এইমাত্র
  • সমন্বয়ক রাফিকে শেষ করে দেওয়ার হুমকি ছাত্রলীগের সাবেক নেতা রব্বানীর
  • ছাদ ভেঙ্গে আহত বলিউড তারকা অর্জুন কাপুর
  • ‘টেসলা’র ধাক্কায় গুরুতর জখম অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন
  • 'পিনিক'র পোস্টারে খাঁচায় বন্দি চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী
  • সারা রাত শুটিং করতেও কষ্ট লাগে না: জান্নাতুল সুমাইয়া হিমি
  • নিখোঁজের সাতদিন পর সেপটিক ট্যাংকে মিলল যুবকের মরদেহ
  • ‘সংস্কারের নামে বিরাজনীতিকরণের দুরভিসন্ধি দেখতে চাই না’
  • কুষ্টিয়ায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক ৫
  • রাজনীতিতে একটি গুণগত পরিবর্তন আনতে হবে: আমির খসরু
  • রোহিত শর্মাকে অধিনায়ক করে ভারতের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দল ঘোষণা
  • আজ রবিবার, ৫ মাঘ, ১৪৩১ | ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫

    আইন-আদালত

    তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে রিভিউ শুনানি রবিবার
    তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করে আনা সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে করা আবেদন রবিবার (১৯ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের শুনানির কার্যতালিকায় রয়েছে। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে দেখা যায়, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রবিবারের শুনানির কার্যতালিকার ১৩ নম্বর ক্রমিকে রয়েছে। গত ১ ডিসেম্বর প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই রিভিউটি ১৯ জানুয়ারি শুনানির জন্য ধার্য করেন। আদালতে সেদিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, শরীফ ভূঁইয়া ও আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে ১৬ অক্টোবর রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার আগে এ বিষয়ে রিভিউ করেন সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার। এছাড়া বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে দলটির সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার রিভিউ আবেদন করেন। এসব রিভিউ আবেদনের একসঙ্গে শুনানির জন্য নির্ধারণ করা হয়।তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী জাতীয় সংসদে গৃহীত হয় ১৯৯৬ সালে। এ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে অ্যাডভোকেট এম সলিম উল্লাহসহ তিনজন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করেন। ২০১১ সালের ১০ মে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনে করা সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে তা বাতিল করে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ঘোষিত রায়ের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বিলোপসহ বেশ কিছু বিষয়ে আনা পঞ্চদশ সংশোধনী আইন ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পাস হয়। ২০১১ সালের ৩ জুলাই এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়।এছাড়াও গত ১৭ ডিসেম্বর বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্তি-সংক্রান্ত পঞ্চদশ সংশোধনী আইনের ২০ ও ২১ ধারা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন।এবি 
    বিএফআইইউর সাবেক প্রধান মাসুদ বিশ্বাস গ্রেপ্তার
    বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) সাবেক প্রধান মাসুদ বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করেছে দুদক। আজ শনিবার পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) সহায়তায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর আগে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত ২ জানুয়ারি মাসুদ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক। ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে সংস্থাটির উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধানের নেতৃত্বে একটি টিম তাকে আদালতে হাজির করবে বলে জানা গেছে।মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মাসুদ বিশ্বাস তার নিজ নামে ১ কোটি ৮৭ লাখ ৭২ হাজার ৬২২ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জন করে তা নিজে ভোগ দখলে রেখে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। এজন্য তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় মামলা রুজু করা হয়।এছাড়া মাসুদ বিশ্বাসের স্ত্রী কামরুন নাহারের নিজ নামে ৭২ লাখ ৫৬ হাজার ৯৯৯ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত অবৈধ সম্পদের তথ্য পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৬(১) ধারায় পৃথক সম্পদ বিবরণী নোটিশ জারির অনুমোদন দেওয়া হয়।এবি 
    তোফাজ্জলকে পিটিয়ে হত্যা: ২১ ঢাবি শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে চার্জশিট
    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলে তোফাজ্জল হোসেন নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ শিক্ষার্থীকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে পুলিশ।বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) শাহবাগ থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার উপপরিদর্শক মো. জিন্নাহ বলেন, গত ১ জানুয়ারি এই প্রতিবেদন জমা পড়ে। প্রতিবেদন জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও শাহবাগ থানার পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান।জানা গেছে, অভিযুক্ত ২১ শিক্ষার্থীর মধ্যে ৬ জন কারাগারে এবং ১৫ জন বর্তমানে পলাতক রয়েছেন। তবে চার্জশিটে কোনো অভিযুক্তের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার কথা উল্লেখ করা হয়নি।কারাগারে থাকা ৬ জন হলেন জালাল মিয়া, আহসান উল্লাহ ওরফে বিপুল শেখ, আল হোসেন সাজ্জাদ, মোত্তাকিন সাকিন সাহ, মো. সুমন মিয়া ও ওয়াজিবুল আলম। তারা ইতোমধ্যে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন।পলাতক ১৫ জন হলেন ফিরোজ কবির, আবদুস সামাদ, সাকিব রায়হান, ইয়াসিন আলী গাইন, ইয়ামুজ্জামান ইয়াম, ফজলে রাব্বি, শাহরিয়ার কবির শোভন, মেহেদী হাসান ইমরান, রাতুল হাসান, সুলতান মিয়া, নাসির উদ্দিন, মোবাশ্বের বিল্লাহ, শিশির আহমেদ, মহসিন উদ্দিন ও আব্দুল্লাহিল কাফি।জানা গেছে, তোফাজ্জল নামের ওই যুবক গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর রাত ৮টার দিকে বঙ্গবাজার এলাকার পার্শ্ববর্তী এফএইচ হলের ফটক দিয়ে মাঠের ভেতরে যান। তখন কয়েকজন শিক্ষার্থী চোর সন্দেহে তাকে আটক করে হলের অতিথি কক্ষে নিয়ে যান। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তাকে মারধর করা হয়।পরে তাকে হলের ক্যান্টিনে নিয়ে রাতের খাবার খাওয়ানো হয়। এরপর আবার তাকে হলের অতিথি কক্ষে এনে ব্যাপকভাবে মারধর করেন কয়েকজন শিক্ষার্থী। পরে রাত ১২টার দিকে হলের কয়েকজন আবাসিক শিক্ষক তোফাজ্জলকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।এ ঘটনায় ১৯ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসের সুপারভাইজার মোহাম্মদ আমানুল্লাহ বাদী হয়ে মামলা করেন।
    ওবায়দুল কাদেরের কথিত পালিত পুত্র হিরু কারাগারে
    ওবায়দুল কাদেরের কথিত পালিত পুত্র হিরু কারাগারেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে পথচারী তৌফিকুল ইসলামের মৃত্যুর ঘটনায় রাজধানীর বাড্ডা থানায় দায়ের করা হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের কথিত পালিত পুত্র আসাদুজ্জামান হিরুকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহ তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।আজ বিকেলে আসামিকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাড্ডা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. হানিফ তাকে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করেন। এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিলসহ জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। রিমান্ড শুনানির জন্য পরবর্তীতে দিন ধার্য করা হবে বলে আদালত জানান।