গান শোনাকে কেন্দ্র করে হওয়া পূর্ব দ্বন্দ্বের জের ধরে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার গোপালদিয়াড় ও বাঁশবাড়িয়া নামক দুটি গ্রামের গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের ৮ জন আহতও হয়েছেন।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে সেবাবাগ বাজারে গোপালদিয়াড় ও বাশবাড়িয়া দুই গ্রামবাসীর মধ্যে এ সংঘর্ষ ঘটে। এ ঘটনায় মসজিদের মাইকে লোকজন ডেকে মারামারির জন্য একত্রিত করে বাঁশবাড়িয়া গ্রামবাসীরা।
বাঁশবাড়িয়া গ্রামের আহত হয়েছে ৩ জন তারা হলেন- ইউনুচ আলীর ছেলে নান্নু (৩৩), মহিদুল ইসলামের ছেলে জীবন আলী (২৮) ও মৃত ফাকের আলীর ছেলে ইউসুচ আলী (৫৫)।
গোপালদিয়াড় গ্রামের আহত হয়েছে ৫ জন তারা হলেন- জামাত আলীল ছেলে আশিক (২৪), মৃত আজগর আলীর ছেলে চাঁদ আলী (৫২), শুকুর আলীর ছেলে ইকলাচুর রহমান (৩০), আক্তার আলীর ছেলে সাহাবুল হক (৩৫) ও আব্দুল বারেক আলীর ছেলে শহিদুল ইসলাম(৪৫)।
এলাকাবাসীরা জানায়, আনুমানিক সোমবার রাত আটটার সময় সুন্দরপুর হাটবোয়ালিয়া বাজারে বাশবাড়িয়া গ্রামের ইমরানের সাথে গোলযোগবাঁধে গোপালদিয়াড় গ্রামের এনামুলের। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এসময় স্থানীয় হাটবোয়ালিয়া বাজারে থাকা লোকজন তাদের দুজনকে বুঝিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। তারা গ্রামে ফিরে উভয়ে তাদের গ্রামের মানুষকে বিষয়টি জানায়।
পরে ইমরানকে নিয়ে তার পরিবারের সদস্যরা বাড়ি ফেরার সময় গোপালদিয়াড় গ্রামবাসী সেবাবাগ বাজার নামক স্থানে আবার ঝামেলা শুরু হলে বাঁশবাড়িয়া গ্রামের মসজিদের মাইকে মাইকিং করে মারামারির জন্য লোকজনকে একত্রিত করে। এঘটনায় উভয় গ্রামবাসী সংঘর্ষে জড়ায়।
এতে ৮ জন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে আলমডাংগার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে (হারদী হাসপাতাল) ভর্তি করা হয়েছে। পরে আলমডাঙ্গা থানা ও ওসমানপুর পুলিশ ফাঁড়ি ও হাটবোয়ালিয়া পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিতি হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
নাম প্রকাশ না করে কয়েকজন গ্রামবাসী বলেন, মাইকে শুনে আমরা ঘটনাস্থলে আসি। তবে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হওয়ায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেনি। তারা আরও বলেন, গান শোনা নিয়ে হাটবোলিয়া বাজারে প্রথমে এই ইমরান আর এনামূলের ঝামেলা হয়। পরে সেই ঝামেলা সেবাবাগ বাজারে এসে মারামারি হয়।
এদিকে, দুই গ্রামের এ সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।
এবিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ গনি মিয়া বলেন, মাইকে প্রচারের বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে দুই গ্রামের কয়েকজন মানুষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। তাতক্ষণিক পুলিশ পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ নেয়। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টা পর্যন্ত কোনো পক্ষের অভিযোগ আমরা পায়নি। তারপরও অত্র এলাকার পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।
এআই