শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিলেট টেস্টে ন্যুনতম লড়াইটাও করতে পারেনি বাংলাদেশ। ৩২৮ রানের ব্যবধানে হেরেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। এই টেস্টে টাইগাররা দলে পায়নি সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিমের মতো গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়কে। তারপরও ম্যাচটি জেতা উচিত ছিল বাংলাদেশ -এমনটাই মনে করেন দেশসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। লঙ্কানদের বিপক্ষে হারটা পোড়াচ্ছে তাকে।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম টেস্টটি চতুর্থ দিনের দ্বিতীয় সেশনেই শেষ হয়ে যায়। ৫১২ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাত্র ১৮২ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসেও মাত্র ১৮৮ রান করেছিল বাংলাদেশ। পক্ষান্তরে শ্রীলঙ্কা প্রথম ইনিংসে ২৮০ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৪১৮ রান করে।
এই হার নিয়ে সাকিব বলেন, 'আশা তো সবসময় করি যেন জিতি। টেস্ট ক্রিকেটে আমরা সবসময় স্ট্রাগল করি। আমাদের জন্য কঠিন। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি যে শ্রীলঙ্কার সাথে আমাদের অনেক ভালো করা উচিত এবং টেস্ট ম্যাচ জেতা উচিত।'
সিলেট টেস্টে পেস বান্ধব উইকেটে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে টাইগাররা। বাংলাদেশের ২০ উইকেটের সবগুলোই নিয়েছেন পেসাররা। লঙ্কান স্পিনাররা কোনো উইকেটই নিতে পারেননি। অন্যদিকে লঙ্কানদের ২০ উইকেটের ১১টি নেন পেসাররা, ৭টি স্পিনাররা। বাকি দুটি রানআউট। ধারণা করা হচ্ছে, চট্টগ্রামে আর পেসবান্ধব উইকেট বানিয়ে ম্যাচ জেতার চিন্তা করবে না টাইগারদের টিম ম্যানেজমেন্ট।
আগামী ৩০ মার্চ চট্টগ্রামের যহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে খেলবেন সাকিব। গত বছর এপ্রিলের পর প্রথমবারের মতো টেস্ট খেলবেন তিনি। চোটসহ নানা কারণে গত নভেম্বরের পর আর জাতীয় দলের হয়ে খেলেননি তিনি।
এই টেস্ট সিরিজেও খেলার কথা ছিল না সাকিবের। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে সিরিজের মতো টেস্ট সিরিজের দলেও ছিলেন না সাকিব। তবে দ্বিতীয় টেস্টে খেলার ইচ্ছা পোষণ করায় তাকে দলভুক্ত করা হয়। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্টে সাকিবের পরিসংখ্যান দারুণ। যা নিঃসন্দেহে টাইগারদের উজ্জীবিত করবে। লঙ্কানদের বিপক্ষে ৯ টেস্টে ৩৮.১৮ গড়ে ৬১১ রান করেছেন সাকিব। চারটি হাফ সেঞ্চুরির সঙ্গে আছে ১টি সেঞ্চুরিও। আর বল হাতে নিয়েছেন ৩৮ উইকেট।
এই টেস্টে নিজের লক্ষ্য নিয়ে সাকিব বলেন, 'পারসোনাল কোনো গোল নেই। মনে হয় না ক্রিকেট যতদিন খেলেছি কোনো ব্যক্তিগত লক্ষ্য বা অর্জনের দিকে আমার চোখ ছিল। সবসময় চেষ্টা করেছি, দলের জন্য কীভাবে অবদান রাখা যায়। দেশের হয়ে পারফর্ম করতে পারা। দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করাটা সবসময় গর্বের একটা বিষয়। স্বাভাবিকভাবেই টেস্ট দলে ফিরতে পেরে আমি আনন্দিত, একইসাথে গর্বিত।'
এমএইচ