এর আগে, গত বুধবার দিবাগত রাতে গুলশান এলাকা থেকে হিরুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৯ জুলাই রাজধানীর বাড্ডা থানাধীন বৌদ্ধ মন্দিরের সামনে আত্মীয়ের বাসা থেকে নিজ বাসায় ফিরছিলেন পথচারী তৌফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া (৪৩)। সকাল ১১টার দিকে আসামিদের গুলিতে ভুক্তভোগীর মূত্রথলি ও শরীরের বিভিন্ন অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান।এ ঘটনায় গত ২১ আগস্ট নিহতের স্ত্রী ইসমেত জাহান ইলোরা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১১২ জনের নামে বাড্ডা থানায় মামলা করেন। পুলিশ প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন আসাদুজ্জামান হিরু নিজেকে ওবায়দুল কাদেরের ‘পালিত পুত্র’ হিসেবে পরিচয় দিতেন।এফএস
    শিশুর ভুল চোখে চিকিৎসা: অভিযুক্ত চিকিৎসকের জামিন
    শিশুর ভুল চোখে চিকিৎসার অভিযোগে করা মামলায় বাংলাদেশ আই হসপিটালের শিশু চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. শাহেদারা বেগমের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।আজ বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুমা রহমানের আদালত তার জামিন আদেশ দেন।  এর আগে আসামি ড. শাহেদারা বেগমকে আদালতে হাজির করে হাজতখানায় রাখা হয়। পরে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে ধানমন্ডি থানা পুলিশ। এ সময় আসামিপক্ষ জামিন চেয়ে আবেদন করেন। এ সময় বাদীপক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। শুনানি শেষে আদালত আসামিকে ৫ হাজার টাকা বন্ডে জামিন মঞ্জুর করেন। গত বুধবার (১৫ জানুয়ারি) শিশুর ভুল চোখে চিকিৎসার অভিযোগে করা মামলায় বাংলাদেশ আই হসপিটালের শিশু চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. শাহেদারা বেগমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধানমন্ডি থানায় ভুক্তভোগী শিশু ইরতিজা আরিজ হাসানের বাবা মাহমুদ হাসান মামলাটি করেন।এজাহার সূত্রে জানা যায়, চোখে ময়লা জাতীয় কোনো বস্তুর অস্তিত্ব টের পেয়ে মঙ্গলবার হাসপাতালে দেড় বছর বয়সী ইরতিজার চিকিৎসা করাতে এসেছিলেন বাবা-মা। তবে বাম চোখের বদলে ডান চোখে চিকিৎসা করা হয়। পরে দুঃখ প্রকাশ করে আবারও বাম চোখে চিকিৎসা করেন চক্ষু বিশেষজ্ঞ এবং স্ট্র্যাবিসমাস সার্জন ডা. শাহেদারা বেগম।এবি 
    চূড়ান্ত রায় পর্যন্ত ‘নগদ’ প্রশাসকের কার্যক্রম স্থগিত: হাইকোর্ট
    মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ‘নগদ’-এ বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়োগকৃত প্রশাসকের সব ধরনের কার্যক্রমের ওপর আবারো স্থিতাবস্থার আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।ওই দিন শুনানির পর আদালত বলেছেন, ৩০ জানুয়ারির মধ্যে তারা এ বিষয়ে চূড়ান্ত রায় দেবেন। তবে তার আগ পর্যন্ত মোবাইল আর্থিক সেবা নগদে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়োগ করা প্রশাসকের সব ধরনের কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাবস্থা বলবৎ থাকবে।এর আগে ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে হাইকোর্টের এক আদেশে ২ জানুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত নগদে প্রশাসকের সব কার্যক্রমের ওপর স্থিতাবস্থার আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে প্রশাসক এবং তার সহকারীরা নগদে নানান রকম কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন যা কোর্টের নির্দেশনার পরিষ্কার বরখেলাপ।বুধবার হাইকোর্টের এই আদেশের পর ‘নগদ লিমিটেডের’ শেয়ার হোল্ডারদের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার মুহাম্মদ নওশাদ জমির বলেন, আদালত ‘নগদ’ এর প্রশাসকের স্থগিতাবস্থা বলবৎ রেখেছেন। এর ফলে চূড়ান্ত রায় না আসা পর্যন্ত প্রশাসক ও তার দল নগদ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কোনো রকম কোনো কার্যক্রম করতে পারবেন না।