেশনে অবস্থান করছে।এ বিষয়ে ঢাকা রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন বলেন, আমরা জানতে পেরেছি ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকরা মহাখালী রেললাইন অবরোধ করে আন্দোলন করছেন। এ খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের একাধিক টিম ঘটনাস্থলে গেছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে রেলওয়ে পুলিশ।এদিকে এ বিষয়ে বনানীর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাসেল সরোয়ার বলেন, সকাল থেকে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকরা মহাখালী এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন। অবস্থান নিয়ে তারা রেলক্রসিংসহ বিভিন্ন রাস্তায় অবরোধ করেছেন। এছাড়া তারা মহাখালী রেললাইনও নিজেদের দখলে নিয়েছেন। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছি।এবি 
    আজ ঢাকা কলেজ-সিটি কলেজের ক্লাস বন্ধ
    বুধবার ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে দুই কলেজের প্রায় উভয়পক্ষের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়। এমন পরিস্থিতিতে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে আজ (বৃহস্পতিবার) ক্লাস বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজ প্রশাসন।বুধবার (২০ নভেম্বর) রাতে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষের কার্যালয় থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনিবার্য কারণে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) কলেজের সব ক্লাস স্থগিত থাকবে। তবে অফিস ও বিভাগসমূহ খোলা থাকবে এবং নির্ধারিত পরীক্ষা যথারীতি অনুষ্ঠিত হবে।অপরদিকে, ঢাকা সিটি কলেজও আজ ক্লাস বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে। কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক কাজী নেয়ামুল হকের সই করা সংক্ষিপ্ত নোটিশে বলা হয়েছে, অনিবার্য কারণে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সব ক্লাস বন্ধ থাকবে।এর আগে বুধবার (২০ নভেম্বর) দুপুরের দিকে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। পরে খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে তারা সংঘর্ষ থামাতে টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়েন।এবি 
    ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই: প্রধান উপদেষ্টা
    সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে ছাত্র-জনতার কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকার কথা জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) ঢাকা সেনানিবাসের আর্মি মাল্টিপারপাস হলে খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ কথা জানান তিনি।প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ছাত্র-জনতার সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত নতুন বাংলাদেশে আমাদের সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ, আহত এবং জীবিত ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই। তারা যে সুযোগ আমাদের তৈরি করে দিয়েছে, তার মাধ্যমে বাংলাদেশকে পৃথিবীর সামনে দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশে পরিণত করতে আমরা শপথ নিয়েছি।ড. ইউনূস বলেন, নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সব মানুষকে একটি বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা। পরিবারে মতভেদ থাকবে, বাকবিতণ্ডা হবে, কিন্তু আমরা কেউ কারও শত্রু হবো না। কাউকে তার মতের জন্য শত্রু মনে করবো না। কাউকে ধর্মের কারণে শত্রু মনে করবো না। আমরা সবাই সমান।বৈষম্যহীন ও শোষণমুক্ত দেশ গঠনের অঙ্গীকার ব্যক্ত করে তিনি বলেন, কেউ কারও উপরে না এবং কেউ কারও নিচে না- এই ধারণা আমরা জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। বৈষম্যহীন, শোষণহীন, কল্যাণময় এবং মুক্ত বাতাসের রাষ্ট্রের যে স্বপ্ন নিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীন করেছিলেন, আমি তাদের সেই স্বপ্ন পূরণে অঙ্গীকারাবদ্ধ।