এইমাত্র
  • জাতি গঠনমূলক কাজে সশস্ত্র বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে: রাষ্ট্রপতি
  • অটোচালকদের রেললাইন অবরোধে ঢাকার সঙ্গে রেল যোগাযোগ বন্ধ
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত
  • সিরিয়ার ঐতিহ্যবাহী শহরে ইসরায়েলি হামলা, নিহত ৩৬
  • আজ ঢাকা কলেজ-সিটি কলেজের ক্লাস বন্ধ
  • রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
  • রাজধানীতে আজ ১২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়
  • ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই: প্রধান উপদেষ্টা
  • বিচারের শুদ্ধতায় ট্রাইব্যুনালে আপিলের বিধান রাখা হয়েছে : আইন উপদেষ্টা
  • সশস্ত্র বাহিনী দিবসে শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা
  • আজ বৃহস্পতিবার, ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২১ নভেম্বর, ২০২৪

    আইন-আদালত

    এবার শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা করলেন যুবলীগ কর্মী
    এবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৮৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন যুবলীগের এক কর্মী। তার নাম কফিল উদ্দিন।  চট্টগ্রাম নগরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলায় নেতৃত্বদানকারী যুবলীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত তিনি। মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানসহ আওয়ামী, যুবলীগের নেতা-কর্মীকেও আসামি করা হয়েছে। মহানগরের নন্দনকানন এলাকার বাসিন্দা কফিল উদ্দিন গত সোমবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালতে মামলাটি করেন। আদালত বাদীর বক্তব্য শুনে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।এই মামলার পরপরই শুরু হয়েছে নতুন আলোচনা-সমালোচনা। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, মামলার বাদীর বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় অস্ত্র ও মাদকসহ তিনটি মামলা এবং আনোয়ারা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) রয়েছে। গ্রেপ্তার হয়ে একাধিকবার কারাগারেও গেছেন তিনি।মামলাটির আসামিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য-সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল মামুন, সাবেক সংসদ সদস্য এম এ মোতালেব, মজিবুর রহমান, জাতীয় পার্টির চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি সোলায়মান আলম শেখ, পিবিআই সাবেক প্রধান বনজ কুমার মজুমদার, ডিবি সাবেক প্রধান হারুন অর রশিদ, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার সরকার, সাবেক পুলিশ কমিশনার সাইফুল ইসলাম, চট্টগ্রামের কোতয়ালী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবায়দুল হক।মামলার অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেন, তিনি গত ৪ আগস্ট নগরের নিউমার্কেট গোলচত্বর এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেন। ওই দিন আসামিদের কয়েকজনের নির্দেশে ও পরিকল্পনায় বাকি আসামিরা গুলি করেন। ককটেল বিস্ফোরণও ঘটান। এতে কফিল হাতে আঘাত পান। ঘটনার পর হাসপাতালে ভর্তি হন। ঘটনায় জড়িত আসামিদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ ও সুস্থ হতে সময় লাগায় মামলা করতে দেরি হয়।এফএস
    একই কাঠগড়ায় ৪৫ মিনিট সালমান, আনিসুল, মেনন, শাজাহান, কামাল ও দীপু মনি
    ঘড়ির কাঁটায় তখন সকাল ৯ টা। খাসকামরা থেকে বেরিয়ে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের এজলাসে আসেন বিচারক।বিচারকের ঠিক সামনেই আসামির কাঠগড়া। কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হক, রাশেদ খান মেনন, শাজাহান খান, প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, জুনায়েদ আহমেদ পলক ও উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব। তাদের সবার বাঁ হাতে হাতকড়া।বুধবার সকালে আদালতকক্ষে বিচারের কার্যক্রম শুরু হলে উপস্থিত একজন পুলিশ কর্মকর্তা উঁচুস্বরে ডাকেন, ‘জনাব আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব।’ তখন কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা জ্যাকব ডান হাত উঁচু করেন।