সিরজাগঞ্জের শাহজাদপুরে চিরকুট লিখে ইমামুল চৌধুরী (২০) নামের এক যুবকের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।
রবিবার (১৯ মার্চ) সকাল আনুমানিক সাড়ে ৮টায় উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নের জয়পুরা গ্রামের কৃষক হাবিল চৌধরীর ছেলে ঠুটিয়া ডিগ্রী কলেজের ল্যাব এসিস্টেন্ট ইমামুল ঘরের আড়ার সাথে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটায়।
পরে ইমামুলের পিতা ঘরের দরজা আটকানো দেখে তাকে ডাকাডাকি করেন। তার সারা না পেয়ে জানালা দিয়ে উকি দিয়ে ইমামুলের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পায়।
পাশের রুম দিয়ে ঘরে প্রবেশ করে দরজা খলে স্থানীয়দের সহযোগীতায় ইমামুলের দেহ নামানো হয়। পরে খবর পেয়ে শাহজাদপুর থানার উপ-পরিদর্শক মো. রবিউল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।
পরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাজ্জাদুর রহমান ও পরিদর্শক (অপারেশন) আব্দুল মজিদ। সুরতহাল শেষে পুলিশ ইমামুলের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
অনুসন্ধানে করে নিহত ইমামুলের ঘরে আত্মহত্যার পূর্বে লেখা একটি চিরকুট পাওয়া যায়। চিরকুটে যুবক ইমামুল লেখেন তার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। এসময় চিরকুটে আরও উল্লেখ করেন যে বুকের বাম পাশে প্রচন্ড ব্যাথা করে এবং তার মায়ের উদ্দেশ্যে লেখেন যে তার হাত ঘড়ি যেনো তার মা সবসময় কাছে রাখেন। এসময় চিরকুটে আরও উল্লেখ করেন যেনো তার লাশ তার চাচার লাশের পাশে দাফন করা হয়।
প্রতিবেশী নয়ন আলী জানান, সকালে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় নয়নকে দেখি মন খারাপ করে দাড়িয়ে রয়েছে। আনুমানিক ১ ঘন্টা পর জানতে পারি ইমামুল ঘরের আড়ার সাথে ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
স্থানীয়রা জানান, ইমামুল অত্যান্ত ভালো মানুষ, ধার্মিক ও বিনয়ী ছিলেন। কলেজে চাকরির পাশাপাশি সে টিউশনি করতো। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
এই বিষয়ে শাহজাদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ নজরুল ইসলাম মৃধা বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। আগামীকাল সিরাজগঞ্জ শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে পাঠানো হবে। এই বিষয়ে থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের হয়েছে।
ময়না তদন্তের রিপোর্ট তাতে পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
এআই