এইমাত্র
  • কঠোর নিরাপত্তায় বায়তুল মোকাররমে জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত
  • কঠোর নিরাপত্তায় বায়তুল মোকাররমে জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত
  • যশোরে আগাম শীতকালীন সবজির বাম্পার ফলন
  • চুরি করতে গিয়ে বোনের শাশুড়িকে জবাই করে হত্যা
  • আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়ার ঘোষণা দিলেন শোয়েব মালিক
  • যুদ্ধাপরাধী হিসেবে নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তার করা উচিত: হামাস
  • কোনো সাধারণ শিক্ষার্থী এমন হত্যাকাণ্ড চালাতে পারে না: কাদের
  • জীবনের শেষ ভিডিওবার্তায় যা বলেছিলেন শাফিন
  • ট্রেন চলাচলের এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি: রেলওয়ে
  • এইচএসসির আরো চারটি পরীক্ষা স্থগিত
  • আজ শনিবার, ১২ শ্রাবণ, ১৪৩১ | ২৭ জুলাই, ২০২৪
    শিক্ষাঙ্গন

    উত্তপ্ত বুয়েট নিয়ে চমক হাসানের ফেসবুক পোস্ট ভাইরাল

    সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্ক প্রকাশ: ১ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৩ পিএম
    সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্ক প্রকাশ: ১ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৩ পিএম

    উত্তপ্ত বুয়েট নিয়ে চমক হাসানের ফেসবুক পোস্ট ভাইরাল

    সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্ক প্রকাশ: ১ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৩ পিএম

    বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ছাত্র রাজনীতি বন্ধ থাকা উচিৎ বলে মনে করেন প্রতিষ্ঠানটির সাবেক শিক্ষার্থী, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী গবেষক, লেখক ও শিক্ষক চমক হাসান।

    রোববার (৩১ মার্চ) বাংলাদেশ সময় রাত আটটার কিছু আগে নিজের ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি এই মত দেন। সামাজিক মাধ্যমে পোস্টটি বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সোমবার বেলা ১২টার দিকে প্রতিবেদন লেখার সময় তে ৩৮ হাজার প্রতিক্রিয়া, প্রায় এক হাজার মন্তব্য এবং ২ হাজার ৩শর বেশি শেয়ার হয়েছে। মন্তব্যের ঘরে বুয়েটের বর্তমান এবং সাবেক শিক্ষার্থীদের অনেকেই এই পোস্টের জন্য চমক হাসনকে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন।

    ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের ইস্যুতে বুয়েটে চলমান পাল্টাপাল্টি আন্দোলন মাঝে ওই ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেন, আমি বুয়েটের অ্যালামনাইদের একজন হিসেবে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করতে চাই। আমি দৃঢ়ভাবে মনে করি, বুয়েটে ছাত্র-রাজনীতি বন্ধ থাকা উচিত। ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, ছাত্রফ্রন্ট, ছাত্র শিবির- কিছুরই দরকার নাই।

    ‘কারণ দেখানো খুব সহজ। দুই কলামের একটা সারণি বানানো হোক। বামপাশে থাকুক ছাত্র-রাজনীতির উপস্থিতি বুয়েটে কী কী ইতিবাচক পরিবর্তন উপহার দিয়েছে তার একটা তালিকা, আর ডানপাশে থাকুক ছাত্র-রাজনীতির উপস্থিতির কারণে কী কী যন্ত্রণার ভেতর দিয়ে গেছে ছাত্র-শিক্ষক-প্রশাসন, তার একটা খতিয়ান। ডানপাশে আবরার, সনি এই নামগুলোর কোনো একটার যে ভার, সেটা বামপাশের সম্মিলিত ভারের চেয়েও বহুগুণে বেশি। এরপরেও ডানদিকের তালিকায় র‍্যাগিং, অত্যাচার, চাঁদাবাজি, ক্ষমতা প্রদর্শনী, অন্যায় সুবিধাভোগ – এসবের উপাখ্যান পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা লিখে যাওয়া যাবে। তাহলে ছাত্র-রাজনীতি কেন চাইবে সাধারণ শিক্ষার্থীরা?’