প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে মানবিক ও কল্যাণকর রাষ্ট্র হিসেবে সমাদৃত। আমরা সব রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রাখবো। আমাদের পররাষ্ট্রনীতির ভিত্তি পারস্পরিক সম্মান, আস্থা, বিশ্বাস ও সহযোগিতা। জলবায়ু সংকট মোকাবিলা এবং বৈশ্বিক শান্তি ও অর্থনীতি সুসংহত করতে আমাদের একত্রে কাজ করতে হবে।ড. ইউনূস বলেন, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। তরুণ সমাজ যেন সম্পদের সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও মেধার ভিত্তিতে নিজ নিজ সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটিয়ে দেশ গঠনে অবদান রাখতে পারে সেই পরিবেশ আমাদের নিশ্চিত করতে হবে।এবি 
    বিচারের শুদ্ধতায় ট্রাইব্যুনালে আপিলের বিধান রাখা হয়েছে : আইন উপদেষ্টা
    বিচারের শুদ্ধতার জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের অন্তবর্তীকালীন আদেশের বিরুদ্ধে আপিলের বিধান রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল ইসলাম।বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মূল ভবনের সংস্কার কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।ট্রাইব্যুনালের অন্তর্বর্তী আদেশের বিরুদ্ধে আপিলের বিধান রাখায় বিচার বিলম্বিত হবে কি না? প্রশ্ন করা হলে ড. আসিফ নজরুল বলেন, বিচারের শুদ্ধতার জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের অন্তর্বর্তীকালীন আদেশের বিরুদ্ধে আপিলের বিধান রাখা হয়েছে। তবে তা খুব সীমাবদ্ধ ক্ষেত্রে।আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইনে রাজনৈতিক দলের বিচার থেকে সরে আসা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিচারের শুদ্ধতা রক্ষার জন্য রাজনৈতিক দলের ইস্যু আনা উচিত না।এ সময় গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান ও ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটররা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে, বুধবার (২০ নভেম্বর) সচিবালয়ে ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) (সংশোধনী) অধ্যাদেশ, ২০২৪’-এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। বৈঠকে সংগঠন বা রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশের বিধান রাখার প্রস্তাবটি বাদ দেওয়া হয়।এ বিষয়ে ব্রিফিংয়ে বলা হয়, ট্রাইব্যুনাল আইনে রাজনৈতিক দলকে বিচারের আওতায় আনার যে ধারাটি খসড়ায় রাখা হয়েছিল, তা বাদ দেওয়া হয়েছে। উপদেষ্টা পরিষদ মনে করছে, এই বিচারের সঙ্গে অন্য কোনো বিষয়কে জড়ানো ঠিক হবে না। রাজনৈতিক দল বা সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার বিষয় যুক্ত করা হলে এই আইনকে অযথাই প্রশ্নবিদ্ধ করার সুযোগ সৃষ্টি হবে। সরকার সে সুযোগ দিতে চায় না।কোনো রাজনৈতিক সংগঠনকে তাদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য নিষিদ্ধ করার প্রয়োজন হলে বা সমাজে দাবি উঠলে দেশে সন্ত্রাস দমন আইন, নির্বাচনী আইন, ১৯৭৮ পলিটিক্যাল পার্টি অর্ডিন্যান্সে রয়েছে।এইচএ
    সশস্ত্র বাহিনী দিবসে শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা
    সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) ঢাকা সেনানিবাসে সকাল সোয়া ৮টার দিকে শিখা অনির্বাণে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি। এরপর প্রধান উপদেষ্টা সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি সশস্ত্র বাহিনীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন, যারা ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় তাদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ করেছেন। তিনি শিখা অনির্বাণের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধায়।