প্রতিবছর ভালোবাসা দিবস, বসন্ত বরণ আর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে ঘিরে সারাদেশে জমে ওঠে ফুলের বাজার। অন্য দশটা জেলা শহরের মতো বগুড়াও এর ব্যাতিক্রম নয়। তবে এ বছর একটু আগেভাগেই বগুড়ায় শুরু হয়েছে ফুলের বাণিজ্য। ভিড় বেড়েছে ফুলের দোকানগুলোতে। হঠাৎ দাম বাড়ায় সংকট দেখা দিয়েছে গোলাপের।
ফুলের রানি গোলাপের কদর বাড়ে পহেলা ফাল্গুন ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে। ভালোবাসা দিবসের এখনও বাকি ১ দিন। এর মধ্যেই উত্তরের এ জেলায় জমে ওঠেছে গোলাপের বেচাকেনা। বিক্রি হচ্ছে ৫ থেকে ৬ গুন বেশি দামে। কয়েকদিন আগেও যে গোলাপ বিক্রি হত ১০ থেকে ১৫ টাকায়, সেটি এখন বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়, তাও আবার কিছু জাতের গোলাপ পাওয়াই যাচ্ছে না। হলুদ গোলাপ প্রতি পিস ১০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে ক্রেতাকে।
বগুড়া শহরের বেশ কয়েকটি ফুলের দোকান ঘুরে দেখা যায়, অন্যান্য ফুলের তুলনায় গোলাপের চাহিদাই বেশি। সুযোগ বুঝে বিক্রেতারাও দাম হাঁকছেন কয়েকগুণ। বাধ্য হয়ে বেশি দামেই কিনছেন ক্রেতারা। এ ছাড়া রজনীগন্ধা বিক্রি হচ্ছে ১৮-২০ টাকা এবং চন্দ্রমল্লিকা ১০-১২ টাকা করে।
কথা হয় ফুল কিনতে আসা কলেজ ছাত্র সাব্বিরের সঙ্গে। তিনি জানান, গোলাপ ফুলের দাম একটু বেশিই নিচ্ছেন বিক্রেতারা। একটি গোলাপ তিনি নিয়েছেন ৪৫ টাকা দিয়ে।
অন্য আরেক দোকানে ফুলের তোড়া কেনেন সায়েরা হোসেন। তিনি বলেন, প্রায় সময়ই তোড়া কিনতে হয়, কিন্তু এবার কিনতে হলো অনেক বেশি দামে। অন্য সময় যেটার দাম ২৫০-৩০০ টাকা ছিল, সেটা আজ ৪৫০ টাকা। তাও আবার তোড়ায় গোলাপের সংখ্যা খুবই কম।
ফুলবিক্রেতা রাজু আহ্মেদ বলেন, হঠাৎ করেই ফুলের চাহিদা বেড়ে গেছে। বিভিন্ন বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় এবং নতুন শিক্ষার্থীদের বরণ অনুষ্ঠানে প্রচুর ফুলের চাহিদা থাকে। এ ছাড়া সামনে বসন্ত বরণ, ভালোবাসা দিবস এবং ২১শে ফেব্রæয়ারী রয়েছে।
ফুলবিক্রেতা আব্দুস সবুর বলেন, কয়েকদিন আগেও গোলাপ ১০ টাকা করে বিক্রি করেছি। এখন বেশি দামে কিনতে হচ্ছে, তাই বিক্রিও করছি বেশি দামে। আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এমন চলবে তারপরে স্বাভাবিক হবে বাজার।
এআই