তিনি আরও বলেন, ‘মহামান্য হাইকোর্ট একই সঙ্গে এটিও প্রত্যক্ষ করেছেন যে বাংলাদেশ ব্যাংক অনেকগুলো অবৈধ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। যখন চূড়ান্ত রায় আসবে, তখন এগুলো বাতিল হয়ে যাবে এবং এ বিষয়ে যথাপোযোক্ত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’এদিকে অবৈধ ঘোষিত এই প্রশাসকরা যাতে আদালতের রায় মেনে চলে সেদিকে খেয়াল রাখতে প্রতিষ্ঠানটির কর্মীদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন নগদ লিমিটেডের শেয়ার হোল্ডাররা। এদিন রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন সিনিয়র আইনজীবী ব্যরিস্টার জমির উদ্দিন সরকারের নেতৃত্বে সিনিয়র আইনজীবীরা আবুল কালাম খান দাউদ, জিয়াউর রহমান এবং জামিলুর রহমান প্রমুখ।অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা বদলে দেয়ার ধারাবাহিকতায় গত ২১ আগস্ট আগামী এক বছরের জন্য ডিজিটাল লেনদেন সেবা ‘নগদে’ প্রশাসক নিয়োগ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। যে আইনের ক্ষমতাবলে প্রশাসক নিয়োগ করা হয়েছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তখনো পর্যন্ত সে আইনের গেজেট প্রকাশিত হয়নি। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদারকে প্রশাসক করার পাশাপাশি বিভিন্ন পদ মর্যাদার আরো কয়েক জনকে সহকারী প্রশাসক করে ‘নগদ’ এ পাঠায় তারা। একই সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংক ‘নগদ’ এর পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানির সহযোগিতাদের সমন্বয়ে নতুন করে পরিচালনা পর্ষদ গঠন করে।এসব প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ করে ‘নগদ’ এর নির্বাহী পরিচালক সাফায়েত আলম হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। গত ১৭ সেপ্টেম্বর রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। রুলে ‘নগদ’-এ বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রশাসক নিয়োগ কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবারের (১৫ জানুয়ারি) শুনানির পর দ্বিতীয় দফা প্রশাসকের কার্যক্রমের ওপর স্থিতাবস্থার আদেশ দেন হাইকোর্ট।প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা কোম্পানি হিসেবে যাত্রা শুরু করে নগদ। গত বছর নগদ ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্সও পায় প্রতিষ্ঠানটি। সে অনুসারে সেবা চালুর দ্বারপ্রান্তে ছিল ‘নগদ’ লিমিটেড। কিন্তু কোনো রকম কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে শেষ মুহূর্তে বাংলাদেশ ব্যাংক ‘নগদ’ এর ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্স স্থগিত করে। একই সঙ্গে মোবাইল আর্থিক সেবা হিসেবে নগদের অভ্যন্তরে প্রশাসক ও তার সহযোগিরা অনুসন্ধানের নামে নানান রকম কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।এবি 
    কাল মুক্ত হচ্ছেন লুৎফুজ্জামান বাবর
    দীর্ঘ সাড়ে ১৭ বছরের বেশি সময় কারাভোগের পর বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) মুক্তি পাচ্ছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা লুৎফুজ্জামান বাবর। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লুৎফুজ্জামান বাবরের ব্যক্তিগত সহকারী মির্জা হায়দার আলী।বুধবার (১৫ জানুয়ারি) রাতে গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় লুৎফুজ্জামান বাবর কেরানীগঞ্জের কারাগার থেকে মুক্তি পাবেন। এরপর তিনি নেতাকর্মীদের নিয়ে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের জিয়া উদ্যানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করবেন। এরপর গুলশানের বাসায় যাবেন।মির্জা হায়দার আলী আরো জানান, জিয়া উদ্যানে কবর জিয়ারতের সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানসহ দলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।এফএস
    শামীম ওসমান ও নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুদকের দুর্নীতির মামলা
    সাড়ে ৪০০ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের আলোচিত সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান ও তার স্ত্রী-ছেলে এবং আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানকসহ স্ত্রী-কন্যার বিরুদ্ধে পৃথক মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।আজ বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাগুলো দায়ের করা হয়।দুদক মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।বিস্তারিত আসছে...