সেনাবাহিনী, নৌ ও বিমানবাহিনীর একটি চৌকস দল সে সময় স্যালুট দেয়। এ সময় বিউগলে একটি করুণ সুর বাজানো হয়। সেখানে রাখা দর্শনার্থী বইতেও স্বাক্ষর করেন রাষ্ট্রপ্রধান।এর আগে, রাষ্ট্রপতি শিখা অনির্বাণে পৌঁছালে সেখানে তিন বাহিনীর প্রধান এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের (এএফডি) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাকে স্বাগত জানান।এরপরে প্রধান উপদেষ্টা শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর তিনি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় সর্বোচ্চ আত্মত্যাগকারী সশস্ত্র বাহিনীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমান বাহিনীর একটি চৌকস দল সে সময় গার্ড অব অনার প্রদান করে। এরপর বিউগলে বাজানো হয় করুন সুর।এর আগে, দিবসটি উপলক্ষে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন। এইচএ
    ইসি গঠনে রাষ্ট্রপতির কাছে গেল ১০ জনের নাম
    নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের জন্য সার্চ কমিটির প্রস্তাব করা ১০ জনের নাম রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। এখান থেকেই পাঁচজনকে নিয়ে গঠিত হবে পরবর্তী নির্বাচন কমিশন।বুধবার (২০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছে নামগুলো জমা দেন সার্চ কমিটির সদস্যরা।এর আগে আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে গঠিত সার্চ কমিটির সদস্যরা সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে বঙ্গভবনে যান। গত ২৯ অক্টোবর অন্তর্বর্তী সরকার ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান, মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মো. নূরুল ইসলাম, সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান (পিএসসি) মোবাশ্বের মোনেম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার এবং বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক জিন্নাতুন নেছা তাহমিদা বেগম।আইন অনুযায়ী, সার্চ কমিটি গঠন করার পর নির্বাচন কমিশনে প্রতি পদের জন্য দুজন প্রার্থীকে মনোনীত করে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে রাষ্ট্রপতির কাছে ১০ জনের নাম প্রস্তাব করতে হবে।এরপর রাষ্ট্রপতি নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং চার নির্বাচন কমিশনারকে নির্বাচন করেন।৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের এক মাস পর ৫ সেপ্টেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল ও চার নির্বাচন কমিশনার পদত্যাগ করলে নির্বাচন কমিশনারদের পদ শূন্য হয়।এমআর
    আলেমরাই একদিন এ দেশের নেতৃত্ব দেবে: ধর্ম উপদেষ্টা
    অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, মাদরাসা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে আলেমরাই একদিন এদেশে নেতৃত্ব দেবে।ছারছিনা দরবার শরীফের মরহুম পীর আলহাজ্ব হযরত মাওলানা শাহ্ মোহাম্মদ মোহেবুল্লাহ রহ. এর ইসালে সাওয়াব ও দারুননাজাত নেছারিয়া হিফজখানার হাফেজ ছাত্রদের পাগড়ী প্রদান উপলক্ষে ওয়াজ ও দু’আর মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। এ সময় দারুননাজাত মাদরাসার বিগত দিনের সফলতার প্রশংসাও করেন ধর্ম উপদেষ্টা।ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশে আর কোনদিন নাস্তিত্ববাদীরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারবেনা। তাদের আর ঠাঁই হবেনা এদেশে। পাশাপাশি এদেশে আর কোন ঘুষ খোর মানুষ থাকবেনা। ইসলাম ও কোরআনের আলোকে জীবনযাপন শুরু করলে মানুষের মধ্যে ঈমানি শক্তি বৃদ্ধি পাবে। আর অল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মদ (সা:) জীবনকে অনুসরন করে চললে বাংলাদেশে কোন রাষ্ট্রীয় দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গরা অন্যায় পথে চলবেনা। এতে করে রাষ্ট্রে ও সমাজে শুশৃঙ্খলতা ফিরে এসে মহান আল্লাহর প্রদর্শিত পথে চলবে সবাই। ফলে দেশে সকল প্রকার দূর্নীতি ও অনিয়ম বন্ধ হয়ে শান্তিপূর্ন উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মানে এগিয়ে আসবে রাষ্ট্রীয় দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গরা সহ সংশ্লিষ্ট সকলেই। আর মাদরাসা থেকে শিক্ষা গ্রহন করে আলেমরাই একদিন এদেশে নেতৃত্ব দেবে। বর্তমানে মাদরাসার ছাত্ররাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের নামজাদা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হচ্ছে।