কালবৈশাখী ঝড়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়িতে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন ২০০ জনের বেশি। বিধ্বস্ত জলপাইগুড়ির উদ্দেশে রাতেই রওনা হওয়ার কথা রয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
উত্তরবঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস ক’দিন আগে দিয়েছিল আবহাওয়া দপ্তর। সে অনুযায়ী, আজ রবিবার বিকেলে জলপাইগুড়ি জেলায় ব্যাপক কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। জেলার ময়নাগুড়ি এলাকায় বেশ বড় মাপের শিলা পড়ে।
স্থানীয়দের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আধাকেজি ওজনের শিলাও পড়েছে। মাত্র কয়েক মিনিটের তাণ্ডবে জলপাইগুড়ি সদর ব্লক, ময়নাগুড়ি ব্লকের বেশ কিছু এলাকায় বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়। ঝড়ে গাছ চাপা পড়ে এক পথচারীর মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ঝড়ের সময় দিজেন্দ্র নারায়ণ সরকার নামে ওই ব্যক্তি গাছের নিচে আশ্রয় নিয়েছিলেন। আচমকা তার মাথার ওপর গাছ ভেঙে পড়ে। অপর এক মৃতের নাম অনিমা মণ্ডল (৪৮)।
পুলিশ জানিয়েছে, ঝড়ের সময়ে ব্যাটারিচালিত টোটোয় ধাক্কা লেগে মারা গিয়েছেন তিনি। অন্য দুই মৃত ব্যক্তির নাম যোগেন রায় (৭০) ও সমর রায় (৬৪)।
এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে পোস্ট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এক্স-এ তিনি লিখেছেন, হঠাৎ ভারী বৃষ্টিপাত এবং ঝড়ো হাওয়ায় আজ বিকেলে জলপাইগুড়ি-ময়নাগুড়ি এলাকায় বিপর্যয় নেমে আসে। মানুষের প্রাণহানি হয়েছে, আহত হয়েছেন বহু মানুষ, ঘরবাড়ির ক্ষতি হয়েছে। গাছ, বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়েছে।
এফএস