এ সময় রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলিরা আদালতকে বলেন, রাজধানীর রূপনগরে গত ২০ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শামীম হাওলাদার নামের এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এই হত্যা মামলার একজন আসামি জ্যাকব। এই হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য তাকে রিমান্ডে নেওয়া জরুরি।রিমান্ডের বিরোধিতা করেন জ্যাকবের আইনজীবী। এরপর জ্যাকব নিজেই আদালতে কথা বলেন।জ্যাকব বলেন, মাননীয় আদালত, আমি ভোলার চরফ্যাশনের এমপি (সংসদ সদস্য) ছিলাম। আমি কোনো দিন ঢাকায় রাজনীতি করিনি। জন্মের পর কোনো দিন ঢাকার রূপনগরে যাইনি। অথচ আমার বিরুদ্ধে রূপনগর থানায় হত্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। এটি হয়রানিমূলক মামলা। আমি আদালতের কাছে ন্যায়বিচার চাই।উভয়পক্ষের বক্তব্য শুনে আদালত এই হত্যা মামলায় জ্যাকবকে তিন দিন রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দেন।এরপর আনিসুলের রিমান্ড শুনানি শুরু হয়। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আদালতকে বলা হয়, রাজধানীর উত্তরার জসীমউদ্দীন সড়কে গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের দিন ফজলুল করিম নামের এক যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়। এই হত্যা মামলার অন্যতম আসামি আনিসুল। এ হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি।এ সময় রিমান্ডের বিরোধিতা করে আদালতে বক্তব্য রাখেন আনিসুলের আইনজীবী। আদালতকে তিনি বলেন, আনিসুল এ হত্যার ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন।আদালত উভয়পক্ষের বক্তব্য শুনে আনিসুলকে পাঁচ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন। তখন আনিসুল বিমর্ষ অবস্থায় কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে ছিলেন।আনিসুলের বিরুদ্ধে মোট ৫৫টি মামলা হয়েছে। ৭টি মামলায় এখন পর্যন্ত তার মোট ৪৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।জ্যাকব ও আনিসুলের রিমান্ড শুনানির সময় বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন কাঠগড়ার এক পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন।তখন একজন পুলিশ কর্মকর্তা ‘জনাব রাশেদ খান মেনন’, ‘জনাব শাজাহান খান’ ও ‘জনাব আনিসুল হক’ বলে ডাক দেন। তারা সাড়া দেন। তখন মোহাম্মদপুর থানার একটি হত্যা মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত।সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে নারী পুলিশ সদস্যরা সাবেক শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনিকে এজলাসে নিয়ে আসেন। মাথা থেকে হেলমেট খোলার পর দীপু মনির সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলেন আগে থেকে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা সালমান। তাদের মধ্যে ২-৩ মিনিট কথা হয়।এরপর পল্টন থানার একটি হত্যা মামলায় দীপু মনিকে গ্রেফতার দেখানো হয়। পরে দীপু মনির সঙ্গে কথা বলেন জুনাইদ, মেনন ও আনিসুল।এরপর মিরপুর থানার একটি হত্যা মামলায় কামাল আহমেদ মজুমদারকে গ্রেফতার দেখানো হয়।প্রায় ৪৫ মিনিট শুনানি শেষে বিচারক এজলাস ত্যাগ করেন।শুনানির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আদালতে দেখা যায়, আনিসুল, মেনন, শাজাহানসহ অন্যরা প্রত্যেকে তাদের নিজ নিজ আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলছেন।বিচারক এজলাস ত্যাগ করার পর প্রথমে মেননের মাথায় পুলিশের হেলমেট পরানো হয়। এরপর একে একে আনিসুল, শাজাহান, দীপু মনি ও জুনায়েদের মাথায় হেলমেট পরানো হয়। তারপর তাদের এজলাস কক্ষ থেকে নিয়ে যাওয়া হয় আদালতের হাজতখানায়।বুধবার সকাল থেকে আদালত প্রাঙ্গণে পুলিশের পাশাপাশি সেনা সদস্যদের উপস্থিতি দেখা যায়।শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে ঢাকাসহ সারা দেশে ২৫৩টি মামলা হয়েছে। সালমানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে ৪৮টি। রাশেদ খান মেননের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে ২২টি। জুনাইদ আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে ৪৭টি। দীপু মনির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে ২০টি।এসএফ 
    জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদার আপিল শুনানি শুরু
    জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাত বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার আপিল শুনানি শুরু হয়েছে।বুধবার (২০ নভেম্বর) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ শুনানি শুরু হয়। প্রথম দিনের শুনানি শেষে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী বুধবার দিন ধার্য করেন আদালত।আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল, অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন, অ্যাডভোকেট ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া, অ্যাডভোকেট মাকসুদ উল্লাহ।এর আগে গত ৩ নভেম্বর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল শুনানির জন্য পেপারবুক নিজ খরচে তৈরির অনুমতি দেন হাইকোর্ট।খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। পরে আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, বেগম খালেদা জিয়া কোনো অনুকম্পা চান না। তিনি আইনিভাবে মামলা নিষ্পত্তি করতে চান। একারণে আমরা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার সাজার রায়ের বিরুদ্ধে দ্রুত আপিল শুনানি করতে চাই। আপিল শুনানির জন্য আদালত আমাদের নিজ খরচ পেপারবুক প্রস্তুত করার অনুমতি দিয়েছেন। ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একইসঙ্গে অন্য তিন আসামিকেও সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের রায় দেন আদালত। খালেদা জিয়াসহ প্রত্যেককে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া ট্রাস্টের নামে কেনা কাকরাইলে ৪২ কাঠা জমি বাজেয়াফত করে তা রাষ্ট্রের অনুকূলে নেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়। পরে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন খালেদা জিয়া।এবি 
    ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে ৮ সেনা ও পুলিশ কর্মকর্তাকে
    জুলাই-আগস্টের গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে ৮ সেনা ও পুলিশ কর্মকর্তাকে।তারা হলেন– সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউল আহসান, ঢাকা জেলার সাবেক পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহ আল কাফি, মিরপুর ডিএমপির সাবেক ডিসি মো. জসিম উদ্দিন মোল্লা, ঢাকার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহিদুর ইসলাম, যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান, গুলশান থানার সাবেক ওসি মাজহারুল হক এবং ঢাকা উত্তর ডিবির সাবেক পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেন।ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান দমাতে, বিভিন্ন সময় তারা মিছিলে গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন- এমন অভিযোগ রয়েছে। তাছাড়া, অন্যান্য হত্যা-হত্যাচেষ্টা মামলায়ও তারা এজাহারভূক্ত আসামি।গত ৫ আগস্ট, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তারা আত্মগোপনে ছিলেন। বিভিন্ন সময় তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।এবি 
    ৫ দিনের রিমান্ডে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক
    রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানার ফজলুল করিম হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে ৫ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (২০ নভেম্বর) তার রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।এর আগে, সকালে তাকে কারাগার থেকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. মাহমুদুর রহমান তার ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। এসময় আসামিপক্ষে রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। শুনানি শেষে বিচারক ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মামলার সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেন ফজলুল করিম। এ সময় তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। তাকে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানায় ৪০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।এ ছাড়াও, মোহাম্মদপুর, বাড্ডা, পল্টন, মিরপুর ও উত্তরা পশ্চিম থানার একাধিক মামলায় নতুন করে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে সাবেক আইন মন্ত্রী আনিসুল হক, দীপু মনি, জুনাইদ আহমেদ পলক, সালমান এফ রহমান, হাসানুল হক ইনুকে।উল্লেখ্য, গত ১৩ আগস্ট গোপন তথ্যের ভিত্তিতে নৌপথে ‘পলায়নরত অবস্থায়’ রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককেও গ্রেফতার করা হয়। এবি 
    ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ১৮১৪ মামলায় ডাম্পিং ৫৯
    রাজধানীর সড়কে বিশৃঙ্খলা, যত্রতত্র পার্কিং ও যাত্রী উঠানামাসহ বিভিন্ন কারুণে সৃষ্ট দীর্ঘ দিনের যানজটে অতিষ্ঠ নগরবাসী। ফলে যানজটের নিরসন ঘটিয়ে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সবগুলো ট্রাফিক বিভাগ।এরই মধ্যে রাজধানী ঢাকার যানজট নিরসনের সমাধান খুঁজতে পুলিশ ও দেশের অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের নির্দেশ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এরই ধারাবাহিকতায় যারা সড়কে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে এবং আইন অমান্য করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ।গতকাল সোমবার (১৮ নভেম্বর) একদিনে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে ১ হাজার ৮১৪ টি মামলা করেছে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ। একই সঙ্গে অভিযানকালে ৫৯ টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৮২ টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেসন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।তালেবুর রহমান জানান, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে গতকাল সোমবার (১৭ নভেম্বর) এক দিনে অভিযান পরিচালনা করে ৫৯ টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৮২ টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান ডিএমপির এই কর্মকর্তা।এদিকে এর আগে গত ১৬ সেপ্টেম্বর সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ডিএমপির শীর্ষ কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ট্রাফিক সিস্টেম বিশেষজ্ঞের সঙ্গে বৈঠক করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৈঠকে রাজধানী ঢাকার যানজট নিরসনের সমাধান খুঁজতে পুলিশ ও দেশের অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি।এবি 
    আদানির সঙ্গে চুক্তি পুনর্মূল্যায়নে কমিটি গঠনের নির্দেশ
    বিদ্যুৎ নিয়ে ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে সব চুক্তি পুনর্মূল্যায়ন করতে উচ্চ পর্যায়ের অনুসন্ধান কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।অনুসন্ধান কমিটিতে আন্তর্জাতিক জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও আন্তর্জাতিক আইন বিশেষজ্ঞ রাখতে বলা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে এক মাসের মধ্যে কমিটি গঠন করে পরবর্তী দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে বিদ্যুৎ নিয়ে ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে অসম চুক্তি বাতিল করতে কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। এছাড়া ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে চুক্তির সময় যে দর কষাকষি হয়েছিল, তার নথি এক মাসের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে বলেছেন আদালত।আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এম আব্দুল কাইয়ুম। তাকে সহযোগিতা করেন ব্যারিস্টার মনিরুজ্জামান, অ্যাডভোকেট আফরোজা ফিরোজ মিতা ও ব্যারিস্টার কামারুন মাহমুদ মিতা।এর আগে, বিদ্যুৎ নিয়ে ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে সব চুক্তি বাতিলের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ব্যারিস্টার এম কাইয়ুম জনস্বার্থে এ রিট দায়ের করেন। গত ৬ নভেম্বর বিদুৎ নিয়ে ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে সব চুক্তি বাতিল চেয়ে সরকারকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী। নোটিশে অবিলম্বে অন্যায্য একতরফা চুক্তি পুনর্বিবেচনা অথবা পুরোটাই বাতিল চাওয়া হয়েছে। তিনদিনের মধ্যে আদানিকে এই ঘটনায় চুক্তি পুনর্বিবেচনার কার্যক্রম শুরু না করলে হাইকোর্টে রিট করবেন বলেও জানান সংশ্লিষ্ট আইনজীবী। জ্বালানি ও আইন বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে পর্যালোচনা কমিটি গঠন করে বিস্তারিত রিপোর্ট দেওয়ার জন্যও আহ্বান জানানো হয়েছে। লিগ্যাল নোটিশের জবাব দিতে পিডিবির চেয়ারম্যান ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সচিবকে ৩ তিন সময় বেঁধে দেওয়া হয়। নোটিশের সময় পেরিয়ে যাওয়ায় এ রিট আবেদনটি করা হয়েছে।