শরীয়তপুরে পূর্ব শত্রুতার জেরে রাজ্জাক তালুকদার (৫০) নামের এক মৎস চাষীর ঘেরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধনের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে। এতে অন্তত ২০ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে বলে দাবী ভুক্তভোগী মাছ চাষীর। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে পালং মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী মাছ চাষী।
স্থানীয়, ভুক্তভোগী ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে সদর উপজেলার চরপালং এলাকার মাছ চাষী রাজ্জাক তালুকদার পৌর বাসষ্ট্যান্ডের পশ্চিম পাশের ৬ একর জমির একটি পুকুর লিজ নিয়ে মাছ চাষ করে আসছেন। মাছ চাষের শুরু থেকেই তার প্রতিপক্ষ জাকির তালুকদার ও তার লোকজন মাছের ঘেরটিতে বেশ কয়েকবার বিষ প্রয়োগ করার চেষ্টা করে। এ বিষয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন ভুক্তভোগী রাজ্জাক তালুকদার। এরপর থেকে প্রতিপক্ষের লোকজন আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। পরে গত রবিবার তারা রাতের আধারে ঘেরটিতে বিষ প্রয়োগ করে বলে অভিযোগ উঠে। বিষের প্রভাবে ঘেরের রুই, কাতলা, মৃগেল, মিনারকাপসহ বিভিন্ন প্রজাতির দুইশো মন মাছ মরে পানিতে ভেসে উঠে। এতে প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবী করেন মাছ চাষী রাজ্জাক তালুকদার। এ ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে ৪ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
ভুক্তভোগী রাজ্জাক তালুকদার বলেন, আমি অনেক টাকা ঋণ করে এই মাছের খামারটি করেছি। প্রতিপক্ষের লোকজন শুরু থেকেই আমার মাছ চাষে বাঁধা দিয়ে আসছে। আমি এ বিষয়ে থানায় জানালে স্থানীয় লোকজন বিষয়টি মিমাংসা করে দেয়। এরপরও তারা আমার পুকুরে আবার বিষ দিয়ে বিশ লাখ টাকার মাছ মেরে ফেলে। আমি এখন পথে বসে গিয়েছি।এ ঘটনায় আইনের কাছে সুষ্ঠু বিচার চাই।
স্থানীয় বাসিন্দা ফজলুল হক মাদবর নামের এক ব্যক্তি বলেন, রাজ্জাক ভাই অনেক টাকা ইনভেস্ট করে খামারটি করেছে। মাছগুলো বেশ বড় হয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় এমন ক্ষতি মেনে নেয়ার মতো না। যারা এ ঘটনার সাথে জড়িত তাদের সঠিক বিচারের দাবী জানাই। তবে এ বিষয়ে প্রতিপক্ষের কারো বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।
জানতে চাইলে পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এমআর