সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় ঘোড়ার লাথিকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ আব্দুল আউয়াল ও নুর মোহাম্মদ নামে দুইজন নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় দু পক্ষের ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এই ঘটনার আহত হয়েছে আরও ২০ জন।

সোমবার (০১ মার্চ) রাত ১১টার দিকে উপজেলার শিমুলবাকঁ ইউনিয়নের থলেরবন্দ গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় এলাকাবাসী জানা, উপজেলার শিমুলবাক ইউনিয়নের থলেরবন্দ গ্রামে আশিক মিয়ার বাড়ীর সামনে শের আলীর একটি পালিত ঘোড়া বেঁধে রাখলে ঘোড়ার লাথিতে আশিক মিয়ার ছেলে ফরিদ আঘাত প্রাপ্ত হয়। এতে আশিক আলীর ভাই সাহার আলী, শের আলীকে আশিক আলীর বাড়ীর সামনে ঘোড়া বেঁধে রাখার কারন জিজ্ঞাসা করলে শের আলীর লোকজন সাহার আলীকে মারধর করে। এ ঘটনার জের ধরে উভয় পক্ষ দেশিয় অস্ত্রশস্ত্রসহ মারামারিতে জড়িয়ে পরে এবং এক পক্ষ আরেক পক্ষের বাড়ীঘর ভাংচুর করে।

এসময় আশিক আলী পক্ষের থলেরবন্দ গ্রামের মৃত রহিম আলীর ছেলে নুর মোহাম্মদ (২২), শের আলীর পক্ষের একেই গ্রামের মৃত নৈমুল্লাহর ছেলে আব্দুল আওয়াল (৫৫)সহ এতে উভয় পক্ষের প্রায় ২০ জন আহত হয়। গুরুত্বর আহতদের উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরন করা হয়।

সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার আহত নুর মোহাম্মদকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করলে আহত নুর মোহাম্মদ সিলেট যাওয়ার পথে রাহ ২ টায় রাস্তায় মৃত্যু বরণ করেন। অপর মঙ্গলবার সকালে আহত ব্যক্তি আব্দুল আওয়াল সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।

শান্তিগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী মুক্তাদির হোসেন এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয় এবং তাৎক্ষণিক অভিযান পরিচালনা করিয়া আশিক আলী পক্ষের ২ জন এবং শের আলী পক্ষের ৪ জনকে আটক করা হয়। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি নজরদারীতে আছে। বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।

এআই