ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে মার্কেটগুলোতে ক্রেতাদের আনাগোনা ততই বাড়ছে। আর সেই সাথে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন বিপনি বিতানের পাশাপাশি ফুটপাতের দোকানগুলোতে কেনাকাটা শুরু হয়ে গেছে।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সরেজমিনে মাগুরা জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন মার্কেটগুলোতে কাপড়, জুতা ও কসমেটিক্স দোকানে ক্রেতা সাধারণের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। ফুটপাতের মৌসুমি ও ভ্রাম্যমাণ দোকানেও নিম্নবিত্ত মানুষদের আনাগোনা রয়েছে।
ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিবারের মতো এবারও ঈদ বাজারে এসেছে বিভিন্ন ধরনের আকর্ষণীয় সব পোশাক। বাজারে দেশীয় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের আধুনিক ডিজাইনের সব ধরনের পোশাক রয়েছে।
পাঞ্জাবি, শার্ট, গেঞ্জি, ফতোয়া, থ্রি-পিস, ট্রপিস ও শিশুদের জন্য সব ধরনের কাপড় পাওয়া যাচ্ছে। পুরুষ ক্রেতাদের তুলনায় নারী ক্রেতাই বেশি। তবে গত বছরের তুলনায় এবার সব পোশাকের দাম একটু বেশি বলে দাবি ক্রেতাদের।
মাগুরা শহরে বেবি প্লাজা ও নূরজাহান প্লাজায় কয়েকজন কাপড়ের দোকানদারের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, এবার ক্রেতার চাহিদা মাথায় রেখে ভিন্ন ভিন্ন ডিজাইনের পোশাক উঠিয়েছি। রোজার শুরুতে ক্রেতাদের ভিড় দেখা যাচ্ছে। এবার বিক্রি বেশি ভালো হবে না বলে ধারণা করছেন দোকানীরা।
পরিবারসহ কেনাকাটা করতে এসেছেন তাসমীম রহমান। তিনি বলেন, রোজার শেষ সময় মার্কেটে অনেকে ভিড় থাকে। তাই আগেই কেনাকাটা সেরে ফেলছি। তবে দাম গতবছরের তুলনায় অনেকটা বেশি।
শহরের বেবি প্লাজা ও নূরজাহান প্লাজা বাজারের কয়েকজন কসমেটিক্স দোকানদারের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, কেনাবেচা ভালই হচ্ছে, তবে রোজার শেষের দিকে আরও ভালো হবে বলে আশা করি। পোশাক ও কসমেটিক্সের পাশাপাশি বেড়েছে জুতা-স্যান্ডেলের বিক্রি। ছোট বড় সবাই আসছেন সাধ্যের মধ্যে পছন্দ মতো জুতা-স্যান্ডেল কিনতে।
মাগুরা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কলিমুল্লাহ সময়ের কণ্ঠস্বর-কে বলেন, ঈদকে সামনে রেখে ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা যেন নির্বিঘ্নে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বদা তৎপর রয়েছে। নিরাপত্তা ও শহরে যানজট এড়াতে ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
এমআর