    ডেসটিনির এমডিসহ ১৯ জনকে ১২ বছর করে কারাদণ্ড
    ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের গাছ বিক্রির টাকা আত্মসাতের মামলায় ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীনসহ ১৯ জনকে ১২ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।বুধবার (১৫ জানুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক মো. রবিউল আলমের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- পরিচালক অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল হারুনুর রশিদ, প্রধান কার্যালয়ের চেয়ারম্যান মো. হোসেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ গোফরানুল হক, মো. সাইদ-উর রহমান, মেজবাহ উদ্দিন স্বপন, ইঞ্জিনিয়ার শেখ তৈয়েবুর রহমান ও গোপাল চন্দ্র বিশ্বাস, পরিচালক সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন, ইরফান আহমেদ সানী, মিসেস ফারহা দিবা ও জামসেদ আরা চৌধুরী, প্রফিট শেয়ারিং ডিস্ট্রিবিউটর মো. জসিম উদ্দীন ভূঁইয়া, ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন ও সদস্য মো. আবুল কালাম আজাদ, ডায়মন্ড এক্সিকিউটিভ এস এম আহসানুল কবির বিপ্লব, জোবায়ের সোহেল ও আব্দুল মান্নান এবং ক্রাউন এক্সিকিউটিভ মোসাদ্দেক আলী খান। আসামিদের মধ্যে রফিকুল আমীন, তার স্ত্রী ফারহা দিবা ও মোহাম্মদ হোসেন কারাগারে আছেন। রায় ঘোষণার আগে তাদের আদালতে হাজির করা হয়। জামিনে থাকা অবরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল হারুনুর রশিদও আদালতে হাজির হন।অপর ১৫ আসামি পলাতক। আদালত তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।এদিকে, মানিলন্ডারিংয়ের ২ হাজার ২৫৭ কোটি ৭৮ লাখ ৭৭ হাজার ২২৭ টাকার দ্বিগুণ ৪ হাজার ৫ ১৫ কোটি ৫৭ লাখ ৫৪ হাজার ৪৫৪ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। যা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত হবে।দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) রাজধানীর কলাবাগান থানায় ২০১২ সালের ৩১ জুলাই মামলা দুটি করে। ২০১৪ সালের ৪ মে একটি মামলায় ১৯ জনের এবং অপর মামলায় ৪৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। ২০২২ সালের ১২ মে গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ এবং বেআইনিভাবে অর্থ পাচারের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ডেসটিনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীনকে ১২ বছরের কারাদণ্ড হয়। এছাড়া, হারুন অর রশীদসহ ৪৫ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এদিকে, আইন ও বিধি লঙ্ঘন করে ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের শীর্ষ কর্মকর্তারা গাছ বিক্রির নামে ২ হাজার ২৫৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন মামলায় উল্লেখ করা হয়। এর মধ্যে ঋণপত্র (এলসি) হিসাবে ৫৬ কোটি ১৯ লাখ ১৯ হাজার ৪০ টাকা এবং সরাসরি পাচার করা হয় আরো ২ লাখ ৬ হাজার মার্কিন ডলার।এইচএ
    জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা-তারেকসহ সব আসামি খালাস
    জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন আপিল বিভাগ। সেই সঙ্গে এ মামলায় তাদের হাইকোর্ট ডিভিশন ও বিচারিক আদালতের সাজা বাতিল করা হয়েছে। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) আপিল বিভাগ এ রায় দেন।এর আগে মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বিচারপতির আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ মামলার রায়ের জন্য বুধবার দিন ধার্য করেন।সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে এক সংবাদ সম্মেলনে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নিম্ন আদালতের যে রায় দেয়া হয়েছে, হাইকোর্ট থেকে যে রায় দেয়া হয়েছে সেগুলো বাতিল করেছেন আদালত। সেই সঙ্গে এ মামলায় যারা আপিল করতে পারেনি, তারেক রহমানসহ সবাইকে খালাস দেয়া হয়েছে।