বিদ্যুৎ বিভাগের নির্দেশনায় আদানির সঙ্গে তাড়াহুড়া করে ২০১৭ সালে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি হয়। ওই সময় দেশে আমদানি করা কয়লানির্ভর কোনো বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হয়নি। এসব চুক্তির একটি ২০১৭ সালে আদানির সঙ্গে করা ২৫ বছর মেয়াদি বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি। ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ঝাড়খণ্ডে আদানির ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে মূলত বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। গত ২৮ সেপ্টেম্বর জাতীয় পর্যালোচনা কমিটির সভায় ১১টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এসব তথ্য-উপাত্ত ও নথি কমিটিকে সরবরাহের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে আছে ভারতের আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র।এইচএ
    ওয়ার্কশপে হাত হারানো নাঈমকে ৩০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের রায় বহাল
    ওয়ার্কশপে কাজ করতে গিয়ে হাত হারানো ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার শিশু নাঈম হাসান নাহিদকে ৩০ লাখ টাকা ‘ফিক্সড ডিপোজিট’ করে দিতে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। আদালতে শিশুটির পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার ওমর ফারুক।এর আগে গত ৩১ জানুয়ারি ওয়ার্কশপের কাজ করতে গিয়ে তিন বছর আগে হাত হারানো ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার ১৩ বছর বয়সী শিশু নাঈম হাসান নাহিদকে ৩০ লাখ টাকা ফিক্সড ডিপোজিট করে দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছিলেন, চলতি বছরের এপ্রিল মাসের মধ্যে ১৫ লাখ টাকার ডিপোজিট এবং ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ১৫ লাখ টাকার ডিপোজিট করতে হবে। ১০ পছর পর নাঈম হাসান নাহিদ ডিপোজিটের টাকা উত্তোলন করতে পারবে। একইসঙ্গে শিশুটি এইচএসসি পাস না করা পর্যন্ত তাকে প্রতি মাসে ৭ হাজার টাকা করে দিতে বলা হয়েছিল। ভৈরবের নূর ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের মালিককে এই আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছিল।এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত তৎকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।আদালতে রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার অনীক আর হক ও অ্যাডভোকেট মো. বাকির উদ্দিন ভূইয়া। সঙ্গে ছিলেন, আইনজীবী তামজিদ হাসান। তারা বিনা পয়সায় শিশুটির পক্ষে মামলা পরিচালনা করেছেন। অন্যদিকে ওয়ার্কশপ মালিকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, আইনজীবী আবদুল বারেক। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত।প্রসঙ্গত, ‘ভৈরবে শিশুশ্রমের করুণ পরিণতি’ শিরোনামে ২০২০ সালের ১ নভেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন ছাপা হয়। প্রতিবেদন অনুয়ায়ী, তখন নাঈম হাসানের বয়স ১০ বছর। চতুর্থ শ্রেণিতে পড়তো। বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার আড়াইসিধা গ্রামে। তার বাবা আনোয়ার হোসেনের পেশা জুতা ব্যবসা। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর সময়ে আনোয়ার কর্মহীন হয়ে পড়েন। এ সময় সংসারের চাপ সামলাতে নাঈমকে তার মা-বাবা কিশোরগঞ্জের ভৈরবের একটি ওয়ার্কশপে কাজে দেন। এই ওয়ার্কশপে কাজ করতে গিয়েই তার ডান হাতটি মেশিনে ঢুকে যায়। শেষে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কনুই থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয় ডান হাতটি।প্রকাশিত প্রতিবেদনটি যুক্ত করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে শিশুটির বাবা হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওই বছরের ২৭ ডিসেম্বর হাইকোর্ট রুল দেন। রুলে শিশুটিকে দুই কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। চার সপ্তাহের মধ্যে বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়। একইসঙ্গে ২০২০ সালের ২৮ সেপ্টেম্বরের ওই ঘটনা নিজ কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা দিয়ে অনুসন্ধান করতে কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় রুলের শুনানি শেষে রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। পরে সে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়েছিল।এবি 
    বিদেশে পালাতে পারেন কারাগারে থাকা আমির হোসেন আমু!
