দিনাজপুরের বিরামপুরে আগাম লাউ চাষে সফল হচ্ছেন স্থানীয় সবজি চাষীরা। এরই মধ্যে শীতের আগাম লাউ বিক্রি করে লাভের স্বপ্ন দেখছেন তারা। লাউ চাষ করে সফল উদ্যোক্তাদের মুঁখে হাসি ফুঁটে উঠেছে।
খোলা বাজারে মৌসুমী সবজির মূল্যে অনেকাংশে বেশী হলেও সাধারণ ক্রেতাদের চাহিদার তালিকার শীর্ষে রয়েছে আগাম লাউ। খুচরা বাজারে প্রায় দুই কেজি ওজনের (মাঝারি সাইজের) লাউয়ের পিস কেনাবেচা হচ্ছে ৫০-৮০ টাকা। তবে প্রকার ভেদে ও এলাকাভিত্তিক এর মূল্য কিছুটা কম বেশী হতে পারে।
লাউয়ের বাম্পার ফলন ও কাঙ্খিত দামে পাওয়ায় স্থানীয় লাউ চাষীরা আনন্দ প্রকাশ করেন। পাইকারী দরে একেকটি লাউ বিক্রি করা হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার মৌপুকুর এলাকার বিভিন্ন ভিটায় লাউসহ শীতকালীন শাক-সবজির চাষাবাদ করা হচ্ছে। আগাম লাউয়ের পাশাপাশি লাউডগা বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন উঁচু জমি ও ডাঙ্গার পাড়েও আগাম লাউ চাষ করা হচ্ছে। এমনই একজন উদ্যোক্তার সন্ধান মিলেছে।
রোস্তম আলী নামে তরুণ এই উদ্যোক্তা উপজেলার পলিপ্রয়াগপুর ইউনিয়নরে চন্ডিপুর চায়না অফিস গ্রামে পরিত্যাক্ত জমিতে গড়ে তুলেছেন বিশাল লাউ ক্ষেত।
দেখা গেছে, জমি জুড়ে দীর্ঘ বাঁশের মাচায় ঝুলে আছে অসংখ্য লাউ। রিষ্টপুষ্ট বিষমুক্ত এসব লাউ ক্ষেতিতে কোন প্রকার রাসায়নিক সার ব্যবহার করা হয়নি। জৈব সার ব্যবহার করে লাউ চারা রোপণ করা হয়েছে বলে জানান রোস্তম।
তিনি বলেন, বাড়ির পাশেই পরিত্যাক্ত জায়গায় খাজনা নিয়ে জঙ্গল পরিস্কার করে ভরা মৌসুম সময় লাউ ক্ষেতির প্রস্তুতি নেওয়া হয়। পরিত্যক্ত জমিতে আগাম লাউ চাষে এভাবে সারা পাবো এটা কল্পনার বাহিরে ছিল। লাউয়ের পাশাপাশি শিম, বেগুন তিন ধরনের বাগানের উৎপাদিত লাউ বিক্রি করা হচ্ছে। পাইকারী দরে ৩০-৪০ টাকা করে ধরা হচ্ছে। সর্বমোট ৩০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে।
এক্ষেত থেকে প্রায় আড়াই হাজার পিস লাউ বিক্রির কথা ভাবা হচ্ছে। এতে প্রায় লাখ টাকা আয়ের স্বপ্ন দেখছেন এই উদ্যোক্তা।
বিরামপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার জাহিদুল ইসলাম ইলিয়াস বলেন, এ উপজেলায় শীতকালে প্রচুর লাউ চাষ করা হয়। তবে অনেক কৃষক গ্রীষ্মকালীন লাউ চাষ করে বেশ লাভবান হচ্ছেন।কৃষকদের কৃষি অফিস থেকে সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।’