তিনি বলেন, আদালতের পর্যবেক্ষণ, এ মামলা ছিল শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত প্রতিহিংসামূলক মামলা। আদালত এটিকে ম্যালিশিয়াস প্রসিকিউসন (বিদ্বেষমূলক মামলা) বলেছেন। সেই সঙ্গে এ মামলা এত বেশি বিদ্বেষমূলক ছিল যে, হাইকোর্ট ও নিম্ন আদালতের রায় বাতিল করেছেন।২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বকশীবাজারে কারা অধিদপ্তরের প্যারেড গ্রাউন্ডে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন। একইসঙ্গে তার ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত।পরে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ওই বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া আপিল করেন। একই বছরের ২৮ মার্চ খালেদার সাজা বৃদ্ধি চেয়ে দুদকের করা আবেদনে রুল দেন হাইকোর্ট। সাজা বৃদ্ধিতে দুদকের আবেদনে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়ার সাজা পাঁচ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করেন।এছাড়া পাঁচ বছরের দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে খালেদা জিয়া এবং ১০ বছরের দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে কাজী কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদের আপিল খারিজ করেন আদালত।এদিকে ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের ৭ নম্বর কক্ষে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. আখতারুজ্জামান একটি রায় দেন। রায়ে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন। একইসঙ্গে তাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়। একই সাজা হয়েছে মামলার অপর তিন আসামিরও।পরে একই বছরের ১৮ নভেম্বর ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন খালেদা জিয়া। পরবর্তীতে শুনানি শেষে হাইকোর্ট গত নভেম্বরে আপিল মঞ্জুর করে খালেদা জিয়াসহ সবাইর সাজা বাতিল করে দেন। যদিও এ দুই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দণ্ড মওকুফ করেছিলেন রাষ্ট্রপতি।এবি 
    ছাগলকাণ্ডে আলোচিত সেই মতিউর রহমান ও তার স্ত্রী লায়লা গ্রেপ্তার
    ছাগলকাণ্ডে জড়িত হয়ে বহুল আলোচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক সদস্য মতিউর রহমান ও তার স্ত্রী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান লায়লা কানিজকে (প্রথম স্ত্রী) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশের একটি দল। তবে কোন মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে সে সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য জানা যায়নি।একাধিক মামলা রয়েছে এ দম্পতির বিরুদ্ধে। সবশেষ গত ৬ জানুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ১২৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে মতিউর রহমান, তার প্রথম স্ত্রী (লায়লা কানিজ) ও ছেলে-মেয়ের বিরুদ্ধে মামলাগুলো দায়ের করে দুদক।এর মধ্যে প্রথম মামলার আসামি করা হয় লায়লা কনিজ ও মতিউর রহমানকে। মামলার এজাহারে বলা হয় আসামি লায়লা কানিজ ১৩ কোটি ১ লাখ ৫৮ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। পাশাপাশি লায়লা কানিজের বিরুদ্ধে ১ কোটি ৫৩ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগ আনা হয়েছে। অন্যদিকে তার মেয়ে ফারজানা রহমানের নামে ২ কোটি ৪৫ লাখ গোপন ও ৫৩ কোটি ৪১ লাখ টাকার বেশি অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে দ্বিতীয় মামলায়। ওই মামলায় মতিউর রহমানকে সহযোগী আসামি করা হয়েছে। আর তৃতীয় মামলায় প্রথম ঘরের ছেলে আহমেদ তৌফিকুর রহমান অর্ণবের বিরুদ্ধে ১৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা সম্পদের তথ্য গোপন ও ৪২ কোটি ২২ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এই মামলায়ও মতিউরকে সহযোগী আসামি করা হয়েছে। এর আগে, গত ১৫ ডিসেম্বর মতিউর রহমান ও তার দ্বিতীয় স্ত্রীর (শাম্মী আখতার শিবলী) বিরুদ্ধে ১১ কোটি ১৮ লাখ ৮৬ হাজার ১২০ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দুই মামলা দায়ের করা হয়।  