    কারাগারে থাকা আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু বিদেশে পালাতে পারেন বলে আদালতকে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক রেজাউল করিম। এরপর তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন আদালত।আজ সোমবার এ আদেশ দিয়েছেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন।দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদনটি আদালতে উপস্থাপন করে শুনানি করেন দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর। এতে বলা হয়, আমির হোসেন আমুর বিরুদ্ধে ঘুষ নিয়ে নিয়োগ বাণিজ্য, টেন্ডার বাণিজ্য, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে টিআর/কাবিখাসহ সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাত করে বিদেশ পাচারসহ নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগটির অনুসন্ধান কাজ পরিচালনার জন্য অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে। আমু ও তার মেয়ে সুমাইয়া হোসেন, এপিএস ফকরুল মজিদ মাহমুদ এবং তার স্ত্রী রাফেজা মজিদ দেশ ছেড়ে বিদেশে পালাতে পারেন বলে বিশ্বস্তসূত্রে জানা যায়। তাই অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা প্রয়োজন। এফএস
    ‘সবাই হাসেন আর আনন্দ করেন’, আদালত চত্বরে ইনু
    জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া সাবেক ৯ মন্ত্রীসহ ১৩ জনকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।সোমবার কড়া নিরাপত্তায় সকাল ১০টার দিকে প্রিজন ভ্যানে করে আসামিদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। পরে তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।আসামিরা হলেন- সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, ফারুক খান, ডা. দীপু মনি, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, তৌফিক-ই-ইলাহী, শাজাহান খান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, গোলাম দস্তগীর গাজী, আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর আলম। অন্য একটি মামলায় রিমান্ডে থাকায় আব্দুর রাজ্জাককে আজ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়নি।ট্রাইব্যুনাল থেকে কারাগারে নেওয়ার সময় আসামিদের অনেককেই হাসি মুখে দেখা যায়। তবে এর মধ্যে সাংবাদিকদের দিকে হাত নাড়িয়ে হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘ সবাই হাসেন আর আনন্দ করেন।  এর বাইরে আর কোনো কথা বলতে দেখা যায়নি ইনুকে।’  এদিকে হাতজোড় করে দোয়া চাইতে দেখা গেছে সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে। এসময় সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে হাত দিয়ে মোনাজাত ইঙ্গিত করে করে দোয়া চেয়েছেন সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী। এর আগে গত ২৭ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল জুলাই-আগস্ট গণহত্যার মামলায় কারাবন্দি সাবেক দুই উপদেষ্টা, সাবেক ১০ মন্ত্রী, এক সেনা কর্মকর্তা ও সাবেক এক সচিব, এক বিচারপতিসহ ২০ জনকে হাজির করতে নির্দেশ দেন। এর মধ্যে ১৪ জনকে ১৮ নভেম্বর হাজির করতে বলা হয়।এসএফ 
    এবার রিপাবলিক বাংলার কনটেন্ট নিষিদ্ধ ও ব্লকের নির্দেশনা চেয়ে রিট
    বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য সম্প্রচার, হিন্দু-মুসলিম সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির চেষ্টাসহ বিভিন্ন গুজব ছাড়ানোর অভিযোগে ভারতীয় চ্যানেল রিপাবলিক বাংলার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ, কন্টেন্ট নিষিদ্ধ ও ব্লক করতে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।সোমবার (১৮ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান এ রিট দায়ের করেন।রিটে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইসিটি বিভাগের সচিব এবং বিটিআরসির চেয়ারম্যানকে বিবাদী করা হয়েছে।রিট আবেদনে বলা হয়েছে, রিপাবলিক বাংলা একটি ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেল। এই চ্যানেল স্যাটেলাইট সম্প্রচারের পাশাপাশি তাদের নিউজ, কনটেন্ট ইউটিউব, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে থাকে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় এই চ্যানেলটি নিয়মিতভাবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা প্রচার করে যাচ্ছে। ক্রমাগতভাবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য সম্প্রচার করছে এবং বাংলাদেশের আইন শৃঙ্খলা অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে। এই ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেল বাংলাদেশের ভূখণ্ড থেকে চট্টগ্রাম বিভাগকে বিচ্ছিন্ন করে ভারতের সঙ্গে যুক্ত করার অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। একইসঙ্গে চ্যানেলটি নিরন্তনভাবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গুজব ছড়িয়ে বাংলাদেশে হিন্দু-মুসলিম সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।