নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রাজমিস্ত্রি পারভেজ হোসেন (২৮) হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত প্রধান আসামি জসিমসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) র্যাব-১১ এর মিডিয়া অফিসার মেজর অনাবিল ইমাম এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান। এর আগে জসিম ও তার ছেলে ফাহাদকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর মডেল থানার বিশ্বরোড এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের পশ্চিম কান্দারগাঁও এলাকায় বালু ভরাট, ঠিকাদারি ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে পারভেজ নামে একজন রাজমিস্ত্রি নিহত হন। এ ঘটনায় পারভেজের বাবা, দুই ভাইসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১১ জন আহত হয়েছেন। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
সোনারগাঁ উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের পূর্ব ও পশ্চিম কান্দারগাঁও গ্রামের জাকির হোসেন ও জসীম উদ্দিনের মধ্যে বালু ভরাট, ঠিকাদারি ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। কান্দারগাঁও থেকে সোনারগাঁ উপজেলায় যাতায়াতের জন্য একটি রাস্তা নির্মাণকে কেন্দ্র করে শুক্রবার দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। পরে উভয় পক্ষের লোকজন দেশি অস্ত্র টেঁটা, রামদা ও লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় জাকিরের চাচাতো ভাই পারভেজ টেঁটা বিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান। পারভেজের ওপর হামলা ঠেকাতে গিয়ে তার বাবা মোতালেব, বড় ভাই রিটন, ছোট ভাই হৃদয়সহ জাকিরের ভাই রুহুল আমিন ও আক্তার হোসেন গুরুতর আহত হন।
অন্যদিকে জসীম উদ্দিনের পক্ষের দেলোয়ার, জামান, কামাল ও মহসিন আহত হন। এ ঘটনায় নিহত পারভেজের ভাই হৃদয় মিয়া বাদী হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে সোনারগাঁ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। গ্রেপ্তার জসিম সোনারগাঁয়ের পশ্চিম কান্দারগাঁও এলাকার মনতাজ উদ্দিনের ছেলে ও জসিমের ছেলে ফাহাদ এ মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি। তাদের সোনারগাঁ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এমআর