প্রথম মামলায় এনবিআরের সাবেক সদস্য মতিউরের বিরুদ্ধে ৫ কোটি ২৮ লাখ ৭৫ হাজার ৯৩৯ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ ও ১ কোটি ২৭ লাখ ৬৬ হাজার ২১৬ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে।আর দ্বিতীয় মামলায় মতিউরের সঙ্গে আসামি হয়েছেন তার দ্বিতীয় স্ত্রী শাম্মী আখতার শিবলী। শিবলীর বিরুদ্ধে ১ কোটি ৮৭ লাখ ১৫ হাজার ৪৯০ টাকার অবৈধ সম্পদ ও ২ কোটি ৭৫ লাখ ২৮ হাজার ৪৭৫ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪ এর ২৭ (১) ও ২৬ (২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়।কোরবানির জন্য ১৫ লাখ টাকা দিয়ে একটি ছাগল কিনতে গিয়ে আলোচনায় আসেন মুশফিকুর রহমান ইফাত নামের এক যুবক। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুমুল আলোচনা শুরু হয়। বলা হয়, তার বাবা এনবিআর সদস্য এবং কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট আপিলাত ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট মতিউর রহমান।এরপর আলোচনা চলে মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের কোথায় কী পরিমাণ সম্পদ রয়েছে এসব নিয়ে। এসব আলোচনার মধ্যে একের পর এক বেরিয়ে আসতে থাকে মতিউর পরিবারের বিপুল বিত্তবৈভবের চাঞ্চল্যকর তথ্য।পরে গত বছরের ৪ জুন মতিউর ও তার পরিবারের সদস্যদের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের অনুসন্ধানের নামে দুদক। অনুসন্ধানে মতিউর ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে ৬৫ বিঘা জমি, আটটি ফ্ল্যাট, দুটি রিসোর্ট ও পিকনিক স্পট এবং তিনটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের তথ্য পায় দুদক। মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ব্যাংক হিসাব, মোবাইল ফোনে আর্থিক সেবার হিসাব ও শেয়ারবাজারের বিও হিসাব জব্দ করা হয়।পরে ২৪ জুন মতিউর ও তার প্রথম পক্ষের স্ত্রী এবং সন্তানের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত।এরপর গত ২ জুলাই মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের সম্পদ বিবরণী চেয়ে পৃথক নোটিশ পাঠায় দুদক। এসব নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে ২৯ আগস্ট মতিউর, তার দুই স্ত্রী এবং ছেলে-মেয়েসহ পাঁচজনের সম্পদ বিবরণী দুদকে জমা দেন।এবি 
    জেল থেকে কী বলেছেন লুৎফুজ্জামান বাবর, জানালেন আইনজীবী
    আলোচিত ১০ ট্রাক অস্ত্র আটকের ঘটনায় অস্ত্র আইনে করা মামলায় খালাস পাওয়ার পর কারামুক্তিতে আর বাধা নেই সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের। এখনো মুক্তি না পেলেও কারাগার থেকে তিনি জানিয়েছেন, কাউকে যেন এভাবে আর হয়রানি না করা হয়।আজ মঙ্গলবার বিকেলে বাবরের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানান তারর আইনজীবী শিশির মনির।বাবরের আইনজীবী বলেন, ‘তিনি (বাবর) জেল থেকে বলেছেন যে, তাকে এইভাবে রাজনৈতিকভাবে হেনস্তা করার প্রধান কারণ ছিল, তিনি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিশ্বস্ত একজন মন্ত্রী ছিলেন। তিনি (বাবর) আমাকে জেল থেকে বলেছেন, সবকিছুর কেন্দ্রবিন্দু ছিল, তিনি খুব অ্যাকটিভ মিনিস্টার ছিলেন, সব কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এই জন্য তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী তাকে অনেক বেশি কাজ করার ক্ষেত্রে রিলাই করতেন এবং নির্ভর করতেন। এই নির্ভরতার কারণেই তার জীবনে এই দুর্যোগ নেমে এসেছিল।এফএস