তিনি আরও বলেন, অচিরেই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা করবো আমরা। বিশেষ করে অবাধ ও সুষ্ঠ একটি নির্বাচন উপহার দিতে আমরা বদ্ধ পরিকর। মূলত আমরা ক্ষমতা উপভোগ করতে আসিনি। যারা আগামিতে ক্ষমতায় আসবেন তাদের পথকে সুগম করতেই আমরা রাষ্ট্রের দায়িত্ব সাময়িকভাবে পালন করছি। বাংলাদেশে আর স্বৈরাচারের স্থান হবেনা। আগামিতে হক্বের পথে রাষ্ট্র পরিচালিত হবে ইনশাল্লাহ। মহান আল্লাহর পথই হবে সকলের একমাত্র পথ যেখানে শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে সহজে।ছারছিনা দরবার শরীফের পীর আমীরে হিযবুল্লাহ, আলহাজ্ব হযরত মাওলানা মুফতী শাহ আবু নছর নেছারুদ্দীন আহমাদ হোসাইন (মা.জি.আ) এর সভাপতিত্বে ও দারুননাজাত সিদ্দীকিয়া কামিল মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রিন্সিপাল আ খ ম আবুবক্কর সিদ্দীকের সার্বিক তত্বাবধানে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছারছিনা কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল আলহাজ্ব হযরত মাওলানা রুহুল আমীন আফসারি ও ডিএসসিসির ৬৭ নং ওয়ার্ড এর সদ্য সাবেক কাউন্সিলর হাজী মো. ইবরাহীম ও ধর্ম উপদেষ্টার একান্ত সহকারী সচিব শরিফুল ইসলাম।এমআর
    সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ
    যথাযথ মর্যাদা ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদ্‌যাপিত হবে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পৃথক বাণী দিসশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ যথাযথ মর্যাদা ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদ্‌যাপিত হবে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পৃথক বাণী দিয়েছেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, দেশের সব সেনানিবাস, নৌ ঘাঁটি এবং বিমানবাহিনী ঘাঁটির মসজিদে দেশের কল্যাণ ও সমৃদ্ধি, সশস্ত্র বাহিনীর উত্তরোত্তর উন্নতি ও অগ্রগতি এবং স্বাধীনতা যুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনায় ফজরের নামাজ শেষে বিশেষ মোনাজাতের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হবে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান ও বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান নিজ নিজ বাহিনীর পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। প্রধান উপদেষ্টা ঢাকা সেনানিবাসে অবস্থিত সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে তার জন্য নির্ধারিত নিজস্ব কার্যালয়ে তিন বাহিনী প্রধানগণের সঙ্গে কুশল বিনিময় ও সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। পরে বাহিনী প্রধানেরা বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। ‘সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০২৪’ উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা ঢাকা সেনানিবাসের আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে নির্বাচিত খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা দেবেন। এ সময় খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে শুভেচ্ছা স্মারক বিতরণ ও শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন তিনি। দিবসটি উদ্‌যাপন উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার বিকেল ৪ টায় ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। এ ছাড়া, ঢাকার বাইরে দেশের অন্যান্য সেনা গ্যারিসন, নৌ ও বিমানবাহিনী ঘাঁটিতেও বিভিন্ন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকা, খুলনা, চাঁদপুর, বরিশাল ও চট্টগ্রামে বিশেষভাবে সজ্জিত নৌবাহিনীর জাহাজসমূহ বেলা দুইটা থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সর্বসাধারণের দেখার জন্য নিকটস্থ ঘাটসমূহে অবস্থান/নোঙরকৃত অবস্থায় রাখা হবে। এমআরয়েছেন।আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, দেশের সব সেনানিবাস, নৌ ঘাঁটি এবং বিমানবাহিনী ঘাঁটির মসজিদে দেশের কল্যাণ ও সমৃদ্ধি, সশস্ত্র বাহিনীর উত্তরোত্তর উন্নতি ও অগ্রগতি এবং স্বাধীনতা যুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনায় ফজরের নামাজ শেষে বিশেষ মোনাজাতের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হবে।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান ও বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান নিজ নিজ বাহিনীর পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।প্রধান উপদেষ্টা ঢাকা সেনানিবাসে অবস্থিত সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে তার জন্য নির্ধারিত নিজস্ব কার্যালয়ে তিন বাহিনী প্রধানগণের সঙ্গে কুশল বিনিময় ও সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। পরে বাহিনী প্রধানেরা বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।‘সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০২৪’ উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা ঢাকা সেনানিবাসের আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে নির্বাচিত খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা দেবেন। এ সময় খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে শুভেচ্ছা স্মারক বিতরণ ও শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন তিনি।দিবসটি উদ্‌যাপন উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার বিকেল ৪ টায় ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। এ ছাড়া, ঢাকার বাইরে দেশের অন্যান্য সেনা গ্যারিসন, নৌ ও বিমানবাহিনী ঘাঁটিতেও বিভিন্ন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকা, খুলনা, চাঁদপুর, বরিশাল ও চট্টগ্রামে বিশেষভাবে সজ্জিত নৌবাহিনীর জাহাজসমূহ বেলা দুইটা থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সর্বসাধারণের দেখার জন্য নিকটস্থ ঘাটসমূহে অবস্থান/নোঙরকৃত অবস্থায় রাখা হবে।এমআর
    ট্রাম্পের দলের নেতাদের বাংলাদেশ সফরের আহ্বান ড. ইউনূসের
    প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বুধবার রিপাবলিকান পার্টির শীর্ষ নেতাদের দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রচেষ্টা প্রত্যক্ষ করতে বাংলাদেশ সফরের আহ্বান জানিয়েছেন।ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ আহ্বান জানান।আইআরআই, রিপাবলিকান পার্টির সাথে আবদ্ধ থিঙ্কট্যাঙ্ক, বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্রের প্রচার করে। ইনস্টিটিউটের আঞ্চলিক প্রধান স্টিভ চিমার নেতৃত্বে, আইআরআই কর্মকর্তারা তাদের চলমান সফরে রাজনীতিবিদ, ছাত্রগোষ্ঠী এবং সুশীল সমাজের কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেন।চিমা বলেন, আইআরআই-এর অগ্রাধিকার হলো অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার উদ্যোগকে সমর্থন করা, বিশেষ করে এখন যখন দেশের মূল প্রতিষ্ঠানগুলিকে ঠিক করার জন্য ব্যাপকভাবে আহ্বান জানানো হয়েছে।চিমা আরো বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের অধীনে, আসল উদ্বেগ ছিল দেশের সত্যিকারের গতিপথ নিয়ে। এখানে সংস্কার সফল হতে দেখা মার্কিন স্বার্থে।’অধ্যাপক ইউনূস বলেন, তার সরকার গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার করে নির্বাচন করবে। তিনি বলেন, নির্বাচনের জন্য ট্রেন ইতোমধ্যেই প্রথম স্টেশন ছেড়েছে এবং একটি নতুন নির্বাচন কমিশন সাধারণ নির্বাচনের জন্য মাঠ প্রস্তুত করবে।