বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করে বুয়েটের বিজ্ঞপ্তি স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। এতে করে বুয়েটে ছাত্রদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালাতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
আজ সোমবার (১ এপ্রিল) বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচাপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
বুয়েটের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগনেতা ইমতিয়াজ রাব্বি এ রিট দায়ের করেন।
রিটকারীর পক্ষে আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক বলেন, ‘রাজনীতি বন্ধ করে কর্তৃপক্ষ যে নোটিশ দিয়েছিল সেটিই স্থগিত করা হয়েছে। এতে বুয়েটে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালাতে বাধা নেই।’
এদিকে, ছাত্র রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাসের দাবিতে পরীক্ষা বর্জন করেছে বুয়েটের শিক্ষার্থীরা। গতকাল রোববার (৩১ মার্চ) ২০তম ব্যাচের টার্ম ফাইনাল পরীক্ষায় একজন ছাড়া সব শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত ছিলেন।
এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘২০তম ব্যাচের এক হাজার ২১৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে এক হাজার ২১৪ জনই আজকের পরীক্ষায় অংশ নেননি। এ থেকেই শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত নৈতিক অবস্থান ক্যাম্পাসে পুনরায় ছাত্র রাজনীতি প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে কতটুকু সুদৃঢ় তা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়।’
বুয়েট শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তাজনিত তীব্র শঙ্কায় রয়েছেন উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ক্যাম্পাসের আশপাশের এলাকায় শনিবার রাত থেকে ক্রমাগত মাইকিং, শিক্ষার্থীদের ফোন কলে হুমকি-ধমকি প্রদান করা, সোশ্যাল মিডিয়ায় নানারকম গুজব, বুয়েট শিক্ষার্থীদের মিথ্যা ট্যাগ দেওয়া, শিক্ষার্থীদের ছবি নাম-পরিচয়সহ পোস্ট করে তাদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা গুরুতরভাবে বিঘ্নিত হয়-এমন সব অপপ্রচার চালানো হয়েছে। এমতাবস্থায় বুয়েট ক্যাম্পাস এবং আশপাশের এলাকা বুয়েট শিক্ষার্থীদের জন্য অনিরাপদ হয়ে পড়েছে। এমনকি বুয়েট ক্যাম্পাসের বাইরেও শিক্ষার্থীরা তাদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। নিরাপত্তাজনিত এসব কারণে বুয়েট শিক্ষার্থীদের রোববার ক্যাম্পাসে অবস্থান না নেওয়ার মানে এই নয় যে, শিক্ষার্থীরা তাদের ছাত্র রাজনীতিবিহীন ক্যাম্পাসের দাবি থেকে সরে এসেছে।
এমএইচ