একটি খয়েরি রঙের পাঞ্জাবি। বুকের বাম দিকে রংধনুর মতো দেখতে কারুকাজ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড আড়ংয়ের এই পাঞ্জাবি ঘিরে চলছে ব্যাপক বিতর্ক। নেটিজেনদের অভিযোগ, এমন ডিজাইনের মাধ্যমে সমকামিতার প্রচার চালাচ্ছে আড়ং। এ অভিযোগ তুলে প্রতিষ্ঠানটিকে বয়কটের ডাকও দিচ্ছেন কেউ কেউ। অন্যদিকে ওই ডিজাইনের পাঞ্জাবি বিক্রির কথা স্বীকার করে আড়ং বলছে, প্রতিষ্ঠানটি কারও সেন্টিমেন্টে আঘাত করতে চায় না, কোনো কিছু প্রমোটও করে না।
গত কয়েক দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি স্ক্রিনশট ভাইরাল। যেখানে দাবি করা হচ্ছে, আড়ং সমকামিতার চিহ্ন সম্বলিত একটি পাঞ্জাবি বিক্রি করছে। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে আড়ংয়ের ওয়েবসাইট কিংবা ফেসবুক পেজে ওই পাঞ্জাবি দেখা যাচ্ছে না। দেশের বাইরে থেকে সেটি দেখা যাচ্ছে।
তবে যুক্তরাষ্ট্র, ভারতসহ বেশ কয়েকটি দেশ থেকে সময় সংবাদ খোঁজ নিয়ে দেখতে পায়, কোথাও আড়ংয়ের ওয়েবসাইটে সেই পাঞ্জাবিটি দেখা যাচ্ছে না।
নেটিজেনদের দাবি, রংধনুর রঙ সাতটি, আর সমকামিতার সিম্বলের রঙ ছয়টি। আড়ংয়ের পাঞ্জাবিটিতে ছয়টি রঙ রয়েছে, যা সমকামিতাকে প্রচার করে।
এদিকে আড়ংকে বয়কটের ডাক দিয়ে একটি কর্মসূচি পুলিশি বাধায় পণ্ড হওয়ার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। দেখা যায়, পাঞ্জাবির স্ক্রিনশট সম্বলিত প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে জড়ো হতে চাইলে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়া হয়। এসময় তাদের বলতে শোনা যায়, নিজেকে সমকামি প্রমাণ করতে না চাইলে আড়ং বয়কট করুন।
উমর আল ফারুক নামের একজন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লিখেছেন, ‘পোশাকে আধুনিকতার নামে অপসংস্কৃতিকে প্রচার করছে আড়ং। তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’
আরেকজন ফেসবুক ব্যবহারকারী আহমেদ হাসনাইন জোহেব লিখেছেন, `প্রতিবাদের মুখে আড়ং সমকামিতার চিহ্ন সম্বলিত পোশাক লুকিয়ে ফেলেছে। তবে এটা তাদের মতাদর্শকে লুকাতে দিবে না।'
এ বিষয়ে আড়ংয়ের জেনারেল ম্যানেজার (মার্কেটিং) রেদওয়ান বলেন, আমরা কারও সেন্টিমেন্টকে আঘাত করতে চাই না। কোনো কিছুকে প্রমোটও করি না। পাঞ্জাবি নিয়ে কথাবার্তা হচ্ছে। ওই ডিজাইনটি এখন স্টক আউট। সে কারণে কোনো জায়গা থেকেই পাঞ্জাবির এই ডিজাইনটি ওয়েবসাইটে শো করার কথা নয়।
এমএইচ