তিনি আরো বলেন, নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে বাংলাদেশ ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে চায়।ছাত্র-নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানের ফলে যে অভূতপূর্ব পরিবর্তনের সূচনা হয়েছে তা প্রত্যক্ষ করতে তিনি শীর্ষ রিপাবলিকান সিনেটর এবং কংগ্রেস সদস্যদের বাংলাদেশ সফরে আমন্ত্রণ জানাবেন।বৈঠকে আইআরআই কর্মকর্তা জিওফ্রে ম্যাকডোনাল্ড, আইআরআই কান্ট্রি চিফ জোশুয়া রোসেম্বলাম এবং বাংলাদেশ সরকারের সিনিয়র সচিব লামিয়া মোর্শেদ উপস্থিত ছিলেন।এসএফ 
    ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা নিয়ে যা জানালেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
    ডিসেম্বরের মাঝামাঝিতে ঢাকা সফর করবে ভারতের একটি প্রতিনিধি দল। বাংলাদেশ-ভারত ফরেন অফিস কনসালটেশনের (এফওসি) পরবর্তী রাউন্ডে যোগ দিতে তাদের এই সফর।এই সফরকে দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রচেষ্টা হিসেবে দেখছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘এটি প্রতিবেশী দেশ দুটির মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রচেষ্টারই ইঙ্গিত।’বুধবার (২০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক ব্রিফিংয়ে উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, আমরা (ঢাকা-দিল্লি) স্বাভাবিক (দ্বিপক্ষীয়) সম্পর্কের দিকে অগ্রসর হচ্ছি এবং এফওসি হবে সেদিকে এগোনোর প্রথম পদক্ষেপ।’এই সফরে ভারতীয় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে থাকবেন দেশটির পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি।বাংলাদেশ ও ভারত–দুই দেশের জন্য দ্বিপক্ষীয় সুসম্পর্ক প্রয়োজনীয় উল্লেখ করে তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ‘আমরা ভারতের সঙ্গে সম্পর্ককে আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মনে করি। আমি বিশ্বাস করি যে, বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা ভারতের জন্যও সমান গুরুত্বপূর্ণ।’বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির চ্যালেঞ্জগুলো স্বীকার করে তৌহিদ বলেন, ‘কিছু সমস্যা থাকতে পারে, এটা স্বাভাবিক। যখন উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়, তখন কিছু সমস্যা দেখা দেয়। উভয়পক্ষের সুবিধার জন্য এই সমস্যাগুলো অতিক্রম করে একটি ভালো কর্ম সম্পর্ক তৈরি করা আমাদের লক্ষ্য।’ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থানের কারণে দুদেশের মধ্যে ‘সম্পর্কের উন্নতির জটিলতা’ সম্পর্কে জানতে চাইলে তৌহিদ বলেন, তিনি প্রতিবেশী দেশে না থাকলে, বাংলাদেশ ও ভারত উভয়ের জন্য প্রক্রিয়াটি সহজ হতো।বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মো. জসিম উদ্দিন এফওসিতে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন। দলটিতে ঐতিহ্যগতভাবে স্বরাষ্ট্র, বাণিজ্য, পানি সম্পদ ও খাদ্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।সফরকালে বিক্রম বাংলাদেশের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।সর্বশেষ ২০২৩ সালের ২৪ নভেম্বর নয়াদিল্লিতে বার্ষিক এফওসি অনুষ্ঠিত হয়েছিল।এসএফ 
    সংবিধান সংশোধনের অধিকার নেই কোনো সরকারের: হাসান আরিফ
    একমাত্র পার্লামেন্ট ব্যতীত কোনো সরকারেরই সংবিধান সংশোধনের অধিকার নেই বলে মন্তব্য করেছেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ।বুধবার (২০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর সি মজুমদার আর্টস অডিটোরিয়ামে ‘সংবিধান প্রণয়নে জন অংশগ্রহণ: অন্তর্ভুক্তিমূলক-গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণের সংগ্রাম’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এমন মন্তব্য করেন তিনি।হাসান আরিফ বলেন, একটা ধারণা থেকে প্রচার করা হচ্ছে যে অন্তর্বর্তী সরকার বোধহয় সংবিধান সংশোধন করবে। আসলে কোনো সরকারের সাংবিধানিক অধিকার নেই সংবিধান সংশোধন করার। এটা একমাত্র পারে পার্লামেন্ট। আগামীতে যে পার্লামেন্ট গঠিত হবে, সেই পার্লামেন্ট সংশোধন করবে। প্রশ্ন হলো তারা কি সংশোধন করবে?