যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সরকারি উড়োজাহাজ এয়ার ফোর্স ওয়ানে কোনো সফরের সময় তার সঙ্গে যাওয়া সংবাদিকদেরকে বিমানটি থেকে স্যুভেনির চুরি বন্ধ করতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে হোয়াইট হাউজ সংবাদদাতাদের সমিতি, গত মাসে সাংবাদিকদেরকে ইমেইলে একটি কড়া নোটিশ পাঠিয়েছে।
বিবিসি জানায়, গত ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট কোস্টে বাইডেনের সফরের পর এয়ার ফোর্স ওয়ানের সব জিনিসপত্র পরীক্ষা করে দেখার সময় কয়েকটি জিনিস খুঁজে পাওয়া যায়নি। এর মধ্যে ছিল- ব্র্যান্ড পিলোকভার, গ্লাস এবং সোনালি বেড় দেয়া বাসন।
এয়ার ফোর্স ওয়ানে ভ্রমণের সময় সাংবাদিকদের কখনো কখনো এমএন্ডএম চকলেটের প্যাকেট দেয়া হয়। সেসব প্যাকেটে স্যুভেনির হিসাবে প্রেসিডেন্সিয়াল সিল থাকে। কিন্তু কয়েক বছর ধরেই এয়ার ফোর্স ওয়ানের লোগো অঙ্কিত জিনিস নেয়া (যেমন: কাটলারি বা তোয়ালে) সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানানো হয়েছে কয়েকটি খবরে। বিমান থেকে নামার সময় সেগুলো ব্যাগে ভরে নিয়ে যাওয়া হয়।
ভয়েস অব আমেরিকার হোয়াইট হাউজ সংবাদদাতা মিশা কমাডোভস্কি প্রেসিডেন্টের বিমানে সফর করার সময় এমন অনেক জিনিস নিয়ে এসে জড়ো করেছেন। বিবিসি-কে তিনি বলেন, এ কাজ করে তিনি কাউকে বিব্রত করেননি কিংবা ভুলকিছু করেননি। তার হাতে সে সময় ধরা ছিল এয়ার ফোর্স ওয়ানের লোগো লাগানো একটি পেপার কাপ। যেটি তিনি কেবল ‘ফেলে আসতে ভুলে গেছেন’ বলে জানিয়েছেন।
তার কাছে বাইডেনের সই করা একটি এমএন্ডএম এর বক্সও ছিল। যেটাকে তিনি বলছেন, বিমানটিতে নিয়মিত দেয়া এমএন্ডএম এর একটি চমৎকার বাক্স। এয়ার ফোর্স ওয়ান বিমানকে হোয়াইট হাউজ আকাশে প্রেসিডেন্টের কার্যালয় বলে বর্ণনা করে থাকে। এই বিমানের তিন স্তরবিশিষ্ট মেঝের আয়তন ৪ হাজার স্কয়ার ফুট।
এতে একদিকে আছে প্রেসিডেন্টের প্রবেশ এবং কাজের জন্য আলাদা জায়গাসহ একটি মেডিকেল স্টেশন। অন্যদিকে আছে- কনফারেন্স রুম, ডাইনিং রুম। খাবার প্রস্তুত করার দুটো গ্যালারি; যেখানে একই সময়ে খেতে পারে ১০০ জন। আর আরেকদিকে আছে সাংবাদিক, ভিআইপি এবং সেক্রেটারিয়েটের স্টাফদের জন্য জায়গা।
এমএইচ