গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানকে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন। এর মধ্য দিয়ে তৃতীয় সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রথম নারী মেয়র পেল গাজীপুর।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ৪৮০ কেন্দ্রের ফল ঘোষণার শেষে তাকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। রিটার্নিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ঢাকা অঞ্চলের আঞ্চলিক কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম এ ঘোষণা দেন।
এতে টেবিল ঘড়ি প্রতীকে জায়েদা খাতুন পেয়েছেন ২৩৮৯৩৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আজমত উল্লা খান পেয়েছেন ২২২৭৩৭ ভোট।
অর্থাৎ ৪৮০ কেন্দ্রের ফলাফলে ১৬১৯৭ ভোট বেশি পেয়ে জায়েদা খাতুন জয়লাভ করেন। জায়েদা খাতুন সাবেক বরখাস্তকৃত মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। কোনো প্রকার অনিয়ম ছাড়া উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট শেষ হয়। সব কটি কেন্দ্রেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএমে) মাধ্যমে ভোট নেওয়া হয়। দুই একটি কেন্দ্রে আঙুলের ছাপ না মেলায় ভোট গ্রহণে দেরি হয়।
সকালে ছেলে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে সঙ্গে নিয়ে কানাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন। ভোট দেওয়ার পর জায়েদা খাতুন বলেন, ‘ইনশাআল্লাহ! সুষ্ঠুভাবে ভোট হচ্ছে। আমি আশাবাদী।’
এদিকে ভোটের পরিবেশ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ প্রার্থী আজমত উল্লা খান। সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে টঙ্গীর দারুস সালাম মাদ্রাসা কেন্দ্রে নিজের ভোট দেন আজমত উল্লা খান। পরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘জয়ের বিষয়ে আমি আত্মবিশ্বাসী।’
এ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৪৮০টি এবং ভোটকক্ষ ৩৪৯৭টি। মোট ভোটার ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২, নারী ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ১৮ জন। নির্বাচনে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ১০ হাজার ৯৭০ জন। প্রিসাইডিং অফিসার ৪৮০, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ৩ হাজার ৪৯৭ এবং পোলিং অফিসার ৬ হাজার ৯৯৪ জন।