এইমাত্র
  • কঠোর নিরাপত্তায় বায়তুল মোকাররমে জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত
  • কঠোর নিরাপত্তায় বায়তুল মোকাররমে জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত
  • যশোরে আগাম শীতকালীন সবজির বাম্পার ফলন
  • চুরি করতে গিয়ে বোনের শাশুড়িকে জবাই করে হত্যা
  • আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়ার ঘোষণা দিলেন শোয়েব মালিক
  • যুদ্ধাপরাধী হিসেবে নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তার করা উচিত: হামাস
  • কোনো সাধারণ শিক্ষার্থী এমন হত্যাকাণ্ড চালাতে পারে না: কাদের
  • জীবনের শেষ ভিডিওবার্তায় যা বলেছিলেন শাফিন
  • ট্রেন চলাচলের এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি: রেলওয়ে
  • এইচএসসির আরো চারটি পরীক্ষা স্থগিত
  • আজ শনিবার, ১২ শ্রাবণ, ১৪৩১ | ২৭ জুলাই, ২০২৪
    দেশজুড়ে

    সীমান্তে হত্যা বন্ধে প্রতীকী লাশ নিয়ে মিছিল

    কাওছার মাহমুদ, লালমনিরহাট প্রতিনিধি প্রকাশ: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৬:৩১ পিএম
    কাওছার মাহমুদ, লালমনিরহাট প্রতিনিধি প্রকাশ: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৬:৩১ পিএম

    সীমান্তে হত্যা বন্ধে প্রতীকী লাশ নিয়ে মিছিল

    কাওছার মাহমুদ, লালমনিরহাট প্রতিনিধি প্রকাশ: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৬:৩১ পিএম

    সীমান্ত হত্যা বন্ধের দাবীতে কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে শুরু হওয়া কর্মসূচি আজ বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারী) দুপুর ২ টায় লালমনিরহাট জেলায় পালিত হয়েছে। হানিফ বাংলাদেশীর নেতৃত্বে মিশন মোড় চত্বরে লাশের এই মিছিল করেন তারা।

    বাংলাদেশের সাথে ভারত ও মিয়ানমার সাথে সীমান্ত আছে এমন সব জেলা ও উপজেলা প্রদক্ষিণ করে এই প্রতিবাদ মিছিল জানানো হবে। মিছিলে সংহতি জানিয়ে সাদিকুল ইসলাম, নুরু নবী মিয়া, গণতন্ত্রের রাজা এন ইউ আহম্মেদ, সৌরভ হোসেন বেলাল, আরিফ সহ স্থানীয় অনেকে এই কর্মসূচী যশোরের বেনাপোল উপজেলায় গিয়ে শেষ করবেন বলে জানান।

    কর্মসূচী সম্পর্কে হানিফ বাংলাদেশী বলেন, বাংলাদেশের প্রতিবেশি দুইটা দেশ ভারত ও মিয়ানমার সব সময় বাংলাদেশের উপর আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে। ভারত সব সময় সীমান্তে নিরিহ মানুষকে পাখির মত গুলি করে হত্যা করছে, কিছুদিন আগে বাংলাদেশের একজন বিজিবি সদস্যকে বিএসএফ গুলি করে হত্যা করেছে। গত ৪ মাসে ভারত সীমান্তে ২১ জন বাংলাদেশী বিএসএফ এর গুলিতে নিহত হয়েছে। বিভিন্ন মানবাধিকারের অধিকারের হিসেবে ২০১০ সাল থেকে প্রায় ১২৭৬ জন বাংলাদেশীকে বি এস এফ হত্যা করেছে, ১১৮৩ জন আহত হয়েছে।

    আরেক প্রতিবেশি দেশ মিয়ানমার তাদের ১২ লাখ রহিঙ্গাকে অত্যাচার করে বাংলাদেশে পাঠিয়েছে। গত ৫ফেব্রুয়ারী মিয়ানমারের আভান্তরিন যুদ্ধে মটারসেলে দুজন বাংলাদেশী নাগরিক নিহত হয়েছে। সীমান্ত আগ্রসনের বিরুদ্ধে ২০২০ সালে আমি প্রতিকী লাশ কাঁধে নিয়ে ঢাকা থেকে কুড়িগ্রাম পদযাত্রা করেছি।

    হানিফ বাংলাদেশী আরো বলেন, বাংলদেশের জনগন সব সময় প্রতিবেশি ও বন্ধু দেশ গুলোর সাথে ভালো সম্পর্ক রাখতে চায় কিন্তু প্রতিবেশী দেশ দুইটি বাংলাদেশের সাথে বৈরি আচরণ করে। সীমান্তে বাংলাদেশিদের হত্যার পরে বলা হয় এরা গরু চোর চোরাকারবারি, হতে পারে এরা গরু চোর চোরাকারবারি এদের আইনের আওতায় এনে বিচার করা হোক, গুলি করে হত্যা করবে কেন, ভারত ও মিয়ানমার যদি তাদের দেশের পাচারকারিদের দমন করে তাহলে বাংলাদেশের পাচারকারিরা এমনিতে বন্ধ হয়ে যাবে।

    তারা বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশে রাষ্ট্র ক্ষমতায় যে দলই এসেছে সে দলই দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার জন্য দেশের মানুষের আর্ত মর্যাদা বিসর্জন দিয়ে বিদেশিদের দ্বারস্থ হয়েছে। শাসকদের এই দুর্বল নতজানুর কারনে ভারত ও মিয়ানমার সব সময় বাংকাদেশের উপর আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে,বিদেশী আন্য দেশ গুলো বাংলাদেশের উপ তাবেদারি করার সাহস পাচ্ছে।

    ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন দেশের মানুষ কখনও কোন দেশের দাদাগিরি মেনে নেয়নি নতুন প্রজন্ম ও কোন দেশের আগ্রাসন মেনে নেবেনা। বাংলাদেশের মানুষ আর্ত মর্যাদা নিয়ে বিশ্বের দরবারে মাথা উচ্ছু করে বাঁচতে চায়। এই কর্মসূচিতে আমরা দেশবাসীর সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি। দেশের সচেতন মানুষদের এই কর্মসূচী অংশ গ্রহণ করার আহবান জানাচ্ছি। যেদিন যে জেলা উপজেলায় এই মিছিল যাবে সেখানে যেকোনো দল, সংগঠনকে আমাদের সাথে সংহতি জানানোর আহ্বান জানাচ্ছি।

    এমআর

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…