তিনি বলেন, তাদের সামনে জনগণের যে প্রত্যাশা, যে দাবি, যে আকাঙ্ক্ষা সেটাই এখন বিভিন্নভাবে কমিশনের মাধ্যমে তুলে ধরা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, তারা একটি খসড়া দেবেন, রিকমেন্ডেশন দেবেন, সাজেশন দেবেন। আগামীতে যারা পার্লামেন্ট গঠন করবেন, তাদের সামনে একটি নাগরিক চার্টার হিসেবে থাকবে সংবিধানের খসড়াটি। তারা সেগুলোকে বাস্তবায়ন করবেন।অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে ছিলেন আইনের ইতিহাস গবেষক রাশেদ রাহম ও জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য মো. মিরাজ মিয়া। এ ছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাবির কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ছিদ্দিকুর রহমান খান, আন্তঃধর্মীয় ও আন্তঃসাংস্কৃতিক সংলাপ কেন্দ্রের পরিচালক ও বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ইলিয়াছ, বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আবু সায়েম, ওয়ার্ল্ড রিলিজিয়নস ডিবেটিং ক্লাবের মডারেটর ড. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, ঢাকা ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি অর্পিতা গোলদার ও সাধারণ সম্পাদক আদনান মুস্তারি ও ওয়ার্ল্ড রিলিজিয়নস ডিবেটিং ক্লাবের সভাপতি রাগীব আনজুম প্রমুখ।এসএফ 
    জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল পুনর্গঠন
    মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজমকে চেয়ারম্যান করে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল পুনর্গঠন করেছে সরকার।বুধবার (২০ নভেম্বর) মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।এতে বলা হয়, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন, ২০২২ অনুসারে সরকার আগামী তিন বছরের জন্য ১১ সদস্য বিশিষ্ট জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল পুনর্গঠন করেছে।এতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন- মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, মেজর জেনারেল (অব.) আজিজুর রহমান বীর উত্তম, ক্যাপ্টেন (অব.) নুরুল হুদা, মেজর (অব.) সৈয়দ মুনিবুর রহমান, মেজর (অব.) কাইয়ুম খান, ইসতিয়াক আজিজ উলফাত, সাদেক আহমেদ খান, হাবিবুল আলম বীর প্রতীক এবং খ ম আমীর আলী। সদস্য সচিব হিসেবে থাকবেন জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের মহাপরিচালক।এসএফ 
    সংসদ ও স্থানীয় নির্বাচনে ‘একবারে’ ভোটগ্রহণের প্রস্তাব
    ইউনিয়ন পরিষদ থেকে শুরু করে জাতীয় সংসদের প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য ‘একবারে’ ভোটগ্রহণের প্রস্তাব দিয়েছেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুর রউফ। তিনি বলেন, বারবার ভোটগ্রহণ করে এতো কাগজ নষ্ট, এতো অর্থ ব্যয়ের দরকার নেই। এক নির্বাচনেই সব শেষ করা যায়। বুধবার রাজধানীর নির্বাচন ভবনে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এসব প্রস্তাব দেন। বৈঠকের পর তা সাংবাদিকদের অবহিত করেন তিনি। বিচারপতি রউফ বলেন, আমি ছয়টা (সংসদ ও স্থানীয় সরকার) নির্বাচন করেছি। সংসদে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব চালুর প্রস্তাব দেন তিনি। তিনি বলেন, সংসদীয় পদ্ধতি থাকবে। আমেরিকার মত ওই দ্বিক্ষক বিশিষ্ট সংসদ আনার দরকার নাই। নির্বাচনকে সরলীকরণ করতে হবে। মনোনয়ন বাণিজ্য বন্ধ করা না গেলে সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব হবে না। কেননা মনোনয়নপত্র বাণিজ্যই নির্বাচনী বাণিজ্য এনেছে। ২০ কোটি টাকা দিয়ে মনোনয়ন কিনবো, ১০ কোটি টাকা ছড়াবো। পাঁচ বছর থাকলে দুইশ, আড়াইশ কোটি টাকা লাভ করবো, সোজা হিসাব। এমপিদের চরিত্র নষ্ট হচ্ছে এজন্য। কাজেই আনুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন করতে হবে। প্রার্থী বাছাই পদ্ধতি সম্পর্কে তিনি বলেন, ভোটের আগে তৃণমূলে নির্বাচনের মাধ্যমে প্রার্থী নির্বাচন করে দলগুলো ইসিকে তালিকা দেবে। ইসি তার সম্পর্কে জনগণের মতামত নেবে। অবজেকশন আসলে তাকে বাদ দেওয়া হবে। ফুটবলের প্লেয়ার বদলের যেমন সুযোগ থাকে, তেমন করে বছরে পাঁচ জন বদলের সুযোগ থাকবে। পরে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, অনেক রকম গুরুত্বপূর্ণ, অভিনব, সৃজনশীল প্রস্তাব রয়েছে। সব পর্যালোচনা করে আমরা সুপারিশ করবো। এফএস
