চাঁপাইনবাবগঞ্জ একটি সরকারি কলেজে এক শিক্ষকের নারী কেলেঙ্কারীর ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে ছাত্রলীগ।

মঙ্গলবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের আয়োজনে এই মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

ঘন্টাব্যাপি চলা মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ডা. সাইফ জামান আনন্দ, সাধারণ সম্পাদক আশিকুজ্জামান আশিক, কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি একেএম আনোয়ার হোসেন, ছাত্রনেতা ফয়সাল আহমেদ, গোবিন্দ চ্যাটার্জি, আব্দুল আওয়াল তুষার, ছাত্রলীগ নেত্রী কনা সরকার প্রমূখ। এ সময় বক্তারা নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজে এক শিক্ষকের নারী কেলেঙ্কারীর ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানান।

একই সময় কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি একেএম আনোয়ার হোসেন বলেন, নারী কেলেঙ্কারীর বিষয়ে কলেজ প্রশাসনকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষনা দেন।

এদিকে, নবাবগঞ্জ সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. সৈয়দ মোজাহারুল ইসলাম তরু জানান,‘ নারী কেলেঙ্কারীর ঘটনায় রসায়ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুর রউফকে আহ্বায়ক করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, তদন্ত কমিটি আাগামী ৩ কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবে। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, মোসাঃ সাকিলা খাতুন, সহযোগী অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ ও আহ্বায়ক যৌন নিপিড়ন প্রতিরোধ কমিটি এবং ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও যৌন নিপিড়ন প্রতিরোধ কমিটির সদস্য মো. এনামুল হক।

এদিকে ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে আজ মঙ্গলবার দুপুরে নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের একাডেমিক কাউন্সিলের এক সভায় এই তদন্ত কমিটি গঠনের সিধান্ত নেয় কলেজ প্রশাসন।

এসব অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. আব্দুল খালেক চৌধুরী ডলারের সাথে সময়ের আলো মোবাইল ফোনে যোগযোগ করলে তিনি বলেন, গত ২—৩ মাস থেকেই একটি চক্র আমাকে এই কলেজ থেকে সরানোর জন্য লেগেছে। আর ওই শিক্ষার্থীকে ভিকটিম হিসাবে ব্যবহার করছে। ওই শিক্ষার্থীর সকল অভিযোগ অসত্য এবং ভিত্তিহীন।

এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচারের দাবি জানিয়ে হিসাববিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে স্টাটাস দিয়ে লেখেন“সহযোগী অধ্যাপক (ডলার স্যার) উনার বাসায় তিনি মেয়ে ব্যবসা শুরু করেছেন। তিনি আমাকে বলেছেন তোর মতো মেয়ে আমি কতটা জোরজবরদস্তি করেছি,কেউ কিছু করতে পারে নি। পারলে তুই কিছুই করে নিস। উনার আমি হ্যারেজমেন্ট চায়,মাননীয় শেখ হাসিনার কাছে। এখন আমি কলেজ ছাত্রী হয়ে নিরুউপায়।আত্মহত্যা ছাড়া আমার কোন উপায় নেই। আমার মৃতুযর জন্য তিনি দায়ী।”

এমআর