এতে আরও বলা হয়েছে, উক্ত ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেল রিপাবলিক বাংলা সম্পূর্ণ অসৎ উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিডিয়া আগ্রাসন চালাচ্ছে। এই ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেলটি বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি। এছাড়া উক্ত ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেলটি বাংলাদেশের জননিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা সুরক্ষার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে অবশ্যই এই ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেল রিপাবলিক বাংলার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে।এছাড়া বাংলাদেশের জননিরাপত্তার স্বার্থে উক্ত বিদেশি টেলিভিশন চ্যানেলের সব নিউজ, কনটেন্ট বাংলাদেশের ভূখণ্ডে নিষিদ্ধ ও ব্লক করে দিতে হবে।এর আগে, একই বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। কিন্তু রিপাবলিক বাংলার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় রিটটি দায়ের করেন আইনজীবী।এসএফ
    হাতজোড় করে দোয়া চাইলেন জুনাইদ আহমেদ পলক
    মানবতাবিরোধী অপরাধের একটি মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের ১৩ জন মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও আমলাকে সোমবার (১৮ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে কড়া নিরাপত্তায় হাজির করা হয়। পরে তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।আসামিরা হলেন- সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, ফারুক খান, ডা. দীপু মনি, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, তৌফিক-ই-ইলাহী, শাজাহান খান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, গোলাম দস্তগীর গাজী, আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর আলম। অন্য একটি মামলায় রিমান্ডে থাকায় আব্দুর রাজ্জাককে আজ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়নি।ট্রাইব্যুনাল থেকে কারাগারে নেওয়ার সময় আসামিদের অনেককেই হাসি মুখে দেখা যায়। তবে এর মধ্যে হাতজোড় করে দোয়া চাইতে দেখা গেছে সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে।এর আগে গত ২৭ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল জুলাই-আগস্ট গণহত্যার মামলায় কারাবন্দি সাবেক দুই উপদেষ্টা, সাবেক ১০ মন্ত্রী, এক সেনা কর্মকর্তা ও সাবেক এক সচিব, এক বিচারপতিসহ ২০ জনকে হাজির করতে নির্দেশ দেন। এর মধ্যে ১৪ জনকে ১৮ নভেম্বর হাজির করতে বলা হয়।এ ছাড়া পুলিশ ও সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল মামুন, বরখাস্তকৃত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান, আব্দুল্লাহ আল কাফি, আরাফাত হোসেন, আবুল হাসান ও মাজহারুল ইসলামকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ২০ নভেম্বর ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
    মানবতাবিরোধী অপরাধ: ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে হেভিওয়েট ১৩ আসামিকে
    জুলাই-আগস্টের গণহত্যার অভিযোগের মামলায় প্রথমবারের মতো ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী, উপদেষ্টা, সচিব ও সাবেক ১জন বিচারপতিসহ ১৪ জনকে হাজির করার কথা থাকলেও আজ সোমবার আব্দুর রাজ্জাক রিমান্ডে থাকায় তাকে হাজির করা হচ্ছে না। আজ সোমবার (১৮ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অপর ১৩ জনকে হাজির করা হবে। কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনী করা হয়েছে হাইকোর্ট এলাকায়। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, ১৪ জনকে হাজির করার কথা ছিল। একজন রিমান্ডে থাকায় আজ ১৩ জনকে হাজির করা হবে। পরবর্তীতে এ দুজনকে হাজির করা হবে।মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যাদের তোলা হচ্ছে তারা হলেন— সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হক, ফারুক খান, ডা. দীপু মনি, জুনায়েদ আহমেদ পলক, কামাল আহমেদ মজুমদার, গোলাম দস্তগীর গাজী, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আলোচিত উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, তৌফিক ইলাহি চৌধুরী, আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক এবং সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর আলম।এর আগে, গত ২৭ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল তাদের হাজির করার আদেশ দেন।এর আগে গত ১৭ অক্টোবর শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়। শুনানি নিয়ে দুটি পৃথক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গণহত্যার অভিযোগে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা, সাবেক সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে শেখ হাসিনাকে আগামী ১৮ নভেম্বরের মধ্যে গ্রেপ্তার করে ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ দেওয়া হয়।এইচএ