    ২০১৯ সালে আবরার ফাহাদ নামে এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হত্যা করে বুয়েট ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ওই ঘটনার পর শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ হয় বুয়েটে। আবরার হত্যার কথা স্মরণ করে চমক লিখেন, ‘ডিপার্টমেন্টের প্রিয় জুনিয়র আবরারকে যে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছিল, মন থেকে সেই ক্ষত এখনও মুছে যায়নি। চেনা জুনিয়রদের সাথে যত আলাপ হয়েছে সেই অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, আবরার-হত্যার ঘটনার পর যখন ছাত্র-রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়, তার পর থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা অনেক শান্তিতে ছিল, আছে। কোনো যুক্তিতেই আবার ঐ নরক ফিরিয়ে আনার মানে হয় না।’

    তিনি লিখেন, ছাত্রলীগ না থাকলে শিবির মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে- এটাও মেনে নেয়ার মতো যুক্তি না। সহজ কথা- ছাত্র রাজনীতি নেই মানে কোনো সংগঠনেরই কার্যক্রম নেই। ছাত্রলীগও না, শিবিরও না। সাধারণ শিক্ষার্থীরা সবাইকেই প্রতিহত করবে। গত কদিনে সবার সাহস আর ঐক্য দেখে তাদের প্রতি এই ভরসা আমার আছে।’

    একসঙ্গে শান্তিপূর্ণ অবস্থান নিয়ে, পরীক্ষা বর্জন করে শিক্ষার্থীরা যে ঐক্য দেখিয়েছে, সেটার প্রশংসা করে তাদের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানান চমক হাসান।

    সম্প্রতি ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের ইস্যুতে নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বুয়েট। ছয় দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীদের একটি অংশ। অপরদিকে ছাত্র রাজনীতি ফেরানোর দাবিতে কর্মসূচি পালন করছে ছাত্রলীগ।

    গত ২৮ মার্চ মধ্যরাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের ক্যাম্পাসে প্রবেশের ঘটনায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেন রহিমের হলের সিট বাতিল করে প্রশাসন। কিন্তু আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। এর সঙ্গে আরও পাঁচটি দাবি উত্থাপন করেছেন তারা। অপরদিকে বুয়েট ক্যাম্পাসে চার বছর ধরে নিষিদ্ধ থাকা ছাত্ররাজনীতি ফিরিয়ে আনার দাবিতে সরব হয়েছে ছাত্রলীগ।

    বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তকে অসাংবিধানিক, মৌলিক অধিকার পরিপন্থি ও শিক্ষাবিরোধী বলে আখ্যায়িত করেছেন ছাত্রলীগ নেতারা।

    এই ইস্যুতে রোববার (৩১ মার্চ) দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রতিবাদ সমাবেশের পর নেতাকর্মীদের নিয়ে বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।

    তবে এ সময় সেখানে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইমতিয়াজ রাব্বি ছাড়া বুয়েটের কোনো শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন না।

    পরে দুপুর আড়াইটার দিকে নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বুয়েট শহীদ মিনার সংলগ্ন বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীরা।

    এর আগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক সমাবেশে বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি ফেরানোর আলটিমেটাম দেন ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন। তিনি বলেন, বুয়েট প্রশাসনের কাছে আমাদের আহ্বা‌ন থাকবে, অনতিবিলম্বে ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি চালু করতে হবে। যে নিয়ম আপনারা শুরু করেছেন সেটি কালাকানুন, সেটি কালো আইন।

    এ সময় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইমতিয়াজ রাব্বির বৈধ সিট ফিরিয়ে দেয়ারও আহ্বান জানান তারা।

    ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে, বুয়েটের শের-ই-বাংলা হলে পিটিয়ে হত্যা করা হয় শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে। বারবার প্রাণ বাঁচানোর আকুতি জানালেও বাঁচতে পারেননি তিনি। ৬ ঘণ্টা নির্যাতনের পর মারা গেলে হলের দোতলা ও নিচতলার মাঝামাঝি সিঁড়িতে ফেলে রাখা হয় আবরারের মরদেহ। সিসিটিভির ফুটেজে ধরা পড়ে সেই দৃশ্য। শনাক্ত করা হয় আসামিদের। এদের বেশিরভাগই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এই ঘটনার পর ২০১৯ সালের ১৬ নভেম্বর শিক্ষার্থীদের রাজনীতিতে অংশ না নিতে প্রজ্ঞাপন জারি করে বুয়েট প্রশাসন।

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…