    আরো ১০ হজ এজেন্সির তালিকা প্রকাশ করলো ধর্ম মন্ত্রণালয়
    শর্তসাপেক্ষে ২০২৫ সালের হজ কার্যক্রমে অংশ নেয়ার জন্য প্রাথমিকভাবে যোগ্য আরও ১০ হজ এজেন্সির তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। বুধবার (২০ নভেম্বর) ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হজ-২ শাখা থেকে এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।এ নিয়ে ২০২৫ সালের হজ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পাঁচটি ধাপে মোট ৯৩৭টি হজ এজেন্সি অনুমতি পেলো। যারমধ্যে প্রথম ধাপে গত ২৯ আগস্ট ১৩৬টি, দ্বিতীয় ধাপে গত ১৯ সেপ্টেম্বর ৬২৯টি, তৃতীয় ধাপে গত ২৫ সেপ্টেম্বর ১২৬টি এবং চতুর্থ ধাপে গত ৫ নভেম্বর ৩৬টি হজ এজেন্সির অনুমোদন দেয় ধর্ম মন্ত্রণালয়।উপসচিব মো. রফিকুল ইসলামের সই করা ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, হিজরি ১৪৪৬ (২০২৫) সালের হজ কার্যক্রমে অংশগ্রহণের জন্য শর্তসাপেক্ষে প্রাথমিকভাবে যোগ্য ১০ হজ এজেন্সির তালিকা (৫ম পর্যায়) নির্দেশক্রমে প্রকাশ করা হলো। এ ক্ষেত্রে হজ এজেন্সিগুলোর জন্য বেশ কয়েকটি শর্তও দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এসব শর্ত অমান্য করলে এজেন্সির নাম তালিকা থেকে বাদ দেয়া হবে বলেও সতর্ক করা হয়েছে।শর্তগুলো হলো-(ক) হজে প্রেরণের জন্য প্রত্যেক হজযাত্রীর সঙ্গে হজ এজেন্সির লিখিত চুক্তি সম্পাদন নিশ্চিত করতে হবে।(খ) প্রত্যেক এজেন্সি ১৪৪৬ হিজরি/২০২৫ সনে সৌদি সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সংখ্যক হজযাত্রী প্রেরণ করতে পারবে।(গ) প্রত্যেক হজ এজেন্সিকে নির্ধারিত সংখ্যক হজ গাইড নিয়োগ করে হজ সিস্টেমে আপলোড করতে হবে।(ঘ) অনিবন্ধিত কোনো ব্যক্তিকে হজযাত্রী হিসেবে হজে নেয়া যাবে না। যদি কোনো এজেন্সি এ ধরনের কোনো উদ্যোগ নেয় তাহলে কোনো কারণ দর্শানো ছাড়াই ওই এজেন্সির লাইসেন্স বাতিলসহ অন্যান্য আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।(ঙ) পরবর্তীতে কোনো এজেন্সির হালনাগাদ তথ্য পাওয়া গেলে সেসব এজেন্সির নাম পরবর্তী তালিকায় প্রকাশ করা হবে।(চ) তালিকা প্রকাশের পর কোনো হজ এজেন্সির বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগের কারণে দণ্ডিত হলে কারণ দর্শানো ছাড়াই সংশ্লিষ্ট এজেন্সির নাম তালিকা থেকে বাতিল করা হবে।(ছ) প্রত্যেক এজেন্সিকে হালনাগাদ হজ লাইসেন্স, ট্রাভেল লাইসেন্স ও ট্রেড লাইসেন্স এবং হালনাগাদ আয়কর সনদ জমা দেয়ার পাশাপাশি ঢাকার হজ অফিস পরিচালকের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করতে হবে।আরও পড়ুন: ৬শ’ বছরের অটোমান সাম্রাজ্যের পতনের নেপথ্যে যে কারণ(জ) স্বত্বাধিকারী/অংশীদার/পরিচালকদের মধ্য থেকে হজ এজেন্সির মোনাজ্জেম নির্ধারণ করতে হবে।(ঝ) প্রকাশিত তালিকার কোনো এজেন্সি হজ ২০২৫ মৌসুমে যৌক্তিক কারণ ছাড়া হজযাত্রীর নিবন্ধন না করলে সেই এজেন্সির বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।উল্লেখ্য, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছরের ১ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এ উপলক্ষে বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনকে হজের অনুমতি দিয়েছে সৌদি সরকার। আগামী ১৩ জানুয়ারি মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির সঙ্গে হজ চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে।এসএফ 

    Loading…