জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার একটি সড়কের দু’পাশে আধাকিলোমিটার জুড়ে থাকা তালগাছসহ কয়েক প্রজাতির গাছ কাটায় মানববন্ধনের মাধ্যমে প্রতিবাদ করেছে সাধারণ শিক্ষার্থী-স্থানীয়রা।
সোমবার (২ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বড়ড়তারা ইউনিয়নের নিশ্চিন্তা-পাঠানপাড়া সড়কে স্থানীয় দুই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ব্যানারে এই মানববন্ধনে প্রায় একশ সাধারণ শিক্ষার্থী-স্থানীয়রা অংশ গ্রহণ করেন।
জানা গেছে, এক যুগ ধরে জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার নিশ্চিন্তা-পাঠানপাড়া সড়কের কর্ণপাড়া-পাঠানপাড়া অংশে সড়কের পূর্ব ও পশ্চিম পাশে তালগাছগুলোর অবস্থান। জেলার বড়তারা ইউনিয়নের গণমঙ্গল থেকে পাঠানপাড়া রাস্তার কর্ণপাড়া এলাকার পূর্বপাশের প্রায় ৫০ তালগাছসহ বিভিন্ন ধরনের গাছের ডাল-পাঁকর কাটা হয়েছে। এছাড়াও ওই রাস্তার পাঠানপাড়া পর্যন্ত পশ্চিমপাশে বিদ্যুতের লাইন ছিল। ওই দুপাশের ছোট-বড় সকল গাছগুলো ন্যাড়া করে দেওয়া হয়েছে। কয়েকটি গাছের দুই-একটি ডাল রাখলেও মাথা রাখা হয়নি। এসব গাছ কেটেছে পল্লী বিদ্যুতের লোকজন। এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে স্থানীয় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ব্যানারে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা।
উজ্জ্বল নক্ষত্র ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক আমানুল্লাহ আমান বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন লাইন পরিস্কারের নামে ঝুঁকিপূর্ণ সয় এমন গাছ কেটেছে। তারা পরিকল্পিতভাবে সড়কের ৪০টি তালগাছকে হত্যা করেছে। আমরা এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে দোষীদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
স্থানীয় পরিবেশবাদী কর্মী ও কালাইয়ের শুভসংঘের সভাপতি এম রাসেল আহমেদ বলেন, যখন এই তালগাছগুলো কাটা হচ্ছে, তখন আমি প্রতিবাদ করলাম। তারপরও তারা না শুনে ন্যাড়া করে কেটেছে। এর আগে কয়েকটি গাছ ন্যাড়া করে দেওয়ায় তা মারা গেছে। এবার এই গাছগুলোও মারা যেতে পারে।
এ ব্যাপারে পল্লী বিদ্যুৎ ক্ষেতলাল সাব জোন অফিস গণমঙ্গল অভিযোগ কেন্দ্রের লাইন টেকনিশিয়ান সাহাদত হোসেন বলেন, তালগাছগুলোর ডাল একটু রেখে কাটতে পারতো। কিন্তু কাটতে কাটতে এমনভাবে কেটেছে। এখন লাইনের নিচে বিশেষ করে তালগাছ থাকলে বজ্রপাত পড়ে। এতে সমস্যা হয়। আশা করি এই বিষয়ে আমরা সচেতন থাকবো।
পল্লী বিদ্যুৎ ক্ষেতলাল সাব জোন অফিসের এজিএম-ও এন্ড এম নাজিম হোসাইন বলেন, আমাদের নিয়ম হলো তারের উপরে, নিচে ও আশেপাশে ১০ ফিট কেটে দিতে হবে। এখানে গাছ বা ডাল থাকলে তা কেটে দিতে হবে। তালগাছের মাথা ন্যাড়া করে দেওয়া থাকলে এটা শ্রমিকদের ঠিক হয়নি। এর পক্ষে আমি না।