    এস আলম পরিবারের ৬৮ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ, সম্পদ জব্দের আদেশ
    এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলমসহ তার পরিবারের নামে থাকা ৬৮টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ (ফ্রিজ) করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তার ১৬টি স্থাবর সম্পত্তি জব্দের (ক্রোক) আদেশ দেওয়া হয়েছে।আজ মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিব  এ আদেশ দেন ।এদিন দুদকের উপপরিচালক সিফফাত উদ্দীন এসব সম্পদ ক্রোকের আবেদন করেন। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর। পরে বিচারক দুদকের আবেদন মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।জব্দকৃত ১৬টি সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে—গুলশানের এস আলম টাওয়ারে ১০ তলা ভবন, ধানমন্ডিতে এক বিঘা জমিসহ ৬ তলা ভবন, ধানমন্ডি লেক সার্কাসে ১১ দশমিক ৮৮ শতাংশ জমিসহ ৪ তলা ভবন, গুলশানের ২৬৫৮ বর্গফুট জমির ওপর নির্মিত ফ্ল্যাট, গুলশান ২ এর প্লট দশমিক ৭৮৮৮ একর জমি। উত্তরা আবাসিক এলাকায় ৭ তলা ভবন, ভাটারাতে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ১০৩ দশমিক ০৩ কাঠা জমির প্লট, এক দশমিক ৭২০০ একর জমি, ৯৬ কাঠার জমি, ১ দশমিক ৯৫৩৬ একর জমি, ১১ দশমিক ১০৬১ বিঘা, ১৩১ দশমিক ০৪ কাঠা জমি।এবি 
    মডেল তিন্নি হত্যা মামলায় খালাস পেলেন গোলাম ফারুক অভি
    মডেল সৈয়দা তানিয়া মাহবুব ওরফে তিন্নি (২৪) হত্যা মামলায় বহুল আলোচিত বরিশাল-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক অভিকে খালাসের রায় ঘোষণা করেছেন আদালত।আজ মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) ঢাকার ২য় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শাহীনুর আক্তার এ রায় ঘোষণা করেন। রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পিপি সৈয়দ আবু জাফর রিজভি জানান, রায় পর্যালোচনা করে আপিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। আসামি পলাতক থাকায় রাষ্ট্রের পক্ষে নিযুক্ত আইনজীবী শাহ ইলিয়াস রতন সাক্ষীদের জেরা করেন।এর আগে, ২০২১ সালের ২৬ অক্টোবর রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য ছিল। ওইদিন ঢাকার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ কেশব রায় চৌধুরী রায় ঘোষণা না করে ১৫ নভেম্বর সাক্ষীর জন্য দিন ধার্য করেন।উল্লেখ্য, ২০০২ সালের ১০ নভেম্বর মাথায় আঘাত করে মডেল তিন্নিকে হত্যা করা হয়। এরপর সেই রাতে কেরানীগঞ্জের বুড়িগঙ্গা নদীর ১ নম্বর চীন মৈত্রী সেতুর ১১ নম্বর পিলারের পাশে তার মরদেহ পাওয়া যায়। চাঞ্চল্যকর মামলা হিসেবে ২০০২ সালের ২৪ নভেম্বর তদন্তভার সিআইডিতে ন্যস্ত হয়। ২০১০ সালের ১৪ জুলাই একই আদালত আসামি গোলাম ফারুক অভির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।এবি 
    সাবেক ডেপুটি গভর্নর এসকে সুর গ্রেফতার
    বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর সীতাংশু কুমার (এসকে) সুরকে গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।আজ মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সংস্থাটির একটি আভিযানিক দল তাকে ঢাকার সেগুনবাগিচা থেকে গ্রেফতার করে। দুদকের উপপরিচালক আকতারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।গত ২৩ ডিসেম্বর এসকে সুরের বিরুদ্ধে মামলা করে সংস্থাটি। সম্পদ বিবরণী নোটিশের জবাব না দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে নন-সাবমিশন মামলা করা হয়।দুদকের উপপরিচালক আকতারুল ইসলাম বলেন, এসকে সুরকে আজ গ্রেফতার করা হয়েছে। এখন তাকে আদালতে নেওয়া হবে।এবি 

    Loading…