    মোবাইল না থাকায় কষ্টে আছেন ব্যারিস্টার সুমন
    কারাবন্দি সাবেক সংসদ সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন পুরোপুরি বদলে গেছেন। তিনি কারাগারে নিয়মিত নামাজ আদায় শুরু করেছেন।রোববার (১৭ নভেম্বর) ব্যারিস্টার সুমনের দীর্ঘদিনের সহকর্মী ও চেম্বার পার্টনার আইনজীবী এম লিটন আহমেদ এসব তথ্য জানিয়েছেন। গত ১৫ নভেম্বর কারাগারে গিয়ে ব্যারিস্টার সুমনের সঙ্গে দেখা করে এসেছেন এ আইনজীবী।আইনজীবী লিটন আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ব্যারিস্টার সুমনের জেল জীবনের সঙ্গী হিসেবে আছেন সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখ্যসচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান। এদের দুজনের সঙ্গে একই রুম শেয়ার করতে হয় ব্যারিস্টার সুমনকে।তিনি বলেন, ব্যারিস্টার সুমন কারাগারে ঘুম থেকে ওঠেন ফজরের আজানের আগে। তিনি এখন নিয়মিত ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন। সাবেক এমপি হিসেবে জেলে ডিভিশন পেয়েছেন। তবে ব্যারিস্টার সুমন কষ্টে আছেন তার সঙ্গে মোবাইল ফোন না থাকায়। কারণ, আগে সার্বক্ষণিক মোবাইলে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে যেতেন, যা এখন একেবারেই বন্ধ।ব্যারিস্টার সুমন তার চেম্বার পার্টনারকে আরও বলেন, জেলজীবন কষ্টের, কারণ ঠিক সন্ধ্যা নামার সময় কারা সেলে ঢুকে পড়তে হয়, খাবার খেয়ে নিতে হয়। এটা স্বাভাবিক জীবনে মানা কষ্টের।সারাদিন কী করেন ব্যারিস্টার সুমন— এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, হাঁটাহাঁটি করেন। কখনো সকালে, কখনো বিকেলে। তবে সেখানেও তাকে দেখলে অন্য কয়েদিরা ‘সুমন ভাই’, ‘সুমন ভাই’ ডাক শুরু করেন। এতে কখনো-কখনো বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। এ কারণে সেলের বাইরে হাঁটতে কিছুটা বেগ পেতে হয় তাকে।বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালীন রাজধানীর মিরপুরে যুবদল নেতা ও বাঙালিয়ানা ভোজের সহকারী বাবুর্চি হৃদয় মিয়াকে হত্যাচেষ্টা মামলায় গত ২১ অক্টোবর মধ্যরাতে মিরপুর-৬ এলাকা থেকে ব্যারিস্টার সুমনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।এ মামলায় ৫ দিনের রিমান্ড শেষে গত ২৭ অক্টোবর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ১৯ জুলাই বাবুর্চি হৃদয় জুমার নামাজ আদায় করে মিরপুর-১০ নম্বরে সমাবেশে যান। সেখানে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। তারা ককটেল ও বোমা নিক্ষেপ করে এবং গুলি চালায়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন হৃদয়।আহত হৃদয় হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ১০ নম্বর হাতিয়াইন ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি। এ ঘটনায় তিনি ২৩ সেপ্টেম্বর মিরপুর মডেল থানায় মামলা করেন। মামলার ৩ নম্বর আসামি ব্যারিস্টার সুমন।এসএফ 
    দেশ টিভির এমডি আরিফ ২ দিনের রিমান্ডে
    বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন কেন্দ্রিক রাজধানীর বিমানবন্দর থানায় সজিব নামে এক ব্যক্তিকে হত্যাচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার বেসরকারি টেলিভিশন দেশ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আরিফ হাসানের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রোববার (১৭ নভেম্বর) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আবু সাঈদ তার তিন দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। রাষ্ট্র পক্ষে রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করা হয়। আসামি পক্ষে রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজার আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।এর আগে শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাতে বিদেশ গমনকালে সন্দেহ হওয়ায় ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটকে দেয়। পরে খবর পেয়ে বিমানবন্দর থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়।মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় গত ১৯ জুলাই ১ নং উত্তরস্থ কলাস্টিকা স্কুলের সামনে গুলিবিদ্ধ হয় সজিব। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেয়া হয়। এ ঘটনায় সজিবের বাবা বিমানবন্দর থানায় হত্যাচেষ্টার মামলা করেন।আরিফ হাসান বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মালিকদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স-অ্যাটকোর সাধারণ সম্পাদক।এসএফ 

    Loading…